শৈশবের সেই দিনগুলিতে জীবন ছিল বেশ,
সকাল সাঝে কাজের মাঝে পাই আজও তার রেশ।
সাতসকালে ঘুম ভাঙ্গাত পাখির কলরব,
ঘুমজড়ানো চোখে আমার হাজার উৎসব।
বন-বাদাড়ে টহল দিতাম সারাটা দিন ভরে
ঝিঁঝিঁ ডাকা সন্ধ্যাবেলায় ফিরে যেতাম ঘরে।
পুরনো সব খেলার সাথী আমায় পিছু ডাকে,
পেছন দিকে হাঁটতে গেলেই মনে পড়ে মা’কে।
একটুখানি বড় হলাম, বড় হল সে;
রোজ আধাঁরে ঘুমিয়ে পড়ি যাহার পরশে।
ঘুমিয়ে পড়ে আমার ভুবন, কষ্ট জেগে রয়;
বয়স বাড়ে ,সাথে বাড়ে কষ্টের সঞ্চয়।
নবীন কিশোর! তোমায় দিলাম ইন্দ্রপুরীর অর্ঘ্য;
খেলো জানি তোমার কাছে, আমার কাছে স্বর্গ।
তোমার পায়ে লুটবে এখন সাত সাগরের জল,
তোমার নায়ে ভিড়বে সদা সবাক পূর্বাচল;
তোমার কথায় থামবে সময়, তোমার কথায় চলবে।
নীল শতদল হাজার মাদল তোমায় ঘিরে দুলবে।
বাইরে মাতাল চৈতী হাওয়া, তোমার আছে বৈভব;
তোমার চোখের গহনেতেই উচ্ছল মোর শৈশব।।
(মাঝে মাঝে মনে হয় বড় হয়ে যাচ্ছি অযথাই, সবারই কি হয় এরকম?)
স্বপ্নীল দিন ফুরিয়ে গেছে, হারিয়ে গেছে অনেক দিন,
ছন্দগ্রস্ত জীবন এখন শেকলসম ছন্দে লীন;
তোমার পথের দেউল দ্বারে স্নিগ্ধ সকাল গুঞ্জরণ
আমার বুকের মধ্যিখানে নিজন প্রহর চিরন্তন
সুখের সাগর আছড়ে পড়ে তোমার পায়ের নিত্যদিন
আমার আছে অভ্র অঢেল শুভ্র স্মৃতি অন্তহীন।।
মন্তব্য
পড়লাম । অর্জুনের কাছে তোমার মোবাইল নম্বর নিলাম । পরে কথা বলব ।
অর্জুন মানে কি সমাজবিজ্ঞানের?
না ভাই , বুয়েটের ।
তুমি তো আগে eru নামে লিখতা, তাই হালকা confusion হইছিল।
কথা হবে...........
ঠিকাছে ।
বেশ স্মৃতিকাতর।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
স্মৃতিগুলো ছাড়পোকার মত সারাক্ষন অজানা জায়গায় লুকিয়ে থাকে। ধীরে ধীরে বড় হয়।
কখনোই সবগুলিকে একসাথে খুঁজে পাই না। আবার কখনোই এরা আমার পিছু ছাড়ে না।
ধন্যবাদ আপনাকে.
---------------------------------------
অর্থ নয়, কীর্তি নয় ,স্বচ্ছলতা নয়-
আরো এক বিপন্ন বিস্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভেতরে
খেলা করে;
আমাদের ক্লান্ত করে;
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
নতুন মন্তব্য করুন