পর্ব-১ পর্ব-২ পর্ব-৩পর্ব-৪ পর্ব-৫
দার্জিলিং এ এলে একটা দৃশ্য আপনার চোখ কাড়বেই। বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান যেমন বাতাসীয়া, ঘুম, গঙ্গামায়া, রকগার্ডেন, মল্ কিংবা এইচ,এম,আই/জু সবজা’গাতেই দেখেছি বিভিন্ন উপজাতীয় পোষাক নিয়ে একদলকে বসে থাকতে। ওরা পর্যটক দের এসব ভাড়া দেয়, বিনিময়ে সেসব পোষাক পড়ে কেউ হয়ে যায় নেপালী রাজকন্যা, রাজপুত্তুর বা চা বাগানের মালী। সেসব পোষাক বর্তমানে আদৌ চালু কিনা বা আসলেই সেগুলো উপজাতীয় পোষাক কিনা তা নিয়ে সন্দেহের কথায় আমি যাচ্ছিনা। আমরা যখন জু তে গিয়েছিলাম সেখান থেকে সবাইকে সামনের এইচ,এম,আই মিউজিয়ামে পাঠিয়ে বাইরে তেমন একটা দোকানের সামনে দাঁড়িয়েছিলাম আমি। এ ছবি গুলো সেখানে তোলা। এর আগে একবার দল বেঁধে আমাদের দলের সবাই তেমন পোষাক পড়েছিলো আর আরো আগে আমার ছেলের বয়স যখন পাঁচ বছর সেসময় ওর ইচ্ছাও ছিলো এমন পোষাকে ছবি তোলা।
মলের কথা আগেই বলেছি আপনাদের, সেখানে বসে বসে বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম, অনুসন্ধিত্সূ অনেকের ক্যামেরা বিষয়ক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি, সময়টা ভালো কেটেছে আমার। নীচের ছবিটা দেখুন, এক বৃদ্ধা ঘোড়া টেনে নিয়ে যাচ্ছে। ছোটো পনি টাইপের ঘোড়ায় চড়ে মলের পাশে চক্কর দেয়া বাচ্চাদের জন্য খুব মজার অভিজ্ঞতা। এই বৃদ্ধার ছবিটা তুলেছি কারন যতবার দার্জিলিং গিয়েছি প্রতিবার খেয়াল করেছি এই মহিলাটি একই পোষাক পড়ে একই পেশায়, জিজ্ঞেস করে জানলাম এই একটিই পোষাক উনার, বিশ বছরে চেহারায় অনেক পরিবর্তন এলেও পোষাকটি সেই আগের মতই ঝলমলে।
ঘোড়ায় চড়ার আরো কিছু ছবি দেখুন
বাচ্চারা মলের প্রাণ, বাচ্চারা খেলে, বয়স্করা বসে থাকেন বেঞ্চে, বসে বসে বাচ্চাদের খেলা দেখতে দেখতে ফিরে যান নিজের শৈশবে, এবারে ছিলো ওদের উত্সব দেশীন, পর্যটক ও ছিলো বেশী বাচ্চাদের খেলাধূলাও ছিলো প্রানবন্ত, বাচ্চারা একে অপরকে কিভাবে যে আপন করে নেয় তার প্রমাণ দেখেছি এখানে, পর্যটক বাচ্চা খেলছে স্থানীয় বাচ্চাদের সাথে অপূর্ব দৃশ্য। এককোনে বেলুন বিক্রি হচ্ছিলো, বিশাল সাইজের একেকটা, সেই বেলুন নিয়ে মজার খেলায় মেতে উঠেছিলো একদল, ঘুরে ঘুরে তাদের ছবি তুলেছি, নীচে দেখুন
গুর্খা জনমুক্তি মোর্চা দেশীনের সময় মাসব্যাপী নুতন স্থানীয় পোশাক পরার নির্দেশ জারীর পর সেই আরোপিত পোষাকে সয়লাব দার্জিলিং, ছোট বড় সবার পড়নে একই পোষাক, ভালো লাগে দেখতে। এখানে একটা কথা বলি মেয়েদের পোষাকে যে প্রিন্ট সেটা কিন্তু আমাদের ঢাকাই শাড়ীর প্রিন্ট ওরা বলে ঢাকাই প্রিন্ট।
মলে ভাসমান দোকান আছে ছবি তোলার, স্থানীয়দের কাছে জনপ্রিয়, এমনকি যারা বাজেট ট্যুরে যান ক্যামেরা ছাড়া তাদের কাছেও, নিচের দুটো ছবিতে দেখুন স্থানীয় এবং পর্যটক সবাই পোঁচ দিচ্ছে ছবি তোলার জন্য।
নীচের দুটো ছবিই ইন্টারেস্টিং আমার কাছে, প্রথম ছবির লোকটা ভিক্ষুক, বসে মহাকাল মন্দিরের পাশে, ছবি তোলার সময় হিন্দিতে বলো, দাঁড়ান সেজেগুঁজে নিই, এরপর নায়কের মত পোঁচ, ওর ধারনা পেপারে ছাপা হলে ব্যবসা বাড়বে। দ্বিতীয় ভিক্ষুকের ছবিটা একই জায়গায়, পাশাপাশি বসেছিলো, ছবি তোলায় কোন আসক্তি নেই, একে পরদিন ভোরে দেখেছি একটা ছাতা হাতে সাথে খাবাএর বাটি নিয়ে মন্দিরের দিকে আস্তে আস্তে হেঁটে যেতে আবার সন্ধ্যায় নেমে আস্তে।
এ লেখা শেষ করছি কাঞ্চনজংঘায় সূর্যের প্রতিফলনের কিছু ছবি দিয়ে, আশা করি ভালো লাগবে
প্রথম ছবি থেকে শেষ ছবি কখন তুলেছি তার সময় নীচে দিলাম
Sunrise time phase
2008:10:10 05:32:37
2008:10:10 05:33:00
2008:10:10 05:33:54
2008:10:10 05:34:15
2008:10:10 05:34:42
2008:10:10 05:35:11
2008:10:10 05:35:29
2008:10:10 05:36:28
2008:10:10 05:37:08
2008:10:10 05:37:44
2008:10:10 05:40:00
মন্তব্য
সিরিজ লেখাগুলোয় আমি কয়দিন পরেই খেই হারিয়ে ফেলি। একসাথে পড়তে ভালো লাগে। শেষ হল যখন সময় নিয়ে পড়ে ফেলবো একদিন পুরোটা।
সুন্দরীদের ছবিগুলো মিস করিনি, আগেই দেখেছি ফ্লিকারে
কাঞ্চনজঙ্ঘার ফোটোস্ট্রিম দেখে ভয়ানক মুগ্ধ হয়েছিলাম। আবারো হলাম।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
ধন্যবাদ।
...........................
Every Picture Tells a Story
দারুণ সব ছবি।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ।
ভালো কথা, ফ্লিকারে যখন আসছেন ধুমাইয়া ছবি তুলেন। আমি একটা গ্রুপ চিনি ওরা শুধু ছবি তোলার জন্য ঘুরে, বাংলাদেশের সর্বত্র, যদি ইচ্ছা থাকে বলেন লেজ ধরাইয়া দেই।
...........................
Every Picture Tells a Story
কথা দিসিলেন শেষ পর্বে পুষিয়ে দিবেন, দেখলাম- কথা রাখসেন
দারুন সব ছবি। খুব ভাল্লাগসে। বিশেষ করে ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরা ছবিগুলো, বেলুন হাতে বাচ্চাদের ছবি আর সবশেষে কাঞ্চনজঙ্ঘার ছবিগুলো- অসাধারণ!
দার্জিলিং-য়ের জায়গাগুলোর নাম অদ্ভুত সুন্দর। একটা জায়গার নাম যে- 'ঘুম'- ভাবতেই কেমন যেন লাগে। আপনার এই সিরিজটা পড়ার পর দার্জিলিং বেড়াতে যাবার ইচ্ছা ভয়াবহরকম বেড়ে গেল।
অফটপিকে বলি: আমার কাছে একটা এক্সেল ফাইল আছে- "সানরাইজ অ্যান্ড সানসেট ইন হংকং"। কিভাবে বানাইসে জানি না, একটা ফটো আছে, সেটার উপর মাউস পয়েন্টার নিলে একই জায়গার ছবিটা বিভিন্ন টাইমে দেখা যায়, মানে আপনি সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ফটো-টা দেখতে পারবেন, শুধু মাউস পয়েন্টার সরিয়ে সরিয়ে। খুবই ভাল্লাগসে আমার, আপনার শেষের ফটোস্ট্রীম দেখে মনে পড়ল এইটা।
A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?
বেড়ানোর ইচ্ছা হয়েছে জেনে খুশী হলাম, এক কাজ করেন, সচলদের নিয়ে গ্রুপ বানিয়ে ঘুরে আসেন।
"সানরাইজ অ্যান্ড সানসেট ইন হংকং" ঐটা আমিও দেখেছি, ভাল লাগসে।
...........................
Every Picture Tells a Story
এই একটা মাত্র পোস্ট
যার শিরোনাম ছাড়া একটা অক্ষরও পড়িনি আমি
শুধু ছবিগুলোই দেখেছি
মনে হয়েছে পোস্ট পড়লে হয়তো ছবির আমেজটা চলে যাবে
অসাধারণ....
ধন্যবাদ লীলেন দা
...........................
Every Picture Tells a Story
অসাধারণ জীবন্ত ছবি!
ধন্যবাদ। সে সময় উত্সব ছিলো, সবার মনে ছিলো স্ফুর্তি, আর আমার ভাগ্যটাও ভালো।
...........................
Every Picture Tells a Story
কাঞ্চনের জঙ্ঘাটারে এতো বিচিত্র করলেন কী করে !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অইখানে ১১টা ছবি আছে
...........................
Every Picture Tells a Story
দিলে খুবই আশা রাখছি এইবার দার্জিলিং যাবো, হে মাবুদ মাঝখানে কোন অঘটন দিও না, ছুম্মা আমিন। তাইলে আমিও ফটুক পোষ্ট দিব।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আমিন
...........................
Every Picture Tells a Story
দারুন সব ছবি ! সিরিজটাও ফাটাফাটি হইছে !
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ধন্যবাদ
...........................
Every Picture Tells a Story
দুর্দান্ত সব ছবি এবং প্রাঞ্জল বর্ণনা মিলে অসাধারণ একটা সিরিজ হয়েছে মুস্তাফিজ ভাই।
দুর্ধর্ষ এই সিরিজটার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা সাথে জাঝা
ধন্যবাদ আকতার ভাই
...........................
Every Picture Tells a Story
ওয়াও!!! কালারফুল।
লীলেন্দার মতো আমিও কিন্তু শুধু ফুটুক দেখছি, লেখা পড়ি নাই। হাহাহাহাহাহাহা...
মাইন্ড খাইয়েন না। আগের সব পর্বই পড়েছি কিন্তু।
এবারের ছবিগুলোও অসাধারণ হয়েছে। লেখাও
নতুন কি পোস্ট দিবেন তাড়াতাড়ি দিয়া ফালান। অপেক্ষায় আছি।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
মানুষ মাত্রই অপেক্ষায়, হয় মৃত্যু নয় জীবনের
একটু ধৈর্য্য ধরেন
...........................
Every Picture Tells a Story
মুস্তাফিজ ভাই, পূর্ণ সচলত্ব প্রাপ্তির জন্য অভিনন্দন। পার্টি দেন
A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?
নতুন মন্তব্য করুন