এক সুপরিচিত জেন সাধনগুরু একদিন জানালেন যে, তাঁর সবচে' গুরুত্বপূর্ণ পাঠ হলো ‘তোমার মনটাই বুদ্ধ’। এই নিগূঢ় বাণীতে উল্লসিত হয়ে এক ভিক্ষু মঠস্থল ত্যাগ করে নিজের ভেতরটা জাগিয়ে তুলতে ধ্যানেচ্ছায় বিজন উষর প্রান্তরে প্রত্যাবর্তনের সিদ্ধান্ত নিলেন। ওই মহৎ শিক্ষার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে সেখানে তিনি সন্ন্যাসী হিসেবে ২০ বছর সময় অতিবাহিত করলেন।
একদিন তিনি বনদেশে ভ্রমণে আসা অন্য এক ভিক্ষুর সাক্ষাৎ লাভ করলেন। অচিরেই সন্ন্যাসী ভিক্ষু জানতে পারলেন যে, ওই ভ্রামণিক নিজেও একই সাধনগুরুর কাছে জেন শিখেছেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘আচ্ছা বলুন তো আমাদের গুরুর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাঠ কোনটি ছিল ?’
প্রশ্ন শুনে ওই ভ্রামণিকের চোখ চিকচিক করে উঠল। বললেন, ‘এ ব্যাপারে তাঁর চিন্তা তো খুবই স্বচ্ছ ছিল বলে জানি। তাঁর থেকে পাওয়া আমাদের প্রকৃত শিক্ষাটা ছিল, বুদ্ধ আমাদের মনের মধ্যে নেই।’
বাংলায় রূপান্তর : মুজিব মেহদী
মন্তব্য
কাহিনী তো ভয়ংকর প্যাঁচ খাইছে তাইলে।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
কাহানীমেটুইস্ট!!
মজার গল্প!
কিন্তু বুদ্ধ আসলে কোথায়?
আমিও কিছুদিন ছিলাম ওই গুরুর কাছে। কিন্তু গুরু-ত্ব অর্জন করতে পারি নাই। তবে এটা শিখছি যে, বুদ্ধ মনের গুহায়ও থাকে সামাজিক বনেও থাকে। এই দুই যেখানে মেলে সেখানে বুদ্ধ দেখা দেন। আপাতত তিনি আসেন আর যান, থাকেন না।
মনে হয় তবু স্বপ্ন থেকে জেগে
মানুষের মুখচ্ছবি দেখি বাতি জ্বেলে
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
ফারুক ওয়াসিফের মন্তব্যটা মনে ধরলো।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ...ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
বেশ লাগল!
বাংলায় রূপান্তর ভালৈছে।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
গুরুর চলতি সংস্করণ অনুসরণ করা মুশকিল দেখছি!
হাঁটুপানির জলদস্যু
নতুন মন্তব্য করুন