ক্লাস সিক্সে পড়ার সময় একটা ডায়েরি কিনেছিলাম; অবশ্য ডায়েরি ঠিক নয়, নোটবুক বলতো সবাই। ছোট আকারের; শ'খানেক পাতার।সারাদিন ক্লাস করে আর শহরের নানান অলিগলিতে ঘুরে ঘুরে সন্ধ্যার ঠিক আগে যখন বাসায় ফিরতাম তখন কোমরে গোঁজা থাকত মাসুদ রানা। সে বয়সের জন্য মাসুদ রানার প্রচ্ছদগুলো একটু আপত্তিকরই ছিল। বাসায় আণ্টি বা ফুফা যিনিই দেখতেন সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকাতেন, ছেলেটা উচ্ছন্নে যাচ্ছে, বন্ধুবান্ধবের আনাগোনা বেড়ে গেছে বিস্তর। হাতমুখ ধুয়ে এসে বইয়ের ভাঁজে সেবা'র বইখানি মেলে ধরে আমার লুকোচুরি শুরু হত; ধরা যে খাইনি কখনো নেহায়েৎ এমন নয়। অনেকবার খেয়েছি; বকা ক্ষেত্রবিশেষে পিটুনিও।তাতে কীই বা বয়ে গেল।
আরেকটা লুকোচুরি ছিল সেই ডায়েরি লেখা নিয়ে। ক্লাস ফাইভে স্কুলের প্রোগ্রামে 'আনা ফ্রাঙ্কে'র ডায়েরি পুরস্কার পেয়েছিলাম; একেবারে ছোট্ট একটা বই। প্রথমে আম্মু পড়তে দিতে চাননি; বিভিন্ন উৎস থেকে অসংখ্য বই পড়তাম বলে সন্দেহজনক বইগুলো প্রথমে আম্মু পড়ে তারপর পড়তে দিতেন। সেন্সরবোর্ড পেরিয়ে হাতে আসার পর যখন বইটা শেষ করলাম তখন 'আমার একটা ডায়েরি নেই কেন?' এই খেদে জ্বলতে থাকলাম। বইটা এখনো আমার কাছে আছে। মাঝে মাঝে বের করে পাতাগুলো উলটে যাই; পুরাতন বই পুরাতন গানের মতই স্মৃতিজাগানিয়া। প্রথমবার পড়ার অনুভূতিটুকু ফিরে আসে প্রতিবার পড়ার সময়ই। দিনের পর দিন আটপৌরে জীবনের কথা লিখে যাওয়া সেই কিশোরীর ডায়েরি পড়ে যে মুগ্ধতা আর ইতিহাসের অংশ হবার অভিপ্রায় ভর করেছিল, তার ফল হিসেবে একদিন নিয়ে এলাম সেই নোটবুক কাম ডায়েরি।
ডায়েরি লিখতে বসে প্রথম যে সমস্যাটার মুখোমুখি হতাম তা হল কী লিখব?? সকালে নাস্তা করে ক্লাস করতে গিয়েছি, ক্লাসে পড়া পারি নাই বলে স্যারের মার খেয়েছি, সন্ধ্যায় ভাত খেয়ে ঘুমালাম এই জাতীয় জিনিস ছাড়া আমার তৎকালীন উর্বর মস্তিস্কে আর কিছুই আসতো না। সেটাও ডায়েরি লেখক হবার উদগ্র বাসনার পক্ষে ভয়ানক কোন বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি, ঘুরে ফিরে একই ঢংয়ে ঘ্যানঘ্যানানি টাইপ দিনলিপি লিখতে লাগলাম। এই সময়ে দ্বিতীয় আর একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়াল প্রাইভেসি। টেবিল এলোমেলো থাকে বলে গুছিয়ে দিতে এসে একদিন সেই ডায়েরি হস্তগত হলো কাজিনের হাতে আর দু’টা দিন আমার জীবন এলোমেলো হয়ে গেল। ডায়েরি আব্বুকে দেখাবে এই ভয় দেখিয়ে সারাক্ষণ তটস্থ করে রাখত আর তার যাবতীয় কাজ করে দিতে হত আমার। তখন বুঝতে পারলাম ওই স্যারের কাছে মার খেয়েছি, ওই ক্লাসটা ফাঁকি দিয়ে পার্কে ঘুরে এলাম, ওইদিন স্যারের কাছে পড়ার কথা বলে সার্কিট হাউজের মাঠে ক্রিকেট খেলেছি সারাদিন,আজ স্কুল থেকে ফেরার পথে একটা পরীর সাথে চোখাচোখি হয়েছে এ জাতীয় কথা কাগজে কলমে লিখে ফেলা যত কঠিন, সবার কাছ থেকে গোপন রাখা আরো বেশি কঠিন। সুতরাং 'ডায়েরি লেখার চাইতে ডায়েরি লুকিয়ে রাখা কঠিন' টাইপ।
তিন গোয়েন্দা আর মাসুদ রানা পড়ে পড়ে আমার ফিচলে বুদ্ধির ভালোই বিকাশ ঘটেছিল। সুতরাং একটা সমাধান বের করে ফেললাম। কোডিং সিস্টেম; বাংলা হরফে না লিখে ইংরেজি হরফে বাংলা লিখতাম এবং সেই ইংরেজি অক্ষরটা আবার প্রতিস্থাপন করতাম কোডেড অক্ষর দিয়ে। যেমন ‘আমি’ হয়ে যেত ‘znr’, তুমি হয়ে যেত ‘gfnr’. সেই বিচিত্র ভাষায় স্কুল জীবনের চারটা বছর দিনের পর দিন ডায়েরি লিখে রেখেছিলাম। এস।এস।সি পরীক্ষার রেজাল্টের পরদিন সেই তিনটা ডায়েরি সবার অজান্তে পুড়িয়ে ফেলি।কারণটা এখানে নাইবা বললাম।
পুরনো ডায়েরির লেখাগুলো পড়লে একটা অন্যরকম অনুভূতি হয়; আমাদের বয়স বাড়ে, সাথে চিন্তাধারার রকমফের ঘটে; সেটা ঠিক কতটুকু তা আমরা টের পাই না। পুরাতন ডায়েরি দুই পাঁচ বা দশ বছর আগের আমাকে ধরে রাখে। কখনো কখনো নিজেকে আগের চেয়ে বুদ্ধিমান মনে হয়, কখনো কখনো মনে হয় আগের চেয়ে ভীতু; কোন কোন ঘটনা মনে করিয়ে দেয় একটা সময়ে আমি কতটা অকপট ছিলাম আর কিছু কিছু পাতা বলে দেয় কতটুকু মিথ্যা আশ্রয় করে আমি বেড়ে উঠেছি। পুরাতন ডায়েরির সাথে সময় কাটানো মানে তাই নিজেকে নিজের সামনে তুলে ধরা, ব্যাপারটাকে আজকের আমি আর অতীতের আমির মুখোমুখি সংলাপ বলে মনে হয় আমার কাছে। এ রিভিশনটা আমি উপভোগ করি ভীষণ; যে জন্য দেশ ছেড়ে আসবার সময় লাগেজের ওজন নিয়ে অনেক কিপ্টেমি থাকলেও সবার আগে লাগেজে তুলেছি ২০০১ থেকে লেখা আমার ছ’খানা ডায়েরি।
ইন্টারনেট এক্সেস পাওয়ার পর ব্লগ জিনিসটা বেশ পছন্দ হয়েছে। প্রতিদিনের ভাবনাগুলো লিখে রাখবার জন্য ব্লগের concept টা দারুণ; তবে মাঝে মাঝে মনে হয় আস্তে আস্তে ডায়েরি উঠেই যাবে; যে যার মত নিজের সাইটে ই-ডায়েরি লিখবে; যেখানে প্রাইভেসি আর সংরক্ষণ কোন সমস্যাই না। তাতে নিঝুম রাতে বিছানায় উপুড় হয়ে মনের কথাগুলো কাগজে লিখে রাখার আনন্দটুকুতে ঘাটতি হবে, পড়ন্ত বিকেলে ডায়েরির পুরনো পাতা উল্টানোর বিলাসিতাটুকু হয়তো মলিন হবে কিন্তু তাতে মন খারাপ করবার কিছু নেই। কোনকিছুর শেষ থেকেই তো অন্য কিছুর শুরু......।।
মন্তব্য
- জীবনে কোনোদিনই ডায়েরী লিখতে পারি নাই, এই অপারগতাটা থেকে যাবে চিরকাল।
আপনার লেখার কোডিং সিস্টেমটা খুলে বলেন তো, বেশ মজাদার মনে হচ্ছে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গুরু আপনার লেখা পড়েই হাবিজাবি চিন্তাগুলি মাথায় এলো। সুতরাং বুঝেন আপনি কী জিনিস
কোডিং সিস্টেম বেশ সহজ
আমি = ami
তুমি = tumi
A B C D E F G H I J K L M N O P Q R S T U V W X Y Z
Z Y X W V U T S R Q P O N M L K J I H G F E D C B A
এইবার a এর জায়গায় z এবং সেইভাবে প্রতিস্থাপন। সুবিধা হলো এই সিরিয়ালটা আমার এখনো মুখস্ত আছে; তাই প্রতিস্থাপন করতে সময় লাগে না
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
মজা পেলাম আপনার স্মৃতিচারণটুকু পড়ে! বড় বেলায় এসে পুরোনো ডায়রী গুলো পড়লে সত্যি এক অদ্ভূত অনুভুতি হয়!
আপনার কোডিং সিস্টেমটা বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে
কোডিং এর গোমর ফাঁক করে দিসি উপরে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
ছেলেবেলা কেটেছে নানুবাড়িতে... আরো অনেক কিশোরীর মত কিটির কাছে সব খুলে বলতে শিখিয়ে দিয়েছিলো আনা ফ্রান্ক!
লিখে -টিখে লুকিয়ে রাখতে বেমালুম ভুলে যেতাম, পড়তে হতো বিপাকে...
নানান আপত্তিকর (!) অংশ মামা খালাদের মুখে মুখে ফিরতো...
--------------------------------------------------
"সুন্দরের হাত থেকে ভিক্ষা নিতে বসেছে হৃদয়/
নদীতীরে, বৃক্ষমূলে, হেমন্তের পাতাঝরা ঘাসে..."
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হুমম একই বিড়ম্বনা তাহলে আপনারও
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
আপনের ডায়রি পড়তে মঞ্চায় আমার সম্পর্কে আপত্তিকর কিছু লিখেন নাইতো, চেক করে দেখতে হবে আপনি কতখানি 'ফ্রাঙ্ক' হৈতে পারসেন হে হে। তবে আমি কোনদিন ডায়রি লেখার চেষ্টা করি নাই। মানুষ আমাকে ততটুকুই জানবে, যট্টুক আমি জানাবো, আমিতো মহাত্মা গান্ধী না যে আমার জীবন থেকে লুকজন শিক্ষা নিবে আর সেটা বেচে পয়সা কামাবে। তার উপর আমার পেটে পেটে বহুত শয়তানি, ডায়রি লিখতে গেলে গোমর ফাঁস হয়ে যাবে না?
তোমারে নিয়া অর্ধেক পৃষ্ঠা লিখা আছে, ঈমানে বলছি .
মহাত্মা গান্ধী হওয়ার তো দরকার নাই, তুমি যে সাবিহ ওমর এইটাই বা কম কী
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
দারুণ লেখা!
ধন্যবাদ দ্রোহী দা।
অফটপিকঃ সচলে যখন প্রথম আসি তখন আপনার প্রোফাইলে বাংলা ছবির উড়াধুরা নায়ক জসিম এর ছবি ছিল বোধ হয়। সাথে এক ললনা ছিলেন যারে চিনি নাই। এখন ইহা কাহার ছবি বহন করিতেছেন। আপনার নিজের নয় তো আবার
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
স্মৃতিচারণটুকু দারুণ লাগল রাফি। ডিজিটাল এই যূগে এখনও ডায়েরি ব্যাবহার ছাড়তে পারিনি। অবশ্য ডায়েরির কন্টেন্টে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে।
কোডিং এর ব্যাপারটা জেনে খুব ভাল লাগল। আমিও কোডিং ব্যাবহার করতাম (শুধুমাত্র সিলেক্টেড অংশের জন্য)। আমার কোডিং ছিল পরের অক্ষর এবং সংক্ষিপ্ত রূপ। কোডিং এর এই আইডিয়াটা পেয়েছিলাম সম্ভবত স্কুলে (বা কলেজে!) থাকতে রহস্য পত্রিকায় পড়া এডগার অ্যালেন পোর গোল্ড বাগের অনুবাদ পড়ে (নাম ছিল সম্ভবত স্বর্ণ কীট)। অবশ্য সেখানে কোডিং টা কিছুটা অন্যভাবে করা হয়েছিল।
ধন্যবাদ রাফি।
স্বর্ণকীট নামে একটা বই আমিও পড়েছিলাম; কিন্তু ওইটা বোধহয় সেবা'র ওয়েস্টার্ণ ছিল।
পরের অক্ষররের কোডিং আমার কাছে খুব সহজ মনে হত; পরের অক্ষরের কোডিং ব্যাপারটা প্রথম পেয়েছিলাম হুমায়ূন আহমেদ'র হিমু সিরিজের একটা বইয়ে। বইটার নাম এখন ঠিক মনে পড়ছে না। তবে একটা চিঠি ছিল এই কোডিং দিয়ে যার সম্বোধন ছিল Dear Himu Mama.
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
এই ডায়েরি জিনিসটা নিয়ে আমি প্রথম প্রথম বেশ নাকানিচুবানি খেয়েছি
শুনেছিলাম ডায়েরি হলো দিনলিপি
দিনের সবকিছু তাতে লিখে রাখতে হয়
আমি শুরু করলাম একবার; সকাল অতটায় ঘুম থেকে উঠলাম। তারপর বাথরুমে গেলাম। তারপর টয়লেট করলাম তারপর ব্রাশ করলাম। তারপর গোসল করলাম
এইভাবে কয়েকদিন করে দেখি একদিনেরটা লিখতে কয়েকদিন লাগে আর সবকিছুই একই রকম
ধ্যত্তেরি বলে বাদ দিলাম
০২
৯৪ এ একজন দিলো একটা পকেট ডায়েরি
যে দিয়েছিল তার কাহিনীকেই ৩৬৫ টুকরায় ভাগ করে প্রতিটি তারিখের নিচে একটা করে প্যারা লিখে লিখে একটা প্রায় উপন্যাস দাঁড় করিয়ে ফেললাম
০৩
৯৭ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত প্রতিদিনের অনুভূতির সামারি লেখা শুরু করলাম কয়েক লাইনে
কমপ্লিট সাতটা দৈনিক অনুভূতির ডকুমেন্ট দাঁড়িযে গেলো আধা কবিতা আকারে
০৪
আর এখন কিছু লিখি না
কারণ নিজের দলিল নিজে লেখা মানে খাল কেটে ভবিষ্যতে কুমির আনা
০১। হে হে ডায়েরি নিয়ে এই সমস্যা তাইলে মহান লীলেন্দা'র ও হত। শুনে আমোদিত হলাম
০২।
উপন্যাস খানি পড়তে মঞ্চায়। ওইটা আপনার কাহিনী না; সুতরাং বেনামে সচলে লিইখা ফেলেন ।
০৩।
হুমম; ডায়েরি'র ঠিক এই জিনিসটাই আমি উপভোগ করি। ব্যক্তিগত অনুভূতির সম্মিলন; তবে একটা বড় জিনিস হল দিন শেষে আমার মাথায় কিছু সমস্যার বিস্তারিত বিবরণ ছাড়া আর কিছুই থাকে না। তাই অধিকাংশ পাতাই সমস্যার ভারে জর্জরিত।
০৪।
নিজের দলিল নিজে লিখে পাসওয়ার্ড দিয়া রাখেন; সমস্যা কী?? এইটা হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ।।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
শুধু কুমির না, রীতিমতো শাদা হাঙ্গরকে নেমন্তন্ন করে আনা।
আর উদ্ধৃত বাক্যখানা স্বর্ণাক্ষরে স্টিকি করা হউক।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
আমার এক অদ্ভুত স্বভাব ছিল,এখনও আছে বৈকি! লিখার কিছুদিন পর আগের লিখাগুলি দেখা এবং পুরনো পাতাগুলি ছিঁড়ে ফেলা। কোনদিনই বোধ হয় আমি এর থেকে বের হতে পারবোনা!
অভিনন্দন দাদা,এতগুলো ডায়েরী লিখে ফেলেছেন বলে।
-স্নিগ্ধা করবী
ডায়েরির পুরনো পাতা ছেঁড়া খুব খারাপ লক্ষণ। এর মানে হলো আপনি পাপী
অভিনন্দনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
আমার একটা ডায়রী ছিলো- আম্মা পইড়্যা ফেলায় একদিন ব্যাপক লজ্জা পাইসিলাম... খিকজ।
লেখা যথারীতি- উড়কি...
_________________________________________
সেরিওজা
ক্লাস এইটে আমার ডায়েরি কিছুক্ষণের জন্য আম্মুর হাতে পড়ছিল; কায়দা করে উদ্ধার করছিলাম। এই কারণে বাইচ্যা গেছি
ধইন্যা...।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
আরে ডায়রি থেকে যদি কিছু মালমশলা কোট নাই করলেন তাহলে মজা কই? দ্যান দ্যান পর্ব ২ তে সেই সব দ্যান।
মালমশলা 'অতিশয় গোপনীয়'। আর যাও বলার পরিকল্পনা ছিল লীলেন্দা'র বিখ্যাত মন্তব্যে তাতে ভাটা পড়েছে।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
অনেকদিন পর ডাইরী পড়লে কেমন অনুভুতি হয় সেটা চমৎকার ভাবে লিখেছেন ।
আমার পুরোনো ডাইরী পড়লে মনে হয় -- আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম -- সরলতাটা বেশী মিস করি ।
চলুক !
--
ইমতিয়াজ মির্জা
হুমম; আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
ডায়েরি কখনো লেখা হয় নাই- কিন্তু ডায়েরি জিনিসটা আমার বেশিরকম পছন্দ। লুকিয়ে অন্যের ডায়েরি পড়ার মতো মজা আর কিছুতে আছে কি না জানি না!
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
লুকিয়ে ডায়েরি পড়া পছন্দ; আপনি তো ভাই মানুষ ভালো না।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
নস্টালজিক ভাবনায় আচ্ছন্ন করলেন। ভালো থাকবেন।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন আপনিও।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
নস্টালজিক লেখা রাফি ভাই। এক সময় ডায়েরি লিখতাম, প্রতি রাতে। এই অভ্যাস কোথা থেকে আসছিল ঠিক করে মনে করতে পারলাম না, যেখান থেকেই আসুক একটা সময় ডায়েরি না লিখতে পারলে ভাল লাগত না। কিন্তু এরপর একবার রাগ করে ছিড়ে ফেললাম সব গুলো ডায়েরি। একটা খালি বেচে গিয়েছিল খুজে না পাওয়ার কারণে। এরপর আর সেই অর্থে ডায়েরি লিখা হয় নি, মাঝে মাঝে হয়ত দুয়েক লাইন লিখি নোটের মত করে কিন্তু নাইন টেন এর মত সব গোপন কথা আর ডায়েরি কে বলা হয় না এখন
বৈদাশে দিনকাল কেমন যায় রাফি ভাই?
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
খাইছে! ডায়েরি লিখার এক পর্যায়ে সবাই দেখি ডায়েরি নষ্ট করে ফেলে। সবাই তাইলে আমার মতই
বৈদেশে কোনরকমে বাইচ্যা আছি......
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
লেখাটা দারুণ লাগলো। ডায়েরি আমি লিখতাম না নিয়মিত, তবে টুকটাক লিখতাম বহু আগে। সেটার গোপনীয়তা রক্ষা করে ছিলো মহা ঝামেলার একটা কাজ। পারিওনি করতে। তাই লেখাই বাদ।
আমি অবশ্য অন্য কোডে লিখতাম। গ্রীক অক্ষরে। আলফা, বিটা, গামা, এপসিলন, রো, মিউ, নিউ, ইত্যাদি।
প্রহরী ভাই ডিউটিতে গাফিলতি করছেন খুব মনে হয়;
আপনার চোখ এড়ায়ে চলে আসলাম যে
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
এরকম পাগলামিগুলোর জন্য পরে খুব খারাপ লাগে। তাইনা?
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ঠিক ঠিক ঠিক ।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
আমি বেশ কয়েকবার খাপছাড়া ভাবে ট্রাই দিসিলাম। প্রতিবার বিয়াফক আগ্রহের সহিত শুরু করিয়া তারফর দুই দিনের মাথায় ভোদাইয়ের মত ডাইরীখানার দিকে চাহিয়া চাহিয়া ভাবিতামঃ -কি ল্যাকবো? কিছুই তো ফাই না !! ফলাফল দুইদিনের মাথায় ডাইরী লেখার আগ্রহ শ্যাষ।
আবারো টেরাই দিবার ইচ্ছা আছে, কিন্তু হলে উঠিয়া গেলেতো পেরাইভেসি পাওয়া যাইবে না, সেইটা বিয়াফক রিস্কি। ভার্সিটির পুলাপাইনের হাতে পরিলে ন্যংটো করিয়া ছাড়িয়া দিবে। তাই ডাইরী লেখার ভবলীলা আমি জন্মাইবার আগেই সাঙ্গ করিয়া দিলাম।
আমিই তানভী |
হলে উঠে গেলে প্রাইভেসি পাওয়া যাবে না কেন ভাই??? পেরাইভেসি হলে কোন সমস্যা নাই।
তা কোথায় উঠা হচ্ছে???
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
লিখতাম, প্রতিদিন, নানারকম কোড ব্যাবহার করে।
লেবু দিয়ে অদৃশ্য কালি বানিয়ে, পরের অক্ষর দিয়ে বা আপনার মতো উলটো অক্ষরে। ফেলে দেইনি একটাও, কারণ আমার ক্ষেত্রে গোপনীয়তা কোনও সমস্যা ছিলো ন। মা নিজে লিখতো বলে আমার ডায়রীতে কখনও হাত দিতনা।
ব্লগটা পড়ে ক্লাস এইটের ডায়রীটা বের করলাম। দেখে অবাক হলাম যে আমি তেমন বদলাইনি। এখনকার মতোই 'বিষন্নতা একটি ব্যধি' এই কোটের মডেল আছি। এই এতগুলো বছরেও কেউ, বা কোনও ঘটনা আমার বিষন্নতা দূর করতে পারলোনা। কী আফসুস!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
বিষণ্নতা দুই কিসিমের আছে। একটা হলো সত্যিকারের; আরেকটা দুঃখবিলাস টাইপের।
দ্বিতীয়তা হইলে মরার আগ পর্যন্ত দূর হবার সম্ভাবনা নাই।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
ডায়েরি আসলে সারাজীবনই ব্যক্তিত্বের সাথে একধরনের মোলাকাত আর মোকাবেলা চালিয়ে যায়। ডায়েরি লেখা খুবই ভালো একটা কাজ।
কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর।
উৎসাহের জন্য ধন্যবাদ।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
পুরানো সেই দিনের কথা যায় কি ভোলা.........
অনেক দিন পর আপনার লেখা পড়লাম। ভালো লাগল। ধন্যবাদ।
::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।
যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।
আপনিও কিন্তু অনেকদিন ধরে লেখা দেন না। সচলেও দেখি না খুব একটা।
আছেন কেমন আপনি??
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
লেখাটা ভালো লাগল। নিজের স্মৃতি-ও মনে পড়ে গেল! আগে প্রচুর লিখতাম; এখন সময় ও সুযোগ নেই। তবে আমার গোপনীয়তা তেমন ভাঙে নি কখনো; ভাইয়া আর বড় বোন পড়েছিল কেবল। তাও একটু আধটুকু বদঅভ্যেস তো সবার থাকে- সে ভেবে হয়তো তারা-ও চুপটি ছিল!
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
ধন্যবাদ। আপনার ব্লগস্পটটা ঘুরে এলাম।
চমৎকার লাগল।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
ডায়েরী লেখার অভ্যাস সেই ক্লাস নাইন থেকে। অবশ্যই অ্যানা ফ্রাঙ্কের কারণেই। তবে আমি আমার ডায়েরী একটাও নষ্ট করি নি। রেখে দিয়েছি আমার ড্রয়ারে তালা দিয়ে। সেখানে মাঝে মাঝেই হয়ত আছে আমার পুরনো প্রেমিকের দেয়া প্রচণ্ড কষ্টের কথা। কান্নার কথা। বিষণ্ণতার কথা! আমি অসম্ভব রকম একটা বিষণ্ণ মানুষ। হয়ত আমি দুঃখবিলাসী! জানি না। তবে নিজের কথা কিছু লিখতে গেলে কোথেকে যেন একেবারে পাহাড়সম দুঃখ এসে হাজির হয়!
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
নতুন মন্তব্য করুন