মেয়েটার নুপূর পরা পা

মূর্তালা রামাত এর ছবি
লিখেছেন মূর্তালা রামাত (তারিখ: সোম, ২৯/০৪/২০১৩ - ৩:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তাইলে পাউডা কাটাই লাগবো, ভাইজান? মেয়েটা আকুল হয়ে প্রশ্ন করে।
মিরাজ মেয়েটার পায়ের দিকে আরেকবার তাকায়। ভারি একটা স্লাবের নিচে মেয়েটার ডান পাটা একটা মরা শুয়োপোকার মতো নিস্তেজ পড়ে আছে। হাঁটুর কাছটা মনে হচ্ছে পুরোই গুঁড়ো হয়ে গেছে। উরুর নিচ থেকে কেটে ফেললে মেয়েটাকে বের করা সম্ভব। পাঁচজন মিলে ঠেললেও স্লাবটা সরানো যাবে না। সেটা বুঝেও মেয়েটাকে প্রবোধ দিতে, দাঁড়ান আরেকবার চেষ্টা করি বলে স্লাবটাকে দু’হাতে ঠেলার চেষ্টা করে ও। কংক্রিটের ভারি টুকরোটা গোয়ার গোবিন্দের মতো পা কামড়ে পড়ে থাকে, এক চুলও নড়ে না।

মেয়েটা বিড়বিড় করে, চাচতো বোনডার গায়ে হলুদ। কালকাই আলতা দিছিলাম। নুপূরও পরছিলাম। ভাইজান, নুপূরটা কি আছে?
টর্চটাকে গোড়ালির কাছে উঁচু করে নুপূর দেখার চেষ্টা করে মিরাজ। শ্যামলা পায়ে আলতার লালে মিশে চুপচাপ শুয়ে থাকা নুপূরের রুপালী গায়ে আলো পড়তেই ঝিকমিক করে ওঠে। মরা সাপের চোখের মতো অন্ধকারে বসে মিরাজের মনে হয়, ঈশ্বর এই মাত্র বললেন- লেট দেয়ার বি লাইট। চোখ না ফিরিয়েই ও জবাব দেয়, আছে।
আছে! মেয়েটা মুহূর্তের জন্য খুশিতে ডগমগ হয়ে ওঠে। পরক্ষণেই তার কণ্ঠ গাঢ় বিষাদে ঢেকে যায়, কিন্তু পাউডাতো কাটতেই হইবো, তাই না?
হুম, মিরাজ অস্ফুট জাবাব দেয় যেন হুহ করে একটা নিঃশ্বাস ছাড়ে মাত্র।
কাটেন তাইলে, মেয়েটার গলায় হতাশার দলা।কতটুক কাটতে হইবো?
উরুর কাছ থেকে, ছোট্ট করে বলে মিরাজ।
আরেকটু নিচের তন কাটন যায় না!
চেষ্টা করবো, মিরাজ বিব্রত ভঙ্গিতে বলে।
দেহেন না ভাই, পাউটার যতটুকু বেশি রাখতে পারেন। মেয়েটার কণ্ঠে আকুতি সমুদ্রের ঢেউ খেলে যায়।
আচ্ছা। মিরাজ ব্যাগ থেকে হ্যাকসো ব্লেড বের করে। ব্লেডটার ফলায় রক্ত শুকিয়ে কালো হয়ে আছে। এর আগেও বেশ কয়েকজনের হাত পা ওকে কাটতে হয়েছে। বাইরে ডাক্তারেরা আছেন। তারাই দেখিয়ে দিচ্ছেন কীভাবে কাটাছেঁড়া করতে হবে। দক্ষ জনবল কম, নিঁখুত সার্জারি করার সময় ও সুযোগ নেই, সার্জারির যন্ত্রপাতিও বেশি নেই। চেতনানাশক ইঞ্জেকশন, শক্ত ব্যান্ডেজ, খানিকটা গজ তুলার পাশাপাশি ছুরি, কাঁচি, ব্লেড, চাপাতি হাতের কাছে যা পাওয়া গেছে তাই নিয়েই ছুটতে হচ্ছে। ঝরে পরার আগ্ইে বাঁচাতে হবে অমূল্য প্রাণ। ধসে পড়া বিল্ডিংয়ের চারপাশে পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী, দমকল বাহিনী গিজগিজ করছে। মাইক্রোফোন হাতে সাংবাদিকেরা মুহূর্মহু উদ্ধার কাজ তদারকির খবর আর আহত নিহতের লাইভ সংবাদ দিচ্ছে। অথচ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ধ্বংসস্তুপের গভির গর্তে ঢুকছে মিরাজের মতো ছুটে আসা মানুষেরাই!

অন্যদের কথা মিরাজ জানে না। তারা হয়তো আটকের পড়া মানুষজনকে উদ্ধার করার নিয়তেই এসেছিলো। তবে ওর উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন। নয়তলা একটা দৈত্য সাইজের বিল্ডিং হলিউডি স্টাইলে ভেঙ্গে পড়লে কেমন সিন সিনারির সৃষ্টি হয় তা নিজের চোখে দেখতেই ও এসেছিলো। গলায় ছিল ক্যামেরা। দু’একটা এক্সক্লুসিভ ছবি তুলে ফেসবুকের ওয়ালে দিয়ে বন্ধুবান্ধবদের তাক লাগিয়ে দেবার আশায় ইট বালু রড সিমেন্টের জঞ্জাল দুনিয়ার খানিকটা ভেতরে ঢোকার পরপরই প্রথম লোকটার রক্ত হিম করা চিৎকার শুনতে পায় ও; বুকের ওপর পড়ে থাকা ইটগুলো সরিয়ে মানুষটাকে টেনে হিচড়ে বের করে আনে। ভয় হচ্ছিলো মানুষটা ওর হাতের ভেতরই মারা যাবে। যায়নি। বাইরে আনার পর মানুষটা পৃথিবীর আলো বাতাসে হো হো করে হেসে দিয়েছিল। বাঁচার কী যে আনন্দ! মিরাজ অবাক হয়ে দেখছিলো।

এমনিতে নিজের চারপাশে পোকামাকড়ের মতো বেঁচে থাকা মানুষগুলোকে নিয়ে কোনকালেই ওর কোন মাথাব্যথা ছিল না। বাবার পয়সা আছে, দামী ইউনিভার্সিটিতে পড়ো, এক গাড়িতে ক্লাসে যাও, আরেক গাড়িতে রাজপ্রাসাদে ফেরো- গাড়ির রঙিন কাঁচে যেসব অপুষ্ট হাত টোকা দেয় তাদের নিয়ে ভাবার সময় কোথায়? দরকারই বা কী? তারা খেলো কী খেলো না, বাঁচলো কী মরলো তা অতো ভাবাভাবির কিছু নেই। দুনিয়াটাই এমন, সারভাইভাল ফর দ্যা ফিটেস্ট- মিরাজের প্রিয় বাক্য।

একটা জ্বলজ্যান্ত মানুষ চোখের সামনে ছটফট করতে করতে মরে যাচ্ছে- সহ্য করতে না পেরে-নেহাত দয়াপরবশ হয়ে ও প্রথম লোকটাকে ইট-পাথরের বন্দীশালা থেকে বের করে এনেছিলো।ভেবেছিলো আর ভেতরে যাবে না। অথচ ওকে যেতেই হলো। না গেলে লোকটার পাশে পানি পানি বলে চিৎকার করা মেয়েটির কী হবে? মানুষের ভেতর আরো অনেক মানুষ বাস করে, বইপত্রে পড়েছে ও। তবে নিজের ভেতরে নিজেকে ছাড়া আর কারও অস্তিত্বের অনুভূতি কখনো ওর হয়নি। কী আশ্চর্য! একটা মানুষকে বাঁচানোর পর ওর নিজের ভেতর ভোজবাজির মতো হুট করেই অন্য একটা মানুষ আড়ামোড়া ভেঙ্গে জেগে উঠলো! সেই অচিন মানুষটাই ওকে ঠেলে আবার ভেতরে নিয়ে গেলো, মেয়েটার কাছে।

একটা অসহায় শিশুর মতো মেয়েটা ওকে জাপটে ধরেছিলো। বাঁচার কী প্রবল আকুতি তার থেতলানো শরীরের আনাচে কানাচে। একটা বিদ্যুত তরঙ্গ যেন ওকে ছুঁয়ে ওর ভেতরটা এফোড় ওফোড় করে দিয়ে গেল। তারপর সময় যতো গড়িয়েছে, ইট পাথরের ফাঁক দিয়ে যতো মানুষের মুখ ও দেখেছে, যতো আর্তনাদ আহাজারি শুনেছে, মানুষকে বাঁচানোর তাগিদ ওর ভেতরে ততো প্রবল থেকে প্রবলতর হয়েছে। দেখতে দেখতে কোথায় গেল সাধের ক্যামেরা, কোথায় গেল জামা কাপড়ে ইস্ত্রির কড়া ভাঁজ, রোমঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চারের চিন্তা- নাওয় খাওয়া ভুলে ডুবুরীর মুক্তো খোঁজার মতো খুঁজে খুঁজে মানুষকে বাঁচানোটাই মুঠো ভারে সোনার মোহর পাওয়ার মতো ব্যাপার মনে হতে থাকলো। এ পর্যন্ত কতোজনকে ও বাঁচালো? বিশ, ত্রিশ?

ভাইজান কি কিছু ভাবছেন? মেয়েটার কথায় মিরাজের চমক ভাঙ্গে। ও ফের কাজে মন দেয়। হাতের ব্যান্ডেজটাকে উরু বরাবর শক্ত করে বাঁধতে থাকে।
ব্যাথা লাগবো অনেক?
খানিকটাতো লাগবেই। এই ইঞ্জেকশনটা দিলে একটু কম লাগবে। মিরাজ হাতের সিরিঞ্জটা উঁচু করে মেয়েটাকে দেখায়। চারিদিকের অন্ধকারটা চোখে সয়ে এসেছে। মিরাজ এখন যেখানে আছে সেখানকার ভাঙ্গা কোন দেয়ালের ফোকর দিয়ে অল্প অল্প বাতাস আসছে। বাতাসে গুড়ো গুড়ো ধূলো। মিরাজের মনে হয় চাপা পড়া মানুষগুলো ক্রমশ ধূলো হয়ে যাচ্ছে, দল বেধে তারা ছড়িয়ে পড়ছে সবখানে। ওদের গাড়ির কাঁচে প্রতিদিন যে ধূলো জমা হয়, তারা কি এরাই? অথবা ওর সানগ্লাসে যে ধূলোর পরত রোদকে অন্ধকার করে দেয়, এরা কি তাদেরই দল ভারি করতে যাচ্ছে? শ্বাস নিতে গিয়ে মিরাজ নিজের গলায়ও ধূলোর অস্তিত্ব টের পায়। ধূলো হয়ে যাওয়া মানুষেরা যেন ওর গলা টিপে ধরতে চাইছে। বোতল থেকে খানিকটা পানি ও গলায় ঢালে। মেয়েটার মুখেও একটু দেয়, আরেকটু পানি খান, ভালো লাগবে।
এক ঢোক পানিই মেয়েটা কয়েক ঢোকে খায়। আল্লা আপনারে রহম করুক ভাইজান। আপনি আসনের আগে মনে হইতেছিলো কব্বরে আছি। জীবনে আর মানুষের মুখ দেখমু না। বাপ মা ভাই বুনডার কথা ভাইবা কতো কানছি।

কব্বর শব্দটা শুনতেই মিরাজের হাসফাঁস লাগে। সে এদিক ওদিক তাকায়। এটাই কি সেই কবর যার ভেতরে সবাইকে একদিন ঢুকতে হবে? সমস্ত প্রেম ভালোবাসা ধন সম্পদ রেখে জড় পদার্থের মতো পড়ে থাকতে হবে। অনন্ত কাল ধরে অপেক্ষার পর সৃষ্টিকর্তা হয়তো হাক ছেড়ে বলবেন, এই বেরিয়ে আয়, তোর আমলনামা শোন।এটা কি সেই কবর, যেখানে কোটি কোটি বছর ধরে একটি ডাকের অপেক্ষায় টন টন মাটির নিচে শুয়ে নিজের জীবনের একই পরিত্যক্ত সিনেমা প্রতিদিন দেখতে হয়? আটকে পড়া অনেক মানুষের জন্য এটাই হয়তো সেই আদিম আবাসস্থল। কিন্তু ওর জন্য?

ওতো বাইরের মুক্ত জীবনে যাচ্ছে আসেছে! আচ্ছা, বাইরের জীবনটা কি আসেলই মুক্ত? নাকী অসংখ্য মানুষের ধূলোয় ওর মতো হাজার হাজার মানুষ চাপা পড়ে আছে, টেনে যাচ্ছে রুপালী পর্দার একঘেয়ে রিল, জনম জনম অপেক্ষা করছে বাইরে যাবার। কিন্তু প্রতিদিন ধূলো হয়ে যাওয়া মানুষ যে বাড়ছেই! ও উপরে তাকায়, ধূলোর ছাদটা কি আরেকটু নিচে নেমে এলো! একটা গেঁথে যাওয়া প্রজাপতির মতো শুয়ে থাকা মেয়েটা শুয়ে আছে। ও তার কপালে নিজের আশ্বস্তের উষ্ণ হাতটা রাখে । এই মেয়েটার মতোই আরেকটা মেয়ের কথা ওর মনে পড়ে। মেয়েটাকে বের করতে হলে কোমরের কাছ থেকে কাটতে হতো। কাটলে মেয়েটা বাঁচতো না। মেয়েটা সেটা বুঝতে পেরেই ওর হাত ধরে বলেছিল, আমারে বাঁচাইতে পারবেন না জানি। তয় আমারে খানিকটা সময় দিতে পারবেন ভাই। আপনার লগে কথা কইতাম। মরার আগে খানিকটা কথা কইয়া মরবার মন চায়। মেয়েটার কথা ভাবতেই ওর চোখ জলে ভরে ওঠে। সেই জল হাত বেয়ে ওর সামনে থাকা মেয়েটার কপালে উঠে আসে। ছড়িয়ে পড়ে তার চোখের কাজল ঘেরা কোণে, পাউডা কাইটা ফালাইলে আমি কি আর কাম করতে পারমু ভাই?
পারবেন, মিরাজ মেয়েটাকে অভয় দেয়। বাইরে গেলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। সরকার আপনার নতুন পা লাগিয়ে দেবে, খাওয়া পরার ব্যবস্থা করবে।
কিছুই করবো না ভাই, মেয়েটা মাথা নাড়ে। আমার বড় বোনডা গেলোবার কারখানায় আগুন লাইগা মইরা গেল। টিপসই নিয়া আইজ কাইল পরশু কইরা একটা ট্যাকাও কেউ দিলো না। বুনের লাশটাও ফেরত পাইলাম না, মেয়েটার কণ্ঠ বহুদূর ক্লান্ত হয়ে হেঁটে আসে।
চিন্তা করবেন না। এবার দেবে, মিরাজ এমনভাবে কথাটা বলে যে নিজের কানেই সেটা ফাপা শোনায়। নিজের অবিশ্বাস যাতে মেয়েটাকে ছুঁতে না পারে সেজন্য তার মনেযোগ অন্যদিকে সরাতে চেষ্টা করে ও, তাহলে আমি কাজ শুরু করি। আপনি রেডিতো?
মেয়েটা হঠাৎ ওর হাত চেপে ধরে, পাউডা কাটলে আমারে কেউ বিয়া করবো?

এই প্রশ্নে মিরাজ থতমত খেয়ে যায়। আবছা অন্ধকারে সে উদভ্রান্তের মতো জাবাব হাতড়াতে থাকে?
করবো না ভাই, মেয়েটা নিজেই নিজের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে মিরাজকে মহা বিপর্যয়ের হাত থেকে উদ্ধার করে। পায়ের নুপূরডা সে কিনা দিছিলো হেও আর ফিইরা তাকাইবো না, মেয়েটির গলা বাষ্পরুদ্ধ হয়ে আসে। তার তন পাউ কাটনের কাম নাই। আমারে এইহানেই রাইহা যান। আমরা হইলাম তেইলাচোরা। এইহানে খাম্বার নিচে পইড়া আছি, বাইরেও মানুষের উষ্টা খামু। আমাগো লাইগা এইহানে যা বাইরেও সেই একই- কব্বরখানা। জিন্দা লাশ হইয়া দুনিয়াত ফিরা যাইয়া লাভ কি কন? হের তন এই হানেই থাকি। আমার লাশ দেহাইয়া বাপমায়েরা যদি কিছু টেকা পয়সা তুলবার পারে, কামে লাগবো....

মিরাজ কথা বাড়ায় না। ওর মনে হয় মেয়েটা ভুল বকতে শুরু করেছে। দেরী করা উচিত হবে না। যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব মেয়েটাকে এখান থেকে বের করতে না পারলে মেয়েটা হয়তো পাগলই হয়ে যাবে। অথবা মেয়েটার কথা শুনতে শুনতে ও নিজেই পাগল হয়ে মিশে যাবে অন্ধকারের ধূলোয়। চোখের সামনে ধূলোর প্রেতনৃত্যের হাত থেকে বাঁচতে ও পকেট থেকে গজতুলো বের করে মেয়েটার মুখে গুজে দেয়। মেয়েটা কথাগুলো অস্পষ্ট গোঙ্গানী হয়ে যায়। হ্যাকসো ব্লেডটা বের করে দ্রুত যায়গা বরাবর নামিয়ে আনে ও। ভোতা শব্দ তুলে ব্লেডটা নরম মাংসে সেধিয়ে যায়। মুখে গরম রক্তের ছাট পায় মিরাজ। অন্ধকারকে ওর লাল ধূলোর দুনিয়া বলে মনে হয়। লাল পর্দাটা সরাতে ও জোরে জোরে ব্লেড চালাতে থাকে। বিশ্রী খিক খিক শব্দ তুলে হাড়ের ঘাড়ে কামড় বসায় ব্লেডের ধারালো দাঁত। ছোট ছোট হাড়ের টুকরো ধূলো মাখা বর্শার অবয়বে ওর দিকে ছুটে আসে। ও পরোয়া করে না। ওকে দেখে মানুষ নয়, ধূলোর ভেতর অন্ধকারে জেগে ওঠা প্রাগৈতিহাসিক কোন অবয়ব মনে হয়; মেয়েটার নুপূর পরা পা ক্রমশ আলাদা হতে থাকে।

২৯/০৪/২০১৩
সিডনী, অস্ট্রেলিয়া।


মন্তব্য

নীল আকাশ এর ছবি

মন খারাপ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

................

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ফাহাদ এর ছবি

ভয়ানক!! ইয়ে, মানে...

লালকমল এর ছবি

স্পীচলেস...

অতিথি লেখক এর ছবি

মেয়েটার নুপূর পরা পা ক্রমশ আলাদা হতে থাকে।

মন খারাপ

সুবোধ অবোধ

ধুম্রজাল এর ছবি

অসাধারন লেখা।
ছবিটা তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে আমাকে

পিকাসো এর ছবি

চলুক বাস্তবের সাথে পুরোপুরি মিল।

তিথীডোর এর ছবি

কেন লিখলেন রে ভাই এটা...কেন?
একেকটা লাইন--- বহু, ব-হুদিন আমার মনে থাকবে!

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সৃষ্টিছাড়া এর ছবি

মন খারাপ

অতিথি লেখক এর ছবি

বেদনাদায়ক মন খারাপ
------------------------------
মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান

মৃত্যুময় ঈষৎ(অফলাইন) এর ছবি

মানবতাকে প্রতি মুহূর্তে গলা টিপে নিহত হতে হয়েছে সাভারে.........বড্ড হাসফাস লাগে ভাই, বড্ড দম আটকায় আসে..............

তমসা এর ছবি

বলার কিছুই নেই............

স্যাম এর ছবি

... মন খারাপ

Joyeta  এর ছবি

কি হবে এমনটা লিখে,মানুষের কষটটা বাড়ানো ছাড়াতো কিছু ন্য়,,,,,, মন খারাপ

সুমাদ্রী এর ছবি

মন খারাপ

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

অন্ধকারকে ওর লাল ধূলোর দুনিয়া বলে মনে হয়

কেন যে লেখাটা পড়তে গেলাম! সমস্ত ব্যথা আরো বেশি করে জাপটে ধরলো।

আহমদ আফজাল সাদেকীন এর ছবি

লেখাটা মনে থাকবে অনেকদিন । মন খারাপ মনে থাকবে কয়েকটা ছবি, কয়েকজন মানুষের মুখ আর একটা জ্বলজ্যান্ত উষ্টা ।

অতিথি লেখক এর ছবি

নীরবতাই না হয় আজ কথা বলুক !

নাহিয়েন

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।