হাত থেকে পড়ে ভেঙে যাচ্ছিল স্বাচ্ছন্দ্যখানি কাচের পাত্রের মতো, তার একখণ্ড তুলে এনে তোমার করতলে রাখি, কয়েকখণ্ড পকেটে পুরি ও পায়ে পায়ে রক্ত ঝরিয়ে অবশিষ্টের গায়ের উপর দিয়ে হেঁটে যাই বিষণ্ন বদনে
জেনে রাখ, বিষাদের বোঝা বয়ে যেতে বড়ো শহরের এক থেকে আরেক স্থানের দূরত্ব এত বেশি লাগে যে, হাঁটতে হাঁটতে মনে হয়, যা বয়ে বেড়াচ্ছি তার ভার নিজের দ্বিগুণ
ছড়িয়ে থাকা সবটা আমাকে তোমার হাতে তুলে দিতে কখনো পারব না জেনে এখন ছড়িয়ে পড়ার বিরুদ্ধে ক্রমে দৃঢ় করছি মন, বাতাসকে জানিয়ে দিয়েছি উলটো প্রস্তাব, দিকে দিকে ছড়িয়েছে যেটুকু আমাকে, দ্রুত ফের সবটা আমাকে যেন একখানে জড়ো করে রাখে
তোমার হাতে রয়েছি যেটুকু আমি, আমার পকেটে আমি আছি যতটা, একদিন মনে হবে এটুকুই আমি, বাকি কিছু আমি নই, আমার করুণ ছায়া
মন্তব্য
ব্যপক!
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
কিংবা ছায়া কায়া কোনোটাই নয়!
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
ভাল্লাগছে। ভোট দিলাম- অসাধারণ।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
এই কবিতা পড়তে গিয়ে আমার হৃদয়কে অবহেলা করলো রক্ত ।
-----------------------------------------
ভালো নেই,ভালো থাকার কিছু নেই
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
হৃদয়ের ভোগে লাগতে পারে এমন কিছু হয়ত ছিল না লেখাটায়।
বোধকরি এজন্যেই রক্ত একক খবরদারি করেছে।
...................................................................
অসংখ্য 'নেই'-এর ভিড় ঠেলে
জ্বলজ্যান্ত 'আছে' খুঁজে পাওয়া হলো আসল ফকিরি
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
নতুন মন্তব্য করুন