রং, মেঘ আর আলোর খেলা-২
রং, মেঘ আর আলোর খেলা-১
সুন্দরবনের নাম এলেই অবধারিত ভাবেই কটকা, শরনখোলা আর দুবলার চরের নাম চলে আসে। আমি কটকা গিয়েছিলাম ২০০৭ এর অক্টোবরের আঠারোয়, উনিশ তারিখ ভোরে ঘুম ভাংলে লঞ্চের জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি এক অদ্ভুত দৃশ্য, এত সুন্দর মেঘ অনেকদিন দেখিনি, মূহুর্তেই ভুলে গেলাম এই কটকাতেই এই নদীর পাড়েই কিছুদিন আগে গোসল সারতে যেয়ে চোরাবালিতে পড়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগারোজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিলো। আমার মাথার পাশেই ছিলো ক্যামেরা, হাতে নিয়ে উঠে এলাম ছাদে, রাতে হালকা শিশির পড়াতে ছাঁদ ভেজা আর পিচ্ছিল, কোনমতে নিজেকে সামলে নিয়ে সুন্দরবনে সূর্যোদ্বোয়ের ছবি তুললাম, আমাদের গাইড এক কাপ কালো কফি এনে দিয়ে বসলো আমার পাশে, আমি ছবি তুলতে থাকলাম। এ সৌন্দর্য বর্ননার ভাষা আমার নেই। এর আগের লেখায় মন্তব্যে/ব্যক্তিগত বার্তায় কেউ কেউ ক্যামেরার সেটিংস্ জানতে চেয়েছিলেন তাই এখানে এটাও ঢুকিয়ে দিচ্ছি। এক্সপোজারঃ ১/১২৫, এপারচারঃ ৪.৫, ফোকাল লেন্থঃ ২৪মিমি।
পরেরটা এক্সপোজারঃ ১/১০০, এপারচারঃ ৪.৫, ফোকাল লেন্থঃ ২৪মিমি।
শরৎ কিংবা হেমন্তে সুন্দরবন গিয়েছেন কিন্তু আকাশের মেঘ দেখে অভিভূত হননি এমন লোক খুব কমই আছে। যাত্রা পথে নদীর দুপাশে বন আর উপরে মেঘের খেলা আপনাকে মুগ্ধ করবেই। আমিও হয়েছিলাম, নিচের ছবিদুটোতে চলুন সেই মুগ্ধতা ভাগাভাগি করি।
এক্সপোজারঃ ১/৪০০, এপারচারঃ ১১, ফোকাল লেন্থঃ ১০মিমি।
এক্সপোজারঃ ১/৮০, এপারচারঃ ৬.৩, ফোকাল লেন্থঃ ২৪মিমি।
সুন্দরবনের কচুখালী ফরেস্ট অফিসের কাছে ছোট্ট একটা চরের মত আছে, স্থানীয়রা বলে ডিমের চর আর টুরিস্ট কোম্পানীর গালভরা নাম বার্ডস্ আইল্যান্ড। ২০০৭ এর অক্টোবরের ২০ তারিখ আমাদের লঞ্চ যখন এই দ্বীপের কাছে এসে থামলো সূর্য তখন যাই যাই করছে। লঞ্চ থেকে ছোট ডিংগীতে করে দ্বীপে এসে নামলাম। যেদিকে চোখ যায় পুরোটাই খালি, কোন জন বসতি নেই, জোয়ারের সময় প্রায় পুরোটাই পানিতে ডুবে থাকে বলে ঘর বাড়ী গড়ে উঠেনি, যাওবা দু একটা অস্থায়ী ঘর ছিলো সিডরের তান্ডবে সেগুলোও মিশে গেছে পানিতে। আমরা ছাড়া পুরো দ্বীপে ২ জন কে পেলাম দূর থেকে নৌকায় এসে মাছ ধরছে, আর আছে পাখী, হরেক রকমের, বাইরে থেকে উড়ে এসে খাবার খায় আবার সন্ধ্যার আগেই ফিরে যায়। শুনলাম কচুখালী ফরেস্ট অফিসের আওতায় প্রাকৃতিক বনায়ন হবে এখানে, হরিনও ছাড়া হবে। হেমন্তের হালকা ঠান্ডা বাতাসে দ্বীপে হাঁটছিলাম আর গাইডের মুখে শুনছিলাম সেসব কথা। একটুপর চারদিকের আলো নরম হয়ে এলে নীচের ছবিটা তুললাম। এক্সপোজারঃ ১/১২৫, এপারচারঃ ৭.১, ফোকাল লেন্থঃ ২৪মিমি।
পরেরটা অক্টোবরের ২১ তারিখ এই কচুখালীতেই, সেটিংস্ হলো, এক্সপোজারঃ ১/২০০, এপারচারঃ ৪, ফোকাল লেন্থঃ ২৪মিমি।
এদিন ভোরে সূর্য উঠার আগেই সুন্দরবনের ছোট ছোট খাল গুলোয় ঢুকেছিলাম নৌকা নিয়ে, উদ্দেশ্য যদি কিছু চোখে পড়ে, বনের পশু পাখীর ঘুম ভাঙ্গার সময়টাতে একটু অপ্রস্তুত থাকে খাবারের সন্ধান করতে হবে বলে। আমাদের সাথে আরো নৌকা ছিলো, সেসবে কথা বার্তা একটু জোরে হওয়াতে অন্যপথ ধরেছিলাম আমরা, সবাই চুপচাপ, কেউ শুয়ে কেউ বসে, ইশারায় কথা হচ্ছে আমাদের মাঝে, কেউ কিছু দেখলে খোঁচা দিয়ে অন্যকে দেখাচ্ছে, এমন সময় হঠাৎ খাল থেকে বড় নদীতে এসে পড়লাম, সূর্য উঠে এসেছে বেশ খানিকটা, ছবি দেখুন। দুটো একই সেটিংস্, এক্সপোজারঃ ১/৪০, এপারচারঃ ৫.৬, ফোকাল লেন্থঃ ২৪মিমি।
মন্তব্য
অসাধারণ!!!
ধন্যবাদ
...........................
Every Picture Tells a Story
একটার চেয়ে একটা বেশি সুন্দর। অসাধারণ!
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
ধন্যবাদ ভুতুম
...........................
Every Picture Tells a Story
- অবাক করা 'এক্সপোজার'
[বিগ সি'র মতে ছবি সুন্দর হলে বোদ্ধারা এক্সপোজারের সুনাম করে!]
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধন্যবাদ ধুগো বোদ্ধা
...........................
Every Picture Tells a Story
ছবিগুলা আসলেই খুব সুন্দর।
আলহামদুলিল্লাহ্
...........................
Every Picture Tells a Story
দুর্দান্ত সব ছবি।
৫ নম্বর ছবিটা আমার কাছে চকলেট আইসক্রীমের মতো লাগতেছে, মুস্তাফিজ ভাই। জিভে রীতিমতো পানি চলে আসছে। কেউ আমারে একটা বড়োসড়ো চামুচ দ্যান...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এহ্। চকোলেট কেউ চামুচ দিয়া খায় নাকি?
...........................
Every Picture Tells a Story
চকলেট আইসক্রীম, ভাইজান।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আহা, আমিও যদি এইরকম পারতাম।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
(ওপরের মন্তব্যটা ঠেকাতে ঠেকাতেই পোস্ট হয়ে গেছে। কষ্ট করে মুছে দিয়েন মুস্তাফিজ ভাই।)
আহা, আমিও যদি এইরকম পারতাম।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
...........................
Every Picture Tells a Story
৫ নম্বর ছবিটা অসাধারন (অন্যগুলোও কিন্তু হা হা হা)।
সুন্দরবন বিষয়ক ডিটেলস লেখা চাই, আরো ছবি সহ।
সেটাতে মজা কম পাবেন, শুধু শুধু মুজিব ভায়ের নাম্বার বাড়বে
...........................
Every Picture Tells a Story
হুমম, কারসাজির ক্যামেরাবাজির সতীর্থরা খেয়াল করুন যে মুস্তাফিজ ভাই সবগুলো ছবি তুলেছেন একই ফোকাল লেন্হে। সবই ২৪ মিমি। বলুন কেন?
কারণ তিনি ল্যান্ডস্কেপ তুলছিলেন। ল্যান্ডস্কেপ তোলার সময় ক্যামেরাবাজরা সবচে ওয়াইড এ্যাংগেল ব্যবহার করতে চান। বুঝা যাচ্ছে তার ব্যবহৃত লেন্সে সবচে ওয়াইড ফোকাল লেন্হ ছিল ২৪ মিমি। মানে সবচে কম ফোকাল লেন্হ ছিল তার লেন্সের ২৪ মিমি।
সুবিধা কী?
সুবিধা হলো এ্যাংগেল ওয়াইড হওয়াতে বেশ চওড়া এক টুকরা দৃশ্য ক্যামেরায় ধরা পড়ে (আমাদের চোখ অনেক অনেক বেশি ওয়াইড দেখতে পায়)। তাছাড়া ডেপথ অব ফিল্ড বেশি পাওয়া যায়। যেহেতু ল্যান্ডস্কেপে আমরা সামনের বস্তু থেকে শুরু করে দূরের সূর্য সবই ফোকাসে চাই সেজন্য এই কম ফোকাল লেন্হ কার্যকর।
(আরেকটা জিনিস লক্ষ্যণীয়, যে মুস্তাফিজ ভাই শাটারস্পিডকে এক্সপোজার হিসেবে লিখেছেন। এটা বোধহয় অন্য স্কুলিং-এর কারণে। মুস্তাফিজভাই ভালো ব্যাখ্যা দিতে পারবেন। আমি নবিশ। অনেকে অবশ্য এভাবে বলেন যে, ১/১২৫ সেকেন্ডের এক্সপোজার।)
তবে এপারচারের বিষয়গুলো খেয়াল করুন। ল্যান্ডস্কেপ ছবি তুলতে গিয়ে তিনি এপারচার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৬ এর নীচে রাখার চেষ্টা করেছেন। কেন? তার কাছে জানতে চাই? এক্ষেত্রে এপারচার কম রাখার সুবিধা কী? যদি আমরা এপারচার এফ/৮ বা আরো ছোট করে শাটার স্পিড কমিয়ে দিতাম, তবে কি ছবির মান খারাপ হতো?
দ্বিতীয় প্রশ্ন হচ্ছে নৌকার প্রথম শটটিতে যেখানে সবাই ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে আছেন সেখানে মুস্তাফিজ ভাই যদি ফ্ল্যাশ ব্যবহার করতেন তবে মুখগুলো আমরা দেখতে পেতাম, তাতে কি ছবির মান খারাপ হতো, না ভালো হতো?
দারুণ সব ছবি, শুভ হোক ক্যামেরাবাজি!
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
শোহেইল ভাই ভালো জিনিষ খেয়াল করেছেন। ২৪মিমি ফোকাল লেন্থ। আমি রেগুলার যে লেন্সটা ব্যবহার করেছি সেটার লেন্থ ছিলো ২৪-১০৫মিমি। আমার কাছে আরো একটা ছিলো ১০-২২মিমি (৩ নাম্বার ছবিটা সেটা দিয়ে তোলা)। ল্যান্ডস্কেপ এবং একই সাথে হঠাৎ পাওয়া হরিনের ছবি তুলতে ২৪-১০৫মিমির মত জুম লেন্সের দরকার ছিলো। তবে সাধারণত অন্য কোন ব্যবহারের কথা মাথায় না থাকলে ১০-২২ দিয়ে ল্যান্ডস্কেপ তুলতে সাচ্ছন্দ বোধ করি। এখানে ১০-২২ এ যেটা তোলা তা চলন্ত লঞ্চ থেকে, সেখানে কোন প্রানীর দেখা মিলবেনা বলেই ওটা লাগিয়েছিলাম।
এক্সপোজার সংক্রান্ত আপনার ধারনাই সঠিক, আমি শাটারস্পীড বুঝিয়েছি। EXIF ডাটায় ওভাবে লেখা থাকে বলে আমিও লিখেছি, আর ফটোগ্রাফীতে আমার কোন স্কুলিং নাই, প্রতিনিয়ত শিখছি।
আর এপারচার এর ব্যাপারে আমার নিজস্ব কিছু ধারণা আছে, সেটা ভুলও হতে পারে। যেমন দেখেন প্রায় সবগুলো ছবিতে সাবজেক্ট কিন্তু সানসেট কিংবা সানরাইজ, সেখানে অন্যকিছু নাই যেসবে ডিটেলস্ দরকার পরে, তাই এপারচার বড়। মেঘের ছবিতে এপারচার ছোট রাখলেও যা আসবে বড় করলেও তাই। তাছাড়া সবগুলো ছবিই ট্রাইপড ছাড়া তোলা, এপারচার ছোট করে শাটার স্পীড কমিয়ে দিলে হাত কেঁপে ছবির বারোটা বেজে যাবার সম্ভাবনা ছিলো, আর মূহুর্তগুলো এমন যে পুনরায় করার সূযোগ থাকে না।
চার নাম্বারে এপারচার ৬.৩ যাতে গাছ গুলো একটু ডিটেলস্ পাওয়া যায়, আরেকটু কম মানে ৮-১০ রাখা যেতো যদি লঞ্চ স্থির থাকতো বা শাটার স্পীড বাড়িয়ে দিতাম, এক্ষেত্রে শাটার স্পীড বাড়িয়ে ঝুঁকি নেইনি ছবি অন্ধকার হয়ে যাবার ভয়ে।
এবারে ফ্লাশ, আমি খুব, খুবই কম ফ্লাশ ব্যবহার করি। আপনি যে ছবিটার কথা বললেন সেখানে ফ্লাশ ব্যবহারে নৌকার লোকজনের চেহারা হয়তো পরিষ্কার দেখা যেতো কিন্তু এক্ষেত্রে ছবির মানে সূর্যোদয়ের সৌন্দর্যের যে আবেদন সেটা বাধাগ্রস্থ হতো। আমি ঐ সৌন্দর্যটাই ধরতে চেয়েছি।
ধন্যবাদ
...........................
Every Picture Tells a Story
প্রয়োজন মত ফ্ল্যাশ ব্যবহারের বিপক্ষে নই আমি। আমার টিনি-টাইনি ক্যামেরায় ফ্ল্যাশ ইন্টেনসিটি কমিয়ে বাড়িয়ে প্রয়োজন মত ব্যবহার করি আমি। স্পীড ফ্ল্যাশ কেনার ইচ্ছে সেই ছোট বেলা থেকে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই একাউন্টটি কোন মডারেটরের নয়। এই একাউন্ট থেকে মডারেশন করা হয়না, কিংবা এই একাউন্টের কর্মকান্ডের দায়ভার সচলায়তন নেবে না।
ফ্ল্যাশ ব্যবহার নিয়া আমাদের অনেক এলার্জি আছে, বিশেষ করে আউটডোরে তো সাথেই রাখি না
...........................
Every Picture Tells a Story
আহা কী সব যাচ্ছেতাই ছবি! ক্যাম্নে তোলেন জাতীয় প্রশ্ন মুস্তাফিজভাইকে করার মানে হয় না।
চার নম্বর (লম্বালম্বি) ছবিটা খুব অন্যরকম। মেঘ আর জঙ্গলে একটা আভা ফুটে উঠেছে যেটা ক্যামেরায় ফিল্টার লাগিয়ে কিম্বা পিকাসাতে গ্লো এফেক্ট দিয়ে আনতে হয় আমাদের মতো নশ্বরতরদের। একটা কম্পোজিশন-সংক্রান্ত প্রশ্ন ছিলো। জল আর ডাঙার সীমাটা ছবির নিচে বাঁদিকে যদি ঠিক ছবির কোণের সাথে মিলতো (এখানে একটু উপরে মিলেছে) তাহলে কি পারস্পেক্টিভ ব্যাপারটা আরেকটু বেশি ফলপ্রদ হতো?
আমিও তেমনই চেয়েছিলাম, সুন্দর হতো তাহলে, আসলে চলন্ত লঞ্চ তাই কম্পোজিশন ঠিক রাখা যায়নাই। পরে ঐটুকু অবশ্য কেটে ফেলার চিন্তা করেছিলাম একসময়।
ভালো কথা, আমার লেন্সের মাথায় একটা CPL ফিল্টার লাগানো ছিলো, রঙ গুলোর কেরামতি অনেকটা সেটার কল্যানে
...........................
Every Picture Tells a Story
দ্বিতীয় ছবির এক্সপোজারের চাইতে তৃতীয় ছবির ফিগারটা সুন্দর হইছে। (দেখসেন আমরাও এক্সপোজার, ফিগার ইত্যাদি ইত্যাদি শব্দ জানি)
মুস্তাফিজ ভাই, আপনি যদি আবার এইরকম সুন্দর সুন্দর ছবি তোলেন, তাহলে আপনার হাত কিন্তু সোনা দিয়া বান্ধায়া দিমু। তখন আর ছবি তুলতে পারবেন না, মজা বুঝবেন! আপনারে (হিংসা)
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
এখনই দ্যান, তাতে আমার বউ খুব খুশী হবে, সোনাও পাবে আর আমাকেও ঘরে।
...........................
Every Picture Tells a Story
যথারীতি অসামান্য সব ছবি!
ধন্যবাদ।
একটা জিনিষ খেয়াল করলাম আপনি এসেই প্রথমে তারা দাগান
...........................
Every Picture Tells a Story
ওহহো তারা দেই নাই। দিনের বেলায় আমি তারা দেখি না। যাক পাঁচ তারা। উপরে ছবি সম্পর্কে আপনার আলোচনার জন্য এসএমথ্রির মতোই আপনাকে দুগুণা জাঝা।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
ধন্যবাদ। আমাদের এখানে কিন্তু এখন মাঝরাত।
...........................
Every Picture Tells a Story
তারা না দাগিয়ে উপায় আছে, বলেন? এমন সব ছবি! আমার কাছে তারা হল থাম্বস আপ-ডাউনের মত। কোন পোস্ট পড়ে যদি মনে হয় যে আর সবার এই পোস্ট দেখা উচিত, তাহলে তো তারা দাগানো মিস হয়ই না! রেটিং পদ্ধতি খুবই ত্রুটিপূর্ণ, একে অনেক ভাবে অপব্যবহার করা যায়, তবু আমি আমার দিক থেকে এগুলোকে 'গ্রেড'-এর চেয়ে 'রেফারেন্স' হিসেবে ব্যবহার করি বেশি।
ছবির ডিটেইলস দেয়ার জন্য জাঝা। প্র্যাকটিসিং ফটোগ্রাফাররা উপকৃত হবে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই একাউন্টটি কোন মডারেটরের নয়। এই একাউন্ট থেকে মডারেশন করা হয়না, কিংবা এই একাউন্টের কর্মকান্ডের দায়ভার সচলায়তন নেবে না।
ধন্যবাদ।
কারো ছবিগুলো নিয়ে প্রশ্ন থাকলে উত্তর দেবার চেষ্টা করবো
...........................
Every Picture Tells a Story
প্রশ্ন নাই। তবে ক্রিটিসিজম আছে। অন্যদের ক্রিটিসাইজ করতে ভয় পাই। পাছে ভুল বুঝে! আপনারটায় করি। বস মানুষ মাফ করে দিয়েন।
আপনার ছবি সুন্দর হলেও আমার কাছে ফ্রেমিং, বিষয়বস্তু অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। বেশীর ভাগে ছবিকে ড্রামাহীন মনে হয়েছে। বৈচিত্র্যহীন, স্টিফ সেন্ট্রাল ফ্রেম আর একখান বেহায়া সূর্য। সেদিক দিয়ে বরং ৪ নম্বর ছবিটার ফ্রেমিং বেশ ভাল হয়েছে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই একাউন্টটি কোন মডারেটরের নয়। এই একাউন্ট থেকে মডারেশন করা হয়না, কিংবা এই একাউন্টের কর্মকান্ডের দায়ভার সচলায়তন নেবে না।
ধন্যবাদ,সমালোচনা অপছন্দ করিনা তাই মাফ চাইবার কিছু নেই।
সূর্য উদয় কিংবা অস্ত, পৃথিবীর সবজায়গাতেই মনে হয় একই রকম দেখা যায়, পার্থক্য শুধু মেঘের উপস্থিতি। আর সাবজেক্ট হিসাবে এদুটো সবচাইতে বেশী তোলা হয় তাই একঘেয়ে লাগে, মনে হয় দেখেছি কোথাও, কাছে টানেনা।
এছবিগুলো আমারও খুব যে প্রিয় তা নয়, কিন্তু এখানে লেখার সাবজেক্ট যে এটাই।
...........................
Every Picture Tells a Story
৩ নাম্বার ছবিটা দেখে উত্তরাধুনিক কবি'র কবিতা আকাশে কালিদাসের সাথে মেগ দেখিতেছি'র কথা মনে পড়ে গ্যালো।
...........................
Every Picture Tells a Story
ছবির উপড়ে নীচে কি সব ইচিং বিচিং লিখছেন সেগুলো বুঝি নাই ঃ)(। কিন্তু ছবিগুলো এই পৃথিবীরই মনে হয় না, কল্পনার পৃথিবীর মনে হয়। অদ্ভূদ সব সুন্দর ছবি। আমিও তারা দাগাই দিলাম ঃ)
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
ধন্যবাদ তানবীরা। ফ্লিকারে যেহেতু ঢুকেছেন এসব ইচিং বিচিং একটু সময় লাগলেও শিখে যাবেন
...........................
Every Picture Tells a Story
আপনার তিন নাম্বার ছবিটা দেখে হিংসায়িত হয়ে ফিউচারশপের ওয়েবসাইটে দশ-বাইশ লেন্সের খবর নিলাম ... এক হাজার কানাডিয়ানের উপরে দাম প্লাস ট্যাক্স (
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
আমি কিনেছিলাম ৭০০ ইউএসডি দিয়া
...........................
Every Picture Tells a Story
আপনার ছবি দেখে চুপচাপ কেটে পড়াই ভাল ছিল।
কিন্তু না বলে পারলাম না।
সবগুলো ছবির মধ্যে ৩ আর ৪ নং ছবি দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছি।
হুঁ, ৩ আর ৪ নাম্বার ছবি দুটো একটু অন্যরকম
...........................
Every Picture Tells a Story
দারুণ! চমৎকার লাগলো ছবিগুলো!
বছর পনেরো আগে সুন্দরবনে তোলা আমার কিছু ছবি ছিলো, তার মধ্যে দুটো ছবির কম্পোজিশন অনেকটা আপনার তিন আর চার নম্বর ছবিগুলোর মত। আমার ছবিগুলো বের করে আপনারগুলোর পাশাপাশি দেখলাম। ওই কম্পোজিশন পর্যন্তই - তাও জোর করে মিল খুঁজতে হয়। নদীর পাশে একই বনের ছবি অমিও তুলেছি, কিন্তু আমারটাতে আকাশটা জ্বলে যাওয়া ফ্যাকাশে সাদা, নদীর পানিটা ম্যাড়মেড়ে ধুসর, আর বনের সবুজটা অনেকটা শুকিয়ে যাওয়া পালং শাকের রং এর মত। আপনি কিভাবে যে এত সুন্দর রং নিয়ে আসেন ছবিতে!
CPL ফিল্টার কেনার ব্যাপারে কিছু পরামর্শ দিলে খুশি হতাম। এই জিনিসের দাম দেখি ৮ ইউএসডি থেকে দেড়শো ইউএসডি পর্যন্ত হতে পারে! ৮ টাকারটা কিনলে কি কি সমস্যা হবে? আর দেড়শো টাকা ইনভেস্ট করে কি আদৌ কোন কাজ হবে?
জানিনা কোন ক্যামেরায় কি সেটিংস্ এ তুলেছেন। এসব নিয়ে আলোচনার ইচ্ছা আছে কিন্তু গুছিয়ে উঠতে পারছিনা আর সাহসও পাইনা। কিন্তু এখানে একটা কথা বলে রাখি হয়তো কাজে লাগবে। প্রায় সব ক্যামেরায় ‘P’ আর ‘M’ নামে দুটো সেটিংস আছে, একদিন সারাদিন ‘P’ সেটিংস দিয়ে ৪০/৫০ টা ছবি তুলে ফেলুন, ‘P’ মানে পোগ্রামিং মোড, ক্যামেরা অটোমেটিক তার সেটিংস ঠিক করে নেবে। এরপর নেট থেকে EXIF (Exchangeable image file format) ডাউনলোড করে সেটা অপেন করে আপনার ছবির সেটিংস গুলো দেখুন, কোন ছবিতে যদি মনে হয় এপারচার কম/বেশী লাগতো কিংবা শাটার স্পীড কম বেশী লাগতো তা নোট নিন। পরদিন একই ভাবে ক্যামেরায় ‘M’ সেটিংস এ (M for manual) সেভাবে সেটিংস দিয়ে আবার ছবি তুলুন, দেখবেন আস্তে আস্তে বুঝতে শুরু করেছেন।
আর ফিল্টার আমি ভালোটাই ব্যবহার করছি। কেনার সময় লেন্সের মাপ দেখে কিনবেন। ওয়াইড লেন্সে ফিল্টারের স্লিম ভার্সন ব্যবহার করবেন।
...........................
Every Picture Tells a Story
ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই। তথ্যগুলো অনেক কাজে লাগবে।
আপনাকে স্বাগতম
...........................
Every Picture Tells a Story
কী ছবি লাগাইলেন মুস্তাফিজ ভাই, পুরা মুগ্ধিতো হইয়া গেলাম
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
এইটা তো এবিসি রেডিওর ঐ স্লোগানটার মত শুনাইলো
...........................
Every Picture Tells a Story
শ্রদ্ধেয় মুস্তাফিজ ভাই লেন্স আ্যপারচার তোলা থাক আপনার জন্য, মেঘের ও ই বিশাল ছবিটা, প্রথমটা - দেখে আমারো আপনাকে একটা ছবি দিতে ইচ্ছে করলো, এটা অবশ্য কুবার পিডীর ছবি মাটির নিচের একমাত্র শহর , মেঘ আর মেঘ দিগন্ত বিস্তৃত মেঘ দেখা যায় ওখানে, টেকনিক্যাল ডিটেইল কিছু জিজ্ঞেস করলে কিস্যু বলতে পারবো না - মেঘের যে কত রকমফের সেটা বোঝাতেই ---
দারুণ, ৬০০০ বছরের পুরোনো ঐ শহরে আপনি গিয়েছিলেন? সেই অভিজ্ঞতাই শুনতে চাই
...........................
Every Picture Tells a Story
নতুন মন্তব্য করুন