স্বর্গোদ্যান

মুজিব মেহদী এর ছবি
লিখেছেন মুজিব মেহদী (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৩/০৭/২০০৮ - ৯:৫৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মরুভূমিতে হারিয়ে যাওয়া দু'জন লোক ক্রমশ ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় খুবই কাতর হয়ে পড়ল। হাঁটতে হাঁটতে শেষপর্যন্ত তারা একটি উঁচু দেয়ালের কাছে এসে পৌঁছল। শুনতে পেল, ওইপার থেকে ঝরনার কলকলানি ও পাখির কলরব ভেসে আসছে। তারা দেখল, একটি লসলসে গাছের ডাল দেয়ালের উপর দিয়ে মাথা বাড়িয়ে আছে। ওই গাছের ফলগুলোকে মনে হলো খুবই সুস্বাদু।

একজন কোনোভাবে দেয়াল বেয়ে উঠে ওইপারে নেমে যেতে সক্ষম হলো। কিন্তু অন্যজন দেয়াল না টপকিয়ে হারিয়ে যাওয়া অন্য ভ্রামণিকদের মরুদ্যানের পথ দেখিয়ে নিয়ে আসতে আবার মরুভূমিতে ফিরে গেল।

বাংলায় রূপান্তর : মুজিব মেহদী


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

ট্যাগে "রূপান্তরিত জেনগল্প ১১" না লিখে যদি সবক'টে জেনগল্পেই "রূপান্তরিত জেনগল্প" ব্যবহার করতেন, তাহলে ওতে ক্লিক করলে সবক'টি জেনগল্প এক পৃষ্ঠায় দেখা যেতো।


হাঁটুপানির জলদস্যু

মুজিব মেহদী এর ছবি

দারুণ আইডিয়া। এডিট করছি। লিখব-- রূপান্তরিত জেনগল্প, ১১। একভাবে সংখ্যাটা রাখতে চাচ্ছি।

ধন্যবাদ আপনার পরামর্শের জন্য।

................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

হিমু এর ছবি

১১ আসলে আলাদা করে লিখলে সেটা একটা আলাদা ট্যাগ হিসেবে কাজ করবে। ফলে আপনার অন্য সিরিজের ১১ নাম্বার পোস্টগুলি তখন এক পাতায় দেখা যাবে। সংখ্যা যদি নিতান্ত রাখতেই চান, তাহলে পোস্টের নামের সাথে রাখতে পারেন।


হাঁটুপানির জলদস্যু

মুজিব মেহদী এর ছবি

পোস্টের সাথে রাখতে গেলে লেখার শিরোনামের সাথে আরো শব্দ যোগ করতে হবে। যেমন জেনগল্প ১ : মূল নাম ইত্যাদি। সেটা করতে চাই না। অলরেডি সবকটা ট্যাগ এডিট করে ফেলেছি। 'রূপান্তরিত জেনগল্প'-এ ক্লিকের ফলাফল দেখে আমি মুগ্ধ। ধন্যবাদ আপনাকে। অন্যদিকে ১১-এ ক্লিক করে দেখলাম এই লেখাটি ছাড়া সচলায়তন আর কিছুই দেখায় না। ১১ সংখ্যাটা অন্য কেউ যদি একইভাবে ট্যাগ হিসেবে ব্যবহার করেন, তখন সে লেখাটিও হয়ত দেখাবে। কিন্তু ধারণা করি, ওরকম বদখত ট্যাগিং নিশ্চয়ই আর কেউ করবেন না। কাজেই আপাতত সমস্যা নেই বলে এই সিরিজটা থাকুক এভাবেই। পরে আর এরকম করব না।

................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

ধুসর গোধূলি এর ছবি
মুজিব মেহদী এর ছবি

মূলকথা পাঠকরা যার যার জায়গা থেকে খুঁজে নেন, নিয়ে থাকেন। যে যেরকম করে গল্পটাকে ভাববেন, তার কাছে মূলকথা সেরকমভাবেই ধরা দেবে।

কেউ ভাবতে পারেন যে, স্বর্গ আবার কী, যদি তা অন্যদের সঙ্গে শেয়ারই করা না গেল।
কেউ ভাবতে পারেন, অন্যকে জানানোর আগে নিজে তো জেনে নেই যে স্বর্গ ব্যাপারটা কী।
কেউ ভাবতে পারেন, জীবনই প্রার্থিত, স্বর্গ নয়।
কেউ ভাবতে পারেন, আগে আমার জীবন গড়ে নেই, পরে অন্যের চিন্তা।
কেউ ভাবতে পারেন, নিজেকে সিদ্ধ ঘোষণা দেবার জন্য যে প্রস্তুতি দরকার তা এখনো অর্জিত হয় নি।
কেউ ভাবতে পারেন, প্রাচীর ডিঙানোই সিদ্ধি।

কেউ পছন্দ করতে পারেন জীবন, কেউ নির্বাণ। কেউ স্বার্থপরতায় সুখ পান, কেউ পাগলামিতে।

এরকম অনেকানেক পথ আছে গল্পটাকে ভেবে ওঠবার।

................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আমি স্বর্গকে এখানে উপমা হিসেবে নিয়েছি। ক্লান্ত শ্রান্ত দুজন পথিক মরোদ্যান খুঁজে পেয়েছে। অবস্থার প্রেক্ষিতে সামান্য মরুদ্যানই তখন তাদের কাছে স্বর্গোদ্যান।

এখন কথা হলো। এই যে মরুদ্যানের হদিস, সেটা কি আগে যারা পেছনে আছে তাদেরকে জানানো দরকার নাকি আগে নিজেকে বাঁচানো দরকার!

আমার পয়েন্টটা ছিলো ওখানে। তবে আপনার ব্যাখ্যার জন্যও ধন্যবাদ মুজিব ভাই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মুজিব মেহদী এর ছবি

ধূ,গো. দা আপনার পয়েন্ট ঠিক আছে। আপনি যে অবস্থানে দাঁড়ালেন সেটা বাংলা প্রবাদ 'আপনি বাঁচলে বাপের নাম'কেও মনে করায়। আপনি হচ্ছেন বেঁচে যাওয়ার পক্ষে, মানে যে দেয়ালটা টপকালো তার পক্ষে। এই লোকও উদ্যানে কিছু সময় বিশ্রাম করে, ফলজল খেয়ে, পুনরায় দেয়াল টপকে সহভ্রামণিকদের পথ দেখিয়ে আনতে যেতে পারে, অন্তত যাবার সুযোগ উন্মুক্ত আছে। পথ দেখিয়ে আনার সামর্থ্যও সেক্ষেত্রে তার বাড়তেও পারে। অথচ যে ক্লান্ত ও অভুক্ত অবস্থায়ই আবার মরুভূমিতে ফিরে গেল, তার অক্কা পাবার সম্ভাবনাও রয়ে গেল। এখানে দাঁড়িয়ে বলাই যায় যে, যে ফিরে গেল সে পরোপকারী, বোকা ও অপরিণামদর্শী, আর যে রয়ে গেল সে বুদ্ধিমান, চতুর ও স্বার্থপর।

................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আসলে কোন জনের পথটা যে ঠিক সেটাই ঠিক করতে পারিনি, এক কথায় 'কনফিউজড'। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে যে দেয়াল টপকে গেলো তার পক্ষেই আমার ভোট যাওয়া উচিৎ। কারণটা বলছি-

যে ক্লান্ত পরোপকারী পথিক সঙ্গীদের পথ দেখানোর জন্য চলে গেলো সে সঙ্গীদের পথ দেখানোর আগেই অক্কা পেতে পারে, যেমনটা আপনি বললেন। এখানে টার বৈশিষ্ট্য পরোপকারীর হলেও তার সিদ্ধান্ত বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে না। তার ইচ্ছে অবশ্যই মহৎ কিন্তু পদ্ধতি ভুল।

পক্ষান্তরে, যে দেয়াল টপকে ওপারে চলে গেলো তাকে চালাক আখ্যা না দিয়ে অন্যভাবেও তো ব্যাখ্যা করা যায়। সে হয়তো বাস্তবতাটা চিন্তা করেছে। তার মাথাতেও হয়তো সঙ্গীদের পথ দেখিয়ে আনার বাসনা আছে। এমনও তো হতে পারে সে ওপার থেকে নিজেকে 'রিফ্রেশ' করে ঝোলায় কিছু নিয়েও নিলো সঙ্গীদের জন্য।

অবশ্য জেন গল্পের যে বৈশিষ্ট তাতে আমি যেভাবে আশা ও সম্প্রীতির চোখে ঘটনাটা দেখছি সেভাবে গল্পের ভাবটা নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার দেখানো বটমলাইনই ঠিক।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মুজিব মেহদী এর ছবি

মুশকিল হলো আমি-আপনি যে মরুভূমিতে ফেরত যাওয়া লোকটাকে বোকা, অপরিণামদর্শী বলছি, সেটা কিন্তু আমাদের যুক্তি-বুদ্ধি দিয়ে বলছি। আর যে ফেরত গেছে সে তার যুক্তি-বুদ্ধি দিয়ে গেছে। তারও দার্শনিক ভিত্তি আছে।

বৌদ্ধ দর্শনের দৃষ্টিতে দেখলে যে ফিরে গেল মরুভূমিতে সেই কিন্তু বুদ্ধ। ওই পরিব্রাজক সাধক হলে তারই বরং বুদ্ধত্ব লাভের সম্ভাবনা আছে, ফলজলে নিমজ্জিত জনের নেই। জেনও ওখানেই মেলে। এখানেই হিনায়ানা-মহায়ানা ঘরানার দ্বন্দ্ব। পথ এখানে দুই ভিন্নদিকে প্রসারিত।

................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনার সুনিপুণ ব্যাখ্যা আর আমার বেহুদা বকবকের পর এখন মনে হচ্ছে গল্পটা মাথায় ঢুকেছে। সত্যি কথা বলতে প্রথমে ঠিক বুঝিনি গল্পটা। দেঁতো হাসি

ধন্যবাদ মুজিব ভাই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মুজিব মেহদী এর ছবি

হ্যাঁ তা ঠিক, আলাপে-সালাপে প্রায়ই গুমর ফাঁক হয়। অবশ্য সেজন্য আলাপীর মতো আলাপীও লাগে।

কী যে বলেন! একদম বেহুদা বলেন নি আপনি।

................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- একদম বেগুদা বলিনি, তবে কি খানিকটা বেহুদা বলেছি? চিন্তিত

মুজিব ভাই, আমার ললনা প্রেস্টিজের বেলুন দিলেন একেবারে ফুটা করে। মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

জাহিদ হোসেন এর ছবি

দুর্দান্ত গল্প! মাথায় রাখলাম।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

মুজিব মেহদী এর ছবি

মাথায় রাখলে এটি হয়ত ভাবাবে আপনাকে।

................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

জাহিদ হোসেন এর ছবি

সে জন্যেইতো।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

অতিথি লেখক এর ছবি

চিন্তার খোরাক জোগাল চিন্তিত

~ ফেরারী ফেরদৌস

মুজিব মেহদী এর ছবি

দুজন লোকই তার তার পথ খুঁজে পেল।

................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

এই ইমোটা দেবো বলে কবে থেকে অপেক্ষায় ছিলাম আপনার এই সিরিজের! ‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

মুজিব মেহদী এর ছবি

সন্ন্যাসীজিকেই মানায় এই কারবার।
এই ইমোটিকনে সিরিজটা সম্মানিত হলো।
আপনাকে জেন অগ্নিপাত্র
................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

ফারুক হাসান এর ছবি

গল্প এবং মুজিব ভাইয়ের ব্যাখ্যা- দুটোই ভালো লাগলো।
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

মুজিব মেহদী এর ছবি

জেনগল্পের ব্যাখ্যার কোনো কূলকিনারা নেই। আমাদের না-জেন ব্যাখ্যা একরকম, জেনদৃষ্টিতে ব্যাখ্যা অন্যরকম, যতই জেন অভিজ্ঞতাঘনিষ্ঠ হোক।

জেনদৃষ্টি আমি অর্জন করে উঠতে পারি নি।

................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

শেখ জলিল এর ছবি

সিরিজটা নিয়ে কি আগামীতে একটি বই পাবো কবির কাছে?

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

মুজিব মেহদী এর ছবি

প্রকাশক তো খোঁচাচ্ছেন, আমিই রেডি করে দিতে পারব না হয়ত সময়মতো।
পারলে বই একটা হবে বৈকি, এবারই।
................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

মুশফিকা মুমু এর ছবি

ইসস ওই লোকটা কত ভাল হাসি
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

মুজিব মেহদী এর ছবি

কোন লোকটা?
যে এপারেই রয়ে গেল সে, নাকি যে ওপারে টপকে গেল?

................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

পরিবর্তনশীল এর ছবি

চিন্তার মধ্যে পড়েছিলাম। ব্যখ্যাটা তুলে নিল। অসংখ্য ধন্যবাদ।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

মুজিব মেহদী এর ছবি

যাক বাঁচা গেল।
নইলে রাস্তাঘাটে কান্নাকাটি শুরু করে দিলে এই এত্তটুকুন বাচ্চার জন্যে আমি কোনো কাজেই লাগতে পারতাম না। মুখে বাট না পেলে বাচ্চার কান্না থামে নি!

................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

তীরন্দাজ এর ছবি

আপনার কথাতেই বলছি,

বৌদ্ধ দর্শনের দৃষ্টিতে দেখলে যে ফিরে গেল মরুভূমিতে সেই কিন্তু বুদ্ধ। ওই পরিব্রাজক সাধক হলে তারই বরং বুদ্ধত্ব লাভের সম্ভাবনা আছে, ফলজলে নিমজ্জিত জনের নেই। জেনও ওখানেই মেলে। এখানেই হিনায়ানা-মহায়ানা ঘরানার দ্বন্দ্ব। পথ এখানে দুই ভিন্নদিকে প্রসারিত।

আমার মতেও এটাই গল্পের সঠিক ব্যখ্যা।

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

রাফি এর ছবি

এই গল্প পড়ি নাই!
আমি সারাটা দিন করি কী?
--------------------------------------
অর্থ নয়, কীর্তি নয় ,স্বচ্ছলতা নয়-
আরো এক বিপন্ন বিস্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভেতরে
খেলা করে;
আমাদের ক্লান্ত করে;

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।