"যুদ্ধাপরাধীদের বিচার: ভুল পথে বিএনপি....?"

মূর্তালা রামাত এর ছবি
লিখেছেন মূর্তালা রামাত (তারিখ: শনি, ২৭/০৩/২০১০ - ৮:১৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্বাধীনতার ৩৯ তম বার্ষিকীতে যদি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাদের বহুল আলোচিত এবং প্রত্যাশিত নির্বাচনী অঙ্গীকার "যুদ্ধাপরাধীদের বিচার" বিষয়ে কোনরকম উদ্যোগ গ্রহণ না করতো তবে এ লেখার শিরোনাম হতো "যুদ্ধাপরাধীদের বিচার: ভুল পথে আওয়ামী লীগ....?"। আওয়ামী লীগ সে ভুল করেনি। রাজনীতির ময়দানে অত্যন্ত বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়ে তারা সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে গঠন করেছে আন্তর্জাতিক ট্রাইবুন্যাল। প্রসঙ্গত এর আগে যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য ১৯৭২ সালে দালাল আইনে সারা দেশে ৬২টি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল। সে সময় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধীকে চিহ্নিত করে বিচারের কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে ৭৫২ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়। ১৯৭৫ এর পর জিয়াউর রহমানের শাসনামলে এই ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয় এবং আটক অপরাধীদের ছেড়ে দেওয়া হয়!

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত জাতিগত নিপীড়ন, নির্যাতন, অগি্নসংযোগ, ধর্ষণ, আটক রাখা, গণহত্যার মতো বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচার করার জন্য ব্যবস্থা রেখে যুদ্ধাপরাধ ও আন্তর্জাতিক আইনের অধীন অন্যান্য অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তির আটক বিচার ও শাস্তির বিধানের লক্ষ্যে ১৯৭৩ সালে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনাল) অ্যাক্ট ১৯৭৩ নামে একটি আইনও এদেশে প্রনয়ন করা হয়। এই আইনে দেশের প্রতিষ্ঠিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার খুব সহজে সম্ভব হলেও বিগত ৩৭ বছরে সামরিক সরকার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা তিন তিনটি গণতান্ত্রিক সরকারের কেউই এ বিষয়ে অগ্রণী হয়নি। অবশেষে বর্তমান সরকার বহু প্রতীক্ষিত এই বিচার শুরু করতে বাধ্য হয়েছে বলা চলে। এবং একথা সবাই এক বাক্যে স্বীকার করছেন যে দেশের বর্তমান তরুণ প্রজন্ম এর পেছনে সবচেয়ে বড় নিয়ামক ভূমিকা পালন করেছে। মূলত তাদের প্রবল সমর্থনেই এই সরকারের ক্ষমতায় আসা এবং তাদের অক্লান্ত ত্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার কারণেই ৩৯ বছর পর "যুদ্ধাপরাধীদের বিচার" বর্তমান বাংলাদেশের সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত ও আলোচিত বিষয়।

তরুণ প্রজন্মের রুখে দাঁড়ানোর ভেতরই দিয়েই স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম।
দেশের তরুণ প্রজন্ম ফুঁসে উঠলে কী হতে পারে অতীতের বিভিন্ন সময়ে আমরা তা বহুবার দেখেছি। এই তরুণ প্রজন্মের স্পন্দনকে যে রাজনৈতিক সংগঠন উপলব্ধি করতে পারে না তারা মুসলিম লীগের মতো আবর্জনার আস্তাকুঁড়েয় নিক্ষিপ্ত হয় নতুবা জামাতশিবিরের মতো রাজনৈতিক বর্জ্যে পরিণত হয়। নতুন প্রজন্মের চিন্তাচেতনাকে ধরার চেষ্টা না করে দেশের বর্তমান বিরোধী দল বিএনপি আপাতদৃষ্টিতে সে পথেই হাঁটছে বলে মনে হচ্ছে। আমরা খুব খুশি হতাম যদি ভোটের হিসেবে দেশের জনগোষ্ঠীর একটি বিরাট অংশের প্রতিনিধিত্বকারী দল বিএনপির প্রধান মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে ট্রাইব্যুনাল গঠনের সাথেসাথেই একে স্বাগত জানিয়ে একটি বক্তব্য দিতেন। তাঁর এহেন বক্তব্যে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে বিএনপির নিরব অবস্থান বিষয়ে বাজারে যে গুঞ্জন রয়েছে তার ইতি ঘটতো এবং দেশের আপামর জনতার কাছে বিএনপির গ্রহনযোগ্যতা বাড়তো বৈ কমতো না। কিন্তু পত্রিকায় প্রকাশ দেশের প্রধান বিরোধী দল এ ব্যাপারে এখনই কোন প্রতিক্রিয়া দেখানো থেকে নিজেদের বিরত রেখেছে http://www.shamokal.com/। দলটির মহাসচিব খন্দোকার দেলোয়ার হোসেন অবশ্য বলেছেন বিচারে তাদের কোন আপত্তি নেই তবে বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হবে কীনা এ নিয়ে তার ঘোরতর আশঙ্কা আছে। তবে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোন বিবৃতি দেয়নি। খালেদা জিয়ার বিজ্ঞবান উপদেষ্টারা নাকী তাঁকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে বলেছেন! ৭১ এর চিহ্নিত ঘাতক দালাল কারা তা আমরা সবাই জানি। তাদের বিচার শুরু হতে যাচ্ছে, এমতাবস্থায় পর্যবেক্ষণের নামে নিরব থাকার অর্থই হচ্ছে বিএনপি এই বিচারের ব্যাপারে স্বতঃস্ফূর্ত নয়। আমাদের মনে আছে ইতিপূর্বে তারা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ক্ষেত্রেও তারা একই ধরনের মনোভাব দেখিয়েছিলো এবং ক্ষমতায় আসার পর ৫ বছর এই মামলাটিকে স্থবির করে রেখেছিলো। বিএনপি যদি এখনও সে ধরনের কিছু চিন্তা করে থাকে তবে আমি বলবো তারা তরুণ প্রজন্মের পালস একবারেই ধরতে পারছেনা।

এ প্রসঙ্গে একটি কথা আমার মনে পড়ছে। তা হলো, এর আগে ২০০৬ সালে জামাত শিবিরের রুকন সম্মেলনে গোলাম আযমের সাথে কোলাকুলি করে, চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের সাথে এক কাতারে বসে মহান মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানের ছেলে তারেক রহমান নতুন প্রজন্মকে আহ্বান করেছিলেন অতীতকে ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে! তার এ বক্তব্য বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া আমার মতো আরো অনেক তরুণকেই আহত করেছিলো। ছাত্রদল সমর্থক অনেক সহপাঠীকেই তখন গভীর আশাহতের মতো বলতে শুনেছি তারেক জিয়া ভুল পথে হাঁটছেন। সত্যি সত্যিই তিনি সেদিন ভুল পথে হাঁটার সূচনা করেছিলেন। এবং তরুণ প্রজন্মকে ধারণ না করতে পারার ব্যর্থতার মাশুল তাকে পরবর্তীতে কড়ায় গন্ডায় দিতে হয়েছে।

তেমনি জামায়াতের সঙ্গ নিয়ে বিএনপি ক্ষমতার স্বাদ পেয়েছে ঠিকই তবে নতুন প্রজন্মের কাছে দলটির জাতীয়তাবাদী চেতনা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে দারুণভাবে। ১৯৭১ কে ঘিরেই মূলত এদেশের ন্যাশলালিজমের আবর্তন। তাই বাঙালী জাতীয়তাবাদ বা বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ যাই বলা হোক না কেন ৭১ এর ঘাতক দালালেরা কখনোই এর অংশ হতে পারে না। বিএনপিকে তার জাতীয়তাবাদী অস্তিত্বের খাতিরে অবশ্যই এই সত্যিটিকে মাথায় রেখে এগুতে হবে। তাদেরকে মনে রাখতে হবে যে ১৯৭১ কোন দলীয় বিষয় নয়। সমগ্র বাঙালী জাতির স্বত্তা এর সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। তেমনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও কোন দলীয় চাওয়া নয়। এটি এমন একটি স্বপ্ন যা প্রজন্মের পর প্রজন্মের হৃদয়ে লালিত হয়ে একদিন না একদিন বাস্তবে রপ নেবেই। আর তাই জাতীয়তাবাদী চরিত্র নির্ভর জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে হলে বিএনপিকে অবশ্যই অনতিবিলম্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে সরব অবস্থান নিতে হবে, স্পষ্ট ভাষায় তাদের অবস্থান জনগণ তথা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। নতুবা ভুল পথে হাঁটার খেসারত বিএনপিকে চড়া মাশুলেই দিতে হবে।

২৭/০৩/১০
সিডনি, অস্ট্রেলিয়া।


মন্তব্য

মামুন হক এর ছবি

লেখার সাথে একাত্মতা জানিয়ে গেলাম।

মূর্তালা রামাত এর ছবি

ধন্যবাদ মামুন ভাই।

মূর্তালা রামাত

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

চমৎকার বিশ্লেষণ! সহমত জানিয়ে গেলাম।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

মূর্তালা রামাত এর ছবি

সহমতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

মূর্তালা রামাত

অতিথি লেখক এর ছবি

জন্মের পর থেকে এই বিচার প্রক্রিয়ার জন্য আমার মতো অনেকেই অপেক্ষায় ছিলো। লেখাটা পড়ে যদি বিএনপির সামান্যতম বোধোদয় হয়........... লেখককে ধন্যবাদ।

শারমিন শিমুল

মূর্তালা রামাত এর ছবি

সচলে আপনাকে স্বাগতম...আশা করি সংযুক্ত থাকবেন...

মূর্তালা রামাত

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ঠিক।

মূর্তালা রামাত এর ছবি

মাত্র এক শব্দে কাজ সেরে দিলেন.......হা হা...ধন্যবাদ।

মূর্তালা রামাত

দ্রোহী এর ছবি

চমৎকার লেখা।

মূর্তালা রামাত এর ছবি

ধন্যবাদ।

মূর্তালা রামাত

সাফি এর ছবি

বিএনপি এখানে কেন নিশ্চুপ তার একটা কারণ হতে পারে, জামাতের পরেই তাদের ঘরে যুদ্ধাপরাধীদের সর্ব্বোচ্চ সরব উপস্থিতি।

"খালেদা জিয়ার বিজ্ঞবান উপদেষ্টারা নাকী তাঁকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে বলেছেন!"

আমার যতদূর মনে পড়ে, খালেদার অন্যতম উপদেষ্ট সাকা চৌধুরী, যে তার পুরো পরিবার সমেত একজন চিহ্নিত রাজাকার। এখন সাকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা অবশ্যই নিতে হবে। আশা করি নেওয়াও হবে। বিএনপি যদি সেক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ দমন বা এ জাতীয় কোন ধোঁয়া তুলে বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, তাহলে তারা তাদের রাজনৈতিক মৃত্যুকে আরও ত্বরান্বিত করবে। খালেদা বা বিএনপি এর নীরবতা তাই অবশ্যই একটা চিন্তার খোরাক।

মূর্তালা রামাত এর ছবি

আমরা সবাই এটা বুঝলেও...বিএনপি কেন জানি এটা বুঝতে একবারেই নারাজ...

মূর্তালা রামাত

ওডিন এর ছবি

বোধোদয় হবার মতো তো কোন লক্ষন দেখা যাচ্ছে না। তারা এখনো বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ না ঘুলা এইসব পর্যবেক্ষন করতেই ব্যস্ত। ঝাইড়া কাশলেই হয়। আসলে বেচারারা অনেক চেষ্টা করছে তারপরেও হতচ্ছাড়া মুখোশ খালি খুলে খুলে যেতে চায়।

______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

মূর্তালা রামাত এর ছবি

খাঁটি কথা কইছেন মিয়াভাই....ধন্যবাদ।

মূর্তালা রামাত

অতিথি লেখক এর ছবি

ভুল দিয়ে যার শুরু তার পক্ষে ভুল সংশোধন করা ভীষণ কঠিন। তারপরও আমাদের প্রত্যাশা বিএনপি দ্রুত তার ভুল ধরতে পারবে এবং ভুল সংশোধন করে নতুন প্রজন্মের হৃদয়ের দাবী বুঝতে পারবে। একটা দেশের গণতন্ত্রের জন্য শক্তিশালী বিরোধী দল খুবই জরুরী, তাই যে দলই যখন ক্ষমতায় থাক, আমরা একটা সত্যিকারে দেশ প্রেমিক দলকে বিরোধী দল হিসেবে দেখতে চাই।

ধন্যবাদ সুন্দর একটা লেখা উপস্থাপন করার জন্য। জানি না বিএনপির নীতি নির্ধারকরা এই ব্লগটি পড়েন কিনা, পড়লে একটু ঠান্ডা মাথায় কথা গুলো ভেবে দেখবেন, উপকার আপনাদেরি হবে, লেখকের নয়।

===========
কামরুজ্জামান স্বাধীন।

===========
আমি জ্ঞান সমুদ্রের কিনারায় দাঁড়িয়ে জ্ঞানের সন্ধান করি।।

মূর্তালা রামাত এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ।
আমার মনে হয়না আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের ব্লগ সম্বন্ধে কোন জ্ঞান আছে...তারা এখনো যে এখনো মান্ধাতা আমলেই পড়ে আছেন তার প্রমাণ তারা অহরহ দিয়ে যাচ্ছেন...

মূর্তালা রামাত

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

চমৎকার লেখা। বক্তব্যের সাথে সহমত।

মূর্তালা রামাত এর ছবি

ধন্যবাদ।

মূর্তালা রামাত

দ্রোহী-স্বপ্নেরা এর ছবি

ভালো লাগলো ভালো বিশ্লেষণ পড়ে। তবে আমার মনে হয় বিএনপি ও সা.কা'র হাত থেকে মুক্তি চায়। ২০০১ এর নির্বাচনপূর্ব ঘটনা মনে করুন,ঐ যে কুকুরের লেজ নাড়ানো!আর এখন তো সা.কা. ম্যাডামের পাশেও বসতে পারছে না।
আমার মনে হয় সরকার এর উচিত বিএনপি'র সাথে আন্তরিকভাবে এই ব্যাপারে বৈঠক করা,শুধু মিডিয়ার সামনে আহ্‌বান নয়।যদিও আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর মানসিকতা এ ক্ষেত্রে মূল বাধা।তারা যেমন কোনো ভালো উদ্যোগে অপরকে সম্পৃক্ত করতে চায় না,তেমনি অন্যের ভালো উদ্যোগেও কাঁটা বিছাতে কার্পণ্য করে না।

মূর্তালা রামাত এর ছবি

আপনার সাথে আমি একমত...তবে বিএনপি সাকাকে ছাড়তে চাইলেও সাকা বিএনপিকে ছাড়ে নাকী সে ব্যাপারে আমার সন্দেহ আছে....

মূর্তালা রামাত

হাসান মোরশেদ এর ছবি

একটা স্বাধীন দেশে সামরিক শাসনের ধারাবাহিকতা তৈরী, আস্তাকুঁড় থেকে ঘাতক দালালদের তুলে আনা, রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন, অবৈধভাবে সংবিধান কাঁটাছেড়া, রাষ্ট্রীয়ভাবে সাম্প্রদায়িকতা প্রতিষ্ঠা, পার্বত্য চট্রগ্রামে সেনাশাসনের মাধ্যমে জাতিগত শোধন- এরকম বহু অপরাধে দন্ডিত এই কথিত রাজনৈতিক দলটি।

তবু '৯০ এর গন আন্দোলনের পর সুযোগ ছিলো অতীত অন্ধকারকে পাশ কাটিয়ে সুস্থ রাজনীতিতে বিএনপি'র যাত্রা শুরু করার। বাংলাদেশের জন্য এটি দরকার ছিলো।

------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

মূর্তালা রামাত এর ছবি

তবু '৯০ এর গন আন্দোলনের পর সুযোগ ছিলো অতীত অন্ধকারকে পাশ কাটিয়ে সুস্থ রাজনীতিতে বিএনপি'র যাত্রা শুরু করার। বাংলাদেশের জন্য এটি দরকার ছিলো।

ট্যু দ্যা পয়েন্ট বলেছেন। বিএনপি সেই সুযোগটা হেলায় নষ্ট করেছে....

মূর্তালা রামাত

তৌফিক হাসান [অতিথি] এর ছবি

বিএনপি কে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে পাওয়া গেলে বিচারের কাজটা অনেক সহজ হয়ে যেত। কিন্তু আমার কেন জানি মনে হয়, ওরা বিচারের স্বচ্ছতার ধূয়া তুলে একটা রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরির চেস্টা করবে। অন্ততঃ অতীত ইতিহাসতো তাই বলে, তাই না?

খুবই সময়োপযোগী এবং দরকারি পোস্ট।

ভাল থাকবেন।

মূর্তালা রামাত এর ছবি

হ্যা অতীত ইতিহাস সেটাই বলে। কিন্তু বর্তমান সময়ে বিএনপি যতি অতীতকে ফলো করতে যায় তকে হিতে বিপরীত হবার সম্ভাবনাই বেশি.....

মূর্তালা রামাত

রাজিব মোস্তাফিজ [অতিথি] এর ছবি

পোস্টে ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম। আমার মনে হয় বর্তমান বাস্তবতায় আজ হোক আর কাল হোক বি এন পি কে তার অস্তিত্বের স্বার্থেই যুদ্ধাপরাধীদের সংস্রব ছাড়তে হবে। বিএনপি এটা যত দ্রুত বুঝবে ততই তার জন্য ভালো। মুক্তিযোদ্ধা হাফিজউদ্দিন আহমেদ (সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী) এর সংবর্ধনার প্রধান অতিথি রাজাকার দেলওয়ার হোসেন সাঈদী ---এমন অশ্লীল দৃশ্য যেন এ জাতিকে আর দেখতে না হয়।

মূর্তালা রামাত এর ছবি

আমার নিজেরও সেটাই কামনা....

মূর্তালা রামাত

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হ...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মূর্তালা রামাত এর ছবি

আরে গরিবের বাড়িতে হাতির পাড়া! সালাম ভাই, ভালো আছেনতো?

মূর্তালা রামাত

অতিথি লেখক এর ছবি

বিএনপির পক্ষে এটা সম্ভব বলে মনে হয় না। তাদের ইতিহাস এ-কথা বলে না।

মূর্তালা রামাত এর ছবি

তারপরও আমরা চাই বিএনপি নতুন প্রজন্মকে ধারণ করতে শিখুক....এটা দেশের স্বার্থেই প্রয়োজন...

মূর্তালা রামাত

নাশতারান এর ছবি

এ খবরটি দেখেছেন নিশ্চয়ই। এদের কাছ থেকে কতটুকু আশা করা যায়? আদৌ কি কিছু আশা করা যায়?

▀ ▄

b

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মূর্তালা রামাত এর ছবি

কী আর বলবো ভাই?....

মূর্তালা রামাত

ভিন্ন কথা  এর ছবি

বিএনপির সমালোচনা একটি ফ্যশান মাত্র।
কারন,
আওয়ামী লীগকে এই বিচার করতে কেউ বাধা দিচে না।
আর বিচারটা করবে রাস্ট, আওয়ামী লীগ এখন রাস্ট ক্কমতায়। কাজেই তারা চাইলে তা করতে পারবে।

কাজেই আমি মনে করচি, বিএনপির শুধুই সমালোচনা করা এক শ্রনীর আওয়ামী-মিডিয়া-কররমি-সুশীলদের একটি ফ্যশান মাত্র।

দ্রোহী এর ছবি

এহহামিদা নাকি? কেমন আছেন? অনেকদিন দেখি না।

মূর্তালা রামাত এর ছবি

আপনার সাথে আমি একদমই একমত নই। বিএনপি নিজেই এই সমালোচনার ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছে। বিচার অবশ্যই রাষ্ট্র করবে কিন্তু বিরোধী দল হিসেবে বিএনপিও এই রাষ্ট্রীয় কাঠামোর ভেতরে বিচার প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই দেশের স্বর্থেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে বিএনপির সুস্পষ্ট অবস্থান এখনই জনগণের সামনে তুলে ধরা প্রয়োজন। কিন্তু বিএনপি তার অবস্থান নিয়ে একটা ধোঁয়াশার সৃষ্টি করে যাচ্ছে যা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রশ্নে বিএনপির ভাবমূর্তিকেই খাটো করে তুলছে। সেই খাটো ভাবমূর্তি সম্বন্ধে বিএনপিকে সচেতন করাটা কোন ফ্যাশনের মধ্যে পড়ে না বরং নতুন প্রজন্মের একজন হিসেবে এটা আমার দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে বলে আমি মনে করি। আপনাকে আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

মূর্তালা রামাত

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।