আচ্ছা বাবু কেন লিখেছিলো এই লাইনটি? এটা কি কোনো কবিতার অংশ ছিলো? এতদিন পরে সেকথা আর মনে নেই, মনে হয় ঐ একটি লাইনই লিখেছিলো সে। এই সেই বাক্য, সেই শ্লোগান যার শক্তিতে বলীয়ান হয়ে হাজার হাজার ছাত্রজনতা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো নিজের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে, একটি শ্লোগানের যে কত শক্তি তা সেই সময়কে হৃদয়ে ধারণ না করলে আজ আর কারুর পক্ষেই তা বোঝা সম্ভব নয়।
সে সময়ের আরো একটি শ্লোগান এখনও মনে দাগ কেটে আছে তা হলো মিনার মনসুরের লেখা “রাউফুন বসুনিয়া চেতনায় প্রজ্বলিত সাহস আমার।” দুটো শ্লোগানই যাকে উদ্দেশ্য করে লেখা সে হলো শহীদ রাউফুন বসুনিয়া”। একমাথা ঝাকড়া চুল, ফর্সা, পুরু গোঁফের আড়ালে পাঁচ ফুট ছয় ইঞ্চির তরুণ। নীতির প্রতি অনড়, অটল, সদা হাস্যোজ্জ্বল, বন্ধুবৎসল, একজন ভালো মানুষ, আমার বন্ধু। শহীদ হবার দুদিন আগেই যে নিজের গ্রামের কলেজে এক বক্তৃতায় ছাত্রদের সর্বোচ্চ ত্যাগস্বীকারে প্রস্তুত থাকার কথা বলে ঢাকায় ফিরেই সর্বোচ্চ ত্যাগের পথ দেখিয়ে সারা বাংলার দামাল ছাত্রদের ফুঁসে ওঠার মন্ত্র বানিয়ে নিজেই শহীদ হয়ে গেলো।
বসুনিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলো, সম্ভবত কারমাইকেল কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ঢাকায় চলে আসে। ডাকসুর সে সময়ের ভিপি, জিএস ছিলেন কিংবদন্তিতুল্য মাহমুদুর রহমান মান্না আর একই দলের আখতারুজ্জামান। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ভর্তির ব্যাপারে এঁদের কিছুটা হলেও সংশ্লিষ্টতা ছিলো, মানে প্রভাব খাটাতে পারতেন। সে সময়ের আরেক কিংবদন্তি ছাত্রনেতা বাহালুল মজনুন চুন্নু হাতে ধরে বসুনিয়াকে ঢাকায় এনে আখতারুজ্জামানের হাতে তুলে দেন। আখতারুজ্জামান থেকে মান্না, রাজনীতি নিয়ে চুন্নু ভাইয়ের সাথে এঁদের যদিও মতের অমিল ছিলো তারপরও মান্না বসুনিয়াকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে সহায়তা করেন।
বসুর সাথে আমার পরিচয় ৮৩ সালে। সেবার এক ছাত্রসম্মেলনে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় এলে আমার থাকার বন্দোবস্ত হয়েছিলো সূর্যসেন হলে। সৌভাগ্যক্রমে বসুরই রুমে। বয়সে আমার চাইতে ছোটদেরও আমি আপনি করে বললেও আমার চাইতে বয়সে বড় বসুর সাথে সেই প্রথম থেকেই ছিলো তুমি সম্পর্ক। দিনে দিনে সেই সম্পর্ক আরো গাঢ় হয়েছে। এখনকার দিনের মতন মোবাইল যোগাযোগ না থাকলেও ঢাকা থেকে কেউ ময়মনসিংহ এলে বা এদিক থেকে কেউ ঢাকায় গেলে আমাদের শুভেচ্ছা বিনিময় হতো আন্তরিক। এছাড়া এরশাদবিরোধী আন্দোলনে কিছুতেই পিছু না হটা বা আক্রমণের জবাবে পালটা আক্রমণ করার আলাদা একটা গ্রুপ আমাদের দলেও ছিলো, কিছু বর্ষীয়ান ছাত্রনেতাদের ছত্রছায়ায় সেই গ্রুপে আমরা যারা ছিলাম তাদের নিজেদের ভেতর বোঝাপড়াটাও সে হিসাবে খুব ভালোই ছিলো বলতে হবে। ৮৫’র জুনে পাকাপাকি ঢাকায় আসার আগে যতবার ঢাকায় এসেছি বসুর সাথে দেখা আর পরামর্শ করাটা একটা কারণ ছিলো তার।
সেরকমই একটা কাজে ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখ ঢাকায় এসে বসুর সাথে যোগাযোগ হয়, সম্ভবত সেদিনই সে লালমনিরহাট থেকে ঢাকায় ফেরে। ঢাকা তখন ছিলো উত্তাল এক নগরী। ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখকে সামনে রেখে সবার ভেতরই প্রচণ্ড উত্তেজনা বিরাজ করছে। ছাত্রনেতাদের নিজেদের ভেতরই সন্দেহ আর অবিশ্বাস জন্ম নিচ্ছিলো, কারণ একসাথে গোপন মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়ে সেই সিদ্ধান্ত ছড়িয়ে দেবার আগেই দেখা যেত এদের কেউ কেউ সরকারি ছাতার নিচে চলে গিয়েছে। এমতাবস্থায় বসুর অনুরোধেই ১৪ তারিখ পর্যন্ত ঢাকায় থাকার সিদ্ধান্ত নিই।
১৩ তারিখ বিকেল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা নিশ্চুপ হয়ে যায়, একদম কাজ ছাড়া কেউ তেমন বাইরে ঘোরাঘুরিতে যাচ্ছিলো না। মহসিন হল থেকে যে রাস্তাটা মাঠের পাশ দিয়ে নীলক্ষেতের দিকে গিয়েছে সেই রাস্তাটা ছিলো একদম ফাঁকা। মহসীন হলের মাঠেও দুই একটা গরু ছাড়া খেলাধুলার জন্য কেউই আসেনি সেদিন। এফ রহমান হল সেসময় ছিলো টিনশেডের কতকগুলো একতলা বিল্ডিং যার সবগুলোই এরশাদের পেটোয়া বাহিনীর দখলে ছিলো, শোনা যায় সেসময় তার ঠিক পাশেই থাকা নীলক্ষেত ফাঁড়ি থেকে সবধরনের সহায়তা পেত তারা। সন্ধ্যার আগে আগে একবার মহসীন হলের ছাদে উঠেছিলাম, সেখান থেকে নিচে এফ রহমান হলের জানালায় অস্ত্রহাতে সতর্ক পাহারা আমাদের কারো নজর এড়ায়নি। ঠিক সন্ধ্যা লাগার পরপরই সবগুলো হল থেকেই থেমে থেমে মিছিলের শব্দ শোনা যেতে লাগলো, রাত আটটা নাগাদ সেই মিছিল হলগুলোর সামনে নেমে এলে এফ রহমান হলের দিক থেকে একটা দুটা গুলির শব্দ থেমে থেমে শোনা যেতে থাকে, এরই মাঝে মিছিলগুলো আস্তে আস্তে নিচে নেমে এসে হলগুলোর সামনে একদুবার চক্কর দিলেও বেশিদূর যায়নি। মিছিল আর সাথে উত্তেজনা জমতে থাকে রাত সাড়ে নয়টা থেকেই। মিছিল প্রথমে দলীয় এরপর আস্তে আস্তে সর্বদলীয় রূপ নেয়। ছাত্রদল ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় সমস্ত সংগঠনের সদস্যরাই এতে উপস্থিত ছিলো। ছাত্রদলের সদস্যরা নীরুর নেতৃত্বে কিছুক্ষণ আলাদা মিছিল করে মহসিন হলের নিচে অবস্থান নেয়।
মিছিলের এক ফাঁকে আমরা রাতের খাবার খেয়ে আসি। মহসিন হলের পাশ দিয়ে নীলক্ষেত যাবার রাস্তা গোলাগুলির কারণে বন্ধ থাকায় আমরা সূর্যসেন হলের পাশ দিয়ে কাঁটাবন মার্কেটের একটা ভাঙা দোকানের ভেতর দিয়ে বের হই আর একই রাস্তায় ফিরে আসি। ফিরে এসে বেশ কিছু পরিবর্তন খেয়াল করি, সূর্যসেন হল, রেজিস্টার বিল্ডিং-এর সামনে বসে থাকা পুলিশ তখন সেখানে ছিলো না, বসুর সাথে একটু সামনে হেঁটে এসে দেখলাম ভিসির বাসার সামনের মোড় থেকেও পুলিশ উধাও। অভিজ্ঞতা থেকে বুঝলাম রাতে ভয়ানক কিছু একটা ঘটতে পারে। পুলিশ সরে যাওয়াটা ছিলো একধরণের উসকানির মতন, কেউ চাইছিলো এদিক থেকেও গোলাগুলি হোক, এদিক থেকে গুলি ছোঁড়া মানে বাইরে থেকে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে হলে জমানো, হুলিয়া নিয়ে বেড়ানো অনেকের হলে আগমন, তাতে শেষ রাতের দিকে পুলিশের হল ঘেরাও দিয়ে কিছু আটকের সম্ভাবনা বেশি। আর সেসব খবর প্রেসনোট আকারে ছাপিয়ে ছাত্র আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।
আর একটা উদ্দেশ্য ছিলো ভয়াবহ। একটু খুলেই বলি। সে সময় সরকার-সমর্থকদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশাধিকার ছিলো না। শুধুমাত্র কিছুদিন ওরা এফ রহমান হল দখলে নিয়েছে, শোনা যায় সেটাও নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সহায়তায়। ১৪ই ফেব্রুয়ারির সমাবেশকে কেন্দ্র করে আগের রাতে কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই হলে চলে আসতে পারে, কোনোভাবে রাতে হল ঘেরাও দিয়ে তাদের আটক করতে পারলে এরপর সরকার-সমর্থকদের পক্ষে একটা দুইটা হল দখল করে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব ছিলো। মহসীন হলের কমনরুমে এ নিয়ে আলোচনা হলে সিদ্ধান্ত হয় কেন্দ্রীয় নেতাদের সবাই হল ছেড়ে যাবে। আর সাধারণ ছাত্রদের নিয়ে চেষ্টা করা হবে যাতে এফ রহমান থেকে ওদেরকেই উতখাৎ করা যায়। ব্যাপারটা খুব যে সহজ ছিলো না সেকথা আমার বিবরণ থেকে হয়ত বোঝানো যাবে না। তখনও একনাগাড়ে গুলি চলছে এফ রহমান হল থেকে। সিদ্ধান্ত শেষে মহসীন আর সূর্যসেন হলের ছাত্রদের মিছিল এক করে সংক্ষিপ্ত একটা সভা হয়। বসু তাতে ছোট্ট বক্তৃতা দিয়ে করণীয় জানিয়ে দেয়।
এরপর থেকেই ক্রমাগত চেষ্টা চলতে থেকে এফ রহমানের দিকে এগুনোর। তখন সোয়া দশটার মতন বাজে। এই উদ্যোগের সামনে ছিলো বসু। গুলি আর ককটেলের আওয়াজে কান ভোঁতা হয়ে গেছে আমাদের, একটা গুলি হবার পর পরবর্তী গুলি আসার দুই এক সেকেন্ড বিরতিতে আমরা সামনে আগাই, শুয়ে পড়ি কিংবা গাছের আড়ালে লুকাই, আবার আগাই। ওরা তখন এফ রহমান হলের জানালা ছেড়ে দেয়ালের পেছনে চলে এসেছে, স্পষ্ট ওদের কথা বার্তা শোনা যাচ্ছে। একই সাথে জহুরুল হক হল থেকেও ছাত্ররা বের হবার চেষ্টা চালাচ্ছিলো কিন্তু সোজা রাস্তা বরাবর নীলক্ষেতের দিক থেকে গুলি আসাতে ওরাও বের হতে পারছিলো না। অমিত সাহসে আধ ঘণ্টা চেষ্টায় আমরা ছয়জন বর্তমানের বসুনিয়া গেটের কাছে পৌঁছাই। পৌঁছানোর পর অবস্থা আরো ভয়াবহ হতে থাকে, ল্যাম্পপোস্টের আলোতে সবাইকে দেখা যাচ্ছিলো, ঢিল ছুঁড়ে দুটোর বাতি ভেঙে দিলেও আমাদের সবার চেহারা বোঝা যাচ্ছিলো। সবার পরিচিত বলে বসুর নাম ধরে ওরা অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে যাচ্ছে আর বলছে সরে না গেলে মাটিতেই মিশিয়ে রাখবে। আমরা তখন মাটিতেই শুয়ে ছিলাম, মাথা তুললেই গুলি চলে যাবার শিস দেবার মতন শব্দ পাই। অসীম সাহসী বসু তখন মরিয়া রাস্তার ওপারে যাবার, ওর ধারণা ওপারে যেতে পারলে সেখানে লুকিয়ে থাকা জহুরুল হক হলের ছাত্রদের নিয়ে কোয়ার্টারের ভেতর দিয়ে এফ রহমানের দিকে এগুতে পারবে।
বর্তমানে বসুর আবক্ষ মূর্তির সামনে যেই গাছটা আছে সেটা দেখিয়ে বসু আমাদের বলে গুলি একটু থামলে আমি গাছের ডান দিয়ে আর তোমরা বাম দিয়ে দৌড় দিবে, সে কেন ডান দিক বেছে নিয়েছিলো জানি না, বামদিক দিয়ে গেলে গাছের একটা আড়াল পাওয়া যায়, কিন্তু ডান দিক দিয়ে যাওয়াতো আত্মহত্যার শামিল। আজ এতদিন পরে এসে বুঝি ওর সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী ছিলো। গুলিতে টিকতে না পারা আমাদের কয়েকজনের আর পেছনে অনেকদূর এগিয়ে আসা অন্যদের মধ্যে ফিরে যাওয়ার প্রবণতা ঠেকাতেই সে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। ডান দিক দিয়ে নিজে যাবার কথা বলে আসলে সে আমাদের সাহস যোগাচ্ছিলো। একটা গুলি হওয়ামাত্রই ‘রেডি’ বলেই বসু উঠে দাঁড়ায়, এক লাফে গাছের মাঝ বরাবর চলে গেলে আমিও বামদিক দিয়ে ওপাশে চলে যাই, যেতে যেতে শুনি বসু বলছে “... ... গুলি মেরেছে”, ও আস্তে আস্তে ঢলে পড়ে, মাটিতে পড়ার একটু আগে ওকে ধরে আমিও নিচে পড়ে যাই, কোমরে বসুর গরম রক্তের ছোঁয়া লাগে আমার। সেই মুহূর্তের কথা আমি আর বলতে পারব না। সাথে থাকা আরেকজন (সম্ভবত দুলাল নাম তার) চিৎকার দিয়ে বলে বসুকে মেরে ফেলেছে। আমরা বসুকে নিয়ে শুয়ে থাকি, এর মাঝে আরো দুটো গুলি এসে লাগে বসুর শরীরে, একটা মুখে আর একটা বুকে। থরথর করে কাঁপতে থাকে ওর শরীর। আমার কানে তখন আর কোন শব্দ ঢুকছিলো না। গুলি ককটেল উপেক্ষা করে বসুকে নিয়ে আমরা উঠে দাঁড়াই, মহসীন হলের দিকে তাকিয়ে দেখি হলের ডাইনিং টেবিল এর লোহার টপ ঢালের মতন সামনে ধরে এগিয়ে আসছে ওরা কারা। একটা দুটা দশটা... সম্ভবত সবগুলো টেবিলটপ-ই সেদিন ঢালের মতন সামনে ধরে ওরা এগিয়ে এসেছিলো। সবার আগে ঢালের পেছনে দেখতে পাই তৎকালীন ছাত্রদল নেতা নীরুর মুখ। আমরা ধরাধরি করে ওকে হলে নিয়ে আসি। এরই মাঝে কে যেন অ্যাম্বুলেন্সের জন্য ফোন করেছে, অ্যাম্বুলেন্স এসে আটকে আছে ভিসির বাসার মোড়ে, গুলির জন্য ভিড়তে পারছে না।
হঠাৎ সেখানে থাকা সমস্ত ছাত্র একসাথে গর্জে উঠে। যে যা সামনে পেয়েছে তাই নিয়ে দৌড়ে এফ রহমান হলের দিকে যেতে থাকে, একশ দুইশ হাজারে হাজার। ছাত্রদের এই মিলিত গর্জনে ভয় পেয়ে পিছু হটে সরকার সমর্থক গুন্ডারা। আমি বসে থাকি বসুর সামনে। রাত সোয়া বারোটার দিকে বসু গুলিবিদ্ধ হবার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের অ্যাম্বুলেন্স এসে বসুকে নিয়ে যায়।
সারারাত ছাত্ররা এফ রহমান হল ঘিরে বসে থাকে, সূর্য ওঠার সাথে সাথেই শুরু হয় এফ রহমান হলে ছাত্রদের আক্রমণ। আক্রমণের তোড়ে প্রথমেই উড়ে যায় মহসীন হলের মাঠ বরাবর হলের লম্বা দেয়াল। প্রচণ্ড আক্রোশে একটা একটা করে ইট খসে পড়ে সেই দেয়াল নিমিষেই মিশে যায় মাটিতে, আগুন জ্বলে উঠে এ এফ রহমান হলের টিনশেডে। চিরদিনের মতন শেষ হয়ে যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এরশাদ-সমর্থকদের অধ্যায়।
[/justify]
মন্তব্য
পড়তে গিয়েই এত কষ্ট লাগল আর আপনি কিনা ছিলেন সেখানে।
বসুনিয়া আর সব লড়াকু মানুষদের জন্য
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
কিছু বলার ভাষা পাচ্ছিনা।
বসুনিয়াদের মত শহীদদের জানাই লাখোকোটি সালাম
-অতীত
রাউফুন বসুনিয়া যূগ যূগ বেঁচে থাকো
অজ্ঞাতবাস
অসাধারন বর্ননা মুস্তাফিজ ভাই। আমার মন্তব্য করার মত কিছু নেই। সব শহীদদের আত্মার প্রতি ।
আমার এক দূরসম্পর্কের আত্মীয় ছিল এফ রহমান হলের সেসময়ের পালের গোদা, এরশাদের ধর্মপুত্র। তার নাম টি এম জসিমুদ্দিন জাফর। তার এইসব ভুমিকার কারনে সে পরিবার থেকেও বিচ্যুত হয়েছিলো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
.......................
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
...........
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
শ্রদ্ধা রইলো, বসুনিয়া এবং সমস্ত দৃঢ়চেতা লড়াকু মানুষের জন্য।
চুপচাপ পড়ে গেলাম...
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
অনেক ছোট ছিলাম আমরা। পরে যখন জাতীয় ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়াই, আমরা মিছিলে বলতাম- 'বসুনিয়ার রক্তে লাল বাকশাল বাকশাল'। না বুঝেও বসুনিয়া তখন আমাদের চেতনা। আরো পরে তাকে নিয়ে লিখা কবিতা পড়েছি-শুনেছি। আপনাদের সময়েরই এক জাসদ ছাত্রলীগ নেতার কাছেও বসুনিয়া সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছি। আজ এই লিখাটা পড়ে পুরোনো চেতনার কথা মনে পরল। কোনো এক সময়ে বসুনিয়াকে নিয়ে আরেকটু লিখার অনুরোধ রইল।
অর্জুন মান্না
আপনাদের সবার জন্য শ্রদ্ধা রইল। আগে একটা পোস্টে পড়েছিলাম যে আপনি রাউফুন বসুনিয়াকে নিয়ে কিছু বলতে গেলে আবেগপ্রবন হয়ে পরেন। আপনার আবেগ এই লেখাতেও ফুটে উঠেছে। এই কথাগুলো কীভাবে লিখতে পারলেন ভাবতেই অবাক লাগছে। তারপরেও অনুরোধ করবো, আরও লিখুন, আপনাদের পরবর্তি দিনগুলো নিয়ে লিখুন।
-রু
স্বৈরাচারী এরশাদবিরোধী আন্দোলনে রাউফুন বসুনিয়া শহীদ হন - শুধু এটুকুই জানতাম। সেই ঘটনার রাতে আপনিও সাথে ছিলেন! ...বসুনিয়া তোরণের আশেপাশে আড্ডা দেয়া অনেক ছেলেমেয়েই হয়তো বসুনিয়া কে ছিলেন সেটাও জানেনা। তাদেরকে এসব জানানোর দায়িত্ব আমাদেরকেই নিতে হবে। রাউফুন বসুনিয়া এবং সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা।
গত বসন্তে যুদ্ধে গিয়েছে যারা-
ফিরবে কি তারা সবুজের ক্যানভাসে?
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
...
......
............
বিনম্র শ্রদ্ধ্বা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
সূর্যসেন হলের ছাত্র ছিলাম। বর্ণনায় যেসব জায়গায় উঠে এসেছে, সেসব জায়গা দিয়ে কতবার হেঁটে গেছি। রাউফুন বসুনিয়ার স্মরণে যে তোরণ তার পাশে কত বসেছি। আজ আপনার লেখা পড়তে পড়তে সেদিনের রক্তঝরা দিনে ঘুরে এলাম। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা।
বর্ণনায় যে ইতিহাস উঠে এসেছে তা স্তম্ভিত করে দেওয়ার মত।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
বসু, তুই আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিস। ঘাতক বুলেট তোকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছে। কার বুলেট তোকে বিদ্ধ করেছে, তা আমি নিশ্চিত নই। কেনো নিশ্চিত নই, তা পরে লিখছি।
মোহন রায়হান তোকে নিয়ে কবিতা লিখেছে। আমি ভেবেছিলাম এক সময় এরশাদ-বিরোধী আন্দোলনের প্রথম পৌস্টারিং থেকে শুরু করে সব কিছু লিখবো, যেখানে তোর কথাও থাকবে। সময় গড়িয়ে যাচ্ছে, লেখা আজও হলো না। কিন্তু আজ গুলিবিদ্ধ তোকে হাসপাতালে নিয়ে যাবার কথাটা পড়ে, দু-লাইন না লিখে পারছি না।
এই ব্লগের লেখক হয়তো জানেন না, শুধু এ্যাম্বুলেন্স তোকে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি। ভদ্রলোক হয়তো শুনে লিখেছেন, দেখে লিখেননি। কিন্তু তুই জানিস, তোকে কে-কে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলো। সম্ভবতঃ তোর ভাই ফরচুনও পরে জেনেছেন। জেনে থাকবেন তোর পরিবারের অন্যন্যারাও।
আগের দিন সূর্যসেন হলে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যে-কর্মসূচি ছিলো, তা হলো না। সময়ের ব্যাপারে অনেকের সিরায়াস না হবার কারণে তা সম্ভব হলো না। তুই জানিস, আমি সময়-মতো তোদের গেইটে দাঁড়িয়েছিলাম। ঠিক হলো পরদিন হবে।
পূর্বরাতে বৃষ্টিতে ভিজে পরদিন জ্বর এসে গিয়েছিলো আমার। তাই মিছিলে যেতে পারিনি অসুস্থ আমি। কিন্তু জানতাম না, সেটিই হবে তোর শেষ মিছিল।
মহসিন হলের ৬২৪-এ পুড়ছিলাম জ্বরে মিছিলের রাতে। গুলির শব্দ শুনেছিলাম, কিন্তু অভ্যস্ত কানে তেমন আমল দিইনি। কিছুক্ষণ পর আহমদ নামের জগন্নাথ কলেজের একটি ছাত্র আমার সাথে দেখা করতে এসে যখন বললো, 'বসু' নামের একজন গুলি খেয়েছে এবং তাকে নিচে কেন্টিনে রাখা হয়েছে, তখন আমার জ্বর উবে গেলো।
রুম বন্ধ না-করেই, শোবার কাপড় না-বদলেই বিদ্যুত বেগে নেমে এসেছিলাম নিচে। দেখলাম, তোকে নিয়ে সবাই জটলা করছিলো। কেউ-কেউ ছবি তুলছিলো। সবাইকে এক ধ্বাক্কায় সরিয়ে দিয়ে তোর বুকে কান পেতে প্রাণের স্পন্দন বুঝার চেষ্টা করলাম। মনে হলো তখনও তোর প্রাণ আছে।
গেইটের কাছে এ্যাম্বুলেন্স ছিলো বটে, কিন্তু তোকে নিয়ে যাবার কেউ ছিলো না। বিশ্বাস কর, সবাই ভয় পাচ্ছিলো। কারণ, নতুন বাংলার অস্ত্রধারীরা তখন ল্যাব স্কুলের কাছে অবস্থান করছিলো। তোর দলের কেউও তোকে নিয়ে হাসপাতাল যেতে চাইলো না।
আমি তোকে এভাবে ছেড়ে দিতে পারিনি। তোকে নিয়ে আমি গাড়ীতে উঠলাম। তোর ও আমার মতোই আরেকটি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক (লম্বা-মতো-নায়কোচিত) আমাকে কানে-কানে এসে বললো, 'আপনার যাওয়াটা ঠিক হবে না, ওখানে নতুন বাংলার ছেলেরা আছে।' আমার চোখে তখন অশ্রু ছিলো না, ছিলো আগুন। ওকে বললাম, 'কাপুরুষ কোথাকার, সরে যান এখান থেকে।'
আমাকে একা যেতে হয়নি। আমার সাথে মোস্তাফা ফারুকও গাড়ীতে। ভাবতে অবাক লাগে। তুই করতি বাকশালের ছাত্র সংগঠন জাতীয় ছাত্রলীগ। আমি করতাম বাসদের ছাত্র সংগঠন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট। ফারুকও তাই। আমরা দুই বাসদ-কর্মী তোকে নিয়ে গেলাম হাসপাতাল, কিন্তু তোর দলের কেউ এলো না।
সে-দিন বিষয়টি এতোই খারাপ লেগেছিলো যে, তোর প্রাণের স্পন্দন থেমে যাবার পর, সকালে যখন আব্দুর রাজ্জাক সাথে দলবল নিয়ে ঢাকা মেডিক্যালে তোকে দেখতে এলেন, তখন আমি চোখের জল আর মুখের গাল কোনোটাকে সংবরণ করতে পারিনি।
তোর পকেটে থাকা ওয়ালেট ও একটি চিঠি আমার কাছে রাখলাম, কাউকে দিইনি। মিনার মাহমুদ এটি জানে। পরবর্তীতে তোর ভাই ফরচুনকে দিয়েছিলাম আমার কাছে সযত্নে রক্ষিত তোর দুটো জিনিস। আর যে কাগজটাতে ছিলো তোর জমাট বাঁধা রক্ত, সেটি কালো হয়ে গিয়েছিলো এবং আমার কাছেই ছিলো অনেক দিন। কয়েক বছর পর মহসিন হল ছেড়ে আসার বেলায় সেটি আর খুঁজে পাইনি।
আজ একটি কথা তোকে বলি। তোকে হাসপাতালে নিয়ে যাবার পথে নতুন বাংলার ছেলেরা আমাদের গাড়ী ঠিকই আটকিয়েছিলো ল্যাব স্কুলের গেইটে। ওদের মধ্যে আমি সহজেই মজিদ ও আজিজকে চিনলাম। ওরা এসএম হলে থাকতো।
আমি বললাম, 'তোমরা আর কতো অমানুষ হবে? গুলি করতে চাও, করো।' ওরা আমাকে অবাক করে দিয়ে বললো, 'বিশ্বাস করেন রানা ভাই, আমরা মারি নাই বসুভাইরে।' ওরা একটি বিশেষ ছাত্র সংগঠনের একজন বিশেষ নেতার নাম উল্লেখ করে বললো, তার নেতৃত্বে ঐ সংগঠনের ছেলেরা নাকি মহসিন হলের মাঠ দিয়ে এসে পিছন থেকে গুলি করেছে।
আমি জিজ্ঞেস করলাম, কেনো ওরা এটি করতে যাবে? আজিজ-মজিদেরা বললো, 'তারা ইস্যু বানাইতে চায়।' ওদের কথাটা আমি বিশ্বাস বা অবিশ্বাস কোনোটাই করতে পারিনি। আমার তখন প্রবল চেষ্টা কোনোক্রমে তোকে বাঁচাবার। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তারেরা অনেক চেষ্টা করলো, কিন্তু ততক্ষণে তুই অনেক-অনেক দূরে।
জেনে নিশ্চয় খুশি হয়েছিস যে, স্বৈরশাসক এরশাদের পতন হয়েছে। এবং এতোক্ষণে নিশ্চয় অত্যন্ত অপমানিত বোধ করছিস এই জেনে যে, আমাদের মিছিলের অধিকাংশ আজ এরাশাদকে সাথে নিয়ে এক হয়েছে মহাজোটে।
আমি সত্যিই দুঃখিত যে, তোর রক্তের সম্মান আমরা এখনও দিতে পারিনি। ওরা যে তোর একটা মূর্তি গড়েছে, ওটাও ঠিক তোর মতো হয়নি। কিন্তু তাতে কি? আমাদের অনেকের মনে তোর হাসি-হাসি বিনয়ী মুখটা এখনও অম্লান।
মাসুদ রানা
জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
কিছু বলার ভাষা পাচ্ছিনা।
----------------------------------------
Sad Quote
Sad Poems
বসুনিয়ার কথা বলতে গেলে কেন আপনি আবেগপ্রবন হয়ে যান বুঝতে পারছি।
এতো স্পষ্ট করে বললেন, সব যেন চোখের সামনে দেখতে পেলাম।
সব শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
রাউফুন বসুনিয়ার কথা এত বিষদ ভাবে জানতাম না।
মুস্তাফিজ ভাই, আপনার এই লেখাটা না থাকলে হয়ত তার কথা এভাবে জানাই হতো না।
এই মানুষগুলো আমাদের যা কিছু দিয়ে গেছেন তার কোন স্বীকৃতি আমরা দিতে শিখিনি! কিছু দিবস পালনেই সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে আমাদের কাজ।
শুধু এটুকু বলি, আপনি এই সময়ের আরো কিছু লেখা দেন যেগুলো আমাদের ইতিহাসবিদদের কোন কাজে লাগুক বা না লাগুক আমরা অন্তত আসল সত্যিটা জানতে পারবো।
আপনার লেখাটা পড়েছি কাল দুপুরে। বিকেলে একটা কাজে ইউনিভার্সিটি গিয়েছিলাম- আইইআরে। ওটার পাশেই তো বসুনিয়ার সেই আবক্ষ মুর্তি! কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলাম- একা একা। ১৯৮৩-৮৪-৮৫: এই বছরগুলোর ১৩-১৪-১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা শহর যে কী ছিল, যারা সেই বিবরণ শুনে নি বা দেখে নি- তারা হয়তো বিশ্বাস করতে পারবে না।
লেখাটার জন্য অনেক ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
মুস্তাফিজ ভাই অনেক ধন্যবাদ এই লেখাটার জন্য।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সব শহীদদের আত্মার প্রতি শান্তি প্রার্থনা জানাই। বসুনিয়া ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র আর আমি ৮৪ সালে একি বিভাগে ভর্তি হয়ে ঢাকা চলে আসি, সিট বরাদ্দ হয় সূর্যসেন হলে। কিন্তু আমার রুম এর জানালাটি ছিল হল দখলে রাখার অন্যতম স্ট্রেটিজিক পয়েন্ট, বাবু ভাই রা সারা দিন রাত হলের ছাদ আর সেই রুম এর জানালা দিয়ে নতুন বাংলার ভারাটে বহিরাগত অস্ত্রধারীদের আক্রমন মকাবেলা করতে দিন রাত প্রস্তুত
নতুন হলে আসা আমাকে সিড়ি তে বসা দেখে , যিনি ধমক দিয়ে ডেকে সীট এর ব্যবস্থা করে দেন, তিনি বসুভাই,
রাউফুন বসুনিয়া । পরবর্তী বছর ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের কর্মসূচী আর ছাত্রলীগ [মু-হা] র প্রতিদিনের কর্ম সূচীতেই
কেটে যেতে থাকে উত্তাল দিন গুলো। শিখে যাই নিজেদের হলকে নতুন বাংলার ভারাটে গুন্ডাদের থেকে প্রতিরোধ যুদ্ধে সামীল হতে। বছর ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ এর আন্দোলন মাত্রা পেতে থাকে ৮৫ এর ফেব্রুয়ারীর এফ রহমান হলে নতুন বাংলার ভারী অস্ত্র ( ৩০৩ ও ৭ এম এম মাউজার রাইফেল) কাটা রাইফেল জমায়েত এর সাথে সাথে ।
বলে রাখা ভালো ৭ এম এম মাউসার সুপার এর ছোড়া ডাবল ব্লাস্ট গুলি গুলো প্রায়শই সূর্যসেন এর দেয়াল এর গায়ে এসে বিধত গভীর ভাবে। আমাদের প্রতিরোধ এর সরবরাহ সে তুলনায় খুবি অপ্রতুল ছিল। নিরু ভাই দের অবস্থা সে তুলনায় কিছু টা ভাল থাকার পর ও , , বসু ভাই এর নেত্বৃতে আমরা এগিয়ে যেতে থাকি রাতের আধার
আর মুহুর্মুহু এফ রহমান কে ডানে রেখে ইউনিভার্সিটি ল্যব কে পিছনে রেখে , , ,
বাকি সব মুস্তাফিজ ভাই এর বর্ননা আর মতই, শুধু আমাদের অপ্রতুল্র অস্ত্র গুলোর কথা উল্লেখ করেন নি। আমাদের
হাতের সামান্য অস্ত্র গুলো কখনোই বীরের হাতিয়ারের মর্যাদা পায় নি, তার প্রয়োজন ও নেই, শুধু চাই পরবর্তী প্রজন্ম জানুক প্রায় দশক ব্যপি সামরিক জান্তার উচ্ছেদ আন্দোলনে রাজপথ রঞ্জিত করা শত শহীদের নাম খ্চীত একটি স্তম্ভ।
মুস্তাফিজ ভাই, ধন্যবাদ আপনাকে বসু ভাই এর আত্মত্যাগ এর কথা স্মরণ করার জন্য। আপনার কেও হয়ত চিনতে পারবো তখন।
হ্যা রাউফুন বসুনিয়ার বুকের রক্তএ সেদিন উত্তাল হয়েছিল হাজার হাজার ছাত্র , কোন অস্ত্র ছাড়াই ধুলায় মিশে গিয়ে ছিল নতুন বাংলার ঘাটি এফ রহমান হল।
মাসুদ রানা আমি আপনাকে চিনতে পারছি। সশ্রদ্ধ সালাম নিবেন। আপনার সাহসিকতার কথা আমাদের মনে আছে , থাকবে। মনে থাকবে ছাত্র দলের ও সংগ্রাম পরিষদের একটি অংশের লোহার টেবিল হাতে ৭ এম এম রাইফেল এর গুলি উপেক্ষা করে উদ্ধার করতে এগিয়ে যাবার কথা, হ্যা মহসীন হলের পিছন দিয়ে ঠান্ডা মাথায় পয়েন্ট ২২ দিয়ে নিরস্ত্র বসুনিয়া কে হত্যাকারীর কথা ও আমরা ভুলিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল্য়ে ঠান্ডা মাথায় মানুষ হত্যার ঘৃন্য অধ্যয় ও।
জাতি যুদ্ধ অপরাধী দের পাশাপাশি সৈরশাসকের ও তার মদদ পাওয়া সকল খুনিদের বিচারের প্রতিক্ষায় রত একটি প্রজন্ম।
মুন্তাসীর
রাউফুন বসুনিয়া আর সব সংগ্রামী মানুষদের জানাই সালাম।
সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ
...........................
Every Picture Tells a Story
আজকের নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্নার কথা বলছেন?
প্রতি বছর নির্দিষ্ট তারিখে এই পোস্টগুলোকে কেন ফার্ষ্ট পেজে উঠিয়ে আনা হয় না?
কিংবদন্তীতুল্য মাহমুদুর রহমান মান্না আজ ভাইবার মান্না
http://youtu.be/_4BYQqhT5H0
মুস্তাফিজ ভাই, বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যাচ্ছে সেসব আগুন ঝরা দিনের কথা, শুধু মাঝে মাঝে ...।
নতুন মন্তব্য করুন