প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব
তৃতীয় পর্ব
‘মাল্যবান নামে এক যুবক, তার বালক ও কিশোর বয়স এবং যৌবনের প্রথম দিক কেটেছে শহর থেকে অনেক দূরে, প্রকৃতির বিস্তারে। প্রকৃতির চেতনার ভিতর আত্মস্থ যেন তার মগ্ন চেতনা । সেখানে ছিল বাউলের গান , ক্ষেতের আলপথ দিয়ে বাড়ি ফেরা। আকাশের নক্ষত্রগুড়ি, ছায়া-অন্ধকার, গাছপালা, ফুলফল ইত্যাদি। এরপর সে শহরে এসেছে, স্ত্রী কন্যাকে নিয়ে তার সংসার । দাম্পত্য জীবনেও কেটে গেছে বারটা বছর। এতদিন পরে বিশ্লেষনে আবিস্কৃত হয় তার ব্যর্থতা, ব্যক্তিজীবনে , সমাজজীবনে এমনকি দাম্পত্য জীবনেও। চাকরি তার বোধে খিদমতগারী, এমনকি নিজের সংসারেও তার কোন মর্যাদা নেই। স্ত্রী তাকে অবহেলা করে, নির্বান্ধব জীবন তার। বাইরের জগত থেকে নির্বাসিত, যেন পরিত্যক্ত নিজের ঘরেই বন্দী এই মাল্যবান নামের মানুষটি।
কবি জীবনানন্দ দাশ তাঁর ‘মাল্যবান’ এই পটভূমিতেই শুরু করেছেন। মাল্যবানের এই সংসারে একসময় তার স্ত্রী উৎপলার মেজদা সপরিবারে এলেন। স্ত্রীর নির্দেশে মাল্যবানকে মেসে উঠতে হয়। মেসের জীবন অসহ্য তবু নিরুপায়; তাকে থাকতে হয়। মাঝে মাঝে বাড়িতে এসে মেজদার সুখী দাম্পত্য জীবন দেখে যায়; কিন্তু তার তৃষ্ণার্ত কামনা উৎপলার কাছে দ্বিগুণ অবহেলায় প্রতিহত হয়ে ফিরে আসে। অথচ এই যে ব্যর্থ দাম্পত্য জীবন নিয়ে উৎপলার কোন ক্ষোভ নেই; বহুপুরুষ সংসর্গে তার অন্য তৃপ্তি। এইসব দেখে শুনে মাল্যবান ভেতরে ভেতরে ক্ষুব্ধ হলেও উৎপলাকে নিবৃত্ত করার ইচ্ছে বা সাধ্য কোনটাই তার নেই। অবশেষে অমরেশ নামে একটি লোকের সঙ্গে উৎপলার সম্পর্ক এবং তার ধরণ, শান্ত মাল্যবানকে এমনি উত্তেজিত করে তার বিহিত করার জন্য উদ্যেগী হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এ ব্যাপারেও উৎপলা তাকে কোন গ্রাহ্যের মধ্যেই আনল না’।২
মোটামুটি এইটুকুই এই বহুল আলোচিত উপন্যাসটির ঘটনা সংক্ষেপ। আপাত দৃষ্টিতে আসলে ঘটনা বলতে কিছুই নেই যা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হতে পারে। একটি ব্যর্থ মিলনের পরিণতি ছাড়া উপন্যাসটিকে আর কিছুই বলা যায় না। কিন্তু এ উপন্যাসের অভিনবত্ব হচ্ছে চরিত্র চিত্রনে; উপন্যাসটি পড়লে মনে হয় যেন মাল্যবান ছাড়া আর কোন চরিত্র সম্বন্ধে লেখক ঠিক নিশ্চিত নন; অন্য সব পাত্র-পাত্রীর যে বর্ণনা তা পাঠক মাল্যবানের জবানীতেই শুধু নয়, তার দৃষ্টিকোণ থেকেই পায়। শুধুমাত্র এই বিবেচনায়ই 'মাল্যবান' উপন্যাসটিকে আত্মজীবনীমূলক উপন্যাসের দলে ফেলে দেয়া যেতে পারে বলে আমার মনে হয় না। উৎপলা চরিত্রটি লাবণ্য দাশকে বিন্দুমাত্র প্রতিফলিত করে কিনা, অথবা মাল্যবান চরিত্রটির অনুভব জীবনানন্দ দাশের মননের সাথে কতটুকু সামঞ্জস্যপূর্ণ এই বিতর্ক হয়ত কখনোই উঠত না যদি না কবিপত্নী উপন্যাসটি ছাপাতে দিতে এত দ্বিধাবোধ না করতেন।
জীবনানন্দ সমগ্রের তৃতীয় খন্ডে ‘কারুবাসনা’ সম্পাদনা করতে গিয়ে দেবেশ রায় বেশ ধন্দে পড়েছিলেন। জীবনানন্দ নিজে এ রচনাকে নভেল বলে চিহ্নিত করে না গেলে মনে হতে পারত জীবনানন্দ ডায়েরী লিখে গেছেন। এই ডায়রীত্বই কারুবাসনার ফর্ম। জীবনপ্রণালীও তাই। কিন্তু গদ্যকার জীবনানন্দের উচ্চতম সাহিত্যক্রিয়া মাল্যবান কোনমতেই ডায়েরী নয়; আবার উপন্যাসও নয়। তেত্রিশ থেকে আটচল্লিশ পনেরো বছর ধরে একটানা ডায়েরী লিখে জীবনানন্দ ততদিনে বুঝে গেছেন ডায়েরী লিখে ওই যন্ত্রণায় পৌঁছানো যায় না।১
জীবনানন্দের আর্থিক অনটন বা মানসিক অস্থিরতার বিচার করতে গেলে প্রথমে তার কর্মজীবনের প্রতি আমাদের মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন। জীবনানন্দ ১৯২১সালে আইন ও ইংরেজিতে এম.এ পাশ করেন। ১৯২২ সালে তিনি সিটি কলেজে ইংরেজি বিভাগের টিউটর হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯২৮ সালে সিটি কলেজে অধ্যাপনার সময় তিনি কলেজের অর্থনৈতিক দূর্দশা, কারো কারো মতে কাজে উদাসীনতার অভিযোগে চাকুরিচ্যুত হন। ১৯২৯ সালে তিনি খুলনার বাগেরহাট কলেজে মাসতিনেক এবং ঐ বছরের শেষার্ধ থেকে তিরিশের মে মাস পর্যন্ত তিনি দিল্লীর রামযশ কলেজে চাকুরী করেন। এই বছরের ৯ই মে তিনি ঢাকায় আসেন ; ইডেন কলেজের আই.এ. এর ছাত্রী লাবণ্য দাশকে বিয়ে করেন এবং তারপর আর দিল্লীর চাকরীতে ফেরত যাননি। বিয়ের পর পাঁচ বছরের মত তিনি কর্মহীন থাকেন। এ সময় তিনি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর কাজ এবং অনুজের কাছ থেকে টাকা ধার করে ব্যবসার চেষ্টা করেন। ১৯৩৫ সালে তিনি বরিশালের ব্রজমোহন কলেজে যোগ দেন এবং সেখানেই ১৯৪৭ সালে কলকাতা যাওয়ার আগ পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন।
১৯৫০ এ খড়গপুর কলেজে যোগ দেয়ার আগ পর্যন্ত তিনি দৈনিক ‘স্বরাজ’ এ রবিবাসরীয় সাহিত্যবিভাগ সম্পাদনা সহ নানা খুচরো কাজে নিযুক্ত ছিলেন কিন্তু কোনটিতেই সফলতার মুখ দেখতে পারেননি। ১৯৫১ সালে স্ত্রীর অসুখের জন্য খড়্গপুরের চাকরী ছেড়ে দিয়ে এক ভদ্রলোকের সাথে ব্যবসার চেষ্টা করেন। ১৯৫২ সালে বড়িশা কলেজ এবং পরবর্তীতে ১৯৫৩ সালে হাওড়া গার্লস কলেজে যোগদান করেন।
চাকরীর অবস্থা এমন হলেও আয়ের অবস্থা আরো করুণ। জীবনানন্দ বিভিন্ন গল্পে, উপন্যাসে, প্রবন্ধে কলেজ শিক্ষকদের বেতন সম্বন্ধে তীব্র উষ্মা প্রকাশ করেছেন। জলপাইহাটি উপন্যাসে আমরা শুনি,
'যখন প্রথম অধ্যাপকদের বেতন ছিল দেড়শ তখন টাকায় চৌদ্দ সের দুধ পাওয়া যেত এখন পাওয়া যায় তিন সের। তিন টাকা ছিল চালের মণ- এখন পঁচিশ ত্রিশ টাকা হয়েছে।।.... খেয়েদেয়ে সুস্থ হয়ে পরিস্কার জামাকাপড় পড়ে ছেলেদের কাছে উপস্থিত হওয়া চাই, মনে একটা সুস্থিরতা থাকা চাই। না হলে কী করে ভাল ভাবে পড়াবেন মাস্টারেরা।’
আরেকটা প্রবন্ধে জীবনানন্দকে বলতে দেখি,'দেড়শ, একশ পয়ত্রিশ টাকা তো একজন মুটেও পায় আজকাল।’
যখন দেখি ১৯৩৫ থেকে ৪৭ পর্যন্ত একটানা বার বছর কলেজে চাকুরী করা জীবনানন্দ যখন ১৯৪৮ সালে আর্থিক টানাপোড়েনে সৃষ্ট জীবন জটিলতার উপন্যাস লেখেন তখন স্বাভাবিকভাবেই আত্মজৈবনিকতার সন্দেহটা আমাদের মনে জেগে উঠে। বেকার মাল্যবানকে উপন্যাসে যদুনাথবাবু যখন জীবনবাস্তবতার কথা বলেন তখন তার বয়স চৌত্রিশ।‘বিয়ে করেছ, সন্তান রয়েছে’ বলে সম্বোধিত মাল্যবান কিন্তু জীবনানন্দ নিজেও হতে পারেন। কারণ ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত চাকরিহীন থাকা(১৮৯৯ সালে জন্ম নেয়া) জীবনানন্দের বয়স তখন কিন্তু তার ধারেকাছেই। কন্যা মঞ্জুশ্রীর জন্ম হয়েছে এ সময়টাতেই। এরপরই যদুনাথবাবু বলেছেন অথচ একজন মুটের যা সম্বল তাও তোমার নেই। পাঠক নিশ্চয় ভুলে যাননি মুটের সাথে কলেজের চাকুরীকে তুলনা করা কিন্তু জীবনানন্দের নিজেরই আবিষ্কার।
সঙ্গতকারণেই ভাবতে হয় মাল্যবান উপন্যাসটি আত্মজৈবনিকতা থেকে মুক্ত নয়।
এখন প্রশ্ন হল মাল্যবান আত্মজৈবনিক উপন্যাস হলেই কি নির্দ্বিধায় বলে দেয়া সম্ভব যে জীবনানন্দ ইচ্ছেমৃত্যুর শরণাপন্ন হয়েছেন?
(চলবে)
তথ্যসূত্রঃ
১) ‘মাল্যবান’-একটি না-উপন্যাসঃ ত্রিদিব সেনগুপ্ত
২) উপন্যাসের ভাষা, প্রসঙ্গ ‘মাল্যবান’ঃ অতীন্দ্রিয় পাঠক
৩) গভীর গভীরতর গদ্যসত্তার জীবনানন্দঃ শান্তনু কায়সার
মন্তব্য
ধন্যবাদ এমন একটি লেখার জন্য। ভালো লাগল, খুব ভালো। এখন আফসোস হচ্ছে -- এমন একটি লেখার আগের পর্বগুলো পড়া হয় নি কেন?
যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।
সময় করে পড়ে নিলে প্রীত হব।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
সবগুলো পর্ব হাতে নিয়ে নিয়েছি। পড়ি আগে।বিষয়টা আকর্ষণীয় মনে হচ্ছে।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
পাঠপ্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় রইলাম পলাশ দা....
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
পড়ছি আমিও
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ধন্যবাদ।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
প্রিয় রাফি, এমন একটা বিষয় বেছে নিয়েছেন যা যথেষ্ঠ স্পর্শকাতর আবার এতে খুব নির্ভরযোগ্য তথ্যের ঘাটতি আছে বলে জানি।
স্পর্শকাতর এই জন্য যে, জীবনানন্দ দাশ আধুনিক বাংলা কবিতার শুধু সেরা কবিই নন, তাঁর জনপ্রিয়তা (মৃত্যু পরবর্তী) বিপুল। সুতরাং কিছু কিছু একবগগা সমর্থক থাকতেই পারেন যারা সমালোচনা সহ্য করতে পারবেন না।
আর আমি যে সামান্যটুকু পড়েছি (বিভিন্ন জনের লেখা) তাতে তাঁর মৃত্যু নিয়ে পারস্পারিক বিরোধী তথ্য প্রচুর। তাই তথ্য বিশ্লেষণ করে মতামত দেবার ক্ষেত্র দয়া করে সতর্ক হোন। দেখবেন, আপনি যেন কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে না পরেন।
পরিশেষে এই দরকারী গবেষণা কর্মটি করার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
===============================
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ভাই আমি নিজেই জীবনানন্দের অন্ধ ভক্ত; তাঁর সব লাইনই আমার কাছে মহান সত্য বলে মনে হয়। লেখাটার মাধ্যমে আমি শুধু আমার যুক্তিগুলোকে পাঠকের কাছে তুলে ধরতে চাইছি। পাঠকের পরামর্শ ও দৃষ্টিকোণ সিদ্ধান্ত নিতে আমাকে সাহায্য করবে এ আশাই করছি।
জীবনানন্দের বিষয়ে তথ্য অপ্রতুল আপনার একথাটা খুব সত্যি। ক্লিন্টন বুথ সীলি নামে একজন কবি উনার একটা তথ্যবহূল জীবনী লিখেছেন শুনেছি; কিন্তু বইটা যোগাড় করতে পারিনি।
আমি আমার সাধ্যমত নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করছি। আপনার পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
এই ব্যাপারে আমার আগ্রহ সীমাহীন। কাজেই লেখার জন্য রাফিকে ধন্যবাদ। অপেক্ষায় থাকলাম।
আগের লেখাগুলোও পড়ে নেবো অবশ্যই।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আপনাকেও পালটা ধন্যবাদ।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
অতি পুরনো বিতর্ক। এর পরেও কোনো ধারাবাহিকতা না রেখেই খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ছি।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
পড়ার এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ বিপ্লব ভাই।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
তেমন নতুন কিছু পাইতেসি না। তবে, চলুক। আলোচনা শুভ হোক।
ফারুক ওয়াসিফ ভাই জীববাবুর ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ লোক। তার উপস্থিতি টের পাইতেসি না এই আলোচনায়। হুমম...
আসলে তথ্য এত অপ্রতুল যে সচেতন পাঠককে বিস্ময় উপহার দেয়া বেশ কষ্টসাধ্য। আমার এ লেখার প্রধাণ উদ্দেশ্য কিন্তু এ সম্পর্কে বিদ্যমান তথ্যগুলোকে একত্র করা। আপনিও কিছু আওয়াজ দিয়েন।
ফারুক ভাই বোধহয় এ আলোচনায় খুব একটা উৎসাহ পাচ্ছেন না। কারণ শেষটা হয়ত উনার জানাই আছে।
দ্বিতীয় পর্বে আপনার মন্তব্যের পর উনার অনুপস্থিতি আমিও অনুভব করছি।
ফারুক ভাই আপনি কোথায়????
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
রাফির বদান্যতায় জীবনানন্দ দাশ সম্পর্কে আবারও জানতে পারছি বলে গবেষক রাফিকে ধন্যবাদ।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
ভাইরে 'গবেষক' হওয়ার ক্ষ্যামতা নাই। লেখাটা আপনার ভালো লাগছে জেনে আনন্দিত হলাম।
ধন্যবাদ।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
বিশ্লেষন চলুক, চলতেই থাক, কারো কোন কাজে আসুক না আসুক, বাংলা সাহিত্য এতে সম্পদশালী হবেই......
শুভেচ্ছা............
প্রিয় অতিথি লেখক,
আপনার নামটা জানালে ভাল লাগত।
উৎসাহ প্রদানের জন্য কৃতজ্ঞতা।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
ছোটবেলায় জীবনানন্দের কবিতা প্রথম পড়তে গিয়ে গা ছম ছম করত, মনে হতো আমি পঞ্চমীর মাঝ রাতে একা একা গ্রামীন পথে ঝোপের পাশ দিয়ে হাঁটছি। আত্মহত্যা হয় তো ছিলনা, কিন্তু তাঁর কবিতায় আলো আঁধারের ধূসর খেলা জীবন-মৃত্যুর সীমান্ত রেখায় রহস্যময় পদচারণার অদ্ভুত সুন্দর এক নিবিষ্ট রূপকল্প আছে, যা মাঝে মাঝে আমার নিজের কাছেই বিপজ্জনক মনে হয়।
ভাই কথাগুলো দারুণ লাগল। অসাধারণ!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
এই লেখা কারও কোন উপকারে এলো কিনা জানি না তবে আমার ভীষণ উপকারে এসেছে। আমি জীবনানন্দের অন্ধ ভক্ত! আর প্রিয় কবিকে নিয়ে যত আলোচনাই হোক না কেন জানার তৃপ্তি তবু হয় না। আমার সব কিছুই ভাল লাগছে। মাল্যবান পড়তে ইচ্ছে করছে। এখনও পড়া হয় নি!
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
নতুন মন্তব্য করুন