একবার এক ঝানু চোরের পুত্র তার বাবাকে ওই পেশার গোপন কলাকৌশল শিখিয়ে দিতে বলল। বৃদ্ধ চোর এতে রাজি হলেন এবং ওই রাতেই পুত্রকে এক বিশাল বাড়িতে চুরি করতে নিয়ে গেলেন। যখন বাড়ির সবাই ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন তিনি তার চুরিবিদ্যায় আগ্রহী পুত্রকে কিছু কাপড়চোপড় নেবার কথা বলে দিয়ে খুব গোপনে বস্ত্রাদি সজ্জিত আছে এমন একটা ছোট্ট কামরায় ঢুকিয়ে দিলেন, যে কামরা দূর থেকেই বন্ধ করে দেয়া যায়। ছেলেটি মাত্রই কিছু কাপড় কব্জা করেছে, আর অমনি তাকে ভিতরে রেখেই দরজা বন্ধ করে বাইরে থেকে তালা দিয়ে দিলেন বুড়ো চোর। এমনকি তিনি ঘরের বাইরে এসে খুব জোরে সদর দরজায় আঘাত করে বাড়ির লোকদের জাগিয়েও দিলেন এবং কেউ দেখে ফেলার আগেই সটকে পড়লেন। ঘণ্টাখানেক পরে ছেলেটি নোংরা, স্যাঁতসেঁতে ও পরিশ্রান্ত অবস্থায় গৃহে ফিরল। রাগেদুঃখে সে চিৎকার করে তার বাবাকে বলল, 'তুমি আমাকে ঘরে রেখে তালা আটকে দিলে কেন বাজান ? যদি আমি ধরা পড়ার ভয়ে একান্ত মরিয়া হয়ে চেষ্টা না করতাম, তাহলে কিছুতেই ফস্কে আসতে পারতাম না। এতে আমার সমস্ত উদ্ভাবনী শক্তিই মাঠে মারা যেত।' বুড়ো চোর মুচকি হেসে বললেন, 'বৎসে, এর ভিতর দিয়েই তুমি চুরিশিল্পের প্রথম পাঠটি পেয়ে গেলে।'
বাংলায় রূপান্তর : মুজিব মেহদী
মন্তব্য
বাঙালি পাইকারি কিলের সোয়াদ ছাড়াই চুরিবিদ্যা শিক্ষা হয়?
এটা হলো কোনো কিছু শেখার sink-or-swim method. ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সামনে পড়লে মানুষ তাও করতে পারে, যা সে কখনো কল্পনাও করে নি। কিল খেয়ে যে চুরিবিদ্যা শেখে, সেই বিদ্যাটা ভালো রপ্ত করে।
................................................................
তোমার হাতে রয়েছি যেটুকু আমি, আমার পকেটে আমি আছি যতটা, একদিন মনে হবে এটুকুই আমি, বাকি কিছু আমি নই আমার করুণ ছায়া
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
চুরি বিদ্যা বড় বিদ্যা
যদি না খায় ধরা...।
ডাকের কথাগুলো এমনি এমনি তৈরি হয় নি। বড়ই খানদানী বিদ্যা !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
এক বিবেচনায় এই বাবাটাকে একটা বদ বাবাও ভাবা যায়, যে কিনা তার ছেলেকে এমন একটা ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। ছেলেটির যেখানে চুরি করার কোনো অভিজ্ঞতাই নেই, সেখানে আমরা প্রত্যাশা করি, বাবা ব্যাটা খুব সহজে সাধনযোগ্য কোনো ক্ষেত্রে তার ছেলেকে নিয়ে যাবে এবং তাকে তার কাজে সহযোগিতা করবে। কিন্তু এই ব্যাটা ছেলেকে চরম বিপদের মধ্যে ঠেলে দিয়ে পালিয়েছে।
ধরা যাক, ছেলেটা ভেবেছে যে তার অস্তিত্ব বিপন্নপ্রায়, তাই হয়ত সে বেরিয়ে আসতে সর্বোচ্চ যত্নটা প্রয়োগ করেছে এবং সফল হয়েছে।
এরকম পরিস্থিতিতেও যে সফল হয়ে ফিরতে পেরেছে, পরবর্তী কোনো খেপেও তার ধরা পড়ার সম্ভাবনা কম বলেই মনে হয়। ডাক হয়ত এই ছেলের মতো চোরদের বাহবা দিয়েই ওই পঙক্তিটি লিখেছিলেন!
................................................................
তোমার হাতে রয়েছি যেটুকু আমি, আমার পকেটে আমি আছি যতটা, একদিন মনে হবে এটুকুই আমি, বাকি কিছু আমি নই আমার করুণ ছায়া
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
বাপ তার ছেলেকে সত্যই পাকা চোর বানাতে চেয়েছে ... ...!!
তো এখন, রাজপুত্র কী করবে?
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
চুরি ছাড়া কী আর!
দক্ষতার সাথে করতে পারলে চুরি তো বেশ লাভজনক পেশাই।
................................................................
তোমার হাতে রয়েছি যেটুকু আমি, আমার পকেটে আমি আছি যতটা, একদিন মনে হবে এটুকুই আমি, বাকি কিছু আমি নই আমার করুণ ছায়া
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
আচ্ছা .... এরা কি জেন গল্পগুলো পড়েই দূর্নীতি দমনে নামছিল ... নাকি আমাদের দেখেই গল্পগুলো হয়েছে!
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
হাহাহা। বেশ মজা তো!
ছোটবড়ো দুর্নীতি তো শুনি সবদেশে সবকালেই ছিল, কাজেই দুর্নীতির বয়স বেশি। অন্যদিকে জেনগল্পের বয়স মাত্র হাজার দুই বছর। সুতরাং দুইটা অনুমানের কোনোটার সাথেই খাপে খাপে যাচ্ছে না মনে হয়।
এই গল্প তো সম্ভবত চুরি শেখানোর পক্ষে কথা বলছে না। চুরির ঘটনাটা এখানে একটা দৃষ্টান্ত মাত্র। বলছে হয়ত :
১. শুনে শেখার চেয়ে করে শেখা বেশি ফলপ্রদ
২. দেয়ালে পিঠ ঠেকলে মানুষ অসাধ্য সাধন করতে পারে
৩. স্বশিক্ষাই সুশিক্ষা
ইত্যাদি ইত্যাদি
......
................................................................
তোমার হাতে রয়েছি যেটুকু আমি, আমার পকেটে আমি আছি যতটা, একদিন মনে হবে এটুকুই আমি, বাকি কিছু আমি নই আমার করুণ ছায়া
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
চুরিবিদ্যা মহাবিদ্যা, যদি না পরে ধরা।
আগেই ধরা খাইয়ে দিল বাবা? আমি যেমন স্কী করা আগে শিখেছিলাম, কিভাবে আছাড় খেতে হয়। তবে গল্পটি বেশ কাজের। চুরিবিদ্যা সহ অন্য অনেক বিদ্যার বেলাতেই প্রযোজ্য।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
সেই।
বাবা আটকে না দিলে নিজস্ব চেষ্টায় আটক অবস্থা থেকে কেমনে ছাড়া পেতে হয়, সে শিক্ষা অনার্জিতই থেকে যেত ওর।
................................................................
তোমার হাতে রয়েছি যেটুকু আমি, আমার পকেটে আমি আছি যতটা, একদিন মনে হবে এটুকুই আমি, বাকি কিছু আমি নই আমার করুণ ছায়া
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
এমন বাবাই দরকার... আমাদের বাবাগুলা বাচ্চাগুলারে সারাজীবন বাচ্চাই বানায়া রাখে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ঠিক তাই।
বাচ্চাদের প্রতি আমরা বাবা-মায়েরা যে পরিমাণ আদিখ্যেতা দেখাই, তার মাধ্যমে বরং তাদের অক্ষমই করে তুলি। ছেলেমেয়েরা অত্তটা বড়ো হয়ে গেলেও আমরা ভাবি, ও তো একদম ছোট, ও কী করে এই কাজ একা করবে!
অন্তত এই নিশ্চয়তা দেয়াই যাচ্ছে যে, নজরুল ভাই ও ভাবীর বাচ্চা বিভিন্ন বিষয়ে হাতেকলমে শিক্ষা নেবার যথেষ্ট সুযোগ পাবে।
................................................................
তোমার হাতে রয়েছি যেটুকু আমি, আমার পকেটে আমি আছি যতটা, একদিন মনে হবে এটুকুই আমি, বাকি কিছু আমি নই আমার করুণ ছায়া
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
বিদেশে কিন্ত বাচ্চাদের স্ব কাজ নিজেদের করতে শেখানো হয় যা আমরা বিদেশে থেকেও এখনো শিখতে পারলাম না।
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
আমাদের ছেলে নালন্দা বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। ওকে স্কুলে পৌঁছে দেয়া ও বাসায় ফিরিয়ে আনার সময় ওর বইখাতার ব্যাগটা (যতই ভারী হোক) আমরা নিজেদের হাতে না নিয়ে ওর নিজের কাঁধে বা পিঠে করেই আনতে শেখাই। এ ব্যাপারে স্কুলেরও একটা প্রণোদনা আছে, তা নইলে হয়ত আমরা নিজেরাই আনা-নেয়া শুরু করে দিতাম।
নালন্দার এই নিয়মটা আমার ভালো লাগে।
................................................................
তোমার হাতে রয়েছি যেটুকু আমি, আমার পকেটে আমি আছি যতটা, একদিন মনে হবে এটুকুই আমি, বাকি কিছু আমি নই আমার করুণ ছায়া
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
নতুন মন্তব্য করুন