আজকের পত্রিকার অনেক খবরের মাঝে রাষ্ট্রপতি'র ক্ষমা বিষয়ক একটি খবর আছে। দেশের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী। সর্বোচ্চ সাজাপ্রাপ্ত, বাংলাদেশের যে কোন নাগরিককে তিনি ক্ষমা করতে পারেন; বাংলাদেশের জনগণ সেই অধিকার তাকে দিয়েছে। সেই অধিকার বলে তিনি এবার ক্ষমা করেছেন চিহ্ণিত এক খুনিকে।
এই খুনি হচ্ছে লক্ষীপুরের আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহেরের ছেলে বিপ্লব। বিগত আওয়ামী লীগ আমলে শামীম ওসমান, জয়নাল হাজারীর পাশে গড ফাদার হিসেবে আবু তাহেরের নাম উচ্চরিত হতো। লক্ষীপুরের ত্রাস এই আবু তাহেরের মদদে তার ছেলেরা সে সময় বেপরোয়া হয়ে ওঠে। বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলামকে সে সময় তারা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করে। আবু তাহেরের বড় ছেলে বিপ্লবের নেতৃত্বে ২০০০ সালের সে সময়ে সংঘটিত এই হত্যা বেশ আলোচিত ছিল।
২০০৩ সালে দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে এই হত্যার বিচার হয়। বিচারে বিপ্লবের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এ ছাড়া অন্য দুটি খুনের মামলায় তার যাবজ্জীবন হয়। এরপর থেকে সে পলাতক। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সে আদালতে আত্মসমর্পণ করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চায়। রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান তার আবেদনে ত্বরিত সাড়া দিয়ে খুনের মামলায় তার মৃত্যুদণ্ড মওকুফ করেন।
নুরুল ইসলামকে স্বয়ং বিপ্লবই খুন করেছিল এ বিষয়ে লক্ষীপুরবাসীর কোন দ্বিমত নেই। আদালতেও তা শক্তভাবে প্রমাণিত হয়েছিল। শুধু একটি খুনই নয় এ ধরনের আরো অনেক অপরাধের সাথেও তার সম্পৃক্ততা প্রমাণিত।
অর্থাৎ নুরুল ইসলামকে খুন করাটা তার জন্য কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। একজন দাগী অপরাধীর পক্ষেই একটি জনপদে খুনের পর খুন করে ত্রাস সৃষ্টি করা সম্ভব। এমন একজন অপরাধী আদৌ কি সাধারণ ক্ষমার উপযুক্ত হতে পারে?
এটি স্পষ্ট যে বিপ্লবের রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণেই রাষ্ট্রপতি তাকে ক্ষমা করেছেন। এর আগে তিনি একই পরিচয়ের কারণে বর্তমান সংসদ উপনেতা সাজেদা চেীধুরীর ছেলের দুর্নীতির সাজা মওকুফ করেছিলেন, নাটোরে এক খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত বেশ কজনকে একসাথে ক্ষমা করেছিলেন। একইভাবে তিনি কিন্তু অন্য দলের কারো সাজা মওকুফ করেননি। অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি পদের নিরপেক্ষতা রক্ষার চেয়ে তার কাছে দলের অন্যায় আবদার রক্ষাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর এই আবদার রক্ষা করতে যেয়েই তিনি বিপ্লবের মত চিহ্ণিত খুনিকে ছেড়ে দিয়ে তাকে আরো খুন করতে উৎসাহিত করছেন। খুনের মত ভয়ঙ্কর অপরাধকে বিচারের উর্ধ্বে ওঠার সুযোগ করে দিয়েছেন।
দলীয় পরিচয়ের কারণে সাধারণ ক্ষমার এই ঘটনা রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিত্বকে যেমন প্রশ্নবিদ্ধ করলো তেমনি জনগণের প্রতি তার কর্তব্য পালনের প্রকৃষ্ট নমুনাকেও জনসম্মুখে তুলে ধরলো। এ থেকে মানুষ কী শিখলো? শিখলো যে এই দেশে দিন বদলের যুগে এসেও দলের ব্যানারে আশ্রয় নিয়ে যতো খুশি ততো খুন করা সম্ভব। যতো খুশি ততো অপরাধ করে পার পাওয়া খুবই সহজ। সুতরাং আমরা সবাই খুনি আমাদেরই খুনের রাজত্বে....
দলীয় চোখে এই ঘটনাগুলো অতি তুচ্ছ, জনগণের এতে কিছুই আসে যায় না। কিন্তু আদতে এসব ঘটনাই জনগণকে হতাশ করে দেয়। তারা আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হয়। সম্প্রতি আমিন বাজারে গণপিটুনী আইনের প্রতি জনতার আস্থাহীনতারই বহিঃপ্রকাশ। আর এই আস্থাহীনতাই বারবার গণতান্ত্রিক সরকারগুলোর ভরাডুবির কারণ।
আওয়ামী লীগ, বিএনপি কেউ এটা বোঝে না, বোঝার চেষ্টা করেনা। আজ এই সরকারে আমলে খুনি বিপ্লব গলায় ফুলের মালা পরে বের হয়ে হয়ত নুরুল ইসলামের স্ত্রী, কন্যাকে গুম করে দেবে। আগামীতে বিএনপির আমলে তারেক, কোকো, বাবর, হান্নান সাধারণ ক্ষমা পেয়ে আবার হাওয়া ভবনে গিয়ে বসবেন, দেশ চালাবেন। আওয়ামী লীগ তখন হরতাল দেবে, রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমার বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে জনগণের সেন্টিমেন্ট হাতানোর চেষ্টা করবে....এভাবে চলতেই থাকবে।
বর্তমান সরকার, আপনারা যারা দিনবদলের কথা বলে ক্ষমতায় এসেছেন তারা কি একটু ভাববেন? একজন চিহ্ণিত খুনিকে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে ক্ষমা করানোর মধ্যে দিয়ে আপনাদের ইমেজ বাড়লো না কমলো! আপনাদের জনসমর্থন কমছে, এই ঘটনা জনগণকে আরো হতাশ করবে সন্দেহ নেই। যদি জনগণকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয়, তবে আপনাদের ক্ষমতার নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে, সেটিই মনে করিয়ে দিতে হয়।
তথ্যসূত্র: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-07-20/news/171595
২০/০৭/২০১১
সিডনি, অস্ট্রেলিয়া।
মন্তব্য
কোন মন্তব্য করতে ইচ্ছে করছেনা। চারিদিকে জান্তব উল্লাস - বিচিত্র বাংলাদেশ ক্রমশ পতিতঃ!
ক্রমশ....
মূর্তালা রামাত
......এভাবে চলতেই থাকবে।
এর থেকে আমাদর নিস্কৃতি নেই।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
এভাবে হতাশাবাদী হতে মন চায় না.......তারপরও....
মূর্তালা রামাত
আমাদের সরকাররা দলীয় সরকার। দলীয় রাজনীতির ঊর্দ্ধে উঠা আমাদের দেশে কারই সম্ভব হয়না। লুটপাটকারী দলগুলোর বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি বাড়তে পারে না বা বাড়তে দেয়া হয়না। ৭১ এর মতো বড় গনজাগড়ন ছাড়া সেটা সম্ভব বলে মনে হয় না। তার জন্য কতদিন অপেক্ষা করতে হয়, কে জানে!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
৭১ এর মতো গণজাগরণের জন্য সেই রকম একজন নেতার প্রয়োজন.....অপেক্ষা ছাড়া আর গতি নেই....
মূর্তালা রামাত
সকালে খবরটা পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম কয়েক বছর আগে প্রায়ই শোনা যেত ছিনতাইকারী অভিযোগে শহরে পাব্লিক পিটিয়ে মেরে ফেলেছে অমুক তমুককে
সাম্প্রতিককালে গ্রামাঞ্চলে শুরু হয়েছে ডাকাত সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা
মাত্র সেদিন ছয়টা ছাত্র মারা গেলো একই প্রক্রিয়ায়
পুলিশ আদালত করে লাভ নেই। অপরাধী ঠিকই বের হয়ে আসবে
এই ধারণা থেকেই কয়েক বছর আগে শহরাঞ্চলে শুরু হয়েছিল ধরা পড়লেই মেরো ফেলো
এখন গ্রামেও শুরু হয়েছে একই প্রক্রিয়া
এবং তারপর?
লীলেন ভাই,আমারও এই চিন্তাটা হয়....তারপর কী? গোলকধাঁধায় ঘুরতে ঘুরতে হতাশ হয়ে যাচ্ছি ক্রমাগত....
মূর্তালা রামাত
আমার বিচারপতি হাবিবুর রহমানের একটি উক্তি নতুন করে মনে পড়ছে:- 'দেশ এখন বাজিকরদের হাতে। ভর্তিবাজি, নিয়োগবাজি, টেন্ডারবাজি, দলবাজি, মতলববাজির রকমফের দেখে মানুষ দিশেহারা।'
এখন যোগ হয়েছে, "ক্ষমাবাজি"।
এম আব্দুল্লাহ
ক্ষমাবাজি.....যথার্থ একটা শব্দ বলেছেন....
মূর্তালা রামাত
আওয়ামী লীগ যেন এই শেষবার ক্ষমতায় এসেছে। এরপর আর তারা রাজনীতি করবে না। তাই ক্ষমতার ব্যাবহার যা করবার এইবারই করতে হবে। অনেকটা মৃত্যুর আগে সব ইচ্ছে পূরণ করে নেয়ার মতো।
তাহলে তাই হোক। বিদায় আওয়ামী লীগ।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
বিদায়ের পর কী? আবার বিএনপি,আবার জামাত,আবার হাওয়া ভবন, গ্রেনেড হামলা, জেএমবি? অপেক্ষা করা ভাল..........দেখা যাক সামনে কী হয়.....
মূর্তালা রামাত
অস্বাভাবিক কিছু নয়....
মূর্তালা রামাত
আগামী নির্বাচনে বিএনপি - জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধী হিসাবে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির আদেশ মওকুফ করে এই ঘটনার শোধ তুলবে।
মূর্তালা রামাত
এক দুঃখ-ভারাক্রান্ত মন নিয়ে পোস্ট টা পড়া শেষ করলাম।আমার স্বদেশভুমি বাংলা, তোমার তো দুর্জনের অভয়ারণ্য হওয়ার কথা ছিল না
সহমত....
মূর্তালা রামাত
যে প্রিসিডেন্স তৈরী করলেন আমাদের রাস্ট্রপতি, তাতে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি হলেও তারা হয়তো মুক্তি পেতে পারেন। এমনটা হলে কেউ অবাক হবে না।
ধন্যবাদ মূর্তালা এই বিষয়টি নিয়ে লেখার জন্য। দেশে যারা আছেন তাদের জন্য এটি নিয়ে লেখা একটু বিপদজনক-- বিশেষত সরকার যখন তার স্বৈরাচারী দাঁত প্রদর্শন শুরু করেছেন।
ধন্যবাদ প্রকৃতিপ্রেমিক আপনার মন্তব্যের জন্য।
বিঃদ্র- বলেন কী! তাহলে দেশে যাব কীভাবে?
মূর্তালা রামাত
এ বিষয় নিয়ে লেখার জন্য
লেখায়
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ
মূর্তালা রামাত
মহামান্য রাষ্ট্রপতি এটা কি করলেন ! ওনার কাছে একটা প্রশ্ন ... আপনার স্ত্রী আইভি রহমানকে যারা গ্রেনেড নিক্ষেপ করে খুন করলো তাদের যদি মৃত্যুদন্ড হয় তাহলেও কি আপনি তাদের ক্ষমা করে দিবেন? নুরুল ইসলামের বিধবা স্ত্রীর মর্মবেদনা একটুও অনুভব করলেন না !
ধন্যবাদ লেখার জন্য।
আমারও প্রশ্ন এটাই- রাষ্ট্রপতি এটা কী করলেন? সরকারের নীতি নির্ধারকেরা কী বুঝে এই জিনিসটিকে অনুমোদন করলেন?
মূর্তালা রামাত
ঘৃণা!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
রাষ্ট্রপতি হলেই কি মানুষ ভাল হয়ে যায় নাকি?
মানুষ বলে যে রাষ্ট্রপতি কত সম্মানের পদ ! সম্মানটা তো আমরা করব, তাই না? পদ দখল করলেই সম্মান পাওয়া যায় না। কয়দিন আগে জয়নালকে পুলিশ মারছে, সেজন্য অনেককে বলতে শুনি যে উনি বিরোধী দলের চীফ হুইপ। কত বড় পদ। অথচ ভিডিও দেখলে বুঝা যায় যে উনিই আগে তুই তুকারি করছিলেন। তাই তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নাই। রিমান্ডে নিলে মারলেও শ্রদ্ধা জন্মাবে না।
চরম হতাশ খবরটা পড়ে ।
প্রেসিডেন্ট শুধু জানাজা-মিলাদই পড়েন না, মৃত্যুদন্ডও মওকুফ করে থাকেন। সুতরাং এটা প্রেসিডেন্টের টার্মস-অফ-রেফারেন্সে অন্তর্ভূক্ত হওয়ার দাবী জানালাম।
লেখায়
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আজকে সন্ধ্যায় মহামান্য রাষ্ট্রপতি আমাদের এলাকায় এসেছিলেন সামাজিকতা রক্ষাকল্পে। উনার আগমন হেতু কয়েক হাজার মানুষ বিনা দোষে শাস্তি পেল রাস্তায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টিতে ভেঁজার। একটা এম্বুলেন্সও আসছিল সাইরেন বাজিয়ে। পুলিশ মহোদয় এম্বুলেন্সটির কাছে গিয়ে তার সাইরেন বন্ধ করিলেন। আমাদের পুলিশে/ মিলিটারি পুলিশদের কাজ হচ্ছে এঁদের রাস্তা ক্লিয়ার রাখা। আর আমাদের রাষ্ট্রপতিদের কাজ হচ্ছে, মাঝে মাঝেই দুই চারটে খুনিকে মাফ করে দিয়ে খুনিদের খোলা রাস্তায় ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ করে দেওয়া।
সকাল থেকেই এই সংবাদে মেজাজ চড়া হয়ে আছে গো...
আমি মনেপ্রাণে চাইছি, বিএনপি এর পর ক্ষমতায় এসে যেন আইভি রহমান হত্যা মামলা আর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামিদের প্রেসিডেন্সিয়াল পার্ডন দিয়ে দেয়। এতে যদি ওনাদের একটু অনুতাপ হয় এই জঘন্য কাজের জন্য।
কালের কণ্ঠ বলছে বিপ্লবের সব সাজা - মৃত্যুদন্ড এবং অন্যান্য মামলায় যাবজ্জীবন সাজাও মওকুফ করা হচ্ছে। ক্ষমা চাওয়ার আরজিতে বলা হয়েছে বিপ্লব একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আর এক-এগারোর পরে কলকাতায় পালিয়ে থাকা সিনিয়র আওয়ামী নেতাদের অনেক সেবা করেছিল বিপ্লব। ছিঃ, থুঃ, এরা মুক্তিযুদ্ধকে টিস্যু পেপারের চেয়েও নিচে নামিয়ে দিচ্ছে।
বর্তমান সরকার যেভাবে "রাজনৈতিক মামলা" দেখিয়ে হাজার হাজার দলীয় সন্ত্রাসীর মামলা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে, আর ওটাতে না হলে রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে একের পর এক খুনের আসামীকে ক্ষমা করিয়ে নিচ্ছে, তাতে বিচার ব্যবস্থার আর প্রয়োজনটা কই থাকল? বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা ধ্বংসের ইতিহাস যদি কোনদিন লেখা হয়, তাতে এই সরকার আর এই মেরুদন্ডহীন রাষ্ট্রপতির নাম সবচেয়ে বড় করে লেখা থাকবে।
আজকে পত্রিকায় দেখলাম এই ক্ষমার বিপক্ষে কথা বলায় নাসিমকে তিরস্কার করেছেন প্রধানমন্ত্রী....!!!!! হায় সেলুকাস!
মনে হয় আলীগ (আওয়া্মীলীগ) এবার মনে যা ইছছে তাই করার জন্য ক্ষমতায় আসছে......।।তারা তাদের যে ক্ষমতা ছিল তারা তাদের সেই ভালো জিনিস গুলোকে গলা টিপে হত্যা করেছে......বিদায় আলীগ......।।বিদায়.........।।।বিএন...বিদায় সেনা শাসক।ছাই না আর আই ।গুলোকে...............ঝাটিয়ে বিদায় করবো.....................।জয় হোক।মানুষের...।।জয় হোক ভালো চিন্তার............।
ভালো মানুষ
( আমি খারাপ মানুষ ভাই ভালো হতে চাই,কিন্তু টাকা পয়সা দিতে পারব না)
আ লীগ না করলে অন্য কেউই মুক্তিযোদ্ধা নয়। আ.লীগের মুক্তিযোদ্ধার ছেলের হাতে একজন মুক্তিযোদ্ধা খুন হয়েছেন--এটা তো সেই মুক্তিযোদ্ধার পরম পাওয়া। মুক্তিযুদ্ধ ব্যবসায়ী আ লীগের কাছ থেকে এর চে ভালো আর কী আশা করতে পারি?
অতিব দুঃখের বিষয় এই যে, ভার্সিটি থেকে যখন সার্টিফিকেট নেবো, তাতে এই দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তির নাম লিখা থাকবে চ্যান্সেলর হিসেবে এবং সমাবর্তনে তাঁর কাছ থেকেই সার্টিফিকেট নিতে হবে। আফসোস...
-অ্যালবেট্রস
http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=0b72bd4ea0f7c7c01ae24d4efc3f5044&nttl=2011072605512550734&toppos=1
এইটা পড়েন...
রাষ্ট্রপতি, হাইকোর্ট... এই সর্বোচ্চ সম্মানীয় পদ প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যদি আস্থা হারিয়ে যায়... এরচেয়ে দূরাবস্থা আর কিছু হতে পারে না
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নতুন মন্তব্য করুন