তিওমানে শেষ বিকেল
তিওমান দ্বীপ সুন্দর। তিওমান নিয়ে প্রচলিত রূপকথা অনেকটা এমন...
একবার এক সুন্দরী ড্রাগন কন্যা অভিসারে বের হয়েছিলো, গন্তব্য সিঙ্গাপুর, সেখানে থাকে তার প্রেমিক। চীন থেকে রওয়ানা দেবার পর পরিশ্রান্ত সেই ড্রাগন কন্যা চীন সাগরের মাঝে এ দ্বীপে এসে নামে একটু বিশ্রাম নেবার জন্য, লতাপাতা ফুলফলে ভরা ছোট্ট এ দ্বীপ তার এতই পছন্দ হয়ে যায় যে শেষ পর্যন্ত অভিসার বাদ দিয়ে এ দ্বীপেই মিশে থাকে।
সমুদ্র থেকে ফেরার পর পরিশ্রান্ত আমরা রিসোর্ট থেকে একটু দূরে এক রেষ্ট্রুরেন্টে দুপুরের খাবার খেয়েছি। বাইরে প্রচন্ড রোদ, তা ছাড়া পানিতে নামার পর শরীরের যে সব জায়গা খোলা ছিলো সেগুলো রোদে পুড়ে জ্বলছে। অরূপেরও একই অবস্থা। রোদ বেশী বলে অনেকক্ষণ সেখানেই বসে ছিলাম, ছবি তুলেছি সেখানে বসেই। রোদ একটু ধরে এলে দ্বীপ দেখতে বের হলাম।
ছোট দ্বীপ হলেও পাহাড়ের বাঁক গুলো এমন যে একমাথা থেকে অন্যমাথায় নৌকা ছাড়া যাবার উপায় নেই। হেঁটে যে একেবারে যাওয়া যাবেনা তা নয়, সেজন্যে পাহাড়ের উপর উঠে বৈদ্যূতিক খুঁটির পথ ধরে যাওয়া যায়, আমরা সেই পথই ধরলাম, পাহাড়ের উপর উঠে কিছুটা যাবার পর খেয়াল করলাম এ পথ খুব একটা ব্যবহার করেনা কেউ। আর সন্ধ্যা হয়ে আসছে বলে ফিরে আসার সময় টর্চ ছাড়া হারিয়ে যাবার ভয় থাকবে বলে আর গেলাম না। সেখানে বসে বসেই কিছু সময় কাটালাম, অরূপ থেকে ছবি তোলার কিছু টিপস্ নিলাম। এ দ্বীপে মোবাইল নেটওয়ার্ক নাই, পাহাড়ের উপর অরূপ খানিকক্ষন চেষ্টা করলো নেটওয়ার্ক ধরতে। পেলোনা বোধ হয়।
সূর্য ডোবার কিছু আগে নীচে নেমে এলাম, নীচের বীচে তখনও মানূষের আনাগোনা। এ দ্বীপে নারকেল গাছ প্রচুর, খেয়াল করলাম অনেক গাছের নীচেই শুকনো নারকেল পড়ে আছে তবে আশ্চর্যের ব্যাপার কোথাও ডাব বিক্রি হতে দেখিনি, থাকলেও চোখ এড়িয়ে গেছে। সূর্য পশ্চিমে হেলে যাচ্ছে, কেন জানি সূর্যাস্তের ছবি তুলতে ইচ্ছা করছেনা, আজ এখানে শেষ রাত আমাদের, আগামীকাল সকালেই কুয়ালালাম্পুরের দিকে রওয়ানা হবো, সেখান থেকে ঢাকা, আমার প্লেনের টিকিট কনফার্ম করা নাই।
ছবি ১; পাহাড়ের উপর নেটওয়ার্ক খোঁজায় ব্যস্ত
ছবি ২, ৩; সালাং বীচ রিসোর্টের সামনে
ছবি ৪; সালাং বীচ
ছবি ৫; পাহাড়ের উপর থেকে দেখা
ছবি ৬; সূর্যাস্ত
ছবি ৭,৮,৯; রাতের তিওমান
ছবি ১০,১১; যে রেষ্ট্রুরেন্টে বসেছিলাম সেখান থেকে তোলা
মন্তব্য
অফিসের কাজ সেরে ছবি প্রসেস করতে সময় নেয় বেশী, কি করবো
...........................
Every Picture Tells a Story
ছবি গুলো অসাধারন..
(জয়িতা)
ধন্যবাদ জয়িতা
...........................
Every Picture Tells a Story
এইবারের ছবিগুলান আরো জোশ হইছে !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ধন্যবাদ, তবে অরূপের তোলা ছবিগুলো আরো ভালো (যদি দেখাইতো)
...........................
Every Picture Tells a Story
ছবিগুলা একদম ছবির মত হৈসে!
ছবির সাথে মিলিয়ে ছড়া লিখে ফেলেন
...........................
Every Picture Tells a Story
- মুস্তাফিজ ভাই, আপনেরে একটা সাজেশন দেই, ফটুক তোলা নিয়ে।
অরূপের ফটুক তো তুলছেন, যদি কখনো হিমুরও ফটুক তোলা লাগে তার লাইগা জাইনা রাখা ভালো আরকি!
ক্যামেরার ব্রাইটনেস বাড়ায়া দিয়া ফটুক তুইলেন ভাই। এই দুই আদমরে প্রকাশ্য দিবালোকে সেলুলয়েডে ধরতে পারে এমন ক্যামেরা আইজ পর্যন্ত তৈয়ার হয় নাই। গনগইন্যা সূর্য্যের মইধ্যেও এই দুই আদমরে টর্চলাইট মাইরা খুঁইজা বাইর করা লাগে, তাও দাঁত বাইর কইরা ভেটকি না দিলে কোনো উপায়ই নাই।
আমি একবার ট্রাই দিছিলাম। ফিলিম ওয়াশ কইরা দেখি সবকিছুই ঠিক আছে মাঝখানে কী জানি আন্ধাইর দেখা যায়। বুঝলাম ঐটা হিমু বা অরূপের ফটুক তুলছিলাম! আমার ফিলিমটাই বরবাদ।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনাকে আরো ভালো সাজেশন দেই, যেই ফ্লিমটা তুলছেন তার উপর একটু তিব্বত স্নো মাখাইয়া আবার ওয়াশ করতে দেন
...........................
Every Picture Tells a Story
জোশ ছবি।
ধন্যবাদ
...........................
Every Picture Tells a Story
মুস্তাফিজ ভাইয়ের ওয়াইড এ্যাঙ্গেলটা চুরি করতে হইবো... সিদ্ধান্ত নিলাম...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধরা খাইলেন, বেশীর ভাগ ছবিই ২৪-১০৫ এ তোলা, ১০-২২ খূব কমই ব্যবহার করেছি
...........................
Every Picture Tells a Story
ফটোগ্রাফার হইছেন বইলা কি লেখা এত কম দিবেন?
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
লিখতে না পারলে কি করমু? যে লিখতে পারে সেতো বিলাইয়ের ছবি দিয়া খালাস
...........................
Every Picture Tells a Story
এধরনের ছবি তোলা ও দেখানো আমজনতার উপর অত্যাচার। তেব্র পেত্তিবাদ!
আমের সিজন সামনে
...........................
Every Picture Tells a Story
দীর্ঘশ্বাস! নাদের আলি, আমি কবে এখানে বেড়াতে যাব?
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
নাদের আলি উত্তর দিলে আমাকে জানাবেন
...........................
Every Picture Tells a Story
নতুন মন্তব্য করুন