ভাঙিয়া রুদ্ধ কপাট সেটা পাহাড়ে পঞ্চমবার
ঢালে নামে কৃষ্ণবল ফণাবিস্তৃত যে অন্ধকার
একাকী সঙ্গের ভিড়ে মাত্র একটি হলুদ পাতা
কখন ঝরেছি কোথা কেউ একটুও জানে নি তা
ভেঙে মচমচ গুঁড়ো বালির শরীরে গেছি মিশে
প্রথমে কয়লা পরে পিচে খুঁজে নেই দেহ দিশে
ঘনানো সন্ধ্যায় চূড়ার গির্জায় দিলে শুভ ঘণ্টা
তবে একজন বোঝে ভেতরে ব্যাপৃত ক্ষরণটা
টুপটুপ ঝরা ক্ষরণের এক জলবিন্দু টিপ
হৃদয়ে মেখে সে জ্বালে পরভৃত প্রেমের প্রদীপ
মাত্র একটি শ্রুতির ঘায়ে নামে নদীতে আকাশ
যেভাবে দূরের শৃঙ্গ করে গর্বে নিজেকে প্রকাশ
ডিঙির ঢেউয়ে কেঁপে ফালি-ফালি চৌকোনো আবেগ
লতানো উদ্যানে নামে মত্তহস্তী আরণ্য-উদ্বেগ
দৃষ্টিতে নৈকট্য ঠেকে বস্তুত অভীষ্ট ঢের দূরে
শিল্পী সহজে ঘুচায় ব্যবধান কথা আর সুরে
তবু যে দূরত্ব থাকে ঝিরঝির করে বয়ে চলা
সময়ে সেটাও ঘুচে ধরা দেয় অরূপ-চঞ্চলা
অমিত কাঙ্ক্ষায় ঠোঁটে কাত করি শরাব পেয়ালা
অপরে হারিয়ে গিয়ে টের পাই দ্বিগুণ সে জ্বালা
মনে মনে যত কাছে দেহে বাড়ে ততটা ফারাক
বুঝেছে কি বিরিশিরি সুরাচর রফিক মারাক
মন্তব্য
ছন্দের খেলা।
আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
বটে। বটে কি ?
..................................................................................
শোনো, বীণা আমি বাজাইনি প্রতিবারই নিজে, এমনও হয়েছে
বীণায় রেখেছি হাত, নিজেই উঠেছে বীণা বেজে!
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
পঠিত হইলো ।
----------------------------------------
শমন,শেকল,ডানা
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
কৃতজ্ঞতা জানানো হইল।
..................................................................................
শোনো, বীণা আমি বাজাইনি প্রতিবারই নিজে, এমনও হয়েছে
বীণায় রেখেছি হাত, নিজেই উঠেছে বীণা বেজে!
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
নতুন মন্তব্য করুন