মহিউদ্দিন চৌধুরীর পরাজয়: জনতার পজিটিভ রায় এবং ইতিবাচক সরকার

মূর্তালা রামাত এর ছবি
লিখেছেন মূর্তালা রামাত (তারিখ: শনি, ১৯/০৬/২০১০ - ১:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

টানা ১৭ বছর মেয়র থাকার পর অবশেষে নির্বাচনে হারলেন এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। বেসরকারীভাবে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী বিজয়ী প্রার্থী মনজুর আলমের সাথে তার ভোটের ব্যাবধান প্রায় ১ লাখ।চট্টগ্রামে অসম্ভব জনপ্রিয় মহিউদ্দিন এতো ভোটের ব্যবধানে হারবেন তা অনেকেই বোধ হয় কল্পনাও করেননি। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে তার এ পরাজয় অবিশম্ভাবী ছিল।

১৯৯৫ সালে তিনি যখন প্রথমবারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন তখন তার ভোট ছিল ৪৪‌‌,২৬%। ২০০৫ সালে তৃতীয়বার মেয়র নির্বাচিত হবার সময় তার এ সমর্থন বেড়ে দাঁড়ায় ৫৫,২৫%। ১৯৯৫ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত আমি চট্টগ্রামে ছিলাম। সেই সুবাদে তখন মহিউদ্দিনের রাজনৈতিক ক্যারিশমা খুব কাছ আমি দেখেছি। এই সময়টাতে মহিউদ্দিন চট্টগ্রামের গণমানুষের নেতা হয়ে ওঠেন। সমাজের প্রতিটি স্তরের লোকজনের সাথে আন্তরিক ওঠাবসায় তার কোন জুড়ি ছিল না।পূর্ববর্তী মেয়র মীর নাসিরউদ্দীনের ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে চট্টগ্রামকে বের করে আনার ক্ষেত্রে তিনি আন্তরিকভাবে উদ্যোগী ছিলেন। কখনো কখনো তিনি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে তিনি চট্টলার উন্নতির কথা বলতেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সেবাকে তিনি তখন আক্ষরিক অর্থেই চট্টলাবাসীর দোরগোড়ায় পৌছে দিতে সচেষ্ট ছিলেন। যার ফলে দলমত সকলের কাছে তিনি ছিলেন একজন শ্রদ্ধেয় এবং জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব।তাই ২০০৫ সালে তৃতীয়বার নির্বাচিত হতে তাকে কোন বেগ পেতে হয়নি।

চট্টগ্রামে প্রচলিত ছিল মহিউদ্দিন যতোদিন জীবিত ততোদিন তিনি ছাড়া আর কেউই মেয়র হতে পারবেন না। কিন্তু সে ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করে দিলেন রাজনীতির বড় মাঠে একেবারেই নতুন, মহিউদ্দিনের দীর্ঘদিনের সতীর্থ মনজুর আলম। কীভাবে এটা সম্ভব হলো? অনেকের কাছে এটা অবিশ্বাস্য মনে হলেও যারা ২০০৫ পরবর্তী মেয়র মহিউদ্দিনের খোঁজখবর রেখেছেন তারা জানেন জনপ্রিয়তার চূড়ো থেকে সাধারণ মাটিতে মহিউদ্দিন নিজেই নিজেকে নামিয়েছেন।

তৃতীয়বার বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হবার পর থেকেই তিনি ধরাকে সরা জ্ঞান করতে থাকেন। জনতার দাবীকে পাত্তা না দিয়ে তিনি সিটি কর্পোরেশনকে উত্তোরত্তোর বাণিজ্যিক করে তুলতে থাকেন। এখানে মার্কেট,ওখানে সিএনজি স্টেশন, সেখানে অ্যাপার্টমেন্ট করে তিনি অপরিকল্পিতভাবে চট্টগ্রামকে যেমন খুশি তেমন বানাতে থাকেন। এমনকি খাল দখল করেও তিনি সিটি কর্পোরেশনের দোকান করেছেন, স্কুল ভেঙ্গে শপিং মল বানাতে গিয়েছেন, সঙখ্যালঘুদের জমি কর্পোরেশনের দখলে আনতে গিয়েছেন,রাস্তায় প্রয়োজনের বেশি গাড়ি নামিয়ে শহরে বাড়িয়েছেন যানযট-এভাবে ক্রমশ জনগণের কাছ থেকে তিনি দূরে সরে গিয়েছেন।তার কাজের সমালোচনা করায় তিনি ওয়ার্ড কমিশনারদের বিভিন্নভাবে হেয় করেছেন।নিজের দলের লোকজনেও তিনি নানাভাবে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন। তার একক আধিপত্যের জেরে চট্টগ্রাম আওয়ামীলীগ থেকে তরুণ কোন নেতা উঠে আসবার সুযোগ পাননি।২০০৮ এর সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রায় প্রকাশ্যেই দলীয় প্রার্থীদের বিপক্ষে কাজ করেন।

আর এভাবেই একদা চট্টলাবাসীর সুখেদুখের সংগ্রামী নেতা, মেয়র হিসেবে একটানা ১৭ বছর কাজ করে ক্রমশ একজন স্বৈরাচারী অজনপ্রিয় ব্যক্তিতে পরিণত হন।এর পাশাপাশি জামাতের সাথে তার অতিরিক্ত দহরম মহরম এবং সাকা চৌধুরীর মতো কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীদের সাথে ক্রমাগত ওঠবস তাকে নতুন প্রজন্মের কাছে করে তোলে অগ্রহণযোগ্য। এর সাথে যোগ হয় সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ। আর এসবকিছুর যোগফলই হলো প্রবল প্রতাপশালী একজন মহিউদ্দিন চৌধুরীর পতন।

আমি মনে করি জনতা তার ব্যাপারে যে রায় দিয়েছে তা অত্যন্ত পজিটিভ। চতুর্থবার নির্বাচিত হলে মহিউদ্দিন চৌধুরী আরো স্বৈরতান্ত্রিক হয়ে পড়তেন এতে কোন সন্দেহ নেই। এবং তা তার সমস্ত ভালো কাজের যেটুকু ক্রেডিট বিদ্যমান আছে সেটিও তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতো।বলা চলে জনতার এ রায় মহিউদ্দিনকে চূড়ান্ত পচনের হাত থেকে রক্ষা করেছে। এ পরাজয়ের ফলে তিনি ক্ষমতার বাইরে থেকে অতীতের ভুলগুলো বিশ্লেষণ করে চট্টগ্রামের উন্নতি নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় ও সুযোগ পাবেন যা তাকে পুনরায় চট্টগ্রামেরে উন্নতির আইকন হিসেবে কিংবদন্তীতুল্য হতে সাহায্য করবে; চট্টগ্রামের মানুষ সেটাই চায়।

আর জনতার এই রায়কে মেনে নিয়ে সরকার যে ইতিবাচক মনোভাবের পরিচয় দিয়েছে তা অবশ্যই ধন্যবাদ পাবার যোগ্য।এই নির্বাচন থেকে তাদেরও হিসাব নিকেশ করার প্রয়োজন আছে।মানুষ কেন তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে পুণরায় জামাত-বিএনপি জোটের ওপর ঝুঁকছে তা এখন থেকেই সিরিয়াসভাবে ভাবা প্রয়োজন। মহিউদ্দিন চৌধুরীর মতো শক্তিশালী প্রার্থীর পরাজয় তাদের জন্য অশনী সংকেতই বটে। জনগনের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে জনগনও তাকে ফিরিয়ে দিতে দ্বিধাবোধ করে না এই চিরন্তন সত্যটাই সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনের একমাত্র শিক্ষা; আশা করি আমাদের দেশের রাজনীতির ক্ষমতাবান মানুষগুলো সদ্য সমাপ্ত মেয়র নির্বাচনের এ শিক্ষায় অবারো শিক্ষিত হবেন।

১৯/০৬/১০
সিডনি, অস্ট্রেলিয়া।


মন্তব্য

লাল-মডু এর ছবি

প্রিয় মূর্তালা রামাত,
আপনার ব্লগে সুত্র উল্লেখ না করেই শিশিরের একটি কার্টুন ব্যবহার করেছেন। কপিরাইটেড ম্যাটেরিয়াল প্রকাশের ব্যাপারে সচলায়তনে একটু সর্তকতা কাম্য। যেহেতু সচলায়তনে প্রচুর অরিজিনাল লেখা, ছবি, অডিও এবং ভিডিও প্রকাশিত হয় মেধাসত্ত্বের সংরক্ষণের প্রশ্নে তাই আমাদের এই অবস্থান। কপিরাইটেড ম্যাটেরিয়াল প্রকাশের ক্ষেত্রে অনুগ্রহ করে নীচের তিনটি বিষয় মনে রাখবেন:

১। ম্যাটেরিয়ালে সোর্স উল্লেখ করুন এবং সত্ত্বাধীকারীকে প্রাপ্য সম্মান দিন।

২। সচলায়তনের সার্ভারে কপিরাইটেড ম্যাটেরিয়াল আপলোড করা থেকে বিরত থাকুন। লেখার ক্ষেত্রে কপি করা বিষয়টি কোট করে পরিষ্কারভাবে সুত্র উল্লেখ করে দিন। ছবির ক্ষেত্রে অন্য সার্ভার থেকে সচলায়তনে লিংক করে দিতে পারেন। অডিওর ক্ষেত্রে ইস্নিপসের মত সার্ভার ফাইল আপলোড করে সচলায়তনে এমবেড করতে পারেন। ভিডিওর ক্ষেত্রে ইউটিউবের মত সার্ভারে তুলে সচলায়তনে এমবেড করতে পারেন। এক্ষেত্রে অন্য যে সার্ভারে আপনি ম্যাটেরিয়ালটি আপলোড করছেন তাদের নীতিমালা পড়ে নিন। যদি তাদের নীতিমালা ভঙ্গ না করে ফাইলটি হোস্ট করতে পারেন তাহলে সেক্ষত্রে সচলায়তনের আপত্তি জানাবার কারন নেই।

৩। বর্ণনার আকারে ম্যাটেরিয়ালটি নিজের ভাষায় লিখতে পারেন। প্রয়োজনে লিংক দিতে পারেন।

মনে রাখবেন অরিজিনাল ম্যাটেরিয়াল যেটার উপর আপনার সত্ত্বাধীকার আছে সেটা আপনি সচলায়তনের সার্ভারে আপলোড করতে সব সময়ই স্বাগতম। আসুন এই প্র্যাকটিসটা চালু রেখে আমরা অন্যের মেধাসত্ত্বকে সম্মান জানাই এবং নিজের মেধাসত্ত্বকে সম্মান জানাতে অন্যদের উদ্বুদ্ধ করি।

আপনার পোস্ট থেকে ছবিটি সরিয়ে দেয়া হল। আপনার আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের জন্য ধন্যবাদ।

মূর্তালা রামাত এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ।

মূর্তালা রামাত

অতিথি লেখক এর ছবি

বিশ্লেষণটা ভাল লাগল। আসলে আওয়ামী লীগের ব্যর্থতাই ছাগু কোম্পানীকে সুযোগ করে দেয়। আজ থেকে ছাগু কোম্পানীর লাফালাফি আরো বাড়বে ভেবে অসহ্য লাগছে।মুক্তিযুদ্ধের আদর্শভিত্তিক রাজনীতির চর্চা না থাকায় আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে ব্যক্তিস্বার্থ প্রাধান্য পাচ্ছে বলেই আজ এত বিভক্তি,এত মারামারি। আর এই বিভক্তির সুযোগ নিয়েই ছাগুরা আবার ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন দেখছে।
পথিক রহমান

মূর্তালা রামাত এর ছবি

ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ।

মূর্তালা রামাত

কুলদা রায় এর ছবি

তিনটি বিষয় মনে হয়--

এক. একাধিকবার কাউকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া ঠিক নয়। দিলেই সব কিছু বাপের সম্পত্তি মনে করে বসে।
দুই. আওয়ামী লীগের ঘণ্টা বাজার সময় এসে গেছে। কিন্তু মুশকিল তাদের বিকল্প কারা!!
তিন. কোনো প্রভাববিহীন নির্বাচনের সুযোগ দিলে জনগণ তাদের ক্ষমতা দেখাতে কখনো ভুল করে না। কিন্তু জনগণের কলা দেখিয়েইতো আমাদের দেশের রাজনীতিকরা এতোকাল চরেখরে খাচ্ছে। চোরের বদলে ডাকাতকে বেঁছে না নেওয়ার উপায় থাকছে না।

লেখাটির জন্য ধন্যবাদ।
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

একাধিকবার কাউকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া ঠিক নয়। দিলেই সব কিছু বাপের সম্পত্তি মনে করে বসে।

যথার্থ বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রীতিটা আমাদের দেশেও প্রয়োগ করা উচিত বলে মনে করি।

লেখাটা ভালো লাগলো। লেখককে ধন্যবাদ।

মূর্তালা রামাত এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ।

মূর্তালা রামাত

মূর্তালা রামাত এর ছবি

সহমত রইলো।

মূর্তালা রামাত

রণদীপম বসু এর ছবি

ক্ষমতার মসনদে বসলে ক্ষমতাবানরা ভুলে যান যে, যারা তাদেরকে ক্ষমতায় পাঠিয়েছে তারা কিন্তু ঠিকই দেখছে যাচাই করছে তাদেরকে।

যে শিক্ষা সহজভাবে নেয়া যায়, সেটা কেন যে কঠিনভাবে শিখতে হয় !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মূর্তালা রামাত এর ছবি

যথার্থই বলেছেন।

মূর্তালা রামাত

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌মহিউদ্দিনের পরাজয়টা অনিবার্য যতটা না তারচেয়ে বেশী অপরিহার্য ছিল।

তবে তার মানে এই নয় যে বিএনপি জামাতের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। মহিউদ্দিন নিজেই নিজের পায়ে কুড়োল মেরেছে। মহিউদ্দিনের নিগেটিভ ভোটের কারনে মঞ্জুর বিজয় ঘটেছে।

মহিউদ্দিন যতটা না কাজের কারনে হেরেছে, তারচেয়ে বেশী হেরেছে তার অনিয়ন্ত্রিত মুখের কারনে। তবে তার গত দুবছরের কর্মকান্ড ছিল সবচে নিন্দনীয়। ভোট দিতে যায়নি বিরাট সংখ্যক মানুষ। তারা মহিউদ্দিনের প্রাক ভোটার বলেই অনুমান করা যায়। তবে বিএনপির চেয়েও জামাতের তৎপরতা ছিল বেশী। জামাত তাদের প্রতিটা ভোট কাজে লাগিয়েছে।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

গৌতম এর ছবি

আমি চট্টগ্রামের মানুষ না। নিজ আগ্রহে মাঝে মাঝে শহরটাকে দেখতে যাই। আর দূর থেকে ফলো করি। তারপরও আমার অনুভূতি আপনার সাথে মিলে গেল! জনগণের সমর্থন থাকলেই যে কেউ চিরজীবনের মতো রাজা হয়ে যেতে পারেন না, এই ধারণাটা অনুভব করা মহিউদ্দিনদের দরকার।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

মূর্তালা রামাত এর ছবি

আপনার সাথে একমত।

মূর্তালা রামাত

হাসান মোরশেদ এর ছবি

১৭ বছরে ও যদি দল নতুন প্রার্থী প্রস্তুত করতে না পারে তাহলে সেটা দলেরই ব্যর্থতা। ভোটারদেরদের মনস্ত্বত্ব ও তো বুঝতে হয়।
আমাদের হেভীওয়েট নেতারা নিজেদের অমর ভেবে বসেন, নিজেদের আসনে অগুনতি চামচা তৈরী করেন, যে কোন সম্ভাবনাকে সন্দেহ করেন, গলাটিপে হত্যা করেন।
মধ্যযুগীয় শাসকদের এসব মানাতো, এই যুগে চলেনা।

এই ফলাফলের জন্য আওয়ামী লীগকে লংটার্মে খেসারত দিতে হবে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

মূর্তালা রামাত এর ছবি

অবশ্যই দলের ব্যর্থতা। আর আওয়ামী লীগ ব্যর্ততা থেকেও শিক্ষা নেয় না।

মূর্তালা রামাত

অতিথি লেখক এর ছবি

এখন দেখা যাক সরকার এই পজিটিভ ব্যাপারটা কতোদিন ধরে রাখতে পারে!

---থাবা বাবা!

অতিথি লেখক এর ছবি

এখন দেখা যাক, কি হয়..

_________________________
বর্ণ অনুচ্ছেদ

মূর্তালা রামাত এর ছবি

দেখা যাক।

মূর্তালা রামাত

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভালো লিখছেন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মূর্তালা রামাত এর ছবি

থ্যাঙ্কস বস।

মূর্তালা রামাত

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লাগলো। বেশ সহজ ভাষায় কিছু রাজনৈতিক কৌশল বুঝতে পারলাম।

মূর্তালা রামাত এর ছবি

ধন্যবাদ।

মূর্তালা রামাত

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।