হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা কেমন লাগে?, তার বর্তমান কাজকারবার সমর্থন করি কিনা?(বিবাহ বিভ্রাট এবং সম্প্রতি দৈনিক সমকাল কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে মৌলবাদের প্রতি মধ্যপন্থী বক্তব্য এবং জাহানারা ইমাম সম্পর্কে বিতর্কিত তথ্য জোরগলায় সমর্থন) এ জাতীয় প্রশ্নের জবাব দিতে আজকাল আমি খুব দ্বিধার মধ্যে থাকি।দেশের একজন প্রথম সারির সাহিত্যিক হিসেবে তার কাছে দেশের যুদ্ধাপরাধী এবং মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী জামাতের বিরুদ্ধে তার সোচ্চার কন্ঠস্বরই আমরা আশা করি। জনপ্রিয়তার উচ্ছ্বাসে নিজেকে তিনি আজকাল খুব দামী মনে করছেন; যা খুশি তাই বলছেন।যিনি লেখনীর মাধ্যমে আজকের সামাজিক অবস্থানে পৌছেছেন তিনি কী লিখছেন আজকাল?
উনার বই প্রথম পড়ি ক্লাস ফাইভে- বইয়ের নাম ছিল “আমার ছেলেবেলা”। সঙ্গতকারনেই লুকিয়ে পড়তে হয়েছিল।লুনা আপু তখন কলেজে পড়েন- কলেজপড়ুয়া ছেলেমেয়েরা হঠাৎ করেই নিজেদের বেশ মুরুব্বী বলে ভাবতে শুরু করে একধরনের পাখিপাখি ভাব আসে তাদের মধ্যে, একটা দলের অংশ হয়ে চলাফেরা করে, সবসময় তুচ্ছ বিষয়ে অকারন রহস্য করে, নিজেদের দলের বাইরে কাউকে পাত্তা দিতে চায় না, সব কিছুই তাদের কাছে টপ সিক্রেট।স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মনে করে নিতান্তই দুধের বাচ্চা বলে তাদের প্রায়ই ভ্রম হয়।সুতরাং প্রাইমারী স্কুলের ছেলে “আমার ছেলেবেলা” পড়ছে এটা দেখলে তার মাথায় বাজ পড়ার কথা। তখনো বুঝে উঠিনি পৃথিবীর প্রায় সব ছেলেবেলাই বড়দের জন্য লেখা হয়, বুড়ো ধামড়ারা তা পড়ে আহা উহু করে....দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইল না....।
ছেলেবেলা দিয়ে শুরু করে হুমায়ুন আহমেদের সব বইই আস্তে আস্তে যোগাড় করা শুরু করলাম। যতই পড়ি আমার মুগ্ধতা আকাশ স্পর্শ করে। তবে বয়সের সাথে সাথে এর পরিমান একেবারে সমানুপাতিক হারে বাড়েনি।আমার ক্ষেত্রে বয়স বনাম হুমায়ুন আহমেদের বই ভাল লাগার পরিমানটা অর্ধেক সাইন কার্ভের মত- ক্লাস এইট হতে মুগ্ধতার সূচনা, ক্লাস টেনে তা চূড়ান্ত রুপ নেয়, তারপর কমতে কমতে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে প্রায় শুন্যের কোঠায় পৌছেছে।হুমায়ুন আহমেদের প্রায় সব বই আমি পড়েছি- বই সংগ্রহে আছে প্রায় ১০০ এর মত।
মাঝে মাঝে আমি শেলফ থেকে ১০-১২ বছর ব্যবধানে লেখা তার দুটি বই টেনে নেই-বইয়ের গল্পটা মনে করার চেষ্টা করি, আমার সাধ্যমত বর্ননাভঙ্গির মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি- বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বয়সের বিচারে তুলনামুলক প্রবীণ বইটি উতরে যায়। কেন জানি আমি এখন আর এ ঘটনায় বিস্মিত হই না, তবে তা মনকে আহত করে।। একজন লেখক ধীরে ধীরে ভাবপ্রকাশে আরো পরিণত হবেন এটাই পাঠক তার কাছে আশা করে লেখকজীবনের শেষদিকে এসে পাঠকঠকানো লেখা হু.আ. মানের একজন লেখক কেন উপহার দেবেন? এটা কি তার অক্ষমতা? নাকি সচেতনভাবে কমার্শিয়াল বাংলা সিনেমার মত কমার্শিয়াল বাংলাউপন্যাসের জন্ম দেয়া?
প্রচন্ড মনখারাপের দিনগুলিতে তার কিছু লেখা আমাকে চমৎকার সঙ্গ দেয়।তবে একজন সচেতন পাঠক হিসেবে বলতে পারি তার প্রথম ৫০টি উপন্যাসের চরিত্র, ঘটনাপ্রবাহ, হাস্যরস আর দর্শন এগুলোর permutation combination করলেই পরের লেখাগুলোর অধিকাংশই পাওয়া যাবে। লেখক হিসেবে পাঠকের কাছে নিজস্ব সততার প্রমাণ দিতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। তারপরেও কেন তিনি অনেকের বিচারেই দুই বাংলার সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক?
হু.আ. এর গল্প বলার ঢংটি চমতকার, যত বড় লেখাই হোক , যা কিছুর বর্ননাই তিনি দেন না কেন তাতে পাঠকের একঘেয়েমিবোধ হবে এ হতেই পারে না। একারনে তার উপন্যাস সুখপাঠ্য(যদি সংজ্ঞানুসারে তা আদৌ উপন্যাস হয়) অন্যদিকে তিনি খুবই শ্রেনীসচেতন লেখক লক্ষ্য করলে দেখবেন তার ব্যক্তিগত সম্পদের সাথে সমসাময়িক উপন্যাসের বিস্ময়রকম মিল আছে।তার প্রথম উপন্যাস "নন্দিত নরকে" আর সম্প্রতি প্রকাশিত "কে কথা কয়" এ দু’য়ের তুলনা করলেই বিষয়টা স্পষ্ট হবে। আরেকটি বিষয় হলো তিনি যখন পরিবারের গল্প বলেন তখন একেবারে পাঠককে মিশিয়ে নেন তাদের সুখ দুঃখের সাথে; যখন প্রেমের গল্প বলেন এমন রহস্যময় আর নিষিদ্ধ ইশারায় বলেন যা উঠতি বয়সের পাঠক-পাঠিকাদের অসম্ভবরকম আকর্ষন করে; এই নিষিদ্ধ আকর্ষনের রেশটুকু পরবর্তী জীবনেও রয়ে যায়,যা স্বাভাবিক জীবনযাপনকে বাধাগ্রস্ত করতে বাধ্য। লেখক হিসেবে একটি নির্দিষ্ট বয়সের পাঠককে টার্গেট করা কতটা বিবেচনাবোধের পরিচায়ক?
এতক্ষন যা বললাম তার সবকিছুই হয়ত অগ্রাহ্য করা যেত কিন্তু এবার লক্ষ্য করি তার উপন্যাসের উপজীব্য কী?অবধারিতভাবেই তার অধিকাংশ উপন্যাসেরই(১৯৯০ এর পর লিখিত) কোন সুনির্দিষ্ট ঘটনার স্রোত নেই, তিনি পাঠককে একটা মোহময় বিভ্রান্তির মধ্যে টেনে নেন, প্রেম মানেই অসম(বয়স ও বিত্ত) প্রেম, সম্পর্ক মানেই নানা মনোজ়াগতিক জটিলতা,নায়ক মানেই হয় চরম পরোপকারী অথবা বাউন্ডুলে আর উপন্যাস মানেই ৬০-৯০ পৃষ্ঠা যা বন্যপ্রকাশের(পড়ুন অন্যপ্রকাশ) বাড়াবাড়িতে(ফন্ট এবং লাইন স্পেসিং) বড়জোর ১০০ ছাড়ায়।সোজা কথায় হুমায়ুন আহমেদ পাঠকের মনস্তত্ব নিয়ে খেলা করেন, উপন্যাস লেখেন না।
যে মুক্তিযুদ্ধকে তিনি কাছ থেকে দেখেছেন, যে মহান যুদ্ধে তার বাবা শহীদ হয়েছেন সে যুদ্ধের ব্যাপারে তার উল্লেখ করার মত কোন উপন্যাস নেই। জোছনা ও জননীর গল্প লিখে জীবনের উদ্দেশ্য পুরন করে ফেলেছেলেন বলে হঠকারী কিছু মন্তব্য ছেড়ে বইয়ের কাটতি বাড়িয়েছেন। অথচ এই উপন্যাসে তদানীং ইসলামী ছাত্রসংঘ এবং জামায়াতে ইসলামীর কর্মকান্ডকে তিনি সযতনে পাশ কাটিয়ে গিয়েছেন।এই হল তার সততার নমুনা।
এতসব কিছু জেনেও যখন ফেব্রুয়ারি মাস শেষে নতুন কেনা বইগুলোর দিকে তাকাই তখন অবধারিতভাবেই হুমায়ুন আহমেদের বই চোখে পড়ে। একজন পাঠকের এরচেয়ে বড় অসহায়তা আর কী হতে পারে? এর জন্য পাঠক দায়ী নয় দায়ী আমাদের কথাসাহিত্যিকদের দৈন্যতা।
আসুন একসাথে প্রার্থনা করি হুমায়ুন আহমেদের সুমতি হোক। এই জ্ঞানপাপীর হাত খপ্পর থেকে বাংলা সাহিত্যের পাঠক মুক্তি পাক।
মন্তব্য
আমি হুমায়ূন পড়েছি খুব কম। অনায়াসে পড়ে ফেলা যায়, "উপন্যাস" পড়ে ফেলেছি ভেবে এক ধরণের আত্মপ্রসাদ পাওয়া যায়। তবুও মনে হয় না পনেরটার বেশি পড়েছি। যা পড়েছি, তার অধিকাংশই 'হিমু' বিষয়ক। খুব একমত বিশ্লেষণ গুলোর সাথে। খুব সীমিত পরিসরে পাঠকের মনের মধ্যে এক ধরণের স্টিমুলাস দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করে না লেখাগুলো। যেন সম্ভাব্য অনেক ঘটনার মুখের সমন্বয় শুধু।
হুআ'র নাটক খুব ভাল লাগতো এক সময়। মধ্যবিত্ত মানসিকতাকে নাড়া দেওয়ার মত কী নাটকগুলো তৈরি করেছেন এক সময়। অবশ্য, এক্ষেত্রে নিজে নাট্যকার হবার পর তাঁর কুসৃষ্টিগুলোর কথাও স্মর্তব্য। আফসোস, তবু হুআ'র বই বেরোবে, লোকে পড়বে, এবং সে-কারণেই তিনি রেলেভ্যান্ট থেকে যাবেন।
রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!
আমারতো মনে হয় সবার আগে মুহম্মদ জাফর ইকবালের প্রতিক্রিয়া জানা দরকার।
হু. আ. এর বইয়ের নামের পরিবর্তন দেখলেই ধারণা পাওয়া যায় লেখার পরিবর্তন সম্পর্কে .... "নন্দিত নরকে" থেকে "আঙুল কাটা জগলু" ....
দারুন বলছেন ভাই!
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
ধন্যবাদ ।
রাফি সমালোচক হিসেবে দারুন সফল আপনি। আপনার বিশ্লেষন এর সাথে সহমত ব্যাক্ত করছি।
----------------------------------
সচল আছি, থাকবো সচল!!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
হা: হা: হা:
Actually when I first read his book, that time he reached its supreme position by writting and Bangali (unconscience, so called Intelectual) praise him highly. I never found any literary arts in his writting. I observed many times, he only tried to cast the whole attention of a readers by narrating many obscene thing that never aspect anyway to a writer. But who I am? While he is a teacher of Dhaka university and a reputed writer,if I coment badly about his literary works, man say what? Today I am very happy because man can realize it and criticise his works. Any body can write and with his money, he can express out his book; readers can read it and for the time being,it also called a best seller book. But only actual literary work alive long time and that's reality.
"আসুন একসাথে প্রার্থনা করি হুমায়ুন আহমেদের সুমতি হোক। এই জ্ঞানপাপীর হাত খপ্পর থেকে বাংলা সাহিত্যের পাঠক মুক্তি পাক।"[i]
---আমীন
সহমত।
জ্ঞানপাপীদের সংখ্যা বাড়ছেই। এদের সুমতি নিয়া টেনশন করি না, তবে বাংলাদেশ এদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া খুবই দরকার। বিশ্লেষণ ভালো হয়েছে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ভাল লিখেছেন
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
কিন্তু কোনও কোনও হুমায়ূনভক্ত/ভক্তা তো মনে করেন, উনি এতো এতো ভালো কাজ করে বসে আছেন, এখন যা ইচ্ছে করলে/লিখলে ও আগের কথা মনে করে, তাকে তার সম্মান/স্বীকৃতি দিয়েই যেতে হবে ! বে-চা-রা (শুধু লেখালেখা খেলা , না কি ব্যবসা করে একটা দ্বীপাংশ আর কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া মানুষ বেচারা ই কি-না !! ) কেন শুধু শুধু টার্গেট করা ভাই !!
---------------------------------------------------------
আমার কোন ঘর নেই !
আছে শুধু ঘরের দিকে যাওয়া
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
হুমায়ূন আহমেদকে আসলে ব্লগিং ধরানো উচিত :)।
হাঁটুপানির জলদস্যু
হুমায়ুন আহমেদ নিয়া কিছু বলতে চাই না... মেজাজটা নষ্ট করার দরকার কি? তবে হিমু ভাইয়ের মন্তব্যে জাঝা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ রাফি। দু’দিন আগেই হুমায়ুন কাশুন্দি নিয়ে কেউ কেউ হাত-পা ছুঁড়ে কেঁদেকেটে জারেজার হয়েছিলেন।
তাদের হাত-পা ছোঁড়ার মাহেন্দ্রক্ষণে আপনার ‘বম্বশেল’!
“কেষ্টাকে সাংবাদিকরা শুধোল..পুরষ্কার পেয়ে কেমন লাগছে? উত্তর-‘লিচ্চয়’।
টাকাগুলো দিয়ে কি করবেন?-- ----- ---- উত্তর-‘লিচ্চয়’।
আপনি কি এখনো ভৃত্যের কাজ করবেন,নাকি নিজেই ভৃত্য রাখবেন? উত্তর-‘লিচ্চয়’।
আপনি কি বুঝতে পারছেন আপনি কত টাকার মালিক?----- উত্তর-‘লিচ্চয়,লিচ্চয়’।”
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
বাংলা সাহিত্যে এই মহা লেখকের কোন অবদান নেই, এই কথা বললে তার প্রতি বড় অকৃতজ্ঞতা হবে বলেই আমার বিশ্বাস । যাই হোক এই মহা লেখক বেঁচে থাকুন । তিনি আজীবন লিখতে থাকবেন, এই আশা করি ।
--------------------------------------------------------
... বাড়িতে বউ ছেলেমেয়ের গালি খাবেন, 'কীসের মুক্তিযোদ্ধা তুমি, কী দিয়েছ আমাদের'? তিনি তখন আবারো বাড়ির বাইরে যাবেন, আবারো কান পাতবেন, মা জননী কি ডাক দিল?
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
নিঝুম, নিছক কৌতুহল থেকেই জিজ্ঞেস করছি - "মহা লেখক" মানে কি? মহাকাব্যের মত, মহা লেখক কি বিশাল মাপের কোন লেখক?
আপনার শরীর ভালো যাচ্ছে আশা করি
জ্বী আপু, মহা লেখক বিশাল থেকে বিশালতর মাপের লেখক, এই অর্থে ব্যাবহার করেছি । শরীর ভালো ।
--------------------------------------------------------
... বাড়িতে বউ ছেলেমেয়ের গালি খাবেন, 'কীসের মুক্তিযোদ্ধা তুমি, কী দিয়েছ আমাদের'? তিনি তখন আবারো বাড়ির বাইরে যাবেন, আবারো কান পাতবেন, মা জননী কি ডাক দিল?
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
রাফি, আপনার পোস্ট ভালো লেগেছে। প্রথমে "সুরঞ্জনা, অইখানে যেওনাকো তুমি আর" তারপরে আজকের এই পোস্ট- আপনার বিশ্লেষণ ক্ষমতার ভক্ত হয়ে যাচ্ছি। ----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
আগের বইগুলো ভালোই লাগতো...আজকাল মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।
সমালোচনা ভালো লাগলো।
গতকাল সারাদিন ধরে হুমায়ূন আহমেদের সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকার নিয়ে সচলে অনেক আলোচনা হয়েছে। উনার পক্ষে এবং বিপক্ষে যা আমার বলার ছিল তা এই ব্লগের মাধ্যমে বলার চেষ্টা করেছি। আর যা বলতে পারিনি তা অনেক সহব্লগার তাদের মন্তব্য এবং পোস্টের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার দরকার ছিল সেটা অনেকেই অনুভব করেছেন বলেই চার চারটি পোস্ট এসেছে। আসলে পোস্টগুলো সচলায়তনের ব্লগারদের সমমনার পরিচায়ক বলেই আমার মনে হয়েছে। এ নিয়ে আর কিছু বলার আছে বলে আমি মনে করি না। তবে এসব লেখায় হুমায়ূন আহমেদের লেখার যে সমস্ত দিক উঠে এসেছে তা নিয়ে ভাববার অবকাশ আছে।
ইশতিয়াক রউফ, বেকুব, শাহান, সুবিনয় মুস্তফী্,কীর্তিনাশা, ss,Andrew, অনিকেত , ক্লান্ত পথিক , অছ্যুৎ বলাই, মুশফিকা মুমু, সুমন সুপান্থ, হিমু,| নজরুল ইসলাম | মনজুরাউল
নিঝুম | স্নিগ্ধা , নিঘাত তিথি | নিরিবিলি
আপনাদের সবাইকে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
তবে আজকের পোস্টগুলো এটাই প্রমান করল হুমায়ূন আহমেদের ভক্ত যেমন অগনিত তার সাম্প্রতিক লেখা এবং কর্মকান্ডের বিরোধীদের দল ও তেমনি ভারী।
সবাইকে আবারো শুভেচ্ছা।
--------------------------------------------
অর্থ নয়, কীর্তি নয় ,স্বচ্ছলতা নয়-
আরো এক বিপন্ন বিস্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভেতরে
খেলা করে;
আমাদের ক্লান্ত করে;
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
যে কোন লেখকের সমালোচনা করতে গেলে তার ভাল দিকগুলোকেও তুলে ধরতে হয়, আপনার কাছে কি মনে হয় নি হুমায়ূন আহমেদ ভাল কোন উপন্যাস লিখেছেন?
ফেরা, অন্যদিন, অন্ধকারের গান, শংখনীল কারাগার এগুলোও কি শুধুই মনোজাগতিক বিভ্রান্তি?
সংখ্যালঘুর দলে নাম লিখিয়ে নিজের বিরোধিতা করার কোন মানে হয় না।
@অতিথি লেখক,
আপনি বোধহয় আমার লেখাটা মন দিয়ে পড়েন নি?
আমি ঢালাওভাবে হুমায়ূন আহমেদের সব উপন্যাসকে খারাপ বলি নি,
"প্রচন্ড মনখারাপের দিনগুলিতে তার কিছু লেখা আমাকে চমৎকার সঙ্গ দেয়।তবে একজন সচেতন পাঠক হিসেবে বলতে পারি তার প্রথম ৫০টি উপন্যাসের চরিত্র, ঘটনাপ্রবাহ, হাস্যরস আর দর্শন এগুলোর permutation combination করলেই পরের লেখাগুলোর অধিকাংশই পাওয়া যাবে।"
এই কথাগুলো মন দিয়ে পড়লেই আশা করি আপনার ভুল ভাঙ্গবে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
----------------------------------
অর্থ নয়, কীর্তি নয় ,স্বচ্ছলতা নয়-
আরো এক বিপন্ন বিস্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভেতরে
খেলা করে;
আমাদের ক্লান্ত করে;
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
সবাই যা বলার বইলা ফেলসে, নতুন কইরা আর কি গালি দিমু
তবে হনুমান আজকাল গতকাল যেসব জিনিস লেখতাসে তার কিছুটা আন্দাজ করতে পারলাম অর লাস্ট হিমুটা উল্টাইয়া, কয়েক পাতা যাইতে না যাইতেই অয় 'পগার পার' কথাটার ব্যাখা করতাসিল এমন কইরা যে এই পগার লোকটা কে ? ওরকম কইরা মইনে নাই তবে কইতাসিল এর আবার শাড়ির পারের মত পার থাকবে কেন ? নিজেই গল্পের মধ্যে নিজেরে জিগাইতেসিল । পইড়া হাসুম না কান্দুম বুঝতাসিলাম না !!! কিছু জিনিস না জানলে ব্যাপারটা বাইর তো করবি যে কাহিনী কি ? বইখাতায় নিজের ছাগলামিও জাহির(?) করতে হইব ?
------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আমিও তাই কই....
------------------------------
অর্থ নয়, কীর্তি নয় ,স্বচ্ছলতা নয়-
আরো এক বিপন্ন বিস্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভেতরে
খেলা করে;
আমাদের ক্লান্ত করে;
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
আমার মনে হয় আমাদের নিজেদের ও কিছু সমস্যা আছে অন্তত আমার না হলে প্রতিবার বইমেলা থেকে কেন বারবার হাতেগোনা কয়েকজন লেখকের বই কিনব... আসলে লেখার মানের চেয়ে লেখকের পরিচয়টাই আজ বড় হয়ে দাড়িয়েছে অথচ ব্লগ সাইট গুল যখন দেখি অনেক অনেক নাম না জানা ব্লগারের লেখা পড়েও মুগ্ধ হই দীনতা কি আমাদের সাহিত্যের নাকি আমাদের নিজেদের তাও ভেবে দেখা প্রয়োজন
হুমম..
---------------------------------------
অর্থ নয়, কীর্তি নয় ,স্বচ্ছলতা নয়-
আরো এক বিপন্ন বিস্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভেতরে
খেলা করে;
আমাদের ক্লান্ত করে;
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
হু.আ. সম্পর্কে সুন্দর বিশ্লেষণ। ধন্যবাদ রাফি।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
.ধন্যবাদ.
---------------------------------------
অর্থ নয়, কীর্তি নয় ,স্বচ্ছলতা নয়-
আরো এক বিপন্ন বিস্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভেতরে
খেলা করে;
আমাদের ক্লান্ত করে;
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
apnake amar khuv valo lage.apnar kobitar maje nijeke khuje pai
সুন্দর সমালোচনা। অনেক ভাল লাগলো ।
হুম্-আহম্ বেশ কিছুকাল ঘরে বিভ্রান্তির মধ্যে বসবাস এবং বিভ্রান্তির সাথে সহবাস করছেন। সবে তো আঙ্গুল কাটা জগলু; কিছুকাল অপেক্ষা করেন, আসিতেছে "বুড়া বান্দরের সুন্নতে খতনা"। যার লেখা একসময়ে গভীর আগ্রহ নিয়ে পড়তাম, পরীক্ষার আগের রাতেও চুরি করে পড়েছি, সেই তিনি বিগত কিছুকাল আমাদের ভালোই দিচ্ছেন। আমার ছোটভাই, একসময় যার ধারণা ছিলো হুম্-আহম্ বাংলা সাহিত্যের সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ লেখক, কেই কি না আজকাল উনার নাম শুনতে পারে না। যাইহোক, বোঝা যায় যে উনার উৎপাদনক্ষমতা লোপ পেয়েছে।
রাতঃস্মরণীয়
নতুন মন্তব্য করুন