'কবিদের বিষয়ে' নামে প্রথম গ্রন্থটি লিখেছিলেন ম্যাসিডোনিয়ার রাজপ্রাসাদে বসে ভাববাদী অ্যারিস্টটল, হঠাৎ যা হারিয়ে গিয়েছিল আমার তৃণগুল্মময় আরণ্যমাথায়, হাজার আড়াই বছরেরও পরে, আদ্যন্ত ওটা কুড়িয়ে এনেছি শুধু তোমাদের কথা ভেবে, জেনেছি তোমরা অধীর হয়েছ বেশ, জানতে পেরেছ বলে টিকে থাকা 'পোয়েটিকস' হলো মহা-অনুকার্যকলা, আর 'কবিদের বিষয়ে' ছিল তারও আগে জ্বলা চূড়ান্ত আলো
এবার আমি লিখছি চেনা বাংলা হরফে, বস্তুবাদীজন, মনে রেখো, ভাস্কোদাগামার সাথে ভারত কিংবা কলম্বাসের সাথে আমেরিকার যেমনটি যোগ, আমার সাথে 'কবিদের বিষয়ে'রও তেমনি, তুলে আনছি সৃজন-শোভন করে, গড়েপিটে নিতে এক প্রত্নকলাবোধ-- ভেবো কবিতা করার বেলা, যে, সেটা কল্পরঙিন ছায়া, আনন্দ ও অধ্যাস, মঙ্গল ও বেদনা, জীবন ও মিথ্যা এবং মৃত্যু ও সত্যের পরমতাকে ছোঁয়া
পড়ো-- প্লেটো, গুরু মহামহিমের নামে, তর্কে তর্কে যার, এ যাবৎ পৃথিবীতে বহু গলেছে বরফ, বলেছেন এ-ও-- 'কাব্যকে রাষ্ট্রে স্থান দেয়া গেলে আখেরে হতে পারে সবিশেষ লাভই', কারণ সুমহান হোমারের তিনি অনুরক্ত ছিলেন, কারণ সক্রেটিসের মৃত্যু তাঁকে ব্যথিত করেছিল
মন্তব্য
ভাবুকের দৃষ্টিতে এরিস্টটলের "কবিতার বিষয়ে" 'র কথা তো এভাবেই ফুটে উঠতে পারে। কারণ কবিতার সাবলীল ভাব তার বর্ণনাকে প্রাঞ্জল করে।
মুহাম্মদ২০১৭
নতুন মন্তব্য করুন