সকালে উঠেই খবর পেলাম দৈনিক আমার দেশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে! পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পত্রিকাটির সাবেক প্রকাশক শিল্পপতি হাশেম আলীর দায়ের করা এক মামলার জের ধরে এমনটি ঘটেছে। হাশেম আলীর পরিবারের ভাষ্যমতে তাকে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন তুলে নিয়ে গিয়েছিলো। সেখান থেকে ফিরেই তিনি মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সরকার যদিও বলছে আইন অনুযায়ীই এটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, তবে আমজনতা কারোই বুঝতে বাকি নেই যে এটি একটি খোঁড়া অযুহাত মাত্র।
মাহমুদুর রহমান গতকালই সংবাদ সম্মেলন করে পত্রিকা বন্ধের এবং তার গ্রেপ্তার হওয়ার আশংকার কথা জানান। আমার দেশ পত্রিকা বরাবরই সরকার বিরোধী অবস্থানে থেকে খবর প্রকাশ করে আসছে। তথ্য প্রমাণ ছাড়াই অনেক খবর প্রকাশ করে তারা সমালোচিত হয়েছে। এর মধ্যে শেখ হাসিনা তনয় জয়ের অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার খবর বেশ চাঞ্চল্যেও সৃষ্টি করে। এসমস্ত কারণে পত্রিকাটির সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের নামে প্রায় ৩১ টি মামলা হয়েছে। তাই বাজারে জোর গুজব ছিলো চ্যানেল ওয়ানের মতো আমার দেশও বন্ধ কওে দেয়া হতে পারে। শেষ পর্যন্ত গুজবই সত্যি হলো।
গনমাধ্যম মাত্রই সরকারের পক্ষে বিপক্ষে অবস্থান করে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে। গণমাধ্যমের গলা টিপে কোন দেশের কোন সরকারই কখনো স্বস্তিতে থাকতে পারেনি। আমার দেশের সম্পাদক যদি আইন বিরোধী কিছু করে থাকে তবে তার বিরুদ্ধে আইনের মাধ্যমেই ব্যবস্থা নেয়া যেতো। কিন্তু পত্রিকা বন্ধ করে সরকার কেবল যে তার অগণতান্ত্রিক ভূমিকাকেই জোরালো করছে তা নয় বরং বিরোধী দল কর্তৃক আওয়ামী লীগে সম্বন্ধে যে বাকশালীয় ধারণা দেয়া হয় তাকেও বাস্তব করে তুললো।
ইদানীং আওয়ামী লীগ একের পর এক উল্টাপাল্টা সিদ্ধান্ত নিয়েই চলছে। চ্যানেল ওয়ান বন্ধ, ফেসবুক বন্ধ, আমার দেশ বন্ধ... এরপর কি বন্ধ হবে সেটাই এখন ভাববার বিষয়। গণমাধ্যমকে স্তব্ধ করে দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার চিন্তাভাবনা করাটা স্বিবিরোধী এবং আত্মঘাতী। চিন্তার বিষয় হলো সরকার এই আত্মঘাতী কাজগুলোই সমানে করে যাচ্ছে বা সরকারকে দিয়ে এধরনের কাজ করিয়ে কেউ ফায়দা লুটছে। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের বোঝা উচিৎ সরকারের এসব কর্মকান্ডে তাদের জনপ্রিয়তা ক্রমশই নিচে নামছে। সুতরাং সময় থাকতে সাবধান হওয়াটাই বাঞ্ছনীয়।
২/০৬/১০
সিডনি, অস্ট্রেলিয়া।
মন্তব্য
দেশটাতো জোর যার মুল্লুক তার, সেই ছোটকাল থেকেই দেখে আসছি। সবসময় খালি দুঃখ প্রকাশ করেই চুপ থেকেছি; আজকাল তো ভয় হয় - কখন কি হয়! ভাল থাকার প্রানান্ত চেষ্টা করতে করতেই হয়তো একসময় এ ক্ষুদ্র জীবন সার হবে। তবে সংবাদটা জেনে একদমই ভাল লাগেনি। মাথা ব্যাথার জন্য মাথা কেঁটে ফেলা, গলা ব্যাথার জন্য গলা টিপে ধরা - এইসব ব্যাপার ব্যক্তি তথা সমাজটাকেই অস্থির করে তোলে বারবার।
--শফকত মোর্শেদ
এইসব ইতিহাসের পাতায় কালো দাগ হয়ে থেকে যাবে। একটা উত্তম কাজের জন্য কত সময়, কত যুদ্ধ করতে হয়, কিন্তু একটা ভুল সিদ্ধান্ত নিতে কত কম সময় লাগে!
দূরের তেপান্তর
আমার দেশ বন্ধ করার নিন্দা জানাই। মাহমুদুর রহমান একজন অসৎ লোক। তার জন্য পত্রিকার সকলের দানাপানি বন্ধ করা অন্যায়। শুধুমাত্র এই ভণ্ড মাহমুদুর রহমানকে বিচারের আওতায় আনলেই হত।
সরকারের মাথায় প্রবলেম দেখা দিয়েছে। ন্যায় অন্যায় বোধ লুপ্ত হয়েছে।
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে কীভাবে আমারদেশ "গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে" শক্তিশালী করছে তা একটু বিস্তারিত বলেন দেখি। এই মাহমুদুর জ্বালানি উপদেষ্টা ছিলেন, নাইকোর গাড়ী নিয়েছিলেন, শেষমেষ সচিবদের নিয়ে চোরাই ষড়যন্ত্র বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন।
মাহমুদুর রহমান ভণ্ড, তার জন্য আমার দেশের সকলের দানাপানি বন্ধ হবে কেন?
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
কারণ তারা একটা ভণ্ডের উপর নির্ভরশীল ছিল।
এ প্রশ্ন আমাকে কেন করলেন?
প্রশ্নটি আমারও (কীভাবে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করছে)।
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ভাই বাংলাদেশে কোন পত্রিকাটা নিরপেক্ষ লেখা লেখে আমাকে দেখান। সবাইই কমবেশি সত্যমিথ্যা মিলিয়ে সংবাদ পরিবেশন করে। এবং এদেরকে নিয়েই আমাদের গণমাধ্যম। এবং আপনি মানেন আর নাই মানেন এরাই এদেশীয় শাসনব্যবস্থার োয়াচডগ। আমার দেশের সম্পাদক মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করলে আইন অনুযায়ী তাকে দোষী প্রমাণ করা হোক। কিন্তু তার বদলে পুরো পত্রিকা বন্ধ করে দেয়াটা অন্যায় এবং অবশ্যই গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার পরিপন্থী।
আপনার তথ্যে মনে হয় একটু ভুল আছে। নাইকোর কাছ থেকে গাড়ি নিয়েছিলেন নেত্রকোনা থেকে নির্বাচিত তখনকার জ্বালানী মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এজন্য তাকে পদ হারাতে হয়।
সচিবদের নিয়ে তার করা মিটিং যে চোরাই ষড়যন্ত্রের মিটিং তা কী আদৌ প্রমাণ করা গেছে? যদি না করা যায় তবে আপনি কীসের ভিত্তিতে সেটাকে চোরাই মিটিং বললেন তা জানার খুব ইচ্ছা আমার।
আর ব্যক্তি মাহমুদুর রহমান খুব খারাপ একজন লোক হতে পারেন বৈকি কিন্তু তার দোষে প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে এটা উচিত না। তাই আপনি যদি মাহমুদুর রহমানকে খারাপ আখ্যা দিয়ে একটি পত্রিকা বন্ধ করে দেয়ার সমর্থন করেন তবে আপনার গণতান্ত্রিক ধ্যান ধারণা বুঝতে আমি অপারগ।
মূর্তালা রামাত
পক্ষাবলম্বন আর মিথ্যাচার ভিন্ন। মাহমুদুর রহমানের নামে অনেকগুলো মামলাই ঝুলছে মিথ্যাচারের জন্য। মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিকার পাবার যে প্রক্রিয়া তার সম্পর্কে আপনার ধারণা আছে বলে ধরে নিচ্ছি। এবার একটা উদাহরণ দিন সে প্রক্রিয়ায় প্রতিকার পেয়েছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে রাজাকার পরিবারের সন্তান বলায় দুদিন আগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মাহমুদুর রহমান জ্বালানি উপদেষ্টা ছিলেন এ তথ্য ভুল নয়। তিনি কী কী সুবিধা নিয়েছেন কীসের বিনিময়ে তা সেময়ের পত্রিকায় এসছে। আমার কাছে পুংঙ্খানুপুংখ রেকর্ড নাই, স্মৃতিই ভরসা।
চোরাই মিটিং বলছি কারণ: সে সময় আরো যে দশটা পত্রিকা আছে সেগুলোতে মিটিং থেকে বের হওয়া লোকজনের ছবি প্রকাশ পেয়েছে। অনেকে দৌড় দিচ্ছে, অনেকে মুখ লুকোচ্ছে খবরের কাগজ দিয়ে। টিভি ক্যামেরার ছবিতে দেখা যাচ্ছে সচিবরা মুখ লুকিয়ে অন্ধকারের দিকে দৌড়াচ্ছেন। গণমাধ্যমে প্রকাশিক এসব ছবি/ভিডিও আর প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক/সম্পাদকদের মতামত ছাড়া কোন প্রমাণ আমার কাছে নাই। বাংলাদেশের ইতিহাসে সরকারের কর্মচারীদের এরকম বৈঠকের নজিরও নাই।
ওপরে মন্তব্য প্রতিমন্তব্যের পর, নিজের সাথে কিছু প্রশ্নোত্তর করলাম :
১. প্রশাসক (মালিক/প্রকাশক/সম্পাদক) এর দুইনম্বরির 'খেসারত' কর্মচারীরা (সাংবাদিকসহ) দেবেন?
__ কিছুটা মনে হয় দিতে হবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেরই নিজস্ব চরিত্র থাকে। সেই চরিত্রের সাথে কিছু রিস্ক ফ্যাক্টরও থাকে। সেই ফ্যাক্টরগুলো মাথায় রেখেই সেই প্রতিষ্ঠানে শ্রম বিক্রি করতে যেতে হয়।
২. তাহলে 'রিস্ক ফ্যাক্টর' এর দায় কি কেবল সাংবাদিককেই নিতে হবে?
__ কিছুটা তো নিতেই হবে। অনবরত স্থূল মিথ্যাচারের প্রতিবাদ সাংবাদিকদেরকেই করতে হবে। সাংবাদিকরা নিরাবেগ শ্রম বিক্রি করেন না।
৩. মিথ্যাচার কি বাকি পত্রিকাগুলো করে না?
__ করে। কিন্তু তাতে এই পত্রিকা ভালো হয়ে যায় না।
৪. আপনি কি সরকারে পক্ষ?
__ হয় এই দলে, নয় ওই দলে, আমাকে কি কোনো না কোনো দলে থাকতেই হবে?
৫. সরকারের বিরুদ্ধে আপনার কোনো অভিযোগ নেই?
__ আছে। থাকবে না কেন? সরকার গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপ করছে এ নিয়ে সন্দেহ নাই। এটি গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক। অসংখ্য সাংবাদিক-কর্মচারীকে পরিবার পরিজন নিয়ে খুব খারাপ সময় কাটাতে হবে। তারাও বাংলাদেশের নাগরিক। সরকারের তাদের প্রতিও দায়িত্ব ছিল। তারা এই দায়িত্ব পালন করেনি।
৬. সরকারের কী দায়িত্ব পালন করার ছিল?
__ সরকার দেখবে রাষ্ট্রে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নীতিমালা মেনে চলছে কি না। না চললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এবং সেই প্রতিষ্ঠান যদি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে যেন নীতিমালা অনুযায়ী সেটি তার কর্মচারীদের পাওনা এবং/অথবা ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দেয় সেই ব্যবস্থা নেবে।( কিন্তু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জব সিকিউরিটি সরকার কতটা নিশ্চিত করতে পারবে কিংবা আদৌ কেন করবে এনিয়ে তাত্ত্বিক বিতর্ক আছে। )
৭. আপনি মনে করেন, কেবল নীতি না মানাতেই সরকার (ভায়া আদালত) আমার দেশ বন্ধ করে দিয়েছে? এর কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না?
__ আসেন, এই শেষ প্রশ্নটা নিয়ে ভাবি। কিন্তু এর উত্তর যাই হোক, এতে আমার আগের উত্তরগুলো বদলাবে না।
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
মিথ্যাচারে কোন পত্রিকা পিছিয়ে আছে সেটা একটা প্রশ্ন। মিথ্যাচারের পক্ষ থাকে। সবচেয়ে খারাপ ব্যবস্থা হলো যেখানে কেবল এক পক্ষের মিথ্যাচারের সুযোগ থাকে।
আপনি একটা পত্রিকার অফিস বন্ধের পক্ষে যুক্তি দিতে পারলেন না, দিলেন একটা ব্যক্তি-বিশেষের বিরুদ্ধে অভিযোগ। গণমাধ্যমের উপর সরকারের উপর্যুপরি কালো হাত বসানোর বিপরীতে আপনার এই বক্তব্য হতাশাজনক।
পত্রিকা তো আমি বন্ধ করিনি যে আমাকে যুক্তি দিতে হবে। আপনার মতো আমারো প্রশ্ন। "আমার দেশ" পত্রিকা কী করে মাহমুদুর রহমানের মতো লোককে সম্পাদক হিসাবে মেনে নেন? আর তাকে গ্রেফতার করতে গেলে কর্মচারীরা পুলিশ প্রবেশে বাধা দেয় কেন? মধ্যরাতে মওদুদসহ বিএনপি নেতারা (এর মধ্যে কয়েকজন মহিলা এমপি) কেন তার গ্রেফতার আটকান?
ব্যক্তি মাহমুদুর রহমানকে আইনিভাবে মোকাবিলা করাটাই কি এখানে একমাত্র উপযুক্ত ও যথার্থ পদক্ষেপ না? আপনার বক্তব্য বুঝতে পারছি। পত্রিকা বন্ধের সাফাই আপনি গাইছেন না। মাহমুদুর রহমান সংশ্লিষ্ট ব্যাপারগুলোতে বিরক্ত বোধ করছেন। ব্যাপারগুলো অবশ্যই বিরক্তিকর, ক্ষতিকর, আশংকাজনক এবং এগুলোর উল্লেখ প্রয়োজন।
আবার সরকার বেপরোয়া আচরণ করছে, এটা আমার কাছে ততোধিক চিন্তার বিষয়। প্রচারমাধ্যমের উপর এহেন বেপরোয়া হস্তক্ষেপ যে অপরিমেয় ক্ষতি করছে এই সরকারের, তা উচ্চারণের দায় আমাদের উপর বর্তায়।
আরেকবার রাজাকারের গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়ুক চাই না। আর গণসমর্থিত সরকার তিলে তিলে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠুক তাও চাই না। বেছে নিতে বললে আমি এই মুহূর্তে এই ফ্যাসিস্টগিরির সরব প্রতিবাদ করবো। তাতে আমার দুইটি লক্ষ্যপূরণের সম্ভাবনা থাকে। সেখানে বেতনভুক সাংবাদিক আর একই মতের আইনজীবী, রাজনীতিবিদদের গ্রেফতার আটকানোর ঘটনাকে প্রেডিক্টেবল ও ইন্সিগনিফিকেন্ট মনে হয়।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
মাহমুদুর রহমানের পত্রিকায় সত্য না মিথ্যা প্রকাশিত হচ্ছে, সেটি মূল্যায়নের সহজ পথ বুঝি প্রকাশনার গলা টিপে ধরা? তাহলে তো দেশে আরো অনেক সংবাদপত্রেরই কন্ঠ রোধ জরুরী হয়ে পড়েছে!
পত্রিকা বন্ধের সিদ্ধান্ত ভুল হয়েছে। আমার দেশের সিনিয়র সাংবাদিকদের প্যানেল করে চালানো যায়। তবে সম্পাদক হবার জন্য যে পেশাগত অভিজ্ঞতা দরকার তা ওই ভদ্রলোকের নেই। সূত্র কিংবা উদ্ধৃতি ছাড়া রিপোর্ট হয়না, তাতে মামলা হতে পারে, সেখানে প্রকাশিত রিপোর্টের পক্ষে তথ্য প্রমাণ দেখাতে না পারলে অন্তত সভ্য দেশে পত্রিকা বন্ধ হবেই। বাংলাদেশকে আমরা আর কতদিন যা খুশী তাইএর দেশ হিসেবে দেখতে চাই! অন্য যে সব পত্রিকায় অপেশাদার সম্পাদক আছেন, তাদেরকেও চিঠি দেয়া দরকার। হটপ্যাটিস বিক্রেতা হরলাল রায়ের শ্রমের মর্যাদায় মিডিয়ার মালিক হতে পারেন, সম্পাদক নয়। আমার দেশের সাংবাদিকদের প্রতি সমানুভূতি রইলো। আশা করছি অন্য মিডিয়ার সিনিয়র সাংবাদিকরা তাদের বিপদগ্রস্ত বন্ধুদের জন্য নিজেদের হাউজে লবি করবেন। সাংবাদিকদের জীবন সবসময় একরকম আনন্দ বেদনার কাব্য।
তাতে কেউ থেমে থাকেনি।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
আপনি জানেন ভালো, কিন্তু এটা নিয়ে আমি নিশ্চিত হতে পারছি না। আমার ধারণা এর মাঝে আরো কয়েকটা ধাপ আছে, থাকতে পারে। বা আমাকে আলোকিত করতে পারেন।
এইখানে রাজনৈতিক চোখের বদলে চোখ বিষয়টা সম্ভবত মামলা দ্রুততার সঙ্গে নিষ্পন্নের প্রভাবক হয়েছে। এই মামলার ডিটেইল আমি জানিনা। তবে সরকারী দপ্তরে দীর্ঘসূত্রিতার মীথ যেমন থাকে। ওপরের নির্দেশ থাকলে তা গতি পেয়ে যায়। অবশ্য রিপোর্ট ডিফেন্ড করার জন্য উকিলের আগে জরুরী পেশাদার সম্পাদক। সভ্য দেশে উনি মালিক হতে হয়ত পারবেন কিন্তু সম্পাদক নয়। কাজেই ধাপগুলো মানার প্রাথমিক শর্তই পূরণ করা হয়নি। অতঃপর জংগলএর আইন প্রযোজ্য হইলো। এখানে একটা শিক্ষা হচ্ছে। এরপর রাজনীতির প্রভাব খাটিয়ে মিডিয়া লাইসেন্স নিলেও অপেশাদার সম্পাদক আর কেউ বসাবেনা। যে কোন মিডিয়া হত্যার বিপক্ষে আমার অবস্থান। আমি কেবল সম্পাদকের পেশাগত অভিজ্ঞতার প্রায়োগিক বাস্তবতার প্রসঙ্গটা তুলেছি।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
একমত।
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ইটিভি বন্ধের শিক্ষা যেমন ছিলো - ক্ষমতা থাকলেই যেনতেনভাবে প্রয়োজনীয় ফর্মালিটিজ ছাড়াই মিডিয়ার লাইসেন্স ছাড়া যাবে না।
সেটাই। জংগলের আইনই চলছে। ক্ষমতাবানরা শিক্ষা দেবার জন্য এসব করেন না অবশ্য। শিক্ষার অংশটা আমাদের আরোপিত। এখানে কারণ হিসাবে দেখা যায় নিতান্ত ব্যক্তিসংঘাত ।ক্ষমতাবান বিশেষ ব্যক্তির উপর আক্রমণ করার আগে এইসব শিক্ষা দেবার চিন্তা, মাহমুদুর রহমানকে নিয়ন্ত্রণ করার চিন্তা মাথায় আসে না। অথচ গত দেড় বছর প্রায় প্রতিদিন ওনাকে আরো জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন বানোয়াট কথাবার্তা বলতে দেখে আসছি।
ব্যক্তিসংঘাত উদ্ভূত এই শিক্ষা আদৌ কেউ গ্রহণ করবে কিনা এ নিয়ে আমার সংশয়। জংগলের আইনের ধারাবাহিকতা চলছে, ক্ষমতাবানদের কামড়াকামড়ি চলছে, শুধু এইটুকু সত্য সম্পর্কেই নিশ্চিত হতে পারছি।
আমি ব্যাথিত। এতগুলো মানুষ একসাথে বেকার হয়ে গেলো! সরকারের প্রতিহিংসাপরায়ন মনোভাব দেখে বিভ্রান্ত। এভাবে ঢালাওভাবে মানুষকে বিপদগ্রস্থ করার জন্য আমরা ভোট দেইনি। গণতন্ত্রের পাঠ যদি স্বৈরতন্ত্রের মতো হয়ে যায় তখন মুখটা তিতা তিতা লাগে। নিজেরে মিসফিট মনে হয়।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
দ্বিতীয়ত,
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
দারুণ লাগলো মন্তব্যটা।
পিএসটিএনগুলো বন্ধ হল কিছুদিন আগে-- এখন একের পর এক মিডিয়া বন্ধ হচে্ছ।এই সরকারের মনে হয় আগামী নির্বাচনে বিজয়ী না হলেও চলবে।
আমাদের সাধারণ মগজের মাথা বুঝে সিদ্ধান্ত গুলো সরকারে ঠক হচ্ছে না, আর সরকারের নীতিনির্ধারকরা উর্বর মগজ নিয়ে যে কেন বুঝে না আমি সেটার হিসেব কো দিন মিলাতে পারলাম না। যে যখন ক্ষমতায় থাকে সে নিজের মতামতটাকেই শ্রেষ্ঠ ভাবে।
কেউ কী একটা পত্রিকা দেখাতে পারবেন যে নিরপেক্ষ? নিরপেক্ষ শব্দটাইতো সম্পাদকরা ভুলে যায় সরকারের চাপের কারণে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে যে "প্রথম আলো" জিয়ার মৃর্ত্যু বার্ষিকীতে হেড নিউজসহ ক্রোড়প ছাপায়, সেই প্রথম আলো এইবারের জিয়ার মৃর্ত্যু বার্ষিকীতে ছোট একটা নিউজ করল। এর মানে কী? প্রথম আলো কি নিরপেক্ষ? নাকি সরকার থাকে নিরপেক্ষ থাকতে দিলো না।
সরকারে এমন ফ্যাসিবাদী আচরণ বাকশালীয় যুগের কথা মনে করিয়ে দেয়। বাকশাল যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন আমি পৃথিবীর আলো দেখি নাই, তবে বিভিন্ন লেখা পড়ে জানতে পেরেছি ৪টা পত্রিকা রেখে বাকী গুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো, সরকার কি সে পথা হাঁটছে?
চ্যানেল ওয়ান, ফেসবুক, আমারদেশ-------------- তারপর টার্গেট কি?
সরকারের প্রতি বিনীত অনুরোধ মাথা মোটা লোকের কথা না শুনে ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিন। জনপ্রিয়তার ব্যারোমিটার একবার নিচে নামতে থাকলে উপরে উঠানো অনেক কঠিন।
আশা করি সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতায় সম্মান দিয়ে আমারদেশ পত্রিকাটি চালু করার সুযোগ করে দিবে। সরকারকে ভুলে গেলে চলবে না, পত্রিকাটির সাথে অনেক গুলো পরিবারের রিজিক জরিত। কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেবার কথা বলে কর্মহীন করাটা কি শোভনীয়?
ধন্যবাদ।
কামরুজ্জামান স্বাধীন,
ক্রোড়পত্র হল বিজ্ঞাপন যেটা বিএনপি টাকা ব্যয় করে প্রথম আলোতে প্রকাশ করেছে। টাকা থাকলে যে কেউ সেটা করতে পারে। আপনার টাকা থাকলে আপনি নিজের নামে একটা দিতে পারেন। পত্রিকা খুব শক্ত কোন কারণ না থাকলে যে কোন বিজ্ঞাপন প্রকাশ করবে।
নিউজ করা হয় পত্রিকার নীতি অনুযায়ী। এখানে টাকা ব্যয়ে মর্জিমাফিক কিছু হওয়া উচিত না।
আমরা হইলাম সবচেয়ে বড় কালপ্রিট। আমার বাপ মা, চাচা মামা এক্কেরে সব্বাই। এদের এইসব চেহারা কি নতুন? জন্মের পর থেইকা দেখতেছি এই দুই বদ মহিলা, তাগো পোলাপাইন, দলবল সমেত আকাম কুকাম লুটপাট অনৈতিক কাজ কর্ম কইরাই যাইতেছে। এরপরও আমরাই গিয়া বঙ্গবন্ধু কন্যা আর ভ্রু চাঁছা সুন্দরীকেই যাইয়া ভোট দিব। বর্তমান সরকারের আকাম কুকামের কারবালা খতম হইলে, এরপরেই আমরা আরো একদল অশিক্ষিত ক্রিমিনালদের ক্ষমতায় আনমু। এরপর তেনারা শুরু করবেন তেনাদের খেলা, আর আমরা কেবল তীব্র থেইকা তীব্র ধিক্কারই জানামু।
এদের মোটা চামড়া আর ঠুলি পরা কানে এইসব ধিক্কার ফিক্কারের বেইল নাই। ধিক্কার যদি জানাইতেই হয় তাইলে ধিক্কার জানাই আগে আমার চেনাজানা ওইসব মানুষগুলারে যারা বার বার ভুল মানুষগো কাছে ভুল আশা করে, জাইনা শুইনা দেইখাও বার বার ভুলরেই ফুল পড়ায়। ওরা ভুল না ওরা ঠিকই আছে। ভুল হইলাম আমরা।
দৃশা
প্রথম কথা, আমার যেমন কলম আছে, আপনারও কলম আছে। আমি লিখতে পারলে আপনি লিখতে পারবেন না কেনো? কেউ যদি আমাকে হাজারো তথ্য দিয়ে আমাকে অপরাধী বানাবার চেষ্টা করে সেক্ষেত্রে আমি কি পারি না উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ সাপেক্ষে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে? না কি সেই তথ্যের আলোকে আমি আসলেই অপরাধী হিসেবে শনাক্ত হচ্ছি?
এসব বিতর্কে নাই বা গেলাম। কিন্তু মিডিয়া বন্ধ করে আমি কতটুকু শান্তি পাবো?
স্বাধীন মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। যে কেউ স্বাধীনভাবে তার মত প্রকাশ করতে পারবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু জোর-জবরদস্তি করে বন্ধ করে দিবো একটি একটি করে মিডিয়া। এটা মোটেও শুভ লক্ষণ নয়। আর তা আমাদের জন্য মংগল নয় কখনো।
সাদ আব্দুল ওয়ালী
তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক লেখক
নিবন্ধন নাম: ওয়ালীসার্চ
ই-মেইল:
ভিন্নমতের প্রতি নুন্যতম সহিষ্ণূতা থাকলে আওয়ামী লীগ সরকার কখনোই একাজ কজরতে পারতো না..
যতই দিন যাচ্ছে ততোই আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট রুপটা প্রকট হয়ে দেখা দিচ্ছে...এধারা চলতে থাকলে
কিছুদিনের মধ্যেই এই সরকার মুক্তিদাতা থেকে একগুয়ে অ-সহিষ্ণূ একটা দানবে পরিনত হবে..
ইতিহাস তাই কিন্তু বলে..
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
ডেমোক্রেসি টু প্লোটোক্রেসি
সম্ভবত এখন আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছে ডেমোক্রেসি থেকে প্লোটোক্রেসির দিকে।
ডেমোক্রেসিতে মানুষের মতের ভিন্নতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বাংলাদেশে বিরোধিতা সহ্য করার কালচার এখনো গড়ে উঠেনি। রাষ্ট্রীয় আইন আর রাজনীতি একই নৌকার দুই মাঝিতে পরিণত হয়, যখন নৌকাটি ঝড়ে আক্রান্ত হয়।
মাহমুদুর রহমান যদি খারাপ কিছু করে থাকে নিশ্চয় তারজন্য আইন আছে? একের দোষে অন্যে সাজা পাবে কেন?
সম্প্রতি আমেরিকান সুপ্রিম কোর্ট একটি রায় দিয়েছিল- তাতে রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী বৈতরণীতে কর্পোরেট তহবিলকে ভবিষ্যতের যেকোন নির্বাচনের জন্য অবারিত করেছে। তাতে নিউইয়র্ক টাইমসে একটি আর্টিকেলে বলা হয়েছিল- ভবিষ্যতে সিনেটরদের রিপাবলিকান, ডেমোক্রেট, কিংবা নিউইয়র্ক, নিউজার্সির না বলে বলতে হবে- ইনি ব্যাংক অব আমেরিকার সিনেটর, কিংবা ইনি ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম (বিপি)-র সিনেটর। অর্থদুষ্টে ডেমোক্রেসির যাত্রা শুরু হয়েছে বিপরীত দিকে। অর্থাত ড্রেমোক্রেসি থেকে প্লুটোক্রেসি, মানে সবলের শাসন।
দুর্ভাগ্যবশতঃ বাংলাদেশে চিরকাল সবলের শাসন। রাজ্য যার, রাজপাটও তার হাতে। এ থেকে কবে মুক্তি মিলবে ?
আমার দেশ পত্রিকার প্রতি আমার কোনো দরদ নাই, মাহমুদুর রহমানের উপর তো একেবারেই নাই।
কিন্তু তবু সরকার একের পর এক গণমাধ্যম বন্ধ করে দিচ্ছে, এটা উদ্বেগজনক। এ পর্যন্ত দুটো টিভি চ্যানেল আর একটা জাতীয় পত্রিকা বন্ধ হলো। বন্ধ হলো ফেসবুক। আরো কয়েকটা বন্ধের প্রকিয়ায় আছে বলেই শুনছি। সবকিছু মিলিয়ে দৃষ্টান্তটা খুব খারাপ তৈরি হচ্ছে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
প্রাসঙ্গিক একটা ভিডিও শেয়ার করলাম । এইখানে পানি সম্পদ মন্ত্রী মুখ ফসকে চ্যানেল ওয়ান কেন বন্ধ হলো সেই আসল কথাটা বলে ফেলছেন ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ক্লিপটার দুইটা অংশ আছে। চ্যানেল ওয়ান বন্ধ। সরকারি চাকরিতে দলীয় নিয়োগ। দ্বিতীয় বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। কিন্তু প্রথম অংশ ইনি যা বলেছেন তা কেবল একটা ছাগলই বলতে পারে। টিপাইমুখ নিয়ে এই লোক ব্যপক ছাগলামি করেছে। মনে পড়ল আবার। কিন্তু এই ছাগলামির দায় একা এই ছাগলের না। ছাগল ছাগলসুলভ কাজই করেছে। দায়টা সরকারের। সরকারি দলের। কারণ ছাগলকে নমিশন দিয়ে জিতিয়ে এনে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তারাই দিয়েছে। (ডিসক্লেইমার : ছাগল একটা মেটাফোর)
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
আমছাগল
--------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
এইবার নির্ঘাত সরকারের খবর আছে মানুষ এবার সব বন্ধ করে নেমে আসবে রাজপথে । যা হচ্ছে অন্তত নেমে আসা উচিত
সাবরিনা সুলতানা
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
এরপর মনে হয় দেশে নেটের লাইনই বন্ধ কইরা দিবে।
>>>আইজুদ্দীন<<<
আমি বুঝিনা সরকারকে এই কু-বুদ্ধি কে দিলো? কারণ আমার দৃষ্টিতে আমার দেশ এমন কোন পত্রিকা ছিলো না,যার বচন-বাণীতে সরকারকে বিচলিত হতে হবে। আমার দেশ কারা পড়ে তা ওই পত্রিকার পাঠক মন্তব্য পড়লেই বোঝা যায়। আর এই সব পাঠকের সামনে হাজারো প্রমাণ দিলেও তারা আমার দেশ ই পড়বে। তাই বলা চলে সরকার যেচে পঁচা শামুকে পা কাটলো। মাহমুদুর রহমান কে চিনি সম্ভবত সেই ১৯৯৯ থেকে,যখন সে বিনিয়োগ বোর্ড এর চেয়ারম্যান থাকা সত্ত্বেও বেক্সিকোর পরিচালক পদে ছিলো। আর ঊত্তরা'র নাটকের কথা তো সবাই ই জানে। ঘটনার ডামাডোলে যেটা হলো তা হলো মাহমুদ চোরাকে সাংবাদিক বানানো হলো- কন্ঠ-রুদ্ধ, প্রতিবাদী সাংবাদিক- যে এতোদিন ছিলো স্ব-ঘোষিত সাংবাদিক।
মনে হয় যেনো সরকারের ভেতরে অন্য সরকার চলছে। ২য় বছরে এসে সরকার কেনো একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে? এসব কি সরকারকে তার অন্যতম মূল কাজ-যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ থেকে দূরে সরিয়ে রাখছে না?
নাকি সরকার ভাবছে বিএনপি কেনো কোনোরূপ কর্মসূচী দিচ্ছে না? ওরা কি বিদেশীদের কাছে সহনশীল বিরোধী দল বলে পরিচিত হয়ে যাচ্ছে? ওদের কে কি মাঠে নামানো উচিত না? চলো তবে নিজের নাক কেটে ওদের যাত্রার সূচনা করি।
ধন্যবাদ হাসিবকে
ধন্যবাদ হাসিবকে, একটি প্রামাণ্য ক্লিপ করার জন্য। বুঝা যাচ্ছে কফিনে শেষ পেরেক মারার আর বেশি বাকি নেই। কারন আ. লীগের এ সব নাবালক নীতিনির্ধারকরা সংখ্যাগরিষ্ঠতার আত্মম্ভরিতায় মারাত্মক সব ভুলের ফাঁদে পা দিতে চলেছেন। হয়তো এদের শেষ রক্ষা হবে না।
zic2010@yahoo.com
আওযামী লীগ প্রগতির বিরুদ্ধে নয় । কিন্তু গণতান্ত্রিক মূল্যবোধগুলোকে পরিচর্যা করতে দলটির এতো অনিহা কেন ? আওয়ামী লীগকে ডোবানোর জন্য শেখ হাসিনার পা চাটা কিছু লোকই দায়ী । সম্ভবত শেখ হাসিনা এদের আস্কারা দিয়ে চলেছেন।
zic2010@yahoo.com
মগের মুল্লুক এরচেয়ে ভালো হবে বলে ইদানীং মনে হচ্ছে আমার।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
প্রাক্তন প্রকাশকের যে অভিযোগের ভিত্তিতে পত্রিকা বন্ধ ও সম্পাদককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেটি আইনানুগ কিনা তা কি কেউ নিশ্চিত করতে পারেন?
এসব প্রসংগে নিশ্চয়ই কিছু আইন আছে, কোন কোন অপরাধের ভিত্তিতে প্রকাশনা বাতিল ও সম্পাদককে গ্রেপ্তার করা যায় তা কি কেউ জানেন?
যদি এটি আইন অনুযায়ী হয়ে থাকে তো হয়েছে, না হলে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ আইন ভঙ্গের অভিযোগে সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে যাক।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
বাহ, দারুণ কমেন্ট
দেশে কালা-কানুন থাকলে সেটাকে আইন বলে সম্মান দেখাতে হবে! যে আইন সংবাদপত্র বন্ধ করে দিতে পারে, তথ্যপ্রবাহের স্বাধীনতা খর্ব করতে পারে - সেটা যে কালো আইন তা নিয়ে কি আপনার সন্দেহ আছে? সেটা নিয়ে আদালতে গেলেই কী আর না গেলেই কী।
সংবাদপত্র কি সার্বভৌম নাকি? সংবিধান ও রাষ্ট্রীয় আইন ভঙ্গের অপরাধে যেখানে স্বয়ং সরকারের পতনকে ঘটতে পারে সেখানে সংবাদপত্রের কোন আইনগত দায়বদ্ধতা থাকবেনা?
কোন সংবাদপত্র যদি মিথ্যে, কুৎসাপূর্ন, রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য ক্ষতিকর সংবাদ প্রচার করে তাহলে তাকে নিয়ন্ত্রনে আনা যাবেনা?
আমরা লেখকের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ইত্যাদিকে একটা মহত্ব আরোপ করি। রাষ্ট্রীয় কাঠামোর অন্তর্গত প্রতিটি ব্যক্তি এবং প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেরই স্বাধীনতা যেমন আছে, দায়বদ্ধতা ও তেমনি আছে। রাষ্ট্র নামের আইনি কাঠামোকে মেনে নিলে তার আইন ও মানতে বাধ্য ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান-তা সে ব্যক্তি লেখক কিংবা চামার হোক, সে প্রতিষ্ঠান সংবাদ পত্র কিংবা দাওয়াখানা হোক।
যদি সরকার আইন ভংগ করে অথবা অপপ্রয়োগ করে অবশ্যই তার প্রতিবাদ হতে হবে, এই প্রতিবাদ নাগরিক অধিকার। সে জন্যেই তো জানতে চাইলাম যে অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমার দেশ বন্ধ করা হয়েছে সেটি আইনসম্মত কিনা?
যদি বিদ্যমান আইনটি কালাকানুন হয় তো এই কানুন বাতিলের জন্য সংবাদকর্মী ও সচেতন নাগরিকদের আন্দোলন করা জরুরী। আমার দেশ বা মাহ্মুদুর রহমান মুখ্য নয়। কারন এই আইন যতোদিন থাকবে ততোদিন যে কোন সরকার- আওয়ামী, বিএনপি, তত্ব এই আইনের সুযোগ নেবেই।
বাংলাদেশের মতো দেশে আন্দোলন ছাড়া কোন কিছু অর্জিত হয়না। বিদ্যমান আইন সংশোধনের জন্য সংবাদ কর্মীদের সংগঠনগুলো মাঠে নামছেনা কেনো?
বিডিনিউজে মোজাম্মেল বাবু'র লেখাটি এ বিষয়ে প্রাসঙ্গিক মনে হলো।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
যদি বিদ্যমান আইনটি কালাকানুন হয় তো এই কানুন বাতিলের জন্য সংবাদকর্মী ও সচেতন নাগরিকদের আন্দোলন করা জরুরী। আমার দেশ বা মাহ্মুদুর রহমান মুখ্য নয়। কারন এই আইন যতোদিন থাকবে ততোদিন যে কোন সরকার- আওয়ামী, বিএনপি, তত্ব এই আইনের সুযোগ নেবেই।
কথা সেটাই। কালো আইন থাকলে তার সুযোগ ঘুরেফিরে সব সরকারই নেবে। নিজেদের স্বার্থেই যারা ক্ষমতায় আছে তাদের এসব আইনের অপব্যবহার বন্ধ বা আইন বাতিলের চেষ্টা করা উচিত।
প্রথম অংশে কী বলতে চেয়েছেন বুঝতে পারি নি। কোন রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য থাকলে তার সব আইনের প্রতি অনুগত হতে হবে? এরশাদ আমলে তার প্রিয় অস্ত্র ছিল ‘বিশেষ ক্ষমতা আইন’ যা আগের পরের আরো সরকারও ব্যবহার করেছে। যারা তখন এই আইনের প্রতি অনুগত ছিল না, আইন বাতিলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে- তাদের সবাইকে কি আপনি রাষ্ট্রদ্রোহী বলবেন?
রাষ্ট্রের আইন বা শুধু রাষ্ট্রের আইন কেন, কোন আইনই যদি ন্যায়সঙ্গত না হয় তবে সেই আইনের কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই। প্রায় দু’হাজার বছর আগে সেন্ট অগাস্টিন যেমন বলেছিলেন- “An unjust law is no law at all”। ব্রিটিশ, পাকিস্তান আমলে এই দেশে আইন তৈরী হয়েছে মানুষকে ডান্ডা মেরে ঠাণ্ডা করার জন্য, বাংলাদেশ আমলে তার ধারাবাহিকতা রক্ষা হচ্ছে কেবল।
একটা জাতীয় দৈনিকের মূল দায়বদ্ধতা থাকে তার পাঠকের কাছে, রাষ্ট্রের কাছে নয়। সরকার যদি মনে করে পাঠক মূর্খ, পত্রিকায় কী প্রকাশিত হচ্ছে তা যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষমতা তার নেই, তবে সেটা সরকারের সীমাবদ্ধতা। সরকার মিথ্যা, বানোয়াট সংবাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে, যারা এতে সক্রিয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু জাতীয় দৈনিক বন্ধ, টিভি চ্যানেল, ফেসবুক, ইউটিউব বন্ধ এগুলো ফ্যাসিবাদি আচরণ। কোন আইন তা হালাল করতে পারে না।
কথাটা শুনতে ভালো তবে পূর্নসত্য নয়। কারন পত্রিকা প্রকাশের অনুমতি সরকারের কাছ থেকেই নিতে হয়, সরকারী নিয়ম মানা হবে এই অংগীকার করেই। এই অঙ্গীকার ভঙ্গ করলে সরকার তার ক্ষমতাবলে পদক্ষেপ নিতেই পারে- জনগন নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারকে এই ক্ষমতা প্রদান করে। এটিও একটি আইনি প্রক্রিয়া।
সে কারনেই এরশাদের সময়ের উদাহরন এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। অবৈধ সরকারের প্রতিটি কাজই অবৈধ।
প্রশ্ন হচ্ছে 'আমার দেশ' কিংবা 'চ্যানেল ওয়ান' নিয়ম ভঙ্গ করেছে কিনা? যদি না করে থাকে তাহলে সরকারের পদক্ষেপের নিন্দা জানাবো।
ফেসবুক, ইউটিউবের সাথে পত্রিকা, টিভি চ্যানেলের তুলনা হয়না কারন ফেসবুক, ইউটিউব বাংলাদেশের সরকারের অনুমতি নিয়ে চলেনা।
ঠিক তো। কিন্তু এই আইন পরিবর্তনের জন্য সংবাদকর্মী, নাগরিক সমাজকে কথা বলতে তো দেখিনা। কেবল কোন পত্রিকা বন্ধ হলেই তাদের সাময়িক কথাবার্তা শুনা যায়।
আপনার বক্তব্য কি? বিদ্যমান আইন পরিবর্তন হয়ে সময়োপযোগী আইন নাকি মিডিয়া রাষ্ট্রের কোন আইনের অধীনেই থাকবেনা?
কোন পত্রিকা, টিভি চ্যানেল - ৭১ এর গনহত্যার সপক্ষে প্রচারনা চালালেও রাষ্ট্র/সরকার কোন আইনের বলে তাকে নিষিদ্ধ করতে পারবেনা? নাকি এসব ক্ষেত্রে ও 'তাদের দায়বদ্ধতা পাঠক/দর্শকের কাছে' ছেড়ে দিয়ে সরকার সুশীল সেজে বসে থাকবে?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
বিশেষ ক্ষমতা আইন এরশাদের আগে ও পরেও ছিল। জনগণের নির্বাচিত সরকারই এ আইনের প্রয়োগ করেছে। কাজেই অবৈধ সরকারের অবৈধ কাজ বলে একে উড়িয়ে দেয়ার কোন যৌক্তিকতা নেই। আর এ অবৈধ লোকই এখন মহাজোট সরকারে। আর জনগণের নির্বাচিত সরকার বলেই তাদের সব কাজ ন্যায়সঙ্গত হবে এবং তাতে জনগণের সায় থাকবে- এগুলো বালখিল্য কথাবার্তা।
ফেসবুক, ইউটিউবের সাথে পত্রিকা, টিভি চ্যানেলের তুলনা হয়না কারন ফেসবুক, ইউটিউব বাংলাদেশের সরকারের অনুমতি নিয়ে চলেনা।
তুলনা হয়- কারণ বাংলাদেশে ইন্টারনেট এক্সেস সরকারের অনুমতি নিয়েই চলে। ফেসবুক, ইউটিউব বন্ধ মানে এখানে এক্সেস বন্ধের কথাই বলছি।
কোন পত্রিকা, টিভি চ্যানেল - ৭১ এর গনহত্যার সপক্ষে প্রচারনা চালালেও রাষ্ট্র/সরকার কোন আইনের বলে তাকে নিষিদ্ধ করতে পারবেনা? নাকি এসব ক্ষেত্রে ও 'তাদের দায়বদ্ধতা পাঠক/দর্শকের কাছে' ছেড়ে দিয়ে সরকার সুশীল সেজে বসে থাকবে?
‘আমার দেশ’, ‘চ্যানেল ওয়ান’, ‘ফেসবুক’, ‘ইউটিউব’- এরা ৭১ এর গনহত্যার সপক্ষে প্রচারনা চালিয়েছে নাকি? জানি না তো। চালালে বন্ধ করা অবশ্যই উচিত হয়েছে। তবে এমন অনেক প্রচারণা তো ‘ইনকিলাব’(লীগে যোগদানের আগে) ‘সংগ্রামের’ মতো পত্রিকা বহুদিন ধরেই করে আসছে। আর জামাত-শিবিরের মতো পার্টিগুলোতো আছেই। তাদের বিরুদ্ধে সরকার কখনো ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানি না, বরং তাদের সাথে ক্ষমতায় যাবার আরো নানা জোট হয়। শুধু দুই আপা-ম্যাডামের বিরুদ্ধে লেখা হলেই বোধহয় সরকার এবং কিছু মানুষের অনুভূতির লিঙ্গ খাড়া হয়ে যায় এবং তার সাথে ধর্মানুভূতি, মুক্তিযুদ্ধ ইত্যাদি মিশিয়ে জল ঘোলা করার একটা চেষ্টা সবসময় দেখা যায়।
আমি তো বিশেষ ক্ষমতা আইনের সাফাই গাইছিনা।
আমার দেশ , চ্যানেল ওয়ান বন্ধ কি বিশেষ ক্ষমতা আইনে হয়েছে নাকি? ডিক্লারেশন বাতিল করেছে জেলা প্রশাসক, পত্রিকার প্রকাশক সংক্রান্ত জটিলতার সুযোগে। অবশ্যই এতে রাজনৈতিক কারন আছে কিন্তু সুযোগটা তো আমার দেশ এরই দেয়া, তাইনা?
‘আমার দেশ’, ‘চ্যানেল ওয়ান’ গনহত্যার সপক্ষে সাফাই গেয়েছে তাও তো বলিনি। আপনি আগের মন্তব্য বলেছেন পত্রিকার স্বাধীনতা নিয়ে, রাষ্ট্রের কাছে পত্রিকার কোন দায়বদ্ধতা নেই মন্তব্য করেছেন।
সে কারনেই বলছিলাম যদি কোন মিডিয়া এরকম করে সে ক্ষেত্রে ও কি সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারবেনা? যদি আইনই না থাকে কোন শক্তিতে সরকার এটি করবে?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আপনি বিশেষ ক্ষমতা আইনের সাফাই গাইছেন আমি তা বলি নি। আমি শুধু আপনার আগের কমেন্টের যুক্তির প্রেক্ষিতেই বিশেষ ক্ষমতা আইনের উদাহরণ দিয়ে বলেছি রাষ্ট্রের সব আইনের প্রতি আনুগত্য পোষণ করতে নাগরিকরা বাধ্য নয়, যদি তা ন্যায়সঙ্গত না হয়।
আপনি আগের মন্তব্য বলেছেন পত্রিকার স্বাধীনতা নিয়ে, রাষ্ট্রের কাছে পত্রিকার কোন দায়বদ্ধতা নেই মন্তব্য করেছেন।
আমি কোন দায়বদ্ধতা নেই বলি নি। ভালো করে পড়ে দেখুন মূল দায়বদ্ধতা বলেছি
একটা জাতীয় দৈনিকের মূল দায়বদ্ধতা থাকে তার পাঠকের কাছে
সে কারনেই বলছিলাম যদি কোন মিডিয়া এরকম করে সে ক্ষেত্রে ও কি সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারবেনা? যদি আইনই না থাকে কোন শক্তিতে সরকার এটি করবে?
সেরকম হস্তক্ষেপ যখন হবে তখন আমি, আপনি ও আরো অনেকে এক প্লাটফর্মেই থাকবো, কাউকে কোন পক্ষে সাফাই গাইতে হবে না। আইনের অবশ্যই প্রয়োজন আছে, কিন্তু তার অপব্যবহারের কোন প্রয়োজন নেই। এখন যেটা হয়েছে সেটা এই অপব্যবহার।
ভালো থাকুন।
ভালো থাকুন আপনিও
মাহমুদুর রহমান লন্ডনে এসে তথাকথিত মানবাধিকার সংগঠন বানিয়েছে যুদ্ধাপরাধী বিচারের বিরুদ্ধে জনমত গঠনের জন্য- জানেন তো?
সরকার ঠিক কাজটি করেছে- ভুল পদ্ধতিতে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আশ্চর্য হই নি। মাহমুদুর রহমানদের মতো নর্দমার কীটদের পক্ষে সবই সম্ভব। কিন্তু এরাই আবার কিছুদিন পরে সাফ-সুতরো হয়ে ছড়ি ঘোরানো শুরু করবে।
এই আইনের বলে ডিক্লারেশন বাতিল করা হয়েছে।
আমি মনে করি সরকার ডিক্লারেশন বাতিল না করেই মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারতো।
সরকারে চরম ভুল সিদ্ধান্ত এটি। মাহমুদুর রহমান এখন একটি জনপ্রিয় নাম।
মাসুদ রানা
মাহমুদুর রহমান পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ছিলেন। আর হাশেম আলী নামে যার কথা বলছেন উনার নাম হাশমত আলী হাসু , উনি প্রকাশক হিসাবে একবছর আগেই অব্যাহতি নিয়েছিলেন, বন্ধ হবার আগে এটার প্রকাশক কে ছিলেন জানান।
আমি বুঝি নাই বুঝাইয়া বলেন।
কথাটা সত্য নয়, বলেন আওয়ামি লীগ বিরোধি আর জামাত বিএনপি ঘরানার
খবরের আগে “মিথ্যা এবং বানোয়াট” বসান, যুক্তিযুক্ত হবে
কোন ঘটনাটা আইন মত হয়নি বুঝিয়ে বলেন
...........................
Every Picture Tells a Story
বন্ধ হবার সময় প্রকাশক ছিলেন মাহমুদুর রহমান নিজে, কিন্তু তার ভাষ্যমতে গত একবছর ধরে সরকারের বাধার মুখে তিনি প্রকাশক হিসেবে নিজের নাম ছাপাতে পারেননি। এখন সরকার বলুক যে তারা কোন বাধার সৃষ্টি করেনি।
আপনার কি মনে হয় পত্রিকাটি এমনি এমনি বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারের এত কোন হাত নেই! তাহলেতো ফেসবুক, চ্যানেল ওয়ান যমুনা টিভিও এমনি এমনি বন্ধ হয়ে গেছে সরকারের এত কোন হাত নেই! পাবলিককে এই কথা বিশ্বাস করতে বলেন?
হ্যা তারা জামাত বিএনপি ঘরনার আওয়ামী লীগ বিরোধী। লীগ যেহেতু সরকারে সেহেতু তারা সরকারেরও বিরোধী। তারাতো ফখরুদ্ধীনের বিরুদ্ধে লিখেছে। তাহলে কি ফখরুদ্দীন সরকারো ছিলো আওয়ামী লীগের?
খবরগুলো যে মিথ্যা তা কি প্রমাণ করা গেছে? কেউ কি প্রমাণসহ বানোয়াট খবরের বিরোধিতা করেছেন?
তাবৎ অপরাধী, ছাত্রলীগের অস্ত্রধারী, খুনের মামলার আসামী দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে পুলিশ তাদের খুজে পাচ্ছে না আর মাহমুদুর রহমানকে মামলার সাথে সাথেই ধরতে হলো। ধরার পর জামিন হলেও এখন তাকে নতুন মামলায় আটক দেথানো হচ্ছে....এতে আপনার কি মনে হয় আইনের সদ্বব্যবহার হচ্ছে বা আইন সবার জন্য সমান?
মূর্তালা রামাত
পত্রিকার শেষ সংখ্যাটিতেও প্রকাশক হিসাবে হাসুর নাম দেখা যায়। আপনি কিভাবে বললেন প্রকাশক ছিলেন মাহমুদুর রহমান নিজে?
সত্য হলো হাসু পদত্যাগ করার পর থেকে আমার দেশে কোন প্রকাশকই ছিলনা, বে আইনী ভাবে অনেকটা গায়ের জোরে এতদিন পত্রিকা বের করা হয়েছে। এ নিয়ে আপনার সেই বিখ্যাত লোকটির বক্তব্য ছিলো “বের করলাম কী ... ফালাইতে পারে দেখি”
পাবলিকের বিশ্বাস অবিশ্বাস নিয়ে আমি কথা বলতে আসিনি, আমার বলার উদ্দেশ্য যে যুক্তি হীন কথা আমি বুঝিনা।
সরকার বিরোধী, আওয়ামি লীগ বিরোধী কিংবা ফক্রুদ্দিন বিরোধী কোনটাতেই আমার আপত্তি নাই। আমার সন্দেহ জামাত ঘরানা নিয়ে। যেই লোক প্রকাশ্যে জামাতের পক্ষ নিয়া কথা বলে তার অতীত বর্তমান যত ফরসা থাকুকই না কেনো আমার কাছে সে ঘৃণার পাত্র।
এ নিয়ে মামলা চলছে। আর এটাকে আমি খবর বলতে চাইনা কারণ যেখানেই প্রকাশিত/আলোচনা হউক মূল সূত্র/উৎস হিসাবে আমরা শুধু আমার দেশ আর মাহমুদুরের নামই পাই।
আপনি আমার প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন। আপনার “আমার দেশের সম্পাদক যদি আইন বিরোধী কিছু করে থাকে তবে তার বিরুদ্ধে আইনের মাধ্যমেই ব্যবস্থা নেয়া যেতো” এর পরিপ্রেক্ষিতে আমি জানতে চাইছিলাম কোন ঘটনাটা আইন মত হয়নি তা জানাতে। কারন আমি সেখানে বে আইনী কিছু দেখিনি।
...........................
Every Picture Tells a Story
আমার দেশ পত্রিকার স্বত্বাধিকারী কম্পানি আমার দেশ পাবলিকেশন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ মাহমুদুর রহমানকে ওই পত্রিকার প্রকাশক নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরপরই আইন অনুসরণ করে তিনি ঢাকার ডেপুটি কমিশনারকে তা জানিয়ে সেমতে প্রকাশকের নাম পরিবর্তন করার অনুরোধ করে চিঠি দেন ২০০৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর। অতঃপর তিনি ৫ নভেম্বর ২০০৯ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের কাছ থেকে একটি চিঠির অনুলিপি পান, যা তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে পাঠানো হয়েছিল। এই চিঠিটি ঢাকার জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠিয়েছেন ওই অধিদপ্তরের উপপরিচালক (নিবন্ধন) মাসুদা খাতুন 'জেপ্রঢা/প্রকাঃ/২০০৯/৬৬৮ (সং), তারিখ : ১২-১০-২০০৯'_এই সূত্র ধরে। এই পত্রে সরকারের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকার জেলা প্রশাসককে জানাচ্ছে "...ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক 'আমার দেশ' পত্রিকাটির প্রকাশক জনাব আলহাজ মোঃ হাসমত আলী-এর পরিবর্তে জনাব মাহমুদুর রহমানের নাম প্রতিস্থাপন করার অনুমোদন দেয়া যেতে পারে।' কিন্তু ঢাকার জেলা প্রশাসক তা সত্ত্বেও সেই নভেম্বর মাস থেকেই জনাব মাহমুদুর রহমানের আবেদনে সাড়া দিলেন না। সরকারের মতামত জানার পরও তিনি সাত মাস নির্লিপ্ততা ও নিঃশব্দতা অবলম্বন করলেন! যখন উঠে বসলেন, তখন যেন হুংকার দিলেন, 'না, মাহমুদুর রহমান প্রকাশক পদে গ্রহণযোগ্য নন, কাজেই তাঁর আবেদন খারিজ করা হলো।' একই সঙ্গে তিনি আমার দেশ পত্রিকার প্রকাশক পদ থেকে জনাব হাসমত আলীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে এই মুহূর্তে পত্রিকাটির কোনো প্রকাশক নেই ঘোষণা করে তার প্রকাশনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দিলেন। এখানে তিনটি প্রশ্ন ওঠে : ১. সরকারের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের চিঠির মূল্য তাহলে কী; ২. জনাব মাহমুদুর রহমানের আবেদন পাওয়ার পর ৯ মাস ঢাকার ডেপুটি কমিশনার নীরব ও নিশ্চল হয়ে থাকলেন কেন এবং ৩. মাহমুদুর রহমান প্রকাশক হওয়ার আবেদন করেছিলেন আমার দেশ পাবলিকেশন্স লিমিটেডের বোর্ড অব ডিরেক্টরসের সিদ্ধান্তক্রমে অর্থাৎ কম্পানির পক্ষে, সে ক্ষেত্রে ডেপুটি কমিশনার তথা সরকার যদি তাঁকে প্রকাশক হওয়ার যোগ্য মনে না করেন, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই সরকারের কর্তব্য ছিল ওই কম্পানির কাছে বিকল্প নাম চাওয়া। কেন সরকার আমার দেশ পাবলিকেশন্স লিমিটেডকে সেই সুযোগ দিল না?
এখন বলুন “বের করলাম কী ... ফালাইতে পারে দেখি” কি সত্যি?
সরকার যে উদ্দেশ্যমূলকভাবেই পত্রিকাটি বন্ধ করে দিয়েছে-এখানে আপনি যুক্তিহীন কথা কোথায় পেলেন।হাসমত আলীতো আর নিজে গিয়ে মামলা করেননি। তাকে সরকার পক্ষ বাধ্য করেছে। এনএসআই কর্তৃক তাকে তুলে নিয়ে যাবার ঘটনার কোন ব্যাখ্যাইতো সরকার দিলো না।
আমার কাছেও।
কিন্তু শুধুমাত্র তার কারণে আমি একটি পত্রিকা বন্ধের পক্ষপাতি নই।
শুধু আমি আপনি নই, সরকারো নিশ্চয়ই তাই পায়। ব্যক্তিবিশেষ মামলা করেছে কিন্তু সরকার শুরু থেকে এ পর্যন্ত এ বানোয়াট খবর প্রচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি কেনো?
এ বিষয়ে আমি দেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক আতাউস সামাদের একটি বক্তব্য কোট করতে চাই--
আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ এবং এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করতে সরকার যা যা করেছে, তার সবই প্রশ্নবিদ্ধ। আমার দৃষ্টিতে কিছু বেআইনি কাজও হয়েছে। ওই পত্রিকার সাবেক মালিকদের মধ্যে একজন হাসমত আলী থানায় মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করার আগে সেই দিনই (গত মঙ্গলবার) এনএসআইয়ের লোকজন তাঁকে বাসা থেকে এনএসআই অফিসে নিয়ে গেল কেন? (তথ্যসূত্র : সাংবাদিকদের কাছে হাসমত আলীর পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য)। হাসমত আলীর অভিযোগ পেয়ে একদল পুলিশ মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করতে আমার দেশ অফিসে ছুুটে গেল, কিন্তু তারা কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বা পত্রিকা বন্ধ করার কোনো লিখিত নির্দেশ দেখাল না কেন? আর সে জন্যই ওই হানা ও গ্রেপ্তার জনগণের চোখে বেআইনি প্রতীয়মান হয়েছে। জনমনে এ প্রশ্নও জেগেছে, রোজ যারা চাপাতি ঘোরাচ্ছে আর টেন্ডার ছিনতাই করছে, পুলিশকে সেসব দুর্বৃত্ত ধরতে তো আগে এমন তৎপর দেখা যায় না। একই রকমভাবে আমার দেশ পত্রিকার ছাপাখানা বন্ধ করার জন্য।
যে পুলিশ বাহিনী গিয়েছিল, তারাও প্রেসে উপস্থিত কর্মকর্তাদের কোনো লিখিত সরকারি হুকুম দেখায়নি!
মূর্তালা রামাত
আমার দেশ বন্ধ করে সরকার বড় একটা ভুল করলো। সরকারের উচিৎ ছিল আমার দেশকে বলা যেন তারা মাহমুদুর রহমান বজ্জাতটাকে সরিয়ে দিয়ে একজন পেশাদার সাংবাদিককে সম্পাদক হিসাবে বসায়।
আর মাহমুদুর রহমানকে সরানোর পরে তাকে ধরে শাপ-মারা পিটুনি দেওয়া উচিৎ ছিল। এই বজ্জাতটার জন্য একফোঁটাও সমবেদনা নাই। উত্তরা কন্সপিরেসির কথা এখনও ভুলি নাই। একটা ভিডিও দিলাম, দেখুন আর বুঝুন কি পরিমান নোংরা এই লোকাটা। ভিডিও এর ৩-৪ মিঃ এবং ৬-৮ মিঃ দেখলেই বুঝতে পারবেন।
http://www.youtube.com/watch?v=tGacAW6UzKU
/----------------------------------------------------
ওইখানে আমিও আছি, যেইখানে সূর্য উদয়
প্রিয়দেশ, পাল্টে দেবো, তুমি আর আমি বোধহয়
কমরেড, তৈরি থেকো,গায়ে মাখো আলতা বরণ
আমি তুমি, আমি তুমি, এভাবেই লক্ষ চরণ।।
/----------------------------------------------------
ওইখানে আমিও আছি, যেইখানে সূর্য উদয়
প্রিয়দেশ, পাল্টে দেবো, তুমি আর আমি বোধহয়
কমরেড, তৈরি থেকো,গায়ে মাখো আলতা বরণ
আমি তুমি, আমি তুমি, এভাবেই লক্ষ চরণ।।
বাকশালরাই কেবল মাত্র সাংবাদিকতার ওপর হস্তক্ষেপ করতে পারে।
হ আপনার কথা ২০০ ভাগ সঠিক
এইটা দেখেন মজা পাইবেন
...........................
Every Picture Tells a Story
জিয়াউর রহমান বাকশালের সদস্য ছিলেন জানেন তো? জোর করে সদস্য হয়েছিলেন, বারবার তদবির করে। সেনা বাহিনীর কারো সদস্য হওয়ার নিয়ম ছিল না, তার বারংবার তদবিরে বাধ্য হয়ে সংবিধান সংশোধন করে তারপর তাকে সদস্য করা হয়েছিল।
.........
আমাদের দূর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
নতুন মন্তব্য করুন