পিসায় যখন পৌঁছেছি সন্ধ্যা ছুঁই ছুঁই। শহরের মাঝদিয়ে বয়ে চলা খালের পাশে একটু খানি খালি জায়গা, ড্রাইভার সেখানেই গাড়ী রাখলো। আমাদের হোটেল সেখান থেকে ৫/৭ মিনিটের হাঁটা পথ। পুরোনো ছোট রাস্তা বলে গাড়ী যাবেনা। অগত্যা হাঁটা, ইটের রাস্তায় সুটকেসের চাকার একঘেয়েঁ খটর খটর শব্দ তুলে একসময় হোটেলে।
আধ ঘন্টায় রুমে ঢুকে সবকিছু রেখে হাত মুখ ধুয়ে ডিনারে বের হলাম, হোটেলে ঢোকার গলির মাথায় পিজা’র দোকান দেখেছিলাম, আমাদের গন্ত্যব্য সেখানেই। দোকানের কর্মচারী চাইনীজ, আকারে ইশারায় বুঝিয়ে খাবারের অর্ডার দিলাম, পিজা আর কোক, জনপ্রতি ৯/৫ ইউরো। ডিনার শেষ হলো রাত ৯টার দিকে। এরপর বের হলাম শহর দেখতে।
রোমে যেমন দেখেছি সব হোটেলে বিনে পয়সায় শহরের ম্যাপ, এখানেও তেমন। অসুবিধা হবার কথা নয়, এছাড়া পিসার হেলানো টাওয়ার শহরের সব জায়গা থেকে দৃশ্যমান। আমাদের প্রথম গন্তব্য সেখানেই।
ছোটবেলায় বইতে পড়েছিলাম, এরপর সপ্তাশ্চর্যের তালিকায় নাম দেখেছি, তারও অনেক পরে গ্যালিলিও পড়তে যেয়ে ‘পিসার হেলানো টাওয়ারের” প্রতি আলাদা একটা টান ছিলো, গলি ঘুপচি পেড়িয়ে যতই টাওয়ারের কাছাকাছি যাচ্ছি ততই রোমাঞ্চিত হচ্ছিলাম, ১৫/২০ মিনিটের হাঁটা একসময় এসে থামলো ঠিক হেলানো টাওয়ারের সামনে।
প্রায় ১৭৭ বছর ধরে ১১৭৩ সাল থেকে ৩ পর্যায়ে তৈরী এ টাওয়ার আসলে তৈরী করা হয়েছিলো এর ঠিক পেছনের ক্যাথিড্রালের বেল টাওয়ার হিসাবে। ক্যাথিড্রাল, তার পেছনের ব্যাপিস্ট্রি আর কবরস্থান মিলিয়ে বিশাল এক যায়গা। এগুলো তৈরী হয়েছিলো বেল টাওয়ার তৈরী হবার অনেক আগেই। সে হিসাবে এটা পিসার সবচাইতে পুরনো স্থাপনা নয়। রাতে যখন পৌঁছালাম সাদা মার্বেলে তৈরী বেল টাওয়ার আর ক্যাথিড্রাল চাঁদের আলোয় ঝকমক করছিলো, জনা পঞ্চাশেক সৌন্দর্য পিপাসু তখনও সেখানে, ঘাসের উপর চুপচাপ বসে আছে, তাঁদের সাথী হলাম আমরাও। দু ঘন্টা আড্ডা মেরে ফিরে এলাম হোটেলে।
পরদিন সকাল সাড়ে আটের ভেতর নাস্তা সেরে আবারো চলে এলাম সেখানে। কয়েকশ পর্যটকে গিজ গিজ করছে আশপাশ। আমাদের ছোট্ট দল ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেল আশে পাশে, এর আগে ঠিক হলো যেখানেই যাই ঠিক সাড়ে দশে মিলিত হবো সেখানে আর তার একঘন্টা পর পিসা ছাড়বো আমরা।
দেয়াল ঘেঁষে পেচানো ২৯৪ ধাপের সিড়ি পেড়িয়ে চূড়ায় উঠতে গেলে প্রতি ধাপের জন্য আপনাকে গুনতে হবে বাংলাদেশী টাকায় ১২ টাকার মত। হিসাব করে দেখলাম উপরে উঠে আবার নেমে এই স্বল্প সময়ে আশেপাশে ঘোরা সম্ভব নয় তাই উপরে উঠার চিন্তা বাদ দিলাম। আমরা ঢুকেছিলাম পূব দিক দিয়ে, এদিকে প্রথমেই টাওয়ার এরপর ক্যাথিড্রাল তার পেছনে ব্যাপিস্ট্রি, ব্যাপিস্ট্রির পেছনে পিসার পুরনো প্রতিরক্ষা দেয়াল, উত্তরে গোরস্থান। দক্ষিনে সবুজ মাঠ, সমান করে ঘাস কাটা তার পর পূবে পশ্চিমে লম্বা রাস্তা। এই রাস্তার দক্ষিনে সারি সারি গিফট্ শপ, সমস্তই চীনে বানানো স্যুভেনিওর, দোকানীরাও বিদেশী, এর মাঝে বাঙ্গালীও আছে। হাঁটতে হাঁটতে পশ্চিমে যাচ্ছি, আমার সাথে স্থানীয় দুই বাঙ্গালী, ৮ লক্ষ টাকা খরচ করে এখানে এসে দোকানে দোকানে ফুটফরমাস খাটে, তবুও খুশী একদিন স্থায়ী হতে পারবে তাই ভেবে।
এই সকাল বেলাতেও কড়া রোদ, দেয়ালের কাছে পৌঁছে উলটো দিকে ঘুরলাম, প্রথমেই ব্যাপিস্ট্রি, ইটারং এর বিশাল গম্বুজের নীচে মার্বেলের কাজ করা, শুধু তাকিয়েই থাকতে ইচ্ছা করে। এরপর ক্যাথিড্রাল, এটাতে কাজ আর বেশী, এদিককার সেরা শিল্পী সবারই হাতের ছোঁয়া আছে সেখানে। দরোজা গুলো বিশাল বিশাল, মেটালে তৈরী, তাতেও কাজ করা। লাইন ধরে পর্যটকেরা ঢুকছে ক্যাথিড্রালের ভেতর, এখন এটা মিউজিয়াম। পুরো একটা চক্কর দিয়ে চলে এলাম বেল টাওয়ারের সামনে। সবাই ঘুরে ঘুরে ছবি তুলছে, হেলানো টাওয়ারের সামনে এভাবে পোজ দিচ্ছে যাতে ছবি তুললে মনে হয় টাওয়ারের পড়ে যাওয়া ঠেকাচ্ছেন।
আমিও ছবি তুলছি, একসময় কার্ড ভরে গেলো ছবিতে, ছবিগুলো ট্রান্সফার করতে হবে। খুঁজে পেতে কাছেই একটা সাইবার ক্যাফেতে গেলাম, ওরা ৪টা সিডি করে দিলো, তাতে যে পয়সা তাতে নিশ্চিন্তে ৮গেগাবাইটের কার্ড কিনে ফেলা যায়।
আমি যখন সিডি করাচ্ছি দেখলাম আস্তে আস্তে আমাদের সবাই সেখানে এসে হাজির। আমাদের জন্য বরাদ্ধ সময়ও শেষ, অগত্যা আস্তে আস্তে ফিরতি পথে হাঁটা দিলাম আমাদের হোটেল লিওনার্দো’র উদ্দেশ্যে।
মন্তব্য
সোনা দিয়া হাত বান্ধাইলে আপনি আর ছবি তুলতে পারবেন না। নাইলে দুর্দান্ত সব ছবির জন্য আপনার হাত বান্ধাইয়া রাখতাম।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
এখন এমনিতেও ছবি তুলতে পারিনা, অপারেশনের পর থেকে ডান হাতে বল পাইনা। হাত বান্ধাইয়া দ্যান, ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।
...........................
Every Picture Tells a Story
দিমুনে, সোনার দামটা আরেকটু কমুক । কী পাবলিক, কইলে আর না নাই!!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
বড় হয়ে আমিও পিসা যাবো।
বড় হইতে এখনও বাকি আছে নাকি!!
...........................
Every Picture Tells a Story
হ। মাতিসের থেকে আমি মাত্র ১ বছর ৩ দিনের বড়।
তাইলে তো আরো আগেই বড় হইছো
...........................
Every Picture Tells a Story
কত দিন পরে মুস্তাফিজ ভাই'র লেখা পেলাম।
লেখা আর ছবিতে পাঁচতারা
পিসায় গিয়া পিজা খাইতে মঞ্চায় ........
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আরেকটু সুস্থ হইতে দ্যান
...........................
Every Picture Tells a Story
পিজায় গিয়েছিলাম বেশ কয়েক বার। আপনার লেখা পড়ে আরেকবার যাওয়া হয়ে গেল। তবে সামনের সপ্তাহে এলবা দ্বীপে যাচ্ছি একসপ্তাহের জন্যে। মিউনিখ থেকে পিওমবিনো ড্রাইভ করে, তারপর ফেরীতে। পিওমবিনো থেকে পিজা খুব দূরে নয়।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
আমরা ইতালিতে এসেছিলাম মিউনিখ হয়েই। মিউনিখে ৪ ঘন্টার বিরতিতে শহরেও ঢুকেছিলাম।
...........................
Every Picture Tells a Story
আহারে! একটা খবর দিতেন! এরপর দেবেন মনে করে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
আগে যদি যানতাম...
আসলে ্মিউনিখ থেকে কানেক্টিং ছিল ৪৫ মিনিটের, যেহেতু ইমিগ্রেশন মিউনিখেই হয়ে গিয়েছিল তাই সুযোগটা নিয়েছিলাম সেই ফ্লাইটে না যেয়ে ৪ঘন্টা পরের ফ্লাইটে যাবার, আর ট্রেনের টিকিট কেটে মারিয়ান প্লাজায় নেমে ঘোরাঘুরি করে আবার ফিরেছি
...........................
Every Picture Tells a Story
দারুন ছবিগুলো! আমিও যাব
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
ধন্যবাদ
...........................
Every Picture Tells a Story
মুস্তাফিজ ভাই, ছবিগুলো অসাধারণ! যেন সচলায়তনে একটুকরো পিসা তুলে দিয়েছেন একেবারে!
সেদিন রোদ ছিল, আর ক্যামেরায় লেন্সের উপর ছিল সিপিএল ফিল্টার, রঙ তাই ফুটেছে
...........................
Every Picture Tells a Story
একদিন যেতে হবে.....
_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)
ভাল লাগবে, ঘুরে আসুন
...........................
Every Picture Tells a Story
আহারে!
পিসার মতো যদি পিটজারো একটা টাওয়ার থাকতো।
ওখান থেকে পিটজা ভেঙ্গে ভেঙ্গে খাওয়া যেতো
ছবি এবং লেখা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
খাবারের প্রতি আলাদা দূর্বলতা আছে আমার, কিন্তু ইতালিতে যেয়ে পিৎজার সেই স্বাদ পাইনি। তবে পিসা থেকে ভেনিস যাবার পথে রাস্তায় এক দোকানে ২০ ইউরো দিয়ে বিফ স্টেক নিয়েছিলাম, উমম্ এখনও জিবে পানি আসে
...........................
Every Picture Tells a Story
লেখা ও ছবি ।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
ধন্যবাদ
...........................
Every Picture Tells a Story
আপনি তো দেখি অনেক কিছুই দেখে ফেলেছেন। আর কোথায় কোথায় ঘুরেছেন? সেগুলো নিয়েও নিশ্চই লেখা আসবে?
...............................
নিসর্গ
চেষ্টা থাকবে
...........................
Every Picture Tells a Story
ভাল লেগেছে। স্পেশালি ছবি গুলো।
'''''''''''
তৃপ্তি আমার অতৃপ্তি মোর
মুক্তি আমার বন্ধনডোর
'''''''''''
তৃপ্তি আমার অতৃপ্তি মোর
মুক্তি আমার বন্ধনডোর
ছবিগুলো সব ক'টাই রীতিমতো দুর্দান্ত ! লেখাও সেইরকম।
এত্তো এত্তো জায়গায় গেছেন আপনি। ক্যামেরা কান্ধে নিয়া যাওয়ার লোক লাগলে আমারে কইয়েন।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
গত মাসে অসুস্থ না হলে এসময় মালয়েশিয়া থাকার কথা ছিল, হাতে ক্যামেরা তোলার মত বল এখনও নেই। আপনার কথায় সাহস পেলাম, বলেন কবে যাবেন
...........................
Every Picture Tells a Story
এক পায়ে খাড়াইয়া থাকলাম।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমি কিন্তু সিরিয়াসলী বলছি, আমরা এপ্রিলেই যাবার আশা রাখি। যদি সত্যি যেতে চান যোগাযোগ করেন
...........................
Every Picture Tells a Story
ঘোড়াঘুড়ির সময় যারা যত্ন করে ছবি তোলেন তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা।
আপনাকেও ধন্যবাদ। হাতের বিষয়টা জেনে দুখ পেলাম।
ভালো থাকুন।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আমি আশাবাদী মানুষ। আবারো একদিন পুরোদমে ডান হাত চালাতে পারবো
...........................
Every Picture Tells a Story
ওয়েলকাম ব্যাক মুস্তাফিজ ভাই
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
ধন্যবাদ
...........................
Every Picture Tells a Story
খুব ভালো লাগলো। যাইতে মন চায়।
পড়তে গিয়া পড়মু কি, ছবিগুলি দেইখাই তো টরেটম বইনা গেছি !
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ধন্যবাদ
...........................
Every Picture Tells a Story
আপনার তোলা ছবি মুগ্ধ হয়ে দেখি।
--
আমার এই দেশেতে জন্ম, যেন এই দেশেতেই মরি...
ধন্যবাদ
...........................
Every Picture Tells a Story
ওয়েলকাম ব্যাক মুস্তাফিজ ভাই। গল্পটা কিন্তু দুম করে শেষ করে দিলেন। টাওয়ারের গল্প আর ছবি পেলাম, শহরটার গল্প আর ছবি কই? টাইপ করতে অসুবিধা হলে আওয়াজ দেন। আপনার গল্প টাইপ করার লোকের অভাব হবে না। তবু গল্প শর্ট করবেন না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ধন্যবাদ, এখানে শুধু টাওয়ারের কথাই বলেছি, শহরের গল্প না হয় অন্যদিন।
আর আমি এখন টাইপ করতে পারি যদিয়ো ডান হাতে একটু যন্ত্রণা আছে। সমস্যা হলো অন্য যায়গায়, দূর্বল বলে একটানা পারিনা।
...........................
Every Picture Tells a Story
কামনা করি দুর্বলতাগুলোকে বাঁ হাতের ঝটকায় দূরে ফেলে দেবেন খুব তাড়াতাড়িই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ছবিগুলো খুবই চমতকার, উজ্জ্বল, স্পষ্ট; আমার প্রিয় দেশটির জন্য নস্ট্যালজিয়া নিয়ে এলো। অবশ্য আমি রোমা, ফিরেন্সে, মিলানো, ভেরোনা, ভেনেতসিয়া, নাপোলি, পম্পেই, সালেরনো, সোরেন্তো, কাপ্রি, তোরিনো, আওস্তা, ত্রিয়েস্তে গেলেও কখনো গ্যালিলিওর পিসায় যাওয়া হয় নি। দীর্ঘদিন সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের দেশী নাসিম খলিলুর রহমান অধ্যাপক ছিলেন।
খাবারটাকে এদেশের লোক পিজা বলে। কিন্তু উচ্চারণ পিতসা। আর এটা ঠিক যে পিতসার চাইতে ইটালীর বিসতেকা আই ফেরি ( গ্রিল্ড স্টেক) অনেক মজার।
ধন্যবাদ আপনাকে। এখানে দেয়া একটা ছবি (ডলফিনের উপর দাঁড়িয়ে আছে কসিমো) সম্ভবত পিসা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে তোলা, সম্ভবত বললাম এজন্য যে ঐটা আসলে যে বিশ্ববিদ্যালয় তা আমি বুঝিনি, ফিরে আসার পর একজন জানালো ওটা সেখানেই।
...........................
Every Picture Tells a Story
স্বমহিমায় মুস্তাফিজ ভাই।
লেখা আর ছবি, সবই দুর্দান্ত লাগল বরাবরের মতোই।
অফটপিক:
আপনার প্রোফাইল ফটোটা খুব ভাল হইসে। এ পর্যন্ত সচলায়তনে আমার দেখা সেরা দুইতিনটা প্রোফাইল ফটোর একটা।
ধন্যবাদ।
অফটপিক: ছবিটা তুলেছে সিলেটের প্রনবেশ (শাওন), আমার বিছানা থেকে উঠে দাঁড়ানোর ছবি।
...........................
Every Picture Tells a Story
নতুন মন্তব্য করুন