চালানো শিখেছিলাম কেনার আগেই। আমাদের এক খালাত ভাইয়ের একটা র্যালি সাইকেল ছিলো, একটু বড়সড় ধরনের বিলাতি সেই সাইকেল চালাতে গিয়ে বেশ কবারই পড়ে যেয়ে হাত পা ছিলেছিলাম। এই হাত পা ছিলা নিয়ে আমার বড় ভায়ের ছেলে সৌম্য’র বলা একটা জোক মনে পড়ে গেল। নতুন চালাতে শেখা এক বালক চালাতে চালাতে একবার হ্যান্ডেল থেকে হাত তুলে চালানো শুরু করলো। সামনে পরিচিত কাউকে দেখে হাত পেছনে নিয়ে খুশিতে বলতে থাকলো, “দেখ দেখ আমার হাত নাই হাত নাই!” দর্শকদের উৎসাহ পেয়ে এবার সে পা তুলে চালাতে থাকলো আর বলতে থাকলো, “দেখ দেখ আমার পা নাই পা নাই!” এবারও দর্শকদের হাততালি পেয়ে দ্বিগুণ উৎসাহে আরো জোরে চালাতে যেয়েই পড়ে যেয়ে বিপত্তি ঘটলো। তাতেও উদ্যম না হারিয়ে সে ঘুরে এসে দর্শকদের দিকে হাসিমুখে তাকিয়ে বলতে থাকলো, “দেখ দেখ আমার দাঁত নাই দাঁত নাই।”
সেই সাইকেল চালানো শিকেয় উঠেছিলো ঢাকায় আসার পর থেকে। এই বিদেশে আসার পরও বছরতিনেক সাইকেল চালানো হয়নি। এখন আবার চালানো শুরু করার পেছনের ঘটনাটা চমকপ্রদ।
আমাদের এখানে সাইকেলের প্রচলিত নাম বাইক আর সাইক্লিংকে বলে বাইকিং। এই বাইকিং আবার নানা ধরনের- রোড বাইকিং, ট্রেইল বাইকিং, মাউন্টেইন বাইকিং ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার ছেলে মাতিস কিছুদিন হলো মাউন্টেইন বাইকিং শুরু করেছে। ট্রেনিংয়ের জন্য সপ্তায় একদিন ওকে পাহাড়ে নিয়ে যেতে হয়। মাতিসকে পৌঁছে দিয়ে হাঁটাহাঁটি ছাড়া কয়েকঘণ্টা আমার কোন কাজ থাকে না। বেশ কয়েকজন চ্যাম্পিয়ন বাইকারদের সাথে ও চলে যায় ট্রেইলে আর আমি ঘুরি। ও ফিরে এলে বুঝতে পারি ওর সঙ্গের বাইকাররা ওর চাইতে শতগুণ অভিজ্ঞ, ওদের কাছাকাছি পর্যায়ে যেতে গেলেও মাতিসের ওদের সাথে চালানো ছাড়াও আলাদা প্র্যাকটিস লাগবে, সপ্তায় একদিনে হবে না। এই ভেবে আমার জন্যও একটা বাইক নেওয়ার চিন্তা করলাম। তাতে মাঝেমাঝে আমিও ওর পিছনে পিছনে ট্রেইলে ঘুরতে পারবো আর চাইলে ছবিও তুলতে পারবো।
কিন্তু চাইলেই হয় না, এখানে ভালো “অল টেরেইন” বাইকের দাম গাড়ির চাইতেও বেশি। তারপরেও খুঁজে পেতে নিজের জন্য আরেকটা স্বল্পব্যবহৃত বাইক কিনেই ফেললাম। এখন চালাতে যেয়ে বুঝি আমার কলকব্জা মাতিসদের চাইতে অনেক পুরোনো, তাল মেলাতে কষ্ট হয়। তারপরেও চালাতে চেষ্টা করি। এখানকার বেশিরভাগ সুন্দর জায়গাগুলোই হয় হেঁটে নাহয় বাইকে যেয়ে দেখতে হয়। এইসব সুন্দর জায়গা দেখার আনন্দের তুলনায় কষ্ট তেমন কিছুই না।
গত কয়েকদিন আমার ছুটি থাকায় আর মাতিসের মেঝো মামার পরিবার ডালাস থেকে এখানে ঘুরে যাওয়ায় বেড়ানো হয়েছে অনেক, কিন্তু বাইকে ঘোরা হয়নি কোথাও। তাই ছুটি থাকতে থাকতেই সহজ একটা বাইক ট্রেইল খুঁজছিলাম, যেখানে আমার কষ্ট কম হবে আর অসুবিধা মনে করলে মাঝপথে ক্ষান্ত দিয়ে ফিরেও আসা যাবে। সেভাবে খুঁজতে খুঁজতে এই ট্রেইলটার সন্ধান পেলাম। একসময়য়ের বিখ্যাত ক্যাটল ভ্যালি রেলওয়ের পরিত্যক্ত রেলওয়ে করিডোর। যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত থেকে ব্রিটিশ কলম্বিয়ার হোপ পর্যন্ত নানাদিকে প্রায় ছয়শ কিলোমিটার দীর্ঘ এই করিডোর তার চারদিকের অবাক করা সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে বাইকাররা এখানে আসে তাদের বাইকিং ইতিহাসে একটা পালক যুক্ত করার জন্য।
পুরো ট্রেইল ঘুরতে চাইলে কয়েকদিন ক্যাম্পিং করা ছাড়া সম্ভব না। আমরা যেহেতু ক্যাম্পিং করবো না সেহেতু ট্রেইলের একটা অংশ ঠিক করলাম। আমাদের বাসা থেকে সাড়ে চারশ কিলোমিটার দূরে কেওলোনা শহরের কাছে মেরা গিরিখাত, গিরিখাতটি পাশে এক কিলোমিটারের কম হলেও এর গভীরতা এক কিলোমিটারেরও বেশি বলে সরাসরি রেল না বসিয়ে তিন দিকে ঘুরিয়ে নেয়া হয়েছে। এই তিন দিক ঘুরে ট্রেইলের যে অংশটুকু আমরা তাতেই বাইক চালাবো। কেওলোনা শহর থেকে প্রায় তেরশ মিটার উপর দিয়ে এই ট্রেইল। ক্যাটেল ভ্যালি রেলওয়ে করিডোরের সবচাইতে সুন্দর অংশগুলোর একটি, দশ/বারো কিলোমিটার ট্রেইলে আঠারোটি ট্রেসেল ব্রিজ আর দুইটি টানেল সারা বছরই এখানে পর্যটক টানে।
বিশাল ওকানাগান লেকের পাড়ে দুপাশের পাহাড় জুড়ে গড়ে উঠা কেওলোনা ছোট হলেও ছিমছাম আর সুন্দর। যেকোনো প্রান্ত থেকে ওকানাগান লেক চোখে পড়ে। সারাবছরই লেকের পাড় জুড়ে পর্যটকদের ভিড় থাকে। যারা একটু রোমাঞ্চপ্রিয় তাদের জন্য আশেপাশে ঘোরাঘুরি আর ক্যাম্পিংয়ের প্রচুর জায়গা। আমার ধারণা বছরের যেকোনো সময়ে শহরের স্থায়ী বাসিন্দা আর পর্যটকদের সংখ্যা সমান সমান।
সকাল পৌনে দশটায় বাসা থেকে বের হয়ে বিসি-ওয়ান হাইওয়ে ধরে পূর্ব দিকে দেড়শো কিলোমিটার যেয়ে হোপ পেরিয়ে বিসি-পাঁচ কোকিহালা হাইওয়েতে ঘণ্টাদেড়েকের মাথায় পৌঁছে গেলাম। এবার এই হাইওয়ে ধরে উত্তরে মেরিটের দিকে যেতে হবে আরো একশ কিলোমিটার। এই একশ কিলোমিটার বেশ উঁচু (গাড়ি চালিয়ে প্রায় তেরশ মিটার উপরে উঠে আবার নামতে হয়), বেশ কিছু পাকদণ্ডী এ রাস্তায় অনেক দুর্ঘটনার কারণ। আমরা ফেরার পথে এই রাস্তার মাথায় হোপের কাছে একটা দুর্ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছিলাম। কিছুক্ষণ আগেই ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় কয়েকটি গাড়ি পাঁচশ মিটার জুড়ে ছড়িয়ে আছে। সাত/আট জনকে রাস্তায় পড়ে থাকতেও দেখেছি। আমরা দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই পুলিশ চলে এসেছিলো আর আমাদের প্রায় সাথে সাথেই অ্যাম্বুলেন্স। যা হোক, কোকিহালা পেরিয়ে মেরিটের ঠিক আগেই প্রিন্সটন-কেমলুপস্ হাইওয়ে ধরে আমরা যখন কেওলোনা পৌঁছালাম ঘড়িতে প্রায় একটা বাজে তখন। প্রিন্সটন-কেমলুপস্ হাইওয়েও বেশ উঁচুতে, আর আশেপাশে জনবসতি না থাকাতে কিছু কিছু জায়গায় সেলফোনের নেটওয়ার্কও নাই। সুতরাং ভালো গাড়ি আর পর্যাপ্ত তেল না থাকলে রাস্তাটা যেকারো জন্য বিপদজনক হয়ে যেতে পারে। এ রাস্তায় আমাদের ফেরার পথে কেওলোনা থেকে মেরিটের মাঝামাঝি এক মেয়েকে গাড়ির ইমার্জেন্সি লাইট জ্বালিয়ে রাস্তায় হাত তুলে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে থেমে তুলে নিয়েছিলাম পরবর্তী শহরে নামিয়ে দেওয়ার জন্য। ওর কাছে শুনেছি গাড়ি নষ্ট হয়ে যাবার পর প্রায় তিন ঘন্টা হলো এভাবেই সাহায্যের জন্য দাঁড়িয়ে ছিলো সে।
কেওলোনাতে থেমেছি কফি খাবারের জন্য। এরপর রাস্তা খোঁজা। মেকুলোক স্ট্রিট, এ রাস্তাই আমাদের নিয়ে যাবে পাহাড়ের কাছে। এরপর আট কিলোমিটার পাথুরে রাস্তা বেয়ে উঠতে হবে ট্রেইলের একপ্রান্তে। এন্ড্রু মেকুলোক যার নামে এই রাস্তা পেশায় তিনি ছিলেন একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। ক্যাটল ভ্যালি রেলওয়ের এই চ্যালেঞ্জিং অংশটুকু উনারই করা। কেওলোনা শহরের এই রাস্তা ছাড়াও একটা রেল স্টেশন আর একটা লেকের নামকরণ হয়েছে উনার নামে। এমন বিখ্যাত একজনের নামের রাস্তা বের করতে আমাদের খুব সময় লাগেনি। কিন্তু সময় লেগেছে পাথুরে রাস্তা বেয়ে আট কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে উঠতে। অবশেষে দুপুর দুইটার দিকে আমরা মেরা গিরিখাতের উপর মেরা স্টেশনে পৌঁছে গেলাম।
স্টেশনের কাছে পার্কিং লট, একটা বাইক রেন্টালের স্টল আর টয়লেট। পার্কিং লটে শখানেক গাড়ি আমাদের আগেই চলে এসেছে। নাম্বার প্লেট দেখে বুঝা যায় ব্রিটিশ কলম্বিয়া ছাড়াও আলবার্টা আর অন্যান্য প্রদেশের লোকজনও এখানে এসেছে। ছায়ামতো জায়গা খুঁজে না পেয়ে খোলা জায়গাতে গাড়ি রেখে উপর থেকে বাইক নামিয়ে আমাদের দ্বিতীয় পর্যায়ের যাত্রা শুরু হলো।
শুরুর আগেই ঠিক করে নিয়েছি আমরা ট্রেইলে থাকবো সর্বোচ্চ সাড়ে তিন ঘণ্টা। নিচের ট্রেসেল আর আশেপাশের ছবিগুলো আমাদের বাইকিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে তোলা। বাইকিং আর ছবি তোলা পাশাপাশি করতে গেলে একটাতে মনযোগ কম দিতে হয়। আমাদের মনযোগ ছিলো বাইকিংয়ে, তাই ছবির মান নিয়ে কথা না বলাই ভালো।
পুনশ্চ: সম্ভবত ২০০৩ সালে এই এলাকায় বিশাল অগ্নিকাণ্ডে প্রায় বিশ হাজার একর পুড়ে যায়, নেড়া পাহাড়গুলো যার সাক্ষী হয়ে এখনও দাঁড়িয়ে আছে। সেই আগুনে আমরা যেই ট্রেসেল ব্রিজগুলো দেখেছি সবগুলোই পুড়ে গিয়েছিলো। পরে এগুলো আবার ঠিক করা হয়েছে এবং সেই কাজ এখনও চলছে।
চলুন এবার ছবি দেখি
পরপর কয়েকটি ট্রেসেল
610A2001 by Rahman Mohammad Mustafizur, on Flickr
610A1914 by Rahman Mohammad Mustafizur, on Flickr
610A1908 by Rahman Mohammad Mustafizur, on Flickr
আমি, মাতিসের তোলা ছবি
610A1985 by Rahman Mohammad Mustafizur, on Flickr
পুড়ে যাওয়া ডঙ্কি ইঞ্জিন
610A1972 by Rahman Mohammad Mustafizur, on Flickr
গিরিখাতের আরেক প্রান্ত থেকে দেখা একটি ট্রেসেল
610A1958 by Rahman Mohammad Mustafizur, on Flickr
ট্রেসেলের নীচে পুড়ে যাওয়া কাঠ পরে আছে
610A1948 by Rahman Mohammad Mustafizur, on Flickr
আঠারোটি ট্রেসেলের ভেতর সবচাইতে লম্বা এটি
610A1942 by Rahman Mohammad Mustafizur, on Flickr
ট্রেইলে মাতিস
610A1941 by Rahman Mohammad Mustafizur, on Flickr
610A1925 by Rahman Mohammad Mustafizur, on Flickr
610A1900 by Rahman Mohammad Mustafizur, on Flickr
610A1897 by Rahman Mohammad Mustafizur, on Flickr
ট্রেসেলের উপর মাতিস, পেছনে একটি টানেল, পুড়ে যাবার দাগ এখনও দেখা যায়
610A1940 by Rahman Mohammad Mustafizur, on Flickr
ট্রেসেল ৬
610A1924 by Rahman Mohammad Mustafizur, on Flickr
610A1923 by Rahman Mohammad Mustafizur, on Flickr
আরেকটি টানেলের মুখ
610A1920 by Rahman Mohammad Mustafizur, on Flickr
ট্রেইলে মাতিস, সামনে গিরিখাতের ওপারে আরেকটি ট্রেসেল হালকা দেখা যায়
610A1909 by Rahman Mohammad Mustafizur, on Flickr
গিরিখাতের একপাশে উপরে দাঁড়িয়ে অন্যদিকের ট্রেইল দেখা হচ্ছে
610A1906 by Rahman Mohammad Mustafizur, on Flickr
একটি ছোট ট্রেসেল
610A1904 by Rahman Mohammad Mustafizur, on Flickr
বিশ্রাম
610A1902 by Rahman Mohammad Mustafizur, on Flickr
610A2007 by Rahman Mohammad Mustafizur, on Flickr
ট্রেইলে ঢোকার মুখে পাহাড়ের উপর, সামনে ওকানাগান ভ্যালী, দূরে পাহাড়ের নীচে ওকানাগান লেক
610A1893 by Rahman Mohammad Mustafizur, on Flickr
আরেকটি ট্রেসেলের উপর
610A1912 by Rahman Mohammad Mustafizur, on Flickr
টানেল
610A1932 by Rahman Mohammad Mustafizur, on Flickr
সহজ রাস্তা ছেড়ে রোমাঞ্চ খোঁজা
610A1994 by Rahman Mohammad Mustafizur, on Flickr
মন্তব্য
সাইকেল চালাতে পারি না
মাতিস কত্ত বড় হয়ে গেছে!
আপনি কত্তদিন পরে লেখলেন!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হু, বছরের উপর হলো লেখা দেয়া হয়না।
...........................
Every Picture Tells a Story
দারুণ !
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
ধন্যবাদ সুজন'দা
...........................
Every Picture Tells a Story
আমার ছোট্ট একখানা সস্তা গোছের বিএমএক্স বাইক আছে, চালিয়ে ক্যাম্পাসে আর সদাইপাতির দোকানে যাই। ব্রেকে গড়বড় হয়ে আছে খেয়াল করিনি, কাল গাড়ির নিচে পড়তে পড়তে মরতে গিয়ে বেঁচেছি।
অনেকদিন পর লিখলেন!
১৭ নং ছবিতে মাতিসকে দেখে ভয় পেয়েছি। ছেলেটার ম্যালা সাহস, পুরোই বাপকা বেটা!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ঐটা সাহসের ব্যাপারনা। ট্রেনিং। রেগুলার মাউন্টেইন বাইকিং এ আরো বড় ড্রপ থাকে, প্র্যাকটিস করতে করতে হয়ে যায়।
আমারটাতে মেকানিক্যাল ডিস্ক ব্রেক, মাতিসেরটায় হাইড্রোলিক, তোমার বাইকের দামের সমান দাম। পুরোনো দেখে তেমন একটা বাইক কিনে ফেলো।
...........................
Every Picture Tells a Story
আমাদেরও সাইকেল আছে। হাইব্রিড। আমরা বাপ ছেলে মিলে চালাই। বাবাই তড়াক তড়াক করে বাড়ছে। মাস ছয়েক বা বছরখানেক পরে যদি সিট তুলে ফেলে, তাহলে আমি আর চালাতে পারবোনা।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আজকাল সব সাইকেলের সিট উঠানো নামানো যায়
...........................
Every Picture Tells a Story
অপু ভাই, ছবিখান বদলাইয়া যাইবো তখন।
অলস সময়
ছবি বদলে গেছে কবেই। আমি জোর করে ধরে রেখেছি।
সিট উঠে গেলে কে আর নামাবে বলেন। সিট তুলে ফেল্লে আর আমারে সাথে নেবে মনে করেন?
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
দারুণ!। ছবিগুলো চমৎকার।
_________________
[খোমাখাতা]
ধন্যবাদ নিটোল।
...........................
Every Picture Tells a Story
অনেকদিন পর এলেন মনে হচ্ছে? এতদিন কোথায় ছিলেন?
আশেপাশেই ছিলাম। আছি।
...........................
Every Picture Tells a Story
অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়লাম মুস্তাফিজ ভাই!
মাতিসকে মাউনটেইন বাইকিং এর জন্য শুভকামনা... মনে হচ্ছে সে তার বাবার মতোই সাহসী এবং অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়
অলমিতি বিস্তারেণ
ধন্যবাদ সবজান্তা।
মাউনটেইন বাইকিং করতে যেয়ে যে পরিমানে হাত পা ভাঙ্গে তার জন্য আসলেই শুভকামনা প্রয়োজন। দু সপ্তা আগেই মাতিস কবজি থেকে কনুই পর্যন্ত হাত কেটে এসেছে।
...........................
Every Picture Tells a Story
সাইকেল চালানো মনে হয় ভুলে গেছি। অনেকদিন চালাই না। তবে সুযোগ পেলে এইরকম এ্যাডভেঞ্চারের কতো যে ইচ্ছা করে! মাতিসকে ছবির মাঝেই ছোট থেকে আপনাকে উচ্চতায় ছাড়িয়ে যেতে দেখলাম। খুবই ভাগ্যবান ছেলে। এরকম বাবা না থাকলে পৃথিবীর অনেক সুন্দরই দেখা হয় না আসলে।
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
মাতিসদের ভাবনাহীন ঘোরার সময় তো এখনই। অভ্যাস যদি তৈরি হয় এসময়ই হবে। আর কয়েকবছর পর তো নিজের উপর ভরসা করেই চলতে হবে।
আগামি বছর সামারে চলেন আলাস্কা যাই।
...........................
Every Picture Tells a Story
আহ সাইকেল, পুরনো স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন। ক্লাস নাইনে সাইকেল কিনেছিলাম কিন্তু তখনও চালানো শিখি নি। আহ, সাইকেল চালানো শিখতে গিয়ে কত্ত কাহিনী। দেশের বাইরে আজও যেতে পারলাম না, খুব ইচ্ছা একটু পৃথিবীটা ঘুরে দেখি। জানি না, সেই সুযোগ কবে আসবে। আপনার লেখা এবং ছবি দুইই চমৎকার। ধন্যবাদ।
ফাহমিদুল হান্নান রূপক
ধন্যবাদ রূপক। আশা পূর্ণহোক।
...........................
Every Picture Tells a Story
পাক্কা? তাহলে ছুটি নেবার চেষ্টা করবো।
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
সিওর
...........................
Every Picture Tells a Story
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
পরবর্তি লেখার জন্য পপকর্ণ নিয়া বসলে লাভ নাই, চালের বসতে নিয়া বস্তে হবে।
...........................
Every Picture Tells a Story
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়লাম! খুব ভালো লাগল। ব্যাপক অ্যাডভেঞ্চারাস একটা অভিজ্ঞতা বোঝাই যাচ্ছে।
অ্যাডভেঞ্চার ঠিকই তবে ঠিক ব্যাপক বলা যায় না। তবে একদিন ঠিকই ব্যাপক অ্যাডভেঞ্চারে যাবো
...........................
Every Picture Tells a Story
দারুণ! দারুণ!
মাতিসকে কতদিন দেখি না!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
মাতিস্ও তোমাদের মিস করে।
...........................
Every Picture Tells a Story
ছবিগুলো অসাধারণ। আমারো ঘুরতাম মুঞ্চায়।
নুরুজ্জামান লাবু
ধন্যবাদ নুরুজ্জামান লাবু
...........................
Every Picture Tells a Story
চমৎকার! ভাগ্যবান ছেলের গর্বিত বাবা। অনেক শুভকামনা আপনাদের জন্য!
ধন্যবাদ
...........................
Every Picture Tells a Story
আহা!! দারুণ দারুণ!
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
ধন্যবাদ মরুদ্যান
...........................
Every Picture Tells a Story
নতুন মন্তব্য করুন