সিলেটের রাস্তাঘাট এখনও ঠিক মতন চিনে উঠতে পারিনি। ২০/২২ বছর আগের সিলেট আর বর্তমানের সিলেটের রাস্তাঘাটের তফাৎ অনেক। ধন্ধ লাগে। শুক্রবার জুন মাসের ১১ তারিখ সকালে সিলেট পৌঁছালে উজানগাঁ ফোনে ধারা বিবরণী দিতে থাকলো, এবারে ডাইনে ঘুরেন, এখন সোজা এরপর বামে মোড়, একটু পর বুঝলাম শুরুতেই আমাদের গন্ডগোল হয়েছে, আমার গাড়ি রাস্তার যে পাশে ছিলো তার উল্টোটা ধরে নিয়ে ধারা বিবরণী চলছে। তার মানে যেদিকে যাবার কথা আমি চলছি তার ঠিক উলটো দিকে, হায় খোদা!
এমনটা হতো না যদি সকালে লীলেন’দা কে পেতাম। গাড়ি নিয়ে বের হয়ে উনার বাসার কাছাকাছি এসে ফোন দিতে যেয়ে দেখি অনিবার্য কারণ বশত উনি যেতে পারছেন না বলে এস এম এস দিয়ে রেখেছেন। একা একা যাবো তাই আবার ঘুরে বাসায় এসে ছোট গাড়ি নিয়ে রওনা দিয়েছিলাম।
লং ড্রাইভে একা চলা কষ্টকর, এক্সেলেটরে চাপ দিয়ে স্টিয়ারিং হাতে বসে থাকা ছাড়া কাজ নাই কোন। কিছুক্ষণ রেডিওর নব ঘুরিয়ে এফ এম স্টেশন গুলোর কথা বার্তায় মাথা ধরে। হঠাৎ ঢাকা বেতারে পেয়ে গেলাম সিনেমার গান। একাকিত্ব কাটাতে রেডিওর সাথে গলা মিলিয়ে আমিও জোরে জোরে গাইতে থাকলাম “দিন যায়, কথা থাকে, সে যে কথা দিয়ে রাখলোনা”।
দেখতে দেখতে নরসিংদী, ভৈরব, আশুগঞ্জ হয়ে জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন চত্বর পেরিয়ে এলাম। এরপরই সরাইল, প্রতিবার এপথে যাবার সময় এখানে এসেই সরাইলের বিখ্যাত সাগরদিঘী আরফালী মসজিদ আর আরফানেসা মসজিদের কথা মনে হয়। মোঘল আমলে বানানো এ দুটো মসজিদ হাইওয়ে থেকে দুই কিলোমিটারের কাছাকাছিই হবে, রাস্তা চিনিনা আর একা একা বলে এবারেও দেখা হলোনা। মাখন চত্বর থেকে সামনে এক কিলোমিটার পর্যন্ত রাস্তার বাদিকের জায়গাটার নাম কুত্তাপাড়া। মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিন গুলোতে এই কুত্তাপাড়া এস ফোর্সের হেড কোয়ার্টার ছিলো। এখান থেকে ডান দিকে মাধবপুরের পথে তিতাস নদীর উপর শাহবাজপুর সেতু। যারা মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ঘটনাবলী জানতে আগ্রহী তারা জেনে রাখুন মুক্তিবাহিনী ডিসেম্বর থেকে এ অঞ্চলে পাকিস্থানীদের উপর প্রচন্ড আঘাত হানে মূলত সেতু দখল নিয়ে, যুদ্ধের ট্যাক্টিকেল দিক দিয়ে এ অঞ্চলের গুরুত্ব ছিলো অপরিসীম। তিতাসের দ্বিতীয় ছোট সেতুর পাশেই রামপুরা গ্রাম, ডিসেম্বরের ছয় তারিখ ১১ বেঙ্গলের মেজর নাসিমের (পরবর্তিতে সেনা প্রধান) নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী এলাকাটা পুনরুদ্ধার করে, মেজর নাসিম যুদ্ধে আহত হন। অনেক মুক্তিযোদ্ধা শহিদ হন, রাস্তার ডান পাশে এক পুকুরের পূব মাথায় এদের সমাহিত করা হয়।
সে সব পেরিয়ে হবিগঞ্জের কাছাকাছি চলে এলাম, সিলেট আর মাত্র ১০০ কিমি, নৈসর্গিক পরিবর্তনের শুরু তার একটু আগে নোয়াপাড়ায় রেল ক্রসিং এর পর থেকেই, চারদিক সবুজ, কাছে দূরে ছোট ছোট টিলা, একটা দুইটা চা বাগানের দিক নির্দেশনা, ছোট বড় নদী, কী সুন্দর তাদের নাম, কুশিয়ারা, খোয়াই। সেই সাথে টিপ টিপ বৃষ্টি। রাস্তায় এককাপ চায়ের বিরতি দিয়ে শাহ জালাল ব্রিজ দিয়ে সুরমা পেরিয়ে শহরে যখন ঢুকছি ঘড়ি দেখে বুঝলাম প্রায় চার ঘন্টা লেগেছে।
সিলেটের ছবিয়ালদের সাথে খাতির পুরোনো। একরকম আত্মার সম্পর্ক বলা চলে। এদেরই একজন জিয়া। আজ আকদ্ হয়ে যাবার কথা। সিলেটে আসা এজন্যই। সে অনুষ্ঠান রাতে, মাঝের সময়টুকু ছবি তুলে আর আড্ডা মেরে কাটানোতে কোন সমস্যা হবার কথা না। সিলেটে ছবিয়ালদের গুরু মোনায়েম ভায়ের কথা আগে বলেছি।
উজানগাঁকে নিয়ে সোজা চলে এলাম উনার বাসায়। বেশ সুন্দর সাজানো একতলা বাড়ি। আদিবা, আনুভা আর তানিফা, তিন কন্যার গর্বিত পিতা মোনায়েম ভাই মানুষ হিসাবেও বেশ মজার। বাবার এই গুণ তিন কন্যাতেও। প্রথম প্রথম একটু দূরে দূরে থাকলেও মিশে যেতে সময় লাগেনি। বেশি খাতির উজানগাঁ’র সাথে, তাকেও দেখলাম ওদের নিয়ে গল্প জুড়ে দিতে।
চা বিস্কিট খাচ্ছি, এরই মাঝে মটর সাইকেল চালিয়ে অপু এসে হাজির। শহরতলীতে টিলার উপর অপুদের বাসা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে না যেয়ে উলটো পথে ওদের বাসায় যাতায়াতের রাস্তার দুপাশ চমৎকার সুন্দর, গতবছর একবার সে রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে ফিরেছিলাম, তখন শুনলাম এই সুন্দর রাস্তার শোভা দেখতে দেখতে মোহিত হয়ে একবার অপুর গাড়ি রাস্তা ছেড়ে নেমে পড়েছিলো। এবারে ওদের বাসায় যাবার কথা থাকলেও সময়স্বল্পতায় হয়ে উঠেনি। যেমন হয়নি আরেক সচল আলমগীর ভায়ের ওখানে যাওয়া কিংবা আরিফ ভায়ের সেদিনই উদ্ভোদন করা কারখানা ঘুরে দেখা।
আমরা গিয়েছিলাম জাফলং এর পথে। গাড়িতে মোট পাঁচ জন। কোন উদ্দেশ্য নাই, শুধু সামনে চলা। সমানে গল্প চলছে গাড়িতে। বিষয় বদলায় খুব দ্রুতই। খাবার গল্প, ছবি প্রতিযোগিতা, ভোলাগঞ্জ, নারায়ণতলা থেকে শুরু করে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, স্পেন পর্যন্ত, কিন্তু বদলায়না আশে পাশের দৃশ্য। উঁচু রাস্তার দুপাশে জমে আছে পানি, বাম দিকে দূরে গ্রাম আর ডান দিকে পাহাড়। সেই পাহাড়ের ফাঁকে ফাঁকে একটা দুইটা ঝরনা অবিরাম পানি ঢালছে। দেখতে দেখতে সারি নদী পেরিয়ে এলাম। চমৎকার নীল পানি তির তির করে বয়ে যায়। ’৪৭ এর দেশভাগের সময় এদিকের মানুষের ভোটে সেই সুন্দরী নদীর শোভা দেখার ভাগ্য নিয়ে আরো সামনে এগিয়ে যাই। চমৎকার সোজা রাস্তার দুপাশ জুড়ে সবুজ গাছের পাতা বৃষ্টিতে ধুয়ে এখন রোদে চিকচিক করছে। এর ছায়ায় ছায়ায় হেঁটে যায় স্থানীয় বাসিন্দারা, কেউ বাজার হাতে, কেউ বা নামাজ পড়ে, কারো কাঁধে পসরা। লাল জামা পড়া ছোট্ট বালিকা রংবেরং এর ছাতা মাথায় চকিতে একবার এদিকে তাকিয়ে রাস্তা পেরিয়ে যায়। আমরা গাড়ি থামাই, ছবি তুলি হ্যাপি নামের ছোট্ট বালিকার। কড়া হর্ণ বাজিয়ে বাস পাশ কেটে বেড়িয়ে যায়। হয়ত গাল ও দেয়, আমরা শুনতে পাইনা।
আবারো গাড়ি ছোটাই, দুপুরের কড়া রোদ যখন সোজা মাথার উপর এমন সময় আবারো পাহাড়ে গাড়ি থামাই। আশপাশ থেকে রাখাল বালক বালিকারা ছুটে আসে। আগ্রহ নিয়ে দেখে ক্যামেরা, ট্রাইপড আর মোনায়েম ভাইকে। উনি একমনে প্যানারোমা তুলে যান ৮এম এম লেন্স লাফিয়ে। আমরাও ছড়িয়ে পড়ি, শুধু আলবাব সহকারীর মত সংগ দেয় মোনায়েম ভাইকে। ঘুমে আমার চোখ জ্বলে, রোদে মাথা। বিবর্ণ চা বাগানের একটা ছায়া গাছে আশ্রয় খুঁজে নেই। সেখান থেকে পাহাড়ের বুক চিরে রাস্তা চলে গেছে তামাবিলের দিকে, সেদিকে তাকাতেই দেখি অদ্ভুত সৌন্দ্রর্য, মেঘালয়ের ঠান্ডা পাহাড় থেকে তখনও কুয়াশা উঠে আসছে। আমি শাটার টিপি।
এরপর আবার যাত্রা। শ্রীপুরের পাথর কোয়ারীর সামনে বিশাল বটগাছের নীচে গাড়ি থামে। হেঁটে হেঁটে নদীর কাছে চলে আসি। এত গরম বাইরে অথচ পানি কত ঠান্ডা, ইচ্ছে করে ঝাঁপিয়ে পড়ি, সাঁতরাতে সাঁতরাতে ওপারে ভারত, স্থানীয় বর্ডার গার্ড নিষেধ করে, শহুরে কাপড় ওপারে আলাদা ভাবে দৃষ্টি কেড়ে নিবে। রোদে পাথর তোলা শ্রমিকের সংখ্যা কম। ছোট ছোট ঝুপরি ঘরে বসে বসে কমদামি সিগারেট টানা আর কোন দালাল কত টাকা কম দিলো তার হিসেব নেয়া। আমি যেয়ে বসি ওদের মাঝে। একজন গামছা দিয়ে বাঁশের ফালি বিছানো বেঞ্চ মুছে দেয়। তাই দেখে আরেকজন হেসে হেসে তার দৃষ্টি ফিরিয়ে দেয় মোনায়েম ভায়ের দিকে, উনি ততক্ষণে কোমড় পানিতে নেমে যেয়ে সুবিধা জনক পাথর খুঁজছেন ট্রাইপড বিছানোর। আমাদের জন্য মাটির মটকা থেকে পানি আসে, চা হয়, বেশী চিনি দেয়া স্পেশাল লাল রংয়ের চা। সেখান থেকে সামনের বর্ডার গার্ডের ক্যাম্পে চলে আসি। পাহাড়ের উপর সতর্ক পাহারা। ওপারে ভারতের ডাউকি শহর। নীচে সারিসারি পাথর টানা নৌকা মালার মতন ছড়িয়ে থাকে। আশে পাশের গাছগুলোর ছায়ায় ছায়ায় সিলেট থেকে মটরসাইকেলে চড়ে আসা জুটি ভাব বিনিময় করে। আমাদের ক্ষুধা পায়। এদিকে খাবার হোটেল পাহাড়ের আরেকপাশে জাফলং শহরের দিকে।
আমরা জাফলং যাই। ছুটির দিন বলে গম গম করছে জাফলং। কাছে দূরের অনেক পর্যটক দল বেঁধে চলে এসেছে বেড়াতে। কোন কোন গাড়িতে মাইক বাজছে। উঁচু হয়ে, নিচু হয়ে, শরীর সামনে বাঁকিয়ে, পেছনে কাত হয়ে হরেক রকমের ক্যামেরায় ছবি তোলা চলছে, সাথে চলছে গবেষনা, পেছনের পাহাড়টা ছবিতে এলো কীনা বা ঐযে দূরে নৌকাটা দেখা যায় তা কতটুকু স্পষ্ট হলো। আমরা পেট পুরে রুটি মাংস ভাজি ডাল দিয়ে খাবার খাই। সূর্য ততক্ষণে পশ্চিমে হেলে গেছে। শেষ হচ্ছে আমার দিনের ঘোরাঘুরি।
মন্তব্য
- ইশ! আমি কখনো জাফলং, তামাবিল, জৈন্তাপুর, মাধবকুণ্ড যাই নাই মুস্তাফিজ ভাই। এত্তো আফসুস লাগে মাঝে মাঝে...!
আপনার লেখার প্রতিটা লাইনে সেই আক্ষেপটা যেনো আরো ছড়িয়ে পড়লো।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
জীবন তো শেষ হয় নাই। সময় আছে। এবারে এলে নিশ্চয়ই সংগী পাবেন সাথে।
...........................
Every Picture Tells a Story
মুস্তাফিজ ভাই আমিও যেতে চাইইইইই!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
...........................
Every Picture Tells a Story
আমার ইদানিংকার একটা অসীম দুঃখ হল আপনার সাথে আলাপ না থাকা, আমি যদি পটিয়ে টটিয়ে আমাকে সাথে নিতে রাজি করাতে পারতাম এমন দু'একটা ছবি ঘোরাঘুরিতে, খালি আপনাদের ছবি তোলা দেখেই ধন্য হয়ে যেতাম মুস্তাফিজ ভাই! এখন এই কাজটা করা আরো জটিল হয়ে গেছে ভেবেই আফসোস লাগছে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আপনার জন্যে আমারই আফসসোস হচ্ছে সত্যি!
এতই চমৎকার এই পাহাড়, ঝরা আর মেঘের কম্বিনেশন, আমার মনে হয় বারবার যাই, ইচ্ছা করলেই যদি বেড়িয়ে পড়া যেত আমি মনে হয় প্রতি বর্ষায় একবার করে যেতাম... মাধবকুণ্ড আমারও এখনো যাওয়া হয় নাই।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
বৃহস্পতিবার রাতে আবারো যাচ্ছি, শুক্রবার রাতে ফিরবো।
...........................
Every Picture Tells a Story
যান, আমাদেরকে ছাড়াই, আর কী বলব?
শুভ হোক পাহাড় যাত্রা।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আপনারে আগে খালি ছবিতে হিংসাইতাম। এখন লেখায়ও হিংসাই
মজা পাইলাম
...........................
Every Picture Tells a Story
হ
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আহা, কি লেখা!!
এই না হলে ব্লগ! এক কথায় অসাধারণ লেগেছে ছবি আর তার সাথের বর্ননা।
ধন্যবাদ বাউলিয়ানা
...........................
Every Picture Tells a Story
সিলেট নিয়ে একটা লেখা আমার জমে আছে অনেকদিন। একদিন সাহস করে লিখে ফেলতে হবে।
অপেক্ষায় থাকলাম
...........................
Every Picture Tells a Story
বছর দুয়েক আগে বন্ধুদের নিয়ে সিলেটে গিয়েছিলাম। জাফলং দেখে খুব হতাশ হয়েছিলাম। নোংরা, ধুলো, ধোঁয়া! আমরা বোধ হয় জাফলং-এর ভুল অংশে গিয়ে হাজির হয়েছিলাম।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
মনে হয় তাই হবে
...........................
Every Picture Tells a Story
ভুল অংশ নারে ভাই, ভুল সময়! আগে যে কী অপূর্ব ছিল তা যে আগে দেখে নাই সে ছাড়া বিশ্বাস করা কঠিন। আমি অনেক খুঁজেও কেন জানি সে সময়ের ছবি গুলা বের করতে পারছি না। হায়রে! ডিজিটাল ক্যামেরার যুগ চ্ছিল না সেটা।
অপরিকল্পিতভাবে পাথর তুলে, নিঃশেষ করে দিচ্ছি আমরা এই অঞ্চলের রূপ... তাও মুস্তাফিজ ভাইয়ের এই সাম্প্রতিক ছবিগুলা দেখে ভরসা হচ্ছে যে এখনো যদি জোর হাতে থামান যায়, টেকান যাবে হয়ত জাফলং-এর কিছুটা লাবন্য!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
একদিন আমরাও! বর্ণনা ছবির চেয়েও বেশি ভালো পাইলাম।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ধন্যবাদ বলাইদা
...........................
Every Picture Tells a Story
হে হে, সবার দেখাদেখি আপনিও 'দা' যোগ করলেন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
দা কুড়াল ভালো, কিন্তু ‘ব’ এর আগে ইকার যোগ করাটা ভালো না
...........................
Every Picture Tells a Story
কইলাম না, কইলেই রাগ করবেন।
আমি আপনাদের জন্য রাস্তায় খাড়ায়া আছি, আর আপনারা ( গরররর ইমো)
আপনার লেখালেখিরেও হিংসা করতেছি ইদানীং।
...........................
Every Picture Tells a Story
আহ! এই হচ্ছে ভ্রমণব্লগ।
মে এর শেষে বৃষ্টির মধ্যে ভোলাগঞ্জের দিকে ঘুরে এলাম। সীমান্তে দাঁড়িয়ে ডিসিশান নিয়েই ফেলেছি- ক্ষমতা দখল কর্বার পরে সর্বপ্রথম কাজ হবে মেঘালয় ইনভেড করে পাহাড় আর ঝর্ণাগু্লো আমাদের দখলে নিয়ে আসা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
লাভ নাই ওডিন। ঠিক একবছর আগে সিলেট ভ্রমণ নিয়ে আমি একটা পোস্টে কষ্ট জাহির করছিলাম যে ওপারে কতো সুন্দর পাহাড় আর ঝর্ণা। আমাদের নাই। সেগুলো কেনো আমাদের হলো না?
জবাবে মৃদুলদা একটা ভালো কথা বলছিলো, আমাদের অংশেও এরকম পাহাড় ঝর্ণা ছিলো একসময়, কিন্তু আমরা সেগুলারে কেটেকুটে সাফ করে দিছি। ওপারেরগুলা দখল করলেও কয়েক বছরের মধ্যে আমরা সেগুলোকেও সমতল বানিয়ে ফেলবো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ফেসবুকে ছবি দেখে লোকজন আমারেও ঠিক এইরকমই বলছে।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ধন্যবাদ ওডিন। চলেন আবার ভোলাগঞ্জ যাই
...........................
Every Picture Tells a Story
আপনার ছবি নিয়ে কথা বলাটা আজাইরা...
কিন্তু আপনার লেখা যে কতো সুন্দর... কী সুন্দর বর্ণনা... মুগ্ধ হয়ে পড়লাম
এবং এক্ষণ আমার সিলেট যাইতে মঞ্চাইতেছে
আমার যাওয়ার খুব ইচ্ছা ছিলো। কিন্তু সময়াভাবে যাইতে পারলাম না
আমি মোনায়েম ভাইয়ের ফ্যান হয়া গেছি। এতো চমৎকার একটা মানুষ!
হিংসা দিলাম আপনের পোস্টে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বৃহস্পতিবার ফাইনাল, আপনার টিকিট হইছে।
...........................
Every Picture Tells a Story
যেমন সুন্দর ছবি, ঠিক তেমনই সুন্দর আর অনর্গল লেখা। মোনায়েম ভাইয়ের সুইট সুইট পিচ্চিগুলারে খুব মিস করি। এবার সিলেট যাবার সব প্রস্ততিই ছিলো কিন্তু জ্বরে পড়ে আর যাওয়া হলোনা। জিয়া ভাই হয়তো নেক্সট টাইম গেলে মাইরই দিবে।
সিলেট আমার সেকেন্ড হোম ... সিলেটের আকাশ-বাতাস-পাহাড়-ঝর্ণা সব, সব ভালোবাসি। ওয়াআআআআআ... সিলেট যেতে চাই ...
===============================================
ভাষা হোক উন্মুক্ত
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
ধন্যবাদ ত্রিবেদি
...........................
Every Picture Tells a Story
বাংলাদেশের এই অঞ্চলটা আসলে মাথা খারাপ করা সুন্দর! আর আপনার ছবির প্রশংসা করে কোন লাভ আছে মুস্তাফিজ ভাই? তাই ঐটা বাদ দেই, শুধু ফ্যান হয়েই থাকি। কিন্তু লেখাটাও খুব খুব ভাল লাগল। আমার খালি মনে হয় আমি সারাজীবন ঐ ঝরা আর পাহড়ের পাশে মেঘের রাজ্যে কাটিয়ে দিলেও কখনো হাঁপিয়ে যাব না!
কিছুদিন আগে নাজমুল আলবাব ভাইই মনে হয় আপনাদের এই ভ্রমণটা নিয়ে একটা লেখা দিয়েছিলেন (গুগলায়তন হঠাৎ কাজ করছে না আমার এখান থেকে কোন কারণে, চেক করতে পারলাম না), ঐখানেও বলেছিলাম, কেমন করে যেন বাবার সিলেটপ্রীতিটা আমার মাঝেও সঞ্চারিত হয়ে গেছে। আর ঐ পাহাড় আর পাথর তুলে পাহাড়ী নদী ধ্বংস করে ফেলার পড়েও আমার সেই ছেলেবেলায় দেখা মোহটা বছর চারেক আগে আবার দেখেও কাটে নাই।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
এ জায়গা গুলো এমন সুন্দর যে বারবার দেখেও আশ মিটে না। এর আরেকটা কারন আমাদের বন্ধুগুলা। কত যে আপন করে নেয় তা না গেলে বুঝা যায় না।
...........................
Every Picture Tells a Story
দুর্দান্ত সব ছবি, তার সাথে অসাধারণ বর্ণনা!
সিলেটে গিয়েছিলাম অনেক আগে কিন্তু জাফলং এ যাওয়া হয় নাই তখন। জাফলং এ যেতে ইচ্ছে করছে...
অনন্ত
ধন্যবাদ অনন্ত
...........................
Every Picture Tells a Story
হ্যাঁ, সত্যি বড় চমৎকার ভ্রমণকাহিনী হয়েছে এটা...
ভ্রমণকাহিনী এরকমই হওয়া উচিৎ। বর্ণনা পরিমিত, সাথে লাগসই ছবি...
_________________________________________
সেরিওজা
ধন্যবাদ সুহান
...........................
Every Picture Tells a Story
দেশে গেলে কয়েক টেরাবাইটের হার্ড ড্রাইভ নিয়ে হাজির হবো আপনার বাসায়। ছবি কপি করে একটা ভল্টে রেখে দিবো। আশা করা যায় শ'দুয়েক বছর পর সেগুলো বিক্রি করে আমার বংশধরেরা বড়লোক হয়ে যাবে!
আচ্ছা
...........................
Every Picture Tells a Story
আপনে লুক্টা খউপ খ্রাপ
আসলেই, কথা ঠিক
...........................
Every Picture Tells a Story
হ
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
...........................
Every Picture Tells a Story
দারুণ লেখা ও ছবি
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ তাসনীম
...........................
Every Picture Tells a Story
অনেক সুন্দর লেখা ও ছবি।
আর প্রিয় দুইজন
উজানগাঁ, লীলেন ভাই।
ধন্যবাদ আপনাকে।
__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!
__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!
ধন্যবাদ সৈয়দ আফসার
...........................
Every Picture Tells a Story
ছবি + লেখা, দুটোই চমৎকার হয়েছে...
ধন্যবাদ স্যার
...........................
Every Picture Tells a Story
মুস্তাফিজ ভাই, বারবার আপনার লেখা পড়ি আর চরম হতাশ হই। এত ছোট লেখা ......... এক নিমেশেই শেষ। লেখা আর ছবি মিলিয়ে আপনি চমৎকার এক আবহ সৃষ্টি করেন আর দুম্ করে শেষ করে দেন।
একটা দুঃখ আছে আমার। আমার তিনজন ফটোগ্রাফার বন্ধু আছেন যাদের দুজন তো জীবিত কিংবদন্তীর পর্যায়ে চলে গেছেন। এরা হলেন গৌতম রাজাধ্যক্ষ, জ্যান গ্র্যারাপ (Jan Grarup) আর পিটার ক্যাটন (Peter Caton)। কিন্তু আমি আজ পর্যন্ত ফটোগ্রাফির 'ফ' টাও ধরতে পারলাম না। কিছুদিন আগে বন্ধু ইমানুয়েলের সাথে শ্রেফ ফাজলামি করতে করতে আমষ্টার্ডামের শিপল এয়ারপোর্ট থেকে একটা নাইকন ডি ৩০০০ কিনে ফেলে তারপর বাস্তবে ফেলেই রেখেছি। মাঝে মধ্যে অটো মোডে দুএকটা খিঁচি। এই আর কি, দুঃখ রাখার জায়গা শর্ট তাই আপনাকে বললাম। এতা দেশে এতো জায়গায় ঘুরি কিন্তু কোনও ভালো ছবি তোলা হয়নি আজপর্যন্ত। এবার ভাবছি সিলেটের দিকে একপাক যেতে হবে, সামনের শীতকালে।
রাতঃস্মরণীয়
আপনার সৌভাগ্য যে কিংবদন্তীদের সাথে জানাশোনা আছে।
চলে আসেন একসাথে সিলেট বেড়ানো যাবে। সিলেটে যা বাড়তি পাবেন তা হলো একদল অসম্ভব ভালো কিছু ফটোগ্রাফারদের আন্তরিকতার ছোঁয়া যা আজীবন মনে রাখতে পারবেন।
...........................
Every Picture Tells a Story
আশায় থাকলাম ভাই। ইচ্ছে আছে দেশে চলে আসার, যদি একটা চাকরি পাই। একসাথে গেলে তো তা দারুন মজার হবে।
রাতঃস্মরণীয়
...........................
Every Picture Tells a Story
অপেক্ষায় থাকলাম।
...........................
Every Picture Tells a Story
আশ্চর্য !!! অলৌকিক! এই মাত্র আধা ঘন্টা আগেও সিলেট যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে উঠেছিলাম (অংশতঃ ঢাকা থেকে বেরোনোর জন্যও)। আমার মাথায় এইরকম একটা পোকা হঠাৎ হঠাৎ করেই মাঝেমধ্যে চিড়িক দেয়। মুহূর্তের ডিসিশনে অনেক সময় দৌড় মারি। এইবারো ৫ মিনিটের খেয়ালে নিকটবর্তী গ্রামীন সেন্টার থেকে মোবিক্যাশে ট্রেনের টিকেট করবো বলে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরে আসলাম। ইচ্ছা ছিল হয় টাঙুয়ার হাওর নয়তো হাকালুকিতে সারাদিন বোটিং করবো কালকে (শুক্রবারে) - ভেসে পড়বো অকুল পাথারে :-D। সম্ভব হলে পালতোলা নৌকায়! টিকেটের ব্যবস্থা করতে না পেরে নিজের উপরেই মহাবিরক্ত হয়ে বাসায় ফিরে কম্পিউটার খুলে ইন্টারনেটে ঢুকতেই দেখি আপনার সিলেটের উপর লেখা ! মনটা দারুন ভালো হয়ে গেল। যেতে না পারার ক্ষোভটা একটু কমেছে (তবে কালকে আশা করি যেতে পারবো)। লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কুলাউড়া, শ্রীমঙ্গল, লাঊয়াছড়া ফরেস্ট, মাধবকুন্ড, জাফলং, তামাবিল এসব জায়গায় গিয়েছি আগে। গতবছর জাফলং আমাকে ভীষন হতাশ করেছে। বহু আগে একবার তামাবিল পর্যন্ত গিয়েছিলাম। মুগ্ধতার সীমা-পরিসীমা ছিল না। মনে হয়েছিল বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা। সেবার জাফলং যেতে না পারায় খুব আফসোস হয়েছিল - শুনেছিলাম সেটা নাকি এর চেয়েও সুন্দর জায়গা। তো এতবছর পরে সেই জাফলং গিয়ে, মুগ্ধতা নয় - এবার হতাশার সীমা-পরিসীমা থাকলো না। সেই সৌন্দর্যের আর চিহ্নমাত্র নাই। কোথায় গেল সেই সুনাসান নিরব - নির্জন রূপকথার মত অপূর্ব জঙ্গলে ঢাকা টিলা আর তার মধ্য দিয়ে ততধিক নির্জন সরু আঁকাবাঁকা রাস্তা ?? কিছুই নাই। অন্ততঃ আমি পাই নাই। এখন সব একদম সমান আর ন্যাড়া। সব সৌন্দর্য এখন ওপারে। আমার অবস্থা রাজা সিসিফাসের মতো। দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া আর কিছুই করা ছিল না।
আমার কাছে এখনও এ জায়গা গুলো ভালো লাগে।
সচলে আমার প্রথম লেখাটাই ছিলো ব্লু মুনের রাতে নদীতে কাটানোর গল্প নিয়ে। আমারও ইচ্ছা করে কোন এক ভরা পূর্ণিমায় টাংগুয়ার হাওড়ে নৌকা ভাসাতে।
...........................
Every Picture Tells a Story
ও বাবুমশায়, আমারে না লিয়েই সিলেট যাইতাছ, কামটা কি ভাল করলা গো বাবুমশায়?
বাবুমশায় সারাটা বছর ঘোরাঘুরিতে থাকে, সাথে জুটলেই হয়।
...........................
Every Picture Tells a Story
সিলেটে হাতে গোনা যে দু'য়েকটা জায়গায় গিয়েছি, তার মধ্যে আমার কাছে সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছে শ্রীমঙ্গল আর মাধবকুন্ড (জলপ্রপাত)। বিশেষ করে শ্রীমঙ্গল ফাটাফাটি - বিশেষ করে যদি লাউয়াছড়া রিজার্ভড ফরেস্টের ভিতর বা একদম সন্নিহিত কোথাও রাত কাটানো যায় (শ্রীমঙ্গল টাউনে না)। লাউয়াছড়া রিজার্ভড ফরেস্টের ভিতর একটা বনবিভাগের বাংলো আছে। খুব সম্ভবত ৩টা (এসিসহ) বেডরুম, লাউঞ্জ, ডাইনিং রুম, কার পার্কিং ইত্যাদি সহ। অসাধারন পরিবেশ। আমি থাকিনি, তবে গিয়েছি। মনে হয়েছে এখানে ২/১ দিন থাকতে পারলে দুর্দান্ত হত। বিকাল ৫টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত বাইরের দর্শনার্থীর প্রবেশ নিষিদ্ধ। তখন জঙ্গল পুরোপুরি জঙ্গল। নির্জন জঙ্গলে একাকী রাত কাটানোর অনেক দিনের ইচ্ছা। জঙ্গলে রাতের একটা ইউনিক নিজস্ব সংগীত আছে। এটা হয়তো এখানে পাওয়া যাবে। পরদিন ভোরে এমন সব প্রানীর শব্দে ঘুম ভাঙবে যা বাংলাদেশে বোধয় আর কোথাও পাওয়া যাবে না, দেখা যাবে না, শোনা যাবে না। যারা থেকেছেন তারা আরো ভাল বলতে পারবেন। তবে এই বাংলোয় পয়সা দিয়ে যে কেউ থাকতে পারে না। বনবিভাগের কারো সাথে আপনার পরিচয় থাকতে হবে এবং নিদেনপক্ষে একমাস আগে জানাতে হবে। এইটাই জানলাম। এর থেকে ভালো বুদ্ধি কারো জানা থাকলে জানাবেন প্লিজ!
রিজার্ভড ফরেস্টের বাইরে আছে ফিনলে টী এস্টেট। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় টী এস্টেট। বিশাল। এটার ভেতরও ফাটাফাটি। এখানে কাছাকাছি আছে টী-বোর্ডের রিসর্ট/বাংলো/কটেজ। এটাও নাকি দারুন। এখানে থাকা যায়। দৈনিক বোধহয় ৬-৭ হাজার টাকায় কটেজ। ঠিক জানি না। তবে এটা ঐ ফরেস্ট বাংলোর মত অতটা রোমান্টিক পরিবেশে না বোধহয়। তবে অপেক্ষাকৃত সফিস্টিকেটেড মনে হয়। দেখিনি। টাঊনেও থাকা যায় অনেক সস্তায়, তবে জঙ্গলের মজা নাই।
শ্রীমঙ্গল/লাউয়াছড়া একমাত্র শীতকালেই ঠিকমত এঞ্জয় করার জায়গা। গরমে একদমই না। গরমে যেতে চাইলে (বিশেষ করে পানি নেমে যাওয়ার আগে) আমার অন্তত ইচ্ছা টাঙুয়ার বা হাকালুকি হাওর অঞ্চল। কালকে যদি পারি যাব। হাকালুকি আগে গিয়েছি। এবার ইচ্ছা সুনামগঞ্জের টাঙুয়া। এদিকে আগে যাইনি। কেউকি বলবেন টাঙুয়ার হাওরে বোটিং করতে চাইলে কি করা যায়? সুনামগঞ্জ টাউন থেকে যাওয়ার সবচেয়ে ভালো কি ব্যাবস্থা ? কিম্বা কোথায় আগে যেতে হবে হাওরে যাওয়ার আগে ? গেলেই নৌকা পাব ? বিশেষ করে পালতোলা নৌকা সারাদিনের জন্য রিজার্ভড ? নাকি আগে থেকে স্থানীয় কারো মাধ্যমে অবশ্যই এরেঞ্জ করে যেতে হবে ?
এই লেখা দিয়েইতো একটা পোস্ট দিয়ে দিতে পারতেন। যাহোক লাউয়াছড়ার পাশে সাতছড়ি আর পাত্রখোলা নিয়ে নীচের লেখাটা পড়ে দেখেন, ভালো লাগবে আশাকরি।
http://www.sachalayatan.com/mustafiz/30516
...........................
Every Picture Tells a Story
কোনো মন্তব্য করবো না। খালি হিংসা লাগে !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
দাদা যোগ ব্যায়াম করেন, হিংসা কমে যাবে।
...........................
Every Picture Tells a Story
নতুন মন্তব্য করুন