গতকাল মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে একটি ঘটনা ঘটিয়েছে সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। প্রকাশ্য দিবালোকে শত শত মানুষ এবং টিভি ক্যামেরার সামনে তারা কুপিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলছে বিশ্বজিৎ দাস নামের এক যুবককে। এখন প্রযুক্তির যুগ।তুমুল গতিতে এ সংক্রান্ত ছবি এবং ভিডিও বাংলাদেশের আনাচে কানাচে, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে দেরী হয়নি।
যারা বিশ্বজিত হত্যার ভিডিওটি বা ছবিগুলো দেখেছেন তারা সবাই একবাক্যে স্বীকার করবেন যে ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক এবং বর্বোরচিত। খবরে পাওয়া সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, যারা এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছেন তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্র এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। ছাত্রলীগের এমন অবিবেচক কর্মকাণ্ড এবারই প্রথম নয়। সরকারের গত চার বছরে বিরোধী দলের আন্দোলন সংগ্রাম যতো না আলোচিত তার চেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল এবং আছে- ছাত্রলীগ। শুধু সাধারণ মানুষ নয়, সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সংশ্লিষ্ট অনেকেই এক বাক্যে স্বীকার করেন যে আগামী নির্বাচনে শুধু এক ছাত্রলীগের কারণেই আওয়ামী লীগের পতন হতে পারে।
ছাত্রলীগের কিন্তু তা নিয়ে কোন মাথাব্যথা নেই। তারা নিবিষ্ট মনে তাদের অছাত্রসুলভ কাজ করে যাচ্ছে, পত্রিকাতে নিয়মিত নেগেটিভ খবর হচ্ছে। দেশের প্রাচীন ছাত্রসংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগের যে যে সোনলী ঐতিহ্য আছে বর্তমান ছাত্রলীগের কর্মীরা তা ধূলোয় মিশিয়ে কবরে পাঠিয়ে দিচ্ছে।
বাংলাদেশের যে ছাত্র সংগঠনগুলো আছে তার ভেতর ছাত্রশিবির অনেক আগে থেকেই কুখ্যাত। ৭১ এর রাজাকারদারদের সমর্থনে রগ কেটে, মানুষ জবাই করে জামাত শিবির একটি বিশেষ ব্রান্ডে পরিণত হয়েছে, যার নাম শুনলেই মানুষ আতঙ্কে জমে যায়। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ছাত্রলীগ শিবিরের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশ্বজিতকে ওভাবে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারার পর ছাত্রলীগকে যদি কেউ ছাত্রশিবিরের সাথে গুলিয়ে ফেলেন তাতে এখন আর অবাক হবার কিছু নেই।
ছাত্রলীগের এই অবক্ষয়ের কারণ হিসেবে অনেকে সংগঠনটির ভেতর শিবির ঢুকে পড়ার কথা বলে থাকেন। এ বিষয়ে আমার একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করা প্রয়োজন বলে মনে করছি। ২০০০ সালে আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই, আমার ছাত্রাবাস সার্জেন্ট জহুরুল হক হল তখন ছাত্রলীগের দখলে ছিল। বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর হলটি ছাত্রদল দখল করে নেয়। তাদের ঘাড়ে চেপে আসে শিবির। হল দখল হতে না হতেই ছাত্রলীগের একদল নেতা শিবিরে যোগ দেয়। পরে জানা যায় যে এরা প্রথম থেকেই ছাত্রলীগের ভেতর শিবিরের এজেন্ট হিসেবে কাজ করতো। আরেকদল যোগ দেয় ছাত্রদলে। বাকিরা হল ছেড়ে পালায়। অর্থাৎ ছাত্রলীগে যে ঘাপটি মারা শিবির আছে এটা জ্বলজ্যান্ত সত্যি, কোন ধরনে প্রপাগান্ডা নয়। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই একবার রব উঠেছিলো যে ছাত্রলীগের নেতৃত্বেই শিবিরের লোকজন আছে।
এ প্রসঙ্গ ধরেই পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ ও ছাত্রলীগে শিবির ঢুকে পড়েছে টাইপের বক্তব্য দিয়েছিলেন। তার ওই বক্তব্যের পর ছাত্রলীগের দেখভাল করার দায়িত্বে থাকা নেতাদের ভেতর রদবদল করা হয়।অনেকে ভেবেছিল এবার হাইকমান্ড ছাত্রলীগে শুদ্ধি অভিযান চালানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করবে। কিন্তু কীসের কী! সংগঠনটি যা ছিল তাই আছে। দল ক্ষমতায় আসা মাত্রই তারা হয়ে উঠেছে ঘাপটি মারা জামাত শিবির আর বখাটে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য। এই সন্ত্রাসীরা আবার যখন যে দল ক্ষমতায় যায় সে দলে ভিড়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে আমি ছাত্রদলের ভেতর এসব সন্ত্রাসীর আনাগোনা সবচেয়ে বেশি দেখেছি। ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপির ধারণা ছিল বিরোধী দলকে মোকাবিলায় তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলই যথেষ্ঠ। ১৯৯৬ ও ২০০৬ সালে ক্ষমতা হারানোর পর সেই পরাক্রমশালী ছাত্রদলের চিহ্ণও খুঁজে পাওয়া যায়নি। সন্দেহ নেই গা বাঁচাতে ছাত্রদলের সুবধাবাদী অনেকেই এখন ভোল পাল্টিয়ে ছাত্রলীগের বেশ নিয়েছে। এবং সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে খাওয়া নেতাকর্মীদের পাশাপশি দলের আদর্শহীন এসব কর্মীই, কেবল ছাত্রলীগকে নয় পুরো সরকারকে ডোবাচ্ছে।যার ফলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের দাবীতে ছাত্রশিবির যখন আদাজল খেয়ে সংঘবদ্ধভাবে মাঠে নেমেছে। রাজপথে জ্বালাও পোড়াও করছে। তার বিপরীতে ছাত্রলীগের কোন সক্রিয়তা নেই, কোন কর্মসূচী নেই। নিরীহ পথচারীদের কুপিয়ে বা স্কুল বালিকার ওড়না টান মেরে বা সাধারণ ছাত্রদের ভর্তি ফি কমানোর আন্দোলনে হামলা করে পত্রিকার শিরোণাম হতে পে্ই তারা বেশি আনন্দিত! এ কারণেই আওয়ামী লীগও ক্ষমতা হারালে ছাত্রলীগকে কোথাও আর খুঁজে পাওয়া যায় না। ১৯৭৫ সালের পর বলি আর ২০০১ সালের বিপর্যয়ের পর বলি, ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগকে ঝড় সামলাবার মতো কোন রসদই যোগান দিতে পারেনি। বলা বাহুল্য যে আওয়ামী লীগও ক্ষমতা হারালে ছাত্রলীগের অবস্থা এবার তার চেয়েও হাজার গুণ খারাপ হবার সম্ভাবনা প্রবল।
ছাত্রলীগের এসব নেগেটিভ কর্মকাণ্ডে না দলের না সরকারের না জনগণের লাভ হচ্ছে। এমনকী সাধারণ মানুষ যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে জনমত সৃষ্টির জন্য রাত দিন খেটে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলছে তাদের সব পরিশ্রমই ছাত্রলীগের চাপাতির নিচে চাপা পড়ে যাচ্ছে। এতে আখেরে যুদ্ধপরাধীদের পক্ষের শক্তিরাই লাভবান হচ্ছে। তারা জানে, কোন রকমে একবার বিচার কাজ ঠেকানো গেলে ভবিষ্যতে কারো পক্ষেই এই বিচার করা আর সম্ভব হবে না। তাই তারা দেশে বিদেশে কোটি কেটি টাকা খরচ করে, এর ওর ওপর গোয়েন্দাগিরি করে, এই রাষ্ট্র ওই রাষ্ট্রের মাধ্যমে অনৈতিক চাপ দিয়ে এই বিচার প্রক্রিয়াটি ভণ্ডুল করতে মরিয়া। প্রয়োজনে তারা সারা দেশে আগুন ধরিয়ে দিতে পিছ পা হবে না বলেও ঘোষণা দিয়েছে। হতাশার কথা হচ্ছে, তাদের এতোসব কূটকৌশলে মানুষ যতো না বিভ্রান্ত হচ্ছে তার চেয়ে বেশি হচ্ছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে। আর এ কারণেই গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জামাত শিবির সারা দেশে যে অবিশ্বাস্য ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করলো, বিশ্বজিত হত্যার মাধ্যমে তার পুরোটাই ছাত্রলীগ আড়ালে পাঠিয়ে দিয়ে নিজেরাই খলনায়ক বনে গেল! এমনকী বিরোধী দলও এই সুযোগে তাদের অবরোধ ডাকাকে জায়েজ প্রমাণ করে নিয়ে আরেকটি বাড়তি হরতাল জনগণের উপর চাপিয়ে দিল!
ছাত্রলীগের এমন হঠকারী আচরণ আজকের নয়। গত ৪ বছরে কারণে অকারণে বহুবার তাদের কারণে সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছে। তারপরও সরকারের হুশ হয় নি। অথচ অনেক আগে থেকেই ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের দল থেকে বহিষ্কার করে বিচারের মুখোমুখি করলে আজ ছাত্রলীগের কারণে আওয়ামী লীগকে এতো দুর্নাম কুড়াতে হেতো না। এমনকী বিশ্বজিত হত্যার পরপরই যদি সরকার দলীয় পরিচয় বিবেচনা না করে খুনিদের ধরে বিচারের আওতায় আনতো তাহলেও মানুষ সাধুবাদ জানাতো, নিশ্চিন্ত বোধ করতো, গত ৪ বছরে সরকারের করা ভুলগুলোকেও তারা নিরীহ চোখে দেখতো।তা না করায়, মাত্র ৫ মিনিটের একটি ঘটনার কারণে মানুষ আওয়ামী লীগের গত ৪ বছরের আমলনামা ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে দেখতে শুরু করে দিয়েছে, যা রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের জন্য চরম অশনী সংকেত।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব যদি মনে করে “যুদ্ধাপরাধীদের বিচার” এই ইস্যুটির কারণেই মানুষ তাদেরকে সমর্থন দিয়ে যাবে, তা ভুল। মুক্তবুদ্ধির মানুষেরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অবশ্যই চায়। তার পাশাপাশি মানুষ আইনের শাসন চায়,ব্যক্তিগত জানমালের নিরাপত্তা ও স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চায়। এবং সেটি নিশ্চিত করতে হলে ছাত্রলীগকে আগে সামলানো প্রয়োজন।ছাত্রলীগে শিবির ঢুকে স্যাবোটাজ করছে এ ধরণের কথা বলে পার পাবার সময় পার হয়ে গেছে।নিজেদের ছাত্র সংগঠনে যদি শিবির ঢুকে শেকড়বাকড় গেড়ে থাকে তবে তা দূর করার দায়িত্ব স্বয়ং আওয়ামী লীগের, আম জনতার নয়।এই অবস্থায়, দুষ্ট গরুর চেয়ে শূণ্য গোয়াল অনেক ভালো এটি আওয়ামী নেতৃত্ব যতো তাড়াতাড়ি বুঝবে ততো তাড়াতাড়িই তারা তাদের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছুতে পারবে। তা না হলে ছাত্রলীগের বিশ্বজিত হত্যার মতো ৫ মিনিটের কর্মকাণ্ডে সরকারের প্রতি জনসমর্থনের পারদ যে টুকু অবশিষ্ট আছে আগামী এক বছরে তা দিনকে দিন কমতেই থাকবে। আর যেহেতু দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ইতিমধ্যেই যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে মাঠে নেমেছে সেহেতু আওয়ামী লীগের লক্ষ্যে পৌঁছানোটা যুদ্ধাপরাধী মুক্ত বাংলাদেশের জন্য কেন একান্ত প্রয়োজন, তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
১১/১২/২০১২
সিডনি, অস্ট্রেলিয়া।
মন্তব্য
ফেসবুকে অধিকাংশ ছবি ও সংবাদে হামলাকারীদের পরিচয় দেওয়া হয়েছে ছাত্রলীগার বলে। আবার আপনার ফেসবুকে প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটা ছবি দেখলাম যেখানে একজন শিবিরের মহানগর কমিটির একজনকেও হামলায় দেখা যাচ্ছে। এই কোলাবরেশন কিন্তু ভয়াবহরকম উদ্বেগজনক, যদি সত্যি হয়।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
তাই যদি হয়, তাহলে অন্তত শিবিরের ওই নেতাকে ধরেই আদালতে হাজির করুক পুলিশ বা সরকার। তাদের এই নিরবতা অথবা অহেতুক হম্বি তম্বি দেখতে তো ভালো লাগেনা আর।
কারই বা এসব ভালো লাগে বলুন।
মূর্তালা রামাত
এটি সত্যিই উদ্বেগজনক- যদি সত্যি হয়। ধন্যবাদ।
মূর্তালা রামাত
মূর্তালা রামাত
লীগের কর্তাদের মাঝেও কি শিবির ঘাপটি মেরে বসে আছে নাকি! তানা হলে সাধারন মানুষ যা সহজেই বুঝে ফেলে তা বুঝতে তাদের এত কষ্ট কেন?
আমারও এটা মনে হয়।
মূর্তালা রামাত
বিশ্বজিতের খুনীদের মধ্য অন্তত একজন ছাত্রলীগার আছে যার পরিবারের সবাই বিএনপি করে। যেহেতু সে পিওর ছাত্রলীগ না, অতএব বিশ্বজিতকে হত্যা ছাত্রলীগকে ফাঁসানোর জন্য হতেই পারে। ছাত্রলীগ আর মেইড অফ গোল্ড। দে আর আওয়ার গোল্ডেন সানস।
এইটা কি রসিকতা করলেন না কি?
১৫ জন ছাত্রলীগ কর্মী, একজন শিবির, একজন বিএনপি পরিবারের ছাত্রলীগ। তাহলে তো ছাত্রলীগের কোন দোষ ই নাই। !!! অবুঝ বালকদের দিয়ে এটা ষড়যন্ত্র করে করিয়েছে শিবির আর বি এন পি। তাইনা????
রায়হান
ছাত্রলীগ আর মেইড অফ গোল্ড। দে আর আওয়ার গোল্ডেন সানস।------------খাটি কথা!
মূর্তালা রামাত
জ্বী, চোরের সাক্ষি গাটকাটা।
পিপি ভাই, মাত্র একজন ননপিওর ছাত্রলীগার এতগুলা পিওর ছাত্রলীগার কে প্রভাবিত করে একজন মানুষ খুন করায়ে ছাত্রলীগকে ফাঁসাইলো, এটা কতখানি অসম্ভব ব্যাপার আপনি হয়তো নিজেই বুঝতে পারতেছেন। এতগুলি মাস্টার্সের ছাত্র, সবাই কি গু খায় নাকি?
যাই হোক, আপনার কথায় আন্দাজ করি, আপনি এককালে ছাত্রলীগের সাথে ঘনিষ্ঠ ছিলেন বা এখনও আছেন। ছাত্রলীগ নামের প্রতি আপনার এই অপত্য স্নেহ দেখে তাই মনে হয়। তবে দুইটা প্রশ্ন ছিলো
১। ছাত্রলীগ আর মেইড অফ গোল্ড, এইটা আপনি কিভাবে সার্টিফাই করেন? ছাত্রলীগ একটা বিশাল অর্গানাইজেশন। মানুষের দানের টাকায় এইটা চলে না, আপনিও জানেন আমিও জানি। এই টাকাটা জোগাড় করার জন্য লীগের সন্ত্রাসী অংশ কি কি বেআইনি কাজ করে তাও প্রায় প্রত্যেকদিন পেপারে আসে। তারপরও, দে আর আওয়ার গোল্ডেন সানস?
২। যেই কাজ পুলিশ পারে না, সেই বিরোধীদলেরে মাঠে থামানোর কন্ট্রাক্ট মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিছেন স্নেহের ছাত্রলীগরে। এই মহৎ কাজ করতে গিয়া দুই একটা ছোটলোকের বাচ্চা মারলে আসলে তাদের কোন দোষ নাই, মিস্টেক হ্যাপেনস। কিন্তু যখন দায় স্বীকার করার প্রশ্ন আসে, তখন ছাত্রলীগ নামের ওপর কালি লাগার ভয়ে খুনিরা হয়ে যায় বহিষ্কৃত সদস্য, যারা আবার নিয়মিত দলের সভা সমাবেশে যোগ দেয়। দোষ করলে সেইটা স্বীকার কইরা পরবর্তীতে সেটা অ্যাভয়েড করাই কি সভ্যতার শিক্ষা না? ছাত্রলীগ দোষ করে নাই বা করে না, এইটা কোন বিচার আপনার?
আপনি যদি আসলে স্যাটায়ার কইরা থাকেন, তাইলে দয়া কইরা একটা ডিসক্লেইমার দিয়েন আমার মত গাধা পাবলিকের জন্য। আদারওয়াইজ, ছোট হইলেও একটা জবাব দিয়েন। আমার জন্য এইটা ইম্পরট্যান্ট। ভালো থাকেন।
ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কথা বলে বিপদে পড়তে যাবো কোন দু:খে। দেশে মা বাবা থাকে, নিজেও একসময় ফিরতে পারি।সবার কথাই তো ভাবতে হবে। বিশ্বজিত বাঁচলেই কি আর মরলেই কি। আমরা প্রত্যেকেই একেকজন বিশ্বজিত নই কি?
আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্র তখনকার ছাত্রলীগের সভাপতি আমাদের ডিপার্টমেন্টে এসেছিলেন তাদের পক্ষ থেকে নবীন বরণ করতে। তিনি আমাকে বলেননি তার দলে যোগ দিতে বা ছাত্রলীগ করতে; তিনি বুকে চাপড় মেরে বলেছিলেন "ফার্স্ট হতে হবে"। খুব বেশীদিনের কথা নয় এটি। সে সময়েও ছাত্র রাজনীতি খুব যে ভালো ছিল তা নয়, কিন্তু উল্লেখযোগ্য কিছু মানুষও তখন ছাত্র রাজনীতি করতেন। এত তাড়াতাড়িই সেসব ইতিহাস হয়ে যাবে এমনটি ভাবিনি।
অনেক ধন্যবাদ ব্যাপারটা ক্লিয়ার করার জন্য পিপিদা। আপনার লেখা, মন্তব্য পড়ে আপনাকে যতদূর চিনেছি, তার সম্পূর্ণ বিপরীত ছিলো উপরের মন্তব্যটা, আমি তাই আসলে একটু ঘাবড়ে গেছিলাম। আমি বোকাসোকা মানুষ, কিন্তু এত বড় ভুল করেছি মানুষ চিনতে এটা মেনে নিতে পারছিলাম না।
একই পরিবারে লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি সমর্থক থাকা এদেশের ঐতিহ্য। আন্দালিব পার্থ হচ্ছে উৎকৃষ্ট প্রমাণ।
মূর্তালা রামাত
শিরোনাম দেখে চট করে মনে হল, আহা, ছাত্রলীগের সোনামাণিক বেচারারা মাত্র ৫ মিনিটের এই কাজটা করে একেবারে বেকায়দায় পড়ে গেছে, নাহলে তো এই দুধের বাচ্চারা ভালই ছিল!
ভেতরে দেখলাম, না, স্বীকার করেছেন, যে গত ৪ বছরেও এই সোনামাণিকেরা একটু আধটু দুষ্টামি করেছে। কিন্তু শিবিরের ইনফিল্ট্রেশনের কাহানী আর "ওরাও তো পচা, আমি করলেই দোষ" টাইপের যুক্তিও দিয়েছেন দেখে একটু হাসলাম। চাঁদাবাজ, নারী উত্ত্যাক্তকারী আর মাদকখোর ক্রিমিনালদের অভয়ারণ্যে পরিণত হওয়া ছাত্রলীগ যে শিবির কানেকশন ছাড়াই বিরোধী-দল মনে করে কাউকে অবলীলায় পিটিয়ে মারতে পারে, সেটা নিয়ে বিন্দুমাত্রও সন্দেহ করার কিছু নেই।
শুধু বিরোধী দল না, নিজেদের দল কিন্তু অন্য গ্রুপের লোক হলেও এরা একই কাজ করতে পারে। ঘাপটি মেরে থাকা শিবির তত্ত্ব দিয়ে যারা এটাকে হালকা করতে চাচ্ছেন তাদের প্রতি ঘৃণা।
আমার লেখায় কিন্তু স্পষ্ট বলা যে শিবির তত্ত্ব দিয়ে পার পওয়ার দিন শেষ। যারা শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে সচেষ্ট তাদেরকে বলদ ছাড়া আর কিছু বলার নেই।
মূর্তালা রামাত
তাতো অবশ্যই নেই। এবং শিবির যে ছাত্রলীগে আছে তা নিয়েও সন্দেহের অবকাশও নেই। "ওরাও তো পচা, আমি করলেই দোষ” এই ধরনের কথা বলে শিবিরকে যতোভাবেই ডিফেন্ড করার চেষ্টা করুন না কেন, লাভ নেই----আজ ছাত্রলীগ যে দুর্নাম কামাচ্ছে, জন্মলগ্নের আগে থেকেই শিবিরের নামের সাথে তার চেয়ে ভয়াবহ দুর্নাম জড়িয়ে আছে। শিবিরেরর সম্প্রতিক কর্মকান্ডও জনবিরোধী এবং হিংসাত্মক। চেষ্টা করলেও তাই মানুষের মন থেকে শিবিরের চিরস্থায়ী ব্রান্ড বদলানো সম্ভব না।আপনার জন্য দুঃখই হচ্ছে। ধন্যবাদ।
মূর্তালা রামাত
"শিবিরেরর সম্প্রতিক কর্মকান্ডও জনবিরোধী এবং হিংসাত্মক" শুধু সাম্প্রতিক কেন, তাদের অতীতের কর্মকান্ডও যে প্রবল রকমের জনবিরোধী এবং হিংসাত্মক, তাতে সন্দেহ নেই---তার উদাহরণ সচলেই বিস্তারিত লেখা হয়েছে এই সেদিনও।
তবে হাসি পায় যখন ছাত্রলীগের এই কর্মকান্ডের আলোচনা করতে গিয়ে শিবিরের দোষটুকু বড় করে দেখানোর প্রয়োজন হয়, আর লেখার সমালোচনা করলেই সেটাকে আড়েঠারে শিবিরের পাশে নিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়, ঠিক যেমনটা আপনার মন্তব্যে আপনি করলেন।
আর আমার জন্য দুঃখ করে লাভ নেই, সেটা বরং তুলে রাখতে পারেন আরো জরুরি কাজে। দেশের কিছু প্যাঁচালো রাজনীতিবিদদের দেখি, তাদের কাজের সমালোচনা করলেই সেটা বিরোধী দল/অপ্রিয় দলের ষঢ়যন্ত্র, এমন মনেভাব নিতে। সেই সস্তা টেকনিক একজন সচলের কাছ থেকেও দেখতে হবে, এমন ভাবিনি।
ধন্যবাদ।
---দিফিও
শিবিরের দোষ বড় করে দেখানোর কি দেখলেন বুঝলাম না! কমপেয়ার অ্যান্ড কনট্রাস্ট করতে গেলে এই নৃশংসতার সাথে শিবিরেরই তুলনা চলে। আর আমি লেখায় কিন্তু কোথাও বলি নাই যে শিবির ছাত্রলীগে ঢুকে এই কাজ টা ঘটিয়েছে। আমার লেখায় স্পষ্ট যে ছাত্রলীগই ঘটনা ঘটিয়েছে এবং এ কথা ভুল নয় যে ছাত্রলীগ ইটসেলফ পলিউটেড। আমি নিজেই নিজেই ষড়যন্ত্র খুঁজে নিলে আমার কিছু বলার নেই। আর আপনার মন্ত্রব্যটি আবারও পড়ার পর আবারও মনে হলো আপনি শিবিরের প্রতি সহানুভূতিশীল। আমার বোঝার ভুল হলে ক্ষমা করবেন। ধন্যবাদ।
মূর্তালা রামাত
ওহ , আপনার মন্তব্য আবার পড়লাম, আপনি তো আড়েঠারে না, একেবারে সোজাসুজিই বলেছেন, যে আমি শিবিরকে "ডিফেন্ড করার চেষ্টা " করছি
বেশ, বেশ।
সরকার এখনো পরিস্থিতি নিজেদের অনুকূলে নিতে পারে যদি বিশ্বজিতের খুনীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়। মানুষ দেখবে যে সরকার এই হত্যার বিচারে আগ্রহী, আর যদি সত্যিই ছদ্মবেশী শিবিররা করে থাকে তাহলে শাস্তিও হলো গোয়ালও খালি হলো। স্বজনপ্রীতি এখন বিপদ ছাড়া আর কিছুই আনবে না।
ছদ্মবেশী শিবির না হয় খুঁজে বের করলেন। ছাত্রলীগের আদর্শবিহীন সুবিধাবাদী নেতা কর্মীদের নিয়ে কি করবেন?
মূর্তালা রামাত
আমার উত্তরটা এই বিষয়কে কেন্দ্র করে দেয়া। আমি কোন দলের নই, অন্যায় যে কেউই করুক না কেন তার বিচার হওয়া উচিৎ, কিন্তু সেটা বাস্তবে হলে বাংলাদেশের অনেক সমস্যাই ঠিক হয়ে যেত।
ছাত্রলীগের ভিতর যদি শিবির লুকিয়ে থাকে সেই দোষটা কার?
এক পরিবারে লীগ, দল, জামাত সব পার্টির লোকই আছে এমন উদাহরণ ভুরি ভুরি। সাকার পরিবারের একজন কিন্তু লীগের ব্যানারেই নির্বাচন করে। ওরা ঠিকই মিলেমিশে থাকে,চুনোপুঁটিরাই নিজেরা নিজেরা বিদ্বেষ পুষে মারামারি করে।
শিবির নিশ্চিহ্ন হোক চাই। কিন্তু আর কেউ নূতন শিবির হয়ে উঠুক সেইটাও কামনা করি না।
এতো শিবিরের প্রতি বিদ্বেষ পুষেও কয়টা শিবির মেরেছে ছাত্রলীগ শুনি? তার চেয়ে নিজেদের গ্রুপিং আর সাধারণ লোকজনের উপরই চড়াও হয়েছে ঢের। এসব সুকর্মের জন্য যদি ইলেকশনে জনগণ লীগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে আমজনতার আমসত্ত্ব বের হতে বেশি দেরি হবে না !
ছাত্রলীগের অবক্ষয়ের জন্য শিবির এর দরকার নেই , শিবির এর মদদ ছাড়াই ছাত্রলীগ যথেস্ট পরিমাণে জানোয়ারের মতো কাজ করেছে আগেও, এখনও করছে, ভবিষ্যতেও করবে।
আফসোস লাগে সেইসব তরুণদের জন্য যারা দিনরাত এক করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এদের বেশিরভাগই ছাত্রলীগও পুছে না, রাজনীতিও পুছে না। শুধুমাত্র রক্তের টানে ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়িয়ে কাজ করে যাচ্ছে ৭১ এর শুয়োরদের বিচারের জন্য। ছাত্রলীগের জানোয়াররা এইরকম একেকটা কাজ করে আর এদের কাজটাকে আরও পিছিয়ে দেয়। সেইসাথে তাওয়া গরম পেয়ে পরোটা ভাজতে বসে যায় শিবির এর সুযোগ সন্ধানী জানোয়ারেরা।
http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=8adc98efd93ee04adf65acbf2031e934
এই রিপোর্ট সহ আরো অনেক লেখা থেকে অন্তত এটা তো জানা গেছে ঘটনার মূলে যারা তাদের নাম। এরা কোন বালের লীগ, বালের দল করে, না শিবির করে সেটা নিয়ে ত্যনা পরে পেচিয়ে আগে এই জানোয়ারদের ফাসিতে ঝুলানো হোক। একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে ছাত্রলীগের রেপুটেশন নিয়ে আমার মাথা ব্যথা নেই, ঐটা রক্ষার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের। সুতরাং কোন জানোয়ারটা কোন দলের এটা নিয়ে নানা লোকে তর্ক করতে থাকুক। যেটা নিয়ে তর্কের কোন অবকাশ নেই তা হচ্ছে এরা জানোয়ার, এদের সরাসরি ফাসিতে ঝুলানো হোক যত দ্রুত সম্ভব।
যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ইস্যু নিয়ে লড়ে যাচ্ছে তারা লীগ, দলকে থোরাই কেয়ার করে, আর এজন্যই এতদিন পরে হলেও আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে একটা ভালো কিছু আশা করছি। চরম উদাস ভাইয়ের কথায় সহমত।
জানোয়ার ছাত্রলীগ আর বরাহপোনা শিবির এর মধ্যে আগেও কোন পার্থক্য ছিলো না, এখনও নেই। বঙ্গবন্ধু বেচে থাকতেই কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কুখ্যাত 'সেভেন মার্ডার' হয় যার হোতা ছিলো শেখ মনি। ছাত্রলীগ কখনোই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে চলেনি এরপরে আর, চলেছিলো শেখ মনির কুমন্ত্রনায়।
"জানোয়ার ছাত্রলীগ আর বরাহপোনা শিবির এর মধ্যে আগেও কোন পার্থক্য ছিলো না, এখনও নেই"। - একদম একমত নই ।
"ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কুখ্যাত 'সেভেন মার্ডার' হয় যার হোতা ছিলো শেখ মনি" - রেফারেন্স?
মূর্তালা রামাত
যেতদূর জানি সেভেন মার্ডার এর হোতা ছিল শফিউল আল প্রধান। জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির নেতা। সেভেন মার্ডার ঘটনায় সে জেলে ছিল। পরে জিয়াউর রহমান এসে তাকে মুক্তি দেয়। শেখ মনির ঘটনাটা কি একটু বলবেন?
মূর্তালা রামাত
_____________________
Give Her Freedom!
তবে আমার আফসোস লাগেনা - যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য কাজ করছে তারা নিজেদের দ্বায়িত্ব মনে করেই করছে - ভালবাসার থেকেই করছে ।
এ প্রসঙ্গে সচল আকতার ভাই এর এটি ছড়া -
বিশ্বজিতের খুনের দায়টা লীগের
এটা সাধারণ জনতার কোন দায় না
জনগণ চায়- খুনিদের ধরা হোক
শুয়োরের দায় জনগণ নিতে চায় না!
“বিশ্বজিতের খুনের দায়টা লীগের...
প্রশ্নবিদ্ধ বিচার করুন বন্ধ...
মানবতা আজ বিপন্ন সারাদেশে ..."
বাতাসে ছাগুর বিকট বোটকা গন্ধ!
মূর্তালা রামাত
সুতরাং কোন জানোয়ারটা কোন দলের এটা নিয়ে নানা লোকে তর্ক করতে থাকুক। যেটা নিয়ে তর্কের কোন অবকাশ নেই তা হচ্ছে এরা জানোয়ার, এদের সরাসরি ফাসিতে ঝুলানো হোক যত দ্রুত সম্ভব।-------সেটাই
মূর্তালা রামাত
চরম উদাস বলেছেনঃ
সহমত
কিছু বলার নাই। হত্যাকারীদের দলীয় পরিচয় নিয়ে তাদের রক্ষার চেষ্টা আর কত!
এই একটা ঘটনায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ায় জনসমর্থনকে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করে দিলো তার হিসেব ইতিহাস জানবে, আমরা বরং সমগ্র সাহস আর বুকভরা আশা নিয়ে বসে থাকি একটা ভাল কিছুর জন্য।
মূর্তালা রামাত
দুঃখজনক হলেও খাঁটি কথা!!!
ইনটারেসটিং। চরোম লিখেসেন ভাই :)
জনাব মূর্তালা, এমন নগ্ন সাফাই না গাইলেও পারতেন।
সন্ত্রাসীরা সবসময়ই সরকারের অংশ হিসেবে নিজেদের বাঁচাতে কিংবা ফায়দা লুটতে চেয়েছে। শিবির নামের কীটগুলোকে সপরিবারে চেনার পরও ছাত্রলীগের মূল অংশের সঙ্গে একাত্ম করার কাজটি নিশ্চয়ই জামাতী নেতারা করে দেয়নি!
আমাদের দেশে রাজনীতির মানুষগুলো অন্ধ হয়ে যায় নাকি অন্ধ মানুষেরা রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয় বুঝে উঠতে পারছি না।
নগ্ন সাফাইয়ের পয়েন্টটা একটু লেখা থেকে ধরায় দেনতো, আমিও আপনার মতো করে একটু বোঝার চেষ্টা করি!
সন্ত্রাসীরা সবসময়ই সরকারের অংশ হিসেবে নিজেদের বাঁচাতে কিংবা ফায়দা লুটতে চেয়েছে।- এটা আমার লেখায় স্পষ্টভাবে আছে।
শিবির নামের কীটগুলোকে সপরিবারে চেনার পরও ছাত্রলীগের মূল অংশের সঙ্গে একাত্ম করার কাজটি নিশ্চয়ই জামাতী নেতারা করে দেয়নি!- আপনার সাখে একমত। তা আমি কি বলেছি এটা জামাত নেতারা করেছেন বা এই ঘটনা ছাত্রলীগ নয় শিবিরই ঘটিয়েছে? ছাত্রলীগের নৃশংসতা শিবিরের নৃশংসতার সাথে তুলনীয়, এটার অর্থ নিশ্চয়ই নগ্ন সাফাই হতে পারে না, নাকী বলেন?
আমাদের দেশে রাজনীতির মানুষগুলো অন্ধ হয়ে যায় নাকি অন্ধ মানুষেরা রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয় বুঝে উঠতে পারছি না।--- অন্ধভাবে দলীয় বিশ্বাসে শামিল হলে সব সাদার মাঝেই কালো দেখতে পাওয়া যায় বা সব কালোকেই সাদা মনে হয়।
ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
মূর্তালা রামাত
মিডিয়ার ফুটেজে দেখানো মাহফুজুর রহমান নাহিদ গ্রেপ্তার হয়েছে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকাতে তার সংক্ষিপ্ত জীবনী দিয়েছে
নাহিদ হাতিয়া রহমানিয়া মাদ্রাসা থেকে আলীম পাস করে। এরপর সে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। হাতিয়া থাকাকালে নাহিদ স্থানীয় শিবিরের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তার পিতা মাওলানা মহিউদ্দিন জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। তিনি আজহারুল আলম সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। তার তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। বড় ছেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তাফসীর এবং তিনি সেখানকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল শাখার শিবিরের সভাপতি। ২০১০ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামী তাফসীর। তিনি সেই থেকে পলাতক রয়েছে বলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা জানান। দ্বিতীয় সন্তান বিশ্বজিতের ঘাতক নাহিদ। নাহিদের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিপক্ষের এককর্মীকে ছুরিকাঘাত করায় তার নামে মামলা রয়েছে। সে ছাত্রলীগের ব্যানারে শিবিরের সক্রিয় কর্মী। নাহিদ রড দিয়ে বিশ্বজিতের দেহ খুঁচিয়েছে এবং নির্দয়ভাবে প্রহার করেছে।
মূল দলের এবং সহযোগী সংগঠনের সদস্য প্রাপ্তিটার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ এবং প্রকৃত কর্মীদের একটা ডিজিটাল ডাটাবেইজড তৈরি করা দরকার । কাজটা জরুরি ভিত্তিতে হওয়া দরকার না হলে সিঁধ কাঁটা বন্ধ হবে না ।
ছাত্রলীগে ছাত্র নেই ------ এতে কোন সন্দেহ নেই
নতুন মন্তব্য করুন