ড.ইউনূস অর্থনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট একজন মানুষ হলেও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাবার পর শান্তির একজন দূত হিসেবেই দেশ বিদেশের মানুষের কাছে পরিচিত পান। কিন্তু নিজের গ্রামীন ব্যাংক এবং হালের সামাজিক ব্যবসা ছাড়া তাকে বিশ্ব শান্তির কোন বিষয় নিয়েই সরব দেখা যায় না। বিশ্ব শান্তির কথা না হয় বাদই দিলাম দেশের শান্তি যখন বিনষ্ট তখন কেন তাকে সক্রিয় দেখা যায় না - বর্তমানে এ প্রশ্ন সবার।
সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ মুখোমুখি হল তিনটি জাতিগত সমস্যার। সাম্প্রদায়িক শান্তি বিনষ্টকারী এই সমস্যাগুলোর ভয়াবহতা দেখে এবং ভবিষ্যত পরিণাম ভেবে মুক্তচিন্তার সকল মানুষই আঁতকে উঠেছেন। সাধারণ খেটেখাওয়া মানুষ পর্যন্ত এ ব্যাপারে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছে । অথচ শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের কাছ থেকে এসব বিষয়ে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বলা হয়ে থাকে বাংলাদেশকে আগে মানুষ চিনতো শেখ মুজিবের বাংলাদেশ হিসেবে, এখন বাংলাদেশের কথা বললেই বর্হিবিশ্বে মানুষ ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর নাম নেয়। এও বলা হয়ে থাকে বাংলাদেশে কেবলমাত্র তিঁনিই যখন তখন বিশ্বের যে কোন প্রভাবশালী নেতাকে ফোন করার ক্ষমতা রাখেন। অথচ মিয়ানমারে রাষ্ট্র সমর্থিত জাতিগত সহিংসতার কারণে দলে দলে রেহিঙ্গারা যখন বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে ছুটে আসতে থাকল তখন এই মানবিক বিপর্যয় নিয়ে ড.ইউনূস কোন কথাই বললেন না। এমনকী বিদেশী দাতাগষ্ঠেীগুলো মিয়ানমারকে সহিংসতা বন্ধ করার বদলে উল্টো বাংলাদেশকেই যখন রেহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য চাপ দিতে লাগল তখনও তাঁর কোন বিবৃতি আমাদের চোখে পড়ল না। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মিয়ানমারের অং সান সুকি আত্মপক্ষ সমর্থন করে এই জাতিগত দাঙ্গা বন্ধ করা বিষয়ে বিবৃতি দিলেও রেহিঙ্গা ইস্যুতে ড.ইউনূস নীরবতাকেই কেন শ্রেয় মনে করলেন, তা কারোরই বোধগম্য হল না!
পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি-বাঙ্গালিদের মধ্যে বিরাজমান অশান্তি নিয়েও তিঁনি চুপচাপ। কদিন আগে রাঙ্গামাটিতে দুইজন কলেজ ছাত্রের মধ্যে হাতাহাতির জেরে শহর জুড়ে ছড়িয়ে পড়া পাহাড়ি-বাঙালি দাঙ্গায় যখন দেশের মানুষ চরম উৎকন্ঠিত, পার্বত্য চট্টগ্রামে আবার যুদ্ধ শুরু হতে যাচ্ছে এমন আশঙ্কায় সবাই যখন আতঙ্কিত, তখন শান্তির বাণী নিয়ে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস পাহাড়ি-বাঙ্গালিদের আস্থা ফেরাতে এগিয়ে আসবেন অনেকেই এমন প্রত্যাশা করেছিলেন। কিন্তু সবাইকে হতাশ করে তিঁনি বরাবরের মতই শান্তির সপক্ষে কোন কথাই বললেন না!
একইভাবে রামুতে বৌদ্ধদের ওপর সাম্প্রদায়িক শক্তির হামলার বিরুদ্ধে পুরো দেশ যখন সোচ্চার, সবাই যখন শান্তির পক্ষে এক কাতারে এসে দাঁড়িয়েছে তখনও আশ্চর্যজনকভাবে হলেও সত্যি যে আমাদের গর্বের মানুষটি একেবারেই নিশ্চুপ। আমরা যখন সাম্প্রদায়িক শক্তির থাবায় ভবিষ্যত বাংলাদেশের ক্ষতবিক্ষত চেহারা কল্পনা করে শিউরে উঠছি তখন ড. ইউনূসের মত ব্যক্তিত্বের এই নির্বিকারতা কষ্টদায়ক বৈকি। অথচ তাঁর মত পৃথিবীর অন্যতম প্রভাবশালীদের একজন ব্যক্তিত্বের শান্তির সপক্ষে দেয়া একটি বক্তব্যই মানুষকে শক্তি ও সাহস যোগাতে পারত, পারত শান্তিমুখী করতে।
নিন্দুকেরা বলে থাকেন ড.মুহাম্মদ ইউনূস নিজের ব্যবসাস্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়া আর কোনকিছু নিয়ে ভাবতে রাজি নন। এ কারণেই সরকারের সাথে গ্রামীণ ব্যাংকের বিরোধ নিয়ে তিঁনি যতোটা সোচ্চার, অন্য কোন ইস্যুতে (এমনকী যুদ্ধাপারধীদের বিচার নিয়েও) তিনি একেবারেই নীরব। আমরা তা বিশ্বাস করতে চাই না। এদেশের অসংখ্য মানুষের কাছে তিঁনি সম্মানিত ব্যক্তি। এসব মানুষের মনে আশা জাগাতে শান্তির বার্তা নিয়ে তিনি মাঠে নামবেন সেটাই আমরা চাই। বলা চলে, শান্তিতে নোবেল পাবার পর এটা তার দায়িত্বে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে দেশে যখন সামাজিক আশান্তির ঘনঘটা তখন সামাজিক ব্যবসার বদলে তিঁনি সামাজিক শান্তির বাণী নিয়ে উপস্থিত হবেন এটাই সবার কাম্য। অশান্তির সময়ে তিঁনি যদি শান্তির বার্তা নিয়ে হাজির নাই হতে পারেন তবে শান্তিতে নোবেল পেয়ে কার কী লাভ হল?
১/১০/১২
সিডনি, অস্ট্রেলিয়া।
মন্তব্য
উনি নোবেল পুরস্কারের সাথে নিজেকেও আলমারী বদ্ধ করে রেখেছেন। একটা সো পিচ ছাড়া আর কিছু না।
আমারও তাই মনে হয়।
মূর্তালা রামাত
এই ইমোটা শুঢু উনার জন্যই উপযুক্ত।
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
আপনার প্রশ্নের সাথে সহমত।
সেই সাথে আর একটা প্রশ্ন আমার মনেও জাগছে, বেশ কয়েকদিন হল, "গ্রামীন ব্যাঙ্ক রক্ষা করো" টাইপের কিছু ফেসবুক পেইজ দেখছি, এই পেইজ এর নির্মাতারা এখন কোথায়? এই সাম্প্রদায়িক নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার কোন পেইজ ফেসবুকে এখন ও দেখছিনা। কিন্তু এই ফেসবুক এর দোহাই দিয়ে কতবড় অন্যায় ঘটে যাচ্ছে!
আপনার প্রশ্নের সাথে সহমত পোষণ না করে পারছি না।
মূর্তালা রামাত
ইউনূস নোবেল পুরস্কার গ্রহণের জন্য যখন অসলো গিয়েছিলেন, এনটিভির সুপণ রায় গিয়েছিলেন ক্যামেরাসহ। দেশে তখন তারেক জিয়ার আশীর্বাদপুষ্ট ইয়েসউদ্দিনের রাজত্ব, সারাদেশে খণ্ড খণ্ড সংঘর্ষ চলছে। সুপণ রায় বেশ অভিমানের সাথেই প্রশ্ন করেছিলেন, দেশে যেখানে অশান্তির আগুন, ইউনূস শান্তিতে নোবেল নিতে এসে দেশের মানুষের উদ্দেশে কিছু বলবেন কি না। মহাজন আঙ্কেল চোখের ইঙ্গিতে প্রশ্নের উত্তর না দেয়ার ভঙ্গি করে সুপণ রায়ের পিঠে মিনিংফুল দুইটা চাপড় মেরে হনহন করে কেটে পড়লেন।
ইউনূস গরিব দেশগুলিতে বড় বড় কারবারিদের হঞ্চো মাত্র, এরচেয়ে এক ইঞ্চি বেশি কিছু না। শান্তি অশান্তি নিয়ে কথা বলে মহাজনি কারবারে ব্যাঘাত ঘটানোর টাইম তার নাই। তারে শান্তিতে গ্রামীণ ব্যাঙ্ক থেকে ৫% সুদে বাপ কা মাল প্যাকেজেস কর্পোরেশনের জন্য কোটি কোটি টাকা ঋণ নিতে দেন।
বড় বড় কারবারিদের কথা লিখেছেন একজন
মন্তব্যটা মহাজনরে দেখান যায় না?
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
তা যা বলেছেন
মূর্তালা রামাত
হ
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
মূর্তালা রামাত
মানুষের মৌলিক অধিকার ( ঋন পাওয়া ), সামাজিক ব্যবসা আর দারিদ্র বিমোচন নিয়ে চিন্তা করতে করতেই তো উনার ঘুম হারাম, তার মধ্যে আবার এসব চিন্তা করার সময় কোথায় ! আর তাছাড়া উনার শান্তি মডেল তো এই স্টেপের জন্য না, রামুর সামাজিক অবস্থাতো এখন ভীতিকর, একটু শান্ত হোক তারপর ওখানে কিভাবে ঋন দিয়ে শান্তি আনা যায় সে ব্যাবস্থা করা যাবে !
ফাহাদ ভাই
হা হা গ্রেট বলেছেন, হ্যাটস অফ
মূর্তালা রামাত
উনি বাসায়।
মুড়িমাখা খেতে খেতে মনোপলি খেলতেছেন। আপাতত জেইলে আটকা :B
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ধন্যবাদ
মূর্তালা রামাত
হা হা
মূর্তালা রামাত
উনি এখানে ...
http://www.facebook.com/photo.php?fbid=10151032645597693&set=a.10151032645522693.419799.132674867692&type=1&theater
Global Poverty Project concert at Central Park এ দারিদ্র বিমোচন করছেন। এইসব ছোটখাটো ব্যাপার নিয়া উনারে ডিস্টাব দিয়েন না, হিলারি আপা বকবে।
লা জওয়াব।
মূর্তালা রামাত
এই ছবিটা বান্ধায়া যাদের ঘর পুড়ছে সবাইরে এক কপি করে দেয়া যাইতে পারে। এতে মনোবল বাড়বে, সামনের বছর ঘর পোড়ানোর জন্যে আবার ঘর তুলতে হবে না?
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
মূর্তালা রামাত
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এইখানে ইট্টু আগে একটা কমেন্ট করলাম, ইট্টু উষ্ণ প্রতিক্রিয়া আশা করেছিলাম, কিন্তু কেউ আমারে পাত্তাই দিল না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
হ আপনারে কইছে। কত কষ্ট করে একটা প্রাইজ পাইছে, এখন সেটা নিজের মনমত না বেচতে পারলে ফয়দা আছে কোন? পুড়ুক না কিছু ঘর। সামাজিক ব্যবসা ঠিক মত চললেই হল।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
হ, সামাজিক ব্যবসা ঠিকমত চলেলেই হল।
মূর্তালা রামাত
ইউনুসের কথা মনে হলেই ইদানিং আমার একটা ইংরাজি শব্দের কথা মনে হয় --- Eunuch
প্রথমে শব্দটার উচ্চারণ না জানায় 'ইউনুচ' হিসেবেই উচ্চারণ করেছিলাম (পরে শুনেছি আসল উচ্চারন হল ইউনখ)।
যারা শব্দটার মানে জানেন না, তারা মানেটা খুজে পেলে আনন্দ পাবেন বলেই আমার ধারণা।
মুর্তালা ভাই, লেখাটা চমৎকার হয়েছে!
মূর্তালা রামাত
আন্নেঁ ভাইজান এট্টা খারাপ লুক
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
স্কুলের স্যার ভোকাবুলারিতে শিখাইছিল :
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
ধন্যবাদ।
মূর্তালা রামাত
পদ্মা নদীর মাঝি'র একটা জটিল উক্তি স্মরণে চলে এলো, ইউনূস (উম্মত এবং সাহাবা সমেত) থাকেন তাহার নিজের স্বার্থ আর ব্যবসা লইয়া। দেশের স্বার্থের মাঝে তাঁহাকে খুঁজিয়া পাওয়া দুষ্কর।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
শুধু দুষ্কর না মহা দুষ্কর।
মূর্তালা রামাত
মহাজনকে দেশের কোন বিপদে পাশে পাওয়া যায় নাই তারপরও উনি শান্তির ফেরিওয়ালা!! উনার পা-চাটার অভাব তবু এদেশে নাই!!!
_____________________
Give Her Freedom!
দেশতো এমনই ভাই।
মূর্তালা রামাত
আপনেরা যে যাই বলেন আমি ইউনূসের ফ্যান। চড়া সুদে টাকা ধারের ব্যবসা করেও যে দুনিয়ায় মহৎ মানুষ হওয়া যায় সেটা ড. ইউনূস না থাকলে কে আমাদের শিখাতো?
হায়রে বিল গেটস! ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ফাউন্ডেশন বানায়াও একটা শান্তি পুরস্কার বাগাইতে পারল না! আর আমাদের ইউনূস কাকা ৭ বিলিয়ন ডলারের সুদের ব্যবসা দিয়া বাংলার দারিদ্র্য দূর করে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করে ফেলছে।
হায়রে বিল গেটস! ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ফাউন্ডেশন বানায়াও একটা শান্তি পুরস্কার বাগাইতে পারল না! আর আমাদের ইউনূস কাকা ৭ বিলিয়ন ডলারের সুদের ব্যবসা দিয়া বাংলার দারিদ্র্য দূর করে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করে ফেলছে।-
এই কারণে তারে আরেকবার নোবেল দেয়ার সুপারিশ করা হোক।
মূর্তালা রামাত
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
বিষয়টা কি মার্কিন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট?
তা না হলে কথা বলে লাভ কী?
উনি একজন আন্তর্জাতিক মানুষ
বুঝতে হবে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বুঝতেছি নজু ভাই।
মূর্তালা রামাত
এমন প্রত্যাশা আসলে কারা করেন?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
এই প্রত্যাশাটা গৌতম দা অনেকের কাছেই শুনেছি। বিশেষ করে বিদেশে বেশির ভাগ বাঙালিই ইউনূস সাহেবকে পীর মনে করেন। এমনকী অনেক বিদেশীও আমাকে বলেছে- তোমার দেশে একজন নোবেল পিস লরিয়েট থাকার পরও এত অশান্তি কেন? তাদেরকে কেমন বুঝাই যে নোবেল পিস লরিয়েট একজন আন্তর্জাতিক মানুষ, ব্যবসা বাণিজ্য সামলাতে সামলাতে দিন শেষ, তার দেশের শান্তি নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় কই!
মূর্তালা রামাত
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
জাস্ট এখন গ্রামীণ ব্যাংকের একটা শাখায় আগুন দিলে আজকে হিলারী-আম্রিকা-বাংলাদেশ-বিশ্ব কতকিছু হয়ে যেতো, ভাবতেই অবাক লাগে!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
এক্কেবারে সঠিক কথা বলেছেন।
মূর্তালা রামাত
অতীত থেকে শুরু করে বর্তমান অব্দি দেশের যেকোন জটিল থেকে জটিলতর অশান্তিকর পরিস্থিতিতে, সাধারণ মানুষের সমব্যথী হয়ে পাশে দাড়ানোর নজির শান্তিতে নোবেল প্রাপ্ত ডঃ ইউনুসের আছে কি?
দগদ্গে ঘা-এর জ্বালায় বিপর্যস্ত মানুষের জন্য ডঃ ইউনুস সহানুভূতির দুটো বাণী দিচ্ছেন এমনটা ভাবাই আমার কাছে একরকম বিলাসিতা লাগছে! এই বিলাসিতার সময় এখন না!
কোন নজির নাই। আসুন আমরা তার জন্য সহানুভূতির দুটো বাণী দেই!
মূর্তালা রামাত
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
শান্তির জন্য দরকার ব্যবসা। সামাজিক ব্যবসা মানে হল ঘরে ঘরে ব্যবসা। এই যে এত গুলো ঘর পুড়ায় দিল এর মধ্যেও ব্যবসার ফজিলত আছে। এখন ওইখানে আবার ঘর তোলা হবে, ওই এলাকার কাঠ, ছুতার, রাজ মিস্ত্রী এদের একটা গতি হবে। বিভিন্ন ধরনের কারিগর হাতে কাজ পাবে। এর মাধ্যমে ঐ এলাকার অর্থনীতি একটা গতিশীলতা পাবে। অর্থনীতি গতিশীল হলে ঐ এলাকার মানুষ হাতে টাকা আসবে, টাকার সাথে সাথে আসবে শান্তি। এভাবেই সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে শান্তি আসবে।
এই সাধারন থিওরি হিলারির মত মানুষ বুঝল। কিন্তু আমরা কেউ বুঝলাম না। "আমরা কি ইউনুসের তে বেশি বুঝি!!!"
তিনি কোরআন পড়তেছেন, বাইচা থাকতে নোবেল পাইলেই হবে শুধু? মরলেতো বেহেশতেও যাইতে হবে, সেইখানেতো আর হিলারি আপা থাকবেন না।
ইউনূসের ভাই ইব্রাহীম ২৩ জুন ২০১২ তারিখে দৈনিক উটপাখিতে "তাড়িয়ে দেওয়ার ব্যথা" শিরোনামে এক মর্মস্পর্শী আর্টিকেলে রোহিঙ্গাদের দুঃখে তার কোমল গোস্তে লাগা আঘাতের বেদনা তুলে ধরে বলেছিলেন,
ইব্রাহীম স্বদেশী বৌদ্ধদের দুঃখ-কষ্ট-আতঙ্ক নিয়ে কিছু লেখে কি না দেখার অপেক্ষায় থাকলাম। না লিখলে তারে কানে ধরে তার আত্মীয় রোহিঙ্গাদের কাছে পাঠিয়ে দেয়ার মতো অসংস্কৃত কোনো আবদার করবো না।
আমার দূর্ভাগ্য আমি সংস্কৃত শিখি নাই! সুতরাং আমি করবো।
শুধু ছ্যারের ভাই ছ্যার না, এই কয়দিন আগেও রোহিঙ্গাশোকে-রোহিঙ্গাপ্রেমে মজনু হয়ে এদেশটাকে রোহিঙ্গাস্তানে পরিণত করার জন্য যারা পেপারে-ব্লগে-টিভিতে মাতমের প্লাবন বইয়ে দিয়েছিলেন, তাদের সবার কাছ থেকেই বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে লেখা/বক্তিমা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম - বিদেশীর বদলে স্বদেশীর বিপদ বিধায় আরও বহু-বহু গুন বেশি জোশের সাথে!!! নচেৎ.... তাদের সবার (বা যারা লিখবেন/বলবেন না) প্রতিই আমার এই সংস্কৃতিহীণ আব্দারটা ক্ষমাহীণ ভাবে জারি থাকবে। কিছু নাম এই মুহূর্তেই মনে পড়ছে, অপেক্ষায় আছি.....
****************************************
ধন্যবাদ হিমু।
আপনার এই আর্টিকেলের সূত্র ধরে বড় এক ছাগুর দেখা পেলাম। সবার শেষ মন্তব্যকারীর আগে তাকে পেয়ে গেলাম।
এর আগেও আমি উনাকে নিয়ে বলেছিলাম। ল্যাঞ্জা ইজ আ টাফ থিং টু হাইড। এখন আর কোন সন্দেহ থাকল না।
এইসব চিপা ছাগু আরও বেশি ভয়ঙ্কর।
আপনি কি এইটার কথা বলছেন? উভয়ে কি একই ব্যক্তি?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
@ ষষ্ঠ পাণ্ডব - হ্যাঁ একই ব্যক্তি
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
ইউনূসকে নিয়ে বিতর্ক নতুন কিছু নয়, এবং তাকে নিয়ে সমালোচনার পয়েন্টগুলোও মোটেও অযৌক্তিক নয়।
কিন্তু ইব্রাহিম স্যারের একমাত্র দোষ কি তিনি ইউনূসের ভাই, এটি? নাকি অন্য কোন দোষ আছে?
তিনি মানবতার দৃষ্টিকোন থেকে যদি রোহিঙ্গাদের নিয়ে কোন অনূভুতি প্রকাশ করে থাকেন, এতে তো দোষের কিছু দেখিনা। তিনি যে স্বদেশীদের জন্য অনুভব করছেন না, সেটি আপনি কিভাবে বিচার করলেন?
বাংলাদেশে খুব অল্প কয়েকজন যারা সর্বস্তরে বিজ্ঞানের প্রচার ও বিজ্ঞানমুখী প্রজন্ম তৈরীতে কাজ করে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে ইব্রাহিম স্যার একজন। তাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি, তিনি একজন অতি সাধারণ, অসাম্প্রদায়িক এবং প্রকৃতি-পূজারী মানুষ।
শুধু ইউনূসের ভাই হওয়ার অপরাধে তাকে নিয়ে এমন মন্তব্যে প্রচন্ড কষ্ট পেলাম, আর কিছু বলতে চাই না।
রোহিঙ্গাদের আত্মীয় বানিয়ে ফেলে তাদের জন্য নাকি কান্নার মধ্যে আমিও দোষের কিছু দেখি না। কিন্তু সেই আত্মীয়রা যখন নিয়মিত আকামকুকামে লিপ্ত হয়, তখন ইউনূসের ভাই ইব্রাহীমকে কোনো সাড়াশব্দ করতে শুনি না। সেটা শুনতেই কান পেতে আছি। তখন বোঝা যাবে উনি স্বদেশীদের জন্য কোনো কিছু অনুভব করেন কি না।
আর ইউনূসের ভাই হওয়া দোষের, সেটা কেন ভাবছেন? আপনার হয়তো মানতে প্রচণ্ড কষ্ট হতে পারে, কিন্তু ইব্রাহীম সাহেব তো ইউনূসের ভাই। ইউনূসের ভাইকে ইউনূসের ভাই বললে কি কোনো সমস্যা আছে?
অতি সাধারণ, অসাম্প্রদায়িক, প্রকৃতিপূজারী ও বিজ্ঞানমুখী প্রজন্মনির্মাতা ইব্রাহীম সাহেবের কাছ থেকে সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস, যেটাতে ওনার আত্মীয়প্রতিম রোহিঙ্গারা সরাসরি জড়িত, সেটা নিয়ে প্রতিক্রিয়া পড়ার আশায় আছি। আশা করি উনি সাধারণপনা, অসাম্প্রদায়িকতা, প্রকৃতিপূজা ও বিজ্ঞানমুখীনতা চর্চার ফাঁকে দুই কলম লিখবেন।
আপনার সাথে তর্ক-বিতর্কে যাওয়ার মত জ্ঞান আমার নাই হিমু ভাই। শুধুমাত্র একজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তির প্রতি 'কান ধরে পাঠিয়ে দেওয়া' জাতীয় শব্দের ব্যবহার আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে মেনে নিতে পারিনা, এটুকুই!
ভালো থাকুন আর 'ওখানে বসে' অনেক অনেক 'লিখতে' থাকুন।
শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিরা বিটকেল লোকজনের সাথে আত্মীয়তা পাতানোর পর যখন সেই আত্মীয়ের বিটকেলপনা নিয়ে চুপ করে থাকেন, তখন তাদের দুটি শ্রদ্ধেয় কানের অস্তিত্ব সীমাহীন মনোকষ্ট নিয়ে স্মরণ করতে হয়। এ কারণেই শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিদের উচিত পত্রিকায় কলম ধরে বায়বীয় আত্মীয়তা স্থাপনের আগে চিন্তা করা। ওনাদের প্রাপ্য শ্রদ্ধার ঝকঝকে সাদা পাতাটা ল্যামিনেট করে না রাখলে তাতে অশ্রদ্ধার ভূষোকালি লেগে যাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
আমি এখানে 'বসে' লিখলে সমস্যা, নাকি 'এখানে' বসে লিখলে সমস্যা, নাকি এখানে বসে 'লিখলে' সমস্যা? আমি কিছু লিখলেই লোকে আমার ভৌগোলিক অবস্থান নিয়ে আপত্তি করতে থাকে। আমি তাদের আত্মার শান্তির প্রয়োজনে তাদের কোলে বসেও লিখতে প্রস্তুত। কিন্তু একটু সময় দিতে হবে আর কি।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
মহাজনে শান্তিতে নুবেল পাইছে, তাই হেয় নিজের শান্তি বজায় রাখতেছে। নুবেল এর পদক আর চেক দেইখা হের মনে খালি শান্তি শান্তি শান্তি, ওম শান্তি !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
বেশ বছরখানেক আগে ফেসবুকে ড: মুহম্মদ জাফর ইকবালকে নিয়ে একটি লেখা পড়েছিলাম।
ভারত সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা নিয়ে তিনি কোন বিবৃতি দিচ্ছেন না কেন?
এ পোস্টটিও সে ধরণের সুর শুনতে পেলাম।
কোন নিপীড়ণ ইস্যুতে বিবৃতি না দেয়া বা, প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া না দেখানো মানে সেই নিপীড়ণকে সমর্থন করা নয়।
রোহিঙ্গা নিপীড়ণ আর রামুর বৌদ্ধ নিপীড়ণ ইস্যু নিয়ে শুধু শুধু ত্যানা প্যাচানো ভালো লাগছে না। রোহিঙ্গারাও নিপীড়িত, রামুর
বৌদ্ধরাও নিপীড়িত। মানুষ হিসেবে দু'সম্প্রদায়ের প্রতি সহানুভূতি থাকা জরুরি।
রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয়দানকে সমর্থন করলে মানবতাবাদী হওয়া যাবে, এমন ধারণাও ঠিক নয়। নতুন রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের বাংলাদেশে আশ্রয়দানের বিরোধিতা করার যথেষ্ট কারণ আছে। এছাড়া, বাংলাদেশ সরকার নতুন রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের বাংলাদেশে ঢুকতে না দিয়েও বিজিবির মাধ্যমে সাহায্য করেছে।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
জাফর ইকবাল ভারত সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা ইস্যুতে নোবেল পুরস্কার বাগায় নাই। ইউনূস গরিবের ঘাড়ে বন্দুক রেখে ব্যবসা করে শান্তিতে নোবেল পেয়েছে যখন, অশান্তি ইস্যুতে তার কাছ থেকে আওয়াজ এক্সপেক্ট করতেই পারি আমরা।
নিপীড়ন ইস্যুতে খামোশ খেয়ে বসে থাকার অর্থও কিন্তু সেই নিপীড়নের বিরোধিতা নয়। যদিও মহাজন অবশেষে মুখ খুলেছে।
এটা ঠিক ড: ইউনুসের রামুর বৌদ্ধ নিপীড়ণ ইস্যু নিয়ে আরো আগে মুখ খোলা উচিৎ ছিল।
ইউনুসকে নিয়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে একটু কথা বলি-
ক্ষুদ্র-ঋণের ধারণা নিয়ে এলার্জী না থাকলেও 'ড: ইউনুস ও ড: ইউনুস পরিচালিত গ্রামীণ ব্যাংক' নিয়ে আমার যথেষ্ট এলার্জী আছে।
চবিতে পড়ার সময় ২০০৭ সালের এপ্রিল-মে দিকে হাটহাজারীতে গ্রামীণ ব্যাংকের একটি ঘটনা জানি।
লোন শোধ করতে না পারায় এক দরিদ্র গ্রামবাসীর গরু আর ঘরের বাঁশ, চাল নিয়ে গেছে গ্রামীণ ব্যাংকের লোকেরা।
ওই গরীব মানুষটি আরো সময় চেয়েছিল কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংকের নিয়ম অনুসারে আর সময় নাকি দেয়া যাবে না।
এখানে খেয়াল করে, লোকটির লোন পরিশোধ করার ইচ্ছা ছিল কিন্তু 'ব্যবসায়ী গ্রামীণ ব্যাংকে'র আর সময় দেয়ার ইচ্ছা ছিল না।
ড: ইউনুস অর্থনীতিতে নোবেল পেলে খুশি হতাম। শান্তিতে নোবেল ড: ইউনুসের প্রাপ্য না।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ইউনূসের প্রতি আমার কোনো অ্যালার্জি নাই। তিনি একজন মেধাবী ব্যবসায়ী, যিনি ইউজুরিকে সমাজসেবা হিসেবে বিশ্বের কাছে বেচতে পেরেছেন। উনি মাংসের দোকান দিলে বাঁধাকপিকে গরুর সিনার গোস্তো হিসেবে বেচে দিতে পারতেন। তার এই ইমেজ বিক্রির স্কিলের ভক্ত সমঝদার আমি। কিন্তু যেহেতু উনি শান্তিতে নোবেল পেয়েই গেছেন, এখন আর ওনার রিটায়ার করার উপায় নাই। অশান্তি হলে ওনাকে মুখ খুলতে হবে। নোবেল পুরস্কার পকেটে ভরে আপনি দুনিয়াদারি থেকে হাত ধুয়ে বাসায় চলে যেতে পারেন না।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
রোহিঙ্গা'রা অবশ্যই মিয়ানমার রাষ্ট্র এবং সরকার কর্তৃক বৈষম্যের শিকার, মানছি। কিন্তু তারা যে রাখাইন রাজ্যে নারী ধর্ষণ, খুন, বৌদ্ধ মন্দির ধ্বংসের ঘটনার সাথে জড়িত এই ব্যাপারটা রোহিঙ্গাপ্রেমিদের কারও মুখে আসেনা। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের কেউ না। তারা নিজেদের বাঙালি তো নয়ই বরং আরবীয়দের বংশধর বলেই দাবী করে। রামুতে ঘটে যাওয়া ঘটনার শিকার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী্রা কিন্তু রামুর কোন মুসলমানের মেয়েকে ধর্ষণ করেনি, বা মসজিদে আগুন দেয়নি, কিংবা মানব হত্যা করেনি। উত্তম বড়ুয়া নামের ছেলেটি নিজে কিন্তু কোন ছবি তার ফেসবুকে পোস্ট করেনি। পুরো ব্যাপারটাই এক তরফা। এ হেন ঘটনায় আমাদের তাবত সাহেবরা অন্ততঃ একটা লাইন লিখে প্রতিবাদ জানাতে পারত। কই রোহিঙ্গা-প্রেমিদের মুখ থেকে একটা শব্দও বের হতে দেখিনা কোথাও। অন্য দেশের মানুষদের নিজের ভাই ডেকে কেঁদে বুক ভাসিয়ে দিতে পারে এরা, যে ভাইয়েরা আবার তাদের বাংলা'র সাথে সম্পর্কহীনতার কথা দৃঢ় কন্ঠে বলে আসছে, অথচ নিজ দেশের মানুষদের উপর ঘটে যাওয়া বর্বর আক্রমণে এরা নীরব। রামুর বৌদ্ধরাও কিন্তু চট্টগ্রামের লোক, তারা চট্টগ্রামের ভাষাতেই কথা বলে। তাদের চাটগাঁইয়া বুলি বরঞ্চ রোহিঙ্গাদের আরবীয়-উর্দু-আরাকানি প্রভাবিত ভাষা থেকে অনেক বেশী চাটগাঁইয়া। অথচ রামুর বৌদ্ধরা আমাদের সাহেবদের ভাই-বেরাদর নন। তারা স্রেফ রামুর বড়ুয়া।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
facebook
সুমাদ্রী,
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
..................................................................
#Banshibir.
সুকি ও ইউনুস - তেনারা মহান ! এইসব পোকা - মাকড়া নিয়া টাইম নষ্ট করবেন ক্যান ! তারা বরং বিদেশে ঘুরে ঘুরে ভাষণ দিয়ে নিজ নিজ জাতি - দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবেন।
শান্তি পুরস্কার প্রাপ্তির কারণে সব বিষয়ে ড.ইউনুসের মতামত চান অনেকেই.. মতামত পত্রিকায় না দেখলে তাদের গায়ে জ্বালা, পেটে গ্যাস, মাথায় চুলকানি দেখা দেয়..নোবেল শান্তি পুরস্কারের অসাড়তা নিয়ে জিগির তোলেন
http://www.muhammadyunus.org/images/statement_03_october_2012.jpg
ড. ইউনুস রামু, উখিয়াতে হামলার তীব্র নিন্দা ও ঘৃনা প্রকাশ করেছেন.. হইসে এখন আপনাদের শান্তি? যাদের মন্দির পুড়ছে তাদের কি শান্তি হইসে?
সবাই বাঙ্গালের মত প্রতিক্রিয়াশীল না....দিনে দশটা স্ট্যাটাস লিখে, গলা ফাটিয়ে টেবিল চাপ্রে দেশ উদ্ধার করেন না... কেউ কেউ আছেন যারা কাজ করেন... এমন কিছু করেন যেটায় মগ্ন থাকেন... গ্রামের সাধারণ মানুষের এমন একটি উন্নয়ন আপনাদের তিলোত্তমা ১৪০ তম বসবাসযোগ্য নগরী ঢাকার বাইরে ঘটিয়েছেন.. যার কারণে আমার গ্রামে এখন আর বাড়িতে ঠিকা কাজ করার মহিলা পাওয়া যায় না ...সবাই আত্মউন্নয়নে ব্যস্ত
সে কী কথা! ইউনূস নোবেল পেলে যদি গোটা বাংলাদেশের মানুষের উচ্চতা, খোদ ইউনূসের জবানিতেই, দশফুট হয়ে যায়, তাহলে ইউনূসের প্রতিক্রিয়ার অভাবে বাংলাদেশের মানুষের পেটে গ্যাস হবে না কেন?
ইউনূস নোবেল পাওয়ার পর ১৪০ তম বসবাসযোগ্য নগরী ঢাকার রইস লোকজন যেরকম পরনের কাপড় মাথায় তুলে নেচেছিলো, আপনার গ্রামের বাড়ির আত্মউন্নয়নে ব্যস্ত মহিলারা সেরকম উচ্ছ্বসিত হন নাই, সেইটা বলতে ভুলে গেছেন মনে হয়।
ইউনূস কাজের চাপে মগ্ন থাকেন বলে দেশে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস নিয়ে কিছু বলার টাইম পান না? লতিফুর রহমানের মতো বেওসাদাররে তথাকথিত ব্যবসায় নোবেল পুরস্কার দিতে এসে তো দেখি ঠিকই গলাবাজি করার টাইম পান উনি। অবশ্য ঐটাও যদি কাজে মগ্ন থাকার অংশ হয়, তাহলে আলাদা কথা।
আপনার গ্রামের মহিলারা সম্ভবত ঠিকা কাজ করার জন্য ঢাকার বস্তিগুলিতে এসে উঠেছেন। ঢাকায় ঠিকা কাজের মজুরি বেশি, আত্মউন্নয়নের ব্যস্ততার চাপও বেশি। এর জন্য ইউনূসকে দায়ী করে ওনার ওপর রাগ করবেন না।
আস্তে কন ভাই,
জাফর ইকবাল স্যার আর আন্দালিব পার্থ গোস্বা হবেন কিন্তু!
নির্ঝর অলয়
প্রথমত, নোবেল শান্তি পুরস্কারের সাথে এমন কোনো ফর্মে সাক্ষর করে চুক্তিবদ্ধ হন নাই যে সকল শান্তি-শৃঙ্খলা বিষয় আলোকনায় উনাকে মোট দিতে হবে
দ্বিতীয়ত, উনি দেশের একজন নাগরিক হিসেবে মতামত দিয়েছেন উনার ওয়েবসাইটে..যার লিঙ্ক সরবরাহ করা হয়েছে
তৃতীয়ত, শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব যাদের তাদের ভূমিকায় সবচেয়ে বেশি প্রশ্নবিদ্ধ.. পুলিশ-র্যাবের এই নির্লিপ্ততা নিয়ে একটি 'বিশেষ দলের' প্রতি সহানুভূতিশীলরা অদ্ভুত কারণে নিশ্চুপ
প্রথমত, নোবেল শান্তি পুরস্কারের সাথে তিনি এমন কোনো ফর্মেও স্বাক্ষর করে চুক্তিবদ্ধ হন নাই যে সকল অশান্তি বিষয়ক আলোচনায় তিনি মৌন মেরে নিজের কাজে মগ্ন থাকবেন।
দ্বিতীয়ত, উনি দেশের নাগরিক হিসেবে যে মতামত দিয়েছেন, সেটা পত্রিকাতেও এসেছে, ওপরে ৬৭ নাম্বার মন্তব্যে (এই নাম্বার আবার পরিবর্তনশীল, কাজেই এখনই দেখুন) সেটা আগেই অ্যাকনলেজ করা হয়েছে।
তৃতীয়ত, শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ ড়্যাবের নির্লিপ্ততা বিষয়ে আপনি একটা পোস্ট দিন। সেই পোস্টে কোনো বিশেষ দলের প্রতি সহানুভূতিশীলেরা নিশ্চুপ হয়ে থাকলে তারপর তৃতীয় পয়েন্টটা ইলাবোরেট করেন। এই পোস্টে আলোচ্য আমাদের মহাজন স্যার। মহাজন স্যারকে নিয়ে দুই কথা বলার আগে যদি পুলিশ ড়্যাবকে নিয়ে চার কথা বলতে হয়, তাহলে একটা পোস্ট লিখে সেই চার কথা বলার সুযোগ করে দিন।
প্রথমত, নোবেল শান্তি পুরস্কারের সাথে তিনি এমন কোনো ফর্মেও স্বাক্ষর করে চুক্তিবদ্ধ হন নাই যে সকল অশান্তি বিষয়ক আলোচনায় তিনি মৌন মেরে নিজের কাজে মগ্ন থাকবেন।
হাহা। তাহলে ওনার চুপ থাকার অধিকারও নাই? পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পাইলে তারে পদার্থ বিজ্ঞানের সকল শাখা-প্রশাখায় লাফঝাপ দিতে হবে? হাসাইলেন।
হেহে। ওনার চুপ থাকার অধিকার আছে, সুযোগ নাই। আর পদার্থবিজ্ঞানের কোনো দেশ-জাতি নাই, শান্তির আছে। বাংলাদেশের একমাত্র শান্তিতে নোবেল লরিয়েট বাংলাদেশের অশান্তি নিয়ে চুপ মেরে থাকবে, সেইটা আপনার কাছে স্বাভাবিক মনে হতে পারে, কিন্তু ব্যাপারটা খুবই অস্বাভাবিক আর লজ্জাস্কর। বিশপ ডেসমন্ড টুটু সেই চুরাশি সালে নোবেল পাইছিলো, এখনও সে সারা দুনিয়ায় শান্তি-অশান্তি নিয়ে দৌড়ের উপর আছে। খালি তার নিজের ঘরের ইস্যু না, ইরাক আফগানিস্তান নিয়েও সে টোনি ব্লেয়াররে চিবি দিয়ে ধরে বসে আছে। আমরা ইউনূসের কাছ থেকে হন্ডুরাস বা পূর্ব তিমুরের অশান্তি নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাই না, বাংলাদেশে এবং অলমোস্ট ইউনূসের ঘরের কাছের অশান্তি নিয়ে তার প্রতিক্রিয়া শুনতে চাই। ইউনূসের ভাই ইব্রাহীম তো নিজেরে রোহিঙ্গাদের আত্মীয় বইলা আর্টিকেল পর্যন্ত লেইখা বসছে। কাজেই এই ইস্যুটায় ইউনূসের আত্মীয়রাও একরকম জড়িত, নাকি বলেন?
আর ইউনূস কেমন লোক, সেইটা তার ফ্যানদের দেখে মাঝেমধ্যে টের পাওয়া যায়। অশান্তি বিষয়ে ইউনূসের ব্রন্টোসরাসীয় হিরন্ময় নিস্তব্ধতারে জায়েজ করার জন্য তারা পাগল হয়ে ওঠে একেবারে। ভাগ্যিস ইউনূস মুখটা খুলছিলো, নাইলে আরো পাগলামি দেখতে হইতো।
আর বিজ্ঞানের কোনো শাখায় নোবেল পাইলে, সেই শাখায় পরবর্তী গবেষণা নিয়ে লরিয়েটের প্রতিক্রিয়া সবাই আশা করে। সবাই তো ইউনূস না। জেমস ওয়াটসন ঊনষাট বছর আগে ডিএনএর স্ট্রাকচার বের করে নোবেল পাইছে, এখনও তারে লোকে জেনেটিক্সের উপর সাম্প্রতিক গবেষণা নিয়ে বক্তৃতা দিতে ডাকে। বেক্কলের হাসি তিন প্রকার, দেখে হাসে, শুনে হাসে, না বুঝে হাসে। আপনারে হাসানোর জন্য আমারই আপসোস হইতেছে।
পুনশ্চ: মহাজনের সাথে জানপেহচান থাকলে তারে বইলেন নতুন একটা পিআর অফিসার নিয়োগ দিতে, বা এখন যে পিআর অফিসার আছে তাকে শেখাতে, কথাটা "হামলার স্বীকার" না, "হামলার শিকার"। নোবেল লরিয়েট যখন ভুল বানানে লেখা বিবৃতিতে সই করে, সেটা একটা বাজে উদাহরণ তৈরি করে।
এই একই লেখা আপনার খোমাখাতার স্ট্যাটাস এ দিয়া আপনে দেখলাম বিপ্লব করতেছেন !! আর কেউ বিপ্লব করেলই চুলকানি কেন? বিপ্লব কি আপনার একার?
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
নতুন মন্তব্য করুন