জাপানের সামন্ত শাসনকালে যখন গৃহযুদ্ধ (১৮৬৩-১৮৬৮) চলছিল, তখন সহসাই এক দখলদার বাহিনী এক শহরে প্রবেশ করে শহরের নিয়ন্ত্রণ করায়ত্ত করে নিল। কেবল জেনগুরুকে বাদ দিয়ে ওই শহরের একটি নির্দিষ্ট মহল্লার সব মানুষ সেনাপ্রবেশের পূর্বেই নিরাপদ স্থানে পালিয়ে গেল। বৃদ্ধ জেনগুরুর কেমন বুকের পাটা তা দেখতে জেনারেল স্বয়ং জেনমন্দিরে গিয়ে হাজির হলেন। জেনারেল যেরকমটি দেখে অভ্যস্ত, জেনগুরুর মধ্যে তেমন কোনো ভাবান্তর বা বশ্যতার লক্ষণ দেখা গেল না। জেনারেল রাগে ফেটে পড়লেন। মানসিক যে অবস্থায় তিনি তরবারিতে হাত রাখেন, সেরকম ক্রোধে চিৎকার করে বললেন, 'আপনি একটা আহাম্মক, আপনি কি এটাও উপলব্ধি করেন নি যে যার সামনে আপনি দাঁড়িয়ে আছেন তিনি চোখের পলকে আপনাকে শেষ করে দিতে পারেন!' কিন্তু এই হুমকি উপেক্ষা করেও জেনগুরু ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন। শান্তভাবে বললেন, 'আপনি কি এটা উপলব্ধি করেছেন যে আপনি যার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন সে পলক না পড়তেই ঘুরে দাঁড়াতে পারে?'
বাংলায় রূপান্তর : মুজিব মেহদী
মন্তব্য
জেনারেলরা কি আদৌ সেটা উপলব্ধি করে!
এই গল্পটা এক চান্সেই বুঝছি!
পড়েছিলাম আগে। মন্তব্য করা হয় নাই।
খুব ভালো লিখেছেন কবি।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
নতুন মন্তব্য করুন