চীন দেশের এক বৃদ্ধা এক ভিক্ষুকে বিশ বছরেরও অধিক কাল সাহায্য-সহযোগিতা দিয়ে আসছিলেন। তিনি তাকে একটি ছোট কুটির বানিয়ে দিয়েছিলেন এবং ধ্যানাবস্থায় তাকে খাইয়ে পর্যন্ত দিতেন। একসময় বৃদ্ধার সাধ হলো এটা যাচাই করে দেখতে যে এতটা সময়ে ভিক্ষুর কী এমন অগ্রগতি হলো।
অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছুতে তিনি এক বালিকার সহায়তা নিলেন। বললেন, ‘‘ওর কাছে যাও ও আলিঙ্গন কর। এবং হঠাৎ তাকে জিজ্ঞেস কর, ‘এখন কী হবে?’’’
বৃদ্ধার কথামতো বালিকাটি ভিক্ষুর কাছে গিয়ে ধীরেসুস্থে স্নেহস্পর্শ বুলিয়ে তাকে আদর করে দিল এবং শেষে এই ব্যাপারে ভিক্ষু এখন কী করতে যাচ্ছে তা জানতে চাইল।
‘শীতের ঠাণ্ডা পর্বতে বর্ষীয়ান বৃক্ষ বেড়ে ওঠে, সেখানে কি কোনো উষ্ণতা থাকে?’, ভিক্ষু কাব্য করে জবাব দিল।
বালিকাটি ফিরে এসে বৃদ্ধার কাছে ওই ঘটনা সবিস্তারে বর্ণনা করল।
‘ভেবে দেখ, ওকে আমি বিশ বছর ধরে খাওয়াই!', রাগে চিৎকার করে উঠলেন বৃদ্ধা। 'সে তোমার প্রয়োজনটাকে মোটেই পাত্তা দিল না? তোমার অবস্থাটি বিশ্লেষণেরও কোনো উদ্যোগ নিল না? তার না-হয় সাড়া দেবার দরকার হলো না, কিন্তু শেষপর্যন্ত সে তো করুণারও প্রমাণ দিতে পারত!’
তিনি তৎক্ষণাৎ ভিক্ষুর কুটিরে গিয়ে ওটি জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছাই করে দিলেন।
বাংলায় রূপান্তর : মুজিব মেহদী
মন্তব্য
তাহলে বিষয়টা কী দাঁড়ালো..!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
বিষয়টা দাঁড়ালো হলো গিয়ে... ইয়ে... মানে...
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
...মানে...ইয়ে...দাঁড়ালো...
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ঠিক
....................................................................................
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
হুম।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
মানে ইয়ে...
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
শাবাস বুড়ি!
.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...
.......................................................................................
Simply joking around...
বুড়িরে পাইলে জানায়া দিমুনে।
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
ক্রোধ হলো বুদ্ধিনাশক।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
জ্ঞানীদের তো তাই বলতে শুনি।
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
মুজিব ভাই,
সবিনয়ে একটা ছোট্ট সমালোচনা করতে চাই। আপনার অনুবাদ একটু শক্ত লাগে আমার কাছে। মনে হয় আরেকটু মসৃন হতে পারত। হয়ত আমারই সমস্যা এটা।
আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আপনার প্রথম প্যারাটা রিরাইট করি। আশা করি কিছু মনে নিবেন না।
আমি লিখতাম:
কি জানি ঠিক বোঝাতে পারলাম কিনা!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আমার মনে হয় জেন গল্পের নিয়মই হল যত সংক্ষেপে আসল কথা বলা যায় । চীন দেশে তো ধরেন সবাই জানে যে স্বচ্ছল পরিবারের লোকেরা ভিক্ষুদের পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকেন । কাজেই এই লাইনটা মূল লেখক আর কষ্ট করে লিখেন নাই ।
তবে বাংলাদেশ বা অন্য অঞ্চল যেখানে চৈনীক রীতিনীতি গুলো অজানা, সেখানে ব্যাখ্যার সুবিধার্থে মনে হয় দুই একটি লাইন যোগ করলে খারাপ হবে না । আর অনুবদক যদি মূল গল্পটা যেরকম ছিল সেরকমই রাখতে চান, সেক্ষেত্রে * চিহ্ন দিয়ে পাতার নীচে টীকা দেয়া যেতে পারে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ঠিক।
এগুলোতে কোনো পাদটীকা যোগ করার পরিকল্পনা নেই আমার আপাতত। দরকার মনে হয় না।
মোটমাট এ পর্যন্ত তিনটি কোয়ানে টীকা দেখেছি আমি। কিন্তু ওগুলো মূল বডির চেয়ে শক্ত, কবিতা।
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
ইস, সুমন ভাই, বিনয় কেন আবার! সমালোচনা সোজা সমালোচনা দিয়েই শুরু হওয়া ভালো। আপনি সাধারণত আমার লেখায় কমেন্ট করেন না, এবার একটা গুরুত্বপূর্ণ কমেন্ট করায় কিছু মনে না করে বরং আনন্দিতই বোধ করছি।
আমার অনুবাদ একটু শক্ত লাগার কথাটা আক্ষরিকভাবেই মেনে নিচ্ছি। তবে শক্ত হওয়ার সাথে মসৃণতার বিরোধ বোধহয় স্বতঃসিদ্ধ নয়। আমার ধারণা এমন যে, ভাষাগত দিক থেকে শক্ত হয়েও অনুবাদ মসৃণ হতে পারে ; আবার সহজ হয়েও অমসৃণ হতে পারে। যদি আমার অনুবাদ আপনার অমসৃণ মনে হয়, তবে সেটার জন্য দায়ী হয়ত ভাষার শক্ত হওয়া নয়, অন্যকিছু।
আপনার অনুবাদাংশ আমাকে বেশ মজা দিয়েছে। এরকম তো হতেই পারত। কিন্তু আমি ওরকমটা চাই নি। জেনগল্প (কোয়ান) একটা টানটান অবস্থাই ডিমান্ড করে, যেটা বরং আমি মাঝেমধ্যে রক্ষা করতে ব্যর্থই হই। অর্থাৎ আরো কিছু টানটান (আপনার বিবেচনায় শক্ত) হওয়া দরকার। এনকিদু এই পয়েন্টটা ঠিকঠাক ধরতে পেরেছেন।
আপনি হয়ত মানবেন, প্রতিটা অনুবাদেরই আবার করে অনুবাদ করা যায়। আপনার অনুবাদকেও আবার অনুবাদ করা সম্ভব। তবে প্রতিটাই ঠিক, প্রতিটাই সুন্দর, আলাদা আলাদারকম। আমারটা আমার মতো, আপনারটা আপনার। তেতাল্লিশজন করলে তেতাল্লিশরকম হবে, সৌন্দর্য ও অসৌন্দর্যও জন্ম নেবে তেতাল্লিশরকম। এই যা!
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
হাসি কিন্তু সংক্রামক।
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
জ্বি মুজিব ভাই, এই যে দেখেন-
এখনকার এইটা কিন্তু হাসি না, সংক্রমণ।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
কে কী বুঝলো জানিনা। তবে আমি ঠিক বুঝলাম কি না সেটা যাচাই করতে চাই।
ভিক্ষু এ্যাত সাধনা করার পরেও স্বার্থপর রয়ে গেল সেটাকেই নির্দেশ করা হয়েছে। অর্থাৎ নিজের স্বার্থেই ধ্যান করে যাচ্ছে .. একজন বালিকার স্বার্থ দেখলো না (এক্ষেত্রে সিডিউস করার ঘটনার বর্ণনাটা খুবই কাটখোট্টা হয়েছে - বালিকার বদলে যুবতী ব্যবহার করা উচিত ছিল )।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
-
আমি ভিক্ষু হইতে চাই। আমারেও কেউ পরীক্ষায় ফেলুক। আমি স্বার্থপর না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হায়, এরকম পরীক্ষায় আমারেও কেউ ডাকল না এখনো।
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
এ ব্যাপারে একদমই নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না যে, ভিক্ষু উলটোটা করলে বুড়ি খুশি হতেন। সেক্ষেত্রে এমনকি ভিক্ষুকেও প্রহৃত হতে হতো, হয়ত বা!!!
ঠিক, যুবতী বলাই সঙ্গত ও নিরাপদ।
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
আমারতো মনেহয় ভিক্ষু ঠিকই করেছে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
হবেও বা।
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
আমার ধারণা, বুড়ি অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিলো ভিক্ষুর খেদমত খাটতে গিয়ে। একটা উছিলা ধরে দিসে জ্বালাইয়াপোড়াইয়া শ্যাষ কইরা। ভিক্ষু বালিকারে কামড়াইলে বুড়ি হয়তো বলতো, তবে রে লোলপুরুষ, কচি একটা মাইয়ারে নাগালে পাইয়া এ-ই করলি, এ-ই তবে তোর পরহেজগারি ... আইতাছি খাড়া! উপসংহারে আবারও অগ্নিকান্ড।
গল্পের মোরাল হচ্ছেঃ
হাঁটুপানির জলদস্যু
নতুন মন্তব্য করুন