http://www.sachalayatan.com/mustafiz/19750">পর্ব ১ http://www.sachalayatan.com/mustafiz/19774">পর্ব ২
সকালের নাস্তা ভালোই হয়েছিল। সিদ্ধ আলু চাক্ চাক্ করে কেটে পেয়াজ মরিচ তেলে ভাজা, পুরী, সবজি, ডিম, দই, নুডুলস্ ওরা বলে থুক্পা, আরো কি কি যেনো। তৃপ্তির ঢেকুর তুলে যখন বাইরে এলাম রোদে চোখ জ্বালা করছে, সারা রাত না ঘুমানোর ফল। নাস্তার আগে চট্ করে গোসল সেরে এসেছিলাম, ক্লান্তি তাই কম। আমাদের দলের পরের যাত্রা পায়ে হেঁটে, ওরা বলে ‘নেচার ওয়াক’, হাঁটতে হবে ঘন্টা দেড়েক, এই শুনে জ্বর চলে এলো কারো কারো, মাত্র ৪ জন বেড়ুলাম। অবশ্য খারাপ লাগেনি। গাইড একে একে গাছের নাম বলে যাচ্ছে আর আমরা শুনছি যেমনঃ- এটা শাল গাছ, বৈজ্ঞানিক নাম শরীয়া রবুস্টা (Shorea robusta), বসন্ত কালে এর পাতা থেকে সুন্দর গন্ধ বেরোয়...। আমাদের দেশেও একসময় প্রচুর শালের দেখা মিলতো, বিশেষ করে মধুপুর অঞ্চলে, ছোটো বেলায় যখন বাড়ী যেতাম আমাদের আকর্ষনের কেন্দ্র ছিলো বাড়ীর ঠিক পেছনের মধুপুর বন, নিষেধ সত্বেও বনে যেতাম, আগে নেয়া গাছের গুড়ির বেড়ের মাপ এর সাথে নুতন নেয়া মাপের তুলনা করতাম, একই রকম থাকলেও নিজেরাই বলতাম কিছুটা বেড়েছে। এখন আর বলার মত তেমন গাছ নাই, মুঠিতে ধরা যায় তেমন কিছু শাল চোখে পড়বে।
মিনিট চল্লিশেক হাঁটার পর একটা জলা মত জায়গায় এলাম, এ পর্যন্ত কোন পাখির দেখা পাইনি, হরিন দেখেছি কিন্তু সেটা নিয়ে ফিরে এসে গর্ব করার মত নয়। শরীর টাও বিশ্রাম চাইছে দেখে পানির ধারে গাছের গুড়ীর উপর বসলাম, দূরে বেশ কিছু পাখি দেখা যাচ্ছে, সবই জলা ভুমির পাখি, ৭।৮টা মদনটাকের দেখা মিললো এখানে, একসাথে এতগুলো কখনও দেখিনি, আমি ছবি তুলছি এমন সময় গাইড আমাকে সতর্ক করে দিয়ে আস্তে আস্তে পিছিয়ে আসতে বললো, ওর দৃষ্টি নীচে আমাকে ছাড়িয়ে বাম দিকে, বুঝলাম কুমিরের দেখা পেয়েছে, ন্যাশনাল জিওগ্রাফীর পোকা বলে এগুলোতে ভয় ডর নাই, তাই ফিরে আসার আগে দুটো ছবি তুলে নিলাম, ১০।১২ হাত দূরে একটা ঝোঁপে, আমাদের সাড়া পেয়ে পানিতে নেমে গেলো, গাইড জানালো এগুলো খুব দ্রুত চলে, পানিতে আর মাটিতে সমান তালে। এতক্ষণে বলার মত কিছু পেয়েছি সুতরাং ফিরে আসার পালা, খুব দ্রুতই ফেরার পথ দিলাম।
আমাদের বাহিনী খুব অলস সময় কাটাচ্ছে দেখতে পেলাম, খোলা জায়গায় কাঠের গদি, সামনে টেবিল আর উপরে ছাতা, ওদের বার কাউন্টারের সামনে এমন বেশ কিছু বসার জায়গা আছে। দুটো গ্রুপ এরই মাঝে মোনাজাতে বসে গেছে সেখানে। আমি এসে বসতেই বার থেকে ‘এভারেষ্ট’ দিয়ে গেলো ১ বোতল, ঠান্ডা, আশেপাশে চেয়ে দেখি শুধু খালি চায়ের কাপ, কোন গ্লাস নেই, বুঝলাম সবাইকে লোভ লাগানোর জন্য ওরা ঘুষ দিলো আমাকে। এখানে পানীয়ের দাম অনেক, কিন্তু বেশীক্ষণ আর অলস বসে থাকতে হয়নি বারটেন্ডারকে। ওরা ব্যবসা বোঝে, সময়মত ঢোল, টুংটুংগী ইত্যাদিও চলে এসেছে, রিসোর্টের ম্যানেজার এসে আমাদের সাথে গান ধরলো ‘ঢুংগ লালা হুংগ লালা ঢুংগ লালা, ঢুংগ লালা হুংগ লালা ঢুংগ লালা’। মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম আজ এ ব্যাটাকে পানিতে চুবাবো।
ক্লান্তি এসে ভর করল, রাজ্যের ঘুম চোখে তবুও স্ফূর্তির বিরাম নাই কারো। গতবার এসময় থারু গ্রাম দেখতে বের হয়েছিলাম, এবারে বনের ভেতর বলে যাওয়া হয়নি। গরুর গাড়ীতে বেঞ্চপেতে উপরে ছাওনির নীচে বসে, বিদেশীরা খুব মজা পায় তাতে। আমরা গেলাম গোসল করতে। হাতির সাথে। এখানে বেড়াতে এলে এটা না করলেই নয়। দুপুরে খাওয়াদাওয়ার পর ওরা হাতিকে গোসল দিতে নেয় পাশের রাপ্টি নদীতে, একসাথে ১৫/২০টা হাতি নামে পানিতে, পর্যটকরাও নামে, হাতি শরীর নীচু করে উঠতে দেয়, শুড় দিয়ে পানি ছিটায়, মাঝে মাঝে শরীর দুলায় একসময় কিছু বোঝার আগেই কাত করে পানিতে ফেলে দেয়। রাপ্টি নদীর পানি শীত কালেও পরিষ্কার থাকে, আমাদের রিসোর্টটা নদী থেকে একটু দূরে হওয়াতে শাখা নদীতে গেলাম, দেখে মনখারাপ হলো সবার, একদম অল্প পানি হাঁটু পর্যন্ত তারচাইতেও বড় কথা ময়লা। কেউই আর নামতে চায়না, কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর আমি, মাতিস আর রিতা নামলাম, দেখা দেখি আরো দু তিন জন। মজা দেখছে বাকিরা, দুষ্ট বুদ্ধি এলো মাথায়, উঠে যেয়ে জাপ্টে ধরলাম একজনকে, টেনে নামাতেই শুরু হয়ে গেলো হুড়োহুড়ি, কে কাকে নামাবে। আমাদের গাইড, হোটেলের ম্যানেজার সব পানিতে। গাইড কে আবার নামানো হয়েছে ওর ক্যামেরা, ঘড়ি, মোবাইল, জুতা সব সহ। বেচারা।
নদী থেকে ফিরে গোসল করলাম আবারো, খেয়ে দেয়েই আবারো ছুট, এবারে খোলা জীপে চড়ে জংগল চষে বেড়ানো, জংগলের ভেতর গাড়ী চালানো আর গাড়ীতে চড়া দুটোই মজার, যাবার সময় আমি ছাদে চড়েছিলাম মাতিসকে নিয়ে, ফেরার সময় দেখি সবাই ছাদে। এ অভিজ্ঞতা অন্যরকম। তবে খুব সাবধান থাকতে হয়, জঙ্গলের ডালপালার বাড়ি খাবার ভয় তো আছেই সবচাইতে বেশী ভয় অজানা গাছপালা, আপাত নিরীহ দর্শন গাছের পাতায় ঘষা খেয়ে তীব্র জ্বালায় কাতরাতে দেখেছি অনেককে। চাক্ চাক্ হয়ে চামড়া ফুলে জ্বলা শুরু হয়। যাহোক ছোটো বড় নালা, খানা খন্দক পেরিয়ে রাপ্টি নদীর অপর পাড়ে এসে দাড়ালাম আমরা। এই সেই নদী গতকাল যা জীপে চড়ে পেরিয়ে এসেছি, ৬০ফুটের মত চওড়া, কিন্তু দুপাড়ে পাথরের বাহার দেখে বুঝলাম বৃষ্টিতে এটার ব্যাপ্তি অনেকদূর ছাড়িয়ে যায়, নদীর ওপারে পাথর তোলা হচ্ছে দেখলাম, কাদা তাই সেখানে বেশী, গতরাতে সে কাদাতেই আমাদের গাড়ীর হেডলাইট ডুবে গিয়েছিল। জায়গাটা অসম্ভব সুন্দর। মিনিট ত্রিশেক কাটিয়ে ফিরতি পথ ধরলাম।
ফিরে এসে শুনলাম বাকিদের সাথে রিসোর্টের কর্মচারীদের ভলিবল ম্যাচ হয়েছে, একক্রেট বিয়ার বাজি। আমাদের ছেলেরা হেরে যেয়েও হাসি মুখে আপ্যায়ন করছে ওদের।
রাত নেমে এলো চিতওয়ানে। আমাদের মতলব বুঝতে পেরে রিসোর্টের লোকজন একটা খোলা ঘরে ৭০/৮০টা চেয়ার পেতে রেখেছে, সবাই একএক করে চেয়ার নিয়ে বসা শুরু করলো, আজ আর কেউ আমাদের গান মিস্ করতে রাজী না। বাজনা বাদ্যও তৈরী দেখলাম, কেউ কেউ অনভ্যস্থ হাতে বাজানোর চেষ্টাও করছে। আমি পড়লাম বিপদে, রিতার শরীর খারাপ, এমন যে বিছানা থেকে উঠতে পারছেনা। আমাদের সাথে দুজন মহিলা ডাক্তার ছিলেন, কিছু দরকারী ঔষধ ঢাকা থেকেই নিয়ে গিয়েছিলাম, সেগুলো দিয়েই ব্যবস্থাপত্র দিলেন উনারা। ধারনা করলাম হাতির সাথে গোসলের সময় কিছু নোংরা পানি পেটে যেয়ে থাকবে। বাইরে গান হচ্ছে, বাজনার শব্দ, হৈ হুল্লোড় সবই কানে আসছে, আমি আর মাতিস বসে আছি রিতার পাশে।
ওদের আড্ডা ভাংলো রাত দেড়টার দিকে, তখনও আমরা সজাগ, রিতার শরীর আগের মতই, সকালেও একই রকম। এখান থেকে পোখারা যাবার কথা আমাদের, ৫/৬ ঘন্টার বাস জার্নী। সিদ্ধান্ত নিলাম ওদের সাথে ফিরছিনা, সাড়ে আটে বাস রওয়ানা দেয়ার কথা থাকলেও আমরা যাবো রিতা একটু সুস্থ হলে, ১২টার দিকে। এজন্য গাড়ীও ঠিক করা হলো একটা, হিউন্দাই সেন্ট্রো, ছোটো গাড়ী, আমাদের ৩জনের হয়ে যাবে, ভাড়া নেবে ৫০০০হাজার রূপী। ওদের সবাইকে এগিয়ে দিয়ে ফিরে এলাম সাড়ে নয়টার দিকে। পুরো রিসোর্ট তখন শান্ত, আমরা ছাড়া আর কেউ নেই। চারদিকে বাতাসের শব্দ, পাখির গান, চমত্কার রোদ আকাশে। হোটেলের ম্যানেজার এককাপ কফি হাতে ধরিয়ে গল্প শুরু করলো, এ ব্যবসায় অভিজ্ঞ, এ রিসোর্টে এটা তার দ্বিতীয় মেয়াদের চাকরী, এখানকার বনবিভাগের কর্মকর্তাও চলে এলেন, ৬ বছর যাবত্ আছেন, বাংলাদেশের বন সম্পর্কে ভালো জ্ঞান ভদ্রলোকের।
আমাদের গল্প গমে উঠেছে, রিতার শরীরটাও হঠাত্ করেই ভালোর দিকে। এমন সময় মাতিস এসে গল্পে যোগ দিলো, ম্যানেজার কে প্রশ্নের পর প্রশ্ন, আপুকলির কথা, কি খায়, বয়স কত, বাচ্চাটারই বা কত বয়স, কোথায় ঘুমায় এসব। ম্যানেজার যখন জানালো হাতিকে খেতে পাঠানো হয়েছে শুনে মন খারাপ হলো ওর, তারপরও দেখতে যেতে চাওয়াতে লোক দিয়ে পাঠানো হলো মাতিসকে। যাবার সময় ক্যামেরা নিয়ে গেলো আমার থেকে। মাতিস ফিরে এলে যাত্রা শুরু করলাম আমরা। বনের বাইরে গাড়ী দাঁড়িয়ে ছিলো আমাদের জন্য, সে পর্যন্ত ল্যান্ডরোভারে যেয়ে গাড়িতে উঠলাম। ছোট্ট গাড়ী, পেছনে ৩জন বসেছি, দুপাশে দুজন, মাতিস মাঝে, খেয়াল করলাম ছেলেটা চুপচাপ হয়ে আছে। আমি বললাম বাবা ঘুমাও। ও আস্তে মাথা নামিয়ে দিলো ওর মায়ের কোলে।
গাড়ী যাচ্ছে হাইওয়ে ধরে, ৭০/৮০ কিমি. স্পীডে, এভাবে গেলে ওদের কাছাকাছি সময়তেই পোখারা পৌঁছে যাবো। ৪০ কিমি পর্যন্ত চলে এসেছি, ঝিমুনি আসছে। এমন সময় রিতার গলা ‘মাতিস তুমি কাঁদছো?’ তাকিয়ে দেখলাম ততক্ষণে রিতার কাপড় ভিজিয়ে ফেলেছে, নীরব কান্না, টেনে কোলে নিতেই হু হু করে কান্না শুরু করলো, দমকে দমকে কান্না বেরুচ্ছে, হেচকি উঠা শুরু হলো একটু পর। যতটুকু বলতে পারলো বুঝলাম ফেরার সময় সে আপুকলির সাথে দেখা করতে গিয়েছিল, দেখা হয়নি, মন খারাপ সেজন্যই, শূন্য হাতিশালের ছবি তুলে এনেছে। ওর খারাপ লাগছে, মাতিসের মন খারাপের অনূভুতি ছুঁয়ে গেলো আমাদেরও। সিদ্ধান্ত নিলাম আবারো ফিরবো চিতওয়ান, শুধুমাত্র মাতিস আর আপুকলির জন্য।
বিঃদ্রঃ নীল গেঞ্জি পড়া আমার ছবিটা জ়ুবায়েরের তোলা, হাতির সাথে গোসলের ছবি গুলো আগের বার তোলা।
মন্তব্য
ভ্রমন বিষয়ক আরো লেখা চাই মুস্তাফিজ ভাই।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আশা আছে লিখব
...........................
Every Picture Tells a Story
শেষ হয়ে গেলো? ইশ্...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আবারো আসছি
...........................
Every Picture Tells a Story
দারূণ লাগলো, ফটো এবং লেখা সবটাই ... আরও লিখুন ...
বাই দ্য ওয়ে, সুযোগ পেলাম তাই জানিয়ে রাখি, আমি আপনার ফ্লিকারের ছবিগুলির দারূণ ভক্ত ... গত কিছুদিন অনেক সময় নিয়ে সবগুলি সেট দেখলাম, অসাধারণ লেগেছে ...
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...
ধন্যবাদ
...........................
Every Picture Tells a Story
আগের গুলো পড়া হয়নি -------- তবে এই লেখাটা মজা করে পড়লাম সাথে ছবিগুলো আমার বাচ্চাগুলোকে দেখালাম --------- ওরা আপনার ছবি দেখে অভিভূত। 'এমন এক লোক যে কুমিরের বাচ্চার ছবি তুলেছে।'
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
আশাকরি আগের গুলো পড়বেন
...........................
Every Picture Tells a Story
যাইতে ইচ্ছা করতাছে অনেক ! আরো লিখেন মুস্তাফিজ ভাই
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
চলেন যাই
...........................
Every Picture Tells a Story
গোগ্রাসে পড়লাম। চমৎকার লাগল!! আরো লেখা চাই।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ধন্যবাদ, আশা করি পাবেন
...........................
Every Picture Tells a Story
শেষ হয়ে গেলো?
সাহসী মানুষের পরবর্তী লেখার অপেক্ষায়...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
লেখা, ছবি- সব বরাবরের মতই দুর্দান্ত। নতুন লেখা অলরেডি চলে আসছে দেখলাম, যাই, ওইটা পড়ি
Please let me know how much bangladeshi t taka need to tour Nepal . Also let me know hottel rate and food price.
Thanks
Juliet
নেপালে যেতে চাই অনেক কস্তে একটা ছুটি মান্যাজ করেছি কিন্তু বুঝতে পারছিনা কথায় যাব, কে গাইড করবে? আমি আর আমার বর যাব প্রথম বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে ১৪ ই ফেব্রুয়ারী থেকে ২২ শে ফেব্রুয়ারী সময় আছে। ২৩ তারিখে সকালে ঢাকায় ফিরে আসতে চাই।বাংলাদেশ বিমানে দেখলাম দুজনার যাওয়া-আসা য় ৪০,৭৮০ টাকা পড়বে। ২ তারকা বিশিষ্ট হোটেলে খরচ হবে কাঠমান্ডুতে প্রতি রাত ৬০০০ আর পোখরা তে ৪৫০০ করে প্রতি রাত।
আমাদের বাজেট সর্ব সাকুল্লে ৮০,০০০ টাকা
তার মাঝে কিছু নাম জোগাড় করেছি যেখানে ঘুরে দেখা যায়
Bardia National Park
Jungle safari
Paragliding / Ultralight / Cable Car
Bungee Jumping / Canyoning
Horse Riding / Pony Trek
Annapurna Region
এসবের নাম অতি কষ্টে জোগাড় করেছি এখন আমার অনেক প্রশ্ন আছে হয়তো প্রথম দেশের বাইরে যাচ্ছি বলে অথবা আমি এমনি,
বাংলাদেশ বিমানে র প্লেন ভাড়া জেটা লেখা আছে সেটাই কি সঠিক?
নেপালে গিয়ে আমরা গাইড পাব কিভাবে/
গাইড ছাড়া এই সব জায়গা আমাদের কে চিনিয়ে দেবে?
হোটেল গুলো ২ তারকা বিশিষ্ট এগুল কি নিরাপদ?
নেপালে কি ফেব্রুয়ারী মাসে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা পরে?
সাফারি পার্কে ঘোড়াটা নিরাপদ?( মানে শুধু আমার বর আর আমি, আর কেউ যদি গাইড না থাকে ভয় হয় তাই)
বাঞ্জি জাম্পিং করেছেন রিস্কি জিনিশটা?
এসব জায়গায় ঘুরতে আলাদা আলদা ফি লাগবে না?
ট্রান্সপোর্ট খরচ এক জায়গা থেকে আর এক জায়গা যাওয়ার জন্য আর খাবার খরচ কেমন ওখানে?
শপিং না হয় বাদ ই থাকলো?
নতুন মন্তব্য করুন