জাফলং যাইনি কখনো। এবারে যখন সিলেট পৌঁছালাম ঘড়িতে রাত সাড়ে দশ। পাঁচ মিনিটের মাথায় ফখরুল ভাই রুমে এসে হাজির। চিটাগাং ভার্সিটি থেকে পড়াশুনা শেষে জয়ন্তিয়া ডিগ্রী কলেজে পড়ান। ভদ্রলোকের আসল পরিচয় দেশের ফটোগ্রাফিক সোসাইটি গুলোর অন্যতম সিলেট ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সভাপতি। খুবই ভালো ছবি তোলেন, ছয় ফুটের উপর লম্বা ফখরুল ভাইকে দেখতে মস্তান মস্তান লাগে, ভার্সিটিতে পড়াকালীন সেসবেও হাতে খড়ি হয়েছে শুনেছি। রাত প্রায় দেড়টা পর্যন্ত আমাদের আড্ডার অনেকগুলো বিষয়ের মাঝে জাফলং যাত্রার কথাও ছিলো। ঠিক হলো পরদিন দুপুরের পর জাফলং এর দিকে যাবো।
সিলেটে এসেছিলাম কাজে, থাকতে হবে দিন চারেক, সকালে আমার কাজ ছিলো একটা সাংবাদিক সম্মেলন সামলানো। সেটা সেরে ফেললাম দ্রুতই। আলবাবরা সাংবাদিকতা ছাড়ার পর সিলেটের সাংবাদিকদের মেধা নিয়ে কথা তোলাই যায়, একটা সিরিয়াস বিষয় নিয়ে সম্মেলন সেখানে প্রশ্ন এলো পারিবারিক বিষয়ে।
নজরুল ভাই সপরিবারে আলবাবের অতিথি হয়ে সিলেটে। কথা হলো, ঠিক করলাম একসাথেই জাফলং যাই, মজা হবে। সকাল থেকেই টিপ টিপ বৃষ্টি, মাঝে একটু রোদ আশার আলো ছড়িয়ে আবারো সরে যায়। আবার দেরী হয় এই ভাবনায় দুপুরের খাবার না খেয়েই মুরারী চাঁদ কলেজের সামনে যেয়ে বসে থাকলাম। সুন্দর একটা টিলার উপর কলেজটি স্থানীয় ভাবে এমসি কলেজ নামেই পরিচিত, আমার সংগী ফকরুল ভায়ের বাবা একসময় এ কলেজের ইংরেজী বিভাগের প্রধান ছিলেন। কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রথমদিকে এদিককার রাস্তা ঘাট খুব দূর্গম ছিলো, মাঝে মাঝেই বাঘের দেখা মিলতো, দূর্গম হলেও যারা কষ্ট করে এখানে পড়াশুনা করেছেন সেরকম স্থানীয় দুএকজনের মধ্যে এমূহুর্তে মনে পরছে মুসলিম চৌধুরীর নাম, পরবর্তিতে ডঃ আতাউল করিম বা আধুনিক কালের নাসার বিজ্ঞানী অমিত চন্দ্র দে এই কলেজেরই ছাত্র। আমি আর ফখরুল ভাই দুজন কিছুক্ষণ কলেজের সামনের রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করলাম, দোকান থেকে কোক এনে খেলাম, এরপর গাড়ীর ভেতর ক্যাসেট ছেড়ে দিয়ে গান শুনা। পন্ডিত রাজন আর সাজন মিশ্র রাগ ভৈরবী, আহির ভৈরব ছেড়ে ইমন কল্যানে চলে এসেছেন তারপরও উনাদের দেখা নেই, মন্দও লাগছেনা বসে থাকতে। হঠাৎ রিয়ার ভিউ মিররে এলোমেলো ভাবে এগিয়ে আসা গাড়িটির দিকে চোখ পড়ে গেলো, নাবালক ছাড়া এভাবে কেউ গাড়ী চালায়? দৃষ্টি চালকের দিকে ফেরাতেই চমকে উঠলাম, আরে এযে আমাদের আলবাব!
সিলেটের যে জিনিষটা আমি বেশী হিংসা করি সেটা হলো সেখানকার রাস্তা, সম্ভবত বাংলাদেশের সবচাইতে সুন্দর রাস্তা গুলোর সবকয়টাই এ অঞ্চলে। এ সৌন্দর্যের শুরু আপনি যখন ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ পেরিয়ে নরসিংদীতে এসে পড়বেন, সেখান থেকে ভৈরব, আশুগঞ্জ, হবিগঞ্জ সবকিছু পেরিয়ে সিলেট হয়ে একদম তামাবিল পর্যন্ত। আহা এমন খাদ বিহীন মসৃণ রাস্তা। আগেরদিন সন্ধ্যায় যখন ঢাকা ছাড়ি প্রচন্ড বৃষ্টি, রাস্তায় ট্রাফিক কম, মাঝখানে একবার বিরতী সহ সাড়ে তিন ঘন্টায় সিলেট শহর, গাড়ী চালানোর মজাই আলাদা। আজ এমসি কলেজ পেরিয়ে যখন তামাবিলের রাস্তায় উঠলাম মন জুড়িয়ে গেল অন্য আরেকটা কারনে। দুপাশে দৃষ্টির প্রায় পুরোটা জুড়েই পানি, মাঝে কিছু উঁচু জায়গায় বিচ্ছিন্ন বসতী, ডান দিকের বিশাল জলাভুমিতে ইতিউতি ঘুরে বেড়াচ্ছে নৌকা, তারও দূরে মেঘের আড়ালে উঁকিদেয়া পাহাড়। কি অসম্ভব সুন্দর। সবুজ সেই পাহাড়ে মাঝে মাঝে সাদা ঝরনা, যতই সামনে যাচ্ছি স্পষ্ট হচ্ছে, সিমানার বাধ্যবাধকতার বালাই না থাকলে কাছে যেয়ে ঝরনার গান শুনে আসা যেত।
রাস্তায় একটু খোলামতন জায়গা পেয়ে গাড়ী থামালাম। নদী এখানে রাস্তার ডানদিক প্রায় ছুয়ে যাচ্ছে। কাছে যেয়ে দেখি কী সুন্দর নীল, তার মাঝে মেঘের ছায়া, ফকরুল ভাই জানালেন সারাবছরই এখানকার পানি নীল থাকে। নদীর পাড়ে বালু আর ছোট পাথরের কোয়ারী, দুই তিনটা ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে, বালু আর পাথর তুলছে পরিশ্রমী কিছু মানুষ। জায়গাটার নাম সারীঘাট, নদীর নামে নাম। এখানথেকে নদীপথে পূবের দিকে লালাখেল নামে একজায়গার কথা শুনেছি, চা বাগানে ঘেরা স্বর্গীয় জায়গাটাতে একবার যাবার আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দেয়াটা বোকামী ছিলো বুঝতে পারছি। মনস্থির করলাম লালাখেল যাবো, রোযা আসার আগেই।
পাথর তোলা পরিশ্রমী মানুষের ছবি তুলতে দেখে ফকরুল ভাইয়ের তাড়া খেলাম, সূর্য আকাশে থাকতে থাকতেই আরো বড় একটা কোয়ারী দেখিয়ে আনবেন আমাকে। জয়ন্তীয়ার সাংসদ ইমরান চৌধুরীর মালিকানাধীন সে কোয়ারী আরো বিশাল, আর সেখানকার নৈসর্গিক সৌন্দর্য তুলনাহীন। ঘড়ি ধরা দশমিনিটে চলে এলাম সেখানে। বৃষ্টি পড়ছে ফোঁটায় ফোঁটায়। মূল রাস্তার কাছে সাংসদের বাড়ীর সামনে গাড়ী রেখে হাঁটছি, একটু ভেতরে আসতেই পাহাড়ের ফাঁক দিয়ে নীচে তাকিয়ে অবাক হবার পালা। নদী এখানে ছোট্ট একটা লেগুনের মতন, তিনদিকে পাহাড় ঘেরা যার পুরোটাই ভারতে, উপর থেকে নেমে আসা নদীর মাঝামাঝি বাংলাদেশের সীমানা, লেগুন পেরিয়ে পাহাড়ের ফাঁকে প্রায় ত্রিশহাত চওড়া নদীর কিছুটা দেখা যায়, ডুব দিয়ে পাথর তুলতে যেয়ে পাথরের টানে সীমানার ওপারে ভেসে উঠে নদীর ঐ মুখটাতে পাখির মত গুলি খেয়ে মারা গেছে অনেক শ্রমিক যার পুরো হিসাব কারো কাছে নেই। আমরা যখন গেলাম মোটামুটি শ,খানিক মানুষের কেউ কেউ ভারতীয় সিমান্ত রক্ষীর শেন্য দৃষ্টির সামনে পাথর তুলছে, কেউবা ট্রাক ভরছে তুলে আনা পাথরে, সেই ট্রাক আবার প্রচন্ড ঘোঁ ঘোঁ শব্দে পাহাড় বেয়ে উঠে যাচ্ছে। পরবর্তি দুদিন আরো দুবার এসেছি এ জায়গাটায়, কোনকিছু না করেই শুধু সামনে দৃষ্টি মেলে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দেয়া যাবে এখানে। একদিন দেখতে পেলাম এপাড়ে যতটুকু দৃষ্টি যায় সারি সারি পাথর তোলা নৌকা ছড়িয়ে আছে মালার মত, বিশ্রাম নিচ্ছে, কি অদ্ভুত সুন্দর দৃশ্য, চোখে না দেখলে বিশ্বাস আনা কঠিন।
মুগ্ধ হয়ে আছি, এরই মাঝে আবার তাড়া, জাফলং যেতে হবে, একটু পর আলো আরো কমে যাবে। প্রথম দিন জাফলং যেয়ে নিরাশ হয়ে ফিরেছি। পরদিন ভোরে আবারো গিয়েছি, সকাল ছয়টায় রওনা দিয়ে আধাঘন্টায় জাফলং এ, সীমানার ওপারে ভারতের ডাউকি, ডাউকি তো দূরের কথা, প্রচন্ড বৃষ্টিতে দশ হাত দূরে সব সাদা, কিছুই দেখা যায় না, জাফলং এর শেষ মাথায় রাস্তায় পাহাড়ি ঢল নেমে এসেছে, পাহাড়ের নীচের ঘর বাড়ী দোকান বালুতে ভরিয়ে দিয়ে রাস্তার উপর একহাত জমে গেছে বালুতে। সহযাত্রীদের নিষেধ অমান্যকরে বৃষ্টিতে নেমে গেলাম ক্যামেরা হাতে, পলিথিন মুড়িয়ে হেঁটে আসছে এক লোক বা বৃষ্টিতে হেঁটে যাচ্ছে মানুষ, কখনও তেমন ছবি তোলা হয়নি। এমন অতৃপ্তিতে পরদিন আবারো গেলাম। তারপরদিনও। কী এক মায়ায় জড়িয়ে রেখেছে জাফলং আজও ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি।
ছবি ১। কাজ শেষে বাড়ীফেরা
ছবি ২। জায়গার নাম জয়ন্তীয়া
ছবি ৩। বালু শ্রমিক
ছবি ৪। আলবাব জুনিয়র
ছবি ৫। বালু শ্রমিক নৌকা নিয়ে যাচ্ছে
ছবি ৬। নৌকা গুলো বিশ্রাম নিচ্ছে, ওপারে ভারতের ডাউকী
ছবি ৭-৮-৯। পাথর কোয়ারী
ছবি ১০। ঐ দেখা যায় ঝরনা
সবশেষে আলবাব পরিবার আর নজরুল পরিবার
মন্তব্য
চমৎকার।
সিলেট যে আসলে কত্তো সুন্দর সেটা আপনাদের ছবি দেখে আরেকবার বুঝতে পারি।
এমসি কলেজে অনেক কৃতি ছাত্র ছিলেন।
সিলেটের প্রায় সব মন্ত্রী এখানকার ছাত্র ছিলেন।
কর্ণেল তাহেরও এমসি কলেজের ছাত্র।
কর্ণেল তাহেরের কথা পোস্ট দেবার পর পরই মনে হয়েছিল।
...........................
Every Picture Tells a Story
কর্ণেল তাহের এম সি কলেজের ছিলেন এই তথ্যটা জানতাম না ...ধন্যবাদ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
জাফলং গিয়েছি বার দু'য়েক। দ্বিতীয়বার গিয়ে মনে হয়েছিলো প্রথমবারের জাফলং-ই বেশী প্রাকৃতিক ছিলো...
পানি আগের স্বচ্ছতা অনেক বেশী হারিয়ে ফেলেছিলো।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
পানি বর্ষাকাল ছাড়া অন্য সময় স্বচ্ছ থাকারই কথা।
...........................
Every Picture Tells a Story
সাংবাদিকদের গড়পরতা মান এখন পুরো বাংলাদেশেই একরকম।
মৃত সন্তানের মাকে গিয়ে " আপনার ছেলে যে মারা গেল, আপনার অনুভূতি কেমন ?' এই প্রশ্নটা করা হচ্ছে সাংবাদিকদের এখনকার ফেভারিট কাজ।
আমি সাংবাদিকতা ভুইলা গেলাম... এককালে সাংবাদিকতা করতাম, সেই পরিচয় এখন দিতে পারি না। লজ্জাই লাগে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
প্রিন্সিপালের টিলা থেকে নীচের রাস্তা আর দূরের হোস্টের লাল টিনের চাল... আমাদের কৈশোর স্বাক্ষী স্মৃতিতে এমন সুন্দর দৃশ্য খুব একটা বেশী নেই।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
কোথাও বেড়াতে গেলে স্থানীয় কেঊ সাথে থাকলে সেই বেড়ানো পূর্নতা পায়। সিলেটে আমার বন্ধু ভাগ্য ভালো। তারপরও অনেক কিছু বাকি থেকে যায়
...........................
Every Picture Tells a Story
বিশাল বড়ো এক পাণ্ডিত্যপূর্ণ মন্তব্য লিখে ওকে না করেই পোস্টে ছবি বড় করে দেখতে ক্লিক করলাম ছবিতে। ব্যাক করে দেখি কমেন্ট নাই ! এইটা কেমন হলো !
মন্তব্যই করুম না ! তয় মুস্তাফিজ ভাই, লেখাটা কিন্তু ছবির চাইতেও আরো ঝকঝকে ছবি হয়ে ঝিলিক দিয়ে যাচ্ছে !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ধন্যবাদ রণদা
...........................
Every Picture Tells a Story
অসাধারণ সব ছবি!
ধন্যবাদ মামুন ভাই
...........................
Every Picture Tells a Story
শ্রীপুর জায়গাটা আসলেই অনেক সুন্দর... আমি মুগ্ধ হয়ে গেছিলাম। এই কয়টা ছবি দিলেন? আপনি তো আরো দারুণ দারুণ ছবি তুলছেন...
এবারের সিলেট ভ্রমণটা আসলেই আমার খুব মজার হইছে। ৫ দিন টানা থাকছি।
৮ তারিখে সম্ভবত আবার যাচ্ছি শ্রীমঙ্গল। একটা সাংবাদিক দলের সাথে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ভাই ছবি এখনও প্রসেস করা হয়নাই, ঝামেলায় আছি। আস্তে আস্তে ফ্লিকারে সব পাবেন।
...........................
Every Picture Tells a Story
ছবিগুলো দেখে মন বড়ই বেচেইন হল। কত্ত বার যে যেতে চেয়েছি সিলেটে। যাচ্ছি যাব বলেও যাওয়া হলনা এখনও।
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আহারে.....
...........................
Every Picture Tells a Story
কী সব ছবি! তোলেন কেম্নে?
দাদা, ক্যামেরা দিয়ে
...........................
Every Picture Tells a Story
ছবিগুলো অনেক ভালো হয়েছে। অনেক ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ নীল
...........................
Every Picture Tells a Story
শাবিপ্রবি তে পড়ার কারনে সিলেটের সাথে অনেক আবেগ জড়িয়ে আছে। আপনার লেখা পড়ে হটাৎ মনে পড়ে গেল অনেক কিছুই, সবই আবছা আবছা। জাফলং যেমন, ছবিগুলোও তেমনই ভাল লেগেছে।
অমিত চন্দ্র দে সম্পর্কে আর কোন তথ্য জানা আছে কি আপনার?
সবই ভাসা ভাসা, স্থানীয়রা হয়ত ভালো বলতে পারবেন
...........................
Every Picture Tells a Story
বস! আপ্নে মানুষটা অনেক উদার। অনেক প্রতিভাবান। কিন্তুক প্রতিভার ছিঁটেফোটা থেকে একটু বেশি ছাড়াইলে আমরা আমোদিত হই। এই আর কী।
৬ নাম্বার ছবি বড় করে দেখেন
...........................
Every Picture Tells a Story
ফটোটা নিলাম
আমিও দিলাম
...........................
Every Picture Tells a Story
মাস কয়েক আগে শুকনো মৌসুমে সিলেট ও জাফ্লং গিয়েছিলাম। মুস্তাফিজ সাহেবের মতো আমারও মনে হচ্ছিল 'এমন রাস্তা কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি'। আহা , যদি পুরো বাংলাদেশটা এমন হতো ! জাফ্লং-এ নদীর মাঝখানের বালুচরটা ইন্টারেস্টিং, কিন্তু সেটার মাঝ দিয়েই আন্তর্জাতিক সীমানা , আর বি,এস,এফ ঠিকই এক ইঞ্চি ওদিকে ঢুকলেও গুলি করে দেয় অনেক সময়। যাঁরা যাবেন, মনে রাখবেন। দূরের ঝুলন সেতুটা কাছে গিয়ে দেখতে খুব ইচ্ছে করছিল। কিন্তু সীমানার ওপারে।
অনেক চমৎকার ছবি পাবেন জাফ্লং আর মাধবকুন্ডের (সেখানেও গিয়েছিলাম , কিন্তু শীতকালে খুবই কম জল) যদি গুগলার্থ থেকে ক্লোজ আপ করে জায়গাগুলো বের করেন।
আমাকে সাহেবের কাতারে ফেললেন? মজা পাইলাম
...........................
Every Picture Tells a Story
আহ ! সিলেট। শৈশবের সিলেট।
খুব ভাল লাগলো ছবিগুলো। ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ
...........................
Every Picture Tells a Story
জাফলং জায়গাটা আসলেই খুব সুন্দর। আর আপনার ছবি গুলো বরাবরের মতই দারুণ, ছবি দেখে আবার যেত মন চাইছে।
বাউল ভাই কে চশমা চোখে দারুন কুল লাগছে
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
হ, বাউল বায়ের নাহান চশমা আমিও কিনুম
...........................
Every Picture Tells a Story
একখান শশমা বিকরয় হইবেককককককককককককক
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ছবিগুলো নিশ্চই এস.এল.আর. দিয়ে তোলা। কোন ক্যামেরা ব্যবহার করেন? দারুন ছবিগুলো।
_____________________________
ঝড়ের বেতারে শুনি একটি শিশুর গোঙ্গানি...
সাধারণ ক্যামেরায় তোলা ছবিও আছে (যেমন ৬ নাম্বারটা জি৯ দিয়ে তোলা)।
...........................
Every Picture Tells a Story
সাংবাদিকতার লাইনটা পড়ে বিব্রত হইছি। আসলে আমরা যখন শুরু করি, তখনকার সিনিয়াররা আমাদের অনেক বেশি গাইড করতেন। এখন মনে হয় সেটা একেবারেই উঠে গেছে। এমন ঘটনা আরো ঘটে। সিলেটে অনেক বড়ো মাপের সাংবাদিক আছেন। সেখানে আমার নাম ধরে বলাটা মুস্তাফিজ ভাই এর অতি স্নেহের কারণ বলেই ধরে নিলাম।
আমি এইটা পড়ে হাসছি না কিন্তু। সেদিন আপনি না থাকলে এমন দুরন্ত সাহসের কাজ আমি করতাম কি না সন্দেহ আছে। ১০০ এর উপর স্পিড!!! ভাবলেইতো এখন নিজেরে বোকা বোকা লাগে। কেমনে তুল্লাম???
ভ্রমণটা সত্যিই আনন্দের ছিলো। এজন্যে প্রথমেই ধন্যবাদ জানাতে হবে ভেতরে বসে থাকা একটা পাগলা বেহিসাবি মনকে। যেটা এনকিদু সিমনের উসকানিতে রাত ১০ টা পরে কোনো ভদ্রলোকের বাড়িতে হানা দিতে পারে। (পরে দেখছি নজু আমার মতোই। ভদ্র টদ্র না। লোকতো পরের কথা)
এরপরে ধন্যবাদ সেই প্লাস্টিকের চেয়াররে, যে সিমনের প্রেশারে নিহত হলো, আর সেই কাহানি ঢাকা দিতে এনকিদু - সিমন আমারে এতিমের মতো ফেলে রেখে ভেগে গেলো। এইসব না ঘটলেতো মধ্যরাতে নজরুল পরিবারকে উস্কানি দেয়াই হতো না আমার।
পরে যোগ হলেন মুস্তাফিজ ভাই। আর এসবের পেছনে অতি অবশ্যই সচলায়তন কৃতজ্ঞতা হে, তোমার প্রতি।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আলবাব নামটা এখানে আসার পেছনে কারন আছে। যখন সংবাদ সম্মেলন চলছিলো সে সময় ফকরুল ভাই পেছনে ছিলেন, প্রশ্ন শুনে বারবার লজ্জায় মাথা নাড়ছিলেন, পরে উনিই আমাকে বলেছেন আপনারা থাকলে এমন হতোনা।
রাস্তা ভালো থাকলে আমি স্পিডিং করি, পরদিন ভোরে যখন গেলাম মাত্র ২৩ মিনিট লেগেছে।
...........................
Every Picture Tells a Story
আমরাও একদিন সিলেট যামু। ইর্ষাত্মক পোস্ট দিমু।
আমাদের পান্থ কবে বড় হবে?
...........................
Every Picture Tells a Story
পান্থ একটু আগে টোকা দিয়ে বল্লো, সে বড় হইতে চায়। সিলেটে আসতে চায়। বল্লাম আপনার সাথে যোগাযোগ করতে। কয়েক সেকেন্ড পজ দিলো কথায়। পরে বলে, যাক আরো কিছু দিন!!!
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ভয় পাইছে, বাচ্চা মানুষ
...........................
Every Picture Tells a Story
জাফলং যামু খুব শিঘ্রই।
বেশ অনেক দিন পর মুস্তফিজ ভাই'র ছবি পোস্ট পেলাম।
লেখা ছবি বরাবরের মতোই দুর্দান্ত।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ধন্যবাদ
ঘুরে আসেন, ভালো লাগবে
...........................
Every Picture Tells a Story
সচলের পাঠক মাত্রই জানেন মুস্তাফিজ ভাই কেমন ছবি তোলেন। অথচ এই মানুষটা চমৎকার গদ্যও লিখতে পারেন, কিন্তু সচরাচর লেখেন না। অনেকদিন পর তিনি আবার আমাদেরকে একটা গদ্য উপহার দিলেন। এই লেখায় যদি একটা ছবিও না থাকত তাহলেও ক্ষতি ছিলনা - কারণ, তাঁর গদ্যটাই একটা সুন্দর চিত্রকল্প।
ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই। আপনার ক্যামেরাতো মেশিনগানের মত চলে, তার সাথে কলম/কীবোর্ডটাকে অন্তত রাইফেলের মত চালান।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ধন্যবাদ পান্ডব দা
...........................
Every Picture Tells a Story
পান্ডবদা'র সাথে একমত!
ব্যস্ততার কারণে লেখার পুরোটা পড়তে পারলাম না। ছবিগুলো দেখে যথারীতি মুগ্ধ। আমাকে সিলেট বেড়াতে নিয়ে যাবেন একবার?
খালি একটা আওয়াজ দিবেন
...........................
Every Picture Tells a Story
অসাধারণ সব ছবি। আর লেখাটা আমার সিলেট যাওয়ার ইচ্ছে বাড়িয়ে দিলো বহুগুণ। না, এখনো সিলেট যাওয়া হয়নি। যেতে চাই যতো তাড়াতাড়ি।
.....................................................
আমি অতিথি তোমার দেশে.....
আমি অতিথি তোমার দেশে.....
ধন্যবাদ
ঘুরে আসেন, ভালো লাগবে
...........................
Every Picture Tells a Story
প্রশংসার ভাষা নেই ভায়া! আপনার হাত দুইটা বাধায়া রাখা দরকার। তাইলে অবশ্য ছবি তোলা ঝামেলা হবে, থাক আপাততঃ খোলাই থাকুক
হ, নাইলে ভাত খাইতেও ঝামেলা হবে।
...........................
Every Picture Tells a Story
দেখা-লেখা-দেখানো সবই অসাধারণ!
বস!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
ধন্যবাদ
...........................
Every Picture Tells a Story
সাদা লেন্স দিয়ে সব তুলছেন নাকি?
ছবি লেখা সিরাম
------------------
উদ্ভ্রান্ত পথিক
না রে ভাই, কালো লেন্স ও ছিলো, বেশীর ভাগ ল্যান্ডস্কেপ ওয়াইডে তোলা
...........................
Every Picture Tells a Story
বস, যারা কখনো বাংলাদেশ দেখে নাই, তাদের জন্য একটা ই-ফোটোবুক সম্পাদনা করেন সময় পেলে। কেউ বাংলাদেশের নাম শুনে ভুরু কোঁচকালেই সেইটা হাতে ধরায় দিবো।
হিমুর সাথে আমি একমত। এবং এই জিনিষটা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। খুবই।
আমরা কয়েকজন একটা ফটো এজেন্সি শুরু করার কাজ অনেকদূর এগিয়েছি। photobangla.com এখনও আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়নি। আমার ইচ্ছা আছে সেখান থেকে খুব ভালোমানের বিষয় ভিত্তিক ছবির বই বের করা, আশা করি পারবো।
...........................
Every Picture Tells a Story
আপনার ছবি নিয়ে আর মন্তব্য করে কি হবে। বারবার দারুণ আর অসাধারণ বলতে বলতে ক্লান্ত। এখন শুধু বুদ্ধের মহান বাণী "হিংসা পরম ধর্ম" মনে পড়ছে। নাকি উনি "অহিংসা" বলেছিলেন?
কয়েকটা প্রশ্ন আছে। সাদাকালো ছবিগুলো কি সাদাকালো মোডেই তোলা? নাকি পোস্ট-প্রোসেসিং এ সাদাকালো করা?
আর এবারের ছবিগুলো কেন যেন আপনার আগের ছবিগুলো থেকে ছোট সাইজের মনে হচ্ছে... ফ্লিকারে গিয়েও বেশি বড় করে দেখতে পারলাম না।
এখানকার একটা ছবিই কি ক'দিন আগে আপনি হাই-কি ছবি বোঝাতে ব্যবহার করেছিলেন?
বুদ্ধ বলেছিলেন "অহিংসা পরম ধর্ম"
কোন ছবিই সাদাকালো তোলা না। "raw" ফরমেটে তোলা কনভার্সনের সময় সাদাকালো করা হয়েছে।
কোন ছবি বড় দেখতে চাইলে বা সংগ্রহে রাখতে চাইলে মেইল করবেন, পাঠিয়ে দেব। ইদানীং ফ্লিকারে বড় আকারে ছবি রাখিনা।
হ্যাঁ, এখানকার ছবিই হাই-কী সম্পর্কিত লেখায় ব্যবহার করেছিলাম।
...........................
Every Picture Tells a Story
বুদ্ধের কথাটা মজা করার জন্য উল্টোটা বলেছিলাম । একটা স্মাইলি দিয়ে দিলে বোধহয় ভালো হত।
তাই নাকি?
...........................
Every Picture Tells a Story
ক্যাম্নে যে তোলেন এইসব ফোটু!
(আবার বইলেন না যে 'ক্যামেরা দিয়া' )
প্রশ্ন গুলো সহজ আর উত্তর ও জানা
...........................
Every Picture Tells a Story
অসাধারণ, ছবি আর গদ্য মিলিয়ে!
ধন্যবাদ তানিম এহসান
...........................
Every Picture Tells a Story
নতুন মন্তব্য করুন