তুমি কি বুঝতে পারছো গতকাল এখানে এসেছিলাম আমরা, জায়গাটা চেনা চেনা লাগছে কি? হুম, আমি জানতাম তুমি বলবে একবার মনে হয় এসেছিলাম আবার মনে হয় না তো ঠিক এরকমই হবে সেই জায়গাটা। আসলে এরকমই হয়, প্রতি মুহূর্তে এখানে রূপ পাল্টায় সুন্দরবন। প্রকৃতির এই বিশাল সম্ভার কখনোই একেবারে পুরোপুরি মেলে দেয় না নিজেকে। তাছাড়া বনের পারিপার্শ্বিকতাও আমাদের দেখার চোখ আর মনকে প্রভাবিত করে। তাই চেনা জায়গাকেও আবার নতুন করে চিনতে হয়।
গতকাল যখন এসেছিলে তখন ছিলো ভোর, সূর্য তখনও সমুদ্র থেকে উঠে আসেনি। পাতলা একটা কুয়াশার চাদর ঢেকে রেখেছে চারদিক, তুমি কি খেয়াল করেছিলে সেই কুয়াশার রঙ নীল? ভাঙা কাঠের পুল বেয়ে হাঁটতে হাঁটতে ভাবছিলাম কুয়াশার রঙ এখানে নীল কেন হবে, পরে বুঝলাম শিশিরে ভেজা সবুজ হলুদ গাছের পাতা থেকে ঠিকরে বের হওয়া আভাতেই উপর দিকে নীল দেখাচ্ছে, সূর্যের আলো বাড়তে থাকলে কুয়াশাগুলো যখন উপর দিকে উঠতে থাকবে নীল রঙ আর থাকবে না। এই যেমন আজকে, দেখো। কী মজার, তাই না?
ইসসস... সা-ব-ধা-ন... , দৌড়াবে না, আমি হাতের কাঠিটা ডানে নাড়ালে তুমি বাম দিক দিয়ে বেড়িয়ে যাবে, আরেকটু সামনে যাও, আস্তে, এখন দাঁড়াও আমি আসছি। বাহ্, ভালো একটা জিনিস দেখতে পেলে, এটা ছিলো শঙ্খচূড়, ইংরেজি কিং কোবরা, তবে প্রচলিত কোবরা বা গোখরার মতন এদের মাথার পেছন দিকে চক্রটা থাকে না। কী বললে? হ্যাঁ, প্রথম দেখাতেই আমি খেয়াল করেছি সেটা। গোখরার চাইতে এরা বেশি বিষাক্ত, এর ছোট্ট একটা কামড় আমাদের স্নায়ু নির্জীব করে দিতে পারে দশ মিনিটেই। অন্য সাপ খেয়ে বেঁচে থাকা শঙ্খচূড় সুন্দরবনের বিষাক্ত প্রাণীগুলোর মাঝে প্রধান। আহ্ কী যে বলো! এটা ছোট সাপ? দাঁড়াও একটা ছবি তুলেছি, দেখাবো তোমাকে, কুণ্ডলী পাকিয়ে শুয়ে ছিলো বলে বুঝতে পারোনি, শঙ্খচূড় প্রায় ১৮/১৯ ফুট লম্বা হয়, আর এটা ছিলো ১৫ ফুটের বেশি!
এই একটা ঘটনাতেই চারদিক কেমন অন্যরকম হয়ে গেলো খেয়াল করেছো? নিজের কথাই ভাবো, তুমি কি আরেকটু বেশি সতর্ক হয়ে যাওনি? সামনের এই ছোট্ট ঝোপটা পেরুতে এখন আগের চাইতে দুইগুণ সময় বেশি নিবে তুমি আমি জানি। আচ্ছা ঠিক আছে, ঝোপের মাঝ দিয়ে যাবার দরকার নেই, ডানে ঘুরে চলে এসো। নিচের দিকে তাকাও, এগুলো হরিণের দাগ, হ্যাঁ, যখন জোয়ার থাকে পানি এখানেও উঠে আসে, জোয়ার নেমে গেলে কাদা মাটিতে হরিণ হেঁটে গেলে পায়ের ছাপ রেখে যায়, এই যে চষা জমিনের মতন অগুনতি পায়ের ছাপ এগুলো একদিনে হয়নি, মানুষের পদচিহ্ন এদিকে পড়ে না বলেই ক্রমাগত খুরের ছাপ পড়তে পড়তে এখন চষা জমিনের মতন দেখাচ্ছে। এই যে লম্বা গাছগুলো দেখছো, এগুলো কেওড়া, এখান থেকে কিছু পাতা ছিড়ে নিচে ফেলে গাছে উঠে চুপচাপ ঘণ্টাদুয়েক বসে থাকো, দেখতে পাবে একদম কাছে থেকে বন্য হরিণ, চিড়িয়াখানার হরিণের চাইতে এদের গায়ের রঙ উজ্জ্বল আর আরো বেশি সতর্ক, তোমার একটু নড়াচড়াতে কোথায় যে পালাবে সারাদিন আর খুঁজেই পাবে না। তারপরও এরা বাঘের খপ্পরে পড়ে। বাঘ তো বাঘ আমাদের আবদুল ওয়াহাবের কথা বলেছিলাম তোমাকে? বাপ্পিদার সহকারী এ ছেলেটা এত সতর্ক হরিণকেও হাত দিয়ে ধরে নিয়ে আসে! এই ওয়াহাবের সেদিন কী হয়েছে শোনো।
সেদিন এক মাছ ধরা দলের ট্রলারে করে ভেতরে যাচ্ছিলো ওরা, ট্রলারে বাঁধা প্রায় ২০টার মতন নৌকা, খালে খালে একেকটা নামিয়ে ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা নেমে গেছে, ছোট্ট একটা খালে ট্রলার তখন, এমন সময় হঠাৎ গুলির শব্দ, ওয়াহাব তাকিয়ে দেখে বোটম্যান পরে যাচ্ছে কাত হয়ে, সাতপাঁচ না ভেবে পেছনে ডিগবাজি খেয়ে টুপ করে পানিতে নেমে যায় ওয়াহাব, সে সাঁতরে ওপারে উঠার আগেই মাঝি ছাড়া ট্রলার যেয়ে ঠেকে ডাকাতদের বোটে, ওপারে গাছের আড়াল থেকে বিস্মিত ওয়াহাব দেখে কী নির্দয় পিটুনি দিচ্ছে ডাকাতরা তার সহযাত্রীদের, শেষ পর্যন্ত ট্রলার ফুটো করে দিয়ে একজনকে নিহত আর একজনকে জিম্মি হিসাবে আটক করে চাঁদার দাবি জানিয়ে ফিরে যায় ডাকাতরা। বনজীবীরা হিংস্র পশুর চাইতে বেশি ভয় করে সুন্দরবনের এই ডাকাতদের। সুন্দরবনের কোথায় ডাকাত নেই? গামা, জুলফিকার, রাজু এরকম বিভিন্ন বাহিনীর নাম তো গতকালই শুনলে। বাঘকে এরা মামা বলে আর ডাকাত দলের নাম বলে ছোট ভাই, বড় ভাই। গতকালের কথাই ভাবো, এত কষ্ট করে দুবলার চরে যেয়ে ডাকাতদের হুমকিতে ফিরে আসতে হলো আমাদের। আমরা নাহয় বেড়াতে যেয়ে ফিরে এলাম, কিন্তু যারা সেখানে থাকে ওদের কথা একবার ভেবেছো তুমি? অসম্ভব সাহসী যেই মানুষগুলো অসীম সাগরের গভীর থেকে মাছ তুলে এনে আমাদের খাবার যোগায় এই এরাই ডাঙাতে কত নিরুপায় জীবন কাটায়? গতকাল আমরা যদি সেখানে না থাকতাম বাইরের দুনিয়া জানতেই পারত না কী ভয়ংকর লুটপাট আর তাণ্ডব চালিয়ে আটজনকে ধরে নিয়ে গেছে সেখান থেকে।
সাবধানে পা ফেলো, নিচে যে শূলগুলো দেখছো এগুলো গাছের শিকড়, নোনা পানিতে মাটি ঢেকে যায় বলে বাতাসের জন্য শিকড়গুলো এভাবে উপরে উঠে আসে, মাথায় ধার আছে, তোমার জুতোর নিচে একবার বেকায়দায় পড়লে জুতো ফুটো হয়ে ব্যথা পেতে পারো। আমাদের যারা স্যান্ডেল পায়ে এসেছে তাদের দিকে তাকাও, আমাদের চাইতে হাঁটার গতি ওদের অনেক কম, আর খালিপায়ে যারা? তুমিই বলো কেন তারা খোলা জায়গায় বসে আছে?
দেখো, চারদিক আবারো কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে আবার, এখানে হাত দশেক দূরেও কিচ্ছু দেখতে পাবে না তুমি, শুধুমাত্র আবছা একটা ছায়া ছায়া ধোঁয়াশা ছাড়া, আমরা এখন কুয়াশা সরে না যাওয়া পর্যন্ত সব একত্রে এক জায়গায় দাঁড়াবো। বসতে চাইছো? এই গাছের গুড়িতে বসতে পারো। কী বললে? জোঁক? নাহ্, নোনা পানিতে জোঁক থাকে না, তবে গুড়ির খোঁড়লে কাঁকড়া পেতে পারো কিংবা গুঁড়ি থেকে কয়েক হাত উপরে শামুক, পানি নেমে গেলেও ওরা নামার সুযোগ পায়নি। গার্ড দুজনকে খেয়াল করেছো? রাইফেল তাক করে আমাদের দুপাশে কেমন দাঁড়িয়ে গেলো? ওরা আমাদের চাইতে সুন্দরবন অনেক ভালো চেনে, এই প্রকৃতিই ওদের অন্ন যোগায় তাই এই প্রকৃতিকে ওরা চেনে, ওদের দৃষ্টি খেয়াল করো, আমাদের মতন সামনের দিকে না তাকিয়ে কেমন নিচের দিকে তাকিয়ে আছে? ওরা জানে বিপদ এলে তা আসবে নিচের দিক থেকেই, কুয়াশা সরে না যাওয়া পর্যন্ত দেখো ওরা এভাবেই আমাদের ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকবে, প্রমাণ চাও? ছবি তোলার জন্য একটু এদিকে ঘুরে দাঁড়াতে বলে দেখো তোমার কথার পাত্তাই দেবে না এখন।
আহ্, চিৎকার করো না, তোমাকেই বা কী বলবো, আমারই খুশিতে নাচতে ইচ্ছা করছে এখন। পাতার আড়াল থেকে কুয়াশা ছিঁড়ে আসা এ আলোর রূপ সুন্দরবনের গভীরে বসে আস্বাদন করার আনন্দই আলাদা। দেখো, সব ভুলে সবাই কেমন ছোটাছুটি করে ছবি তুলছে। তুমি কী জানো বাংলাদেশের সেরা সেরা কয়েকজন ফটোগ্রাফার এখন আমাদের সাথে? তুষার, আখলাস, হাসান, মাহবুব এরা সবাই আন্তর্জাতিক মানের তাছাড়া আমাদের শাওন, জাহিদ, জিলাল, রাশেদ, পারভেজ কিংবা মফিজ ভাই প্রত্যেকের ঝুলিতে বেশ কয়টা পুরস্কার আছে শুধুমাত্র ছবি তুলে। তাদের তুলনায় আমি নস্যি। ওরা ছবি তুলুক, আমি বরঞ্চ তোমার সাথে গল্পই করি।
কী গল্পই বা করবো তোমার সাথে? এই নির্জন, নিস্তব্ধ গহীন বনে এসে ছেলেটার জন্য মন খারাপ লাগছে আমার। ওর জন্য তোমার মনটাও যে ভালো নেই তা গতকালই টের পেয়েছি আমি। দুবলায় হঠাৎ পাওয়া মোবাইল কানেকশনে মাতিসকে যখন জিজ্ঞেস করলাম “কেমন আছো, বাবা?”, সে উত্তর দিলো ভালো নেই। আমি তো আমার ছেলেকে চিনি, সে যখন বলেছে ভালো নেই নিশ্চিত কিছু একটা দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে তখনই আন্দাজ করেছিলাম। নিজে থেকে বলেনি দূরে থেকে দুশ্চিন্তায় যাতে আমাদের বেড়ানোর আনন্দ মাটি না হয়। অথচ দেখো তাকেও কিন্তু আমাদের সাথে চলে আসতে বলেছিলাম, কিন্তু তার কথা ছিলো আমাদের সাথে তো আরো বেড়াতে পারবে সে, কিন্তু ওর প্রবাসী চাচাত ভাইয়েরা তো চলে যাবে কদিন পরই, তাদের সাথে দাদাবাড়ি যাবার আনন্দটা সে কোনোভাবেই ফেলে দিতে পারছিলো না। সে আনন্দে এখন উঁচু খড়ের পালা থেকে পড়ে গিয়ে পুরো হাতে প্লাস্টার নিয়ে বিছানায় শুয়ে আছে। দশ পেরুলো ছেলেটা, দেখতে দেখতে বড় হয়ে যাচ্ছে।
উঠছো যে? ও, ওদিকে যাবে? চলো। হ্যাঁ, সূর্য এখন রঙ ছড়াতে শুরু করেছে, চমৎকার আলোছায়ার খেলা চারদিক। আর আলোগুলোও কেমন অদ্ভুত, সোনালি আলো আস্তে আস্তে সরে যায়, ছড়িয়ে যায় আর কোথাও কোথাও হালকা থেকে আস্তে আস্তে তীব্র হয়ে উঠছে। ছবিতে এ রঙ ধরার ক্ষমতা এখনও হয়নি আমার। চলো তো দেখি সবাই উপুড় হয়ে কীসের ছবি তুলছে সেখানে, ওহ্ এটা একটা নালা, প্রায় শুকনো কাদাহীন নালায় ভেজা ভেজা শূলগুলোতে রঙের কী অদ্ভুত খেলা। চমৎকার একটা দৃশ্য। এ নালা আর কিছুক্ষণ পরই জোয়ার এলে পানিতে ডুবে যাবে, তখন কী আর কল্পনায় আসবে কিছুক্ষণ আগেই এখান থেকে কোনো অনুভূতি নিয়ে ফিরেছি আমরা।
ফেরার কথা বলতেই দেখো ঘড়িতে তাকালাম। আচ্ছা, তাড়া লাগাও সবাইকে। একসাথে এক লাইনে ফিরতে হবে আমাদের। ঐ যে সোজা রাস্তাটা দেখা যাচ্ছে, দেখো দেখো শেষ মাথায় একটা হরিণ কেমন ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছে, সে রাস্তা ধরে প্রায় আধ কিলোমিটার ভাঙা কাঠের রাস্তার উপর দিয়ে ফিরবো আমরা। পুরোনো কাঠে পা ফেলতে সাবধান, একদম মাঝবরাবর দিয়ে হাঁটতে হবে তাতে নিচের বিমটা সাপোর্ট হিসাবে কাজ করবে, কাঠ ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা কম। দেখো আমরা উঠতেই সবাই বুঝে গেলো এখন ফেরার পালা। আগামী কিছুসময় এমনকি নাস্তা করবার পরেও দেখবে এদের ছবি নিয়ে কথা বলার বিরাম নেই, কে কেমন ছবি তুললো কিংবা কার তোলা কোন ছবিটা ভালো হয়েছে এসব নিয়ে কথা বার্তা চলতেই থাকবে পরবর্তী কয়েক ঘন্টা। এসবে যোগ না দিয়ে বরঞ্চ আমরা চলো অপেক্ষা করি কেওড়াশুটিতে করা আলমগীর ভাইয়ের ভিডিও দেখার।
মন্তব্য
দারুণ!!!
লেখার স্টাইলটা বেশি জোশ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ নজরুল ভাই। এখন আবার বইলেন না নাটক লেখতে
...........................
Every Picture Tells a Story
কি সুন্দর! কি সুন্দর! ইশ!
কখনো দেখা হবে না।
কখনো না।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
ধন্যবাদ সুরঞ্জনা। একদিন দেখবে ঠিকই ঘুরে এসেছো।
...........................
Every Picture Tells a Story
নজরুল ভাই যেটা বললেন, লেখার ধরনটা সত্যিই দারুণ। খুব আপন মনে হয়। পড়তে গেলে প্রত্যেক পাঠকেরই মনে হবে যেন আপনি তাকেই গল্প শোনাচ্ছেন।
"অসাধারণ" তো এখন আপনার জন্য একেবারেই সাধারণ বিশেষণ হয়ে গেছে! তাই আর বললাম না। ছবিগুলো খুবই সুন্দর। লেখা তারচেয়েও বেশি।
মুস্তাফিজ ভাই, সম্ভব হলে সুন্দরবন নিয়ে একটা বই (ভ্রমণকাহিনী) লেখেন, আপনার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে। ছবিসহ। অন্যদের কথা জানি না, ব্যক্তিগতভাবে আমি খুবই আগ্রহী হবো এই ব্যাপারটাতে।
ধন্যবাদ প্রহরী। বই লেখায় অনেক হেপা। তার চাইতে ভালো এভাবেই লেখতে থাকি।
...........................
Every Picture Tells a Story
মুস্তাফিজ ভাই আপনি তো ফাটায়ালতাছেন
এইবার সুন্দরবন থেকে ফিরে আসা আপনার লেখাগুলো (এখন পর্যন্ত দুইটা) পড়ার সময় একবারো ছবির দিকে তাকাতে ইচ্ছা করছিল না। কারণ ছবি থেকে ওগুলো বেশি বর্ণীল...
০২
এইটা দুর্দান্ত একটা ফর্ম কিংবা স্টাইল
সুন্দরবনের চিঠি নামে এইরকম সবগুলারে একটা সিরিজে ঢুকিয়ে দেন
০৩
আমি ভাঙাচোরা কিছু একটা দাঁড় করাচ্ছি
আপনার লেখা থেকে অনেকগুলা তথ্য নামধাম কিন্তু আমাকে কাটিং পেস্টিং করতে হবে স্যার
ধন্যবাদ লিলেন দা। এখন বলেন লেখা বা ছবির চাইতে কেওড়াশুটি আসলেই বর্ণীল ছিলো কীনা?
এটা আর সিরিজ হবেনা, এর পর তো আর লেখা নেই।
আপনার আরো তথ্য দরকার হলে জানাবেন।
...........................
Every Picture Tells a Story
যেমন ছবি তেমন অসাধারণ বর্ননাভঙ্গি। সুন্দরবন যাওয়া হলো না এখনো। ছবিগুলো যত সুন্দর ওখানকার জীবনযাত্রা সেরকম কঠিন বুঝতে পারছি।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
সেই পুরনো কথা, ঘুরে আসেন ভালো লাগবে।
...........................
Every Picture Tells a Story
অসাধারণ। যেমন লেখা তেমন ছবি।
ধন্যবাদ অতিথি
...........................
Every Picture Tells a Story
লেখার ঢংটা দুর্দান্ত।
কিং কোবরার ছবি দেখে হিংসা হল।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধন্যবাদ ফাহিম হাসান। যেকথা বলা হয়নি, কিং কোবরার এই ছবিটা সহযাত্রী জাহিদ হাসানের তোলা, আমারটা ভালো আসেনি।
...........................
Every Picture Tells a Story
লেখার স্টাইলটা মারাত্মক ছলনাময়ী। একবার মনে হয় প্রাইমারি স্কুলের পাঠ্যপুস্তক, একবার প্রেমপত্র, আরেকবার কবিতা। আমার সাদাকালো ছবি ভাল্লাগে না। ছবি দেখে মন খারাপ হয়ে যায়। শঙ্খচূঁড়টাকে খুব নিঃসঙ্গ মনে হচ্ছে। তার লেজটা কি ভাঙ্গা?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ধন্যবাদ বলাই'দা। আমার স্ত্রী কে সাথে নিয়েছিলাম, গল্পটাতে সেই ছোঁয়া আছে। শঙ্খচূঁড়ের ছবি দেখে লেজ ভাঙ্গা মনে হয়, সামনা সামনি খেয়াল করার সূযোগ পাইনি, দেখা দিয়েই মিলিয়ে গিয়েছিলো।
আমার সাথে সব বাঘা বাঘা ফটুয়াল ছিলো, সবাই রঙ্গীন ছবি তুলেছে তাই আমি সাদাকালো।
...........................
Every Picture Tells a Story
বলাই'দার সাথে ১০০ভাগ সহমত
...........................
Every Picture Tells a Story
লেখার ভঙ্গিটা আসলেই মন কাড়া, সুখপাঠ্য
মোহনা'
মোহনা, আপনাকে ধন্যবাদ।
...........................
Every Picture Tells a Story
.
...........................
Every Picture Tells a Story
কত ইচ্ছে ছিল আপনাদের সঙ্গে একবার যাব। আমার বাড়ি ওখানেই। কিন্তু আপনাদের সঙ্গে গেলে কত ভাল্লাগতো!
ছবি আর লেখার কথা কী বলব! সবই অসাধারণ!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমাদের অনেক ইচ্ছাই এরকম অপূর্ন থেকে যায়, এজন্যই আমরা মানুষ, তবে আশা করতে দোষ কী? দেখা যাবে একদিন ঠিকই হয়তো শ্যামনগর ঘুরে এসেছি তোমার সাথে।
...........................
Every Picture Tells a Story
লেখা ছবির চেয়ে ভালু হইলে ক্যামনে কি?
ধন্যবাদ শুভ'দা। লেখা ভালো হইলে তার কৃতিত্ব সচলায়তনের।
...........................
Every Picture Tells a Story
আমি খানিক আগেই খেয়াল করলাম জানুয়ারির শেষে আমার শীতকালীন ছুটি আছে এক হপ্তা। আপনার পরবর্তী অভিযানটা কবে? ২৩-এর পরে হলে তার মাঝে যে করে হোক আমি সব কাজ গুছিয়ে ফেলবো, দরকার হলে দিনে যে ৪ ঘন্টার মত ঘুমাই ঐটাও বাদ দেব। প্রচণ্ড কাজের চাপ, কিন্তু এই ট্রিপ মিস দিতে রাজি না, যা থাকে কপালে!
...........................
Every Picture Tells a Story
দারুণ একটা সিরিজ পড়লাম। মনে হচ্ছিল কে যেন গল্প শোনাচ্ছিল। একটা প্রশ্ন মাথায় চাপলো-- আচ্ছা এই যে অস্ত্রধারী প্রহরী সাথে থাকে, এনারা কি কোনদিন কাউকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পেরেছিল, নাকি এনরা শুধুই মানসিক সাপোর্ট দেয়। প্রশ্নটা হয়তো পূর্ণ হলোনা, বলতে চেয়েছিলাম এনারা অবশ্যই ভালো গাইড এবং বিপদ আঁচ করতে পারেন, কিন্তু এমন কি কখনো হয়েছে যে এত সতর্কতার মধ্যেও একটা বিপদ হয়ে গেছে এবং তাদের অস্ত্র ব্যবহার করতে হয়েছে?
প্রহরী থাকাটা আমাদের জন্য মানসিক সাপোর্ট। গাইডদের জন্য রিলিফ, কারন এই এদের অজুহাত দিয়ে গাইডরা পর্যটকদের ভেতরে যেতে নিরুৎসাহিত করে।
প্রহরীদের কাজ আমাদের পাহারা দেয়া, মোটা দাগে বলতে গেলে ডাকাতদের হাত থেকে নিরাপদ রাখা, সরকারী লোক দেখলে ডাকাতরা এদের এড়িয়ে চলে, এড়িয়ে চলাটা ভয়ে বা শক্তির অভাবে নয়, ভবিষ্যত ঝামেলা থেকে সরে থাকা আর কি।
স্পেশালাইজড্ ট্যুর ছাড়া সাধারণত কোন ট্যুর কোম্পানি আমাদের মতন এত ভেতরে পর্যটকদের নেয়না, বা অনুমতিও পায়না। আর স্পেশালাইজড্ ট্যুর গুলোর যে বিশাল আয়োজন থাকে তাতে সিকিউরিটির ব্যাপারটা আরো উপর লেভেলে হয়।
...........................
Every Picture Tells a Story
অনেক প্রশ্নের জবাব মিলল। ডাকাতের ব্যপারটাও বোঝা গেলো। ধন্যবাদ।
ডাকাতদেরকে দূরে রাখার ব্যাপারটায় তাহলে প্রহরীরা হেল্পফুল?
সাতক্ষীরার বুড়িগোয়ালিনী স্টেশনের কলাগাছিয়া টহল ফাঁড়িতে আব্বা যেবার প্রথম গিয়েছিল বছর দুই/তিনেক আগে তখন অস্ত্রধারী রক্ষীকে জিজ্ঞেস করেছিল সত্যি বাঘ চলে আসলে প্রহরী কিছু করতে পারবে কিনা আদৌ, তার পরিষ্কার জবাব ছিল - 'জি না স্যার।' ভিডিও করা আছে।
তখনো বেশ গা ছমছম লেগেছিল ভিডিও দেখে, কিন্তু এই নভেম্বরে কলাগাছিয়া ফাঁড়ি চাক্ষুস দেখে আমি সামান্য হতাশ, কেমন যেন পার্ক পার্ক ভাব এনে ফেলছে ঐ ফাঁড়ির আশেপাশের বনে মনে হলো। টুরিস্ট বেশি যাচ্ছে মনে হয় ইদানীং।
মুস্তাফিজ ভাই ভালো বলতে পারবেন। তবে হতে পারে আমাদের টিমটাও প্রায় ১০ জনের আর ওদিকে পুলিশের এক বড়কর্তাও পরিবার নিয়ে চলে আসায় গ্যাঞ্জাম বেশি লাগছিল...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
সুন্দরবনের ডাকাতরা মূলত চাঁদাবাজ। পর্যটকদের ডাকাতি করে চাঁদাবাজির সূবর্ণক্ষেত্রটি ওরা হারাতে চাইবে কেনো? সুন্দরবনের চাঁদাবাজির খবর বাইরের দুনিয়ায় কমই আসে, পুলিশি তৎপরতাও তাই কম সেখানে, কিন্তু পর্যটকদের উপর হামলা করলে সব এজেন্সি/মিডিয়া একসাথে হামলে পড়বে তখন এসব চাঁদাবাজের আর বেল থাকবেনা। এটা অবশ্য আমার একান্ত নিজস্ব মতামত।
প্রহরীরাও মানুষ, অস্ত্র থাকলেই যে মানুষ সাহসী হয় সেটা ঠিক না। তবে সুন্দরবনে থাকতে থাকতে এদের ভেতর এক ধরণের সাহস এমনিতেই তৈরী হয়ে যায়। বিপদ এলে এরা কী করবে সে প্রশ্নে না যেয়ে আমি বরঞ্চ আমাদের গত ট্রিপ গুলোতে থাকা গার্ড এমদাদের কথা বলি। এমদাদ সাহসী এবং বিপদ বোঝা আর মোকাবেলা করার মতন যথেষ্ঠ বুদ্ধি ওর আছে। এবারের ট্রিপের একজন গার্ড মাজেদ কে আমার পছন্দ হয়েছে।
বুড়িগোয়ালিনীর সবচাইতে কাছের স্টেশন কলাগাছিয়া (ইঞ্জিন বোটে আধা ঘণ্টার মতন লাগে), কলাগাছিয়ার আশেপাশের জায়গাগুলো এমনকি বুড়িগোয়ালীনিতেও প্রায়ই বাঘ দেখা যায়। স্টেশনের নিরাপত্তার জন্যই এরা স্টেশনকে রংচং মাখিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখে, এর ৫০০মিটার দূরেই ব্যাপারটা অন্যরকম। এমনকি কলাগাছিয়া স্টেশনের যে পুকুরটা আছে তার পাড়ে এখনও কেউ একা যায়না শুনেছি।
যারা ডে ট্রিপে সুন্দরবনে পিকনিক করতে যায় (বিশেষ করে স্থানীয়রা) তাদের দৌড় এই কলাগাছিয়া পর্যন্তই, এর পর থেকেই অনুমতি না নিয়ে সাধারণত কেউ ঢোকেনা।
...........................
Every Picture Tells a Story
কী কন?! আমি তো পুকুর পাড়ে অনেক্ষণ ধরে ভিডিও আর লাল শাপলা আর হলুদ প্রজাপতির ছবি তোলার কসরৎ করলাম একা একা!! এখন তো শুনে ভয় খাইলাম!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
...........................
Every Picture Tells a Story
হাঁ করে দেখি আর পড়ি।
নৌকার ছবিটার পর থেকে ছবি আর লেখার পাশাপাশিত্ব ঘেঁটে গেছে আমারটায়।
এরপর আর লেখা নেই? বলেন কী?
ধন্যবাদ কৌস্তভ। লেখা নেই মানে সুন্দরবন নেই।
...........................
Every Picture Tells a Story
আপাতত মুগ্ধতায় বাক্যহারা, তারা ৫তারা। ভাষা খুজে পেলে আবার আসব কমেন্টাইতে, আপনে অমানুষিক লেভেলের ফাটাফাটি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ধন্যবাদ সাইফ।
...........................
Every Picture Tells a Story
অসাধারণ মুস্তাফিজ ভাই।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদ সচল জাহিদ
...........................
Every Picture Tells a Story
সুন্দরবনে ডাকাতির ব্যাপারটা অনেক পুরোনো। শোনা যায় যে মেজর জিয়াউদ্দিনের সাথে যারা বিদ্রোহ করে সুন্দরবনে চলে গিয়েছিলো তাদের অনেকেই আর লোকালয়ে ফিরে আসেনি। তবে গত কয়েক দশক ধরে ডাকাতির সাথে যাদের নাম শোনা যায় তাদের কেউই অবশ্য জিয়াউদ্দিনের সাথের বিদ্রোহী ছিলোনা। সেই প্রাচীন যুগের বাছের ডাকাতের পর সুন্দরবনের সবথেকে দুর্ধর্ষ ডাকাত সর্দার ছিলো কবিরাজ যাকে জিয়াউদ্দিন এবং কামালউদ্দিন, দুই ভাই বন্দুকযুদ্ধে হত্যা করেছিলো। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন মুক্তা একজন কুখ্যাত বনদস্যু ছিলো। সে কবিরাজের প্রধান সহযোগি দেলোয়ারকে খুন করলে পরে সরকার তাকে একটা পিস্তলের লাইসেন্স দিয়েছিলো। কবিরাজের অন্যতম প্রতিপক্ষ আরেক বনদস্যু সর্দার মনু ভালো হয়ে হুজুর হয়ে গেলে আমার পিতা তাকে একটা চাকরি দিয়েছিলো। এর অবশ্য অনেক পরে মনু অজ্ঞ্যাতনামা ঘাতকের হাতে খুন হয়ে যায়। সরোয়ার ছিলো আরেকজন কুখ্যাত বনদস্যু সর্দার। অনেকদিন তার কোনও খবর জানিনা। আজকাল যাদের নাম শোনা যায় রাজু, গামা, জুলফিকার, এরা আগে যাদের নাম বললাম তাদের তুলনায় শক্তিতে, সাহসে, ক্ষমতায় নিতান্তই শিশু।
সত্যি কথা যে সুন্দরবনের বনদস্যুরা পর্যটকদের কোন ক্ষয়ক্ষতি করেছে এরকম শোনা যায়না। যতদুর মনে পড়ে একবারই অনেক আগে এরকম একটা ঘটনা শুনেছিলাম যে একজন ছাত্রকে অপহরণ করা হয়েছিলো। তার পরও নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা ভালো। সাবধানের মার নেই। আমরা অবশ্য আগে যখন সুন্দরবনে যেতাম, ব্যাপকভাবে সশস্ত্র হয়েই যেতাম। অস্ত্রগুলোর এবং নির্দিষ্ট সংখ্যক গুলির বাৎসরিক অনুমোদন নেওয়া থাকতো। তাই আমরা অনেকটাই নির্ভয়ে বিচরণ করতে পারতাম।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য সংযোজনের জন্য ধন্যবাদ।
...........................
Every Picture Tells a Story
এসব কী লেখেন মুস্তাফিজ ভাই?
কী সব ছবি তোলেন?
মাথার চুল ছিড়তে ইচ্ছে করে। বাংলাদেশের কিছুই দেখিনি আমি। সুন্দরবন তো দুরের কথা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ধন্যবাদ রানা ভাই। যখন দেশে ছিলেন আমি কিন্তু সুন্দরবন নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম, আপনারই সময় হয়নি। আসলে অনেকদিন পর দেশে ফিরলে আত্মীয় স্বজনের বাইরে যেতে ইচ্ছা করেনা বলেই হয়তো সময় করতে পারেননি। পরেরবার অবশ্যই হাতে সময় নিয়ে আসবেন।
...........................
Every Picture Tells a Story
সুন্দরবন মিস করার দুঃখ মনে হয় সারা জীবনেও যাবেনা।
আসলে এবার দেশে যাওয়া হয়েছিল আম্মার অপারেশনের জন্য। তাই একদমই অসম্ভব ছিল আর কোথাও যাওয়া।
পরেরবার দেশে গেলে দেশ না দেখে ফিরবোনা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ভালো, আসেন।
...........................
Every Picture Tells a Story
ছবি সম্পর্কে বলার কিছু নেই। সবসময়ের মতোই অসাধারণ। আর লেখার স্টাইলটা অদ্ভুত সুন্দর। সুন্দরবন নিয়ে একটা সিরিজ চাই মুস্তাফিজ ভাই।
সুপ্রিয় দেব শান্ত
ধন্যবাদ শান্ত।
...........................
Every Picture Tells a Story
ভয়ংকর সুন্দর, লেখা আর ছবি দুটোই। মুগ্ধ, মুগ্ধ, মুগ্ধ।
ধন্যবাদ আনন্দী কল্যাণ।
...........................
Every Picture Tells a Story
ছবি-লেখায় সুখপাঠ্য! প্রেমে পড়ে গেলাম!
হা হা হা, কার প্রেমে পড়লা?
...........................
Every Picture Tells a Story
আপনার ছবি-লেখার!
ধন্যবাদ পান্থ
...........................
Every Picture Tells a Story
গুরু, আপনে কী খান?
অভয় দিলে বলি?
...........................
Every Picture Tells a Story
এ নিয়ে তিনবারের মত লেখাটা পড়লাম, প্রথমবার অবশ্য চুপি চুপি তারা কেটে সটকে পড়েছিলাম। লেখা-ছবি স্রেফ দুর্ধর্ষ।
আরেকটা কথা, হাচলদের তারকাখচিত করার ক্ষমতা দেওয়ার পর আমার প্রথম পাঁচতারাটা আপনার পোস্টেই দেওয়া ।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
অনেক ধন্যবাদ অদ্রোহ
...........................
Every Picture Tells a Story
প্রতি মুহূর্তে এখানে রূপ পাল্টায় সুন্দরবন, সুন্দরবন থেকে ফিরে এসে লেখার স্টাইল পাল্টায় মুস্তাফিজ ভাই...।
এইসব লেখা পড়া আর ছবি দেখার পর ‘হ্যঙ্গওভার’ হয়, কাজকর্মে মন বসে না ... অশ্লিল।
ধন্যবাদ দাদা। লেখার এই স্টাইল হঠাৎ করেই এসেছে। সেখানে ছবি তোলার চাইতে গল্প করেই কেটেছে আমার, সেই ছাপ লেখাতে এসেছে।
চলেন আমরা একবার যাই।
...........................
Every Picture Tells a Story
দুর্দান্ত! স্রেফ দুর্দান্ত! লেখা ছবি সব!
নৈষাদ ভাইয়ের সাথে একমত। এইসব লেখা ছবি দেখলে হ্যাঙ্গভারের মতন হয়। আমার মাথাচোখ এর মধ্যেই ব্যথা করতাছে !
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ধন্যবাদ ওডিন।
...........................
Every Picture Tells a Story
দুটো পর্বই পড়লাম।
আপনি কি ভাবছেন, লেখা-ছবি কেমন লাগছে, সেইটা বলবো?
মোটেই না... ।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ধন্যবাদ পড়ার জন্য। আমি জানতেও চাইবোনা কেমন লেগেছে। এই পোস্টের জন্যই অনেকদিন পর হলেও আপনার দেখা মিলেছে সচলে তাতেই বুঝে নিয়েছি।
...........................
Every Picture Tells a Story
নিষ্ঠুর বিধাতা অনেক মানুষকেই আবেগে উদ্বেলিত হবার মতো হƒদয় দিয়ে পৃথিবীতে পাঠান কিন্ত হাতে গোনা কয়েকজনকে সেই আবেগকে প্রবাহিত করার মতো ক্ষমতা দিয়ে থাকেন। সৌভাগ্যক্রমে আপনি সেই ভাগ্যবানদের একজন, একজন সত্যিকারের শিল্পী।
ধন্যবাদ।
...........................
Every Picture Tells a Story
পড়তে শুরু করার পর (আগেরটা সহ) আমার মনে হচ্ছিলো মাতিসকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন। তাই মনে মনে ভাবছিলাম, এটা তো দারুণ একটা বাবুতোষ লেখা হচ্ছে। কিন্তু যখন মাতিসকের কথা উল্লেখ করলেন, তখন ভাবলাম ভাবীকে উদ্দেশ্য করে লিখছেন।
তারপরেও বলবো, লেখাটা বাবুতোষ হয়েছে। প্রেম ব্যাপারটার মধ্যে একটা বাবু বাবু ব্যাপার আছে মনে হয়। যা ম্যাচিওর মানসিকতার হিসাবে মেলানো সম্ভব না।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এখানে প্রেম কোথায় এলো মনির হোসেন?আচ্ছা বাবুতোষ লেখা লেখতে পেরেছি তাহলে? সেটাও ভালো
...........................
Every Picture Tells a Story
প্রেম কুতায়? হে হে হে, বলাই'দারে জিগান।
আর, বুলছেন প্রেম নাই এই লেখায়? আইজকা বারান্দায় আপনের ঘুম আরামদায়ক হোক বাউল ভাই।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আজকে আমার জায়গা বারান্দাতেই। গাড়ি রাস্তায় রেখে একটু ঘুরে এসে দেখি সামনের বাম্পার হাওয়া। বউ বলছিলো আর সবার মতন বাম্পারের সামনে লোহার আরেকটা বাম্পার লাগাইতে (ঢাকায় প্রায় সবাই লাগায়), আমি লাগাই নাই।
...........................
Every Picture Tells a Story
মনির হোশেনের নাম ভুল বানানে লেখায় দিক্কার আপনাকে ওস্তাদ।
নাম কেটে দিয়েছি
...........................
Every Picture Tells a Story
এই যে আপনের দুঃখে সমদুঃখী আইয়া পড়ছে। আর ডর নাই বাউল ভাই, মেম্বররেও মাঝে মইধ্যে বারান্দায় ঘুমাইতে হয়! তিনি আপনেরে ইহার সুবিধা-অসুবিধা বয়ান করতে পারবেন।
আপনে লেননের মতো গানে টান দেন, "বাট আই অ্যাম নট দি অনলি ওয়ান..."। কয়দিন পরেই আপনেগো বারান্দায়ঘুম পাট্টিতে আরেকজন যোগ দিতাছে, মহামান্য ময়না মিয়া। তারে আহলান সাহলাম করেন।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আহলান সাহলান
...........................
Every Picture Tells a Story
ছবিগুলো স্বপ্নদৃশ্যের মতো...! বর্ণনাও দারুণ...তবে শেষ প্যারাটায় আরেকটু জমাতে পারতেন
ধন্যবাদ।
সেটাই পারিনা, লেখতে লেখতে হয়ে যাবে একদিন
...........................
Every Picture Tells a Story
লেখাটা খুবই ভাল লাগলো, ছবিগুলো অসাধারণ। -রু
ধন্যবাদ রু
...........................
Every Picture Tells a Story
দুর্দান্ত। আপনার লেখা আর ছবি পড়ে এবং দেখে মুগ্ধ হই। সুন্দরবন ভ্রমণের ইচ্ছে আছে সবসময়।
আপনার ব্লগ পড়ে ও দেখে অনেক জায়গা যোগ করেছি। একবার মনে হয় মাস দুয়েকের জন্য দেশে এসে দেখতে হবে সব কিছু
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আরো কত যে দেখার বাকি, সময় বের করাটাই সমস্যা
...........................
Every Picture Tells a Story
ফাটাইসেন
কেওড়াশুটি কি বুড়ি গোয়ালিনীর ধারেকাছে ?
কেওড়া শুটি হিরণপয়েন্টের কাছে। হিরণপয়েন্ট ফরেস্ট স্টেশনের উলটো দিকে যে বন তারই নাম কেওড়াশুটি। গুগুল আর্থ থাকলে এখানে দেখুন
...........................
Every Picture Tells a Story
মুস্তাফিজ ভাই, এক কথায় অসাধারণ বর্ণনা। এক টানে পড়লাম। বেশ লাগলো।
আপনাকেও দেখি আমার মতো সাদা-কালো'র ভূতে পাইছে ... ...
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
ধন্যবাদ ত্রিবেদি। যেসব বাঘা বাঘা লোকজন ছিলো সেখানে আমার তাই সাদাকালোই ভরসা।
...........................
Every Picture Tells a Story
ধন্যবাদ মাহমুদুল হাসান শাহিন, আমিও খুশী হইলাম।
...........................
Every Picture Tells a Story
লেখা ভাল হয়েছে , তবে ছবিগুলো সত্যিই অসাধারন ।বড়ই পুলকিত হলাম। ধন্যবাদ
লেখা ভাল হয়েছে , তবে ছবিগুলো সত্যিই অসাধারন ।বড়ই পুলকিত হলাম।
ধন্যবাদ,
মাহমুদুল হাসান শাহিন
ধন্যবাদ
...........................
Every Picture Tells a Story
বর্ণনা ভঙ্গি, ছবি, এক কথায়- অনির্বাচ্য
আর শঙ্খচূড়ের ছবিটা দেখে তো ভিরমি খেলাম।
ধৈবত
ধন্যবাদ ধৈবত। শঙ্খচূড়টা ছিলো অসম্ভব ক্ষিপ্র, দেখতে দেখতেই হাওয়া।
...........................
Every Picture Tells a Story
ধন্যবাদ রোমেল চৌধুরী
...........................
Every Picture Tells a Story
এই বন, এই নদী, এই বুনো প্রকৃতি, শার্দুল, শ্বাপদ, মানুষ, প্রকৃতির সন্তান সবার আহ্বান শুনতে পেলাম আপনার কন্ঠে, সবাইকে কাছে পেলাম দূরে বসেও! ধন্যবাদ আপনাকে।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
নতুন মন্তব্য করুন