হেমিংওয়ে একদা মাত্র ছয়টি শব্দে একটি গল্প লিখেছিলেন (For sale: baby shoes, never worn), যেটিকে তিনি তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ কাজ হিসেবে গণ্য করতে বলেছিলেন। এই ইতিহাসকে পুঁজি করে আমেরিকা থেকে প্রকাশিত WIRED ম্যাগাজিন কর্তৃপক্ষ ২০০৬ সালে মুদ্রণ, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ও গেমস জগতের সায়েন্স ফিকশন, ফ্যান্টাসি ও হরর লেখকদের এরকম আয়তনের গল্প লিখবার আমন্ত্রণ জানায়। তাদের এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে কয়েক ডজন লেখক তাঁদের বিবেচনায় উৎকৃষ্ট রচনাটি লিখে দেন। অবশ্য আর্থার সি ক্লার্ক শেষ পর্যন্ত তাঁর রচনাটি কেটেছেঁটে এই সংখ্যায় রাখতে রাজি হন নি (“God said, `Cancel Program GENESIS,’ The universe ceased to exist.”)। পাঁচজন সেরা গ্রাফিক ডিজাইনার প্রাপ্ত গল্পসমূহের ওপরে ড্রয়িং করেন এবং বাছাই করা মোট ৩৪টি গল্প নিয়ে নভেম্বর ২০০৬-এ ম্যাগাজিনটির একটি বিশেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয়। সংখ্যাটির জন্য মোট জমা হওয়া ৯৩টি গল্পের বাকিগুলো অবশ্য ওয়েব সংস্করণে ঠাঁই পায়।
বিষয়টি হঠাৎই নজরে এলে আমি বিশেষভাবে চমৎকৃত হই। সাহিত্য নিয়ে কত বিচিত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষাই না হচ্ছে পৃথিবী জুড়ে। ছয় শব্দেও গল্প, তারও আবার বিশেষ সংখ্যা। মনে হলো লেখাগুলোর কয়েকটি রূপান্তর করবার চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে। আমি দেখতে চাচ্ছিলাম, শব্দের সীমাটা ঠিক রেখে বা না-রেখেও বাংলায় কোনো রূপ ফোটানো আদৌ সম্ভব কি না, এবং যদিবা সম্ভব হয়ও তবে ফুটে ওঠা রূপটা পাঠককে আক্রান্ত করতে পারে কি না। বলাই বাহুল্য, আমি প্রায়ই শব্দসীমা ঠিক রাখতে পারি নি। তার সবটা অবশ্য আমার রূপান্তরে অক্ষমতার কারণে নয়, কিছুটা বাংলায় অর্থময়তা রক্ষার চেষ্টা এবং কিছুটা যোগাযোগের চেষ্টা থেকেই ওরকম করা হয়েছে। জানিয়ে রাখা ভালো, WIRED লেখাগুলোকে চিহ্নিত করেছিল Very short story হিসেবে। আমি বলছি অতি ক্ষুদ্র গল্প। মোট তিনটি কিস্তিতে আমার রূপান্তরিত গল্পগুলো সচলায়তনে উপস্থাপিত হবে। আজ দেয়া হলো হার্ড ভার্সনে অন্তর্ভুক্ত গল্পগুলো থেকে মোট ১০টি।
মানুষ থাকার খরচ অনেক।
বুশ স্টারলিং
সমাধিলিপি : বোকা মানুষ, পৃথিবী থেকে পালাতে পারে নি।
ভারনর ভিঞ্জ
ওটা তোমার পেছনে! আগে ছোটো।
রকনে এস. ও'বেনন
মুজিব পূর্বে কখনো পায়ের আঙুল খায় নি।
কেভিন স্মিথ
মানবিকতা রক্ষার্থে তিনি আরেকবার মরেছিলেন।
বেন বোভা
তাকে বিয়ে করো না, বরং একটা বাড়ি কেনো।
স্টিফেন আর. ডোনাল্ডসন
খুবই সহজ, কেবল দিয়াশলাই স্পর্শ কর।
উরসুলা কে. লি গুইন
কেঁদো না সোনা, আমি তোমার ভবিষ্যৎ।
স্টিফেন বেক্সটার
তাকে পাবার আকুলতা। পাওয়া। ছি!
মার্গারেট এটউড
১৯৪৩। যুবক হিটলার। ধর্মসংগীতের মহাগুরু।
মিখাইল মোরকক
মন্তব্য
প্রিয় মুজিব মেহেদী,
আপনি এই গল্পাণু নিয়ে একটি পরীক্ষা চালাতে পারেন কিন্তু সচলায়তনে। অণুগল্পের মতোই লেখকরা গল্পাণু পাঠাতে পারেন আপনার কাছে, আপনি ঝেড়েবেছে প্রকাশ করতে পারেন।
আপাতত একটা গল্পাণু যোগ করি।
"গিয়েছিলাম। পাইনি।"
হাঁটুপানির জলদস্যু
আমি এরকম একটা কথা ভেবেছিলাম, তবে সে ভাবনাটার সময় আমার চোখে ভেসেছিল একটা বইয়ের ছবি। ভেবেছিলাম, অতি ক্ষুদ্র গল্প-এর কিস্তি কয়টা প্রকাশের পর আমার পরিকল্পনার কথা সবাইকে বলে লেখা দেবার অনুরোধ করব।
সচলায়তনে আমি এখনো নতুন। হয়ত অনেক সচল এখনো আমার একটিও পোস্ট পড়েন নি। তো, এরকম একজন অচেনা মানুষের পক্ষে প্রকাশায়তনের হয়ে ই-বুক করবার প্রস্তাব করাটা কেমন স্পর্ধার হয়ে যায় না?
সচলায়তনের হয়ে আপনি যখন প্রস্তাব করলেন, তখন সচলরা প্রস্তাবটা সমর্থন করলে সেরকম একটা চেষ্টা করে দেখাও যেতে পারে। পরে সম্ভব হলে বইয়ের কথাও না-হয় ভাবা যাবে। আমি এ প্রস্তাবে রাজি, তবে সঙ্গে আপনার থাকা চাই।
আপনার দুই শব্দের সংযুক্তিটা আমার বিশেষ পছন্দ হলো।
................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
বই নয়, বরং ব-e এর চিন্তাই ছিলো মাথায়।
ফারুক ওয়াসিফকে সাথে নিয়ে আপনি শুরু করে দিলে কেমন হয়? আমি মাঝে মাঝে টুকটাক সাহায্য সবসময়ই করতে পারবো মনে হচ্ছে। তবে গল্পাণুর ব্যাপারে আপনাদের দু'জনের কাছ থেকেই প্রথম ইনপুট এসেছে, আমার মনে হয় আপনারা দু'জন জুটি বেঁধে করলে কাজটা ভালো হবে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ফারুক ওয়াসিফ ভাইকে সঙ্গে পেলে খুবই ভালো হবে সন্দেহ নেই। তাঁর মতামত আশা করছি। পাশাপাশি আপনাকে দরকার চারটি কারণে। ১. আপনার গল্পপ্রবণতার মধ্যে ক্ষুদ্রায়তনে কথা সারবার একটা স্বাভাবিক ঝোঁক আছে। তার মানে গল্পাণুর সঙ্গে আপনার আত্মীয়তা সহজাত ; ২. আপনি ব-e এর প্রস্তাবক, গল্পাণু শব্দটার প্রস্তাবক এবং প্রথম গল্পাণু সংযুক্তকারী ; ৩. আপনি সচলায়তনের একজন অভিভাবক এবং ৪. আপনি ব্লগপ্রযুক্তিটা ভালো বোঝেন।
................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
খুবই বিড়ম্বিত বোধ করছি। আমি আপনাদের যজ্ঞে খড়কুটো যুগিয়ে দিতে পারি, কিন্তু সম্পাদনার ভার আপনারাই নিন। আর সচলায়তনের অভিভাবক নই, আমি সচলায়তনের প্রেমিক বলতে পারেন।
হাঁটুপানির জলদস্যু
পরকীয়া নয় তো?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি একগামী পুরুষ। একমাত্র নারীদের ভালোবাসি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
হিমুর গল্পাণুর প্যারোডি।
মূল: "গিয়েছিলাম। পাইনি।"
প্যারোডি: "এসেছিল। দ্যায়নি।"
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি একগামী পুরুষ। একমাত্র নারীদের ভালোবাসি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
- আমি আরেকটাযোগ করি-
মূল (হিমু): "গিয়েছিলাম। পাইনি।"
প্যারোডি (সন্ন্যাসী): "এসেছিল। দ্যায়নি।"
প্যারাপ্যারোডি(ধু গো): "খুলেছিলো। দেখায়নি।"
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দারুণ হয়।
এ দুটো সুন্দর।
......................................................................................
মনে হয় তবু স্বপ্ন থেকে জেগে
মানুষের মুখচ্ছবি দেখি বাতি জ্বেলে
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
বেশ তো!
তাহলে আপনিও কয়েক শব্দ যোগ করুন।
আপনার আগের একটা পোস্টে বিখ্যাতদের গল্পের সঙ্গে আপনার নিজের গল্পও তো ছিল বোধহয়।
................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
০১
শারীরিক- মানসিক- আর্থিক অবস্থা ছাড়া আমার অবস্থা খুবই ভালো
০২
এসেছিল শিল্পী হতে। এখন বসবাস করে শিল্পাঞ্চলে
০৩
বিষের পুরিয়া মুখে ঢালার আগ মুহূর্তে মনে পড়লো এই সময়েই অমুক তার বৌয়ের সাথে দেখা করতে যায়।
আজও গেলো কি না দেখে আসতে গেলো সে
...........................
এইভাবে লিখতে হয় নাকি স্যার?
বহু আগে কণাগল্প নামে কিছু হাবিজাবি লিখেছিলাম আমি
ওগুলো খুঁজে একবার ঢু মারতে হবে মনে হচ্ছে এখন
আপনাদের সমস্যাটা কি একটু বলবেন।
সবে গল্পকে কেটেছেঁটে অণুগল্প বানানোর তরিকা শেখার চেষ্টা করছি, এখন আবার আপনারা "অতি ক্ষুদ্র গল্প''র বায়না ধরেছেন।
এর পরে কি হবে? কোন শব্দ ছাড়াই গল্প?
আপনারা পারেনও!
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
এটা হচ্ছে গুস্তাভ ফ্লোবেরের সেই চূড়ান্ত অনিবার্য শব্দের সাধনা
যার ছড়ি দশ দশটি বছর তিনি ঘুরিয়েছিলেন মোঁপাসার উপর
ইভান তুর্গেনেভের রচনাবলীর সমালোচনা ৫০০ শব্দে লিখে আনো
মোপাসা যখন লিখে আনলেন ফ্লোবের তা না পড়েই বললেন এবার একটাকে ৫০ শব্দে লেখো
মোপাসা লিখলেন। ফ্লোবের বললেন এবার লেখো ৫ শব্দে
ভাগ্যিস ১০ বছর খাটিয়ে তিনি মোপাসাকে লেখা ছাপানোর অনুমতি দিয়েছিলেন। আর কিছুদিন গেলে হয়তো তাকে শব্দ ছাড়াই গল্প লেখার এ্যাসাইনমেন্ট দিতেন। এবং করে আনলে না পড়েই ফেলে দিতেন
ইহারা ফ্লবেরের প্রেতাত্মা
৫০০ শব্দ থেকে এখন ১০ শব্দে
এর পরে বলবে মাত্র এক অক্ষরে একটা গল্প লিখে দিন
তখন আমরা সবাই মিলে একটা গল্প লিখব - না
জাহিদ ভাই, সেই গল্পের খেলার কথা ভুলে গেলেন নাকি? কয়েকটা চরিত্র, কয়েকটা জিনিস, কিছু অনুভূতি। আপনি এর পর কিছু যোগান, আমরা খেলি।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ও হ্যাঁ- ওটার কথাতো ভুলেই গিয়েছিলাম। আমার তো মনে হয় আপনার দেয়া তালিকা থেকেই আরো গল্প বানানো যেতে পারে। কেউ চেষ্টা করলে মন্দ হয়না।
তবে শর্ত একটাই, গল্পে রাবারের ডান্ডার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকতে হবে, কেননা বেশকিছু পাঠকের চোখ রয়েছে বস্তুটির প্রতি।
জনগণের সুবিদার্থে তালিকাটি নীচে দিয়ে দিলাম:
জনাব কদম রসুল, রিটায়ার্ড যুগ্ম সচিব, তাঁর অষ্টাদশী কন্যা সুমাত্রা যে কি না কত্থক নাচে, পোষা স্প্যানিয়েল কুকুর ভুট্টো। রাগ, কৌতূহল, উত্তেজনা। একটা রবারের ডান্ডা, একটা রিডার্স ডাইজেস্ট, আধখাওয়া আপেল আর একটা ছেলেদের আন্ডারওয়্যার।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
আমিও কয়েকটা (মৌলিক ও অনুবাদ মিশিয়ে) দিয়ে দেখি। এরকম হলে চলবে?
০১.
প্রতিটি মধুচন্দ্রিমা তিনি যাপন করেন কক্সবাজারে।
০২.
কেন ডিভোর্স নিয়েছি? একাকিত্ব অসহ্য হয়ে উঠেছিল।
০৩.
খুব সুখী তারা দু'জনেই। এখনও দেখা হয়নি তাদের।
০৪.
বাজারে পৌঁছে মুর্গির মনে হলো, খামোখাই সে এতোদিন নিজের দাম দেয়নি।
০৫.
তিনি কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন। ভেঙে গেছে তাঁর তর্জনি।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি একগামী পুরুষ। একমাত্র নারীদের ভালোবাসি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
এই পাচটা সবচেয়ে ভালো লাগলো।
এরকম হয় কি?
১.
চিরকুটে লেখা ছিলো, আমাকে খুঁজে লাভ নেই।
২.
এটাই বোধহয় তোমার কাছে আমার শেষ এসএমএস। আর কক্ষণো বিরক্ত করবো না।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
একই রকম কয়েকটা:
১.লোকটা বিশ্রী একটা হাসি দিয়ে বলল, "বোঝেনইতো!"
২.ভদ্রলোক ঘামছেন, একবার ডানে, তারপর বাঁয়ে তাকালেন; তারপর ....
৩.ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব নির্বিকার; আমি ভাবলাম, 'মানুষ পারেও!'
৪."ফোন করেননা কেন?"
"এমনি"
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
"গুড়াগল্প ল্যাখেন না ক্যান?"
"পারি না ..."
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...
বাহ! বেশ তো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
সবার সংযোজনই গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছে আমার কাছে।
তাহলে তো দেখছি গল্পাণুর ব-e একটা হয়েই যাচ্ছে।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার আগে এভাবেই চলতে থাকুক।
................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
--এটা দারুন!!
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
উত্তম প্রস্তাব।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
আরেট্টা গল্পাণু:
ভুদাই অইলাম।
আরেট্টা:
পিথিবীর ব্যাকেই কি বুকাচুদা?
গল্পাণু:
তিনি এখন সচল , আমি ভুদাই অচল !
জনৈক "বেক্কল ছড়াকার"
আমি নাই
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
সকাল মেয়ের সাথে দেখা করতে গিয়ে দেখি বিকেল বসে আছে সেখানে।
টেবিলের তলায় হাটুতে হাটু, ক' মিনিটের নিখাদ প্রেম।
পড়ন্ত বিকেলে পথপাড়ি বিরাট কিছু নয়!
**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
আমিও কিছু লিখি ...
"তোমার এতোটাই স্পর্ধা !"
"অনেকবারের চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত জানালাটা খোলা গেল"
"গুলির শব্দ! আর্তচিৎকার! নিস্তব্ধতা!"
"দ্রিম-দ্রিম, দ্রিম-দ্রিম, দ্রিম ... ... ..."
"আধঘোরে অস্ফুট প্রলাপ; আমি নই"
"তোমার কথাই ঠিক; আমিই হতভাগা"
"জান! তুমি এতোটা চাও আমাকে?"
- নিশাচর (asifmt@yahoo.com)
চিনলাম মনে হয়!! .... কবে থেকে লিখতেছিস? ...স্বাগতম, স্বাগতম
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
অণুতেই বেগতিক, আবার পরমাণু!
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
১.শটটা ওকে হবার পর দেখা গেলো ক্যামেরা অফ।
২.???...!!!
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
এক ভদ্রলোকের চার স্ত্রী।
ফাটাফাটি!!
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
ভোরবেলা মৃত্যু হল, ঘোর নিশীথে জন্ম। শিশুটি একা।
"আর পারছি না" বলে সে আমাকে ছেড়ে যেতে পারল?
অন্ধ জ্যোতিষী ভবিষ্যত দেখান।
চর্চাটা আমার কাছে খুব ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে। কিছুদিন প্র্যাকটিস করলে এটা একটা ভালো কিছুতে দাঁড়াবে। আপাতত হুমায়ুন আজাদের প্রবচন টাইপ জিনিসই শুধু মাথায় আসছে।
আচ্ছা, এরকম কিছু কি করা যায় না, সবাই মিলে একটা গল্প লিখলাম। মুজিব মেহদী প্রথম লাইনটা লিখে দিলেন। তারপর একের পর এক লাইন একজন একজন করে লিখতে থাকবেন। দেখি না, ব্যাপারটা কি দাঁড়ায়!
লীলেন ভাইয়ের শিল্পী আর শিল্পাঞ্চল নিয়ে লেখাটা দারুণ লেগেছে!
--------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
বাহ, আরো আসছে। আমি আশান্বিত। আসতেই থাকুক...
মৃদুল আহমেদের প্রস্তাবটা খুবই মজার। কিন্তু এই পোস্টে ওটা শুরু করলে গল্পাণুর পরিকল্পনাটা মার খেয়ে যাবে। এটা এভাবেই চলুক। ওই মজাটা বরং অন্য একটা পোস্টে আপনিই শুরু করুন।
কদিন আগে মাহবুব লীলেন তো এভাবেই একটি গল্পের মালমশল্লা একত্র করলেন। ওটা নিশ্চয়ই চমৎকার একটা কিছু হবে।
তবে খুবই দুঃজনক যে সেবার আমি অংশ নিতে পারি নি। আপনি পোস্ট দেন, এবার আমি অংশ নেব।
................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
ছেলেটা বোকা। মেয়েটা চালাক!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
এটা তো কোন গল্প হতে পারে না। গল্প হতো, যদি "ছেলেটা চালাক। মেয়েটা বোকা" হতো।
হাঁটুপানির জলদস্যু
১. মাস্তানি দেখাইতে আসছিল। এখন হাসপাতালে।
২. চুলায় খিচুড়ি ছিল। পুড়ে গেছে।
৩. ফোন করেছিল। ধরিনি।
৪. ছেলেটা একটু ভাব নিয়েছিল। মেয়েটা এখন অন্য কারো ।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
কিছু ধার করা কিছু মৌলিক unlucky 13
১- "আল্লাহর মাল আল্লাহ নিছে"- অসাধারণ পরমাণু গল্প লিখিয়ে জনৈক জাতীয়তাবাদী মন্ত্রী।
২- "ঈশ্বর বলিলেন হও, আর হয়ে গেল!!" - পবিত্রগন্থসমূহ
৩- নামবে? না থাক, আমিই বরং উঠি।
৪- ধুর মিয়া! আলু কি গাছে ধরে?
৫- দাড়িওয়ালা হাসিয়া বলিল, "ঠিকাছে"
৬- জল পাই কোথায়? খুঁজতে গিয়ে কল না পেয়ে নল পেলাম-- জল্পাই রঙা নল।
৭- লাল-সবুজকে ঘিরে প্রেতদের উল্লাস
৮- সংগ্রামী--সাহসি--অতঃপর পরবাসী
৯- আহারে! বড় ভাল লোক ছিলেন...
১০- বাম কান্ধের ফেরেশ্তায় কয়, "ব্যাটা খাটিয়ে মারল"।
১১- দারিদ্র দূর করতে না পারি দরিদ্রতো দূর হইল... মারহাবা!!!
১২- দারিদ্রসীমার নিচে সকল্কেই উপরে পাঠাতে হবে।
১৩- বালিকা এবং শ্যালিকা-- পাত্রি চাই!!!
- "বিকেলেও সঙ্গী তিনজন ছিলো। সন্ধ্যায়, আমি সম্পূর্ণ একা!"
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি বুঝি না ছেলেরা কি পাগলই হবে? .......... যতসব উদ্ভট আর পাগলামো নিয়ে কি করে না করে -----------
কবিতার কথাই তো বুঝতে পারি না----- পড়ে যেটাকে প্রেম পর্যায়ের ভাবি শুনি ধর্মকথা আবার যাকে মৃতু্যাত্রার কবিতা বলে ভাবি সেটা নাকি প্রেম ------- এখন গল্পের ভাবও যদি বুঝতে হয় তবে তো গেছি------বাপরে!
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
এমন দায়িত্ব কেউ দেয়নি। তবু পাঠকদের পাঠানো গল্পাণুগলোর মধ্যে আমার পছন্দেরগুলো জানিয়ে রাখি।
হিমু
গিয়েছিলাম। পাইনি।
মাহবুব লীলেন
১. শারীরিক- মানসিক- আর্থিক অবস্থা ছাড়া আমার অবস্থা খুবই ভালো
২. এসেছিল শিল্পী হতে। এখন বসবাস করে শিল্পাঞ্চলে
জ্বিনের বাদশা
১. লোকটা বিশ্রী একটা হাসি দিয়ে বলল, "বোঝেনইতো!"
২. ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব নির্বিকার; আমি ভাবলাম, 'মানুষ পারেও!'
কিংকর্তব্যবিমূঢ়
"গুড়াগল্প ল্যাখেন না ক্যান?"
"পারি না ..."
সবুজ বাঘ
পিথিবীর ব্যাকেই কি বুকাচুদা?
জনৈক "বেক্কল ছড়াকার"
তিনি এখন সচল , আমি ভুদাই অচল !
তীরন্দাজ
সকাল মেয়ের সাথে দেখা করতে গিয়ে দেখি বিকেল বসে আছে সেখানে।
আনোয়ার সাদাত শিমুল
এক ভদ্রলোকের চার স্ত্রী।
মৃদুল আহমেদ
১. "আর পারছি না" বলে সে আমাকে ছেড়ে যেতে পারল?
২. অন্ধ জ্যোতিষী ভবিষ্যত দেখান।
পরিবর্তনশীল
ছেলেটা চালাক। মেয়েটা বোকা। (হিমু কর্তৃক পরিবর্তিত)
সুলতানা পারভীন শিমুল
মাস্তানি দেখাইতে আসছিল। এখন হাসপাতালে।
অচল আনি
১. "ঈশ্বর বলিলেন হও, আর হয়ে গেল!!" - পবিত্রগন্থসমূহ
২. নামবে? না থাক, আমিই বরং উঠি।
৩. ধুর মিয়া! আলু কি গাছে ধরে?
৪. দাড়িওয়ালা হাসিয়া বলিল, "ঠিকাছে"
৫. জল পাই কোথায়? খুঁজতে গিয়ে কল না পেয়ে নল পেলাম-- জল্পাই রঙা নল।
৬. সংগ্রামী--সাহসি--অতঃপর পরবাসী
৭. বাম কান্ধের ফেরেশ্তায় কয়, "ব্যাটা খাটিয়ে মারল"।
৮. দারিদ্র দূর করতে না পারি দরিদ্রতো দূর হইল... মারহাবা!!!
৯. দারিদ্রসীমার নিচে সকল্কেই উপরে পাঠাতে হবে।
অয়ন
যুবক হেসে বললো,"ভাগ্যিস পকেটে কন্ডম ছিলো না"।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি একগামী পুরুষ। একমাত্র নারীদের ভালোবাসি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
ধন্যবাদ। আপনি আমাদের অনেক কাজ কমিয়ে দিলেন হয়ত।
................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
যুবক হেসে বললো,"ভাগ্যিস পকেটে কন্ডম ছিলো না"।
এইটা কি হাইসা বলার কথা?
গল্প তো হবে, "ফরিদ ভাই ও ফরিদ ভাই, তোমার দোকানে কি বেলুন আছে?" টাইপ
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...
ধন্যবাদ মুজিব মেহেদী অনুবাদ গুলোর জন্যে।
একটি অনুকাব্য মনে পড়ছে। কার সেটি মনে নেই:
"ভালবেসেছি এক স্বৈরিণীকে, খরচ করে চৌদ্দ সিকে"।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
রেজওয়ান ভাই, এ কাজে আমি পাকা নই। কিন্তু তবু বিশেষ ধরনের সৃজনশীল রচনা বলে রূপান্তরের সাহস করেছি।
অণুকাব্যটা টাচি।
................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
হাহা সবগুলি দারুন লাগল, আমি একটা যোগ করি,
'চুপ! একদম চুপ!'
'জোরে বল, শুনতে পাই না'
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
"থাক। এখন না।"
হাঁটুপানির জলদস্যু
নতুন মন্তব্য করুন