চৌধুরি মঈনউদ্দিন। ১৯৭১ সালে জন্ম নেয়া ‘আল বদর’ বাহিনী যার ব্রেনচাইল্ড। মোহাম্মদপুরের ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে নির্যাতনকেন্দ্র স্থাপনের পেছনেও মঈনুদ্দিনের পরামর্শ ছিলো অন্যতম। সাংবাদিক সহকর্মী এ এন এম মোস্তফার সাথে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথাকাটাকাটির তিন রাতের মাথায় তাঁকে রাতের অন্ধকারে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় মোহাম্মদপুরে। এরপর তার লাশও আর পাওয়া যায়নি। একই রকম ভাবে আরো অনেকের সাথে সাংবাদিক নাজমুল হক, সিরাজুদ্দিন হোসেন, মোফাজ্জল হায়দারদেরও তুলে নিয়ে যায় মঈনুদ্দিন। দেশ স্বাধীনের পর ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের নির্যাতনকেন্দ্রে পাওয়া যায় মঈনুদ্দিনের হাতে লেখা দলিল যার পাতায় পাতায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নাম আর বাসার ঠিকানা। এমনকি সপ্তাখানেক আগেই আরেক সহকর্মী সাংবাদিক আতিকুর রহমানের বাসার ভুল ঠিকানা যা তিনি কেবলমাত্র মঈনুদ্দিনকেই দিয়েছিলেন।
সে সময় ঢাকা থেকে প্রকাশিত পূর্বদেশ পত্রিকা ছিলো মঈনুদ্দিনের কর্মস্থল। অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি পত্রিকার মূল রচনাও লিখে থাকতো মঈনুদ্দিন। বর্তমানে লন্ডনের সবচাইতে বড় ইস্ট লন্ডন মসজিদের দায়িত্বে থাকা এই যুদ্ধাপরাধী সে সময় পত্রিকার পাতায় কী লিখতো তার ছবি আজকে আমাদের ছবির গল্পে।
পূর্বদেশ, ঢাকা বুধবার ২৬শে আশ্বিন ১৩৭৮
হিন্দুস্তানের যুদ্ধপ্রস্তুতি ও আমাদের কর্তব্য
হিন্দুস্তানের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী সম্প্রতি নিখিল ভারত কংগ্রেসের কাউন্সিল অধিবেশনে ভাষণ দান কালে ভারতবাসীকে পাক-ভারত সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের জন্যে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। যুদ্ধ মন্ত্রী জগজ্জীবন রাম লোকসভায় বলেছেন যে ‘স্বাধীন বাংলাদেশ’ ছাড়া ভারত বর্তমান সংকটের আর কোন সমাধানই মেনে নিতে পারেনা। ইতিমধ্যে হতাশা ও গ্লানির ডালি নিয়ে বিশ্ব দরবার জাতিসংঘ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রী মিঃ শরণ সিং দিল্লীর দরবারে ফিরে এসেছেন, বিগত মার্চ-এপ্রিলের গোলযোগের পর তিনি জোর গলায় দাবী করেছিলেন যে, ‘সারা দুনিয়া’ তাদের সাথে রয়েছে, পূর্ব পাকিস্তানকে ‘স্বাধীন বাংলাদেশ’ না করা পর্যন্ত তারা ক্ষান্ত হবেন না। সোভিয়েত-হিন্দুস্তান চুক্তি সম্পর্কে তার মন্তব্য ছিল, “যে-কোন পদক্ষেপ গ্রহণের স্বাধীনতা ভারতের রয়েছে, চুক্তি থাকা না থাকার প্রশ্ন সেখানে অবান্তর।“ জাতিসংঘে বিভিন্ন জাতির প্রতিক্রিয়াদৃষ্টে তিনি এখন একমুখে বলছেন যে, পূর্ব পাকিস্তান সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান ‘স্বাধীন বাংলা’ না হয়ে পাকিস্তানের কাঠামোতে বৃহত্তর স্বায়ত্বশাসনও হতে পারে। সহজেই বুঝা যায় এটা একটি রাজনৈতিক কৌশল মাত্র।
সুদীর্ঘ আটটি মাস ধরে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম প্রতিবেশী রাষ্ট্রের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে ভারত যে ভাবে হস্তক্ষেপ করে আসছে দুনিয়ার ইতিহাসে তার কোন নজির নেই। পূর্ব পাকিস্তানকে গ্রাস করার অশুভ প্রয়াসের সপক্ষে জনমত সংগ্রহের জন্যে সারা দুনিয়া চষে বেড়িয়ে বর্তমানে যে মরিয়া হয়ে চূড়ান্ত যুদ্ধের প্রস্তুতি চালাচ্ছে। পাকিস্তানের উভয় সীমান্তে বেসামরিক এলাকা খালি করে সৈন্য সমাবেশ করা হচ্ছে। বিশেষতঃ পূর্ব পাকিস্তান সীমান্তে তার যুদ্ধ তৎপরতা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আগরতলায় জঙ্গী বিমানের বিরাট এক বহর এনে রাখা হয়েছে। রণ-উন্মাদ ভারতীয় সৈন্যরা প্রদেশের নিরাপরাধ বেসরকারী জনপদের উপর বিনা প্ররোচনায় যখন তখন গুলীবর্ষণও শুরু করেছে। ফলে এ যাবত বহু সংখ্যক নারী-পুরুষ ও শিশু ও শিশু হতাহত হয়েছেন। এ ছাড়া প্রদেশের অভ্যন্তরে ধ্বংসাত্মক তৎপরতা চালানোর জন্য ভারত ইতিমধ্যে অনুপ্রবেশকারী পাঠানোর হারও বাড়িয়ে দিয়েছে। তাছাড়া বর্তমান অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে অধিকাংশই ভারতীয় সেনাবাহিনীর লোক, তদুপরি গুজবের কারখানাও তারা আগের যেয়ে বেশী শক্তিশালী করেছে। আকাশবাণীর উপ-কেন্দ্রটিও এখন তিন তিনটি অধিবেশনে মিথ্যা প্রচারের নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করে চলেছে। প্রদেশের স্বাভাবিক তৎপরতা ব্যাহত করার উদ্দেশ্যে অনুপ্রবেশকারী ও দুষ্কৃতিকারীরা এখন যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়াও সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালানো বাড়িয়ে দিয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের কক্ষেও বোমা ফেলা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল-কলেজের সব ছেলেমেয়ে নিয়মিত স্কুলে আসতে থাকায় তাদের সন্ত্রস্ত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মেয়েদের স্কুলের সামনে এবং হোষ্টেল গেটে বোমা বিস্ফোরণ ঘটাতে চাইছে, খাদ্যবাহী জাহাজ ও নৌকা ডুবিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে যাত্রী ও খাদ্যবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত করে তারা দেশে খাদ্য সঙ্কট সৃষ্টির প্রচেষ্টা বাড়িয়ে দিয়েছে। পাকিস্তানের দেশপ্রেমিক জনসাধারণ এবং ঐতিহ্যবাহী পাক সেনাবাহিনী ভারতীয় সেনাবাহিনী, অনুপ্রবেশকারী ও দুষ্কৃতিকারীদের বিপুল প্ররোচনার মুখেও এ যাবত প্রশংসনীয় সংযমের পরিচয় দিয়ে এসেছে। তাদের এই সংযমকে ভারত যদি দুর্বলতা মনে করে থাকে তাহলে নিশ্চয়ই সে বোকার স্বর্গে বসবাস করছে। আমরা সকল অবস্থায় সকল রকম পরিস্থিতির মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত।
অবস্থাদৃষ্টে বোঝা যায়, লক্ষণ সেনের বংশধরেরা যুদ্ধ করবে। আমরা যুদ্ধকে ঘৃণা করি; কিন্তু যুদ্ধ যদি আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয় আমরা তার জন্যে সম্পূর্ণভাবে তৈরী। যুদ্ধংদেহী হিন্দুস্তানী নেতৃবৃন্দের একথা জানা উচিত, এ যুদ্ধ পঁয়ষট্টির সেপ্টেম্বরের ন্যায় খণ্ড পরস্পরের যুদ্ধ হবেনা। এ যুদ্ধ হবে একটি সর্বাত্মক যুদ্ধ, মুসলিম জাতির ইতিহাসের সর্ববৃহত্তম জেহাদ। মুসলমান বুক পেতে গুলী নিতে জানে, সে জানে শত্রুর ব্যুহ ভেদ করে কি ভাবে তার বিষ দাঁত ভেঙ্গে বিজয় পতাকা উড্ডীন করতে হয়। জেহাদের ময়দানে পৃষ্ঠ-প্রদর্শন করতে সে শেখেনি। আমাদের ইতিহাস আলী হায়দর, খালিদ, তারিক, মূসা, বিন কাশিম, সালাউদ্দীন আইয়ুবী ও মাহমুদ গজনভীর বীরত্বগাথার ইতিহাস। মুসলমানের প্রতি রক্ত কণিকায় প্রতি মুহূর্তে ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হয় বিপুল শক্তির উৎস কালামায়ে তাইয়েবার বজ্র আহ্বানের প্রদীপ্ত শপথ ঘেরা জেহাদের বাণী, কালেমার শক্তি যুগে যুগে করেছে তাদের দুর্জয়, পরিয়েছে তাদের জয়মাল্য। ভারত যদি এবার আমাদের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেয় তাহলে আমরা আবার প্রমাণ করবো যে, আমরা বীরের জাতি, মুসলমান দুনিয়ার বুকে মাথা উচুঁ করে বেঁচে থাকতে এসেছি, নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবার কিংবা পরাধীন হয়ে বেঁচে থাকার জন্যে সে আসেনি। এবারের সংগ্রাম শুধু উপমহাদেশ নয়, সারা বিশ্বের মুসলিম জাতির অস্তিত্বের সংগ্রাম-দুনিয়ার সামনে তাদের শক্তি ও যোগ্যতা প্রমাণের সংগ্রাম। ইনশাল্লাহ আমরা সে মুহূর্তটির জন্যে তৈরী রয়েছি।
জাতীয় ইতিহাসের এই চরম সংকট ও পরীক্ষার মুহূর্তে প্রতিটি পাকিস্তানীকে এক একজন সৈনিকে পরিণত হতে হবে, সীমান্তে আমাদের বীর সেনাবাহিনী যুদ্ধ করবে সন্দেহ নেই। প্রতিরক্ষার প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ব্যুহ আমাদেরই রচনা করে রাখতে হবে। রাজনৈতিক কার্যকলাপ থেকে বিধি নিষেধ প্রত্যাহার করা হয়েছে। আর বিলম্ব না করে প্রতিটি দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক কর্মী ও নেতার উচিত গ্রামে-গঞ্জে, হাটে-বাজারে ও মসজিদে-মসজিদে গিয়ে মিল্লাতের প্রতিটি সন্তানকে জেহাদী অনুপ্রেরণায় উজ্জীবিত করা। বিমান বাহিনীর প্রাক্তন প্রধান এয়ার মার্শাল নূর খান বলেছেন, ’৬৫ সালে ভারত আমাদের উপর অতর্কিতে হামলা চালিয়েছে। এবার আমরা অসতর্ক অবস্থায় হামলা প্রতিরোধ করতে চাইনা; প্রতিটি পাকিস্তানীকে যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত করতে এবং প্রস্তুত থাকতে হবে। এ পর্যায়ে বেসামরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার ও কার্যকরী করে তুলতে বিলম্ব করা উচিত নয়।
যুদ্ধের সময় আভ্যন্তরীণ সমাজদ্রোহীদের তৎপরতা বৃদ্ধি পায়। অসাধু ব্যবসায়ীরা মওজুতদারীর মাধ্যমে কৃত্রিম অভাব সৃষ্টি করে দ্রব্য সামগ্রীর দাম বাড়িয়ে জনসাধারণকে দুর্দশাগ্রস্ত করে তুলতে চেষ্টা করে। তাদের ব্যাপারেও আমাদের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যারা রাস্তা-ঘাট, পুল ও সরকারী সম্পত্তি ধ্বংস করে এবং জন জীবন বিপন্ন করবার চেষ্টা করে তারা ভারতের ন্যায়ই আমাদের শত্রু। তাদের দমন করবার জন্যেও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ অপরিহার্য। এ মুহূর্তে সমাজ বিরোধী তৎপরতা রোধ এবং একটি সর্বাত্মক যুদ্ধের জন্যে প্রতিটি পাকিস্তানীর প্রস্তুতি গ্রহণই আমাদের সবচেয়ে বড় জাতীয় কর্তব্য। আমরা আশা করি সংশ্লিষ্ট সকল মহল এর গুরুত্ব অনুধাবন করবেন।
মন্তব্য
লেখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই। চৌধুরী মঈনুদ্দীন নামক পশুটার মুখোশ খুলে দেওয়া চ্যানেল ফোরের সেই ডকুমেন্টারী টি শেয়ার করার লোভ সমালাতে পারলাম না।
অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি এই ঘাতকদের বিচারের জন্য।
-- সাদাচোখ
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আমরা অনেকেই অনেক কিছু জানিনা।
...........................
Every Picture Tells a Story
জামাতীদের বক্তব্য, ১৯৭১-এ যা ছিলো এখনও তাই আছে।
আজীবন তাই থাকবে।
...........................
Every Picture Tells a Story
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
...........................
Every Picture Tells a Story
ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই। অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়লাম।
__________
সুপ্রিয় দেব শান্ত
ধন্যবাদ শান্ত।
...........................
Every Picture Tells a Story
প্রাসঙ্গিক বিধায় নিউইয়র্ক টাইমস্ এ '৭২ সালের ৩রা জানুয়ারি প্রকাশিত ফক্স বাটারফিল্ডের এ সংক্রান্ত রিপোর্টের কপি এখানে তুলে দিলাম
...........................
Every Picture Tells a Story
ধন্যবাদ।
...........................
Every Picture Tells a Story
শেয়ার্ড!
দেব মুখার্জি
[db.dev.m@gmail.com]
--------------------------------------------------------------
দেব এর উঠোন ॥ ফেইসবুক ॥ গুগলপ্লাস
ধন্যবাদ।
...........................
Every Picture Tells a Story
এই পশু এখন ইউকে বেজড আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা মুসলিম এইডের হর্তাকর্তাবিধাতা গোত্রভুক্ত। কিছুদিন আগে মুসলিম এইডের সবচাইতে বড়কর্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করে গেছে, সেই ছবি দেখিয়ে একজন খুব আফসোস করে বলেছিলেন, ‘তুমি বল বিচার হবেই! বঙ্গবন্ধু কন্যার আশেপাশে যারা থাকে তারা জানেনা এইসব?’
মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্ম হিসেবে এইসব বেজন্মাদের বিস্ময়কর প্রবৃদ্ধি দেখে দেখে আমাদের বড় হতে হয়েছে; এদের তৃতীয়, চতুর্থ প্রজন্ম এখন বাংলাদেশের বুকে...
বুদ্ধিজীবী হত্যায় এর অবদান সব সীমা ছাড়িয়ে যায়, ব্রিটেনের কাছে দাবী জানানো হোক এই নরপশু’কে বাংলাদেশে হস্তান্তর করে বিচারের আওতায় আনার জন্য।
আরো অনেক কিছুর সাথেই সে এখন জড়িত।
...........................
Every Picture Tells a Story
এখনো এই ফাউ প্যাচালই করছে জামাত।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ওরা সেই একই কথা জানে।
...........................
Every Picture Tells a Story
অনেক ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই। চমৎকার লেখাটার জন্যে। বাঙ্গালীর যে কবে বোধোদয় হবে!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আমরা এগিয়ে এলেই হবে।
...........................
Every Picture Tells a Story
অসাধারণ পোস্ট। পশুদের বিবেক থাকে, কিছু মানুষের থাকে না- ঐ কলঙ্ক মইনুদ্দিন আর তার এখনকার দোসরদের এই কথা বলে থুথু দিতে ইচ্ছে করা।
facebook
প্রতিরোধ করেন।
...........................
Every Picture Tells a Story
ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই!
ধন্যবাদ স্যাম।
...........................
Every Picture Tells a Story
ধন্যবাদ লেখাটার জন্য।
আমাদেরই ভিতর কেউ কেউ এখনও যখন এই সব বেজন্মাদের পক্ষে কথা বলে মনে করে অনেক বড় কিছু করে ফেলল তখন সেটা অনেক বেশি কষ্ট দেয়।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
কেউ কেউ আছে ইসলামের সাথে জামাতকে এক করে ফেলে। তাদের জন্য ঘৃণা।
...........................
Every Picture Tells a Story
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
ধন্যবাদ।
...........................
Every Picture Tells a Story
ধন্যবাদ। অনেক তথ্য জানা গেল। আরও লিখুন।
ধন্যবাদ।
...........................
Every Picture Tells a Story
এই দুপেয়ে'গুলার মানুষ হওয়ার কোন যোগ্যতা ছিল না- এখনো নাই- কোনদিন সে যোগ্যতা হবেও না... এরা কুজন্মা... এইগুলার জন্য তীব্র ঘৃণা...
তীব্র ঘৃণা
...........................
Every Picture Tells a Story
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য যে তালিকা করা হয়েছে, সেখানে ইতরটার নাম আছে তো ???
ব্রিটেনে বিচারের দাবির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করছি
Let the British Govt. & criminal listen to our voice...
-----------------------------------------------------------------------
বুকের গহীণে জমা যতটুকু জলজ প্রয়াস, অপেক্ষার সমূহ শিশির
মিলায় মিঠাকড়া রোদের মায়ায়
তালিকা যে আছে সেটাই জানিনা। তবে সে একজন যুদ্ধাপরাধী তা জানি।
...........................
Every Picture Tells a Story
লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ, মুস্তাফিজ ভাই। জানলাম অনেক কিছু।
ধন্যবাদ।
...........................
Every Picture Tells a Story
লেখাটার জন্য হ্যাটস অফ। এইসব ইতরদের বিচার কবে হবে। হবে তো ?!
আমরা এগিয়ে এলেই হবে।
...........................
Every Picture Tells a Story
দারুন পোষ্ট । এইসব কুলাঙ্গার গুলোর খুলে দেয়া প্রয়োজন জাতির নতুন প্রজন্মের কাছে জারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি।
যারা দেখেছে তারাও ভুলে যাচ্ছে।
...........................
Every Picture Tells a Story
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ধন্যবাদ।
...........................
Every Picture Tells a Story
প্রশ্ন হচ্ছে রাজনীতি ও মানবিকতার যুদ্ধে কে জয়ী হয়? পৃথিবীর ইতিহাস বলছে "রাজনীতি" !! এখন দেখার বিষয় আমাদের দেশে এর পরিবর্তন হয় কিনা!! আর ধর্মের কথা নাই বা বললাম।
পোস্টে পাঁচ তারা।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ধন্যবাদ।
...........................
Every Picture Tells a Story
লেখাটার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, মুস্তাফিজ ভাই।
ধন্যবাদ।
...........................
Every Picture Tells a Story
এই বদমাশকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরের জন্যে বৃটেনের কাছে দাবী জানানো হোক।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
সেভাবে হয়ত দেবেনা, কারণ বৃটেনে মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ।
...........................
Every Picture Tells a Story
ব্রিটেন অভিবাসী আইন কড়া করে, বিদেশী ছাত্রদের ভিসার নিয়ম কড়া করে, হ্যান করে ত্যান করে, কিন্তু সারা দুনিয়ার সবচে বড় বড় বদমাশগুলো কেমন করে যেন ব্রিটেনে খুব অনায়াসে আস্তানা গেড়ে বসে।
পয়সা থাকলে সব দেশেই জামাই আদর করে !! ব্রিটেন এর অভিবাসন আইন এখন পয়সাওয়ালা পাবলিকদের জন্য !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
অভিবাসী হতে গেলে যে সব কাগজ পত্র লাগে সেসব তো ইচ্ছা করলেই বানানো যায়, আর ৭০এর দশকে সেসব মনে হয় আরো সহজ ছিলো।
...........................
Every Picture Tells a Story
চলুক মুস্তাফিজ ভাই
০২
ট্যাগলাইনে বিষয় থেকে কিছু শব্দ তুলে দেন যাতে সার্চে পাওয়া সহজ হয়
ধন্যবাদ, তুলে দিচ্ছি।
...........................
Every Picture Tells a Story
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ।
...........................
Every Picture Tells a Story
ধন্যবাদ।
...........................
Every Picture Tells a Story
_____________________
Give Her Freedom!
ধন্যবাদ।
...........................
Every Picture Tells a Story
একটা জিনিস খেয়ল করলাম, আমাদের রাজাকারগুলো বাদেও অন্যান্য ডিকটেটর বা সন্দেহজনক চরিত্রের লোকগুলো বৃটেনে কিন্তু বরাবরি জামাই আদর পায়। বৃটিশ সরকারই মনে হয় এদের পেলেপুষে রাখতে পছন্দ করে।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
এটা সম্ভবতঃ বৃটেনের সংবিধানের জন্যই। ওখানে কেউ আশ্রয় চাইলে তাকে 'না' বলার নিয়ম নাই বোধহয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ওরা যে বৃটিশ
...........................
Every Picture Tells a Story
...........................
Every Picture Tells a Story
চৌধুরী মঈনুদ্দিনকে লণ্ডনে ঠেঙ্গানো গেল না বাঙ্গালী কমিউনিটির অনৈক্যের কারণেই।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
সেখানকার কমিউনিটি দিয়ে ঠেঙ্গানো যাবেনা, গেলে এতদিনে হয়ে যেতো।
...........................
Every Picture Tells a Story
মঈনউদ্দিনের নাম আর কীর্তিকলাপের কথা জেনেছি খুব বেশিদিন হয় নি। এগুলো আরও প্রচার হওয়া দরকার মনে করি। শেয়ার দিলাম। লেখাটির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
...........................
Every Picture Tells a Story
অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিঃসন্দেহে।
পড়লাম মুস্তাফিজ ভাই। এঁদের প্রতি ঘৃণা যে কিভাবে শেষ করতে হয় জানা নেই। এই পাকি-মনাদের জন্যই এত রক্ত, এই পাকি-মনাদের জন্যই আমার পূর্বপুরুষরা বাস্তুহারা!!
ডাকঘর | ছবিঘর
ধন্যবাদ।
...........................
Every Picture Tells a Story
ইংল্যান্ড থেকে আসার আগে একমাস ইস্ট লন্ডনে চাচার বাসায় ছিলাম। আগে জানতে কুত্তার দরজায় পস্রাপ কইরা আসতাম।
...........................
Every Picture Tells a Story
নতুন মন্তব্য করুন