নিজের একটা কুকুর থাকবে
কোলে বসে চাটবে টাটবে
লেজ নাড়বে-
লাথি দিলেও ছুটে আসবে
হাসবে টাসবে, কৃতজ্ঞতায় সারাটাদিন
চোখে রাখবে-
যা বলবো তাই শুনবে
সহস্রবার বল ছুড়লে লুফে আনবে
মাংস ছাড়া হাড্ডি দিলেও
প্রভূ মানবে-
গন্ধ চিনবে, অনেক দূরে গেলেও
কাছে খুঁজে আনবে, মান ভাঙবে;
মোদ্দা কথা আমি ছাড়া আর সব সে
বৃথা জানবে-
মিনু, টিনু কিংবা তুমি
একটা নামে আয় বললেই ঝাঁপিয়ে ডাকবে,
সারাদিনের ক্লান্তি ভুলে ভরা চুমায় ডুবিয়ে রাখবে;
শেকল গলায় আমি তাকে
নিয়ে যাবো পার্কে টার্কে- বাহবা চোখে সবাই দেখবে
হিংসে করবে-
শখ আমার-
সাত পুরুষের মতোই একটা
প্রভূভক্ত কুকুর থাকবে!
--------
সিডনি, ২০১৭।
মন্তব্য
ভালোবাসা মানে নিয়ন্ত্রন নিয়ন্ত্রন খেলা না,
ভালোবাসা মানে পুরুষ সঙ্গীটিকে পুতুল (আপনার কথায় কুকুর) জ্ঞান করা না।
সমস্যা হলো একটা মেয়ে শৈশব থেকেই মা-বাবা বা সমাজ থেকে এই শিক্ষাটুকু পায় না।
যেমন ইচ্ছে তেমন "চলানোর-বলানোর" যে পুতুল খেলা শৈশবে একটা মেয়ে খেলে, তা সারাজীবনের জন্যই তার মাঝে গেঁথে যায় আর বেচারা পুরুষ সঙ্গীকে তার ভার বহন করতে হয়।
আমাদের মেয়ে শিশুটিকে আদর, মায়া, মমতাভরে কাউকে নিজের করে নেয়া মানেই তাকে নিয়ন্ত্রন করা না, এইটা জানাতে হবে। তবেই সংসারে মিলে মিলেমিশে থাকা হবে উপভোগ্য।
ঠিক একই কথা কিন্তু খাঁটে পুরুষটির বেলাও
-বৃদ্ধ কিশোর
একটু বেশি হয়ে গেলো না
পুরুষ হল মাতৃ লালিত গৃহ পালিত স্ত্রী চালিত প্রাণী বিশেষ
সত্য কথা, ঠিক এমনটাই হয়। আর এমনটাই চাই। প্রভুত্বের মাঝেই পুরুষের ভালবাসা।
নতুন মন্তব্য করুন