সকালে মুসা ইব্রাহিমের এভারেস্ট জয়ের কথা শুনে আনন্দে লাফিয়ে উঠার পাশাপাশি মনে পড়লো সজলের কথা। সজলের সাথে পরিচয় অনেকদিনের। ভালোও লাগে তাকে। তাকে ফোন করে শুনলাম আরেকরকম খবর।
দেশের প্রধান প্রদান সংবাদ মাধ্যম গুলো যেখানে ফলাও করে এখবর ছাপাচ্ছে সেখানে নিচের কথা গুলোর সত্যতা বিস্বাসে কষ্ট হওয়া স্বাভাবিক। আমারও হচ্ছে। সত্যমিথ্যা জানিনা, একদিন সত্য নিশ্চয়ই প্রকাশিত হবে।
আসুন তাহলে সজলের কথাগুলোও শুনি
'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''
আজ সকালে এক বন্ধুর ফোন থেকে জানতে পারলাম মুসা ইব্রাহিম প্রথম বাংলাদেশী হিসাবে মাউন্ট এভারেস্ট সামিট করেছেন। দাবানলের মতো খবরটি সব মিডিয়ায় ছড়িয়ে গেল। রেডিও, টেলিভিশন, অন্তর্জাল...সবখানেই এই খবর। কোন বাংলাদেশীর মাউন্ট এভারেস্ট জয় আমাদের খুশীর তুফানে ভাসিয়ে নেবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মুসা ইব্রাহিম দাবী করেছেন জেনেই কয়েকটি সুনির্দিষ্ট কারণে শঙ্কা এবং সন্দেহ হলো। সন্দেহের কয়েকটি কারণের কথা উল্লেখ করছি।
• মুসা ইব্রাহিম তিব্বত দিয়ে এভারেস্ট সামিট দাবী করেছেন। তিব্বত দিয়ে
আমাদের আরেক বাংলাদেশী পর্বোতারোহী, বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং এন্ড ট্রেকিং
ক্লাবের (বিএমটিসি) এম এ মুহিত এভারেস্ট জয়ের চেষ্টা করছিলে, যিনি আজ বেস ক্যাম্প থেকে এভারেস্ট জয়ে ব্যার্থ হয়ে নেমে আসছেন
http://www.thefinancialexpress-bd.com/search_index.php?page=detail_news&news_id=95544
। এম এ মুহিত এর আগে প্রায় ২৮০০০ ফুট উচু চো ইউ জয় করেছেন। এবছর এপ্রিল থেকে প্রায় দেড় মাস তিনি এভারেস্ট বেস ক্যাম্প এবং এক নম্বর ক্যাম্পে
ছিলেন, মুহিত আজও ফোনে জানিয়েছেন মুসা ইব্রাহীমের সাথে তার সাক্ষাত হয়নি এবং সবাইকে জিজ্ঞেস করেও তিনি জানতে পারেন নি যে আর কোন বাংলাদেশী তিব্বত দিয়ে এভারেস্ট জয়ের চেষ্টা করছেন।
• মুসা ইব্রাহীম প্রতিবার অভিযানের আগে সংবাদ সম্মেলন করলেও এভারেস্টে যাবার আগে সংবাদ সম্মেলন করেন নি এমন কি যাবার পর কোন সংবাদ মাধ্যম’কে কোন খবর’ও জানান নি। অথচ এম এ মুহিত বার বার তিব্বত থেকে আমাদের সাথে স্যাটেলাইট ফোনে যোগাযোগ করেছেন। যেকোন বড় পর্বত সামিট করলেই সবাই পরিবারে/দেশের সংবাদ মাধ্যমে স্যাটেলাইট ফোনে এই সংবাদ জানান। মুসা ইব্রাহীম এখন পর্যন্ত কাউকে ফোন করেছেন বলে জানা যায়নি।
• গত বছর জুন মাসে মুসা ইব্রাহীম ও তার ক্লাব, নর্থ আলপাইন ক্লাবের তৌহিদ হোসেন অন্নপুর্ণা ৪ জয় করেন বলে বিশাল খবর বের হয়। মুনির হাসান প্রথম আলোর শেষ পাতায় ছবিসহ বড় খবর করেন। মুসা ইব্রাহীম প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারের লোগো ছাপা বড় ব্যানারে পেছন দেখা যায়না এমন ছবি তুলে তা চূড়ার ছবি বলে দাবী করেন। পত্রিকাগুলো হুমড়ি খেয়ে তা দফায় দফায় ছাপায়। সেদিন’ই আরেক পর্বতারোহী মুনতাসির মামুন ইমরান অন্নপুর্ণা ৪ জয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে একটি লেখা পাঠান যা শুধুমাত্র ডেইলি স্টারের অন্তর্জালে ছাপা হয়। এই লেখায় তথ্য সহ ইমরান জানান যে মুসার দাবী সত্যি হলে তা বিশ্ব রেকর্ড হয়ে যাবে। মুসার লেখাতেও দিনক্ষনের হিসাবে গড়মিল নজরে পড়ে যা সাধারন মানুষ না বুঝলেও যেকোন পর্বতারোহী এই অসংগতি মুহুর্তে বুঝতে পারবেন। মুসা ইব্রাহীম ও মুনতাসির মামুন ইমরানের লেখা পরতে পারেন
http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=93071 ক্লিক করে।
নর্থ আলপাইন ক্লাবের সভাপতি আনিসুল হক ইনাম আল হক’কে অনুরোধ করেছিলেন মুসা ইব্রাহীমকে বিএমটিসি’র এভারেস্ট অভিযানে যুক্ত করতে। আনিসুল হকের উপস্থিতিতে প্রথম আলো কার্যালয়ে ইনাম আল হক মুসা ইব্রাহীমকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন তিনি এখন পর্যন্ত কতো উপরে উঠেছেন। জবাবে মুসা জানান ছয় হাজার মিটার (প্রায় ২০ হাজার ফুট)। অথচ কয়েক মাস আগেই প্রথম আলো গলা ফাটিয়ে ফেলেছিল মুসা ইব্রাহীমের ২৪ হাজার ফুট উচু অন্নপুর্ণা ৪ জয়ের কথা বলে।
• এর আগে মুসা ইব্রাহীম, মীর শামসুল আলম বাবু ও অপরিচিত তৌহিদ হোসেন, এই তিনজনের দল লাং শীসা রী জয় করেন বলে প্রথম আলোতে ছবিসহ বড় খবর বের হয়। কয়েকদিন পর দলের সদস্য মীর শামসুল আলম বাবু লেখালেখি করে জানান যে তারা আসলে লাং শীসা রী জয় করেননি, অনেক নীচে থেকেই তারা নেমে আসেন।
• এভারেস্টে মুসা ইব্রাহীমের গাইড ছিলেন সোম বাহাদুর তামাং এবং গনেশ
মাগার। এই দুজনের সাথেই আমরা একাধিক ছোট অভিযান করেছি, এখন বড় অভিযান আর করিনা। দুজনের একজনও আগে এভারেস্ট চড়েন নি। একবার এদের একজন আমাদের পুরো সামিটে না নিয়েই বলেছিলেন সামিটে পৌছে গেছি আর আরেকজন আরেক অভিযানে ভয় পেয়ে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিলে আমি তাকে পেছনে রেখে সামিট করাই। এই দুজন গাইডের নেতৃত্বে এভারেস্ট জয়ের খবর মনে সংশয় জাগায়।
• মুসা ইব্রাহীম তার নেপালী ব্যাবসায়িক অংশীদার বন্ধুর এজেন্সী মুক্তিনাথ
ট্রাভেল থেকে সব বার অভিযান আয়োজন করেন, যারা পেশাদার অভিযান আয়োজক নয়। আগের দুইবার তাদের সহায়তায়ই মিথ্যা পর্বত জয়ের খবর এসেছে এবং তারা সনপত্র’ও যোগার করে নিয়েছে। আয়োজক প্রতিষ্ঠান ও গাইড মিথ্যাচার করলে দুতাবাস তা জানবে, এই আশা করা সুদূর পরাহত। ২০০৭ সালে একবার মুক্তিনাথ ট্রাভেল থেকে অভিযান করার পর বিএমটিসি থেকে আমরা আর তাদের সাথে অভিযান করতে আগ্রহী হইনি। মুসা ইব্রাহীম আগে বিএমটিসির সদস্য ছিলেন। একটি অভিযানে নেপাল থেকে ইমেইল
করে তিনি আমার একটি মৌলিক লেখা অনুমতি ছাড়াই নিজের নামে প্রথম আলোর প্রথম পাতায় ছাপান। সামিটে পুশে তিনি নিজের ইচ্ছায় না গিয়ে ক্যাম্পে রয়ে যাওয়ায় আমি এবং এম এ মুহিত সামিট পুশে চলে যাই। ফিরে এসে আমার আরএকটি লেখা তিনি নিজের নামে ইমেইল করার অনুমতি চান। এবার আমি বিরক্ত হয়ে বলি যে আমার লেখা আমার নামেই ছাপানো ভালো। এইসব তিক্ততার প্রায় দুমাস পর ইনাম আল হক মুসাকে বিএমটিসি থেকে বের হয়ে যতে অনুরোধ করেন। শুধু মুসা ইব্রাহীম নয়, যেকোন বাংলাদেশী এভারেস্টে গেলেই আমাদের অভিনন্দন থাকবে। কিন্ত এভারেস্ট এবং অন্যসব পর্বতকে এভাবে কুলষিত না করার অনুরোধ রইল। সারা পৃথিবীর কাছে এমনিতেই আমাদের নানান বদনাম, এভারেস্টের নামে মিথ্যা সংবাদের বদনাম হলে আমাদের মুখ দেখাবার উপায় থাকবে না।
সজল খালেদ,
প্রশিক্ষন ও অভিযান পরিকল্পনা সচিব,
বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং এন্ড ট্রেকিং ক্লাব (বিএমটিসি)
Sajal.khaled@gmail.com
।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
অবশেষে সজলের বক্তব্য (মে ২৭)
অভিনন্দন মুসা ইব্রাহীম
অভিনন্দন মুসা ইব্রাহীম, পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়ায় প্রথম বাংলাদেশী হিসাবে পা রাখার জন্য। এই অর্জন আমাদের বাংলাদেশী হিসাবে গর্বিত করেছে।
২৩ মে দুপুরে যখন ঢাকায় খবর এলো মুসা ইব্রাহীম মাউন্ট এভারেস্ট সামিট করেছেন তখন সম্পুর্ণ ব্যাপারটাই আমাদের সবার কাছে ধোঁয়াটে ছিল। সংশয়ও ছিল, প্রধানত এ কারণে যে, মুসার সাথে বাংলাদেশী আরেক পর্বতারোহী এম এ মুহিতের এই দীর্ঘ অভিযানের প্রায় পুরোটা সময় কাকতালীয়ভাবে দেখা হয়নি, মুসা’র ব্যাপারে তার স্ত্রী, মুখপাত্র মুক্তিনাথ ট্রাভেলস এবং বাংলাদেশের প্রায় সব পর্বতারোহী যোগাযোগের অভাবে অন্ধকারে ছিলেন, আর সাফল্য নথিকরনের প্রায় সবকটি ওয়েবসাইট এই তথ্য অনেক দেরিতে প্রকাশ করেছে। প্রথম দিন’ই সংবাদ মাধ্যম থেকে যারা খোজখবর করছিলেন তাদের সবাইকেই আমরা বলেছিলাম মুসা সফল হলে আমরা সবাই আনন্দিত ও গর্বিত হবো, কিন্তু খবরটার ব্যাপারে আগে নিশ্চিত হতে হবে। গত কয়েকদিনের মধ্যে সাফল্যের ব্যাপারে এই সংশয় প্রায় সবটাই কেটে গেছে সবার। সবার পক্ষ থেকে মুসা ইব্রাহীমকে অভিনন্দন এভারেস্ট জয়ের জন্য আর এম এ মুহিতকে এভারেস্ট জয়ের চেষ্টা করার জন্য।
পর্বতারোহণে শিখরজয়ের সম্ভাবনা সামর্থ ও যোগ্যতার পাশাপাশি সবসময়ই অনেকাংশে আবহাওয়া, শারিরীক ও মানসিক সুস্থ্যতাসহ বেশ কয়েকটি ব্যাপারের উপর প্রবলভাবে নির্ভরশীল। মুসা যখন সবার যোগাযোগের বাইরে ছিলেন তখন তার স্ত্রী খবর জানার জন্য যোগাযোগ করেছিলেন। যদিও আমরা সবাই তাঁর মতই অন্ধকারে ছিলাম কিন্তু দুশ্চিন্তার কিছু নেই বলে তাঁকে অভয় দিয়েছিলাম এবং বলেছিলাম কোন খবর পাওয়া মাত্র আমরা তাঁকে জানাবো এবং যেকোন সহযোগীতায় সাধ্যমত সাহায্য করব। হাজারো প্রতিকুলতার মধ্যেও সবকিছু ঠিকভাবে শেষ হয়ে মুসা সুস্থ্যদেহে ফিরে আসছেন এটা আমাদের সব দুশ্চিন্তা দূর করেছে।
এভারেস্ট বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে পর্বতারোহন চর্চ্চা এখন এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করলো। প্রায় সাত বছর আগে আমরা সবাই মিলে একসাথে পর্বতারোহন চর্চ্চা প্রসারের প্রতিকুল চেষ্টা শুরু করছিলাম, পরে বিচ্ছিন্নভাবে হলেও আন্তরিকতার কোন অভাব আমাদের কারোই ছিলনা এবং এখনো নেই। মুসা ইব্রাহিমের এভারেস্ট জয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে পর্বতারোহন চর্চ্চা প্রসারে এবার দারুণ গতি সঞ্চার হবে এবং এই ক্ষেত্রটি খুব দ্রুত সবার সহযোগীতায় বিকাশ লাভ করবে এই প্রত্যাশা আমাদের সবার। এবার খুব দ্রুত আমরা এভারেস্টে প্রথম বাংলাদেশী মেয়েকেও দেখতে চাই।
মন্তব্য
আমিও আসলে একটু বিব্রত। কারণ প্রায় একই কথাই আমি আরো একজনের থেকে শুনেছি (তাঁর অনুমতি ব্যতিরেকে নামটা জানাতে পারছি না), যার কথাকে একদম ফেলে দিতে পারছি না।
সবার আনন্দের মাঝেও তাই একটু উশখুশ লাগছে। এভারেস্ট জয়ের খবর সত্যি হলে, খুবই আনন্দিত হবো।
আশা করছি, সত্যিই তিনি এভারেস্ট জয় করেছেন।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ঐ
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আমি সজল খালেদের যুক্তিগুলোকে ফেলে দিতে পারছি না। আবার পর্বতারোহণ নিয়ে এরকম বড় দাগের বিভক্তিও আমাকে বিব্রত করছে।
মুসা ও মুহিত দু'জন ফিরে এলে আমরা তাঁদের মুখোমুখি বক্তব্য শুনতে চাই। এভারেস্ট জয়কে যদি হোক্স করার চেষ্টা করা হয়, সেটা অত্যন্ত, অত্যন্ত দুঃখজনক হবে।
আমি আমার করা ব্যানারটি সজল খালেদের যুক্তির প্রেক্ষিতে সরিয়ে নিচ্ছি।
ব্যাপারটা আমার জন্যও দুঃখজনক। আশাকরি খুব সহসাই সবকিছু জানতে পারবো।
...........................
Every Picture Tells a Story
নর্থ ফেস দিয়ে রোববার যেসব স্বীকৃত দল সামিত পুশে ছিলো তাদের নাম
Gerlinde Kaltenbrunner
Silvio mondinelli
Alfredo Garcia - La Rioja expedition
Hungarians - Dreher 24
Jordan Romero
Project-Himalaya
7-Summits Club
Adventure Dynamics
Duncan Chessell
Adventure Peaks
Bill Fisher
Bill Burke
এদের কোনটাতেই মুসা ইব্রাহিমের নাম নেই। এর বাইরে কোন দল ছিলো কীনা জানিনা।
...........................
Every Picture Tells a Story
হা হা হা... মজা পাইলাম...
সজল খালেদের ব্যক্তিগত ক্ষোভ সম্ভবত ধোপে টিকবে না। কে মাউন্ট এভারেস্ট জয় করছে, সেটা নির্ণয় করার একটা প্রতিষ্ঠান আছে। পৃথিবীর যেই এভারেস্ট জয় করে, তারেই এই প্রতিষ্ঠান সার্টিফিকেট দেয়। এই সার্টিফিকেটের প্রামাণ্য কপি দাখিল করতে সপ্তাখানেক টাইম লাগবে...
সজল খালেদের জন্য করুণা ছাড়া আর কিছু নাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সজল খালেদ তার ব্যক্তিগত ঝাল মেটাতেই এসব বলেছেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। কারণ, মুসা ইব্রাহীমের সাথে তিনি এবং তাঁর দলের রেষারেষি রয়েছে। এর আগে (যদ্দূর মনে পড়ে আমার, ভুল হলে ক্ষমাপ্রার্থী, মুসা নিজেই এটা বলেছেন আমাকে, যদি আমার স্মৃতি প্রতারণা না করে থাকে) চুল্লু ওয়েস্ট পর্বত বিজয় নিয়ে মিথ্যাচারের কারণে প্রতিবাদ করায় কলহের কারণে মুসা বিএমটিসি ছাড়েন। সেই বিএমটিসি কখনোই চাইবে না মুসা এই কাজটি করে ফেলুক। আর আজকে সকালে বিশ্বস্ত সূত্রে খবরটি পাওয়ার পরেই আমার মনে হয়েছিল বিএমটিসির প্রতিক্রিয়া কেমন হবে।
মুসা ইব্রাহীমের পাশে থেকে বহুদিন এভারেস্ট ইস্যু নিয়ে কাজ করেছি। লাংসিসা রী নিয়ে সজল খালেদ প্রতিক্রিয়ায় যা বলেছেন সেটাও সর্বৈব মিথ্যা। ওই অভিযানের সময় অভিযাত্রী না হলেও আমি এটার ব্যবস্থাপনা নিজে দেখেছি। দেখেছি অভিযানের সময় করা মীর শামসুল আলম বাবুর নিজের করা ভিডিও। দেখেছি ভিডিও এডিট করা নিয়ে বাবুর অহেতুক গোঁয়ার্তুমী আর ভাব মারার কারণে তাঁর সাথে আমাদের সবার ঝগড়া। যে কারণে তাঁকে আর পরে কোন অভিযানে রাখা হয় নি। কারণ লাংসিসা রী অভিযানে তিনি নিজ পকেট থেকে একটা পয়সাও ব্যয় করেননি ডকুমেন্টেশনে কন্ট্রিবিউট করবেন এই অজুহাতে। ইত্যাদি কারণে বাবুর সাথে সবার লক্ষ্যণীয় দূরত্ব তৈরী হয়। কাজেই বাবুকে যদ্দূর দেখেছি - তিনি সজল খালেদের আজাইরা উষ্মাতে হাওয়া দেবেন তাতে অবাক হবার কিছু নেই।
আশা করি ব্যাপারগুলি সবাই চিন্তা করে দেখবেন, তাহলে মুসা ইব্রাহীমের তথা পুরো বাংলাদেশের এই মহান অর্জন নিয়ে অহেতুক গু ছড়ানোর মাজেজা বুঝবেন।
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
আপনার কুৎমুলক মন্ত্যবের জন্য বলছি।
চুল্লু ওয়েস্ট পর্বতরের চুঁড়ার ১০০০ফিট নিচ থেকে ফিরে এসে সামিট করার মিথ্যা ঘোষনা দিয়েছিলেন মুসা গং এর প্রতিবাদ করায় দরুন মীর শামসুল আলম বাবুর সাথে মুসা এবং সজলের দুই জনের সাথেই দুরত্ব।
আপনি লিখেছেন লাংসিসা রী অভিযানে বাবু নিজ পকেট থেকে একটা পয়সাও ব্যয় করেননি ডকুমেন্টেশনে কন্ট্রিবিউট করবেন এই অজুহাতে
লাংসাসিরা রী অভিযানে কার পকেট থেকে কতটাকা খরচ হয়েছে ? পুরো অভিযানের টাকাইতো স্পন্সর করেছিল ডেসটিনি গ্রুপ।
উক্ত অভিযানে ব্যবহৃত অধিকাংশ ইকুইপমেন্ট মীর শামসুল আলম বাবুর ছিল। যেই স্যুট পরে মুসারা ছবির পোজ দিয়েছেন সেই স্যুটের মালিকও মীর শামসুল আলম বাবু।
মিথ্যাচার একটু বুঝে শুনে করবেন। জাতিকে বিভ্রান্ত করবেন না।
ভাই একজন কে না জেনে কেন এভাবে মিথ্যাচার করেন । বাবু ভাই সর্ম্পকে যে কথা বললেন তা পুরোপুরি মিথ্যা কথা । আর যা জেনেছি ও বুঝেছি তাতে করে মুসা ভাই সর্ম্পকে যদি কিছু বলি, তাহলে ওনার অপমান হবে। যা প্রকাশ করলে আপনার মত আমাকেও হীন মন মানসিকতার পরিচয় দিবে । মানুষকে ভাল কিছু বলতে শিখুন ও সত্য উৎঘাটন করুন ।
আমি যা বললাম তা মিথ্যা হলে সত্যটা কী?
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
ওয়েল ওয়েল, আপনার মন্তব্যের জবাব পয়েন্ট ধরেই দিচ্ছি।
১। "চুল্লু ওয়েস্ট পর্বতরের চুঁড়ার ১০০০ফিট নিচ থেকে ফিরে এসে সামিট করার মিথ্যা ঘোষনা দিয়েছিলেন মুসা গং এর প্রতিবাদ করায় দরুন মীর শামসুল আলম বাবুর সাথে মুসা এবং সজলের দুই জনের সাথেই দুরত্ব।"
চুল্লু ওয়েস্ট অভিযানের ব্যাপারে যা বললেন, সেটা হল "কমলালেবুর বীচি দিয়ে তরকারী রান্না করে খাইলাম" জাতীয় একটা মিথ্যা কথা। মুসা কখনোই চুল্লু নিয়ে কোন ঘোষণা দেননি, সেটা দিয়েছিলেন সজল খালেদ।
আর মীর শামসুল আলম বাবুর সাথে দূরত্বের জন্য আরো অনেক কারণের সাথে সাথে তাঁর নিজেকে 'ঈশ্বর' ভাবার প্রবণতাও সমানভাবে দায়ী।
২। "লাংসাসিরা রী অভিযানে কার পকেট থেকে কতটাকা খরচ হয়েছে ? পুরো অভিযানের টাকাইতো স্পন্সর করেছিল ডেসটিনি গ্রুপ।"
মিথ্যে কথা আপনিও একটু বুঝেশুনেই করুন দাদা। ডেসটিনি গ্রুপ ওই অভিযানে পুরো টাকা স্পনসর করেনি, আংশিক করেছিল। আর আপনি হয় ভুলে গেছেন অথবা জানেন না, সেই অভিযানে তৌহিদ হোসেন আর রাফেহ উদ্দীন সিরাজী নামের দু'জন নবাগত পর্বতারোহী ছিলেন। আমি তাঁদের ব্যক্তিগত অনুদান সম্পর্কে স্পষ্টভাবে জানি, কেন এই ব্যাপারটাকে গুম করে দিচ্ছেন? আর নর্থ আলপাইন ক্লাবের শুরু থেকে এ পর্যন্ত করা কোন হিমালয় অভিযানই কুসুমাস্তীর্ণ ছিলোনা, স্পনসরের অপ্রতুলতাকে ঠেকা দেয়া হয়েছে অভিযাত্রীদের ব্যক্তিগত অনুদান দিয়েই। কেন খামাখা মিথ্যে কথা বলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেন?
৩। এটা সত্য হতে পারে যে বাবুর স্যুট অভিযাত্রীদের কাজে লেগেছে, আর সেজন্যে একন সজল খালেদের পালে হাওয়া দেয়ার জন্য এটা বলতে হবে যে - লাংসিসা রী অভিযান তো সফলই হয়নি আদতে (যদিও বাবু সাহেবের স্যুট পরা ছিল সবার)। বাবু নিজেই তো ওই অভিযানের ভিডিও ডকুমেন্টেশন করলেন।
আপনার মতন করে এবার আমি একটু বলি?
মিথ্যাচার একটু বুঝে শুনে করবেন। জাতিকে বিভ্রান্ত করবেন না।
তা আপনি জনাব বাবু হলেও।
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
একটা সার্টিফিকেট দিয়ে কারো অভিযোগ কে উড়িয়ে দেয়া আর যুক্তি দিয়ে ডিফেন্ড করার মাঝে অনেক পার্থক্য আছে | অবশ্যই পরেরটা অনেক বেশি ভালো এবং মুসা ভাইয়ের কাছে থেকে আশা করছি এইসব অভিযোগ যুক্তি ও সততা দিয়ে ভুল প্রমান করবেন যাতে একজন বাংলাদেশী হিসেবে আমাদের গর্ব তা সব দিক থেকেই পরিপূর্ণ হয় |
ভাই আপনার শিক্ষাগতযোগ্যতার সনদ কি সব সময় সাথে নিয়ে ঘুরেন? গাড়ি চলার সময় অনেক সময় দেখবেন কুকুর ঘেউ ঘেউ করে পেছনে ছোটে তাই বলে গড়ি চালক কুকুরের পেছনে ধাওয়া করতে যায় না। যারা সমালোচনা করার তারা শুরু থেকেই করে আসছে নর্থ আলপাইন ক্লাব তাদের জবাব দেয়ার প্রয়োজন অনুভব করে নি। আর তাদের ক্ষমতা থাকলে তারা উঠতো আমরাতো কাউকে বাধা দেইনি। মুসা উঠেছে কি উঠে নি সেটা এখন প্রমানিত জনে জনে গিয়ে সার্টিফিকেট দেখানোর প্রয়োজন নেই। যার মানার মানবে যার মানতে ইচ্ছে না হয় মানবে না এতে কিচ্ছু এসে যায় না।
হুমম
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
আমি মুসা ইব্রাহীমের হয়ে ওকালতী করতে আসিনি, বরং নিজ চোখে একজন মানুষের একটা লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা কঠিন সব আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোকে আমি আমার কর্তব্য মনে করছি। তাঁর নিষ্ঠা, একাগ্রতা আর লেগে থাকা, হার না মানা মনোভাব আর সততার কথা - যেটা আমি নিজে দেখেছি, সেটা সবাইকে জানানো উচিত বলে মনে করছি, বিশেষত যেখানে এত বড় একটা ইস্যু নিয়ে অলরেডি স্বভাবসুলভ কাদা ছিটানো শুরু হয়ে গেছে।
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
বিপ্লবী, এখানে কেউই ওকালতির কথা বলেনি।
বাংলাদেশের কেউই সামিট করতে পারলে আমাদের খুশিই হবার কথা, কিন্তু ব্যাপারটায় এখনও বিশ্বাসযোগ্য কোন প্রমাণ নেই।
আরো মজার হলো মিঃ ঈশ্বরী পাড়োয়াল (উনি কিন্তু মেয়ে নন) এর উদ্বৃতি দিয়ে যেসব কথা বলা হচ্ছে তার সমর্থন কিন্তু ঈশ্বরী পাড়োয়াল এর ওয়েব সাইটে নেই।
উনার কোম্পানি হিমালয়ান গাইডস এর সহায়তায় ১৭ই মে'তে যারা সামিট করেছে তাদের লিস্ট ১৭ই মে তে দেয়া হয়েছে, এত বড় খবর কিন্তু এর পরে তার ওয়েবে এখনও কোন আপডেট নেই, দেখতে পারেন http://www.himalayanguides.com/news_and_events.php
আর ২৩শে মে তে যারা সামিট করেছেন (নর্থ সাউথ দুদিকেরই) তাদের লিস্ট এবং কোন কোম্পানী থেকে সহায়তা করা হয়েছে সেই লিস্ট আছে এখানে http://explorersweb.com/everest_k2/news.php?id=19383
...........................
Every Picture Tells a Story
ওকালতী কেউ বলেনি, আমিই বললাম, কারণ আমার কথাগুলো অনেকের কাছেই অহেতুক ওকালতী মনে হতে পারে।
মুসা ফেরত আসলেই সবকিছুর সত্যতা টের পাওয়া যাবে। আমার আর বলে কী লাভ যে সার্বক্ষণিক সব আপডেটই আমি পাচ্ছি!
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
ব্যাপারটা বেশ বিব্রতকর। আশাকরি সত্যটা অচিরেই বেরিয়ে আসবে।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এভারেস্ট জয় করে থাকলে অবশ্যই অভিনন্দন। তবে এনার পুর্ববর্তী অনেক দাবীর বিরুদ্ধে অনেকেই লেখালেখি করেছেন বলে শুনেছি, যেগুলো ইনি খণ্ডন করেছেন বলে শুনিনি। তাই একটু বিব্রতকর মনে হচ্ছে।
Very interesting according to The Daily Star (http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=139787)
______________________
All 26 members of the expedition including 14 Sherpas got to the summit (8,848 metres), Anik said quoting Iswari.
______________________
Fact from BBC (not everyone summited from she team) :
Sir Ranulph Fiennes has had to abandon his second attempt to reach the summit of Everest, due to exhaustion.
The 64-year-old had hoped to reach the 8,850m summit at 0330 BST and raise £3m for the Marie Curie cancer charity.
But he had to turn back after contending with heart problems and vertigo, a spokesman said.
Sir Ranulph, from Somerset, suffered a heart attack during his first unsuccessful attempt to scale the mountain in 2005.
The explorer, accompanied by guide Kenton Cool and medic Robert Casserley, set off from base camp on Tuesday.
They had reached the final stopping-off point in the ascent after negotiating the "death zone", but descended to base camp after resting.
His wife, Louise Fiennes, told BBC News Online Sir Ranulph was keen to return to the UK.
She said: "He just called me an hour ago and asked me to arrange to get him back to Kathmandu. He's desperate to get back to the UK."
The owner of the company organising Sir Ranulph's climb, Iswari Paudel, told BBC News he would be flown out by helicopter on Sunday morning.
Sir Ranulph has never conquered Everest and was making his second attempt on the peak despite suffering from vertigo and heart problems and currently being in remission from prostate cancer.
He was the first man to reach both the North Pole and the South Pole by land, ran seven marathons in seven continents in seven days shortly after heart surgery, and journeyed to discover a lost city in Arabia described as "the Atlantis of the Sands".
direct link http://news.bbc.co.uk/2/hi/uk_news/england/somerset/7418267.stm
_______________________
Besides Musa, three Montenegrins, six Britons, one American and a Serb are in the team.
______________________
Fact only two nations marked as New on Everest, Oman and Montenegro.
Sunday, 23 May 2010 14:50
Among the many recent ascents, the first Omani summited Everest today: Khalid Sulaiman Humaid Al Siyabi (36). He summit with Peak Freaks!
On the North Side the first climbers from Montenegro summited today as well. They were Nikšićani Đorđije Vujičić, Marko Blečić and Dragutin Vujović. They were accompanied by Serbian climber Dragan Čeliković.
direct link
http://www.8000ers.com/cms/
একটু বেড়াছেড়া লেগে গেল যে! সত্য বেরিয়ে আসার অপেক্ষায় আছি
সকালে ভার্সিটিতে আসার আগে খবরটা প্রথম আলোতে দেখেছিলাম।
উপরের লেখাটা পড়ে কেমন জানি লাগছে। হোক্স বানানো সোজা সেটা সবাই জানে, কিন্তু এভারেস্ট জয় নিয়ে? নিশ্চয়ি কোন উপায় আছে, যাতে বোঝা যায় আসলেই ঘটনা সত্য কিনা, নাহলে তো আমিও ঢাকায় বসে বলতে পারবো, আমি এভারেস্টে গিছলাম। আমার এ ব্যাপারে জ্ঞান সীমিত, তবু মনে হয়তেছে না এটা মিথ্যা। দেখা যাক কি হয়। আমিও এখন ব্যাপারটা নিয়ে কৌতুহলী।
আজকে ক্লাসে এসে সাব্বির স্যার একটা প্রশ্ন করেছেন। প্রশ্নটা আমারও, কোন বাঙ্গালি হিমালয় জয় করেছে মানুষের পদচিহ্ন পড়ার প্রায় ৬০ বছর পর। এত কাছে থেকেও এত সময় পরে এটা কেন?
যাই হোক,"better late than never"
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
মনে হয় আমরা এটার প্রয়োজনীয়তা বোধ করিনি এতদিন। আরেকটা জিনিস, এই এক্সিপিডিশন গুলো কিন্তু অনেক খরচের ব্যাপার, ভালো স্পন্সর ছাড়া সম্ভব নয়।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সাব্বির স্যার আমাদের ক্লাসেও এটা বলসে....
দেখি শেষমেষ কি দাঁড়ায় তবে মনে হচ্ছে এটা কিছুতেই মিথ্যা না... তাই ডিপার্টমেন্টের বড় ভাইয়াটির জন্য রইল অনেক অনেক শুভ কামনা।
''চৈত্রী''
প্রিয় ব্লগারবৃন্দ,
আমি নেপালেই থাকি এবং সারাক্ষণই খবর নিচ্ছি বিষয়টি নিয়ে।
সামু, আমু, মুক্তমনায় আমি গতকাল সকালেই খবরটি প্রচার করি। বিজয়ের এই ক্ষণে এ ধরনের অভিযোগ আমার ধরনা বাংগালীর চিরচেনা চরিত্রেরই আরেকটি প্রকাশ।
আমি ইতোমধ্যে বিভিন্ন মহলের সাথে কথা বলেছি এবং খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছি। মুসা আজ বিকালে বেজ ক্যম্প এ ফিরবে এবং তিন দিনের মধ্যে কাঠমান্ডুতে আসবে। তখন আশা করি তার সার্টিফিকেট এর কপি স্ক্যান করে শেয়ার করতে পারব।
কাজেই কনফিউজড হবার সময় এটি নয়, এখন গর্ব করার সময়।
থ্রি চিয়ার্স ফর মুসা।
এই সার্টিফিকেট আবার চুল্লু ওয়েস্টের মতো সামিট না কইরা পাওয়া সার্টিফিকেট হইব না তো ?
ঞ্যাঁঁঁঁঁঁ????
হিমালয় চূড়ায় প্রতারণার আগুন?
http://explorersweb.com/everest_k2/news.php?id=19383
http://www.himalayanguides.com/news_and_events.php#news01
এই দুই তালিকার কোনটিতে মুসার নাম নেই। গরীব দেশ বলে বাদ রাখা হয়েছে নাকি?
চুল্লু ওয়েষ্ট বিজয়ের সময় সজল খালেদের বিরূদ্ধেও অভিযোগ উঠেছিল। তিনি সামিট না করেই সামিট দাবী করে ছিলেন। অভিযোগটি করেছিলেন সম্ভবতঃ মুসা ইব্রাহীম
আবার গত বছর মুসা ইব্রাহীমের অন্নপূর্না বিজয় নিয়েও এরকম বিতর্ক আছে।
এখন আমাদের মতো আমজনতা কোনটাকে বিশ্বাস করবে? আমাদের সবকিছুতে দলাদলি। রাজনীতি, খেলাধুলা, ধর্মকর্ম, এমনকি পাহাড়ে চড়তেও কত রকমের বিভ্রান্তি।
প্রায় একই সময়ে দুজন অভিযাত্রী(মুসা ও মুহিত) হিমালয়ের উদ্দেশ্যে গেলেন, কিন্তু আলাদা আলাদা কেন? প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবের কারনে নাকি প্রতিহিংসা? পরস্পর বিরোধী যে নামগুলো শোনা যাচ্ছে সবাই একসময় একই ক্লাবে ছিলেন, একসাথে অনেক অভিযানে গিয়েছেন হিমালয়ে। কিন্তু বিভাজনটা কার স্বার্থে হলো? নাকি এখানেও আমাদের জাতীয় রাজনীতির চরিত্র প্রতিফলিত হলো? পাহাড় চড়ার মতো নির্দোষ বিষয়েও ভেজাল ঢুকিয়ে জাতিকে কোথায় পৌঁছাবো আমরা?
প্রাণখুলে আনন্দ করার আগেও গুগল সার্চ দিয়ে দেখতে হয় কাজটা ঠিক করছি কিনা!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
শেষে কিনা এ বিষয়েও বিভ্রান্তি...
-----------------------------
জানতে হলে পথেই এসো,
গৃহী হয়ে কে কবে কী পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
আমি আজকাল কাজে কর্মে খুব ব্যস্ত থাকি তাই সচলে আসাই হয়না, ফেসবুকের একটা লিঙ্ক ধরে এখানে আসলাম আজকে । আমি আশা করব মুসা ইব্রাহিমের এভারেস্ট জয়ের খবরটা সত্যি, আর যদি তা নাও হয়ে থাকে সময় মত সবই জানা যাবে । তবে পর্বতারোহনের সাথে জড়িত বিভিন্ন ব্যক্তি এবং সংগঠনের নাম দেখলাম এখানে, সবার সাথে সবার যেরকম দলাদলি গলাগলি কিলাকিলি চুলাচুলির সম্পর্ক দেখছি, তাতে একটা বিষয়ে একেবারেই নিঃসন্দেহ হতে পারি - এরা সবাই বাঙ্গালি ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
(মুছে ফেলুন)
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
বিষয়টা যদি মিথ্যা হয় তাহলে আমাদের আবেগ নিয়ে খেলা করার জন্য এদের কি শাস্তি হওয়া উচিৎ .......................... ?
Guyes dont be confused about Sajal Khaled's information. I think this type missleading article should be removed and we saw this type of attempt in previous time from Sajal Khaled.
I worked with Musa Ibrahim, In my personal opinion I think He is honest enough and will not dare to try this type of attempt to confuse the whole nation.
আসলে সব বিভ্রান্তি দূর হউক , সত্য বেরিয়ে আসুক, প্রাপ্তি যেন কলঙ্কিত না হয়ে যায়...মুসা ইব্রাহিম ফিরে আসলে সাব পরিস্কার হবে আসা করসি...
কালকে রাতেই মূসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট জয়ের খবরটা পেয়েছিলাম ফেসবুকে একজনের স্ট্যাটাসে। তারপর থেকেই বেশ উৎফুল্ল ছিলাম। এখনতো মনটা বেশ খচখচ করছে। যাই হোক আশা করি খুব শীঘ্রই আমরা সত্য জানতে পারব। আমি মনে প্রাণে চাইছি যেন খবরটা সত্য হয়।
তার্কিক
মুসা ইব্রাহিমকে ব্যাক্তিগত ভাবে চিনি। সেই হিসেবে এটুকু বলতে পারি আর যাই হোক সে প্রতারক নয়।
আর এটাও জানি তার শত্রুর সংখ্যাও কম নয়। তাই তার এভারেস্ট জয়ের খবরে এমন পানি ঘোলা করা পোস্ট আসবে ব্লগ জগতে তা আগেই বুঝতে পেরেছিলাম।
যাই হোক কিছুদিনের মধ্যেই আসল সত্য বেরিয়ে আসবে। সেই দিনের জন্য অপেক্ষা করি সবাই।
সেই সাতে মুসা ইব্রাহিমকে বিশাল অভিনন্দন জানিয়ে রাখি। কারণ আমি জানি মুসা এভারেস্ট জয় করেছে।
সাবাস মুসা ইব্রাহিম সাবাস !
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ভাল মানুষের শত্রু থাকে না।
অ/আ, ভালো মানুষ বেশি বেশি "কম্প্লাসেন্ট" বলেই হয়তো শত্রু কিংবা অপছন্দকারী মানুষ তৈরি করে চারপাশে।অবশ্য এটাও প্রশ্ন যে ভালো মানুষ যদি চরম আত্মতুষ্টিতেই ভোগে,সে আর মৌলিক বিচারে ভালোমানুষ থাকলো কোথায়? তার মানে ভালো মানুষ শব্দটা তার কিংবা ভক্তকুলের মনের একটা 'ভাবনা' (State of mind) মাত্র এবং ভালো মানুষের প্রকৃত পরাকাষ্ঠা সমাজে বিরল। মন্তব্যে মুসা ইব্রাহিম প্রসঙ্গে আপনার অবস্থান খুব পরিষ্কার বোঝা গেলো না।
হুমম...
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
১) মুসা ইব্রাহীম যদি এভারেস্ট জয় করে থাকে তাহলেও আমরা জানবো বাংলাদেশে এক দল লোক আছে ফাউল।
২)আবার মুসা ইব্রাহীম যদি এভারেস্ট জয় না করেও থাকে তাহলেও আমরা জানবো যে বাংলাদেশে একদল লোক আছে ফাউল।
তার মানে বাংলাদেশে একদল সত্যিকার ফাউল লোক আছে!! কি দারুণ আবিষ্কার!
এই পোস্টটা সজল খালেদের 'অতিথি লেখক' আকাউন্ট থেকে দেওয়া উচিৎ ছিলো।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
স্পর্শ, আপনি ভাই এইটা এতো দিনে আবিস্কার করলেন !!!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আন্তরিক প্রত্যাশা মুসা ইব্রাহীম এভারেস্ট জয় করেছে, এবং এজন্য তাঁকে অভিনন্দন। তবে শেষ পর্যন্ত যেটাই হোক, স্পর্শের মত বলতে হয় কী (নি) দারুণ আবিষ্কার!
খুব সত্যি কথা, বিরক্তিকর অবস্থা ...
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
মন্তব্যে ৫ তারা
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
!!! (অবাক)
এই রকম বড় একটি বিষয় নিয়ে প্রতারণা করার কোন যুক্তি খুঁজে পাই না , কোন বুদ্ধিমান মানুষ এই রকম কাজ করবেন না , তাই আমার ধারণা তিনি জয় করেছেন ।
_________________________________________
ৎ
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
http://beta.thehindu.com/news/international/article436908.ece
http://ptinews.com/news/665597_Bangladeshi-scribe-conquers-Mt--Everest
http://www.mid-day.com/sports/2010/may/240510-First-Bangladeshi-to-scale-Everest.htm
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সত্যিই সেলুকাস!!! কি বিচিত্র এই দেশ.................
নবীন পাঠক
shahriarsajib@gmail.com
হিসেব করলে বাঙালির বড় ধরনের আনন্দের বিষয় অনেক দিন পর পর আসে।এবারো অনেকদিন পরেই আসলো।মনে প্রাণে চাইছি ব্যাপারটা যেন সত্যি হয়!!!
আমাদের প্রধানমন্ত্রী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন
পড়ে দেখেন http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?id=127251&cid=2
...........................
Every Picture Tells a Story
শুরুতে খবরটা জানার পর বেশ ভালো লেগেছিল। কিন্তু এখন অসম্ভব বিরক্ত লাগছে। আমাদের সমস্যাটা কী?!
এরকম গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়ে কেউ প্রতারণাই বা কেন করবে, আর কেউ কেনই বা অহেতুক মিথ্যা দাবি করবে সেটাকে? খুব দুঃখজনক ব্যাপার। যাই হোক, সত্য দ্রুত বেরিয়ে আসবে, এটাই কামনা করি।
শুরুতে ঠাউরেছিলাম ,পুরো ব্যাপারটিই হয়তো একটা ভুল বোঝাবুঝি,এখন মনে হচ্ছে ডালমে কুচ কালা হ্যায়।
কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইছে কিনা ,চাইলে তার স্বার্থই বা কী ,এসব প্রশ্ন এখন চলে আসছে।চোখ কান কদিন সবার খোলা রাখতে হবে বোধহয়।
অদ্রোহ।
১.
এখন পর্যন্ত খবরের উৎস হচ্ছে কমল আরিয়াল [মুক্তিনাথ ট্র্যাভেলসের মালিক] আর মুসা ইব্রাহিমের বন্ধু অনিক খান। তাঁরা সূত্র হিসেবে উল্লেখ করছেন ঈশ্বরী পড়েলের কথা, যিনি কি না তাঁর ভাই ভোলা পড়েলের কাছ থেকে এ খবর শুনেছেন বলে অনিক খান ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন।
এদিকে এভারেস্টের মে, ২০১০ এর কোনো খবরেই মুসা ইব্রাহিম বা এম এ মুহিতের নাম ইন্টারনেটে উঠে আসেনি। প্রায় সব অভিযাত্রী দলই এখন এভারেস্টের নিচে শেষ বেইজ ক্যাম্প থেকে ব্লগে আপডেট জানায়, সামিটিয়ারদের নাম আপডেট করে। কোনোটিতেই মুসা ইব্রাহিম বা এম এ মুহিতের নাম আসেনি। বাংলাদেশের নামটিও কোথাও উচ্চারিত হয়নি।
আমি সংশয়ী, বিব্রত, কিছুটা ক্রুদ্ধ। কার ওপর, তা জানি না।
২.
আমাদের পর্বতারোহীদের পরস্পরের প্রতি অভিযোগের যে রীতি দেখলাম মুসা ইব্রাহিম, সজল খালেদ আর মুনতাসির মামুন ইমরানের লেখায়, তাতে একটা কথা স্পষ্ট, সম্ভবত এভারেস্ট জয়ের যোগ্যতা এখনও বাংলাদেশের পর্বতারোহীরা অর্জন করে উঠতে পারেননি। পাহাড় জয় করার আগে নিজেকে জয় করতে হয়। একটা তেরো বছরের ছেলে যখন পেরেছে, অবশ্যই কেউ না কেউ বাংলাদেশ থেকে গিয়ে এভারেস্টের আগায় উঠে পতাকা গাড়বেন, কিন্তু তিনি হবেন এমন এক ব্যক্তি যিনি নিজেকে জয় করে নিয়ে তারপরে হিমালয়ের গায়ে পা রাখবেন। একটি প্রশ্ন, একটি তর্জনী, একটি অভিযোগও উত্থাপিত হতে পারবে না সে বিজয়ে। এভারেস্টের প্রথম বিজয়ের পর তো ৫৭ বছর কেটে গেছে, প্রয়োজনে আরো ৫৭ বছর কাটুক।
৩.
সজল খালেদ, এম এ মুহিত, নূর মোহাম্মদ আর মুসা ইব্রাহিম একসঙ্গে চুল্লু ওয়েস্টে গিয়েছিলেন। এর শীর্ষজয় নিয়ে সজল খালেদ আর মুসা ইব্রাহিম পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন পত্রিকা ও ব্লগে। আমরা কার কথা বিশ্বাস করবো? মুসা ইব্রাহিম লিখেছেন, শীর্ষ জয় না করেও খালেদ, মুহিত, মোহাম্মদ ও ইব্রাহিম চারজনই সনদপত্র পেয়েছেন। আজ যে সনদপত্র নিয়ে ইব্রাহিম সমতলে নেমে আসবেন, সেটির গ্রহণযোগ্যতাকে তিনিই তাঁর ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগে প্রশ্নবিদ্ধ করে রেখে গেছেন।
আমি সামান্য ট্রেকিঙের অভিজ্ঞতা সম্বল করে বলছি, আপনারা নিজেদের মধ্যে এই ব্যক্তিত্বের সংঘাতকে আগে জয় করুন, তারপর পাহাড় জয় করতে যান। যে পাহাড়ে একত্রে চড়তে গিয়ে বিভক্ত হয়ে আপনারা ফিরে আসেন, সে পাহাড়কে জয়ের আগে আপনাদের অনেকদূর যেতে হবে। তা না করলে আপনারা আমাদের জন্যে লজ্জাই বয়ে আনবেন, গৌরব নয়।
এখন থেকে বাংলাদেশের কেউ এভারেস্টে যাওয়ার আগে সরকারী একটা প্রতিনিধি দল সঙ্গে পাঠাতে হবে সরকারী খরচে। এমপিগুলা বিদেশে যাওনের জন্য ছটফট করে, তাদের দেওয়া যায়। তারা এসে সত্য মিথ্যা বলবে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
তাহলে নজমুল হুদাই হয়তো বাংলাদেশের প্রথম এভারেস্ট জয়ী হতে পারতো
- এক কাম করি ল। তুই আর আমি রওনা দেই এভারেস্ট অভিমুখে, আল্লা ভরসা। হেরপর কিলাকিলি, গুতাগুতি, ঠেলাঠেলি করে জো জিতা ওহি সিকান্দার। মানে একেবারে চূড়ায় উইঠা বাংলাদেশের পতাকার পাশে খাড়ায়া দাঁত কেলায়া ফটুক তোলার সময় প্রিয় দোস্তের আত্মাহুতিতে পাঞ্জাবির খুট তুইলা একটু চোখটা মুছলাম নাহয়!
নিচে পাড়াপাড়ি কৈরা লাভ কী? করলে একেবারে চূড়ায় গিয়াই করা উচিৎ। জোর যার সাট্টিফিকেট তার। ভেজাল শেষ।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমাদের দেশে ভূয়া ডাক্তার, ভূয়া ইঞ্জিনিয়ার, ভূয়া মেজর (কেন যেন মেজর র্যাংকটারই ভূয়া সবচেয়ে বেশি হয়), ভূয়া র্যাব সবই আছে। পর্বতে উঠার সার্টিফিকেট ভূয়া করা যায় এটাও জানলাম।
এভারেস্ট জয় নিয়ে শুরুতে আনন্দ লাগলেও এখন সেটা বিরক্তিতে রূপ নিয়েছে।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
২ নাম্বার পয়েন্টটা প্রথম আলো-প্রথম আলো ঠেকলো। আপনিও কি এভারেস্ট রওনা দিচ্ছেন নাকি?
মন্তব্যে উত্তম জাঝা
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
এই ব্যাপারটায় প্রতারণা করে পার পাওয়া কঠিন হবে।
সামিটের ছবি নিশ্চয়ই থাকবে। এছাড়া বিভিন্ন ক্যাম্পের নোটবুক অথবা জিপিএস রেকর্ড।
মুস্তাফিজ ভাই এখানে একজন বার্তা সম্পাদকের মত একটা নিউজ ব্রেক করেছেন। কিন্তু সজল খালেদের এই সংশয় উদ্দীপক খবর যদি ভুল হয়, আমরা কিন্তু আমাদের মুস্তাফিজ ভাইকেই ধরব। এই মুহূর্তে সচলায়তনে মুসা সম্পর্কে দুটো পোস্ট। দুইরকম। সনাতন ধারার মিডিয়ার মত। অনেক সময় বার্তা সম্পাদকদের অকুস্থলে যেতে হয়। সম্ভব হলে ঘুরে আসুন কাঠমান্ডু। কারণ ব্লগকে সবে পাঠকেরা বন্ধু ভাবতে শুরু করেছে। মুসাকে অভিনন্দন তার জীবনের সমান সাফল্যে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
এখানে একটু দ্বিমত জানাতে চাই।
খবরটা ভুল হলে (মনে প্রাণে চাইছি যেন সেটা হয়) আমরা কেন মুস্তাফিজ ভাইকে ধরবো ? উনি কিংবা মন্তব্যের ঘরে কেউই মুসার হিমালয় বিজয়কে অস্বীকার করেন নি। বরং সজল খালেদের সংশয়ে কিছুটা সংশয়গ্রস্ত হয়েছেন।
আর টু বি ভেরি হনেস্ট, আমি ব্যক্তিগতভাবে মুসা ইব্রাহিম কিংবা সজল খালেদ- কাউকেই চিনি না, তবু আমার কাছে সজল খালেদের দেওয়া যুক্তিগুলি একদম হাস্যকর, উড়িয়ে দেওয়ার মতো মনে হয় নি। বিশেষত যে সাইটগুলি তে অফিশিয়ালি নাম ঘোষণা করে, সেখানেও নাম না থাকার ব্যাপারটা। আমার মনে হয় এ ব্যাপারে উপরে হিমু ভাইয়ের করা মন্তব্যই আসল কথা বলে দিয়েছে।
শেষ করার আগে আরো একবার মূল কথাটাই বলি, আমরা সবাই চাইছি মুসা যেন সব সংশয়কে ভুল প্রমাণ করেন। তাঁর শীর্ষে আহরণের সংবাদে সংশয়ের কারণে আমরা আমোদিত, এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই, সংশয়ের খবরটা প্রকাশ করার কারণে কাউকে দোষারোপ করারও সুযোগ নেই।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আমি মুস্তাফিজ ভাইকে আমার মতামত জানিয়েছি , কারণ মুসা এবং সজলকে আমরা দুজনেই পছন্দ করি। কারণ ওরা দুজনেই ভাল কাজ করে। মুস্তাফিজ ভাইকে দোষ দেবার কিছু নেই। সজল আরেকজন এভারেস্টবিদ, তার বক্তব্য ছাপা যেতেই পারে। কিন্তু প্রসংগটাই কেমন তেতো হয়ে গেল।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
কাল সারাদিন পরে যখন ল্যাপটপ ওপেন করি, তখন এই ঘটনা নিয়ে আমাদের প্রাথমিক উচ্ছ্বাস-পর্ব শেষ হয়ে সন্দেহ-পর্ব আরম্ভ হয়েছে। আমি যেহেতু তখন মাত্র খবরটা পেলাম, তাই সন্দেহকে সরিয়ে রেখে আনন্দটাকেই গ্রহণ করলাম, মধ্যরাতে খুশীতে একটু লাফালাফি করলাম।
আজকেও দেখি খবরের সত্যতা নিশ্চিত হয়নি। সিসি ব্লগে এর আগেও মাউন্টেরিয়ানদের লেখা পড়েছি, সেখানেও নতুন কিছু পেলাম না। প্রথম আলো থেকে প্রতিনিধি গিয়েছে নেপালে, সঠিক খবরের জন্য।
যাই হোক, আমি ব্যাপারটাকে এভাবে দেখতে চাই।
১) এটা সঠিক খবর হলে কোন সমস্যা নেই, পুরা বাংলাদেশ আনন্দের সাগরে ভাসবে।
২) এটা ভুল খবর হলেও আমি মুসা ইব্রাহীমকে অভিনন্দন জানাবো বাংলাদেশীদের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় উঠার জন্য।
৩) এটা ভুল খবর হলে আমার মনে হয় না এর জন্য মুসা ইব্রাহীম ব্যক্তিগতভাবে দায়ী। সে কোন রাজনীতিবিদ না যে এত বড় একটা ঘটনা নিয়ে হোক্স করবে বা মানুষকে মিথ্যা বলবে। হয়তবা কোন একটা খবর কোথাও ভুল ভাবে প্রচার হয়েছে বা কেউ ভুল ইন্টারপ্রিটেশন করেছে। প্রথম আলো/ডেইলী স্টার কোন কিছু যাচাই না করেই অতি উৎসাহে ব্রেকিং নিউজ হিসাবে সেটা ছাপিয়ে দিয়েছে। একটা সংবাদ শুধুমাত্র ফোনকলের উপর ভিত্তি করে প্রকাশ করা মনে হয় না সঠিক সাংবাদিকতার পন্থা।
-লাবণ্য-
অবস্থা এমনই বিব্রতকর যে মন্তব্য কি করবো বুঝে উঠতে পারি না । আপনার এই মন্তব্য দেখে চুপ থাকা সম্ভব হলো না ।
এক ধরনের অরাজনৈতিক সুশীল আছে আমাগো দেশে । এরা যেকোন মূল্যে জিনিসপাতির দোষ রাজনীতির ও সেইটা যারা করে তাদের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করে । মানুষজনের মুখ বন্ধ করা গেলে তাদের সুবিধে হয় খুব । আপনি ঠিক এদের রাস্তাটাই ধরলেন । আপনার উপরের এই মন্তব্য দেখে মনে হচ্ছে রাজনীতিবিদ হলেই শুধুমাত্র হোক্স বা মানুষকে মিথ্যা বলা দস্তুর হয় । বাকিরা সবাই ফেরেশতা । দয়া করে এরকম লঘু মন্তব্য থেকে বিরত থাকুন ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আমার মন্তব্য লঘু হয়ে থাকলে আমি দুঃখিত। রাজনীতিকে ভালোবেসে জীবন দেয়া একজনের পরিবারের সদস্য আমি, হয়তবা আমার এ কথা বলা উচিৎ ছিল না। কিন্তু রাজনীতিবিদদের মিথ্যা কথা বলা, মিথ্যা প্রতিশ্রুতির বহর দেখে বীতশ্রদ্ধ আমি। আমরা বাকী সব অরাজনৈতিক সুশীলরা হয়তবা ফেরেশতা না, তবে আমার মনে হয় সদিচ্ছা থাকলে একজন রাজনীতিবিদের কোন কিছু করার ক্ষমতা অন্যদের চেয়ে বেশী।
যাই হোক, ভবিষ্যতে আরও সাবধান থাকব মন্তব্য প্রকাশে।
-লাবণ্য-
সজল আ্মি জানি তুমিও চাইলে হিমালয় ছুঁতে পারতে, কিন্তু তুমি একাত্তুরের শব্দসেনা বানিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা ছুঁয়েছো। কোন দরকার ছিলো এটা করার। মুসা কিন্তু পাহাড়ের শেষ দেখে ছেড়েছে। তুমি মন দিয়ে কাজলের দিন রাত্রি বানাও। আর যদি মনে কর এটা প্রমাণ করতে হবে সতয় প্রকাশের জন্য তাহলে মুস্তাফিজ ভাইকে নিয়ে কাঠমান্ডু যাও। একটা ডকু-রিপোর্ট বানাও।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
এভারেস্ট এ আমরা এবং আবার সেই বিগ মেইবি!
পর্বতারোহনের সাথে মনে হয় মেইবি আটকে আছে সেই আদ্দিকাল থেকে আর এভারেস্ট এর বেলায় ব্যপারটা আরও সত্য। কে আগে প্রথম
আরোহন করেছেন এর দ্বিমত তৃমত, সবই এখন সবার জানা। মেলরি আরভিন তত্ত্ব আর হিলারী তেনজিং এর ঐতিহাসিক বিজয়কে খাট না করলেও লেখা পড়ার শেষ এখনই হয়নি। অনেকের মতে আরভিন মেলরি ই এভারেস্টের প্রথম আরোহনকারী। তবে কি হিলারী তেনজিং কেউ হেয় করল? তা তো কোথাও দেখা যাচ্ছে না। সফল আরহনের এত পড়ে এসেও কেন মানুষ (কিছু মানুষ) আজও এই সত্যটিকে মেনে নিতে পারেন না সরল রেখার মত। কেন? কারনও আছে, এভারেস্ট অভিযানের শুরু দিকের ঘটনা গুলো আসলেও ক্লাসিক। কেনই বা ক্লাসিক হবে না। সেই উনিশ শতকের শুরুও দিকের অভিযান গুলো একাধারে অভিযাত্রিক মনোভানের চরম প্রকাশ, উপনিবেশিক সম্রাজ্যের পরিধি মাপা আর রাজনৈতিক ভাবে পৃষ্টপোশকতা মূলক অভিযানগুলোতে অভিযাত্রীদেও মধ্যে অনেকেই ছিল বেশ পরিচিত। সেই অতি পরিচিতের মধ্যে মেলরির নাম মনে হয় সবচেয়ে প্রচলিত। তার অভিযানের দ্বিব্য, জ্ঞান, প্রজ্ঞা সব মিলিয়ে তার অদম্য মানসিকতার যে প্রকাশ উনিশ শতকের প্রথম দশ বছরেই তার তিন তিনটি এভারেস্ট অভিযান তাকে কি দিয়েছে? অভিযাত্রিক বৈভব ছাড়া আর কিছু কি? পর পর দুটি অভিযানে আরোহন করতে না পারার পরও কেন তাকে তৃতীয় অভিযানে নেয়া হল? আর তৃতীয় অভিযানে আনারি আরভিনের সাথে এভারেস্ট শিখরের কাছ থেকে উধাও হবার ৮০ বছরও পরও মানুষ তার সেই অভিযানকেই সফল আরোহন বলে বিশ্বাস করছে ইদানিং। এমনি? না মনে হয়।
পর্বতারোহন বা শির্ষারোহন এখনও অবদি পৃথিবীর কোনও দেশে স্পোটস্ বলে গন্য নয়। তবে এর ব্যপকতা, প্রসারতা এতটাই যে এটা একটা দর্শনের পর্যায়ে পড়ে গছে সেই অনেক আগে থেকেই। যেখানের সবচেয়ে বড় বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে নিজের সাথে নিজের লড়াই। কোন দর্শক নেই, পিঠ ঠেলার লোক নেই, শুধুই আত্ন কেন্দ্রিক এক অবাক বিশ্বাসের নামই আসলে পর্বতারোহন। আর মেলরির এভারেস্ট জয়ের এই মতবাদটি অল্টারনেটিভ মুভির মত না, যে আমি একটু আলাদা তাই প্রচলিত সত্যকে বিশ্বাস করিনা। সত্যটা হলো এই, মেলরির আরোহন জ্ঞান এবং মানসিকতার জন্যই মনে হয় একদল মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করেন, তিনিই প্রথম। কেননা এভারেস্ট শিখরের এত কাছে গিয়ে তার মত কারও মওে যাওয়াও সম্ভব নয়। এটা একান- বিশ্বাস। ইতিহাসের সূচনা শুরু এই ১৯২৪ এর ৮ই জুনে তার তৃতীয় অভিযানে। ২৬,৮০০ ফুটের ৬নং শিবির থেকে ম্যালরী এবং আরভিন রওনা হলেন সামিটের দিকে। ওডেল তাদের সাহায্য করার জন্য উঠে আসছিলেন ৬নং ক্যাম্পে। ২৬,০০০ ফুটে পৌছানর পর হঠাৎই মেঘ সরে গেল। ওডেল শিখর পর্যন- সমস' পথ পরিস্কার দেখতে পেলেন। তিনি আবিস্কার করলেন অনেক দূরের দুটি কালো বিন্দুকে। দ্বিতীয় এগিয়ে এলেন প্রথম বিন্দুর কাছে। তারপর প্রথম বিন্দু উঠে গেলেন উপরের রক ব্যান্ডের উপর। তিনি ঠিকই বুঝতে পারলেন এ বরফ সাগরে এ বিন্দু দুটি ম্যালরী এবং আরভিন ছাড়া আর কেই নয়। তখন বেলা ১২টা ৫০। এরপর আবার সবকিছু মেঘের আড়ালে। বেলা ২টায় ওডেল পৌছে গেলেন ৬নং ক্যাম্পে। তখন বরফ পরা শুরু হয়ে গেছে। ঘন্টা দুয়েক পরে তাও থেমে গেল। আবার সুর্য কিরন। ঝলমলে এভাওেষে্টর শিখর। ওডেল তন্নতন্ন করে খুজলেন তাদের, কিন' কোথায় তারা ? এরপর তিনি নেমে এলেন নর্থকলে ৬নং শিবির ছেড়ে। হ্যাজার্ড সাহেব তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন সেখানে। ৮ই জুন কি হয়েছিল বিশ্ববাসী কোন দিন আর জানতে পারলনা।
ম্যালরী- আরভিনকে শিখরের খুব কাছাকাছি দেখা গিয়েছিল শেষবার। কিন' তারা শিখর জয় করতে পেরেছিলেন কিনা তা আজও পর্বতারোহন ইতিহাসের অন্যতম রহস্য। অনেকের মতে অবশ্য ম্যালরীই প্রথম ব্যক্তি যিনি শিখর আরোহন করেছিলেন। সে সময় তারমত হিমালয় অভিযানে অভিজ্ঞ পর্বতারোহী আর কেই ছিল বলে মনে হয় না। আর শিখরের এতকাছে থেকে সফল না হয়ে ফিওে আসার মত ব্যক্তি তিনি কখনও ছিলেন না। তার পক্ষে শক্ত ধারনা পোষন করেন পর্বতারোহনের পুরোধা পুরুষ ইটালীয় রে ইনহোল্ড মেসনার। আর পেট এ্যমেন্ট তো তার Ten Keys to climb Everest বইতে সরাসরি হিলারীকে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এনিয়ে মতভেদের শেষ নেই। কেননা বীরত্ব কথা বলার জন্য ম্যালরী কিংবা আরভিন আর কোন দিন নিচে নেমে আসেননি। দীর্ঘ ৭৫ বছর পর ১৯৯৯ সালের ২রা মে ম্যালরী- আরভিন রিসার্চ এক্সপিডিসনের দলনেত এরিক সাইমনসের মারফৎ পৃথিবীর মানুষ জানতে পারল যে আগের দিন বেলা একটা নাগাদ তার দলের ৫ জন সদস্য পর্বতারোহনের ইতিহাসে এক বিস্ময়কর আবিস্কার করে ফেলেছেন। তারা নর্থফেসে ২৭,০০০ ফুটা উচ্চতায় জর্জ ম্যালরীর মৃতদেহ আবিস্কার করতে সক্ষম হয়েছেন এবং সেখানেই তাকে সমাধিস' করেছেন। ম্যালরী আর আরভিনের ঘটনার পর তৃতীয় অভিযানের পরিসমাপ্তি হল। পরপর দুটি বির্তকিত ঘটনায় দালাই লামাকে এতটা বিরক্ত করল যে পরের আট বছর আর তিব্বতের উপর দিয়ে কোন অভিযান সংগঠিত হতে পারেনি।
এই বিশ্বাসে পেরেক ঠুকেছে খোদ ১৯৫৩ এ সফল ব্রিটিশ অভিযান নিজেই। ঘটনা বহুল এই অভিযানে দ্বীপবাসী হিলারীর অনর্-ভুক্তি, তেনজিংকে দলে নেয়া, তাকে আরোহনের সুযোগ দেয়া থেকে শুরু করে আরোহন পূর্ব এবং পরবর্তী আনুসাঙ্কিক অনেক ঘটনা প্রবাহ এক দল মানুষকে একটি প্রচলিত সত্যের বাইরেও চিন-া করতে শিখিয়েছে। মূলত, ১৯৫২ সালের সুইস আরোহনের মাধ্যমেই চিরকালের কুলি শেরপারা আরোহী হিসেবে স্বীকৃতি পায় এবং যার ফলস্রুতিতে তার পর্বতারোহনের কৌশল এতটাই চমক প্রদ ছিল যে ১৯৫২ সালের সুইসদেও সে অভিযানে তেনজিং ছিলেন প্রথম বারের মত পুরোমর্যাদার পর্বতারোহী। এর আগে শুধুই কুলি, আর সাহেবদের কঠিন পথে পার করে দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া। সুইস ক্লাইম্বার ল্যাম্বার্টের সাথে গড়ে উঠল তার দারুন সখ্যতা। আর এই সখ্যতা থেকেই ক্লাইম্বিং পার্টনার। যার ফল হিসেবে সাউথকলের ৮,৫৯৫ মিটারে। সামিট আর মাত্র কিছুদূর। বাধ সাধল আবহাওয়া আর অক্সিজেন এর যন'পাতি। ফিরে আসতে হল। এভারেষ্ট মানুষ তেনজিং বইয়ে তেনজিং এর কাছ থেকেই শোনা যায়- ” আর এ অভিযানে (১৯৫২ সুইস) আমার সর্বশ্রেষ্ট পাওয়া ল্যাম্বার্ট, আমার মহান বন্ধু ল্যাম্বার্ট।” ( জেমস র্যা মজে উলম্যন,এভারেষ্ট মানুষ তেনজিং, ১২২)।
১৯৫২ সালে সুইসদের অভিযানে সাফল্য প্রায় করায়ত্ত হলেও প্রকৃত সাফল্য আসে পরের বছর। ১৯২১ সালে যে সাধনা শুরু হয়েছিল দীর্ঘ ৩২ বছর পরে পাওয়া গেল সেই সাধনার সুফল। এটাকে সাধনা না বলা বোধ হয় ভুলই হবে। কেননা পাহাড় আর প্রকৃতির সাথে কতকগুলি মানুষের শুধুমাত্র মরণপ সংগ্রামই নয়, সাফল্য এসেছিল তাদের অসীম ধৈর্য্য, অপার সহিষ্ণুতা আর অদম্য ইচ্ছাশক্তির হাত ধরে। সাধনা ছাড়া সে সিদ্ধি লাভ কি সম্ভব?
১৯৫৩ সালে ব্রিটিশদের এভারেষ্ট অভিযান সফল হওয়ার জন্য আগের বছর সাফল্যের মুখ থেকে ফিরে আনা সুইসদেও অভিনন্দনের জবাবে দলনেতা জন হান্ট বলেন - এই সাফল্যের অর্ধেক সুইসদের প্রাপ্র..। কথাটায় সৌজন্য থাকলেও সততা শতভাগ। ১৯৫০ সালে প্রখ্যাত আমেরিকান পর্বতারোহী চার্লস হাউষ্টন এর উদ্যোগে একটি দল প্রথম বিদেশি হিসেবে নেপালের ভিতর দিয়ে এভারেষ্টের দিকে অগ্রসর হয়।মূল উদ্দেশ্য ছিল দক্ষিন দিক দিয়ে আরোহনের সম্ভাব্যতা যাচাই করা। এই দলে ছিলেন বিখ্যাত পর্বতারোহী বিল টিলম্যান। ফিরে এসে তিনি অভিমত যানান এপথে এভারেষ্ট আরোহন সম্ভব নয়। লো-লা (লো-লা পাস) থেকে কুম্ভু হিমবাহ দেখে ম্যালরীও একই ধারনা পোষন করেছিলেন। ১৯৫০ সালে এরিক শিপটনের নেতৃত্বে ব্রিটিশদের আরেকটি অনসন্ধান অভিযান হয়, যেটি দক্ষিন পথের সবচেয়ে বড় বাধা কুম্ভু আইসফল অতিক্রম করে প্রায় ওয়েষ্টার্ন ক্যুম
দেশে ফিরে এসে শিপটন The Times পত্রিকায় লিখেছিলেন- “…..a practicable route exists from the western CWM to the Summit of Mt. Everest.” ১৯৫২ সালে ব্রিটিশরা আরোহনের অনুমতি পায়নি, কেননা সুইসরা আগে থেকেই অনুমতি নিয়ে রেখেছিল।ব্রিটিশরা শেষ মেষ চেয়েছিল যৌথ ভাবে অভিযান পরিচালনা করতে, সুইসরা রাজিও ছিল। কিন' বাদ সাধল নেতৃত্ব। এপ্রিলের কুড়ি তারিখে কুম্ভু হিমবাহের মুখে বেস ক্যাম্প এবং পরে মাধ্যবর্তী আরও দুটি ক্যাম্প স'াপন করেন। এপথের দ্বিতীয় বড় বাধা হলো প্রায় ২০ ফুটের মত ক্রিভাস। সেটা সফল ভাবে অতিক্রম করে তৃতীয় এবং চতুর্থ শিবির এবং জেনিভা স্পার হয়ে সাউথকলে ৬নং ক্যাম্প স'াপন করেন। এরপর ল্যাম্বার্ট এবং তেনজিং ২৮,৮১৫ ফুট পর্যন- আরোহন করতে পেরেছিলেন। শিখরের মাত্র ২৮ ফুট নিচ থেকে তাদের নেমে আসতে হয়েছিল। ব্রিটিশরা আগে থেকেই ১৯৫৩ সালের অভিযানের অনুমতি নিয়ে রেখেছিল। তাই সুইসরা তড়িঘড়ি করে কয়েকমাস পরেই আরেকটি অভিযান করেন, সেপ্টেম্বর মাসে। এ অভিযানটি মোটেও সফল ছিলনা। গতবার তারা যে পর্যন- উঠতে পেরে ছিলেন এবার তাও পারলেন না।
সুইসদের এই দুটি অভিযানকে কাজে লাগিয়ে ছিলেন ব্রিটিশরা। ৫৩’এর অভিযানের নেতা হওয়ার কথা এরিক শিপটন সাহেবের। কিন' শেষ পর্যন- জন হান্টকে নেতা নির্বাচন করা হল।
হিলারী সাহেবে অভিযানটা রাজনৈতিক ভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ন ছিল। কেননা সে বছর ১৯৫৩ রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের কর্নেসনের বছর আর প্রথমবারের মতো রানী যাবেন অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডে। তাই রানীকে উপহার হিসেবে এভারেস্টের চেয়ে বড় আর কি দেয়া যেতে পাওে - এ বিষয়ক একটি তত্বও প্রচলিত আছে।
মেলরীর আরোহনের বিজয় সূচক মতবাদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে এটাই এখন প্রমানিত। আর ইতিহাস আবার প্রশ্নের সম্মুখীন হয়, তবে কে ছিলেন প্রথম ব্যক্তি ? খুবই নিচু মনের পরিচয় দিয়ে বড় বড় শিরনামে এ প্রশ্নটাই বড় হয়ে পরে পত্রিকা গুলোতে। হিলারী তখন মহানায়ক। নিউজিল্যান্ডের মৌমাছি পালক থেকে স্যার উপাধি লাভ, একে বারে কম নয়। তাই ফিরে এসে তাকে উদ্ধার্যপূর্ন গলায় বলতে শোনা যায় - We knock the bastard off সভ্য বিলেতি সমাজে কথাটুকু বাহবা কুড়ালেও এর পরিনাম বেশ খারাপই ছিল। তা আমরা তার পরবর্তী কালের এভারেষ্ট অভিযান থেকেই দেখতে পাই। মাত্র ১৬০০০ ফুটে তিনি পালমোনারী ইডিমায় আক্রান- হন। এখানেই শেষ, আর উচ্চতা নয়। আবার সেই একই কথা সত্যি প্রমানিত হয় In a showdown, mountain always wins মেলরী মতবাদের এটাও একটা ধ্রুব তারা।
এত কথা বলার কারন হলো, মুসা সাহেবের পর্বতারোহন কে কেন্দ্র করে যে ধুম্রজাল তৈরি হয়েছে তার কারনই বা কি হতে পারে। গত ২৩ মে’র ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সারা পৃথিবীর বাংলাদেশী সমাজের মাঝে একটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। যেখানে তার আরোহনের সংবাদকে কেউ ভুয়া বলছেন না, কিন' ঠিক মেনেও নিতে পারছেন না। তার কারনি মেলরির মত দৃধ চিত্ত মানসিকতার অভাব, নাকি পূর্ব অভিজ্ঞতাই তার জন্য দায়ী?
পর্বতারোহনের সূচনা বাংলাদেশে বেশি দিনে নয়। অনেকে অনেক গল্প বলবে এবং শুনাবে তবে আক্ষরিক অর্থে পর্বতও যে আরোহন করা যেতে পারে এমন একটি বাস-বিক ভাব ধারার সূচনা ঘটে ২০০০ সালের দিক থেকে। আর ২০০৩ সালে এসে আমাদের মাঝে যে পোকাটি আটকে থাকে তা হলো এভারেস্ট। সেই বছরের গোড়ার দিকে জনাব ইনাম আল হক বিশাল এক প্রেস কন্ফারেন্স এর মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে প্রকাশ করেন আমাদের নাম, যাতে ছিলেন সম্পা, রিফাত, মুসা, মুহিত, এনাম তালুকদার, বাবু, সজল, মিলন এবং আমি নিজে।
এর পর সবচেয়ে বড় অভিযানটিতে আমি ছাড়া সবাই অংশগ্রহন করেন বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং এন্ড ট্রেকিং নামের সংগঠন থেকে। প্রথম অভিযানের অসফলতার দায়ভার কেই নেইনি। কেন অসফল হল তা নিয়ে আলোচনাও হয়নি। আমাদেও পর্বতারেহনের জন্য যার দরকার ছিল সবচেয়ে বেশি। মনে হয় তার ফলস্রুতিতে এর পরের বছর গুলোতে যত অভিযানই হয়েছে সবই হয়েছে সফল এবং তার মিডিয়ার কল্যানে। এমন প্রায় ১০টিরও বেশি অভিযানের নাম এবং আসল সত্য অভিযানের পরে বের হয়ে আসলেও তত দিনে মিডিয়ার কল্যানে তা প্রতিষ্টিত সত্য। পর্বতারোহনে বিজয় হলো নিজের কাছে নিজের। শিখরের আহোরনই যদি সব হতো তবে পর্বতারোহন এতটা জনপ্রিয় হতো না কোন দিন। কিন' তা বোদ করি হয়নি। তাই অসফল অভিযানের অভিযাত্রীর নামের মধ্যে সবার নামই আছে যারা আজ পাহাড়ে যান বা যান না।
স্পন্সর আর মিডিয়া নির্ভর এই মহান জীবনদর্শনের ইতি হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে যখন আরোহন না করে নেপালের চুলু ওয়েস্ট পর্বতাভিযানকে মিডিয়াতে সফল ভাবে প্রচার করা হলো তখন আর কিছু বলার থাকলনা। তবে সত্য বেড়িয়ে আসতে বেশি দিন লাগেনি। আরোহিদেও নিজের গন্ডগলের মধ্যেই বেড়িয়ে পরল সব। শৃঙ্গ জয় না করে মিডিয়া সামিট করলেন আমাদেও আরোহিরা।
এভাবে একে একে অনেক পর্বতের নাম বলা যায় যার অনেক গুলোতেই ছিলেন অনেকে। মিডিয়া কর্মী এবং কল্যানে তার বেশ কিছু অসফল অভিযানের ফলাফল হয়েছে সফল। এখানেও মূলত তার অভিযাত্রীক বন্ধুরাই দায়ী। কেন জানি একটা ঘাপলা লাগতই আসার পর। মুসা সাহেবে শেষ অভিযানে ষাট উর্দ্ধ ধ্রুব জ্যোতি ঘোষের বক্তব্যও ছিল খুবই নিধারুন। যা বলে মুসা সাহেব তাকে নিয়ে গিয়েছিলেন তার কোনটাই বাস-বিক রূপ নেয়নি নেপালে এটা তারই কথা।
আর যার কাল হয়ে দাড়াল এমনই এক সময় যা খোদ এভারেস্ট নিয়ে। তবে কি তার পূর্ব অভিযানের গল্প গুলোর জন্যই একদল মানুষ ব্যপারটা বিশ্বাস করতে পারছেন না, না লেগ পুলিং?
একটি জাতীয় দৈনিক যেভাবে খবরটা প্রকাশ করেছে তাকে সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন কারতেও সাহস লাগে। শেষ কবে এতো বড় লিড নিউজ আমরা দেখেছি তা বলা কঠিন। এটাও কি একটা কারন ওনলাইন বাংলাদেশিদেও কাছে? কেননা প্রতিবার ফলাও করে প্রচার করা অভিযানের খবর গুলো প্রকাশিত হওয়া এই দৈনিকে অসফলতার ঘটনা গুলো কোনও দিন ও প্রকাশ পায়নি।
এমনকি অন্নপূর্না ৪ অভিযান নিয়ে যে বিশাল ফাকের তৈরি হয়েছিল তার উপর একটি লেখাও আসেনি পত্রিকাটিতে। একই ভাবে মুসা সাহেব যে কাগজে কাজ করেন তারও তাদের ওয়েব সাইটে অসংলঘ্নতা মূলক মতামতটি স'ান দিয়েছে কিন' অন্যরা তা করেনি। এত অল্প সময়ে একটি পর্বত আরোহন করা যেতেই পারে তবে কি ভাবে, এটা জানতে যাওয়াটা পাপ নয়, বরং তাদেও কৃতিত্বকে বাড়িয়ে দেয়া। সেই প্রশ্নটি ছিল এমন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে কত কম সময়ে আপনি যেতে পারেন? যদি প্লেনেও যান তো ৩০ মিনিট লাগবে। যদি আপনি দাবি করেন আপনি ১০ মিনিটে গেছেন তো খুব ভাল। এভাবেই ১৬ দিনের ক্লাইবিং ৪ দিনে কি ভাবে হয়?তবে কিভাবে? এটা কেউ বলেননি বা কোন পত্রিকাতেও আসেনি। কেন?
প্রতি বারের মত দুদিন পরপর খবরের কাগজে আপডেট আসেনি এই বারের এভারেস্টের অভিযানের। যদি ফলাও ভাবে প্রকাশ করা পত্রিকাটিতে এভাবে বলা হয়েছে যে তারা মুসা সাহেবের অভিযানের পৃষ্ট পোষক তবে ৮ এপ্রিল সহ ২২ মে পর্যন- একটা খবরও কেন প্রকাশ করতে পারেনি উনি কোথায় আছেন। এমনটা ভাব প্রকাশ করেছেন অনেকেই যে এটা একটা মিডিয়া সামিট। এখন আর পিছু হটার পথ নেই। যদি তাই না হয় তো মুসা সাহেব যে কাগজে কাজ করেন তারা উচ্চবাচ্চ করছেন না কেন? এটা আমার প্রশ্ন নয়। যেহেতু আমি পাত্র পাত্রিদেও সবাইকে জানি তাই আমি বেশ প্রশ্ন বদ্ধ।
বাংলাদেশ থেকে যাওয়া আরেক জন পর্বতারোহী মুহিত গতমাস থেকে নর্থ ফেস বেস ক্যাম্প এ অবস'ান করছেন তার খবরও কোন পত্রিকায় আসছে না। আর মুসা সাহেব একই পথে আরহন করলেন মুহিতের সাথে তার গত ৪০ দিনে দেখা হয়নি। এভারেস্ট আরহন পিক এন গো মনে হয় না। এমনকি তিনিই যে বাংলাদেশ থেকে আরোহন করা প্রথম আট হাজার মিটার পর্বত আরোহনকারী তা নিয়েও কোন উচ্চবাচ্চ হয়নি কোথাও। এটা আসলে সবচেয়ে বড় নিচুমনের পরিচয় দেয়া।
পৃথিবীতে মাত্র ১৪ টি আট হাজার মিটার পর্বত আছে যার একটিতে তার আরোহন বোধকরি খুবই গুরুত্বপূর্ন আমাদের পর্বতারোহনের জন্য। তবে কালের ভারে হাড়িয়ে গেল যানি কেমন করে। এভারেস্ট এভারেস্টই তবে অন্নপূর্না (১৯৫০) আরোহনকারী ফ্রেন্চ ম্যান মরিস হারজকেই বলা হয় প্রথম যে কোন আট হাজারের আরোহি আর তার এই কৃতিত্বও এভারেস্ট আরোহনের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়।
তবে কি আমরা সুদ্ধতার পরিচয় দেইনি কখনও? কেন? শুধুই কি বীরচিত ভাবধারাকে তুলে ধরার জন্য? নাকি স্পন্সরমানি হালাল করার জন্য? যার পরিমাপ পি আর ভ্যালুতে আরোহনে নয়। আবার কথা উঠেছে এটা কি আরেকটি রাজনৈতিক চাল? অনিক খান যিনি খবরটির চালক তার পিতা নজুরুল ইসলাম খান যিনি বিএনপির উর্দ্ধ পর্যায়ে আছেন। আমাকে মাফ করবেন।
এহেন অনেক কথা বলা যায় আমাদের পর্বতারোহন এবং তার পূর্ব এবং পরবর্তি ঘটনা সম্পর্কে। সব কিছুর দলিল দস-াবেদ আছে অনেকের কাছে। কোনটাই অপ্রমানিত সত্য নয়। তাই মনে হয় মুসা সাহেবের এত বড় বিজয়ে অনেকের সাথে অনেকে গলা মিলাচ্ছেননা। মুহিতের নাম আসছে না কোথাও।
মুহিত-মুসা, জয় হোক আপনাদের। এটা এভারেস্ট, কাছ থেকে দেখলে নাকি খোদা দেখা যায়। এত বড় আকাশ, এক বড় কিছু আর কেই বা দেখতে পারলেন! সাধুবাদ আপনাদের চেষ্টার।
আমরা মনে হয় কোনও একদিন একসাথে হব, একমত হব, মেইবি।
এখন এতটাই উন্মাদ যে রাজনীতি নিয়ে এলেন?
নাকি ভাবছেন বি এন পি গন্ধ লাগাতে পারলে বেপারটায় কালি দেয়া যায়?
নাহঃ আপনার সাথে আর কথা নয়। আপনি তার যোগ্য নন।বিদায় বন্ধু
বাহ, চমৎকার, আমরা যে বাংগালী তা আবার প্রমান হলো।
/----------------------------------------------------
ওইখানে আমিও আছি, যেইখানে সূর্য উদয়
প্রিয়দেশ, পাল্টে দেবো, তুমি আর আমি বোধহয়
কমরেড, তৈরি থেকো,গায়ে মাখো আলতা বরণ
আমি তুমি, আমি তুমি, এভাবেই লক্ষ চরণ।।
বিব্রত।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
এখানে কিছু অদ্ভুত কথাবার্তা হচ্ছে । মুসা তো একা এভারেস্টে যাননি। তার সাথে আরো ভিনদেশি অভিযাত্রীরাও আছে। এমনকি তিনি এখনো এডভান্স বেসক্যাম্পে আছেন। কোন মুহিত বেজ ক্যাম্পে মুসার খবর পাননি বলে মুসার অভিযান মিথ্যে হয়ে যাবে ? মুহিত সাহেব মুসাকে কত খোঁজাখুঁজি করেছেন ? হিমালয় গাইড ট্যুর কোম্পানি আগে কখনো এভারেস্ট আয়োজন করেনি বলে এবারো আয়োজন করতে পারবে না ? যুক্তির তো কোন আগামাথা দেখছি না। এই স্যাটেলাইটের যুগে এমন কিছু খোঁড়াযুক্তি তো অভিযোগকারিদের ব্যক্তিগত গাত্রদাহকেই প্রকাশ করছে।
আমার মনে হয় আপাতত একটা অফিসিয়াল প্রেস রিলিজের জন্য অপেক্ষা করাই ঠিক হবে। এভারেস্টে উঠলে সেটার সত্যতা যাচাই করা খুব কঠিন কোনও কাজ হওয়ার কথা না। সেটা ভেবে আমি আপাতত অ্যসিউম গুড ফেইথ অবস্থানে গেলাম।
মন খারাপ হয়ে গেল লেখাটা পড়ে।
_____________________________
টুইটার
_____________________________
টুইটার
মুসা ইব্রাহিম সুস্থদেহে নেমে আসুন, আগে এই প্রার্থনা করছি।
স্পর্ষের মন্তব্যের সূত্র ধরে বলি, ফাউল লোক যে একদল আছে এই ব্যাপারে আমরা নিঃসন্দেহ । বীরদেরকে নিয়ে তো স্বাভাবিক ভাবেই অনেক হৈ-চৈ করা হবে, তাতে আমার কোন আপত্তিও নেই, আমি নিজেও খানিক লাফাব । কিন্তু এই মুহূর্তে কৌতুহল বোধ করছি ফাউলদেরকে নিয়ে, সময় মত তো একটা দল ঠিকই ফাউল হিসেবে চিহ্নিত হবে, তাদের কী করা যায় ?
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
................................
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
দুঃখজনক। আমি নাম বলছি না।কিন্তু এইখানেই এমন কিছু মানুষ আছেন যারা নিজেদের অক্ষমতার দুঃখে এই সমস্ত কথা ছড়াচ্ছে।
এই ২/১ জন আমার পরিচিত আর আমি জানি তাদের মানসিকতা।
ক্লাংময় নামে পাহাড় চুড়াটি আমাদের সর্বোচ্চ চুড়া হিসাবে যখন ঘোষিত হল তখন ও জনাব খালেদ, "প্রকৌশলী" মুনতাসির এর বরাত দিয়ে সনদেহ প্রকাশ করান। এবং এমন যুক্তি দেখান যে GPS device গুলো নাকি যথেষ্ট accurate না। সেখানেও ফুটে উঠেচিলো অক্ষমতার দুঃখ।
Mountaineer রা সচরাচর mean minded হন। এটা স্বাভাবিক। কিন্তু এরা এখনো Mountaineer হননি তার আগেই mean minded হয়ে গিয়েছেন
মুসার এভারেস্ট জয় বিষয়ক হিমালয়ান গাইডস নেপালের ওয়েবসাইট দেখতে ক্লিক করুন এই লিংকে http://www.himalayanguides.com/news_and_events.php
এখানে দেখুন সবাই।
http://www.dw-world.de/dw/article/0,,5605963,00.html
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
এখানে আরো ২/১ টি কথা না বল্লেই নয়,
মুহিত ভাই এর তাকে না দেখাটা খুবি যু্ক্তিসংগত-
তিনি গিয়েছেন বড় বড় sponsor নিয়ে, ব্যর্থ হবার অজুহাত দিয়েছেন খারাপ আবহাওয়ার। কিন্তু ওই সময়টা্য এবার ঐ পাহাড়ের আবহাওয়া এতই ভাল ছিল যে রেকর্ড সংখক summit হয়েছে। আর তিনি হয়েছেন ব্যর্থ। আবার একজন স্বদেশী কিনা জয় করে ফেলেছেন ঐ পাহাড়। কি জবাব দেবেন উনি?
মড দের বলছি - এই পোস্টটা কি মোছা যায়? পরে যেটা লিখেছি ওটাই থাকুক?
মড দের বলছি - এই পোস্টটা কি মোছা যায়? পরে যেটা লিখেছি ওটাই থাকুক?
এখানে আরো ২/১ টি কথা না বল্লেই নয়,
মুহিত ভাই এর তাকে না দেখাটা খুবি যু্ক্তিসংগত-
তিনি গিয়েছেন বড় বড় sponsor নিয়ে। ওই সময়টা্য এবার ঐ পাহাড়ের আবহাওয়া এতই ভাল ছিল যে রেকর্ড সংখক summit হয়েছে। আর তিনি হয়েছেন ব্যর্থ। আবার একজন স্বদেশী কিনা জয় করে ফেলেছেন ঐ পাহাড়। কি জবাব দেবেন উনি?
সত্যি কথা হলো জনাব খালেদ আর প্রকৌশলী মুনতাসির আপনারা যতই চেষ্টা করেন না কেন, মিথ্যাকে সত্যি বানাতে আপনারা পারবেন না। এমনিতেও সংস্লিষ্ট অনেকের কাছে আপনাদের গ্রহনযোগ্যতা নেই।কিন্তু তারা কখনোই মুখ ফুটে কিছু বলেন্নি।এরপর যখন সকলের কাছে মুসা ভাই এর বেপারটা প্রমান হয়ে যাবে তখন আমজনতার কাছেও আর আপনাদের গ্রহনযোগ্যতা থাকবেনা।
আমি যদিও নিজের নামে এখানে লিখিনা, তবুও আমার নিকের অন্তত আড়াই বছরের পরিচিত আছে, অনলাইনে আমার একটা প্রোফাইলও আছে। সেই অবস্থান থেকে বলছি-- নিজের নামে এসে কথা বলেন।
অপ্রাসঙ্গিকভাবে প্রকৌশলী না যন্ত্রকৌশলী সেসব না টানলেই কি নয়? মুনতাসির প্রকৌশলী সে বিষয়ে আপনার সন্দেহ আছে নাকি? থাকলে বলে ফেলেন। আপনি যেভাবে উপরে কয়েকটা মন্তব্য করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে আপনি যা প্রচার করছেন সেটা নিজেই মানছেন না।
আমি এখন আমার নিক লুকিয়ে যদি বলি একজন "ভ্যাগাবন্ড" পাহাড় প্রেমী ... তখন ব্যাপারটা কি ভালো দেখাবে?
কোন কনফার্ম সূত্র ছাড়া কোন খবরই সন্দেহের ঊর্ধৈ নয়। আর এধরনের খবরে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়তো ঠিক হয়নি তবে যারা সন্দেহ করেছেন তারা তাদের "অক্ষমতার" কারণে করেছেন বলে আমার কাছে মনে হয়নি। তারা এভারেস্টে ওঠার চেষ্টা করেছেন বলেও আমি জানিনা। (আমার জানায় ভুল থাকতে পারে)।
যাই হোক, এত বড় একটা ব্যাপার নিয়ে সচলে ব্যানার হবে না?
একটা ব্যানার হয়েছিল তবে সেটা সরানো হয়েছে কন্ট্রোভার্সির জন্য।
আমার মনে হয় আরেকটা নতুন ব্যানার করা উচিত, যেখানে থাকবে একটা পাহাড়, যার চূড়ায় দাঁড়িয়ে আছে এক যুবক বাংলাদেশের পতাকা হাতে, আর তাকে টেনে নামানোর চেষ্টা করছে আরেক দল যুবক।
"চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য, উচ্চ যেথা ...ধর শালারে..."
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
পুরা জাতি যেখানে মুসা ইব্রাহিম এর এভারেস্ট জয়ে উল্লাসিত, সেখানে কিছু লোক যথারীতি এটা নিয়ে কাদা চুরাছুরী শুরু করে দিয়েছে.. আমরা আসলে ই জাতি হিসাবে ওয়ান পিস
উপরে গেলে দেখবেন আমি বিদায় বলে দিয়েছি।রুচি হচ্ছেনা আর এদের সংগে কথা বলার। তাও আপনার জন্যে কিছু কথা -
নিজের নামে আসাটা খুব একটা গুরুত্বপুর্ন বলে আমার কাছে মনে হচ্ছে না। জানি আসতে পারলে ভাল হতো।কিন্তু কি আর করা।
"প্রকৌশলী" কথাটা অপ্রাসঙ্গিক মানি।এটা আসলে রাগ এর কথা। আর মুনতাসির এর নাম পত্র-পত্রিকায় এলে এ কথাটা দেখা যায় কিনা তাই আমিও ব্যবহার করেছি। আপনার কি অনেক রাগ হচ্ছে?
আপনি ও IUT এর? আমার কিন্তু IUT কে খোচা মারার প্রশ্নই ওঠে না
আর ২/১ টা খবর এর কথা বলছেন, বেপারটা হলো আমি এটা কোথাও শুনেছি কিন্তু যেহেতু reference নাই তাই চাচ্ছিলাম না যে থাকুক।
"অক্ষমতা" ? এটা উনারা ভালই জানেন। সত্যি বলছি !
আর শেষ কথা - ভাই, আমার কথাগুলো ঐ দুজনকে বলা।আশা করছহিনা যে মানবেন। কারন এখন এতটাই খারাপ অবস্হা তাদের যে বি এন পি, আওয়ামী লীগ টানাটানি করছেন।(উপরে দেখুন)। যাক তাদের সুমতি হোক। আমি উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছি।
বিদায়।
মুসা র উচিত ছিলো ৩ সদস্য এর একটি বাচাল কমিটি গঠন করে অভিযান করা। তাহলে সন্দেহ দুরিভউত হত।সব স্পর্টস এর মত এ পরবত আরহন অ যে এক্তি স্পর্টস এবং এনিয়ে হারজিত আলোচনা থাকবে সেটা আমরা না বুঝে বাংলাদেশ দরকার হলে আরো ৫৭ বছ্র পর অভিজান করুক ধরনের মন্তব্য করতে পারি!
অভিনন্দন মুসা কে ।।
আসলে মুসার নাম টা ইতিহাসের পাতায় ঢুকে গেছে, অতিসতর্ যারা বিজয় উদযাপ্ন করতে পারেন নি আসুন , নেভার টু লেট!
নারে ভাই। পর্বতারোহণ কোনো স্পোর্টস না, কোনো ইঁদুর দৌড়ও না। এটা একটা মহৎ যাত্রা। এখানে কেউ হারে না, সবাই জেতে। যদি কাউকে হারানোর জন্যে পর্বতে যেয়ে থাকেন কেউ, তাহলে একমাত্র পরাজিত হয় পর্বতারোহীর স্পিরিট। আমি নিজে বাংলাদেশে দুয়েকটা পাহাড়ে উঠেছি, সেই অভিজ্ঞতা থেকে বললাম। ভুল বলে থাকলে শুধরে দিয়েন।
পর্বতারোহী যে দুই চারজন আছেন, তাঁরা নিজেরা নিজেদের মধ্যে চুলাচুলিতে ব্যস্ত থাকলে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে তাঁদের স্বভাব পরিবর্তনের জন্য ৫৭ বছর সময় দিতে চাওয়া বোধহয় ভুল কিছু নয়। মুসা বা সজল বা মুহিত বা ইমরান, কেউ তো কারো চেয়ে বেশি পূতপবিত্র নন, তাই না? তাঁরা একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ, একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে সর্বদা সরব। পর্বতের চূড়ায় উঠেই লাভটা হোলো কী, যদি এই সামান্য ব্যক্তিত্বের সংঘাতকেই আমরা পরাজিত করতে না পারি?
http://www.himalayanguides.com/news_and_events.php -এ মুসার নাম প্রকাশ করেছে।
আজ দুপুরে মুসাকে CTMA (China Tibet Mountaineering Association) থেকে certificate deya hoyese.. so.. এটা এখন অফিসিয়াল হল।
আশা করি এবার সকল সন্দেহের অবকাশ হবে।
১.
সচলায়তনে যারা মন্তব্য করতে চান, অনুগ্রহ করে বাংলায় করুন, কারণ রোমান হরফে করা মন্তব্য অপ্রকাশিত রয়ে যায়। কন্ট্রোল + অল্ট + পি চাপলে ফোনেটিক লেআউট পাবেন।
২.
মুসা ইব্রাহিমের এভারেস্ট জয় নিয়ে কিছু প্রশ্ন যখন উঠেছে, সঙ্গত কারণেই আমরা আশা করতে পারি তিনি এর ভৌত প্রমাণ [ছবি, ভিডিও, জিপিএস রেকর্ড] নিয়ে ফিরে এসব প্রশ্নের শিখরকেও জয় করতে পারবেন। সনদপত্রের ব্যাপারটা মুসা ইব্রাহিম নিজেরই একটি লেখায় প্রশ্নবিদ্ধ করে রেখেছেন।
৩.
একটি মন্তব্য বারবার আসছে, আমাদের জাতিগত বৈশিষ্ট্য হচ্ছে নিজেদের খাটো করা বা নিজেদের অর্জন নিয়ে প্রশ্ন তোলা। এটি শুধু আমাদের নয়, পৃথিবীর সব জাতির বৈশিষ্ট্যই হওয়া উচিত। একে বলে কোয়ালিটি কন্ট্রোল। স্বর্ণের খাঁটিত্ব যাচাইয়ের জন্যে প্রয়োজন কষ্টিপাথর কিংবা অ্যাকুয়া রিজিয়া, দু'টির একটির মূল্যও স্বর্ণের কাছাকাছি নয়, কিন্তু গুরুত্ব স্বর্ণের চেয়ে কম নয়। প্রশ্ন উত্থাপনের উদ্দেশ্য নিয়ে সমালোচনা করা যায়, তার ভঙ্গি নিয়ে সমালোচনা করা যায়, কিন্তু উত্থাপিত প্রশ্নকে এড়িয়ে যেতে চাওয়া অবিবেচকের লক্ষণ। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও প্রতিনিয়ত প্রশ্ন তোলে একটি গোষ্ঠী, আমরা ক্রুদ্ধ হই, কিন্তু ঠিকই রেফারেন্স খুঁজে খুঁজে তার উত্তর দিই। কারণ কালের বিচারে যুক্তিই টিকে থাকে। মুসার বিজয়কে তাঁর চারিত্রিক সনদ নয়, ভৌত প্রমাণ দিয়েই সাবস্ট্যানশিয়েট করা হোক। আমি নিঃসন্দেহ যে ব্যক্তিগত পরিমণ্ডলে মুসা, সজল, ইমরান, মুহিত এঁরা সকলেই চমৎকার মানুষ, শুধু পর্বতারোহণ প্রসঙ্গে নিজেরা নিজেদের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না।
তিন নম্বর পয়েণ্টটা চমৎকার বলেছেন হিমুভাই। শুনেই কোনকিছু বিশ্বাস করার চেয়ে যাচাই করে (হোক সমস্যা) নেওয়াটাই সবচেয়ে ভাল পন্থা। মুসা ভাইকে আমি গালিও দেইনাই, প্রসংশা করিনা। শুধু খবরের সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য বসে ছিলাম। সেটা হয়েছে, এখন তাকে মন থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। দৃষ্টিভঙ্গী এমনটাই হওয়া উচিত।
ভৌত প্রমাণ দেবার যায়গা গুলতে দিয়েই তিনি ফিরবেন| আর সে সব প্রমান GPS log এগুলো কোন রকেট সাইন্স না যে কেউ এভারেষ্ট জয় এর কথা প্রচার করে ছবি, ভিডিও, জিপিস ট্রেক রেকর্
ড ইত্যাদি গোপন করে রাখবেন। আর সন্দেহ বেশি হলে বেইজ ক্যাম্প এ প্রতিনিধি পাঠানোর ব্যবস্থা করুন| এইটা প্রমান এর দায়িত্য এই মুহুর্তে ব্রেকিং নিউজ প্রদানকারির | মুসা কে জনে জনে প্রমান দেবার কোন প্রয়োজন দেখি না, আপাতত ওকে ভারচুয়াল কষ্টি পাথরে ঘষা না দিয়ে বরং বিশ্রাম দিন|
চন্দ্র বিজয় এর ভিডিও ফুটেজ নিয়ে এখন কিছু লোক ছিদ্র খুজে । মুসার ভিডিও নিয়েও হবে| মুসাদের কিছু যায় আসে না।
পুনশ্চ ঃ অভিনন্দন মুসা|
ছিদ্র খোঁজা তো খারাপ কিছু না ভাই। জাহাজ বানানোর পর ছিদ্র খোঁজা হয়। ছিদ্র পেলে সেটা মেরামত করা হয়। নাসার ফুটেজের ছিদ্র নিয়ে নাসা একটা পেইজই খুলে রেখেছে। আশা করি মুসাও বিশ্রামের পর সকল ছিদ্রাণ্বেষীর মুখ বন্ধ করে দেয়ার মতো কিছু প্রমাণ দাখিল করবেন জাতির উদ্দেশ্যে। আপনি প্রমাণের প্রয়োজন দেখেন না, উত্তম, আমি দেখি। তাই আমি দুই পক্ষের কাছ থেকেই প্রমাণ চাই, এবং যে পক্ষ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হবে, তাদের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে অনুরোধ করি।
মুসা সুস্থ দেহে ফিরে আসুন, এবং আমাদের কিছু চমৎকার ছবি, ভিডিও আর জিপিএস লগ উপহার দিন, আপাতত এটাই কামনা। মুসার অভিযানের বিস্তারিত বিবরণ পড়ার আর শোনার জন্যে উদগ্রীবচিত্তে অপেক্ষা করছি। আর অবশ্যই আমরা পদে পদে প্রশ্ন করবো, কষ্টিপাথরে সবকিছু যাচাই করবো। পীরভক্তি নিয়ে তো একটা শিক্ষিত সমাজ চলতে পারে না। আর ধমক দিয়ে প্রশ্নের পথ বন্ধ করা তো পর্বতজয়ীর বন্ধুদের মানায় না। এতো অসহিষ্ণু না হয়ে, আসুন অপেক্ষা করি।
এই সার্টিফিকেট আবার চুল্লু ওয়েস্টের মতো সামিট না কইরা পাওয়া সার্টিফিকেট হইব না তো ?
কাঁকড়ার ঝুড়িতে নাকি ঢাকনা লাগেনা । কারণ একজন উপরে উঠতে চাইলে অন্য কাঁকড়া টেনে নিচে নামায় । পর্বতারোহী হওয়া অসম্ভব ধৈর্য এবং সাহসিকতার কর্ম । সবাই প্রথম হতে চায় কিন্তু আমরা এমনই যে ঠকে ঠকে হতাশ । চাইনিজ দের প্রযুক্তির মালমসলা স্ক্রু সব কিনে এদেশে সংযোজন করে, মেইড ইন বাংলাদেশ সিল মেরে নির্লজ্জের মত দেশী প্রযুক্তি বলে গলায় চালাই । জুনিয়র বিশ্বকাপ জয় করার আনন্দে দেশকে মশগুল রেখে পরে ডানা আর গোথিয়া কাপের কেলেঙ্কারীতে মাথা নত করি ।
তারুণ্যের লক্ষ জয় । তার সমস্ত বিপদ উপেক্ষা করবে । সমুদ্র পাড়ি দিবে, পর্বতে উঠবে । হিমালয় জয় করবে । এটা না হওয়াই স্বাভাবিক। লক্ষ লক্ষ টাকার হিস্যা না থাকলে অনেকেই আগে থেকে চেষ্টা করতো হয়তো । এখন মুসা-সজল-মুহিতদের কামড়া কামড়ি দেখে মনে হয় পোলাপান সুটকেসে লেবেঞ্চুষ লুকিয়ে রেখে কে আগে বের করবে এটাই যেন আসল কথা । আর পর্বত আরোহনের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার চেয়ে সস্তায় সেলিব্রিটি হয়ে যাওয়াই যেন উদ্দেশ্য । আর প্রথম আলো আর আনিসুল হকদের উতসাহ এই মুসাদের কাঁধের বন্দুক রেখে তার পত্রিকার প্রসার করা যায় কি ভাবে ।
মুসা সার্টিফিকেটের সহজপ্রাপ্যতাকে নিজেই তার ব্লগে বলেছে:
..........আসলেই কি চুলু ওয়েস্ট জয় করেছি আমরা? না কি এটা প্রোপাগা-া হিসেবে চালানো হবে? এসব প্রশেড়বর উত্তর আর কারো কাছে পাওয়া সম্ভব কি? এসব চিন্তা মাথায় নিয়ে একই ট্রেইলে ফিরতি পথ ধরলাম। এ নিয়ে আর কোনো কথা হলো না। নেপাল মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশণ থেকে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা হলো। নূর মোহাম্মদও সার্টিফিকেট পেল। এমনকি যে আমি তাঁবুতে বসেছিলাম, সেই আমিও চুলু ওয়েস্ট জয়ের সার্টিফিকেট পেলাম। হায় চুলু ওয়েস্ট! দেশে ফিরলাম সবাই। এখানে তখন চুলু ওয়েস্ট জয়ের ডামাডোল বাজছে।....
সুত্র: http://ovijaatree.wordpress.com/বিএমটিসি-চুলু-ওয়েস্ট-জয/
এই সার্টিফিকেট পাওয়া নিয়ে তার ব্লগ এখন তার নিজেরই সার্টিফিকেট কে বুমেরাং হয়ে প্রশ্ন বিদ্ধ করবে ।
হিমালয় জয় করার জন্য শর্টকাট পথ সহজ জনপ্রিয়তার মাপকাঠি হতে পারে । কিন্তু একজন পর্বতপ্রেমী হিসেবে এই দু:সাধ্য যাত্রার সফল বিফল প্রত্যেকেই স্যালুট পাবার যোগ্য । এরকম রেকর্ড করার সুযোগ ও আছে অনেক । কিন্তু রেকর্ডের চেয়ে নিজেকে জয় করে নিজেকে প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জটা বেশী প্রয়োজন ।
আমার নিজের দুই একটা বাঙলাদেশী পাহাড়ের গা -দিয়ে হেটে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা বলছে ................... মুসা ইব্রাহীমের জন্য ব্যাপারটা খুব কষ্টের হয়ে গেলো। যদি সে এভারেস্ট পিক সামিট না--'ৃ করে থাকে তাহলেো তাকে আবার দেেশ এসে পুরো ২৯হাজার +.... ফিট সামিট করতে হবে........./// আর যদি করেই থাকেন তাহলেতো কথাই নাই.............. আবারো পুরোটা সামিট করতে হবে। বেচারা..........
যাই হোক.............. আমরা আপাতত আনন্দই করি। যে হিমালয়ের কন্ডিশন এবঙ টেম্পারেচাররে কমপক্ষে ২৫০০০ ফিট( কি বলেন......... এই টকিতো উঠছে কমপক্ষে?) উঠতে পারছে তিনি দেশে কন্ডিশনে স্বাগতিক সুবাদে ২৯০০০ সামথিঙ ফিট প্রমাণ করতেই পারবেন।
আসেন .......... আমরা আনন্দ করি।
সবার কাছে (বিশেষ করে যারা সচল নন কিন্তু ছদ্মনামে মন্তব্য করছেন) অনুরোধ রাখতে চাই: অনুমানের ভিত্তিতে আর সন্দেহ না ছড়াই। কারণ অনুমান হতে পারে সবচেয়ে বড় মিথ্যা। মুসা এভারেস্টে উঠে থাকলে এ আনন্দ সবাই ভাগাভাগি করে নেই। আর না উঠে থাকলে সে যুক্তির পক্ষেও জোড়ালো প্রমাণ চাই।
অনুমানের ভিত্তিতে সন্দেহ ছড়ানোর পেছনে এই পোস্টটাও দায়ী। সচলে এই লেখাটা আশা করিনি।
যাইহোক, সজল খালেদ মুসা ইব্রাহীমকে অভিনন্দন জানিয়ে আরেকটি ফেসবুক নোট লিখেছেন। আশা করি মুস্তাফিজ ভাই সেই নোটটাও সবার সাথে শেয়ার করবেন।
মূল পোস্টে দেওয়া আছে।
...........................
Every Picture Tells a Story
গাধা খায় , তবে জল ঘোলা করে খায়.. .
যেন স্রোতের বিপরীত এ চলা মানেই আমি স্রোতে গা ভাসাইনি.. . আমি প্রজ্ঞাবান !!
এদের "গ্লোবাল ওয়ারনিং ( ওয়ারমিং ") এর ফলশ্রুতিতে পৃথিবীর নিম্নাচল ডুবে না যাবার থিওরি নিয়েও ঘষাঘষি করতে দেখি,
এতে হয়ত নিজেকে সাময়িক নেট সেলেব্রাতী মনে হতে পারে কিন্তু এসব ভন্ড পীর প্রতিরোধের এখনিসময়।
এভারেস্টের উচ্চতায় তারুণ্য
মুসার এভারেস্ট বিজয় সমতলের গৃহস্থ বাঙালীর জন্য এক বিস্ময়ের খবর। আমরা পাহাড়ের উচ্চতা দেখে হা হুতাশ করা জাত, অবশ্য বাঙালী অতীশ লঙ্ঘিল গিরি তুষারে ভয়ংকর পড়ে পুলকের অন্ত নেই, ইনাম আল হক সম্ভবত সেই পাহাড়চারী যিনি কয়েকজন বাঙালী তরুণ-তরুণীর মধ্যে পাহাড়ের নেশা জারিত করেছিলেন।এই রেসের শীর্ষ তিন তরুণ মুসা, মুহিত, সজল।
তিন মধ্যবিত্ত তরুণ জীবন পুড়িয়েছে, তিল তিল করে পয়সা জমিয়েছে এভারেস্ট ছুঁতে।মুসা প্রথম আলো আর ওর বোনের সহযোগিতায় জীবন বাজি রেখে ছুটে গেছে, বাংলাদেশের পতাকা গেঁথে দিতে হিমালয় শীর্ষে।এভারেস্ট জেতার বাজিটা জিতে গেল মুসা।মুসা আর তার বাবার প্রতিদিনের দার্শনিক লড়াই মুহিত আর সজলের পরিবারেও জারী ছিল।
বাবা চাইতেন মুসা ডাক্তার হোক, মধ্যবিত্ত বাবাদের সাফল্যের সূচক এর বেশিদূর যেতে পারেনা।হিমালয়ের এতো পাশে থেকেও আমাদের এতবছর লাগলো কেন।হয়ত এভারেস্টে ওঠার সাধ হত্যা করে বেশ কয়েকজন ডাক্তার এই মুহূর্তে রোগী দেখছেন আর বাহবা দিচ্ছেন মুসাকে।কিন্তু তিনিই আবার তার ছেলেকে পাহাড়ে যেতে বাধা দিয়ে এমবিএ-তে ভর্তি করে দিয়েছেন।যত দিন যাচ্ছে সাফল্যকে ততই আমরা ক্রেডিট কার্ডে খুঁজছি।খুব বেশি নিশ্চিত হতে চাচ্ছি জীবনের গন্তব্য সম্পর্কে।কিন্তু মুসার জীবনের গন্তব্য আমাদের বাবাদের মানদণ্ডে খুবই অনিশ্চিত। যে বাঙালী বাবারা নিজেরাই যুদ্ধে গিয়েছিলেন তারা এতটা ভয় পেয়ে গেলেন কেন।
আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার বলেছিলেন, চালাক ছেলেদের আমার দরকার নেই, আমি বোকাদের চাই যারা আগুনে ঝাঁপ দিতেও রাজি।মুসা, মুহিত, সজল এরা বোকা বলেই এত ঝুঁকিপুর্ণ একটা কাজে নাম লিখিয়েছিল।ওদের মধ্যে প্রতিযোগী মনোভাব এখনো বজায় আছে।এটা হয়ত সব রেসেই ঘটে থাকে।ড। ইউনুস নোবেল পেয়েছেন শুনে অন্য একজন গুণী উন্নয়ন নেতা হাসপাতাল বরণ করছিলেন। পরে তিনিও বড় সম্মাননা পেয়েছেন।এগুলো ভাল প্রতিযোগিতা শুধু ঈর্ষার প্রকাশটা আরেকটু ম্যাচিওরড হলে ভাল হয়।
এখন সংবাদ মাধ্যমে মুসার লড়াইএর কথা বলতে গিয়ে আমরা রাষ্ট্রকে দায়ী করব,আমাদের সমাজ ব্যবস্থাকে দায়ী করব। কিন্তু পৃথিবীর অধিকাংশ মহৎ অর্জনের পেছনেই এরকম লড়াই থাকে।একটা বিলাসী জীবন হয়ত রাষ্ট্র কিংবা সমাজের পেছনে ঘুরঘুর করে পাওয়া যায়, কিন্তৎ মহোত্তম অর্জন নিসঙ্গ শেরপার অনুগামী হয়।
মুসার অর্জন হয়ত আমাদের কূপমন্ডুকদের ঘুম ভাঙাবে।তারা একটু খেয়াল করলে দেখবে, মুসার ঘটনাটা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বাংলাদেশের তরুণেরা হা রে রে রে রে রে আমায় ছেড়ে দেরে দেরে বলে বেরিয়ে গেছে অচলায়তন থেকে।এতদিন জীবনের উচ্চতাকে আড়াল করে আমরা কর্পোরেট হায়ারার্কি অফ নিডস নির্ধারণ করেছি।কিন্তু মুসারা সেই সাফল্যের ইয়ার্ডস্টিক মেনে নেয়নি। জীবনের সমান সাফল্য তার গন্তব্য ছিল। অভিবাদন মুসা, অভিবাদন বাংলাদেশের তারুণ্য।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
দারুন @ মাসকাওয়াথ আহসান
১.
প্রথম আলোর এই রিপোর্টে আনিসুল হক বলছেন,
২.
প্রথম আলোয় মুসার এভারেস্ট জয়ের এই ছবিটা এসেছে। আমি আশা করছি মুসা দেশে ফিরে বিশ্রাম নিয়ে ফ্লিকারে চমৎকার কিছু ছবি আপলোড করবেন আমাদের জন্যে। আলুপেপারে ছাপা ছবিটা খুবই বিখাউজ।
বেচারা হিলারীর একটা ছবিও নাই পীকে!
- আচ্ছা, মুসা'র পাশে যাঁরা আছেন, তারা কি শেরপা? তাঁদের অক্সিজেন মাস্ক নেই কেনো! এই ছবিটা কি চূড়ায় তোলা না?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
শেরপাদের কৃত্রিম অক্সিজেন সাপ্লাই লাগে না।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ধারণাটা সঠিক নয়।
হুমম একদম উপরে দুয়েকজন তাও পারে।
তার মানে অন্যরা হয়তো অক্সিজেন ছাড়াও দুয়েকটা ফটো খিচতে পারবে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
যার ছবি তোলা হচ্ছে, মাস্ক খোলার গরজটা তো মনে হয় তারই বেশি থাকা উচিত। ছবিতে উল্টা ব্যাপারটাই দেখা যাচ্ছে।
হুম, কিন্তু ওখানে মনে হয় মুসা সাপ্লিমেন্টারি অক্সিজেন ছাড়া দু মিনিটও টিকবে না। অক্সিজেন পাইপে লিক হওয়াতেই না তার একবার মরণদশা হলো?
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
এমনকি শেরপাদেরও অক্সিজেন লাগে!
বাবু শেরপা নামে একজন ছিলেন যিনি সাপ্লিমেন্টাল অক্সিজেন ছাড়া সামিট করেছেন। তাও একবছর ট্রেনিং এর পর।
অদ্ভূত প্রশ্ন!
ছবি তোলার আগে মাস্ক সরিয়ে নিয়েছেন যেন ছবিটা সুন্দর আসে।
- হ। আমারও তাই ধারণা। মনেহয় এই শেরপা অতি সম্প্রতি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চাইছেন। তাই এভারেস্টের মাথায় তোলা একটা 'সেইরকম' ফটুক কনে পক্ষের দরবারে সাবমিট করার জন্যই সামিটের পর অক্সিজেন মাস্ক খুলে, গালে-মুখে তিব্বর স্নো আর পাউডার মেখে তবেই ছবির জন্য পোজ দিয়েছেন। সে চীঈঈঈজজজ...
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হা হা হা...
খালি বিয়ার জন্য মানুষ ফটো তুলে না, বস!
শালী পটাইতেও তুলে
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
আজ বিকেল সাড়ে চারটায় একটা বিশেষ ফ্লাইটে করে মুসা ইব্রাহীম নেপাল থেকে বাংলাদেশে ফিরেছেন।
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
এই পুরো পোস্টের চেয়েও সুন্দর হয়েছে হিমু ভাইয়ের অদ্যাবধি মন্তব্যগুলো। দুপক্ষের বক্তব্য শুনে এবং মন্তব্যগুলো ব্রিফলি পড়ে যা ভাবছি:
১. শেষের দিকে মুসা ইব্রাহীমের গ্যাস পাইপে লিক থাকায় অসুস্থ বোধ করছিলেন তিনি। আগুনের ধোঁয়ায় আক্রান্ত মানুষের অভিজ্ঞতা শুনেছি, তাঁরা drowsy অনুভব করেন, ঝাপসা দেখেন। অক্সিজেনের অভাবে এমনটা হয়। তারমানে ধরে নিলাম মুসারও তেমনটা হচ্ছিলো। তবে অক্সিজেন মাস্ক ঠিক করে বা বদলে দেবার পর সেটা চলে গেছে বলেও ধরে নিলাম। কিন্তু সেই অবস্থার রেশ কি তার ছিলো না? যদি না থাকে, কথা নাই। কিন্তু যদি থাকে, তবে শেরপাদের উপর মিথ্যাচারের যে অভিযোগ উঠেছে, তারা, যদি ধরে নিই, সামিটে না গিয়েই মিথ্যা বলেছে, তবে মুসার সেটা ধরতে পারা কঠিন।
২. আয়োজক প্রতিষ্ঠান মিথ্যাচার করলে যেখানে ধরার উপায় নেই, সেখানে সরেজমিন পরিদর্শনস্বাপেক্ষে মিথ্যাচার দূর করার মতনিরপেক্ষ একটা তদন্ত কমিটি যাক না কেন?
৩. এখন তো দেখি একটা ক্যামেরা আর একটা ভিডিও ক্যামেরা বানাতে হবে, যেটাতে মনিটরেই GPS reading ভেসে উঠবে এবং তা ছবি বা ফুটেজের সাথে রেকর্ড থাকবে এবং সেটা কোনোভাবেই ম্যানুয়ালি পরিবর্তন করা যাবে না ক্যামেরা ভাঙ্গা ছাড়া। তাহলেই কেবল এমন বিতর্কের উর্ধ্বে এভারেস্ট জয়কে রাখা যাবে। আগে কি কেউ এমনটা ভেবেছিলেন?
৪. উইকিপিডিয়ায় এখনও মুসা ইব্রাহীম প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছেন। তৃতীয় পক্ষের তথ্যসূত্র থেকে তিনি প্রমাণিত এভারেস্টজয়ী নন। উইকিপিডিয়া যদিও কোনো উল্লেখযোগ্য মাধ্যম না মুসার ব্যাপারটা জাজ করার, তারপরেও মুসার এই কৃতিত্বকে আমরা উপযুক্ত প্রমাণস্বাপেক্ষেই স্থান দিতে চাই উইকিপিডিয়াতে। কিন্তু এই ব্লগেই এতো এতো তথ্যসূত্র দিচ্ছেন সবাই, তবু নিরপেক্ষ তৃতীয় পক্ষ থেকে প্রমাণিত নন মুসা ইব্রাহীম।
৫. সামিটের ছবি দেখে কোনোভাবেই প্রমাণ করা যাবে না মুসা ইব্রাহীম চূড়ায় উঠেছেন। কেননা এতো উপরে [আমার ধারণা] তুষারের যে বিস্তারণ থাকবে, তা আশপাশের সবকিছুকে এমনভাবে গ্রাস করে রাখবে, তাতে কোনোভাবেই প্রমাণ করা যাবে না ছবিটা আসলে কতটুকু উঁচুতে তোলা হয়েছিলো। যদিনা আমার পরিকল্পিত কোনো ক্যামেরা ইতোমধ্যেই বাজারে থাকে এবং তা দিয়ে ছবিগুলো তোলা হয়।
মনের মোষ আগে তাড়াও
বনের মোষ নাহয় ক'দিন খেলোইবা...
মঈনুল ইসলাম
___________________________________________________
অন্তহীন এ পথের শেষে
আছে কী যে লুকিয়ে বসে
দেখতে আমি চাই...
ক্যানন 1D জিপিএস সহ ক্যামেরা বানায়। তাছাড়া অন্যান্য মডেলের জন্যও জিপিস যুক্ত করার এড অন পাওয়া যায়। ইদানীং জিপিস অনেক সস্তা হওয়ায় কিছু কনজিউমার ক্যামেরাতেও জিপিস যুক্ত অবস্থায় পাওয়া যাচ্ছে শুনেছিলাম।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এমন একটা ছবি কেন মুসা দেখাতে পারছে না?
জ্যাকেটটারে একটু চাপায়া ঘাড়ের সাথে মিলিয়ে দেন।
কি মাঝি, ডরাইলা?
নতুন মন্তব্য করুন