১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর বিদেশী সাংবাদিক হিসাবে সম্ভবত প্রথম একান্ত সাক্ষাৎকারটি নিয়েছিলেন বিবিসির তৎকালীন সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্ট। সাক্ষাৎকারের পুরোটা সময়ই বঙ্গবন্ধু তাঁর দৈনন্দিন কাজে ব্যস্ত ছিলেন, কখনও অফিসে, কখনও উনার ছোট্ট নীল সরকারি গাড়িতে, ৩২ নাম্বারে নিজের শোবার ঘরে, বারান্দায়, লনে। কাজ করতে করতে উত্তর দিয়েছেন প্রশ্নের। সময়টা ছিল সোমবার জানুয়ারি ১৭, ১৯৭২।
এ সাক্ষাৎকারের কথা আগেই শুনেছিলাম কিন্তু পুরো সাক্ষাৎকারটি কখনই একসাথে পাইনি বা শোনা হয়নি। বিচ্ছিন্নভাবে এর টুকরো টুকরো ভিডিও অন্তর্যাল থেকে সংগ্রহ করে পুরোটার একটা বিবরণী নিচে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
বঙ্গবন্ধু পুরো সময়টা আবেগতাড়িত ছিলেন, কখনো কঠোর, কখনো নরম, কখনো কেঁদেছেন। ডেভিড একসময় পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের কিছু ছবি উনার সামনে ধরলে নিজেকে ধরে রাখতে না পেরে হুঁ হুঁ করে কেঁদে উঠেছিলেন, রুমাল দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে বলেছিলেন কেন তাকে এগুলো দেখানো হলো।
সাক্ষাৎকারের শেষ মুহূর্তে আমরা দেখতে পাই বঙ্গবন্ধু উঠে দাঁড়িয়ে ডেভিডকে বুকে জড়িয়ে ধরেন, হাত তুলে বিদায় জানান সাথে থাকা ক্রুদের। চলুন কথা না বাড়িয়ে দেখি কী কথাবার্তা হয়েছিল দুজনের।
ডেভিড ফ্রস্টঃ সেই রাতের কথা বলুন। সেই রাত, যে রাতে একদিকে আপনার সাথে যখন আলোচনা চলছিল আর সেই আলোচনার আড়ালে পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ার উদ্যোগ নিচ্ছিল। সেই রাতের কথা বলুন, ২৫শে মার্চ, রাত ৮টা, আপনি আপনার বাড়িতে ছিলেন, সেই বাড়ি থেকেই আপনাকে গ্রেফতার করা হলো। শুনেছিলাম টেলিফোনে আপনাকে সাবধান করা হয়েছিল যে সামরিক বাহিনী অগ্রসর হতে শুরু করেছে। কেন আপনি নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও না যেয়ে গ্রেফতার বরণ করলেন? এই সিদ্ধান্ত কেন? সেই কথা বলুন।
বঙ্গবন্ধুঃ হ্যাঁ, সে এক গল্প। সেটা বলা প্রয়োজন। সে সন্ধ্যায় পাকিস্তান সামরিক জান্তার কমান্ডো বাহিনী আমার বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছিল। ওরা আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। ওরা প্রথমে ভেবেছিল, আমি বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলে আমাকে হত্যা করে প্রচার করে দেবে যে, আমার সাথে রাজনৈতিক আপস আলোচনার মাঝখানে বাংলাদেশের চরমপন্থীরাই আমাকে হত্যা করেছে। আমি বেরুনো-না বেরুনো নিয়ে চিন্তা করলাম। আমি জানতাম, পাকিস্তানি বাহিনী বর্বর। আমি জানতাম, আমি আত্মগোপন করলে ওরা দেশের সমস্ত মানুষকেই হত্যা করবে। তাই স্থির করলাম, আমি মরি ভালো, তবু আমার প্রিয় দেশবাসী রক্ষা পাক।
ডেভিড ফ্রস্টঃ আপনি তো কলকাতা চলে যেতে পারতেন।
বঙ্গবন্ধুঃ কলকাতা শুধু নয়, ইচ্ছা করলে আমি যে কোনো জায়গায় যেতে পারতাম, কিন্তু আমার দেশবাসীকে পরিত্যাগ করে আমি কেমন করে যাব? আমি তাদের নেতা, আমি সংগ্রাম করব, মৃত্যুবরণ করব, পালিয়ে কেন যাব? দেশবাসীর কাছে আমার আহবান ছিল, তোমরা প্রতিরোধ গড়ে তোলো।
ডেভিড ফ্রস্টঃ আপনার সিদ্ধান্ত অবশ্যই সঠিক ছিল। কারণ, এই ঘটনাই বিগত নয়মাস ধরে বাংলাদেশের মানুষের কাছে আপনাকে তাদের বিশ্বাসের প্রতীকে পরিণত করেছে। তাদের কাছে এখন আপনি প্রায় ঈশ্বরসম।
বঙ্গবন্ধুঃ আমি সেটা বলি না। কিন্তু এটা সত্য তারা আমাকে ভালোবাসে। আমি আমার বাংলার মানুষকে ভালোবেসেছিলাম, তাদের জীবন রক্ষা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু হানাদার বর্বররা আমাকে সে রাতে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করল। ওরা আমার নিজের বাড়ি ধ্বংস করে দিলো।
আমার গ্রামের বাড়ি, যেখানে আমার ৯০ বছর বয়সী পিতা আর ৮০ বছরের মাতা ছিলেন, সে বাড়িও ধ্বংস করে দিলো। সৈন্য পাঠিয়ে বাবা-মাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে তাদের চোখের সামনে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিলো, বাবা-মার আর কোনো আশ্রয় ছিল না। ওরা সব কিছুই জ্বালিয়ে দিয়েছিল।
ভেবেছিলাম, আমাকে পেলে ওরা আমার হতভাগ্য মানুষদের হত্যা করবে না। আমি জানতাম, আমাদের সংগঠনের শক্তি আছে, জীবনব্যাপী একটি শক্তিশালী সংগঠন আমি গড়ে তুলেছিলাম, জনগণ যার ভিত্তি। আমি জানতাম, তারা শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে। আমি তাদের বলেছিলাম, প্রতি ইঞ্চিতে তোমরা লড়াই করবে। আমি বলেছিলাম, হয়ত এটাই আমার শেষ নির্দেশ, কিন্তু মুক্তি অর্জন না করা পর্যন্ত তাদের লড়াই করতে হবে, লড়াই তাদের চালিয়ে যেতে হবে।
ডেভিড ফ্রস্টঃ আপনাকে ঠিক কীভাবে ওরা গ্রেফতার করেছিল? তখন তো রাত দেড়টা, তাই না? তখন কী ঘটল?
বঙ্গবন্ধুঃ প্রথমে ওরা আমার বাড়ির উপর মেশিগানের গুলি চালিয়েছিল।
ডেভিড ফ্রস্টঃ ওরা যখন এলো আপনি সেসময় বাড়ির কোন জায়গাটাতে ছিলেন?
বঙ্গবন্ধুঃ এখানে, এটা আমার শোবার ঘর, আমি এই ঘরেই তখন বসেছিলাম। (আঙুল তুলে দেখিয়ে) এদিক থেকেই ওরা মেশিনগান চালাতে আরম্ভ করে, তারপর এদিক ওদিক সবদিক থেকেই গুলি ছুঁড়তে থাকে, জানালার উপর।
ডেভিড ফ্রস্টঃ এসব তখন ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল?
বঙ্গবন্ধুঃ হ্যাঁ, সব ধ্বংস করেছিল, আমি আমার পরিবার-পরিজন এখানেই ছিলাম, ৬ বছরের ছোট ছেলেটি বিছানায় শোয়া ছিল, আমার স্ত্রী দুই সন্তানকে নিয়ে বসেছিলেন।
ডেভিড ফ্রস্টঃ পাকিস্তান বাহিনী কোনদিক দিয়ে ঢুকেছিল?
বঙ্গবন্ধুঃ সব দিক দিয়ে, ওরা এবার জানালার মধ্য দিয়ে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। আমি আমার স্ত্রীকে সন্তান দুটিকে নিয়ে বসে থাকতে বলি, তারপর সেখান থেকে উঠে বাইরে বেরিয়ে আসি।
ডেভিড ফ্রস্টঃ আপনার স্ত্রী সেসময় কিছু বলেছিলেন?
বঙ্গবন্ধুঃ না, তখন কোনো শব্দ উচ্চারণের অবস্থা ছিল না, আমি তাকে শুধু বিদায় সম্বোধন জানিয়েছিলাম। দরোজা খুলে বাইরে এসে ওদের গুলি বন্ধ করতে বলেছিলাম। আমি বললাম, তোমরা গুলি বন্ধ করো। আমি তো এখানেই দাঁড়িয়ে আছি, গুলি করছো কেন? তোমরা কী চাও? তখন চারদিক থেকে ওরা বেয়নেট উঁচিয়ে ছুটে এলো, এক অফিসার আমাকে ধরে বলল: এই, ওকে মেরে ফেলো না।
ডেভিড ফ্রস্টঃ একজন অফিসারই ওদের থামিয়েছিল?
বঙ্গবন্ধুঃ হ্যাঁ, ঐ অফিসারই ওদের থামিয়েছিল। ওরা তখন আমাকে এখান থেকে টেনে নামাল, পেছন থেকে আমার গায়ে, পায়ে, বন্দুকের কুঁদো দিয়ে মারতে লাগল, অফিসারটা আমাকে ধরে রেখেছিল, তবু ওরা আমাকে ধাক্কা দিয়ে, টেনে নামাতে লাগল। আমি বললামঃ তোমরা আমাকে টানছ কেন? আমি তো যাচ্ছি। বললাম, আমার তামাকের পাইপটা নিতে দাও। ওরা থামল। আমি উপরে যেয়ে তামাকের পাইপটা নিয়ে এলাম; আমার স্ত্রী তখন ছেলে দুটিকে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন, আমাকে কিছু কাপড়-চোপড়সহ ছোট একটি সুটকেস ধরিয়ে দিলে সেটা নিয়ে নেমে এলাম। চারদিকে দেখলাম আগুন জ্বলছে। আজ এখন যেখানে দাঁড়িয়ে আছি, ঠিক এখান থেকে ওরা আমাকে তুলে নিয়ে গেলো।
ডেভিড ফ্রস্টঃ সেদিন যখন ৩২ নাম্বারের আপনার বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলেন তখন কি ভেবেছিলেন আর কোনদিন আপনি এখানে ফিরে আসতে পারবেন?
বঙ্গবন্ধুঃ না, আমি সেটা কল্পনাও করিনি, মনে মনে ভেবেছি, এই আমার শেষ। আর আজ যদি আমার দেশের নেতা হিসেবে মাথা উঁচু রেখে মরতে পারি, তাহলে আমার দেশের মানুষের অন্তত লজ্জার কোনো কারণ থাকবে না। কিন্তু আমি আত্মসমর্পণ করলে আমার দেশবাসী পৃথিবীর সামনে আর মুখ তুলে তাকাতে পারবে না। আমি মরি, সেটাও ভালো, তবু আমার দেশবাসীর মর্যাদার যেন কোনো হানি না ঘটে।
ডেভিড ফ্রস্টঃ শেখ সাহেব, আপনি একবার বলেছিলেন ‘যে মানুষ একবার মরতে রাজি, তুমি তাকে মারতে পারো না। কথাটা কি এমন ছিল না?
বঙ্গবন্ধুঃ হ্যাঁ, আমি তাই মনে করি। যে মানুষ মরতে রাজি, তাকে কেউ মারতে পারে না। আপনি একজন মানুষকে হত্যা করতে পারেন, সেটা তার দেহ, কিন্তু তার আত্মাকে কি আপনি হত্যা করতে পারেন? না, কেউ তা পারে না। এটা আমার বিশ্বাস। আমি মুসলমান, মুসলমান একবারই মাত্র মরে, দুবার নয়। আমি মানুষ, আমি মনুষ্যত্বকে ভালোবাসি। আমি আমার জাতির নেতা। আমি আমার দেশের মানুষকে ভালোবাসি। আজ তাদের কাছে আমার আর কোনো দাবি নেই। তারা আমাকে ভালোবেসে সবকিছু বিসর্জন দিয়েছে। কারণ, আমি আমার সব কিছু তাদের দেবার অঙ্গীকার করেছি, আজ তাদের মুখে হাসি দেখতে চাই। যখন আমার প্রতি আমার দেশবাসীর স্নেহ ভালোবাসার কথা ভাবি, তখন আমি আবেগে আপ্লুত হয়ে যাই।
ডেভিড ফ্রস্টঃ পাকিস্তানি বাহিনী আপনার বাড়ির সবকিছুই লুট করে নিয়েছিল?
বঙ্গবন্ধুঃ হ্যাঁ, সবকিছুই ওরা লুট করেছে, বিছানা পত্র, আলমারি, কাপড় চোপড় সবকিছুই লুট করেছে। মিঃ ফ্রস্ট, আপনি দেখতে পাচ্ছেন এ বাড়ির কোনো কিছুই আজ নেই।
ডেভিড ফ্রস্টঃ আপনার বাড়ি যখন মেরামত হয়, তখন এসব লুট হয়েছে না পাকিস্তানীরা করেছে?
বঙ্গবন্ধুঃ পাকিস্তানি ফৌজ সবকিছুই লুট করেছে। কিন্তু, এই বর্বর বাহিনী আমার আসবাব-পত্র, কাপড়-চোপড়, আমার সন্তানদের দ্রব্য সামগ্রী লুট করেছে তাতে আমার দুঃখ নেই, আমার দুঃখ ওরা আমার জীবনের ইতিহাসকে লুন্ঠন করেছে। আমার ৩৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনের দিনলিপি ছিল, একটা সুন্দর লাইব্রেরি ছিল, বর্বররা আমার প্রত্যেকটি বই আর এই মূল্যবান দলিলপত্র লুণ্ঠন করেছে। সব কিছুই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিয়ে গেছে।
ডেভিড ফ্রস্টঃ আবার তাই একই প্রশ্ন চলে আসে, কেন ওরা লুঠতরাজ চালিয়েছিল?
বঙ্গবন্ধুঃ এর কী জবাব দেওয়া যায়? ওরা তো মানুষ নয়, কতগুলো ঠগ, দস্যূ, উন্মাদ, অমানুষ আর অসভ্য জানোয়ার। আমার নিজের কথা ছেড়ে দিন, তা নিয়ে আমার কোনো ক্ষোভ নেই। কিন্তু ভেবে দেখুন, দুই বছর, পাঁচ বছরের শিশু, মেয়েরা, কেউ রেহাই পেলো না, সব নিরীহ মানুষদের ওরা হত্যা করেছে। আমি আপনাকে জ্বালিয়ে দেয়া পোড়া বাড়ি, বস্তি দেখিয়েছি, একেবারে গরিব খেটে খাওয়া মানুষের বাস ছিল এখানে, এসব মানুষ জীবন নিয়ে পালাতে চেয়েছে, আর, ওরা চারদিক থেকে ঘেরাও করে মেশিনগান চালিয়েছে। ভুট্টো সেসময় বলেছিল, মিস্টার ইয়াহিয়া, এমন অবস্থায় আপনি যদি শেখ মুজিবকে হত্যা করেন আর আমি ক্ষমতা গ্রহণ করি তাহলে, একটি লোকও আর জীবিত অবস্থায় বাংলাদেশ থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে ফেরত আসতে পারবে না। এর প্রতিক্রিয়া পশ্চিম পাকিস্তানেও ঘটবে, তখন আমার অবস্থা হবে সংকটজনক। ভুট্টো আমাকে একথা জানিয়েছিল, ভুট্টোর নিকট আমি অবশ্যই এই জন্য কৃতজ্ঞ।
ডেভিড ফ্রস্টঃ শেখ সাহেব, আজ যদি ইয়াহিয়া খানের সাথে আপনার সাক্ষাৎ ঘটে তাহলে তাকে আপনি কী বলবেন?
বঙ্গবন্ধুঃ ইয়াহিয়া খান একটা জঘন্য খুনী, তার ছবি দেখতেও আমি রাজি নই, তার বর্বর ফৌজ দিয়ে সে আমার ৩০লাখ বাঙালিকে হত্যা করেছে।
ডেভিড ফ্রস্টঃ ভুট্টো এখন তাকে গৃহবন্দী রেখেছে, তাকে নিয়ে ভুট্টো এখন কী করতে পারে? আপনার ধারণা কী?
বঙ্গবন্ধুঃ মিস্টার ফ্রস্ট, আপনি জানেন আমার বাংলাদেশে কী ঘটছে? শিশু, মেয়ে, বুদ্ধিজীবী, কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র সকলকে ওরা হত্যা করেছে। ৩০ লাখ বাঙালিকে ওরা হত্যা করেছে। কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ ভাগ ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে এবং লুটপাট চালিয়েছে। খাদ্যের গুদামগুলো পর্যন্ত ধ্বংস করে দিয়েছে।
ডেভিড ফ্রস্টঃ নিহতের সংখ্যা ৩০ লাখ এ কথা সঠিক জানেন?
বঙ্গবন্ধুঃ এখনো আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসিনি, আমার লোকজন তথ্য সংগ্রহ চালিয়ে যাচ্ছে, সংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে।
ডেভিড ফ্রস্টঃ কিন্তু এমন হত্যাকাণ্ড তো নিরর্থক, মানুষকে ঘর থেকে টেনে এনে হত্যা করা।
বঙ্গবন্ধুঃ হ্যাঁ, ওরা কাদের হত্যা করেছে? একেবারে নিরীহ শান্তিপ্রিয় মানুষকে, গ্রামের মানুষকে, যে মানুষ পৃথিবীর কথাই হয়ত শোনেনি, সেই গ্রামে পাখি মারার মতো গুলি করে পাকিস্তানিরা হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে।
ডেভিড ফ্রস্টঃ আমার মনেও প্রশ্ন, আহ্ কেন এমন হলো?
বঙ্গবন্ধুঃ না, আমিও জানি না, আমিও বুঝি না, পৃথিবীতে এমন ঘটেছে বলে আমার জানা নেই।
ডেভিড ফ্রস্টঃ এটা তো মুসলমানের হাতেই মুসলমান হত্যা ছিল?
বঙ্গবন্ধুঃ ওরা নিজেদের মুসলমান বলে? অথচ হত্যা করেছে মুসলমান মেয়েদের, আমরা অনেককে উদ্ধার করার চেষ্টা করেছি, আমাদের ত্রাণ শিবিরে এখনও অনেকেই আছে, এদের স্বামী, পিতা সকলকে হত্যা করা হয়েছে। মা আর বাবার সামনে ওরা মেয়েকে ধর্ষণ করেছে, পুত্রের সামনে মাকে। আপনি চিন্তা করুন? আমি একথা কল্পনা করে চোখের পানি ধরে রাখতে পারি না, এরা নিজেদের মুসলমান বলে দাবি করে কীভাবে? এরা তো পশুরও নীচে। মনে করুন আমার বন্ধু মশিয়ুর রহমানের কথা। আমাদের দলের একজন শীর্ষপর্যায়ের নেতা ছিলেন তিনি, সরকারের একজন প্রাক্তন মন্ত্রীও ছিলেন, তাঁকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। ২৪ দিন ধরে তাঁর উপর নির্যাতন চলেছে, প্রথমে তাঁর এক হাত কেটেছে, তারপর আরেকটা, এরপর কেটেছে কান, তার পা কেটেছে, ২৪ দিন ব্যাপী তারঁ উপর নির্যাতন চলেছে (এ পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু কেঁদে দেন)। কিন্তু এটা একটা মাত্র ঘটনা নয়, আমাদের কত নেতা আর কর্মী, বুদ্ধিজীবী আর সরকারি কর্মচারীকে জেলখানায় আটক করে দিনের পর দিন অত্যাচার করে হত্যা করেছে। এমন অমানুষিক নির্যাতনের কাহিনী আমি ইতিহাসে কোথাও শুনিনি। একটা পশু, একটা বাঘও তো মানুষকে হত্যা করলে এমন ভাবে করে না।
ডেভিড ফ্রস্টঃ ওরা আসলে কী চেয়েছিল?
বঙ্গবন্ধুঃ ওরা চেয়েছিল আমাদের বাংলাদেশকে উপনিবেশ করে রাখতে। আপনি তো জানেন মিস্টার ফ্রস্ট, ওরা বাঙালি পুলিশ, বাঙালি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের হত্যা করেছে। ওরা বাঙালি শিক্ষক, অধ্যাপক, প্রকৌশলী, ডাক্তার, যুবক, ছাত্র সবাইকে হত্যা করেছে।
ডেভিড ফ্রস্টঃ আমি শুনেছি যুদ্ধের শেষ দিকেও ঢাকাতে ওরা ১৩০ জন বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করেছে।
বঙ্গবন্ধুঃ হ্যাঁ, আত্মসমর্পণের মাত্র একদিন আগে। কেবল ঢাকাতেই ১৩০ নয়, ৩০০ জনকে ওরা হত্যা করেছে। ঢাকা ইউনিভার্সিটি, মেডিক্যাল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটিতে। কারফিউ দিয়ে মানুষকে ঘরে আটকে রেখেছে, এরপর বাড়ি বাড়ি হানা দিয়ে খুঁজে বের করে হত্যা করেছে।
ডেভিড ফ্রস্টঃ তার মানে, কারফিউ জারি করে সকল ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে এসকল হত্যাকান্ড চালানো হয়েছে?
বঙ্গবন্ধুঃ হ্যাঁ, তাই করেছে।
ডেভিড ফ্রস্টঃ শেখ সাহেব, আপনার কি মনে হয় ইয়াহিয়া দুর্বল চরিত্রের লোক যাকে অন্যরা খারাপ করেছে না সে নিজেই একটা খারাপ লোক?
বঙ্গবন্ধুঃ আমি মনে করি সে একটা নরাধম। ও একটা সাংঘাতিক মানুষ। ইয়াহিয়া যখন প্রেসিডেন্ট, তখন আমার জনসাধারণের নেতা হিসাবে, সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসাবে ইয়াহিয়া খানের সাথে আলোচনার সময়ই তা দেখেছি।
ডেভিড ফ্রস্টঃ আমাদের আজকের এই আলাপে আপনি নেতা এবং নেতৃত্বের কথা তুলেছেন, আপনার কাছে যথার্থ নেতৃত্বের সংজ্ঞা কী?
বঙ্গবন্ধুঃ আমি বলব একটি সংগ্রামের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যথার্থ নেতৃত্ব তৈরি হয়, কেউ হঠাৎ একদিনে নেতা হতে পারে না, তাকে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আসতে হবে, মানুষের মঙ্গলের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতে হবে, তার আদর্শ থাকতে হবে, নীতি থাকতে হবে। এই সব গুণ যার ভেতর থাকে সেই কেবল নেতা হতে পারে।
ডেভিড ফ্রস্টঃ ইতিহাসের কোন নেতাদের আপনি স্মরণ করেন, প্রসংসা করেন?
বঙ্গবন্ধুঃ স্মরণীয় অনেকেই, বর্তমানের কারো কথা বলছি না।
ডেভিড ফ্রস্টঃ না, বর্তমানের কেউ নয়, কিন্তু ইতিহাসের কারা আপনাকে অনুপ্রাণিত করেছেন?
বঙ্গবন্ধুঃ আমি আব্রাহাম লিংকনকে স্মরণ করি। স্মরণ করি মাও সে তুং, লেনিন, চার্চিলকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জন কেনেডিকেও আমি শ্রদ্ধা করতাম।
ডেভিড ফ্রস্টঃ মহাত্মা গান্ধী?
বঙ্গবন্ধুঃ মহাত্মা গান্ধী, পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু, নেতাজী সুভাষ বসু, সহরাওয়ার্দী, ফজলুল হক, কামাল আতাতুর্ক এদের জন্য আমার মনে গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। আমি ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে সংগ্রামী নেতা ডঃ সুকর্ণকে শ্রদ্ধা করতাম। এরা সবাই তো সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এসেছিলেন।
ডেভিড ফ্রস্টঃ আজ এই মুহূর্তে, অতীতের দিকে তাকিয়ে আপনি কোন দিনটিকে আপনার জীবনের সবচেয়ে সুখের দিন বলে মনে করেন? কোন মুহূর্তটি আপনাকে সবচাইতে সুখী করেছিল?
বঙ্গবন্ধুঃ যেদিন শুনলাম আমার বাংলাদেশ স্বাধীন, সেই দিনটিই ছিল সবচাইতে সুখের।
ডেভিড ফ্রস্টঃ এই দিনের স্বপ্ন কবে থেকে দেখতে শুরু করেন?
বঙ্গবন্ধুঃ অনেকদিন যাবৎ আমি এই স্বপ্ন দেখে এসেছি।
ডেভিড ফ্রস্টঃ স্বাধীনতার সংগ্রামে আপনি কবে প্রথম কারাগারে যান?
বঙ্গবন্ধুঃ জেল গমণ শুরু হয় সম্ভবত ১৯৪৮ সালে। এরপর ১৯৪৯ সালে গ্রেফতার হয়ে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত জেলে থাকি। ১৯৫৪ সালে মন্ত্রী হই আবার ১৯৫৪তেই গ্রেফতার হয়ে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত জেলে থাকি। আবার ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান আমাকে জেলে পাঠায়, তখন পাঁচ বছর আটক থাকি। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা সহ নানা মামলায় সরকার আমার বিচার করেছে। ১৯৬৬ সালে আবার আমাকে গ্রেফতার করা হয় এবং তিন বছর আটক রাখা হয়। এরপর ইয়াহিয়া খান গ্রেফতার করে। এমন দীর্ঘ সংগ্রাম শুধু আমার নয়, আমার বহু সহকর্মীর জীবনে একই ইতিহাস।
ডেভিড ফ্রস্টঃ মিস্টার প্রাইম মিনিস্টার, পৃথিবীর মানুষের জন্য আপনার কাছ থেকে কোনো বাণী আমি বহন করে নিয়ে যেতে পারি?
বঙ্গবন্ধুঃ আমার একমাত্র প্রার্থনা, বিশ্ব আমার দেশের মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসুক। আমার হতভাগ্য দেশবাসীর পাশে এসে দাঁড়াক। আমার দেশের মানুষ স্বাধীনতা লাভের জন্য যেমন দুঃখ কষ্ট ভোগ করেছে তেমন আত্মত্যাগ খুব কম দেশের মানুষকেই করতে হয়েছে। মিস্টার ফ্রস্ট, আপনাকে আমি আমার একজন বন্ধু বলে গণ্য করি। আমি আপনাকে বলেছিলাম, আপনি এদেশে আসুন, নিজের চোখে দেখুন, আপনি নিজের চোখে অনেক কিছুই দেখেছেন, আরো দেখুন। আপনি এই বাণী বহন করুন যে সকলের জন্যই আমার শুভেচ্ছা। আমি বিশ্বাস করি, আমার দেশের কোটি কোটি ক্ষুধার্ত মানুষের পাশে বিশ্ব এসে দাঁড়াবে। আপনি আমার দেশের বন্ধু, আপনাকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন। জয়বাংলা।
ডেভিড ফ্রস্টঃ জয়বাংলা। আমিও বিশ্বাস করি, বিশ্ববাসী আপনাদের পাশে এসে দাঁড়াবে, আপনার পাশে এসে আমাদের দাড়াঁতে হবে নয়তো ঈশ্বর আমাদের কোনোদিন ক্ষমা করবেন না।
মন্তব্য
বিস্তারিত ক্লিক করলে দেখা যাচ্ছে না কেন?
সরি, এখন দেখা যাচ্ছে।
আমার পোস্টে সমস্যা ছিলো, ঠিক করা হয়েছে।
...........................
Every Picture Tells a Story
অফিস থেকে বেরুচ্ছি। বাসায় গিয়ে বিস্তারিত আলাপ হবে।
মন্তব্য করার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা। ভিডিওগুলো দেখতে পারলে ভালো লাগতো। দেখি ওয়াইল্ড স্কোপরে ধরি।
জয় বাংলা।
নেটে খুঁজলে কিছু ভিডিয়ো পাওয়া যায়, এমনিতেই বড় হয়ে গেছে তাই দেইনি। এছাড়া মূল জিনিষতো দিয়েছিই। এই সাক্ষাৎকার প্রচারের পর ১৮ তারিখে কিছু বিদেশী পত্রিকায় এর মূল বক্তব্য গুলো এসেছিলো, কয়েকটার স্ক্যান কপি পেয়েছি, সময় সূযোগ মতন কোথাও ঝুলিয়ে দেয়া যাবে।
...........................
Every Picture Tells a Story
অনেক ধন্যবাদ মুস্তাভিজ ভাই।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ধন্যবাদ স্পর্শ
...........................
Every Picture Tells a Story
অনেক আগে ইন্টারভিউটা টিভিতে দেখেছিলাম। তখন অনেক কথাই বুঝি নাই।
আজকে সব পরিস্কার করে বুঝলাম।
মুস্তাফিজ ভাই, আপনার এই পোষ্টটার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।
সাক্ষাৎকারের গাড়ির ভেতরের অংশটাতে বংগবন্ধুকে দারুণ লাগে তাইনা?
...........................
Every Picture Tells a Story
আমার শুধু মনে আছে- বঙ্গবন্ধুর কথা বলায় যে বলিষ্ঠতা, সাদা পাজামা-পাঞ্জাবী আর মুখে পাইপ সব মিলিয়ে একজন মর্ত্যের দেবদূত।
ঐ সাক্ষাতকারে তাঁর যেকোন মানুষকে (এমনকি সেই বিদেশি সাংবাদিককেও) অবাক করে দেয়ার মত ব্যাক্তিত্বতটা আমার বেশি মনে পড়ে।
আপনি যে অংশটুকুর কথা বলছেন সাক্ষাৎকারের ঐ অংশটুকু ছিলো উনার বাসায়। আসলে অমন ব্যাক্তিত্ত্ব সম্পন্ন মানুষ দেখা যায়না। আমি দেখিনি, বাস্তবে তো নয়ই, এমনকি গল্প সিনেমাতেও না। (আমার সৌভাগ্য '৭৪এ আমি সামনে থেকে উনাকে দেখেছিলাম)।
...........................
Every Picture Tells a Story
সত্যিই আপনি অনেক সৌভাগ্যবান মুস্তাফিজ ভাই।
আমার দূর্ভাগ্য আমি জন্মেছি তাঁর প্রয়ানের অনেক পরে। তাই সেলুলয়েড আর স্টিল ছবিই ভরসা।
........................................
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কি?
...........................
Every Picture Tells a Story
অনুলিপিটার জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুধু উপমহাদেশ না, পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতা পেয়েছিলাম আমরা। জানি না আর কোনো জাতি একটা মানুষের কাছে এর চেয়ে বেশি ঋণী কিনা। জানি না আর কোনো জাতি এতটা কৃতঘ্ন এবং বিস্মৃতিপরায়ণ কিনা।
জাতি হিসাবে আমরা কৃতঘ্ন কথাটা মনে হয় ঠিক না, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারীদের সংখ্যাও কিন্তু সে সময় কম ছিলো না। তাদের কথা বাদ দিলে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি যে সাধারণ মানুষ তাঁদের কাছে বঙ্গবন্ধু আগে যে আসনে ছিলেন এখনও সেখানেই আছেন।
আপনি নিজেকে কৃতঘ্নের কাতারে না ফেলে এটা বলতে পারেন রাষ্ট্র ক্ষমতায় যারা থাকে তারা হয় চরিত্রহীন কিংবা চরিত্রহীনের দলে নামলেখায় অথবা চরিত্রহীনদের লালন করে তাদের ভাষায় কথা বলে।
আমি কিংবা আপনি কেন কৃতঘ্ন হতে যাবো?
...........................
Every Picture Tells a Story
এই মাটিতে বঙ্গবন্ধুকে এভাবে মরতে হলো, এর চেয়ে বড় অন্যায় হতে পারে না আর। আমি দায়টা সামগ্রিক ভাবে দেখি, কারণ এই একটা মানুষের অসামান্য আত্মত্যাগের সুফলটা আমরা সামগ্রিক ভাবেই ভোগ করে আসছি। বছরের পর বছর ধরে আমরা তাঁর হত্যাকারীদের তোষণ করতে দিয়েছি, মুজিব হত্যার পুরষ্কার হিসেবে লোকজন রাষ্ট্রদূত হয়েছে... এই দুঃখ থেকেই বলা আর কি।
৭৫ থেকে ২০১০, সময়টা বর্তমানে দাঁড়িয়ে অনেক দীর্ঘ মনে হতে পারে, কিন্তু চিন্তা করে দেখেন জাতি হিসাবে আমরা আমাদের স্বাধীনতা হাজার বছর পেরিয়েও ভোগ করে যাবো, সেসময়ের পরীপ্রেক্ষিতে ৩৫ বছর খুব বেশী সময় মনে হবেনা।
...........................
Every Picture Tells a Story
অনুলিপির জন্য ধন্যবাদ।
জন্মযুদ্ধের পক্ষ থেকে অমি রহমান পিয়াল ভিডিওটা ইউটিউবে আপ করেছিলেন (এ সুযোগে তাঁকেও ধন্যবাদ)। আমার কাছে সাক্ষাৎকারটা বেশি ভালো লাগে নি। সাক্ষাৎকার হিসেবে একটু নাটকীয় কথাবার্তা/আচরণ মনে হয়েছে।
নাটকীয় কোথায় মনে হয়েছে ধারণা পেলে ভালো হতো।
...........................
Every Picture Tells a Story
সাক্ষাৎকার হিসেবে ওভারঅল নাটকীয়- মাঝে মাঝে কথায় বক্তৃতার টোন এসে গেছে; পলিটিশিয়ান বলেই হয়তো। এখন তো ইউটিউব/টিভি চ্যানেলগুলোর দৌলতে অনেক সাক্ষাৎ কার শোনা হয়। তাদের সাথে তুলনায় এটাকে বেশি ভালো বলতে পারছি না। তবে এটা শুধুই আমার দু’পয়সা
নাটকের উপাদান হিসাব করলে, সব কথা, সবার কথাই নাটকীয়। যেহেতু নাটক জীবনকে, মানুষকে ধারণ করেই তৈরি হয়।
বঙ্গবন্ধুর কথার ধরণ, হাঁটা চলার সাথে এই সাক্ষাৎকারে এমন কি পরিবর্তন বা পার্থক্য আছে যে একে নাটকীয় মনে হলো? তার কথা বলার বলিষ্ঠ ভঙ্গি, স্বরের উত্থান-পতন (যেমনটা অন্যান্য ফুটেজে দেখেছি) সবইতো এখানে আছে। একিরকম, স্বাভাবিক ভঙি।
১৯৯৬ সালের পর থেকে বেশ ক'বার সাক্ষাৎকারটি দেখেছি। প্রতিবারই মুগ্ধ হয়েছি। কোনবারই এটিকে নাটকীয় বা অভিনয় সমৃদ্ধ কিছু মনে হয়নি। যে কথাগুলো তিনি বলছেন, যে বিষয় নিয়ে বলছেন (দেশে ফেরার মাত্র দিন সাতেক পর) তার জন্যেতো এমন উচ্চারণই স্বাভাবিক। উচ্চকিত হওয়া, কাঁদা এসবতো অস্বাভাবিক বলে মনে হয় না। অন্তত লে. জে. হু. মু. এ'র মতো কিছু হলে নাহয় অভিনয় বা নাটকীয় বলে মানতে পারতাম। ইনি বঙ্গবন্ধু, দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র এক মাস পর তাকে নাটকীয় আচরণ কেনই বা করতে হবে তাই বা কেমনে চিন্তায় আনি?
অবশ্য, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা চান নাই। ছাত্রদের চাপে পড়ে ঘটনা ঘইটা গেছে, তিন লাখ কইতে গিয়া তিরিশ লাখ কয়া ফেলছে টাইপ ধারণা যারা পোষন করে তাদের কাছে এটা নাটকীয় মনে হতেই পারে। তানভীর, আপনি সেই দলের নয় বলেই বিশ্বাস করি।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আপনার অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি
ইউটিউব বা টিভি চ্যানেলে অনেক সাক্ষাৎকারই আমরা দেখেছি কিন্তু উনার মাপের কোন ব্যাক্তিত্বের সাক্ষাৎকার যদি দেখে থাকেন লিঙ্ক দেন।
যুদ্ধ বিধ্বস্ত সদ্যস্বাধীন দেশ, যেখানে উনি ফিরে এসেছেন মাত্র ৭দিন, তেমন অবস্থায় একজন বিদেশী সাংবাদিককে এভাবে কোন রকম প্রোটকল ছাড়া সাক্ষাৎকার দেয়াটা নাটকীয় অবশ্যই। এছাড়া আর কোথাও নাটকীয়তা আছে বলে আমার মনে হয়নি।
বঙ্গবন্ধুর কথা বলার ঢং এর সাথে হয়তো আপনি পরিচিত নন বলেই “ওভারঅল নাটকীয়” মনে হতে পারে। আবার যুদ্ধের সময় ৭ই মার্চের ভাষনকে জামাতীরা যাত্রাপালা বলে উপহাস করেছে তাতে সেই ভাষনের গুরুত্ব কোন অংশে ম্লান হয়ে যায়নি, আপনার মন্তব্য যদি সে পর্যায়ে হয়ে থাকে তাহলে বলার কিছু নেই।
ধন্যবাদ।
...........................
Every Picture Tells a Story
তানভীর সাহেবের কাছ থেকে এই জীবনে লিঙ্ক পাবেন বলে মনে হয় না।
সাক্ষাতকারে আপনার/আমার ভাললাগা না-লাগা বিষয়ক কথা প্রাসঙ্গিক না, প্রাসঙ্গিক সাক্ষাতকারের বিষয়-আশয়গুলো। এগুলো ইতিহাসের অংশবিশেষ আপনার/আমার ভাল লাগা-না লাগা সেখানে কোনো অর্থ বহন করে না।
হ, ঠিক।
পোস্টটার জন্য অনেক ধন্যবাদ, মুস্তাফিজ ভাই। বুকমার্ক করে রাখলাম।
ধন্যবাদ প্রহরী, আলোচনা আশা করি।
...........................
Every Picture Tells a Story
অসামান্য কাজ মুস্তাফিজ ভাই। ফেইসবুকে শেয়ার করলাম।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদ জাহিদ ভাই, এখানে যেহেতু ভিডিয়োর লিঙ্ক এসেছে একটু দেখবেন কনভার্সনটা ঠিক আছে কীনা।
...........................
Every Picture Tells a Story
ভাইয়া আমি আপনার অনুজ, তুমি করে বললে কৃতার্থ হই।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ওকে ভাইয়া
...........................
Every Picture Tells a Story
স্যালুট!!!
ঈশ্বর আসলেই ক্ষমাশীল
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
হ, ঠিক
...........................
Every Picture Tells a Story
অনুবাদককে অনেক ধন্যবাদ। আমিও ফেইসবুকে শেয়ার করলাম…
রিজভী
--------------------------------
কেউ যাহা জানে নাই- কোনো এক বাণী-
আমি বহে আনি;
ধন্যবাদ রিজভী
...........................
Every Picture Tells a Story
একটা চমৎকার জিনিষ উপস্থাপনা করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। এগুলো যত বেশী সামনে নিয়ে আসবেন ততই স্বাধীনতার পরবর্তী প্রজন্ম আমরা জানতে পারবো।
মন্তব্য প্রকাশে ভিন্নমত থাকতেই পারে, কিন্তু এ সাক্ষাৎকার প্রদানকে/ভঙ্গীটাকে যারা নাটকীয় বলতে পারেন তাদের সুমতি হউক।
ধন্যবাদ চড়ুই।
সুমতি হউক আমিও/আমরাও চাই, কিন্তু ব্যাপারটা কারো কাছে ইচ্ছাকৃত ভাবে ৭ই মার্চে কারাবন্দী দিবস পালনের মত হলে সুমতির আশা করাটা ঠিক না।
...........................
Every Picture Tells a Story
অনবদ্য কাজ, মুস্তাফিজ ভাই।
এতকিছুর পরেও আজো বাংলাদেশের মানুষ কিভাবে পাকিস্তান ক্রিকেট টিমকে এভাবে সাপোর্ট করতে পারে, হাজার ভেবেও তার কোন কুল-কিনারা পাই না।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
ধন্যবাদ রেনেট।
ক্রিকেট কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। '৭৫ পরবর্তী পিছুহাটার কুফল।
...........................
Every Picture Tells a Story
উরে! ভিডিও লিংক দিতে গিয়ে বিপদেই পড়লাম দেখি!!
@মুস্তাফিজ ভাই, নজমুল আলবাব,
আমার কাছে ভিডিও বেশি ভালো লাগে নাই। খারাপও লাগে নাই। আমি সেটা জানাতেই পারি। আপনাদের বেশি ভালো লেগেছে আমি সেটাও এপ্রিশিয়েট করি। মুস্তাফিজ ভাই ঠিকই বলেছেন আমি বঙ্গবন্ধুর ‘কথা বলার ঢং’-এর সাথে পরিচিত নই। ৭ই মার্চ ও এই সাক্ষাৎকার ছাড়া আমি আর কিছু শোনার সুযোগ পাই নি। ৭ই মার্চের ভাষণে তিনি অবশ্যই দুর্দান্ত ও অনন্য, কিন্তু নির্মোহ দৃষ্টিতে দেখলে সাক্ষাৎকারে কথা বলার এই ঢং আমার কাছে আরোপিত মনে হয়। আমি তাঁর কথা বলার ধরনের সাথে পরিচিত নই এবং বিচ্ছিন্নভাবে একটা সাক্ষাৎকার শুনেছি বলেই হয়তো এমনটা মনে হতে পারে। যাঁরা বঙ্গবন্ধুকে কাছ থেকে দেখেছেন, তাঁর এই টোনের সাথে পরিচিত- তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গী অবশ্যই আলাদা হবে। তাঁদের মতামতের প্রতি আমার শ্রদ্ধা রইল।
ভালো খারাপ লাগার ব্যাপারটা আপেক্ষিক, সেটা আমার মন্তব্যের অংশ ছিলো না। আমি যেটা বলতে চেয়েছি আপনার যেখানে বা যে বিষয়টা নাটকীয় মনে হয়েছে সেটাই ছিলো উনার স্বাভাবিকতা, এবং আমার ধারণা আপনার তা জানা আছে। উনার যতগুলো ভিডিয়ো দেখেছি বা ভাষন পড়েছি (উনার প্রধান ভাষন গুলোর লিখিত কপি আমার কাছে আছে), কিংবা এ সম্পর্কে যত আলোচনা শুনেছি তাতে ব্যাপারটা স্বাভাবিক না লেগে অস্বাভাবিক লাগাটাই আমার কাছে অস্বাভাবিক মনে হয়েছে।
...........................
Every Picture Tells a Story
ভাষণে যা স্বাভাবিক, আমার কাছে সাক্ষাৎকারে বা দৈনন্দিন কথা বলায় তা স্বাভাবিক নয়- আমি এটাই বলতে চেয়েছি। একটা সাক্ষাৎকার থেকে আসলে তেমন কিছু ধারণা পাওয়াও সম্ভব নয়।
আপনি প্রথমেই বলেছিলেন ঐ ভাষন ছাড়া বেশী কিছু আপনি দেখেননি। সেটা দেখেই তেমন মন্তব্য ছাড়াটা উচিৎ হয়েছে কীনা আপনিই ভালো বলতে পারবেন।
ভালো থাকুন।
এ ব্যাপারে আপনার আরো কথা থাকলে বিস্তারিত নুতন পোস্টে জানান, আমরা দেখি।
...........................
Every Picture Tells a Story
আপনার পোস্টে ভিডিও লিংক শেয়ার করাই আমার উদ্দেশ্য ছিল। আর ভিডিওটি নিয়েই আমি শুধু মন্তব্য করেছিলাম। এতখানি প্রতিক্রিয়া আশা করি নি
এ বিষয়ে আমার আর কোন কথা নাই। আপনিও ভালো থাকুন।
ধন্যবাদ কাজটার জন্য।
শেখ মুজিব মানুষ হিসাবে কেমন, সংগ্রামের নেতা হিসাবে তার ভূমিকা অথবা রাষ্ট্রনেতা হিসাবে তার অবদান- এসব নিয়ে গবেষণা যোগ্য মানুষরাই করুক। তবে একজন স্বাধীন দেশের মানুষ হিসাবে আমাকে যদি কখনো প্রশ্ন করা হয় যে বাংলাদেশের জন্মের জন্য অবদান সবচেয়ে বেশি, এরকম "একজন" মানুষের নাম বলতে, তাহলে আমি বঙ্গবন্ধুর নামটাই বলব।
ধন্যবাদ অমিত।
...........................
Every Picture Tells a Story
ইন্টারভিউটা অনেক আগে দেখেছিলাম এক সক্রিয় ছাত্রলীগ বন্ধুর কল্যাণে। অনেক অংশ মাথায় গেঁথে ছিল। আজকে আবার পড়লাম একই ইন্টারভিউয়ের অনুবাদ।
সেদিন এটা দেখে যেটা মনে হয়েছিল, আজ পড়ে একই কথা মনে হল... বর্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাঁকে হত্যা করতে পারেনি সেদিন, কিন্তু সেটাই করেছে নিজের দেশের সেনাবাহিনী।
ধন্যবাদ আপনাকে অনুবাদটা করার জন্য।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ তাসনীম। আর এটা ছিলো নিষ্ঠুর হত্যাকান্ড গুলোর অন্যতম।
...........................
Every Picture Tells a Story
মুস্তাফিজ ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য। ভিডিওগুলো দেখেও ভাল লাগলো। আমারো বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চ এর ভাষনের বাহিরে আর কিছু শোনা হয়নি। এখন ভিডিওতে দেখে বলা ভাষা হারিয়ে ফেলছ। এক কথায় অসাধারণ ব্যক্তিত্ব।
ধন্যবাদ স্বাধীন। আমার মনে হয় নিজ নিজ উদ্যোগে একটু খোঁজাখুঁজি করলে আরো কিছু পাওয়া যেতে পারে। আসলেই উনি অসাধারণ।
...........................
Every Picture Tells a Story
দারুন পোস্ট মুস্তাফিজ ভাই, আবারো মুগ্ধতা সীমানা হারিয়ে গেল আপনার পোস্ট পড়ে, অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্টটা শেয়ার করার জন্যে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ধন্যবাদ ডাক্তার। দেখা হবে।
...........................
Every Picture Tells a Story
আপনাকে অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ। এইরকম পোস্টের জন্য।
ধন্যবাদ শুভাশীষ দাশ
...........................
Every Picture Tells a Story
লেখাটা পড়ে ভাল লাগলো
দেশে ফেরতকালে বা ফেরার পরপর বিবিসির একজনের নেয়া একটা সাক্ষাৎকার বিবিসি রেডিওতে শুনিয়েছিল। এটাই সেটা কিনা জানি না। তবে সেটাতে যদ্দূর মনে পড়ে বঙ্গবন্ধুর কথা বাংলাতে ছিল। আমি ক্যাসেটে রেকর্ড করে রেখেছিলাম, কোথায় আছে কে জানে!
ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই।
ফেরার পথে হিথ্রো তে এবং দিল্লীতে সাংবাদিকদের সাথে কথা হয়েছিলো উনার। সেগুলোর কোনটা হতে পারে।
...........................
Every Picture Tells a Story
বঙ্গবন্ধুর আরেকটা সাক্ষাৎকারের ভিডিও আছে, আমার ধারণা সেটা বেশ বিরল। সম্ভবত সেটা সত্তরের নির্বাচনের ইমিডিয়েট আগে বা পরে, আমার স্পষ্ট মনে নেই। একটা ডকুমেন্টারির অংশ সেটা। ইয়াহিয়া খান আর বঙ্গবন্ধুর বক্তব্য পাশাপাশি দেখানো হয়েছিলো। ঐটা দেখলে টের পাওয়া যায়, বঙ্গবন্ধু নেতা হিসেবে এবং বক্তা হিসেবে কত শক্তিশালী ছিলেন। চিবিয়ে চিবিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানীদের কৃতকর্ম নিয়ে একটা সংযত ক্রোধ নিয়ে ঠাণ্ডা গলায় বিবৃতি দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।
আপসোস, ওনার কোটটাকে সব ব্যাটা নকল করে, ওনার মতো তর্জনী তুলে বক্তৃতা দেয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু একটা বাপের ব্যাটা নাই যে ঐ ব্যক্তিত্বকে অনুসরণের চেষ্টা করবে। মুজিব কোট পরা আওয়ামী নেতা দেখলে মনে হয় এরা বঙ্গবন্ধুকে ভ্যাঙ্গাচ্ছে।
এমন অনেক দলিলই আজ আমাদের চোখের আড়ালে। '৭৫ আমাদের অনেক কিছুই নিয়ে গেছে।
...........................
Every Picture Tells a Story
মানুষটার অন্ততঃ আবেগটুকু তো ছিলো দেশ নিয়ে।
পরের চোর-চোট্টাগুলোর তো তাও ছিলোনা।
এই সাক্ষাৎকার দেখেছিলাম ভিডিও ক্যাসেটে। '৮৬ কিংবা '৮৭ এ। লন্ডন থেকে আমাদের পরিবারের কেউ একজন নিয়ে গিয়েছিলেন। মনে আছে, কি ভীষন আবেগ নিয়ে দেখা হয়েছিল। আমি তখন হাইস্কুল মাত্র। অতো কি আর বুঝি? কিন্তু পরিবারের অন্যদের আবেগ দেখে টের পেয়েছিলাম এই মানুষটার জন্য অন্য মানুষদের ভালোবাসা কতোটুকু জড়িয়ে ছিলো- যাকে হত্যার পর তার ছবি পর্যন্ত বছর কয়েক লুকিয়ে রাখতে হয়েছিল।
ধন্যবাদ বুড়াভাই
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আমাদের বাসায় লুকানো ছবি ছিলো একটা, সৈয়দ নজ্রুলের সাথে, যখন আবার ছবিটা সামনে এলো, ততদিনে অনেক ম্লান হয়ে গেছে।
...........................
Every Picture Tells a Story
অসাধারণ কাজ, মুস্তাফিজ ভাই!
ধন্যবাদ ভাই
...........................
Every Picture Tells a Story
পড়লাম
আগে একবার এখন আরেকবার
ধন্যবাদ লীলেন'দা, আপনি বানান না দেখে দেয়া পর্যন্ত পোস্ট দিতে সাহস হচ্ছিলোনা।
...........................
Every Picture Tells a Story
আজকের দিনের সেরা পোস্ট। অবশ্যই প্রিয়তে।
এই মানুষটার ব্যাক্তিত্বের তুলনা উনি নিজেই। এরকম একজন খাঁটি লোক আমাদের নেতা ছিলো বলেই স্বাধীনতাটা পেয়েছিলাম। একমাত্র বঙ্গবন্ধুই পারেন এভাবে বলতে। উনি এতটাই উঁচুমাপের একজন ব্যাক্তি যে আমার-আপনার মতো ছা-পোষা লোকজনের ভালো লাগা - মন্দ লাগা দিয়ে উনাকে বিবেচনা করা যায় না। ছাপ্পান্ন হাজার বর্গ মাইলের একজন ব্যক্তিত্বকে কি এতো ছোটো চোখে মাপা যায়???
অনেক, অনেক ধন্যবাদ মোস্তাফিজ ভাই।
===============================================
রাজাকার ইস্যুতে
'মানবতা' মুছে ফেলো
টয়লেট টিস্যুতে
(আকতার আহমেদ)
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
কথা ঠিক।
...........................
Every Picture Tells a Story
এই লেখাটা বারবার এসে এসে পড়ে পড়ে ঘুরে গিয়েছি, কিন্তু মন্তব্য করার ভাষা পাচ্ছিলাম না। খুব কৃতজ্ঞ বোধ করছি এটা বলার লোভ সামলাতে পারলাম না।
সে'দেশে যবে বাদল ঝরে
কাঁদে নাকি প্রাণ একেলা ঘরে?
বিরহব্যাথা নাহি কি সেথা?
বাজে না বাঁশি সে নদীর তীরে?
ধন্যবাদ
...........................
Every Picture Tells a Story
শ্রমসাধ্য এই কাজের জন্য অভিনন্দন জানাই। টুকরোটুকরো কাজগুলোই একসময় বিরাট সংকলনে রূপ নেবে।
ধন্যবাদ
...........................
Every Picture Tells a Story
হায়!!! আজ এই দেশের রাজনৈতিক নেতাদের দেখলে তিনি কী বলতেন তাই ভেবে পাইনা।
অসাধারণ পোস্টটির জন্য মুস্তাফিজ ভাইকে ধন্যবাদ।
---- মনজুর এলাহী ----
ধন্যবাদ মনজুর এলাহী
...........................
Every Picture Tells a Story
অসাধারণ পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই!
-----------------------------------------------------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে; সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
অসাধারণ !!! আমরা জাতি হিসেবে গর্বিত যে এমন একজন মানুষ আমাদের মাঝে ছিলেন।ধন্যবাদ
অসাধারণ
facebook
নতুন মন্তব্য করুন