তিমি মাছের কণ্ঠা চুইয়ে জাগা বুদ্বুদসংগীত ছুঁয়ে-ছেনে দেখে নিতে যেজন পরিব্রাজক হলো বরফের দেশে, ঠিক দক্ষিণমেরুতে, আসন্ন অরণ্যা শীত, ভ্রমণসূত্র তাকে পড়িয়ে দিও মনে, সঙ্গে থাকা চাই তার দশাসই গরম কাপড়, দামী মদ, অতি সংবেদী কান আর যৎপরোনাস্তি লিখন সামগ্রী, একখানি দিক-নির্ণায়ক ও দূরবীক্ষণ যন্ত্র সঙ্গে থাকতেও পারে
গত শীতে যারা পেঙ্গুইনের সঙ্গমদৃশ্য দেখবে আশায় গিয়েছিল দক্ষিণমেরুতে, তাদের উদ্বৃত্ত খাবার সে সহজেই পেয়ে যাবে, আশ্রয়ার্থে যে এস্কিমো পরিবারের করবে সে আতিথ্যগ্রহণ, বাসি সিলে নিশ্চিত করবে ওরা যথাআপ্যায়ন
এটাই নিয়ম বলে ইগলুতে কাছে পাবে গৃহকর্ত্রীকে, প্রথম উচ্ছ্বাসে দিয়ে যথাসাড়া জানি স্লেজগাড়িতে শিকার করে দেবে সে সিল-সিন্ধুঘোটক, এরও আছে বিনিময় কিছু সিগনিফিকেন্ট, মেরুদেশে কেননা কোনো দেনই নেই লেনহীন, শরীরসাধক হলে বিনিময় হতে পারে আইসভার্জিনে
শরীর ব্যাপারে বাধকতা মানতে পারে না যারা, রতিপাপী হীন সেই ভবঘুরেদের লাগি রাহুলজি নিশ্চয়ই কোনো ক্ষমা রোচবেন, আমি মনে করি
মন্তব্য
পলিগ্যামি পদাবলী
-----------------------------------------
মৃত্যুতে ও থামেনা উৎসব
জীবন এমনই প্রকান্ড প্রচুর ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
দারুণ ট্যাগিং তো!
মেল-ভার্সও বলা যায় হয়ত।
...................................................................
অসংখ্য 'নেই'-এর ভিড় ঠেলে
জ্বলজ্যান্ত 'আছে' খুঁজে পাওয়া হলো আসল ফকিরি
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
মেরু অভিযানের দারুণ খবর!
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
বটে। বটে কি?
...................................................................
অসংখ্য 'নেই'-এর ভিড় ঠেলে
জ্বলজ্যান্ত 'আছে' খুঁজে পাওয়া হলো আসল ফকিরি
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
মেরুতে যাওয়ার কল্পনা, বিশেষত আমাদের ট্রপিক্যাল অঞ্চল থেকে, সবসময়ই (যৌন) উত্তেজক, যদিও হাড়গলা ঠান্ডায় সেই উত্তেজনার আদৌ কিছু অবশিষ্ট থাকবে কিনা সন্দেহ!
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
সুমন ভাই, সঙ্গে পর্যাপ্ত মদ থাকলে সমস্যাটার কিছুটা হয়ত কাটিয়ে ওঠা যাবে। চাইলে কিছু ইয়াবা-ভায়াগ্রাও সঙ্গে রাখা যায়।
...................................................................
অসংখ্য 'নেই'-এর ভিড় ঠেলে
জ্বলজ্যান্ত 'আছে' খুঁজে পাওয়া হলো আসল ফকিরি
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
মেল-ভার্সই যুতসই।
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
ভ্রমণের সবচে বড়ো সঙ্গী আর সম্পদ হিসেবে রাহুলজি বলেছিলেন বাঁশি বাজানোটা শিখে নিতে
বাঁশির ভাষা নেই কিন্তু গ্রহণযোগ্যতা আছে
এক সময় দুয়েকদিন বাঁশি বাজানোর চেষ্টাও করেছিলাম তার বিধান মতে
সেখানে গিয়ে হাত পা নেড়ে নিজেকে কবি হিসেবে হয়তো পরিচয় দেয়া যাবে
কিন্তু যদি নানক অব দ্যা নর্থের দেশের কোনো মেয়ে কবিতা শুনতে চায়?
অনুবাদটা করবে কে?
হ্যাঁ স্যার, একজন ভবঘুরের জন্য সবচে ভালো বাঁশি বাজাতে পারা, ছবি আঁকতে পারা ইত্যাদি। এগুলোর ভাষা সর্বজনবোধ্য। দুর্ভাগ্য, আমি এ দু'টোর কোনোটাই জানি না।
আমি সঙ্গে লিখনসামগ্রী নিয়ে যেতে বলেছি, লিখবার ইচ্ছে হলে যাতে বোকা হয়ে যেতে না হয় সেজন্য। আইসভার্জিনরা কবিতা শুনতে চাইতে পারে, সেরকম আমার মনেই হয় নি। সেক্ষেত্রে হয়ত শরীর ভাষার ব্যবহার করা ছাড়া কোনো গত্যন্তর থাকবে না। এটা হতে পারে-- ইশারায় তাদের বোঝানো যে, কবিতা বলার চেয়ে কবিতা করাই উত্তম। ধরে নিন, ওটা এক ধরনের অনুবাদই।
...................................................................
অসংখ্য 'নেই'-এর ভিড় ঠেলে
জ্বলজ্যান্ত 'আছে' খুঁজে পাওয়া হলো আসল ফকিরি
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
মুজিব ভাই,কেবল কি ভার্জিনেরাই কবিতা শুনতে চাইতে পারে? নাকি কবির কবিতা শুধু ভার্জিনদেরই প্রিয় করে?
-----------------------------------------
মৃত্যুতে ও থামেনা উৎসব
জীবন এমনই প্রকান্ড প্রচুর ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
এবার আমি নির্ঘাৎ এক চক্রব্যূহে। হা হা হা।
তা কেন হবে? তবে কিনা ওই ভার্জিনদেরই কথা হচ্ছিল তো!
আসলে কবিতা ননভার্জিন ফিমেল এবং ননফিমেলরাও শুনতে চাইতে পারে, চায়ও, তখন সম্ভাব্য অন্য উপায় খুঁজে নিতে হবে, যখন যেটা প্রযোজ্য।
...................................................................
অসংখ্য 'নেই'-এর ভিড় ঠেলে
জ্বলজ্যান্ত 'আছে' খুঁজে পাওয়া হলো আসল ফকিরি
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
কামেল!
-----------------------------------------
মৃত্যুতে ও থামেনা উৎসব
জীবন এমনই প্রকান্ড প্রচুর ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
নতুন মন্তব্য করুন