তিন।
মথুরাপুরকে খোদাহাফেজ বললে কপাল যতটা খুলবে বলে রীনা আশা করে ছিল আদতে ততটা খোলে না। বেসরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের সদ্য এম এড পাশ করা হেড মিস্ট্রেস খুরশীদ জাহান যখন –“থাকুক না আপনার মেয়ে ক্লাশ ফাইভেই, আরেকটু পাকা হয়ে বৃত্তি পরীক্ষা দিবে”- শুনে রীনার আব্বা হেসে মাথা হেলায়। তারপর একটা ছাতি দুইজনের মাথার ওপর ধরে অসময়ের টিপ টিপ বৃষ্টির মধ্যে বাপ মেয়ে বাড়ি ফিরলে বারান্দার চৌকির উপরে বাড়া ভাত পায়। খেতে বসলে হয় তরকারি মন মতো হয় না, অথবা মেয়েকে ক্লাস সিক্সে ভর্তির পরিকল্পনা ফলপ্রসু না হওয়ায় গলা চড়ায় রীনার আব্বা-“ একটা ছাত্রী কি আর বেশী ভর্তি করন যায় না? কয় সিট খালি নাই, আরে বেসরকারী স্কুলের আবার সিট মিট কি? ব্যাতন দিলেই তো হইলো। শত্রুতা করলো বুজলা, বিক্রমপুইরা দ্যাকছে না? স্থানীয়গো লগে জীবনেও এইডা করতো না” রীনা তার আব্বার ফর্সা চামড়ার নীচে রক্ত বলকাতে দেখে।
“ফাইবেই যুদি পড়বি তয় মথুরাপুর কি দুষ করলো? তিন বইন এক লগে যাইতি ইস্কুলে!” বাড়ীর বৈঠকে এসব আলোচনা রীনাকে দু একবার যে বিচলিত করে না যে তা না, কিন্তু সে আর তার আগের স্কুল অভিমুখী হতে রাজী না, সে তার এক কথা বলতে থাকে- “ব্যবাকে আমারে ট্যালায়”- শুনে আব্বা আম্মা হাল ছেড়ে দিলে তাদের উপায় না থাকার ব্যাপারটিতে রীনা মনে মনে খুশী হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্যের আগমন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানাদির প্রস্তুতি নিয়ে স্কুলটি যখন ব্যস্ত, সবগুলি মেয়ে চরিত্র- এই মর্মে জরুরী ভিত্তিতে যোগাড় করা নাটক এর কেন্দ্রীয় চরিত্রের অডিশন দিতে ক্লাশ টিচার জানু আপা যখন সবাইকে নাম দিতে বলেন- তখন সেই সাজ সাজ রবের মধ্যে রীনা একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে, এইখানে তারে নিয়া ইয়ার্কি ফাইজলামি করার কেউ নাই।
কিন্তু ঝামেলা বিবি তো রীনাকে ছাইড়া দিবে বইলা ঘরে তালা আটকায়া বাইরে আসে নাই, দুই দিন গেলে বাড়ীর ময়মুরুব্বীর হুশ হয় যে, মথুরাপুর তো কাছেই আছিল, বাড়ীর পিছন দিকে নদীর কিনারে কুশার ক্ষেতের আইল দিয়া হাঁটা দিলে পাঁচ সাত মিনিটে ইস্কুল। দুপুরে টিফিন টাইমে এক দৌড়ে বাসায় এসে ভাত খেয়ে যাওয়া যায়, সবচে বড় কথা বেহুদা মানুষজনের হুজ্জত নাই। কিন্তু এখন তো রীনাকে পাড়ার গলির শেষ মাথায় কাঁচা বাজার, পার হইলে কাটা কাপড়ের গলি, পার হইলে সাত্তারের বড় মনোহারী দোকান আর চৌরাস্তার বাটার মোড় ছাড়ান দিয়া গ্রীনলাইফ ফার্মেসী তারপর কামারপট্টি, পার হইলে তার পরেই না বালিকা বিদ্যালয়! রীনাকে নিয়ে এখন তাদের কেমন বেকুবী ধরনের সমস্যা! ওর সাথে এখন কে যায়? বড় ভাই টাই থাকলেও না হয় কথা আছিল। ওর আব্বা তো মাসে পনর দিন হয় আতাইকুলা, নাইলে বাবুর হাট, আর মোকামে না গেলে দোকান দেখতে হয়, মসজিদে যাওয়া লাগে- ঝামেলা কি কম? এই মেয়ে এখন কে ইশকুলে দিয়া আহে আর নিয়া আহে! মানুষজনের সামনে, কাম কাজের মধ্যে রীনার আম্মার ভুরুর গিটগুলি শক্ত হতে থাকে। একেকজনের একেক পরামর্শ- মাস কাবারি রিক্সার বন্দোবস্ত ইত্যাদি বেশী পাত্তা পায় না। এক মেয়ের পিছে বাড়তি পয়সা খরচ- প্রস্তাবটা মনঃপুত হয় না, অন্য মেয়েগুলি কি দোষ করলো?
অবশেষে তারু, চাম্পার মা-ই কোন এক ছুটির সকালে থালা বাসন মাজতে মাজতে রীনার আম্মাকে- “আফা, আমার তারু তো আফনের মাইয়ারে ইস্কুলে আনন নেওন করতে পারে,” নাকি রীনার আম্মাই বটিতে ডাঁটা ছিলতে ছিলতে – ভিজা ত্যানা দিয়ে চুলার পার মুছতে থাকা তারুর মাকে প্রস্তাব দেয়- “ও চাম্পার মা, তোমার মাইয়া একটারে আমাগো বাসায় থোও। আমার রীনারে ইস্কুলে আনলো নিলো আর ফুট ফরমাইশ খাটলো, তোমারো একজনের খোরাকি কমলো”। সেদিনই হয় তো বিকেলের দিকে তারু তার পরনেরটি বাদে অন্য কাপড়টি ভাঁজ করে রীনাদের বাসাতে এসে ওঠে আর কিছু সময় পরে তাকে পাক ঘরের পিড়িতে গুজা হয়ে বসে রুটি বেলতে দেখা যায়।
তারুকে দেখতে রীনার সমানই লাগে, বুঝদার ভাবসাবে কোন কোন সময় বড় মনে হয়।রীনার বয়স যখন এগারো তখন সে জানে যে তার বয়স এগারো, তারুর বারো, তের অথবা চৌদ্দ। রাত্রে রীনাদের ঘরের মেঝেতে শুয়ে মায়ের করা গল্প ঘুরে ফিরে আসে তার কাছে – ‘খুব ম্যাগ আছিল আসমানে- দিনে দুইফরে কালা অইয়া গেছিল দুনিয়াদারী। তারুর বাপ সলিম বিহারীর হোটেলের বুটের ডাইলের বড় পাতিলডা ধুইতে নদীর পাড়ে নেওনের সময় দশ টেকার একটা নোট টুকায়া পাইছিলো। শ্যাষে চাইল-ডাইল আনলে তারুর মা চিন চিন পেটে ব্যথা, যাকে প্রসব বেদনা বলে শনাক্ত করতে পারে নাই- এবং সেই ব্যথা শুদ্ধাই ভাত রানছে, লাইন ধইরা ব্যাকটি মিল্লা ভাত খাইছে, তারপর বিষে যহন আর টিকতে পারে নাই তহন তারুর বাপেরে কইছে- দাই বেডিরে ডাইক্কা আনো। ততক্ষনে বিষ্টি শুরু হইছে ঝমাঝম’।
হলের গন্তব্য বলে রিক্সা নিলেও মত বদলে কলাবাগান যেতে চায় রীনা। বাড়িতে আর ফিরতে ইচ্ছে না করলেও বাড়ি ফেরার টিকিট কাটতে হবে। এখন আর সারারাত লাগে না, সুতরাং পাহারা ছাড়া এক সিট নিলেই দিনে দিনে সেতাব গঞ্জ পৌঁছানো যায়। রীনা অবশ্য মনে মনে পাহারাদার পছন্দ করে, যাত্রাপথে কেউ তাকে পাহারা দিক, স্যুটকেস বয়ে নিয়ে যাক। স্কুলের অভ্যাসটা – গভীর কুয়ার ভিতরে মুখ দিয়ে কূ- উ-উ-উ করলে ফিরে আসা ক্ষণস্থায়ী অনুরননের মত মনের মধ্যে উঁকি দেয়। তারুর পাহারায় দুই তিন বছর বালিকা বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা তার খারাপ কাটে নাই। ছেমড়িটার মাথাও ভালো আছিল, আসা যাওয়ার পথে পথে কত কি-ই যে শিইখা ফালাইলো! শর্টকাট রাস্তা বাইর করলো কামার পট্টির ভিতর দিয়া। তখন সেরু কামারের পোলা দুইজনরে দেইখা, আসলে তো দুইজনরে না, মূলতঃ রীনাকে, আওয়াজ দিতো-“সুন্দরীরা বডিগার্ড লইয়া চলাফেরা করে”। গনগনে কয়লার মধ্য থেকে লাল হওয়া দা এর ফালি দুই হাতে উঁচু করা ভারী হাতুড়ী দিয়ে পিটানো দেখতে দেখতে ভয়ে রীনা কখনো নালিশ করতো না। শেষে একদিন তারু-ই সাহস করে সেরু কামারের কাছে বিচার দেয়। সে হয় তো মুনিবকন্যাকে হেফাজত করা তার দায়িত্বের মধ্যে মনে করে বা স্কুলে আনা নেওয়া করতে করতে রীনার জন্য জন্মানো মমতা তাকে উস্কানি দেয় তাদেরকে ঘিরে অপমানজনক টিপ্পনির জবাবে ফুঁসে উঠতে। হাঁপরের দড়ি ছেড়ে হাঁপাতে হাঁপাতে শীর্ণদেহী সেরু সেদিন ছেলেকে ভালো কিল থাপ্পড় দেয়।
তারপর সন্ধ্যা হয়, সন্ধ্যার পর রাতে তারু যখন রীনাদের শোবার ঘরের মেঝেতে ছালার উপর খেতা বিছায়া ঘুমায়- রাত দশটা টশটায় তার মা এসে তার ঘুম ভাঙ্গায়। ধড়মড়িয়ে উঠে বসা ঘুম ভাঙ্গা চোখের সামনে রীনার আম্মা ঘরে ঢুকে দরজার পাশে কালো সুইচ টিপে লাইট জ্বালিয়ে দিলে খাটে শুয়ে থাকা রীনারা তিন বোনও ঘুম ভেঙ্গে উঠে বসে, এবং শুনতে পায়-“তর বিয়া ঠিক হইছে, বাইত্তে ল”। সংবাদ বুঝেছে কি বোঝে নাই তারুর মুখ দেখে বোঝা যায় না। রীনাদের মনে হয় বিয়ের কন্যা হিসাবে এখন তারুর উচিত কান্নাকাটি করা, কিন্তু সে তা না করে বিমর্ষ মুখে মেঝের চট, কাঁথা এইসব ভাঁজ করে।
রীনার আম্মার মৃদু আপত্তি,-এত সকালে মাইয়া বিয়া দিবা?”র পেছনে হয়তো নিজের মেয়ের স্কুলে যাতায়াতের কথা আর অনুগত একটি কাজের মেয়ে হারানোর শংকা কাজ করে। তারুর মা অবশ্য হিসেব কষে জবাব দেয়- “আফা গো, বিয়া না দিয়া কি করুম? পড়ালেখার কারবার নাই, আমাগো মাইয়া আফা কেডা বিয়া করবো। এম্নেই দুইবেলা বাজারের মইদ্যে দিয়া যায়- আহে, মাইনষে কত কি কয়”।
- ‘মাইনষের কথায় কান দেওনের কি দরকার’?
- ‘আফা, বড়লোকেরা মাডি খাইলে কইবো শখ কইরা খায়, আর আমরা খাইলে কইবো ক্ষিদায় খায়”।
রীনারা তিন বোন তখন আবার লাইট নিভিয়ে মার্কিন কাপড়ের কভার দেয়া লেপের মধ্যে গুটি শুটি হয়ে ছুটুর বাড়ির চৌকোনা উঠান থেকে ভেসে আসা দুই তিন রকম গলায় বিয়ের গীত শোনে। ভোর রাতে কনে কবুল বলার পর সমবেত কান্নায় তাদের আরো একবার ঘুম ভাঙ্গলে স্বপ্ন ভেবে তারা পাশ ফিরে শোয়।
পরদিন সকালে তারুকে দেখা যায় একটা লাল-সবুজ চেক শাড়ি পরনে, নাকে রূপার নাকফুল আর মেন্দী দেওয়া হাতে কলসী বেড় দিয়া খাওনের পানি নিতে আসছে। সে এখন নুরুন্নবীর বৌ। নুরুন্নবী নদীর ওপারে জোতদার মহসীন তালুকদারের গরুর রাখাল। সারাদিন একপাল, পঞ্চাশ একশো তো হইবই, গরুর পিছে পিছে থাকে, খায়- ঘুমায় তালুকদারের চরের বাড়িতেই।
হলুদ আক্রান্ত- এক
http://www.sachalayatan.com/naharmonica/25216
হলুদআক্রান্ত- দুই
http://www.sachalayatan.com/naharmonica/25363
মন্তব্য
সিরিজ বড় হচ্ছে, পড়তেও ভাল লাগছে।
পড়ছেন দেখে আমারো ভালো লাগছে!
শেষ হলো, না চলবে? আপনার অন্যান্য লেখা পড়ে অবধি এই সিরিজ দেখে আমি তো ওৎ পেতে আছি "শেষ" দেখবো আর ঝটপট এক দমে পড়ে ফেলবো ব'লে, এবারে তো একটু কনফিউসড হয়ে গেলাম।
আর বেশী নেই, সামনেই শেষ।
উরেব্বাবা, কত্তোবড় বাক্য!!
এরকম অসংখ্য বাক্য শব্দ আছে। দিয়ে আসে না হয়ে যেগুলো দিয়া আহে হয়েছে। এটা হয়তো ইচ্ছাকৃত। কিন্তু কোনো বাক্য এরকম আবার কোনো বাক্য একেবারে শুদ্ধ বাংলা। এব্যাপারে একটু খেয়াল করলে ভালো হতো।
হুট করেই এই পর্বে এসে পরিণত বয়সের রীনাকে ঢাকায় দেখতে পেলাম, যে হলে না গিয়ে লালমাটিয়ার দিকে যায় এবং সেতাবগঞ্জের বাসের টিকিট কিনতে চায়। প্রথম থেকে চলমান একটা গল্প হুট করেই ফ্ল্যাশব্যাক হয়ে গেলো। তারপর আবার যেপথে সেপথেই। হয়তো পরবর্তী পর্বে বা তারো পরে বুঝতে পারবো। কিন্তু তিন পর্বের মাত্র একটি জায়গায় ছোট্ট করে এই ব্যাপারটা আসায় একটু খাপছাড়া লাগছে।
পড়ে যা মনে হলো তা নির্দ্বিধায় বলে দিলাম। আপত্তি থাকলে বলবো না, চুপ করে পড়ে যাবো খালি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল, এই লেখাটা শুরু হয়েছে কিন্তু ফ্ল্যাশব্যাক দিয়ে...বাড়ি হাওয়ার আগে শাড়ি কিনতে গিয়ে রীনা তার পেছনের কাহিনীতে ফিরে ফিরে যাচ্ছে।
সংলাপগুলো স্বগতঃ সংলাপের মত একজনই যেহেতু স্মৃতিচারণ করছে, তাই ইনভার্টেড কমা দিয়ে বাহুল্য করতে চাইনি। দিলে হয় তো সুবিধে হতো।
রীনাকে ঢাকায়.........এখানে একটা স্পেস আছে, ঠিক পর্ব ভাগ না, স্মৃতি থেকে বাস্তবে ফেরা আর কি। যেটা আমি দিয়েছিলাম কিন্ত কেন যে নেই বুঝতে পারছি না।
"পড়ে যা মনে হলো তা নির্দ্বিধায় বলে দিলাম। আপত্তি থাকলে বলবো না, চুপ করে পড়ে যাবো খালি"
-------নির্দ্বিধায় বললেন দেখেই তো এত কিছু আবার ভাবার সুযোগ পাচ্ছি।
৯০ র দিকে একবার এক কবিতা পাঠকের চিঠি প্রায় বছরখানেক পরে আমার ঠিকানায় এসেছিল। সেই হিসেবে এখনকার এই প্রায় মঞ্চনাটকের মত পাঠ প্রতিক্রিয়া দারুণ উপভোগের বিষয়।
গ ল্পটি প ড় ছেন ব লে অনেক ধ ন্যবাদ।
হুম... প্রথম দুটো পর্ব পড়েছিলাম দৌড়ের উপর। আরেকবার পড়ে নিলে হয়তো ভালো হতো। তবে মনোযোগ দিয়েই পড়েছিলাম। তবু স্মৃতি প্রতারণা করেছে কিছু কিছু জায়গায়।
তবে বেশ ভালো লাগছে গল্পটা। আর বেশি নাই বলছেন!! আমার কিন্তু মনে হচ্ছে এটা আরো অনেকদূর যাবে। যাহোক... অপেক্ষায় রইলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
চলুক
চলুক গল্প
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
আপা, তালুকদারদের নিয়া টানাটানি কি ঠিক হইবো ???
গল্প সুন্দর হচ্ছে। আগের পর্ব গুলোও পড়ে নিবো
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আরও চলুক আপুনি। গতিপ্রবাহ দারুন।
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আগের মতোই অসাধারণ। খুব ভালো লাগছে।
আবার অপেক্ষা শুরু করলাম পরের পর্বের জন্য।
নতুন মন্তব্য করুন