একজন হাসমত আলীর নিঃস্বার্থ ভালোবাসা এবং গণমানুষের আওয়ামী লীগ

মূর্তালা রামাত এর ছবি
লিখেছেন মূর্তালা রামাত (তারিখ: শুক্র, ০৪/০৬/২০১০ - ১:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দৈনিক কালের কণ্ঠে বিরল ভালোবাসা শিরোনামে খবরটা বেরিয়েছিল।খবরটা ছিল ময়মনসিংহের গফরগায়েঁর দরিদ্র রিক্সা চালক হাসমত আলী এবং আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে।হাসমত আলী ছিলেন বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগের অন্ধভক্ত।বঙ্গবন্ধু মারা যাবার পর তাঁর এতিম মেয়ে শেখ হাসিনার কী হবে এ চিন্তায় হাসমত আলী অস্থির হয়ে পড়েন।তিনি শেখ হাসিনাকে নিজের মেয়ে আখ্যা দিয়ে তার জন্য সবসময় দোয়া করতেন। এ মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তিনি তার কষ্টের টাকা জমিয়ে গফরগাঁয়ে শেখ হাসিনার নামে একখণ্ড জমি কেনেন।তিনি বিনা চিকিৎসায় ধুকেঁছেন তারপরও জমিটি বিক্রি করতে দেননি।শেখ হাসিনার নামে কেনা জমিটি বিক্রি করে চিকিৎসার কথা বললে হাসমত উত্তেজিত হয়ে স্ত্রীকে বলতেন, 'আমি মইরা গেলে মইরা যামু। তুই ভুলেও ওই জায়গা বেচার কথা মুখে আনবি না। ওই জমি আমার মাইয়ার জন্য রাখছি।' শেখ হাসিনার নামে জমিটি কেনায় হাসমত আলীর মৃত্যুর পর তার পরিবারের সদস্যরাও জমিটি ভোগদখল করতে পারেননি।হাসমত আলীর অসুস্থ স্ত্রী এখন শ্যামলীর এক বস্তিতে থাকেন, ভিক্ষা করে পেট চালান।

আজকের খবরে প্রকাশ, রিপোর্টটি পড়ে আবেগাপ্লুত শেখ হাসিনা হাসমত আলীর স্ত্রীকে কাছে টেনে নিয়ে তার চিকিৎসা এবং ভরনপোষনের যাবতীয় দায়্ত্বি নিয়েছেন।তিনি বলেছেন হাসমত আলীর মতো সমর্থকদের দোয়াতেই তিনি গ্রেনেড হামলা থেকে বেঁচে গিয়েছেন, তার মতো সমর্থকদের সমর্থন আছে বলেই আওয়ামী লীগ হাজার ঝড় ঝাপটার পরও এখনো শক্তিশালী রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে আছে; গণমানুষের ভালোবাসাই আওয়ামী লীগকে বাঁচিয়ে রেখেছে।

তাঁর কথার সাথে আমি একমত।হাসমত আলীর মতো গণমানুষেরাই আওয়ামী লীগের চালিকা শক্তি। বিপুল আকাঙ্খা নিয়ে তারা বারবার দলটিকে ভোট দেয়।এবারও দিয়েছে। কিন্তু তাদের এই প্রত্যাশা পূরণ করতে আওয়ামী লীগ কি অদ্যাবধি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পেরেছে?মতিয়া চৌধুরীর মতো দু একজন বাদে আওয়ামী লীগের নেতারা কখনো কি আমজনতার মতামতকে গুরুত্ব দেয়ার চেষ্টা করেছেন? করেননি বলেই আমার ধারণা। যে কারনে ক্ষমতার স্বাদ পাবার সাথে সাথেই সবাই বাঘ হয়ে যে যার আখের গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।টেন্ডারবাজি, চাদাবাজি, দখলবাজি, লুটতরাজে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগার, ছাত্রলীগারদের কাছে আমজনতা এখন অসহায়।তার উপর শুরু হয়েছে গুপ্তহত্যা,কৌশলে গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ যা গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে প্রত্যাশিত ছিলো না।ফলে মাত্র দুবছরের মাথায়ই এ সরকারের জনপ্রিয়তার পারদ নেমে গেছে অনেক নিচে।

হাসমত আলীর মতো নিঃস্বার্থ সমর্থক গোষ্ঠী থাকার পরও আওয়ামী লীগের এ অবস্থা কেন? উত্তর খুঁজতে খুব বেশিদূর যেতে হয় না। বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগ সবসময় হাসমত আলীদের কাতারেই থাকে, আন্দোলন সংগ্রামে হাসমত আলীরাই আওয়ামী লীগকে বেগবান করে রাখে, ভোট দিয়ে তারা তাদের প্রিয় দলটিকে জিতিয়েও নিয়ে আসে। তারপর সরকারি আওয়ামী লীগ হয়ে যায় সালমান এফ রহমানের মতো কতিপয় সুবিধাবাদীদের দল। বিএনপির সাথে তখন তাদের আর চরিত্রগত কোন পার্থক্য থাকেনা।এর ফল কিন্তু হাসমত আলীদেরকেই ভোগ করতে হয়;আওয়ামী লীগ যখন ডোবে তখন পুরো দেশ নিয়েই ডোবে।

বাংলাদেশ এখন পুরো দুইভাগে বিভক্ত- এক পক্ষ স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার চায় অন্য পক্ষ চায় না। আমরা যারা স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার চাই তারা জানি জামাত আছর করা বিএনপি কখনোই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে রাজি হবে না।মানা হোক আর নাই মানা হোক নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালোর যুক্তিতে আওয়ামী লীগই এক্ষেত্রে একমাত্র ভরসা। এবং মানুষের এই ভরসার প্রতিদান দেয়ার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের নিজেকেই নিতে হবে। এই সত্যটুকু যদি সময় থাকতে আওয়ামী লীগের নেতারা না বোঝেন তবে হাসমত আলীর মতো নিংস্বার্থ সমর্থকের সংখ্যা দিনে দিনে কমতেই থাকবে যা প্রকারন্তরে স্বাধীনতা বিরোধীদের হাতকেই শক্তিশালী করে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মতো অস্তিত্বের সঙ্কটে ঠেলে দেবে।

আমরা খুব আশ্বস্ত হবো যদি শেখ হাসিনা তার দলের নেতৃস্থানীয়দের হাসমত আলীর মতো তৃণমূলের লোকজনের মতামতের খোঁজ রাখার নির্দেশ দেন, কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আমজনতার মনের কথাটা জেনে নেন। হাসমত আলী তথা আমজনতাকে যতো বেশি মূল্যায়ন করা যাবে সরকার ততোবেশি জনপ্রিয় হবে, আওয়ামী লীগ ততো বেশি শক্তিশালী হবে। আর বাংলাদেশের ভবিষ্যত নির্ধারণী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে এ মুহূর্তে গণমানুষ সমর্থিত আওয়ামী লীগের কোন বিকল্প নেই।

৪/৬/১০
সিডনি, অস্ট্রেলিয়া।


মন্তব্য

রাকিব হাসনাত সুমন এর ছবি

হাসমত আলীরা ক্ষমতায় আনে আর দলের টাউট বাটপার নেতা আর আত্মীয় স্বজন লীগের সদস্যরা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি এবং দুর্নীতি করে দলকে ৫৮ সিটের বিরোধী দল বানায় আর নেত্রীকে জেলে পাঠায়। এ স্বজনলীগের সদস্যদের কারনে নীতিবানদের মন্ত্রীত্বও ছাড়তে হয় কিংবা আপোষ কর্ই মন্ত্রীত্ব টিকিয়ে রাখতে হয়।

শ্রদ্ধা হাসমত আলীকে বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার অসীম মমতাপূর্ণ আবেগ আর ভালবাসার জন্য এবং কৃতজ্ঞতা শেখ হাসিনাকে অন্তত প্রয়াত মানুষটির স্ত্রীকে মাতৃসম শ্রদ্ধায় কাছে টেনে নেয়ার জন্য।

পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করতে চাই দল ক্ষমতায় আসার পর যারা অর্থবিত্তের মালিক হয়েছে তাদের ঘাড় ধরে দল থেকে বের করে দিয়ে সারাদেশের হাসমত আলী আর রমিজা খাতুনদের ভালোবাসার মর্যাদা রক্ষার জন্য।

মূর্তালা রামাত এর ছবি

মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

মূর্তালা রামাত

অতিথি লেখক এর ছবি

এরকম ভাবে দেশ চলতে থাকলে আওয়ামী লীগ আর কোন হাসমত আলীকে কোন দিন চোখে দেখবে না।তাই আওয়ামী লীগের প্রতি আহ্বান, সময় থাকতেই নিজেদের শুধরে নিন।
লেখাটা পড়ে ভাল লাগল।
>>>আইজুদ্দিন<<<

মূর্তালা রামাত এর ছবি

ধন্যবাদ।

মূর্তালা রামাত

অতিথি লেখক এর ছবি

মর্তালা ভাই সুন্দর একটা লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আমার একটা প্রশ্ন আছে-
হাসমত আলী জমি টা হাসিনার নামে কবে ক্রয় করেছিলো?
এতোদিন পর কেন হাসিনা এই খবরটি পেলেন?
আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা কেন তাঁর খোঁজ নিলেন না?
আরো অনেক প্রশ্ন মনে জাগে বললাম না।

এক হাসমত আলীর বিধবা বউকে বুকে টেনে নিয়েই কি গণমানুষের দল হয়ে গেলো? আমি এটাকে হাসিনার প্রতি হাসমত আলীর দুর্বার ভলোবাসার প্রতিদান বলতে চাই। তবে এই ক্ষেত্রে এটাও বলতে চাই হাসিনা কৃতজ্ঞতা জানাতে দেরী করে ফেলেছেন। হাসমত আলী যদি নীরবে হাসিনাকে ভালোবেসে জায়গা কিনে রেখে দিতে পারে, তাহলে হাসিনা কেন নীরবে সাহায্য করলেন না?

হাসিনা নীরবে করবেন না,কারণ এটা তাঁর রাজনীতি, এইটা দেখিয়ে নিজে গণমানুষের নেত্রী বনে যাবেন, আরেকবার ক্ষমতা আসার পথ বানাবেন? আপনি এটাকে মহানুভবতা বলতে পারেন, আমি বলব "দায় পরিশোধ, লোক দেখানো ভালোবাসা।"

ভালোবাসা সব সময় নিঃস্বার্থ হওয়া উচিত। উনি হাসমত আলীর বউয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন কারণ এখানে ওনার স্বার্থ জরিত। এমন অনেক মানুষ বস্তিতে বাস করে,ওনাদের বারবার ভোট দেয়, কই অন্য কাউকেতো বুকে টেনে নিলেন না।

ক্ষমতায় যাওয়ার আগে হাসিনার বক্তব্য গুলো শুনেন আর এখনকার বক্তব্য গুলো শুনেন, পার্থক্য ধরতে পারবেন।

কিছু মনে কইরেন না, আওয়ামী লীগ সবসময় কথায় পটু, সাহিত্যে তাদের অসাধারণ দখল, মুখের মিষ্টি ভাষা দিয়ে মানুষকে বারবার বিভ্রান্ত করে। ওনারা এই টার্মে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ করবেন না, এটা ঝুলিয়ে রাখবেন, আরেক বার ক্ষমতায় আসার ফন্দী ফিকির আটবেন, জনগণের কাছে বলবেন-"যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য আমাদের আরেকবার ভোট দিন, অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে হবে।" আমরা আবার বিশ্বাস নিয়ে ভোট দিবো, তারা আবার ক্ষমতায় আসবেন, আবার ওনার পেয়ারের ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আহাদ আলীর ছেলের মত অন্য কারো ছেলে মানুষ গুলি করে মারবেন।

আমাদের স্বপ্ন ধূসর হয়ে যাবে, আঁধারে হারিয়ে যাবে। এই আপনি আবার সচলায়তনে কীবোর্ড চালাবেন। অনেক সাহিত্য নির্ভর, হৃদয়স্পর্শী লেখা লিখবেন, হয়তো হাসিনা আবার নতুন কোন হাসমত আলী খোঁজে বের করবেন, বাহবা নিবেন। হাসিনার কান্না মাখা চেহারাটা ক্যামেরার ফ্ল্যাশ লাইটে ঝলঝল করে উঠবে। ওনার চামচারা হাত তালি দিবে। সভাসমাবেশে জ্বালাময়ী ভাষণ দেবে। মানুষ পত্রিকা দেখে তার মহানুভবতা দেখে চোখের জল মুছবেন।

সব রাজনৈতিক আবহ, মানুষের ভালোবাসা পাওয়ার সস্তা কৌশল। উপকার করতে হলে, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হলে ক্যামেরা নিয়ে কেন? নীরবে করা যায় না?

ধন্যবাদ।

=========
কামরুজ্জামান স্বাধীন

বদের হাড্ডি এর ছবি

থাম্বস আপ, সুন্দর একটা কমেন্টের জন্য। আসলে এখনকার সবকিছুতেই লোক দেখানোর ব্যাপারটা চলে এসেছে। গতকাল একটা ঘটনা শুনে স্তম্ভিত হয়ে গেছিলাম।

আমার এক বন্ধু ফুটবল বা কোন একটা খেলা খেলতে গিয়ে হাতের কব্জি থেকে কনুই পর্যন্ত কেটে ফেলেছে। সে তাড়াতাড়ি বাসায় গিয়ে টপটপ করে পড়তে থাকা রক্ত বন্ধ করার চেষ্টাটা আগে না করে আলমারী থেকে তার ডিজিটাল ক্যামেরাটা বের করে সেই কাটা হাতের ছবি তোলে। কারণ, ফেসবুকে দেবে। আন্টির কাছ থেকে আমি ঘটনাটা শুনে পুরাই টাশকি খাইছিলাম।

আবার আটরশি/জাকের পার্টি ওয়ালারা ওয়াজ করে ভাল কথা, বিশাল মাইকে সারারাত প্যাঁ প্যাঁ করে লোকজনের ঘুমের বারোটা বাজাবে। আসলে সবাইকে জানাতে হবে তো যে আমি বিশাল আলেম।

অপ্রাসঙ্গিক মনে হলেও দুটি ঘটনা শেয়ার করে এটাই বোঝাতে চাইলাম যে, আসলে সবই আইওয়াশ।

মূর্তালা রামাত এর ছবি

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার বক্তব্যের সাথে আমি একমত নই। হাসমত আলীর একা নয় তার মতো হাজার হাজার সমর্থক আছে বলেই দলটি এতাদিন টিকে আছে। গণমানুষের দল না হলে কোন সলাজনৈতিক সংগঠনই যুগ যুগ টিকে থাকে না । আর তাই যদি না হতো তবে মুসলিম লীগ একনো শক্তিশালী দল হিসেবেই টিকে থাকতো।

মিডিয়ার গোচরে যাবার পর কোনকিছূই আর নিরবে করা সম্ভব নয় বলেই আমার ধারনা। হাসিনা কিন্তু হাসমত আলীর কাহিনী খুজেঁ কালের কণ্ঠকে বলেন নি রিপোর্ট করো। কালের কণ্ঠের মাধ্যমে ঘটনাটি জেনে তিনি তার করণীয় করেছেন। তিনি যা করেছেন তা না করলে আমরাই আবার তাকে অকৃতজ্ঞ বলতাম। আর বর্তমান যুগ হলো মার্কেটিং এর যুগ। এইতো সেদিন বারাক ওবামা আমেরিকায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন। কারণ তিনি জনগণের বিপদের সময়ে তাদের পাশে দাড়িয়ে ক্যামেরার সামনে বক্তব্য দেন না। এ কাজটি বুশ করতেন। সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে বুশ জনগণের পাশে গিয়ে দাড়াতেন আর ওবামা জনগণকে ফিল করতে চান না।
অতএব হাসিনা যদি লোক দেখানো জন্যও এটি করে থাকেন, তবে তিনি সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন।

কথার পার্থক্য করা আমাদের দেশের রাজনৈতিকদের ধর্ম। শুধু শুধু আোয়ামী লীগকে দোষ দেয়ার কোন মানে হয় না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যদি তারা ঝুলিয়েও রাখে তবুও তারা কিন্তু বিচার শুরু করার ক্রেডিটটা পাবে। যেটা বিএনপি নিতে পারত বৈকি। বিএনপি বিচার শুরু করলে বা বিচার সমর্থন করলে তার জনপ্রিয়তা বাড়ত বৈ কমতো না।

আর হ্যা সবই জনপ্রিয়তা পাবার সস্তা কৌশলই বটে। পুজিবাদের দুনিয়ায় অমরা সবাই বরাবরই জনপ্রিয়তার পেছনেই ছুটি। যতোদিন আমরা না বদলাবো ততোদিন আওয়ামী লীগ, বিএনপি যেই ক্ষমতায় আসুক না কেন দেশ বদলাবে না, বদলাবেনা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির ধরণও।

মূর্তালা রামাত

অতিথি লেখক এর ছবি

যেই যায় লঙ্কায়... সেই হয় রাবন!!!

---থাবা বাবা!

অতিথি লেখক এর ছবি

৮০ দশকে যখন শেখ হাসিনার হত্যার উদ্দেশ্যে উপর লাল দীঘির মাঠের জনসভায় পুলিশ বৃষ্টির মতো গুলি বর্ষণ করছিল তখন হাসমতের মতো ত্যাগি কর্মিরাই নেত্রীকে বাঁচানোর জন্য পুলিশের বন্দুকের মুখে নিজেকে মেলে ধরে ২১ আগস্টেও আমরা দেখেছি কীভাবে শেখ হাসিনাকে বাঁচানোর লক্ষ্যে নিরস্ত্র কর্মিরা তাকে ঘিরে গরে তুলেছিল প্রতিরক্ষার ব্যূহ, আশা করি শেখ হাসিনা চাটুকারদের বাদ দিয়ে এসব ত্যাগি কর্মিদের মূল্যায়ন করবেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, পেপারে না দিলে এই ঘটনাও ঘটতো না। আপসোসের বিষয় পেপারে না আসলে এসব কারোই চোখে পড়ে না।
আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি না লিখলে আমিও হয়তো দেখতাম না।

পলাশ রঞ্জন সান্যাল

টুটুল বরকত  এর ছবি

"তারপর সরকারি আওয়ামী লীগ হয়ে যায় সালমান এফ রহমানের মতো কতিপয় সুবিধাবাদীদের দল।"

এই লাইনটা পুরো লেখার সেরা লাইন ।

সারোয়ার [অতিথি] এর ছবি

"আবেগাপ্লুত শেখ হাসিনা হাসমত আলীর স্ত্রীকে কাছে টেনে নিয়ে তার চিকিৎসা এবং ভরনপোষনের যাবতীয় দায়্ত্বি নিয়েছেন।"
'আমার ফাঁসি চাই' বই অনুসারে প্রধানমন্তী হাসমত আলীর স্ত্রীকে কাছে টেনে নিয়েছেন ঠিকই কিন্তূ পরে হাত ধুয়ে নিয়েছেন। নেতাদের চরিত্র জানার জন্য 'আমার ফাঁসি চাই' বইটা পডা উচিত।

হাসমত আলীর প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, দেশে সুবিধাবাদীর সংখ্যা এতোবেশী যে তারা সবাই যদি এক একজন হাসমত আলী হয়ে উঠে তাহলে প্রধানমন্তী এতো হাসমত আলী'র ফ্যামিলির চিকিৎসা এবং ভরনপোষনের যাবতীয় দায়্ত্বি কিভাবে সামলাবেন ?

আগের নেতারা অভাবী ছিলেন, এখন অভাব থাকলে নেতা হওয়া যায় না।
নেতা হতে গেলে প্রথমে পোস্টারিং করতে হয়। তাতে অনেক টাকা লাগে।
আর এখন তো নেতাই হয় ধনী হওয়ার জন্য।
তাই তো চারিদিকে নেতা হওয়ার প্রতিযোগিতা।
তাই ভবিষ্যতে কারো প্রকৃত হাসমত আলী হওয়ার চিন্তাও করা উচিত না।

আগ্রহী [অতিথি] এর ছবি

প্রত্যেকের "আমার ফাসি চাই" বইটা পড়া উচিত। সাপ আওয়ামী লীগ থেকে ভাল । যদিও ১০ টাকার চাল দিয়ে আমরা প্রতিদিন ভাত খাই। !!!!!!!!!

আগ্রহী
অতিথি লেখক।

ময়না মিয়া [অতিথি] এর ছবি

সংসারে যে যত কম দেয়, সে আওয়াজ করে তত বেশি

এক মন্তব্যকারী উদ্বৃত করেছিলেন ই-মেলা মেসেজ বোর্ডে অনেক আগে, আমার এখনো মনে আছে। তাই বলার চেষ্টা করছি।
ছোটবেলা দুপুরের ভাত খাওয়ার সময় মা কখনো জগ হাতে ধরিয়ে বলতেন যা চাপ কল থেকে ঠাণ্ডা পানি নিয়ে আয়। উত্তরে বলতাম- আমি প্রতিদিন পানি আনি, তুমি আর কাউকে বলো না, শুধুই আমাকে..। এই আনতে গেলাম, আমাকে ভাত মুখে তুলে দিতে হবে। একদিন মা বিরক্ত হয়ে বললেন, এই যে দেখ আমাদের গাভীটা, প্রতিদিন সেরে-সেরে দুধ দেয় বছরের প্রায় আট মাস। কোনদিন মুখ ফুটে রা করে না। কিন্তু মুরগীর কাণ্ড দেখ- একটি মাত্র ডিম দেয়, তাও ৩৬৫ দিনে ৮০-৯০টি। কিন্তু ডিম পেড়েই কক-কক শব্দে পাড়াশুদ্ধ লোকদের জানান দেয়।
আসলে বড় হয়ে বুঝতে পারছি- একজগ পানি আনার জন্য নিজে কতটা বাগাড়ম্বর করতাম, কিন্তু মা যে আমার তিন বেলা ১০-১২টি লোকের আহার যোগানোর হাড়ভাঙ্গা খাটুনি করে যেতেন, সে জন্য কোনদিন কোন অভিযোগ তুলেননি।
হাসমত আলী নীরবেই দিয়ে গেল। কিন্তু মুরগীটির কক-কক শব্দে পাড়া মাতোয়ারা। এ ধরনের ন্যাকামো বাঙালীরে হাইকোর্ট দেখানো নয় কি ?

zic2010@yahoo.com

mecha এর ছবি

সব রাজনৈতিক আবহ, মানুষের ভালোবাসা পাওয়ার সস্তা কৌশল। উপকার করতে হলে, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হলে ক্যামেরা নিয়ে কেন? নীরবে করা যায় না?

আলমগীর এর ছবি

আপনার স্পিরিটটা ভাল লাগলো। বহু অতিথি দেখি আপনার মন্ত্রমুগ্ধ পাঠক চোখ টিপি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

সেরা মন্তব্য কিন্তু আমাদের স্বাধীন ভাইয়েরটাই চোখ টিপি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।