গতকাল মেলায় যাবোনা ভেবেছিলাম, ঠিক করেছিলাম সারাদিন বাসায় কাটাবো, শেষ কবে পূরো একটাদিন পরিবারের সাথে কাটিয়েছি মনে পড়েনা। পরশু মেলা থেকে বাসায় ফিরে দেখি আমার ছেলে শহীদ মিনারে যাবার অনুশীলন করছে, পোস্টার লিখেছে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই”। সিদ্ধান্ত পাল্টিয়েছি সেসময়, শহীদ মিনারে যাবো, মেলাতেও যাবো।
আগের দিন মেলা থেকে ফেরার সময় ছবিরহাটে ঢুঁ মেরেছি আমরা কয়জন, সেখানে গান করছিলেন কলকাতা থেকে আসা শিল্পী কল্লোল দাসগুপ্ত। বছরখানিক আগে একটা ব্লগে কল্লোলের কথা পড়েছি, সেদিন সামনা সামনি দেখার সূযোগে ছবি তোলার ইচ্ছাটা সামলাতে পারিনি, বেশ কয়টা তুলেছি, জানিনা উনাকে পাঠাতে পারবো কিনা, সুমেরু দা বা শ্যাজাদি হয়তো সহায়তা করতে পারবেন। নিচের ছবিটা সেসময় তোলা।
মেলায় প্রায় প্রতিদিন যাওয়া হয়। সাথে থাকে ক্যামেরা, সচলদের অনেকের সাথে মেলা উপলক্ষ্যে দেখা হয়, খেয়াল করলাম ক্যামেরা ছাড়া আমাকে কেউ ভাবতে পারেনা, আমিও ছবি তুলি, বিশেষ করে সচলদের বইয়ের মোড়ক উম্মোচনের। গত পরশু তুলেছি তেমন কয়টা। সচলদের বই হাতে গর্বিত মুখ দেখতে কার না ভালো লাগে। নিচে দেখুন “স্বাতীর উঠোন” হাতে মাসুদা ভাট্টি। যেন সন্তান হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।
কিংবা ভুত তুলে ধরে আবু রেজা
টমবয় হাতে ভাবীকে দেখে বোঝার উপায়নেই সারাদিন শুদ্ধস্বরে ধুলা টেনেছেন বসে বসে
শিমুলের অনুপস্থিতিতে তার বই তুলে ধরার লোকের অভাব দেখা যায় নি।
যেমন দেখা যায়নি অমিতের বইয়ের বেলায়
তবে সবচাইতে হৈ হৈ রৈ রৈ ব্যাপার ছিলো গতকাল, প্রথমে মঞ্চ দখল, দখল পর্ব খুব সহজে সমাধা হবার পর দেখা গেল মোড়ক উম্মোচনের বই আর প্রকাশক নেই, উপস্থিত সব সচলের হাতে ফোন, এক এক করে ডেকে আনা হলো সবাইকে, এরই মাঝে আনিস ভাই অটোগ্রাফ নেবার জন্য বই বাড়িয়ে ধরেছেন।
অতঃপর মৃদুলের উপস্থাপনায় শুরু হলো মূল অনুষ্ঠান
প্রথমেই জুবায়ের ভায়ের ‘সিকি-আধুলি গদ্যগুলি’। উনার সাথে পরিচয় ছিলোনা আমার, যখন সচলায়তনের সাথে যুক্ত হলাম ততদিনে উনি চলে গেছেন, তবে উনার লেখা পড়েছি। গতকাল দেখলাম জুবায়ের ভায়ের প্রতি সবার ভালবাসা। অনেকের চোখেই পানি, মোটা কাচের ওপারে ভেবেছিলাম আনিস ভায়ের কান্না দেখা যাবেনা। উনার মত অনেকেই কেঁদেছেন গতকাল।
এরপর সেই বহুল প্রতিক্ষীত সংকলন দুহাতে তুলে ধরলেন লীলেন দা। পেছনে মুজিব ভাইও তুলে ধরেছেন, এই সংকলনে সবার অটোগ্রাফ নেবার উদ্যোক্তা মনে হয় মুজিব ভাই।
লীলেন দা তুলে ধরলেন আরো একটা, মানিক ভায়ের নায়কদের। যদিও শেষ পর্যন্ত স্টলে বইটা পাইনি আমি।
এরপর আরো এলো আনিসভায়ের হাতে সিরাজুল ইসলামের স্বপ্নচরাচর
কিংবা আখতারের ছড়ার বই
সবশেষে এলেন টুটুল ভাই মেলা নিয়ে উনার আশাবাদ শুনালেন
শুদ্ধস্বরের সামনে কিংবা নজরুল মঞ্চে এমন সচল সম্মিলন এখন নিত্যদিনের ঘটনা
মন্তব্য
জব্বর একটা সন্ধ্যা কাটালাম গতকাল।
মুস্তাফিজ ভাই-এর ছবিতে দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে গেলাম।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
হুঁ, বই বের করতে উৎসাহিত হচ্ছি
...........................
Every Picture Tells a Story
স্টিকি করে রাখার মতো পোস্ট।
দুর্দান্ত সব ছবি।
জুবায়ের ভাইকে খুব মনে পড়ে।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
হিংসায়িত হবার আরো কারন পাবেন।
মেলা থেকে যখন বের হই, বিশাল এক দল আমাদের, আনিস ভাই, রণদা, পান্থ, মৃদুল, বিডিয়ার, সবজান্তা... মোট ১৩ জন আমরা। হাঁটতে হাঁটতে টিএসসির সামনে এসে চা খাব ঠিক করলাম, সোহ্রোয়ার্দী উদ্যানে ঢোকার রাস্তার ভেতর চা খেতে বসেছি। হঠাৎ আনিস ভায়ের গান, চা খাবার পর আবার একটা গান। এরই মাঝে বিল দিলেন রণদা। উঠবার মুখে আনিস ভাই জিজ্ঞেস করলেন বিল কে দিল? জানালাম, রণদা, বললেন "চুল পাকা লোক দিলে ঠিক আছে", পোলাপান না দিলেই হলো।
ফেরার সময় উনার গাড়ীতে এসেছি, গল্পের এক পর্যায়ে চায়নার ফরবিডেন সিটির কথা উঠলো, উনি বললেন ঐটার উপর পোস্ট দিতে। উনি যেহেতু বলেছেন শীঘ্রই দিব।
...........................
Every Picture Tells a Story
মেলার হৃদপিন্ড ও তার স্পন্দন টের পেলাম এই পোস্টে। ছবিগুলি এমনই জীবন্ত।
@মুস্তাফিজ
প্রথম ছবিতে বালকটি আপনার ছেলে ? আর ওর হাতের পোস্টারটি ওর লেখা ? একেবারে নিপুণ লেখা ওর।
আচ্ছা বাংলা কি রাষ্ট্রভাষা নয় বাংলাদেশে ?
ও মাতিস, আমার ছেলে। ২১শে ফেব্রুয়ারীতে ভাষার জন্য পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ হয়েছিলো বলে ওর ধারনা, যুদ্ধে আমাদের অস্ত্র ছিলো এই পোষ্টার, সেই ধারনা থেকেই মাতিসের পোষ্টার আঁকা। আট বছর বয়সী ছেলের নিজস্ব ধারনাকে বদলে দেবার সাহস আমি করিনি।
...........................
Every Picture Tells a Story
খাইছে !
===================
আয়রে ভোলা খেয়াল-খোলা
স্বপনদোলা নাচিয়ে আয়,
আয়রে পাগল আবোল তাবোল
মত্ত মাদল বাজিয়ে আয়।
কী আর বলবো, বহুত মজা হইছে গেল কালকে।
আরো হিংসায়িত হইলাম
এম. এম. আর. জালাল
"ফিরে দেখুন একাত্তর ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ।"
এম. এম. আর. জালাল
"ফিরে দেখুন একাত্তর ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ।"
ফাটাফাটি! মুস্তাফিজ ভাইয়ের কামান দিয়ে তোলা সব ছবি দেখলে বলার মতো ভাষা খুঁজে পাওয়া যায় না আর
একটু বেশী হয়ে গেল না?
...........................
Every Picture Tells a Story
কালকে সব আয়োজন খুব ভালোই ছিলো... কোথাও কোনো ত্রুটি অন্তত আমার চোখে পড়ে নাই।
খালি একটা ব্যর্থতা এখন খেয়াল করলাম... খুব চোখে লাগলো... আমি ব্যক্তিগত ভাবে এজন্য খুব দুঃখিত...
নজমুল আলবাবের জন্য একটা বিছানা বালিশের বন্দোবস্ত যে রাখা উচিত ছিলো তা খেয়ালই করি নাই...
বেচারারে খাড়ায়া খাড়ায়া ঘুমাইতে হইলো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হা হা হা
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
হ, বউ বাচ্চা সহ
...........................
Every Picture Tells a Story
- বলসাবান ছিলোনা সাথে?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
যা হোক... মুস্তাফিজ ভাই... আপনে বস আসলে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ঐটা তো পুরান কথা। নাটকে পাঠ দিলে কন্
...........................
Every Picture Tells a Story
আমার কিন্তু ফটোগ্রাফাররে ভিডিওগ্রাফার বানানোর বাতিক আছে। আমার খুব একজন প্রিয় ফটোগ্রাফার... চিনবেন কী না জানি না... তানভির... আগে ম্যাপ নামে একটা ফটো এজেন্সি ছিলো... মাহমুদ ভাই, তানভির ভাই... সেই তানভির...
তারে কিন্তু আমি ভিডিওগ্রাফার বানায়া ছাড়ছিলাম। এবং আমার বানানো নাটকগুলোর মধ্যে ঐটার ভিডিওগ্রাফি ছিলো সবচেয়ে দূর্দান্ত... নাটকটা চ্যানেল আই কিনে নিছে... হয়তো যে কোনোদিন দেখাবে...
ভাবতেছি আপনের কাঁধে চড়ায়ে দিবো নাকি একটা নাটক?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমি কি আপনাকে কিছু বলছি? বলিনাই। বলে থাকলেও ভুলে গেছি
...........................
Every Picture Tells a Story
আপনি আবার খোঁচান ক্যা?
...........................
Every Picture Tells a Story
ঠিকাছে... মাথায় থাকলো... সামনে অবশ্য নাটক বানানোর প্ল্যান তেমন নাই... সিনেমার প্ল্যান চলতেছে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সিনেমা হইলে তো আর ভুড়ি না কমাইলেও চলবো, ঐখানে ভুড়ির দাম আছে
...........................
Every Picture Tells a Story
- মুস্তাফিজ ভাই ক্যামেরার পিছে খাড়াইলে আর নজু ভাই কাট-এ্যাকশনে থাকলে আমার ভীলেন হওয়া ঠেকায় কোন হালায়?
নাইকা সুন্দরীর এইবার আর নিস্তার নাইরে কাল্লু!!! মুহু মুহাহা হাহাহা হাহাহাহা
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
@মুস্তাফিজ
আপনার ছেলেকে আমার স্যালুট জানাবেন।
@অরূপ@আলভোলা
আমি তো খুব ভালো করেই জানি পৃথিবীতে, এই সৌরজগতে আমার প্রিয় ভাষা "বাংলা" একটি রাষ্ট্রেই রাষ্ট্রভাষা। সে হল বাংলাদেশ। ঐ পোস্টারটা দেখে আমার ষোড়শবর্ষীয়া কন্যা আমাকে অবাক প্রশ্ন করেছিলো। মুস্তাফিজ ভাইয়ের ব্যাখ্যা মেয়েকে দেখিয়েছি।
ধন্যবাদ।
...........................
Every Picture Tells a Story
আচ্ছা, সর্বশেষ ছবিতে মাহবুব লীলেন এমন মার্শাল আর্ট পোজ ধরে কাকে হুমকী দিচ্ছিলো ! শেষ পর্যন্ত মৃদুল আহমেদ'কেই আদম ভুনা বানাতে চাচ্ছিলো নাকি !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
না, ঐটা শাহেনশাহ্ এর জন্য
...........................
Every Picture Tells a Story
খুব ভালো লাগলো মেলায় সচলসমাবেশ দেখে। ভাবতে অবাক লাগছে মাত্র
কয়েকটা মাস আগেও কাউকে চিনতাম না আর এখন নিজের পরিবারপরিজন বলে মনে হচ্ছে। মেলাটাকেও নিজের খুব চেনা মেলা আর কাছের মেলা বলে মনে হচ্ছে!
জগত্ খুব আশ্চর্য জায়গা, বেঁচে থাকা একটা যাদুর খেলা!
সকলে ভালো থাকুন আর খুব জম্পেশ আনন্দ করুন।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
দুর্দান্ত পোস্ট, দুর্দান্ত সব ছবি। আপনার ছেলের বানানো পোস্টার দেখে শিহরিত ও লজ্জিত হলাম। দারুণ কাজ। কী অপূর্ব পোস্টার! আমার হয়ে অভিনন্দন পৌঁছে দেবেন। বাকি কিছু নিয়ে বলবো না। যথারীতি হিংসায়িত।
হ্যাভক!
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
দুর্ধষ ছবি !
এইসব ক্যামেরা আর ক্যামেরাচালকের মত মানুষের পাশে দাঁড়ায়া যে কী ডরে ডরে ছবি তুলছি, তা যদি কেউ জানতো
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
কালকে রাতে জরূরী কাজে ডাক পড়ায় তাড়াহুড়ো করে মেলা থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল । তাও প্রায় রাত দশটা বাজে । বেরিয়ে আসার পর রিক্সায় করে যেতে যেতে ভাবছিলাম, আমি গত কয়েক বছর দুই ঈদেও এত আনন্দিত হবার উপলক্ষ্য পাইনি যেমন পেলাম আজকের একুশে ফেব্রুয়ারিতে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
মুস্তাফিজ ভাই দেখি ভালু ছবিও তুলেন। আমিতো ভবছিলাম ওনলি টয়লেটে ছবি বুঝি তুলেন ঃ-}
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
বইমেলায় থাকতে না পারার বেদনায় এমনিতেই দংশিত হচ্ছি। তারপর এরকম জীবন্ত ছবি অনেক কাছে থেকে বই মেলার অনুভব এনেদিয়েছে ,জ্বালা আরে বেড়েছে। সচলে ছবি পোস্টানো বড়ই কষ্টসাধ্য ব্যপার বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে। এই কষ্টসাধ্য কাজটি যত্নের সাথে করায় আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
চিন্তায় ছিলাম কি এমন লেখা যা ষ্টিকি করা হলো! সত্যি আমাদের সচলায়তন টিম সঠিক কাজটিই সঠিক সময় করে। মুস্তাফিজ ভাইয়ের ভ্রমণ কাহীনির বর্ণনার মত এক জলন্ত উপহার এই পোষ্টটি।
পড়তে পড়তে একবার ধিক্কার দিলাম কেন ভাবলাম ষ্টিক করা নিয়ে।
যারা সামিল ছিল তারা সত্যি দারুণ উপভোগ করেছে আমি যেতে যেতেও যেতে পারিনি! হায়!
ধন্যবাদ, মুস্তাফিজ ভাই, আপনার ছবির ডালা বাকি দিনগুলিতেও উদ্ভাসিত হোক আমাদের জন্য যারা সামিল হতে বঞ্চিত।
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
এটা কি স্টিকি পোস্ট?!
কল্লোলদাকে অবশ্যই পাঠাতে পারবো। আরো কিছু ছবিও যদি দেন ভালো হ্য়। মেলে পাঠাতে পারেন।
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
ধন্যবাদ, আমি আসলে প্রিন্ট পাঠাতে চেয়েছিলাম, বাঁধাই করে। কলকাতা এয়ারপোর্ট পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারবো।
...........................
Every Picture Tells a Story
সেটা আরও ভাল হয়। কলকাতা এয়ারপোর্ট পর্যন্ত পাঠাতে হবে না, এখানে আমার হাতেই দিয়ে দেবেন, আমি ফিরে যাওয়ার পরে বৌদির সাথে দেখা হবে, তাঁর হাতে দিয়ে দেব। কল্লো'দা পেয়ে যাবেন।
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
ছবিগুলি সিরাম হইছে ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
কত ফটু রে আশপাশে... দেইখাও আনন্দ।
------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
বিশতারিখ বিকালে মেলার মাঠে মুস্তাফিজ ভাইরে দেইখা একটা ধাক্কাই খাইলাম। আমি যেরাম ভাবছিলাম সেরাম সে না। লেখা পইড়া ফটুক দেইখা মনে হইছিলো আমগো নজুর মতো লাল্টু টাইপ কিছু একটা হইবো সে। কিন্তু না, সে দেখি পুরাটাই বুড়া। সত্যবাদী আমি সেইটা বলে ফেলছিলাম, কথাটা ছিলো এইরকম, 'মুস্তাফিজ ভাই আপ্নে দেখি ব্যাপক বুড়া...' আমি নিরিহ মানুষ, পাপিষ্ঠ প্রকাশক বুঝিনাই কি ভুল করেছিনু এ মেলার ভূবনে।
আজ এই বেলায় মুস্তাফিজ ভাই খিচিত ফটুক দেখে বুঝতে পারছি, সে কেমন...
ভাইরে এমুন না কর্লেও পারতেন। এইভাবে বিছানা ছাড়া ঘুমের দৃশ্যকল্প না বানাইলে কি আর ক্ষতি বৃদ্ধি হইতো। না হয় মুখ ফসকে বলেই ফেলেছি আপ্নে বুড়া, তাই বলে আমারে দেবেন এমন সাজা!!!
আর নজু মিয়ারে বলি, লালিমা ছড়ায়ে লাভ হবে না হে লাল্টু নাট্যকার, নায়ক তোমাকে আমি বানাবোই না। আর শুনে রাখো হে অধম, আমার পিছলা ছেলেকে লাগিয়ে দেব তোমার কন্যার পেছনে। রেডি থাকিও বাবা। সুন্দরি বেয়াইন আমার আবার খুব পছন্দ কী না!!!
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আরে... আমি কী করলাম?
আমি আপনার সুবিধার জন্য একটা বিছানা বালিশ জোগাড় করতে পারলাম না সেই দুঃখে আছি... আর আপনে আমার পিছে লাগছেন? এইজন্যই আল্লায় বলছে... কানারে পথ দেখাইতে নাই
আর মুস্তাফিজ ভাই বুড়া জানতাম কিন্তু এতো বুড়া তা তো জানতাম না। আমার এক প্রিয় মানুষ আছেন... ডায়মন্ড ভাই। পিতৃসম স্নেহ দিয়া আমারে জড়ায়ে রাখেন সবসময়। আমার বই প্রকাশের দিন যথারীতি তিনি আসছেন... আমার লগে কথা কইলেন... তারপর শুদ্ধস্বরে গেলেন আমার বই কিনতে... তখন মুস্তাফিজ ভাই আমারে বলে এই লোক কে? আমি বলি ডায়মন্ড ভাই... সে তখন গিয়া দেখি সেই বৃদ্ধ লোকটারে একটা থাবড়া মারলো... আমি তো অবাক...
ও মা... তারপর দেখি তারা পুরান দোস্ত...
তখন আমি বুঝলাম... মুস্তাফিজ ভাইও আমার মতো... বয়স চেহারায় ধারণ করে না...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ডায়মন্ড আমার চাইতে বয়সে বড়, ঐটা ব্যাপার না। ওর বড় ভাই আব্দুল্লাহ ফারুক, স্বাধীন বাংলা বেতারের উদ্যোক্তাদের একজন, সেও আমার বন্ধু।
তবে সেদিন ডায়মন্ড ভায়ের সাথে আসলেই অনেকদিন পর দেখা, সাত বছরের কাছাকাছি।
...........................
Every Picture Tells a Story
ঐটা আবার ক্যামন টাইপ যান্তে মঞ্চায়
...........................
Every Picture Tells a Story
মুস্তাফিজ ভাই, এইটাকে কি লাল্টু টাইপ বলে...?
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ফটুক দেইখাই মন্টা ভরাই
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
মুস্তাফিজ ভাইয়ের ছবি কথা কয়।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
বিশাল ক্যামেরা প্রথমবারের মতো ছবি তুলতে পাইরা আমি বড়ই পুলকিত। মুস্তাফিজ ভাইরে জাঝা ।
=============================
নতুন মন্তব্য করুন