হিমুর গতকালের মন্তব্য আমাকে ভাবিয়েছে অনেক। রাতে কক্সবাজারে আসতে আসতে গাড়ীতে বসে নীচের লেখাটা লিখলাম। স্মৃতি এখন অনেক ঝাপসা। আমরা কতকিছুই যে ভুলে যাই...
৭১এ আমরা থাকতাম ময়মনসিংহে। সেসময়কার পৌরসভার পশ্চিম সীমার বাইরে পলিটেক্নিক ইন্সটিটিউটের কোয়ার্টারে, এর পূব দেয়াল লাগোয়া মেডিক্যাল কলেজ আর হসপিটাল সবেমাত্র গড়ে উঠতে শুরু করেছে। আমার জন্মের বছরই আব্বা আনন্দমোহন কলেজের চাকরী ছেড়ে এখানে যোগ দেন, ময়মনসিংহ পলিটেকনিকে আব্বাই প্রথম স্টাফ, সে হিসাবে পরবর্তিতে যারা এসেছে তাদের সবার উপর আমাদের ভাইদের বেশ দাপট ছিলো। ৭১ সাল পর্যন্ত পলিটেকনিকে অনেকেই এসেছেন গিয়েছেন কিন্তু আব্বা ঠিকই ছিলেন, বদলি হননি। সে হিসাবে ৭১’এ আব্বাই সেখানকার সবচাইতে পুরোনো স্টাফ।
আমাদের বাড়ী একই জেলায় হওয়াতে স্থানীয় হিসাবেও নুতন আসা কর্মচারীদের পরিবার প্রথমেই আম্মার শরণাপন্ন হতেন। কারো কাজের লোক লাগবে আর কারো বাচ্চার স্কুল, সব ব্যাপারেই আম্মার পরামর্শ ছাড়া কেউই এগোতেন না। আম্মার একাজের সহকারী ছিলেন নুরুর মা, প্রথমে আমাদের বাসায় কাজ দিয়ে শুরু করে পরবর্তিতে আশেপাশের প্রত্যেক বাসাতেই কাজের লোক সাপ্লাই দেবার জন্য নুরুর মা’র ডাক পড়তো। নুরুর মা’র তিন ছেলে, মেঝো নুরু, অন্য দুজনের নাম মনে পড়ছেনা। আমরা যখন সবে স্কুলে যাওয়া শুরু করি নুরু আমাদের সাথে যেতো পৌঁছে দেবার জন্য, দেশ স্বাধীন হবার পর কিছুদিন ওর ছোটটা আমাদের বাসাতে কাজও করেছে। নুরুর বাবা গরুর গাড়ী চালাতেন, সেসময় পৌরসভার রাস্তায় রিকসার পাশাপাশি গরুর গাড়ীও চলতো। ওরা থাকতো মাসকান্দা, পাশের গ্রাম, ইউনিয়নের নাম আকুয়া, এখন এসবই পৌরসভার ভেতরে। সেই গ্রামের মেম্বার জনাব আলী'র (অথবা জোনাব আলী) এক মেয়ের জামাই আব্বার কলিগ ছিলেন আর উনার দুই ছেলে নজরুল ভাই আর তারা ভাই দু,জনই পলিটেকনিকে পড়তেন। ইনাদের সূত্রেই নুরুর মা'র আমাদের পরিবারের সাথে ঘনিষ্ঠতা।
নজরুল ভাই, তারাভাই দু'জনই মুক্তিযোদ্ধা। আমার দেখা প্রথম মুক্তিযোদ্ধা। এপ্রিলের শুরুতেই তারা ভাই ধরা পড়েন এবং অলৌকিক ভাবে তিন দিন পর শুধুমাত্র একটা জাঙ্গিয়া পরা, সারা গায়ে ছোপ ছোপ রক্ত মাখা অবস্থায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্প থেকে আব্বা কিভাবে যেনো উনাকে বাসায় নিয়ে আসেন, এরপর একটা লুঙ্গি আর টাওয়েল নিয়ে আবার বেরিয়ে যান যুদ্ধে। যুদ্ধের পর নজরুল ভাই পৌরসভায় চাকরীতে ঢুকে যান আর তারা ভাই ব্যবসা করতেন, কিছুদিন আগে শুনেছি তারা ভাই এখন শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি।
মার্চের শেষ সপ্তায় (২৮ তারিখ হতে পারে) স্থানীয় ছাত্র জনতা শহরের ই,পি,আর ক্যাম্প আক্রমণ করে এবং স্বল্প সংখ্যক অবাঙ্গালীকে নিরস্ত্র করে বাঙ্গালী ই,পি,আর রা জনতার সাথে একাত্মতা ঘোষনা করেন। ছাত্র জনতার নেতৃত্বে ছিলেন ছাত্র ইউনিয়ন নেতা ম হামিদ (নাট্য ব্যক্তিত্ব), এই ম হামিদের ছোট ভাই খালিদ বাবু বর্তমানে মুক্তাগাছার সাংসদ। যুদ্ধের উন্মাদনা সেদিনই প্রথম টের পেয়েছি আমরা, পলিটেকনিকের একটা গাড়ী কোনভাবে সেই আক্রমণের সাথে জড়িত ছিল, ময়মনসিংহ মেডিক্যালের সামনে মিতালী কেবিন নামে খাবার হোটেল ছিলো একটা, সেই হোটেল থেকে গাড়ীতে নাস্তা ভরে ইপিআর ক্যাম্পের দিকে নেয়া হচ্ছিলো, এই মিতালী কেবিনের মালিক পরবর্তিতে পাকিস্তানীদের দোসর ছিলো, এখন মৃত। আমি আর নুরু নাস্তার সাথে অনেকদুর পর্যন্ত গিয়েছিলাম, ছোট ছিলাম বলে জিলা স্কুলের সামনে আমাদের নামিয়ে দেয়া হয়েছিলো, গাড়ী চালাচ্ছিলেন ইন্সটিটিউটেরই এক শিক্ষক (নাম মনে নেই, সম্ভবত সাইফুল্লাহ, সাইফুল এরকম)। আমার স্মৃতিতে প্রথম দেখা প্রতিরোধ এটাই।
এই আক্রমণের জের ধরেই ময়মনসিংহে প্রথম বোমা হামলা হয়। দিন তারিখ মনে নেই। সেদিন সকালে আব্বার সাথে আমরা বড় তিন জন চুল কাটাতে যাচ্ছিলাম, মেডিক্যালের উল্টোদিকে নাপিতের দোকান ছিলো কয়েকটা, ছোট ছিলাম বলে আমাদের চেয়ারের উপর কাঠের তক্তা রেখে তার উপর বসতে হতো, হিন্দু নাপিতের দোকান জুড়ে অনেক ছবি লাগানো ছিলো, এর মাঝে একটার কথা মনে আছে খুঁদিরামের ফাসীর দৃশ্য। পলিটেকনিক থেকে বের হবার সময়ই আকাশে বিমান উড়তে দেখি, তখন ধারণাও করতে পারিনি সামনে কী হতে যাচ্ছে। আমাদের গ্রামের বাড়ী থেকে ৫কিমি দূরে বিমান বাহিনীর বোম্বিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে, তাই যুদ্ধ বিমানের ডাইভ দেয়া দেখা আর গুলি বোমা ছোঁড়ার শব্দের সাথে পরিচিত। মেডিক্যালের সামনে আসতেই বিমান ডাইভ দিতে দেখলাম এবং পর মূহুর্তেই নাক উঁচু করে উপরদিকে উঠবার সময়ই পট পট পট শব্দ, বুঝতে কারও বাকি রইলোনা যে বিমান থেকে মেশিনগানের গুলি ছোঁড়া হচ্ছে। দৌড়ে ফিরে এলাম বাসায়, আম্মা ততক্ষণে ফ্লাটের সবাইকে নিয়ে নীচে নেমে এসেছেন। সন্ধ্যায় শুনি নুরুর বাবা আর বড় ভাই গুলি খেয়েছে, আমার দেখা প্রথম শহীদ নুরুর বড় ভাই।
মন্তব্য
অসাধারণ লেখা মুস্তাফিজ ভাই, অসাধারণ ছবি।
পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম!
দেখা যাক্, চেষ্টা থাকবে
...........................
Every Picture Tells a Story
অসাধারন স্মৃতিচারন! অসাধারন স্মৃতি!! ভাল লাগলো।
দিশা
_____________________________
যে পাখি আকাশে ওড়ে আকাশ ছোবার ইচ্ছেয়
দিশা
_____________________________
যে পাখি আকাশে ওড়ে আকাশ ছোবার ইচ্ছেয়
ধন্যবাদ দিশা
...........................
Every Picture Tells a Story
এমন আরো স্মৃতির কথা শুনবো, এ অপেক্ষায় রইলাম।
চেষ্টা করবো
...........................
Every Picture Tells a Story
ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই, বিষয়টা সিরিয়াসলি নেবার জন্য। দয়া করে থেমে যাবেন না।
অসংখ্য নাম না জানা শহীদদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা।
---- মনজুর এলাহী ----
আপনাকেও ধন্যবাদ
...........................
Every Picture Tells a Story
আপনি কি কোনোভাবে আশরাফ সরকারকে চেনেন? উনি আমার মামা হন এবং একজন সাহসী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমার মামা সেই সময় নবম শ্রেণীর ছাত্র, ময়মনসিংহ পুলিশ ফাড়ি থেকে অস্ত্র ও একটি গাড়ি ছিনিয়ে নিয়ে যুদ্ধে গিয়েছিলেন।
এই সাক্ষ্যগুলো ইতিহাসের অংশ হওয়া জরুরী। খুব জরুরী।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
এটাকে ঠিক সাক্ষ্য হিসাবে না নিয়ে স্মৃতি চারণ হিসাবেই দেখেন, স্মৃতি মাঝে মাঝেই প্রতারনা করে সত্যের সাথে
...........................
Every Picture Tells a Story
অনেক আগ্রহ নিয়ে পরের পর্বের অপেক্ষায়... --------------------------------------------------
"সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে..."
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কিছু একটা আবার মনে পড়ুক, লিখি
ভালো কথা আপনার প্রোফাইলের ছবিটা সুন্দর
...........................
Every Picture Tells a Story
আঁকিয়ে শিল্পাচার্য জয়নুল বলে! --------------------------------------------------
"সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে..."
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আপনার গল্প বলার ঢং টা খুবই সুন্দর--সাবলীল। পাঠককে চুম্বকের মতো টেনে রাখে এরকম বর্ণনাভঙ্গি। চালিয়ে যান।
চলে আসো আড্ডা দেই
...........................
Every Picture Tells a Story
লেখা+বিষয় খুবই ভালো লাগলো, মুস্তাফিজ ভাই! ছবিটা নিয়ে নতুন করে ভালো কিছু আর বললাম না
ধন্যবাদ স্নিগ্ধা'পা
...........................
Every Picture Tells a Story
মুস্তাফিজ ভাই, যতটুকু মনে আছে ততটুকুই লিখে রাখেন। প্রয়োজনে পরিচিতজনদের কাছে শুনে হলেও লিখে ফেলেন। এটা অনুরোধ।
বলার ভঙ্গিটা খুব ভালো লাগছে... একেবারে সাবলীল... ধন্যবাদ...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মুস্তাফিজ ভাই, এতো অসাধারণ একটা পোস্টে বানান নিয়ে কথা বলা জায়েজ না। তবু আপনি নিজেই বলতে বলেছিলেন, তাই যে কয়টা চোখে পড়লো, সেগুলো বলছি (আমি নিজেই বানান ভুল করি অনেক, তবু। বলতে পারেন নিজেকেই একটু ঝালিয়ে নিলাম)
কোয়াটারে= কোয়ার্টারে
সবে মাত্র= সবেমাত্র
চাকরী= চাকরি
বদলী= বদলি
স্মরণাপন্ন= শরণাপন্ন
এগোতেননা= এগোতেন না
গরুরগাড়ীও= গরুর গাড়ীও
দু,জনই= দু'জনই
পোশাক পড়ে না, পরে। পড়ার জন্য বই উত্তম
কিভাবে= কীভাবে?
লুঙ্গী= লুঙ্গি
কোথাও বেড়াতে গেলে 'ড়'... কিন্তু ঘর থেকে বা অন্য কোথা হতে বের হয় মানুষ... এখানে 'র'
গ্রামেরবাড়ী= গ্রামের বাড়ী
ছোড়া= ছোঁড়া
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ভাবতাম সতর্ক হলেই চলবে, এখন দেখি স্কুলে ভর্তি হতে হবে।
...........................
Every Picture Tells a Story
কী যে বলেন, আমার পোস্টে সম্ভবত এরচেয়ে বেশি ভুল করি আমি। কিন্তু কেউ ধরায়ে দেয় না
সতর্ক হলেই ঠিক হয়ে যাবে... আর ঠিক না হলেও দরকার নাই। আপনি লিখতে থাকুন... আমরা বুঝে নিবো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হ, দুই দিন পরে মাতিস আইসা বলবে বাবা তুমি এত ভুল করো!!!
...........................
Every Picture Tells a Story
মুস্তাফিজ ভাই, অসংখ্য ধন্যবাদ। এমন আরো লক্ষ লক্ষ স্মৃতিচারণ আমরা সংগ্রহ করবো, হারিয়ে যাবার আগে। বিন্দু থেকে সিন্ধু!
খোঁচা/ঠেলা না থাকলে এইটাও হইতোনা
ভালো কথা, দিন তারিখ ঠিক করা যাবে (যেহেতু ঐতিহাসিক ঘটনা), তবে সময় লাগবে
...........................
Every Picture Tells a Story
লাল সালাম
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
লাল সালাম
...........................
Every Picture Tells a Story
ধন্যবাদ এই স্মৃতি অনুজদের সাথে শেয়ার করে নেবার জন্যে...
_________________________________________
সেরিওজা
ধন্যবাদ পড়ার জন্য
...........................
Every Picture Tells a Story
চমৎকার লেখা আর স্মৃতিচারণ।
ধন্যবাদ অনিন্দিতা চৌধুরী
...........................
Every Picture Tells a Story
মুস্তাফিজ ভাই, আপনাদের পুরা প্রজন্মের কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শোনার এবং শেখার ছিল । আমার সবসময়ই মনে হয় যথেষ্ট শোনা এবং শেখা হয়নি । ঠিক মত শোনা আর শেখা হলে হয়ত বিরাট একটা দেয়াল তুলে দেয়া যেত অশুভ অনেক কিছুর বিরুদ্ধে, কিন্তু সেখানে এখন বিরাট একটা শূন্যতা । আপনার এই স্নৃতিচারন সেই বিশাল ফাঁকা জায়গায় একটা ইঁট হয়ে বসবে, কিন্তু এরকম আরো অসংখ্য ইঁট দরকার আমাদের ।
যেই সময় পেরিয়ে গেছে সেটা তো আর ফিরিয়ে আনা যাবেনা, তবে এখন যেই সময় বাকি আছে সেটা সবাই মিলে চেষ্টা করে অবশ্যই কাজে লাগান সম্ভব ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আমাদের মানে আমার স্মৃতি কারো কাজে লাগবে সে কথা কখনো ভাবিনি।
...........................
Every Picture Tells a Story
মুস্তাফিজ ভাই, অনেক ভাল্লাগলো যে আপনি নিজের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। আপনার অসাধারণ লেখায় দৃশ্যগুলো জীবন্ত চোখে ভেসে উঠলো।
ভাই, মুক্তিযুদ্ধেরও পনের বছর পর আমাদের জন্ম। আমাদেরকে এসব নাম না জানা শহীদদের সাথে পরিচিত করিয়ে দেয়াটা দয়া করে দ্বায়িত্বের মধ্যে ফেলে দিন। স্মৃতিচারণ চলুক।
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...
ধন্যবাদ, আজকাল তো প্রচুর বই পাওয়া যায় এ সম্পর্কে। নিজেদের বয়স্ক আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিন কাছাকাছি কারা কারা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, একদিন যেয়ে তাঁদের সাথে গল্পে মেতে উঠুন, অনেক কিছু জানতে পারবেন।
...........................
Every Picture Tells a Story
খুবই ভালো লেগেছে। পরের পর্বের অপেক্ষায়....
ধন্যবাদ শান্ত
...........................
Every Picture Tells a Story
- চলুক মুস্তাফিজ ভাই
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মুস্তাফিজ ভাই, আমি পুরাই শিহরিত আপনার স্মৃতিচারণ পড়ে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকবো। শত ব্যস্ততার মাঝেও লিখা শুরু করেছেন বলে অসংখ্য ধন্যবাদ।
৭১ এ আমার বাবা মা ময়মনসিংহ মেডিকেলের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র, আর পরেও চাকুরির তাগিদে সেখানে ফিরে গেছেন, তাই এলাকাগুলো চিনি ভালো করে, সেজন্যে সব বর্ননা যেন ছবির মত লাগল। আগামীতে দেশে ফিরে উনাদের অভিজ্ঞতাগুলো শুনে শুনে লেখার ইচ্ছা আছে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ধন্যবাদ তাহ্সিন, ঐ মেডিক্যাল ছিলো আমাদের দুষ্টুমী আর খেলার জায়গা, পলিটেকনিকের দেয়াল টপকে চলে যেতাম সেখানে।
...........................
Every Picture Tells a Story
অসাধারণ !
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
ধন্যবাদ মানিক ভাই
...........................
Every Picture Tells a Story
মুস্তাফিজ ভাই, এই ফেব্রুয়ারীর বইমেলাতে কত হাবিজাবি-বানোয়াট গল্প নিয়ে বই বের হবে। সেখানে এমন সত্য কাহিনী নিয়ে বই হতে পারেনা? অবশ্যই পারে। আপনি ইতিহাস লিখতে বসেননি সত্য, কিন্তু যা বলছেন তার প্রতিটি কথাতো সত্য। ঐতিহাসিকরা তথ্যের চুলচেরা বিশ্লেষণ করে ইতিহাস লিখুন, আর আপনি মুক্তিযুদ্ধের সত্য গল্পগুলো লিখতে থাকুন। প্লিজ বস্, একটু ভেবে দেখুন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
একদিন এইসব ব্লগ বইয়ের চাইতে শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
...........................
Every Picture Tells a Story
আমি তা স্বীকার করি। কিন্তু তাতে আজকের দাবীতো খাটো হয়ে যায় না। যে দেশের বিশাল অংশ মানুষের কাছে বিদ্যুতের সুবিধাটাই পৌঁছেনি সেখানে ব্লগ পৌঁছাতে আর একটু বেশি সময় লেগে যাবে না? তাহলে এই মানুষগুলোর জন্য, বিশেষতঃ শিশু-কিশোরদের জন্য এখন কেন বই প্রকাশ করবেন না? প্লিজ বস্, আবার ভেবে দেখুন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অসাধারণ
ধন্যবাদ দাদা
...........................
Every Picture Tells a Story
নতুন মন্তব্য করুন