• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

নিবর্তন সংবাদ

মুজিব মেহদী এর ছবি
লিখেছেন মুজিব মেহদী (তারিখ: সোম, ২৫/০২/২০০৮ - ১২:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গাছলতাপাতাদেরও সভাকবি থাকা লাগে নাকি, পাতাদের ঝরে যাওয়া লিখে রাখবার কেউ কি নেই ওই বনদেশে-- জেগে ওঠবার অব্যবহিত পরেই চর পড়ে যাওয়ার যে ব্যথা, অসহনীয়, লালন করে করে খাক হয়ে গেছে ভরা নদী, কবি ওই সংবাদ লিখে রাখে নিজ ফরমাশে, মাছের সাথে নদীর যে নিত্যপ্রণয়, গাছলতাপাতারা সেখানেও স্বমহিমা খুঁজে, অণু-পরমাণু সব ধরে এনে একখানে জড়ো করে রাখে, সোৎসাহে বলে যে এভাবে লেখ-- নদী এই লতাদের হাতেপায়ে ধরে তবে এমএ পাস, দ্বিতীয় গ্রেডে, তিনপুরুষ ওর খোলাহাওয়া বেচাবিক্রি করে খেত খালি নুনভাত, তাও ওদেরই পুবের পালানে বসে, কয়লার রহস্য যদি জিজ্ঞেস করা যায় নদী বরাবরে, কিংবা বলা হলে মার্স গ্যাস কোথা থেকে আসে, ঠিক ঠিক ওরা বলে বসে যে সবই এই লতাপাতা থেকে-- অবলা হে গাছলতাপাতা, কীভাবে সম্ভব বলো এত জানাশোনা, পাঠক্রমে এত কিছু ঢুকলো কীভাবে, তোমাদের কি সর্বজনগ্রাহ্য কোনো শিক্ষানীতি আছে, আমাদের নেই, লেজেগোবরে এক পাঠক্রম ফলো করে এটুকু জানাও আমাদের বাকি রয়ে গেছে যে, নদীর কনিষ্ঠা চাচাত বোন এতখানি বাড়া আজ তোমাদেরই বাগানের শাকসবজি খেয়ে

গাছলতাপাতাদের প্রজাপতি সংস্রব উপভোগ্য বেশ, ওই হৃদ্যতাকথা যেদিনই লিখতে বসে কবি, কলম ধরে সে যে কেমন এক হেঁচড়াটানা, পারে তো লিখে দেয় লতায় প্যাঁচিয়ে ধ’রে হাত, লিখে, ভালোবাসাজাত যাবতীয় অতিকেই আমরা শেষাবধি মেনে নেই, খুশিমনে, যেজন্যে ভালোবাসার জন্যে ফিরি দ্বারে দ্বারে ভিখিরির প্রায়, কিন্তু ভালোবাসা ব্যাপারটাকে সংজ্ঞা-কাঠামোতে নিয়ে যেতে ওরা ঠিক কী কী শব্দ ব্যবহার করে, এতদবিষয়ে সদা প্রতিবেশী সব ফড়িংকেও অতিকায় এক অস্পষ্টতার নিচে লুকিয়ে রাখে, লিখে, আমরা পুরানো দিনের গানের খুব ভক্ত গো, রোদ ঝলমল যত সকালবেলা ওদের, ফিরে নাকি আসে নি কখনো আর কোনো শীতকালে

পতঙ্গভুক লতার হাত ছাড়িয়ে কবি লিখে, যাকে হারায় তাকে পাবার জন্যে যে ব্যাকুলতা, মানুষেরা তা থেকেই ধারণা করে বসে যে সমস্ত অতীতই চিরকাল সারবান-- প্রত্যক্ষ, অনুমান, আপ্তবাক্য-- এই ত্রিবিধ প্রমাণই সেখানে ব্যর্থ যদিও, এটি মূলত পরিচয়ের প্রতি মানুষের এক সহজাত টান, অপরিচয়ের প্রতি সন্দেহ, সমাজ-রাষ্ট্রের বদ সব অস্থিরতাও এসবের বড়ো গূঢ় প্রণোদনা বটে

বাজাই বাজাই করে না-বাজানো বাদ্যগুলোর অমিত সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে ভার কাঁধে দূরপথে হেঁটে যাবার বেলা চোখেলাগা পাহাড়ি ধ্বংসলীলা কীসের মহড়া ওগো লীলাবালি, পাথুরে ধরন আর অল্পসল্প তেঁতো, সে কি আপাত অপরিচয়ের নিচে এক অতিকায় প্রাণজাগ দেয়া নয়, গাছলতাপাতাদের ঢের কাছে

ময়দানের হাওয়া


মন্তব্য

অমি রহমান পিয়াল এর ছবি

রাপু খাপাং হইয়া গেলাম


তোর জন্য আকাশ থেকে পেজা
এক টুকরো মেঘ এনেছি ভেজা
বৃষ্টি করে এক্ষুনি দে তুই
বৃষ্টি দিয়ে ছাদ বানিয়ে শুই


তোর জন্য আকাশ থেকে পেজা
এক টুকরো মেঘ এনেছি ভেজা
বৃষ্টি করে এক্ষুনি দে তুই
বৃষ্টি দিয়ে ছাদ বানিয়ে শুই

মুজিব মেহদী এর ছবি

'রাপু খাপাং' মানেই তো জানি না। কেমনে কী?
.................................................................
...ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু গড়া এ ফেব্রুয়ারি...

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

নিঘাত তিথি এর ছবি

মারাত্মক। কি চমৎকার শব্দের বুনন। এরেই বলে কবি।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

মুজিব মেহদী এর ছবি

কথা কটি সোজা অর্থে নিলে সংকোচ হয়, বাঁকা অর্থে নিলে লজ্জা। কোনভাবে যে নেব!
.................................................................
...ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু গড়া এ ফেব্রুয়ারি...

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আফসোস!!!
এধরণের লেখা পড়লে কিছু লেখার আগেই হাত গুটিয়ে ভেতরে চলে যায়, লজ্জায়!

ভয়ানক ভালো লাগলো লেখার প্রতিটা শব্দই।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

মুজিব মেহদী এর ছবি

সর্বনাশ!
আপনার লেখা এ যাবৎ যে কটা পড়েছি, সেসবে তো অনেক প্রাণসম্পদের উপস্থিতি দেখেছি। আপনি এরকম করে বললে তো দেখছি আমারই পোস্ট দেয়া বন্ধ করে দিতে হয়।
.................................................................
...ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু গড়া এ ফেব্রুয়ারি...

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনার দেয়া এই প্রশংসা আমি কোথায় রাখি জনাব!

আপনি পোস্ট বন্ধ করলে তো জরুরী অবস্থা জারী হয়ে যাবে এখানে। গণপিটুনির হাত থেকে আমাকে বাঁচান আপনি। আপনার লেখায় 'রাপু খাপাং' (পুরা পাংখা) অবস্থা আগেও ছিলো, এখন শিমুলের মতো আরো জোরে ঘুরতেছি!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

মুজিব মেহদী এর ছবি

হায় রাপু খাপাং। এবার তবে মালূম হলো।
তো, ঘোরা বন্ধে কী করতে পারি জনাব?
.................................................................
...ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু গড়া এ ফেব্রুয়ারি...

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হা হা .. এই লেখার আগে পড়লে তো আমার লেখাটা দিতে পারতামনা। একটানে পড়ে গেলাম। আমার মত করে বুঝে নিলাম। পুরা লেখাটাইতো মনে হচ্ছে একটা লাইন। শেষে একটা দাঁড়ি দিলেই কেল্লা ফতে।

মুজিব মেহদী এর ছবি

কী যে বলেন!

না জনাব, দাঁড়ি দেয়া যাবে না। আমার কোনো সৃজনশীল লেখাতেই কোনো পূর্ণযতি নেই। কোথাও পেলে বুঝবেন মুদ্রণপ্রমাদ। সারাজীবনে একটি লাইনই লিখতে চাই। অনেক দীর্ঘ.........................
.................................................................
...ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু গড়া এ ফেব্রুয়ারি...

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।