দীর্ঘদিন (প্রায় ২ মাস) বাড়ির পালানে অনাথের মতো দাঁড় করিয়ে রাখা শেষে গৃহস্বামী নারায়ণজ্ঞানে তাঁর বসার ঘরে আমার প্রবেশ অনুমোদন করেছেন। শুকরিয়া!
এখন চাইলে কি আমি শোবার আগ্রহও প্রকাশ করতে পারি?
বলতে কী, বেশ ক্লান্তই হয়ে পড়েছিলাম। ক্লান্তি থেকে মুক্তি পেতে চটুলতার আশ্রয় নেয়াও বোধকরি একটা পন্থা। আমি ওটাই অবলম্বন করেছি। সে হেন চটুলতার সাক্ষী একটা অন্তত এখানে না রাখলেই নয়। তাই এই ব্লগরব্লগর।
সহব্লগারদের প্রতি নিবেদন : আমি ছোট, আমাকে মারবেন না (বেবিটেক্সির পেছন থেকে নেয়া)
অবসাদের পরে কি আসে জরা
এরও কি লেজ কিংবা কান থাকতে পারে
হলে পরে টেনে ধরে শিক্ষা দেয়া যেত
পরিশিষ্ট প্রাণের তবু আকাঙ্ক্ষা উড়ে যাবে
শাঁ শাঁ বাতাবি চড়ুই ঘুলঘুলি পথে
বহু ভাবাভাবি শেষে
ভোরের রোদে মুড়ির মতো করে
নতুন পেঁয়াজ দিয়ে
খেয়ে নেই অবসাদ ভাজা
সাথে ছিল শুধু এক মনোবল
চটুল সাহিত্য করি তারপর...
কে কার মেয়ের সাথে খাদে নেমে গেল
ওঠে না ওঠে না আর
বিষকাঁটালির ঝোপ শুধু নড়ে
মন্তব্য
আপনাকে অভিনন্দন। বালিশ রেডি করছি। তবে রেডি হতে হতে ঝাক্কাস (অপসংস্কৃতি থেকে নেয়া) কিছু মাল ছাড়েন দাদা!
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
কিন্তু দাদা, অপসংস্কৃতি বলে কিছুর অস্তিত্ব আছে কি না তা নিয়েই তো আমার বিস্তর সন্দেহ! আপনার প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী কাম করুম কেমনে তা কইয়া দেন।
অসংখ্য 'নেই'-এর ভিড় ঠেলে জ্বলজ্যান্ত 'আছে' খুঁজে পাওয়া হলো আসল ফকিরি
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
ঠিক। সবকিছু নিয়েই এখন সন্দেহের কালচার।
প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী কাম করণের লাইগা মজার মজার লিখা চাই। জনগণের দাবী হইলো, আগে লিখা, পরে বালিশ!
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
স্বাগতম নতুন করে।
চলুক কবিতার খেলা।
ভিতরবাড়িতে স্বাগতম, মুজিব মেহদী।
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
স্বাগতম, অনেক স্বাগতম।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আমিও নতুন। তাই স্বাগতম বলা অনধিকারের ব্যাপার হবে কিনা ভেবেও স্বাগতম মুজিব ভাই।
চলুক চলুক
ধর্মের কল আরো কিছুটা নড়ুক।
:::::::::::::::::::::::::::
বহুদিন হলো নিকষ কুঠার ফেলে এসে ভুলে
দাঁড়িয়েছি আজ মেঘের কিনারে এসে
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
ঢুকবো!
ঢুকি তাহলে।
বাতাস বইতে থাকলে ধর্মের কল আপনাতেই নড়বে।
আহ স্বস্তি!
অসংখ্য 'নেই'-এর ভিড় ঠেলে জ্বলজ্যান্ত 'আছে' খুঁজে পাওয়া হলো আসল ফকিরি
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
স্বাগতম!
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
স্বাগতম্
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
স্বাগত
স্বাগতম ।
নতুন কবিতা না পেলে যে মারা হবেনা সেই ভরসা কেমনে দেই?
-----------------------------------------
'প্রিয়তম পাতাগুলো ঝরে যাবে মনে ও রাখবেনা
আমি কে ছিলাম,কি ছিলাম--কেন আমি
সংসারী না হয়ে খুব রাগ করে হয়েছি সন্ন্যাসী
হয়েছি হিরন দাহ,হয়েছি বিজন ব্যথা,হয়েছি আগুন'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আপনাদের এত এত অভ্যর্থনার জবাবে আমার এটাই বলার যে, আমার অনেক দায় বেড়ে গেল। ধন্যবাদ সবাইকে।
অধিকন্তু, হাসান মোরশেদ ভাইকে আমার ছোটবেলার একটা অভিজ্ঞতা শোনাতে ইচ্ছে করছে। শৈশবোত্তরকালে প্রতিবেশী একটা ছেলে আমার খেলার সাথী ছিল। শ্রেণিঅবস্থানগত কারণে ছেলেটা বিশেষভাবেই আমার অনুগত ছিল। আর আমিও সুযোগের সদ্ব্যবহার করতাম, অর্থাৎশ্রেণিবাহাদুরি দেখাতে ছাড়তাম না। অবাধ্য হলে মাঝে মাঝে ওকে মারতাম। এত মারের জবাবেও ও কিন্তু কখনোই আমার গায়ে হাত উঠাতে সাহস পেত না। সে শুধু বলত, আরেকটা মার দেখি। আমি আরেকটা মারতাম। সে ততধিক জোর নিয়ে আবার বলত, আরেকটা মার দেখি। আমি হয়ত আবারো মারতাম। এভাবে যতক্ষণ না আমি ক্লান্ত হতাম, ততক্ষণ ওকে মারতেই থাকতাম আর ও ইন্ধন দিয়েই যেতে থাকত।
কাহিনি শেষ।
এ কাহিনি আমি কোথায় সম্পর্কিত করতে চাচ্ছি তা তো নিশ্চয়ই স্পষ্ট। আপনি মারবেন আর আমি বলব, আরেকটা মারেন দেখি। আপনি আবার মারবেন আমি আবারো বলব, আরেকটা মারেন দেখি। একসময় আপনি ক্লান্ত হলে মারামারি বন্ধ হয়ে যাবে। তবু... নতুন কবিতা, না বেরোলে কেমনে দিব, আপনিই কন?
...................................................................
অসংখ্য 'নেই'-এর ভিড় ঠেলে
জ্বলজ্যান্ত 'আছে' খুঁজে পাওয়া হলো আসল ফকিরি
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
-----------------------------------------
'প্রিয়তম পাতাগুলো ঝরে যাবে মনে ও রাখবেনা
আমি কে ছিলাম,কি ছিলাম--কেন আমি
সংসারী না হয়ে খুব রাগ করে হয়েছি সন্ন্যাসী
হয়েছি হিরন দাহ,হয়েছি বিজন ব্যথা,হয়েছি আগুন'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আপনি ছোট বলে আপনাকে মারা হল, নইলে কামান দাগানো হইতো।
প্রকৃতিপ্রেমিক, আপনার কমেন্ট দেখামাত্র ফোনে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটের অর্ডার দিয়ে রাখলাম। আর যাই হোক, বান্দরের গুলিতে আমি মরতে চাই না।
...................................................................
অসংখ্য 'নেই'-এর ভিড় ঠেলে
জ্বলজ্যান্ত 'আছে' খুঁজে পাওয়া হলো আসল ফকিরি
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
বড় মানুষের বিনয়ও যে কত মহান ও সৃষ্টিশীল এ তারই প্রমান।
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
আপনার কমেন্টখানাকেও বেশ বড়ো মানুষের কমেন্ট বলে মনে হলো।
...................................................................
অসংখ্য 'নেই'-এর ভিড় ঠেলে
জ্বলজ্যান্ত 'আছে' খুঁজে পাওয়া হলো আসল ফকিরি
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
কালে কালে বয়সতো আর কম হলো না।
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
নতুন মন্তব্য করুন