লেখাটা শুরু করার সময় ভেবেছিলাম হয়ত দুপর্বেই যুক্তিগুলো দাঁড় করানো এবং বিশ্লেষণ করা যাবে। কিন্তু এখন দেখছি ব্যাপারটা ততটা সোজা নয়। এর কারণ প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাব আর আমার নিজের অক্ষমতা। পরিশ্রম দিয়ে দ্বিতীয়টা কাটাবার চেষ্টা করছি কিন্তু প্রথমটার কোন কিনারা করতে পারছি না। বাংলায় জীবনানন্দের তথ্যবহুল কোন জীবনী আমার চোখে পড়ে নি। কেউ কোন বইয়ের নাম জানালে উপকৃত হতাম। আগের দুই পর্বের পর আজ দিলাম এর তৃতীয় কিস্তি। দেখা যাক আলোচনা কোনদিকে এগোয়?
জীবনানন্দের গদ্যকে দুটা ভাগে আমরা দেখতে পারি। প্রথমত গল্প-উপন্যাস এবং দ্বিতীয়ত সমালোচনা এবং প্রবন্ধ। যতটুকু জানা গেছে জীবনানন্দ ১৯৩১ সাল থেকে গদ্য লেখতে শুরু করেন এবং ১৯৪৮ এর মধ্যেই তাঁর গল্প- উপন্যাসের রচনাকাল সীমাবদ্ধ। আগেও বলেছি,আবারো বলি জীবদ্দশায় জীবনানন্দ তাঁর কোন গল্প অথবা উপন্যাস কোথাও প্রকাশ করেননি; এমনকি তাঁর গদ্যের আয়তনের কথা তাঁর নিকটাত্মীয় বা কোন সমকালীন লেখক জানতেনও না। এর প্রধাণ কারণটা তাঁর গদ্য পড়লে আন্দাজ করতে কষ্ট হয় না; জীবনানন্দের গদ্য একঘেয়ে, পীড়াদায়ক। নিতান্তই ঘরোয়া পরিবেশে অবিশ্রান্ত দাম্পত্যের টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয় তাঁর রচনা। আর সমালোচনা বা প্রবন্ধের ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে এগুলো প্রকাশের মত সামাজিক অবস্থা কবির ছিল না। তিনি নিজেই শনিবারের চিঠি ওয়ালাদের অমার্জিত আর অন্যায্য আক্রমণে বিপর্যস্ত ছিলেন।
জীবনানন্দের একটি কবিতা লঘু মুহুর্ত সম্বন্ধে শনিবারের চিঠির সম্পাদক সজনীকান্ত দাশের উক্তি-
“পাগলা গারদের অন্তরালে কত বিচিত্র ব্যাপারই ঘটিয়া থাকে; কিন্তু যাহারা এই সকল বীভৎসতাকে বাহিরের আলো বাতাসের রাজ্যে জনতার মাঝখানে প্রকাশ করিয়া আনন্দ পায়, তাহারা কি পাগল না বদমাস্? না দুটোই?”। হায়রে সমালোচনা...!!!!
জীবনানন্দ দাশের গল্প সম্বন্ধে লাবণ্য দাশ লিখেছেন, কাব্যজগতে চলতে চলতে দূর্যোগের ঘনঘটা বহুবার তার জীবনকে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে- ঘনিয়ে এসেছে অন্ধকার। সেই অন্ধকারে দিশেহারা হয়ে তাঁর মনে হয়েছে হয়ত ভুল পথে চলেছেন- রবীন্দ্রপ্রভাবমুক্ত হয়ে কবিতায় তাঁর যে অন্বেষণ, তাতে নাম করা সহজসাধ্য নয়। তখনই তাঁর মন গল্প লেখার দিকে ঝুঁকে পড়েছে। কিন্তু বলতে শুনেছি ‘ কবিতা যদি আমাকে পথের সন্ধান দিতে না পারে তবে এগুলো সকলের দৃষ্টির আড়ালেই থেকে যাবে।’১
উপন্যাস ও গল্পে বস্তুবিশ্বের যে বিবেচনাসমূহ জীবনানন্দের সামনে এসেছিল তাকে তিনি অস্বীকার করতে পারেননি, বরং বলা যায় বস্তুভিত্তির ঐ বিবেচনা দ্বারা তিনি যতই আক্রান্ত হচ্ছেছিলেন ততই তার হাত থেকে বাঁচার জন্য তিনি এক শুদ্ধ জগত সৃষ্টি ও তাতে আশ্রয় নেয়ার কথা ভাবছিলেন। সেজন্য একদিকে তিনি বস্তু বিবেচনার বিষয়গুলো যে ভাবে এসেছে সেভাবেই গল্প-উপন্যাসের আকারে লিখে ফেলে রাখছিলেন আর তার পরিশ্রুত রূপ কবিতায় ও তার ব্যাখ্যায় রূপান্তরিত করে প্রকাশ করছিলেন। ডুবন্ত মানুষের মত একেই তিনি তাঁর আশ্রয় করে তুলছিলেন। যে কথা তিনি কাউকে বলতে পারছিলেন না, অথচ না বললে অবদমন ঘটছিল তার হাত থেকে তিনি এভাবেই পরিত্রাণ পেতে চেয়েছিলেন। ইতিপূর্বে কারুবাসনা উপন্যাসের প্রধাণ চরিত্রকে আমরা যেখানে খাতা লুকিয়ে রাখতে দেখেছি-
‘সবই সঞ্চয় করে রেখে দিয়েছি- জীবনের ভাঁটার সময় একদিন ম্লান আলোর পাশে এসব পড়ব বলে.... মাঝে মাঝে ভেবেছি মানুষের জীবনের সবচেয়ে সুন্দর জিনিস হচ্ছে তাঁর হৃদয়। সঞ্চয় যদি করতেই হয় তাহলে সেখানেই করা ভাল। টিনের বাক্সের ভিতরে কেন? তবুও টিনের বাক্সটা অনেক ঝড় কাটিয়ে টিকে রয়েছে আজো।’২
জীবনানন্দের গদ্যকে কবিতার রিহার্সেল বলেই মনে হয় আমার। অনেক কবিতাই গদ্য হয়ে উঠেছে; কখনোবা কোন এক উপন্যাসের কোন এক চরিত্র কথা বলে উঠেছে ছন্দে ছন্দে।
‘তার আত্মীয়স্বজন একবার তাকে চেপে ধরেছিলেন বনলতা সেন কে জানবার জন্য এবং তাঁর মত বিবাহিত একজন পুরুষ অপর নারীর সাথে কেন সম্পর্কিত এর জবাব দাবি করেছিলেন।৩
কারূবাসনা উপন্যাসে আমরা কিন্তু আবার ফিরে পাই সেই নারীকেঃ
‘কিশোর বেলায় যে কালো মেয়েটিকে ভালবেসেছিলাম কোন এক বসন্তের ভোরে, বিশ বছর আগে যে আঙ্গিনার নিকটবর্তিনী ছিল, বহুদিন যাকে হারিয়েছি-সেই যেন আজ পূর্ণ যৌবন উত্তর আকাশে দিগঙ্গনা সেজেছে। দক্ষিণ আকাশে সেই যেন দিগবালিকা পশ্চিম আকাশে সে-ই বিগত জীবনের কৃষ্ণা মণি, পূব আকাশে আকাশ ঘিরে তারই নিটোল কালো মুখ। নক্ষত্র মাখা রাত্রির কাল দিঘির জলে চিতল হরিণীর মোট রূপ তার-প্রিয় পরিত্যক্ত মৌনমুখী চমরীর মত অপরূপ রূপ। মিষ্টি ক্লান্ত অশ্রুমাখা চোখ, নগ্ন শীতল নিরাবরণ দুখানা হাত, ম্লান ঠোঁট, পৃথিবীর নবীন জীবন ও নবলোকের হাতে প্রেম বিচ্ছেদো বেদনার সেই পুরনো পল্লীর দিনগুলো সমর্পণ করে কোন দূর নিঃস্বাদ নিঃসূর্য অভিমানহীন মৃত্যুর উদ্দেশ্যে তার যাত্রা। সেই বনলতা আমাদের পাশের বাড়িতে থাকত সে’।
সোজা কথায় জীবনানন্দ গদ্যকে তাঁর দিনপঞ্জী হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন বলেই মনে হয় আমার। ডায়েরিতে মনের চাপা কথাগুলো লিখে ফেলে যেমন একটা তৃপ্তির নিঃশ্বাস ফেলা যায়; লোকচক্ষুর অন্তরালে বাঁধাই করা খাতায় লেখা তাঁর গদ্যগুলো তাকে সেই স্বস্তিটুকুই দিয়েছে। দিনের পর দিন জীবনানন্দ গল্পের আদল আর উপন্যাসের বুনুনিতেই লিখে গেছেন তাঁর তৃপ্তি-অতৃপ্তি, আশা-আকাঙ্ক্ষা আর পাওয়া-না পাওয়ার কথা।
তাই জীবনানন্দের মৃত্যুরহস্য বিবেচনায় কবির গদ্যের বস্তুভিত্তি ও চারিত্রকেই প্রধাণ গুরুত্ব দেয়া উচিত; এর পথ ধরেই আমরা সিদ্ধান্তের কাছাকাছি চলে যেতে পারব। জীবনানন্দের গদ্যে জীবনায়ন প্রসঙ্গে প্রথমেই যে উপন্যাসটির কথা মনে আসে তার নাম ‘মাল্যবান’। ১৯৪৮ সালে লিখিত জীবনানন্দের সর্বশেষ এই উপন্যাসটি কবির মৃত্যুর বিশ বছর পর পর্যন্ত লাবণ্য দাশ ছাপবার অনুমতি দেননি। সঙ্গতকারণেই প্রশ্ন জাগে কী ছিল সেই উপন্যাসে যে কারণে কবি পত্নী তা ছাপতে দিতে দ্বিধা করেছিলেন? কেন এই উপন্যাসটি প্রকাশের পরই মূলত জীবনানন্দের সুখী দাম্পত্য জীবন নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধে উঠে?
(চলবে)
তথ্যসূত্রঃ
১) আমার স্বামী জীবনানন্দঃ লাবণ্য দাশ
২) গভীর গভীরতর অসুখ গদ্যসত্তার জীবনানন্দঃশান্তনু কায়সার
৩)জীবনানন্দ চর্চাঃ আব্দুল মান্নান সৈয়দ
-------------
অপ্রসঙ্গঃ সচল হওয়ার পর এটা আমার প্রথম লেখা। এ পথ পাড়ি দিতে আমাকে উপভোগ্য সঙ্গ দেয়ার জন্য সচলায়তনের সকল সদস্য, পাঠক এবং মডারেটরদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
--------------
মন্তব্য
অভিনন্দন রাফি। সুন্দর লেখা আর সচলত্ব প্রাপ্তি এই দুই উপলক্ষে আপনারে পাঁচ দাগাইলাম।
আর আমি কিন্তু ইতিমধ্যেই আপনার বিশ্লেষনধর্মি লেখার ভক্ত হয়ে গেছি। পরবর্তি পর্বের অপেক্ষায় ..........
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ধন্যবাদ কীর্তিনাশা ভাই...
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
চলুক।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ধন্যবাদ হিমু ভাই।
চেষ্টায় আছি...
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
বস্তুভিত্তি বলতে কি বোঝানো হয়েছে জানতে পারি?
ফয়জুল সাহেবের জীবনানন্দের গদ্যের ওপর করা কিছু লিখা আছে বলে মনে পড়ছে। ফারুক ভাই জীবনানন্দের ব্যাপারে অনেক ভাল বলতে পারবেন। ওনার এই বিষয়ে বিপুল পড়ালেখা করা লাগসিলো।
যে মানুষ নিজের ভেতর বস্তুর আকার আকৃতি অনুভব করছে সে নিজেও কিন্তু বস্তুজগতের বাইরে নয়। বস্তুজগত বলতে আমি এখানে দৈনন্দিন জীবন সম্বন্ধে জীবনানন্দের অনুভূতির জগতকে বোঝাতে চেয়েছি।
কিছু মনে করবেন না...
ফয়জুল সাহেব মানে কি ফয়জুল লতিফ চৌধুরী?
ফারুক ভাই মানে ফারুক হাসান না ফারুক ওয়াসিফ? কোন ফারুক ভাই?
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
তারপর?
---
সচলে স্বাগতম।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
তারপর দাম্পত্য জীবনের খুঁটিনাটি..
--------------
ধন্যবাদ বিপ্লব ভাই।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
পড়ছি, চলুক
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
নিয়মিত পড়ার জন্য ধন্যবাদ পন্ডিত ভাই...
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
পূর্ণ সচল হবার অভিনন্দন রইলো।
..আরও চলুক জীবনানন্দ পর্ব।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
ধন্যবাদ জলিল ভাই।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
শুভেচ্ছা রাফি।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। ভালো লেগেছে এই পর্বটাও।
সচল হবার জন্য অভিনন্দন
_________________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
তারেক ও অতন্দ্র প্রহরী ভাইকে ধন্যবাদ।
আশা করি এ সপ্তাহেই পরবর্তী পর্ব দিতে পারব।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েণ্ট মনে হচ্ছে আমার কাছেও। উপভোগ্য লেখা। চলতে থাকুক।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে ছোট করছি না।
সচলপ্রাপ্তিতে অভিনন্দন।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ধন্যবাদ রণদীপম দা... ভাল থাকবেন।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
যথারীতি উপর দিয়ে গেলো.........
রোজা রেখে পড়লে তো উপর দিয়েই যাইবো।
ইফতার খেয়ে আবার বস্।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
এটা কি ঠিক হল? হুট করে ‘চলবে’ বলে চলে গেলেন, ফিরবেন কবে বলে গেলেন না। আমাদের ধৈর্য পরীক্ষা করছেন? তা করেন, আমরাও অপেক্ষা করতে জানি।
ভাইরে দৌড়ের উপর আছি। একটু ফাঁক পেলেই বসব।
কিছু মনে কইরেন না।
ধন্যবাদ।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
thanks a gootarticle. run!!!!!!!!!
আচ্ছা! অনেক কিছুই তো দেখি জানি না। আপনার কল্যাণে অনেক অজানা বিষয় জানা শুধু হচ্ছে না সেই সাথে নতুন ভাবে জীবনানন্দকে নিয়ে ভাবতে শুরু করেছি। আমি নিশ্চিত এখন কবিতাগুলো আবার পড়লে নতুন অর্থ দাঁড়াবে আমার কাছে!
পরের পর্বে যাই
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
নতুন মন্তব্য করুন