ভূমিকা
আমার ছেলের স্কুল ছুটি। আগের বার ছুটিতে মালয়েশিয়া ঘুরিয়ে আনার কথা থাকলেও হয়ে ওঠে নি, তাই এবারে ছেলের আবদারে বাতাস লেগেছে ওর মায়ের একই সময় ছুটি মিলে যাওয়াতে। যেই সেই ছুটি না, চাকরি ছেড়ে দিয়ে একেবারে আড়াইমাসের জন্য। সব যখন ঠিকঠাক খেয়াল করলাম ভিসার জন্য হাতে সময় নেই, এখানকার মালয়েশিয়ান এম্বেসি তিন দিন সময় নেয়, কিন্তু যাবার আগে হাতে সময় মাত্র দুই দিন। একদিনের ভেতর যদি না দেয় তাহলে ঠিক করেছি ভিসা ছাড়াই যাত্রা করব, ওরা এয়ারপোর্ট থেকে ভিসা দেয়, ভরসা সেটাই। আমাদের অবাক করে দিয়ে একদিনেই এম্বেসি থেকে মাল্টিপল এন্ট্রি দিয়ে দিলো। এপ্রিলের ১৩ তারিখ রাতে এয়ারপোর্ট চলে এলাম বুকিং ছাড়াই। চোখের সামনে দিয়ে একেক করে লাইনের সবাই ভেতরে চলে গেলে চেকিং স্টাফ হাসিমুখে আমাদের জানালো বেটার টুমরো। এমন হতে পারে ভেবে পার্কিং এ গাড়ি রেখে দিয়েছিলাম, কিছুক্ষণ গল্প করে পরেরদিন ফ্লাইটের অবস্থার খোঁজ নিয়ে ফেরার পথে বনানী পৌঁছানো মাত্র এয়ারপোর্ট থেকে ফোন “আপনারা দশ মিনিটের ভেতর আসতে পারবেন?” পারবো বলেই গাড়ি ঘুরিয়ে ছুটলাম আবারো এয়ারপোর্ট, যেয়ে শুনলাম বিমান টারমাক ছেড়ে উড়াল দেবার ঠিক আগেই ৫ জন অসুস্থ বোধ করাতেই আমাদের কপাল খুলেছে।
এই অসুস্থতার পেছনের খবর আসলে অন্যরকম। ইদানীং বাঙ্গালি লেবারদের মালয় ভিসা বন্ধ থাকাতে প্রায় সবাই ভিসিট বা টুরিষ্ট ভিসা কিংবা জাল ভিসায় কুয়ালালামপুর যায়। সেখানে এয়ারপোর্টে কাজ করে এমন দালালদের মাধ্যমে মালয় ইমিগ্রেশনের সহায়তায় একবার এয়ারপোর্ট পেরুতে পারলেই নিশ্চিত। ঢাকা থেকে দেরীতে ছাড়াতে ওদিককার ইমিগ্রেশন সেকশনের শিফট বদলীর গ্যাড়াকলে পরে যাবার ভয়েই এই অসুস্থতা।
একবছর পর আবারো
ভোরে এয়ারপোর্টে নামার আগেই বিমানের গেটে পরিচিত একজনের মাধ্যমে মোবাইল কার্ড পেলাম, ঢাকার তুলনায় সস্তা না হলেও ডিজিটাল যুগে এই মোবাইলের উপর আমাদের নির্ভরশীলতার বিপরীতে খরচটা গায়ে মাখার মতন না। ইমিগ্রেশন ছেড়ে বাইরে এসে অরূপকে খুঁজে নিলাম, সাথে সাথে মনে পড়লো ঠিক একবছর আগেও অরূপ এয়ারপোর্ট এসেছিলো আমাকে তুলে নিতে। সেবার ছিলাম একা।
তারার পাহাড়ে সোনালি মানব
আজ পহেলা বোশেখ। অরূপ মাশীদের দরজায় দেখলাম দেশি মুখোশের ছবি লাগানো। দুবছর আগেও প্রতি বছর পহেলা বোশেখের আগেরদিন চারুকলায় যেয়ে মুখোশের ছবি তুলতাম। জমতে জমতে কয়েক’শ মুখোশের ছবি জমিয়েছি। ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে স্মৃতি হাতড়ে মুখোশগুলো দেখে নিলাম একবার। এরপর ঘুম।
ঘুম থেকে উঠে কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম, মাতিসের চমৎকার কিছু পোট্রেট তুলে দিলো অরূপ। বিকেলের দিকে বের হয়ে ‘ইকিয়া’তে ঢুকেছিলাম, কত বড় যাবে না, সন্ধ্যার পর ওখান থেকে বের হবার সময় মনে হলো পুরোটা দেখা হয় নি। চলে এলাম বুকিত বিনতাং এ, মালয় ভাষায় বুকিত মানে পাহাড় আর বিনতাং হলো তারা। তারার পাহাড়ের এ এলাকাটা কুয়ালালামপুর শহরকেন্দ্রের কাছেই। সারাদিন ব্যস্ত থাকার পরও এর আসল রূপ খোলে মাঝরাতে। পর্যটক আকর্ষণের সমস্ত কিছুই এ এলাকাটা ঘিরে। সব ধরনের হোটেল খাবার দোকান আর শপিং মল কিংবা ফুটপাতের হকার, সবই মিলে এখানে।
বুকিত বিনতাং এর রাস্তাতেই দেখা পেলাম ‘গোল্ড ম্যানের’, কিছুদিন আগে অরূপের সারাদিনে করা চমৎকার কিছু কাজ দেখেছিলাম এ সোনালি মানবের উপর, এবারে সামনে থেকে দেখলাম। পাশাপাশি রুপালি মানবীরও সাক্ষাৎ মিললো। সারা শরীরে রঙ মেখে ভোর থেকে মাঝ রাত পর্যন্ত পর্যটকদের আনন্দ দেয়। বিনিময়ে যা পায় তাতে সংসারের খরচ মেটে কি না কে জানে?
তামার খনি আর পাথরের গুহা
দ্বিতীয় দিন সকালে চলে এলাম সানওয়ে লেগুনে। সঠিক পরিকল্পনা থাকলে কী থেকে কী বানানো যায় তার চমৎকার উদাহারণ এই লেগুন। একসময় এলাকাটা ছিলো তামার খনি, উন্মুক্ত পদ্ধতিতে তামা আর টিন তোলা হতো এখান থেকে। সেসব শেষ হলে পরিত্যক্ত অবস্থাতেই ছিলো এলাকাটা, ৯২/৯৩ সালে প্রথম এ নিচু এলাকাটাতে ছোট্ট ওয়াটার পার্ক গড়ে তোলা হয়। এরপর ২০০৮ সালে এসে ৮০ একরের বর্তমান থিম পার্কের চেহারা নেয় সানওয়ে লেগুন এবং এর আশপাশ মিলে পুরো একটা পরিকল্পিত শহরের জন্ম নেয়।
সারাদিন পানিতে দাপাদাপি করে কাটিয়েছি সানওয়েতে। এ পার্কে প্রচুর বাঙালি কাজ করেন। বেশির ভাগই পাশের সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, এছাড়া কন্জারভেটর হিসাবেও আছেন কয়েকজন। এদেরই একজন বিভিন্ন পাখি আর সরিসৃপ ঘুরিয়ে দেখালেন, গলায় বার্মিজ অজগর পেঁচিয়ে ছবি তুলতেও সাহায্য করলেন।
এর পরদিন গেলাম বাটু কেভ দেখতে। বাটু কেভ অর্থ পাথরের গুহা। চুনাপাথরের এ পাহাড় ৪০কোটি বছরের পুরোনো বলে ধারণা করা হয়। বয়সের ভারে পাহাড়ের বিভিন্ন অংশ ধ্বসে পড়ে নানান আকৃতির গুহার সৃষ্টি হয়েছে। এর ভেতর সবচাইতে বড় যেটা মেঝে থেকে উপরের উচ্চতা ৩০০ ফুটের উপর। সিঙ্গাপুরে জন্ম নেয়া তামিল হিন্দু থাম্বুস্বামী কৃষ্ণ ১৮৯১ সালে এখানে তামিল হিন্দুদের যুদ্ধ দেবতা মুরুগানের (কার্তিকের পুত্র) মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।
২৭২টা সিঁড়ি পেরিয়ে মূল মন্দিরে যাওয়াটা অনেকের জন্য কষ্টকর হলেও প্রতি বছর প্রচুর হিন্দু ধর্মাবলম্বী বিশেষ করে তামিলরা এখানে পূজা দিতে আসেন। জানুয়ারি/ফেব্রুয়ারি মাসে থাইপুসাম উৎসবের সময় এটা মেলায় রূপ নেয়।
দুপুরের কড়া রোদে ঘামতে ঘামতে উপরে উঠে মূল গুহা ঘুরে দেখলাম। ছাদের ফাঁক ফোকর দিয়ে আলো এসে নিচের পাকা মেঝেতে পড়ছে। চারিদিকে বিভিন্ন আকৃতির ঝুলন্ত পাহাড়ের খাঁজ আলো আঁধারিতে অদ্ভুতাকার নিয়ে আছে, এর ভেতর বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি। আর আছে বানর, অগণিত। দুয়েকটা দোকান, হালকা পানীয় আর পূজার জিনিসপত্র দিয়ে সাজানো।
অবশেষে পেনাং যাচ্ছি
এখানে যাবো না সেখানে যাবো এই করতে করতে কুয়ালালামপুরে তিন রাত কেটে গেল , এর মাঝে তামার খনি আর পাথরের গুহা ঘুরে এলেও পেনাং যাওয়ার ব্যাপারটা এড়িয়ে যাচ্ছিলাম বারবার। সেখানে যাবার উদ্দেশ্য স্নোরক্লিং করা। বিদেশ বিভুঁইয়ে দুজন সাঁতার না জানাকে নিয়ে স্নোরক্লিং করাটা একটু সমস্যাই মনে হয়েছিলো আমার কাছে। যাওয়া হবে না ভেবে ছেলের কালো মুখ দেখেই হয়তো অরূপ ঠিক করে ফেললো আমাদের সাথে সেও পেনাং যাবে।
আর যায় কোথায়, আমরা এসেছি শুনে আগেরদিন থেকেই অরূপ-মাশীদদের ছোট্ট বাসায় বর্তমানে কুয়ালালামপুর প্রবাসী ফটোগ্রাফার অভীক আস্তানা গেড়েছে, কিছুটা ছন্নছাড়া অভীক পেনাং যাবার কথা শুনেই লাফিয়ে উঠে পেট খারাপের অজুহাত তুলে অফিস কামাই দিয়ে দল ভারী করলো আমাদের। ঠিক হলো পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে অরূপের ছোট্ট গাড়িতে রওনা হব সবাই।
রক বনাম রবীন্দ্র সংগীত
পুলাউ পেনাং, স্থানীয় ভাষায় পুলাউ মানে দ্বীপ আর পেনাং মানে সুপারি। কুয়ালালামপুর থেকে উত্তরে এ দ্বীপ গাড়িতে চার/পাঁচ ঘন্টার পথ। কখনো সমতল কখনো পাহাড়ি বা বন কিংবা টানেলের ভেতর দিয়ে পুরো যাত্রা পথেই রাস্তার দুপাশের চিত্র প্রায়শই বদলে যেতে থাকে। আর সাথে যদি থাকে অভীকের মতন কেউ, ভ্রমণ তাতে কারো কাছে যন্ত্রণাদায়ক মনে হলেও একবার রক পরক্ষণেই রবীন্দ্র সংগীত শুনতে আমাদের অন্তত খারাপ লাগে নি মোটেই। গাড়ি চালাচ্ছিলো অরূপ, ঘন্টা খানিকের দূরত্বে থেকে রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে কোথায় যেনো ফোন করলো, কথা বার্তায় বুঝলাম স্নোরক্লিং এর টিকিট দেয় যে অফিস সেখানে ফোন করে বিকেল পাঁচটার পরও কিছুক্ষণ খোলা রেখে আমাদের অপেক্ষায় থাকতে বলছে সে। আমরা স্পষ্ট ওপাশ থেকে মেয়েলি কন্ঠ শুনলাম “ওকে নো প্রব্লেম”।
সালাহ্ সাতু কারা
এর আধঘণ্টা পর পেনাং ব্রিজের উপর আমরা, ১৩ কিলোমিটার লম্বা ব্রিজটা মুলভূমির সাথে পেনাং কে যোগ করেছে সমুদ্রের উপর দিয়ে। দুপাশের দেয়ালের জন্য ব্রিজ থেকে সমুদ্র দেখার সৌন্দর্য অনেক কমে গেছে। ব্রিজ পেরিয়ে মূল দ্বীপে ঢুকে পড়লাম একসময়। দ্বীপটা মালয়েশিয়ার একটা রাজ্যও বটে, রাজধানী জর্জটাউন, পুরোনো এ শহরটির গুরুত্ব একসময় সিঙ্গাপুরের চাইতে বেশি ছিলো, যোগাযোগ আর সুরক্ষা সুবিধার জন্য বৃটিশরা আস্তে আস্তে সিঙ্গাপুরের দিকে ঝুঁকে পড়তে থাকলে জর্জটাউনের গুরুত্ব কমে যায়।
ব্রিজ পেরিয়ে জর্জটাউনে যাবার রাস্তা ডানে ফেলে মোটামুটি পাহাড় ঘেঁষে গাড়ি চললো। কিছুক্ষণ পর খেয়াল হলো ঘুরে ফিরে রাস্তার নাম একই “সালাহ্ সাতু কারা”, এদিকে অরূপের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে হেসে বললো এর অর্থ “একদিকে চলাচল”। আমরাও হেসে নিলাম। হাসতে হাসতেই পৌঁছে গেলাম স্নোরক্লিং এর টিকিট কেনার অফিসে। বিকেল পাঁচে বন্ধ হবার কথা থাকলেও আমরা আসবো বলে ছয়টাতেও খোলা ছিলো এর দরজা।
চলবে।
মন্তব্য
এইসব পোস্ট আমরা পড়ি না... পঁচা পোস্ট
মাইনাস
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
যেতে বললে রাজী হননা, এখন হিংসায়িত হয়ে লাভ কী?
আবারো বলি ঈদের পর একমাসের জন্য আমার সাথে চলেন, সেইরকম জায়গায় নি্যে যাবো।
...........................
Every Picture Tells a Story
এবার যাবোই।
আর মালয়েশিয়া ভ্রমণের ছবি দেখেই বুঝছি, ব্যাপক মৌজ করছেন। আর কী করুম
প্রজাপতির ছবিগুলা দেন নাই?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এইবার ইনশাল্লাহ বলেন, নাইলে হইবোনা।
প্রজাপতি পরেরবার।
...........................
Every Picture Tells a Story
এত ভালো আর ভাল্লাগে না।
------------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
এখন এট্টু কষ্ট পাইলাম
...........................
Every Picture Tells a Story
দা...আআআ রু ণ...
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবা...আ...আ...আদ
...........................
Every Picture Tells a Story
আহা অনেকদিন পর আপনার ভ্রমনকাহিনী পেলাম মুস্তাফিজ ভাই।
ছবি, লেখা দুটোই খুব ভাল লাগল।
পরের পর্বের অপেক্ষায়....
ধন্যবাদ। শনি/রোববার নাগাদ দিয়ে দিব।
...........................
Every Picture Tells a Story
এখন পারিনাতো কী হইসে...একদিন আমিও!
ব্যাপক!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
হ, বুঝলাম, একদিন তুমিও...
...........................
Every Picture Tells a Story
আপনার লেখা ভ্রমন কাহিনীর একটা ভালো দিক হচ্ছে যে, প্রচুর তথ্য থাকে সে জায়গা সম্পর্কে। এতে "গিয়ান" বৃদ্ধি পায়
আর খ্রাপ দিক হচ্ছে, ছবি দেখলে গা জ্বালানো ঈর্ষা হয়
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
সবজান্তার গিয়ান বৃদ্ধি!!!
ঈর্ষা গিয়ান বৃদ্ধির অন্তরায়।
...........................
Every Picture Tells a Story
ঘুমাইতে যাচ্ছিলাম। নীড়পাতায় চোখ রাখতেই দেখি আপনার পোস্ট। ঢুঁ মারার লোভ সামলাতে পারলাম না।
এখনকার মন্তব্য শুধুই ছবির জন্য। কী সুন্দর! বিশেষ করে শেষ ছবিটা!
কাল লেখা পড়ে আরেকটা মন্তব্য করবো
আর হ্যাঁ, অবশ্যই চলুক!
আচ্ছা, মন্তব্য শোনার অপেক্ষায় থাকলাম।
...........................
Every Picture Tells a Story
লেখা পড়ে এবং ছবি দেখে ব্যাপক ভালো লাগলো....আজ থেকেই বাবাকে খুচাখুচি শুরু করবো মালেয়শিয়া ঘোরাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য..
জলপাখি
ধন্যবাদ জলপাখি। আশাকরি মালয়েশিয়া ঘুরে আসা হবে আর ফিরে এসে আমাদের কাহিনী শোনাবেন।
...........................
Every Picture Tells a Story
লেখা আর ছবি চমৎকার।
এই মুহূর্তে দুধের স্বাদ ঘোলেই মেটাই আরকি।
ধন্যবাদ।
দুধপানের খবর নিশ্চয়ই পাবো?
...........................
Every Picture Tells a Story
নরজুল ভাইয়ের সাথে একমত।
এইসব পোস্ট আমরা পড়ি না... পঁচা পোস্ট
আমি দিলাম দুইটা মাইনাস।
ছবি যে ভাল্লাগসে, সেইটাও কমু না
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
মাইনাস ভালু পাইলাম।
আর ছবি যে ভাল্লাগসে সেইটা আমি শুনি নাই।
...........................
Every Picture Tells a Story
আপনি না বললেন সিলেট আসবেন। খুব ভাল লিখছেন, ছবি নিয়ে তো নতুন করে কিছু বলার নেই।
ধন্যবাদ ভাই।
হয়তো এই শুক্রবারের পরের শুক্রবার সিলেট যেতে পারি।
...........................
Every Picture Tells a Story
মুস্তাফিজ ভাই বোধহয় ১১ তারিখ যাচ্ছেন। আমিও ১১ তারিখ যাইতে পারি, যদি যান তাহলে আওয়াজ দিয়েন। ফোনসেট ধ্বংস হওয়ার পরে কারো নাম্বার আমার কাছে নাই।
আচ্ছা
...........................
Every Picture Tells a Story
দারুণ ! যেতেই হবে ১বার।পরের পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
ধন্যবাদ সুজন দা। যাবার আগে জানাবেন।
...........................
Every Picture Tells a Story
আপনার ভ্রমন কাহিনীটা অনেক গুছানো, লেখা ও অসাধারন সব ছবির সাথে চমৎকার ভ্রমন কাহিনী খুব একটা পড়তে পাওয়া যায় না। পড়ে আনন্দ পেলাম ... সচল থাকুক আপনার এ প্রয়াস।
--শফকত মোর্শেদ
ধন্যবাদ শফকত। সচল থাকার চেষ্টায় আছি।
...........................
Every Picture Tells a Story
না-আ-আ-আ-হ... এ কিছুতেই হতে পারে না...
যখনি পোস্টের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধির জন্যে প্রার্থনা শুরু করলাম, তখনই দেখি পোস্ট শেষ...
সানওয়ে লেগুণে বাবা একবার গিয়েছিলেন। ম্যালা আগে- বছর দশেকতো হবেই...সেখানকার নানা ছবি দেখে দারুণ লেগেছিলো, তবে ... বলাই বাহুল্য, আপনার গুলোর মতন নয়...
সরীসৃপের ছবিটা তো অবিশেষণযোগ্য হয়েছে...
_________________________________________
সেরিওজা
পরের পর্ব লেখা আছে, এটা প্রথম পাতা থেকে সরে গেলেই চলে আসবে।
সানওয়ের পানিতেই বেশি সময় কাটিয়েছি আমরা। আর আমার নজর ছিলো পাখির ছবি তোলার দিকে।
সানওয়ে কোন এক বছর এশিয়ার বেস্ট থিম পার্কের মর্যাদা পেয়েছিলো, সম্ভবত ২০০৮ সালে, কনফার্ম না থাকায় তথ্যটা মুল পোস্টে দেইনি।
...........................
Every Picture Tells a Story
আপনার লেখা আর দেখা দুটো মিলিয়ে একটা ভার্চুয়াল ভ্রমণ করিয়ে দিল। আপনার ছবির রঙ আর কম্পোজিশনের খেলা অপূর্ব! পরের পর্বের অপেক্ষায়।
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
ধন্যবাদ আপনাকে।
...........................
Every Picture Tells a Story
জটিল ভ্রমন কাহিনি মুস্তাফিজ ভাই।
এরপর কি "লাংকাউই" আসছে? শুনেছিলাম পেনাং এ একটা বাংলা মসজিদ আছে। সেটা কি সত্যি?
আমরা লাংকাউই যাইনি। পেনাং এ মসজিদের সংখ্যা অনেক, বাংলা মসজিদের ব্যাপারে কিছু জানিনা।
...........................
Every Picture Tells a Story
রাগী-রাগী চেহারার পক্ষী, ভুতুম গিরগিটি, তৃপ্ত মা-আদুরে বাচ্চা... সবই ভালু পাইলাম...
''চৈত্রী''
ধন্যবাদ চৈত্রী
...........................
Every Picture Tells a Story
ভালো লাগলো, পুরোণো দিনের কথা মনে পরে গেলো। মুস্তাফিজ, এইভাবে ছুঁয়ে ছুঁয়ে না গিয়ে আর একটু ডিটেইলে লিখুন প্লিজ। তাহলে আপনার লেখা পড়ে বর্তমানের সাথে অতীতকে একটু মিলি্যে নেওয়া যেত। লেখাটার জন্য ধন্যবাদ।
--------------------------------------------------------------------------------
ধন্যবাদ ভাবি। পেনাং পর্বটা একটু বিস্তারিত থাকবে।
...........................
Every Picture Tells a Story
ছবি দেখে লগইন না করে আর পারা গেল না। বাটু কেভে আমিও গেছিলাম বছর দুয়েক আগে, ছবিও তোলা আছে, কিন্তু আপনারগুলার রাজরানীমার্কা ছবিগুলোর পাশে সেগুলারে ঘুঁটেকুড়ানীর মতো মনে হতে পারে।
চমৎকার সব ছবি! বর্ণনাও মুগ্ধ হয়ে পড়লাম। পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি
ধন্যবাদ মামুন ভাই। ছবি না দেখান লেখা তো দিতে পারেন।
...........................
Every Picture Tells a Story
দারুণ!!!!!!!!!!!!!!
_______________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ছবি না লেখা? কোনটা?
...........................
Every Picture Tells a Story
শুধু ছবি দেখে গেলাম।
কেনু কেনু কেনু?
...........................
Every Picture Tells a Story
আপনেরে দেখে খুবই হিংসা হচ্ছে কবে যাবো আমি >??কবে এত টাকা হবে ??
হিংসা হবে কেন? আর আমাকেই বা কোথায় দেখলেন?
...........................
Every Picture Tells a Story
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
...........................
Every Picture Tells a Story
এই ধরনের ভ্রমন আমি হিংসাইলাম, হিংসানো সত্ত্বেও পোরের পোস্টের অপেক্ষায় থাকলাম।:p
>>>আইজুদ্দিন<<<
ধন্যবাদ আইজুদ্দিন।
...........................
Every Picture Tells a Story
ভাই আপনার লেন্স কি? প্রথম দুইটার বোকে দেখে আমি পুরাই কাইত, এত্ত স্মূথ! পুরান দিনের লাইকার মত বোকে.......
.........
আমাদের দূর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
লেন্স ৭০-২০০, ২.৮, ছবিটা তোলা ২০০মিমি তে।
...........................
Every Picture Tells a Story
৬নং ছবিটা অপূর্ব! বাকিগুলিও...
পত্রিকার অ্যাডে দেখলাম অন্য বছরের মত এবারো মালয়শিয়ান ট্যুরিসম কর্তৃপক্ষ সুন্দর প্যাকেজ দিচ্ছে কে.এল., পেনাং আর লাংকাউই ভ্রমণের তুলনামূলক কম খরচেই। ৩০ অগাস্ট তক অফার চলবে বলছে। যাইতাম চাই, কিন্তু হয় না যে!
আর নেপাল মুস্তাফিজ ভাই, নেপাল!! মনে রেখেন একটু এই অধমদের!
____________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আপনারা যে গ্রুপ বানাইছেন তাতে নিজেরাই ত ঘুরে আসতে পারেন।
...........................
Every Picture Tells a Story
সাথে নিতে চান না তাইলে? অ বুনো, অ দুবা দেখ, মনে হয় ভাবীকে ধরতে হবে... কেউ নিল না বলেই না গ্রুপ বানান?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
মন্দিরের সিঁড়ির একটা ছবি আগে কোনো পোস্টে (মাশীদের?) দেখেছিলাম।
আপনার পোস্টের সবচেয়ে ভালো দিক হলো ছবির সাথে প্রচুর তথ্য। হিংসাইলাম।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আমিও দেখেছিলাম, অরূপের পোস্টে কিংবা মাশীদের ফ্লিকারে, মনে নাই। মনে আছে একটা মেয়ের মাথা ছিলো সিঁড়ির উপর, মনে হচ্ছিলো যেন কাটা মাথা।
...........................
Every Picture Tells a Story
লেখাটা পড়লাম। দারুণ লাগলো। তবে আরেকটু ডিটেইল থাকলে ভালো লাগতো বেশি।
পরের পর্ব তাড়াতাড়ি আসুক।
ধন্যবাদ অপ্র।
ডিটেইল দিতে যেয়ে খেই হারিয়ে ফেলি।
দেখি আজকেই দিয়ে দিব।
...........................
Every Picture Tells a Story
গিরিগিটির ছবিটা এত অসাধারণ!! কেমনে তুললেন ভাবতেসি! লাফ দিয়ে সরে টরে যাওয়ার কথা
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
মানুষ দেখতে দেখতে অভ্যস্ত এবং বিরক্ত বলেই সরে যাওয়া নড়াচড়া কিছুই করেনি।
...........................
Every Picture Tells a Story
মা কসম ঠাকুর! দেখে নিয়েন, একদিন আমিও.....
(আপাতত পাঁচ তারা ঠুকে ফুটলাম)
মেনে নিলাম
...........................
Every Picture Tells a Story
দ্রোহীদার মতন কইরা কই, একদিন আমিও ...
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আচ্ছা
...........................
Every Picture Tells a Story
নতুন মন্তব্য করুন