জীবনানন্দ ট্রামবাসে চেপে বরিশালের ট্রামলাইনের আলোয় যে পথ আমাদের ব্রেনে খেলা করে তার আলোয় একা এবং কয়েকজন দিঘী হয়ে যাই। বিবির পুকুরের চোখে চেপে এই ভ্রমণ অনাবিল বিশ্রামের ঢেউ বুনে দেয় গাতিজালে। পদ্মপুকুর, লালাদিঘীর পাড়, দুর্গাসাগর, অক্সফোর্ড মিশনের রুটে চলে রুপাতলী থেকে বেলতলী খেয়াঘাট, লঞ্চঘাট থেকে মাধবপাশা হয়ে আমাদের জার্নি ভ্রমণক্ষুধা বাড়ায়। ভূবনচিল পাখা মেলে। বার্ডশুটার ...
মেঘে আর বাগান ফোটে না
কষ্ট ফোটে বিরহ ফোটে
না পাওয়ার বেদনা চিন্তা হয়ে ফোটে
আন্ত:নগর নারী ফোটে
যমুনা নদীতে পারাপার ফোটে
কালাবদরে বাস ফোটে,স্কুটার ফোটে,রিক্সা ফোটে
জন্মনিয়ন্ত্রনে জেব্রাক্রসিং ফোটে
ব্লাড ক্যান্সারের বারান্দায় পিজি লতিয়ে ওঠে
নিংরানো স্বপ্নেরা কায়া হয়ে যায়
জানালা রোদে দুই শালিক ঠোঁট খোটে
মেঘে বাগান ফোটে না
বৃষ্টির ঘ্রানে তাপ শুকিয়ে যায়
স্যাঁতস্যাঁতে ছায়া...
একা হয়ে ঘুরে বেড়াই। সদররোড
যেখানে যাবতীয় অন্দরমহল
... বিবির পুস্কুনিতে হাত ডুবিয়ে ভার্স্কয চর্চা করি
এখানে বসবে মানুষের বাসার মূর্তি
দুচোখে মাতামুহুরী দিয়ে চলে যাব
রান্নার বদ্বীপে - ভোজনরসিকরা
গ্রামস্যুপ দিয়ে ভিজিয়ে দেয় মীনের শরীর
আতপ দেহে খদ্দরের চাদর বিছিয়ে
উঠান হয়ে যাব। হট্টগোলে ভাঙবে
একার মেলা। দেহ ধূলাদেহকে
মরদেহ নিয়ে চলতে দেব না আর!
ঝলমলে জরির দেহ নিয়ে
জা¡লিয়ে যা...
সময়ের মেঘ উড়ে
স্বপ্নও হয়ে গেছে ডিজিটাল
মোম নিয়ে গলে পড়ার ভয় নেই ইকারুসের
ডিডেলাস ডিজিটাল ডানা বানায়
চর্বিতে ব্রেন দিয়ে যেসব বাস্তব আঁকি
পরনে অফসেট সুখ
মেঘের রেজিস্ট্রেসন মেলে
সব কিছু নিপুন করে
উড়াল দেয় ডিজিটাল স্বপ্নের ডানা
সমাজে দুর্বলরা সব সময়ই নিগৃহীত হয়। এই দুবর্লদের এক বড় প্রতিভূ হচ্ছে নারী। নারীকে সবসময়ই হতে হয় অবহেলিত ও নিগৃহীত। তাদেরকে আমাদের সমাজ বিভিন্ন ছলে বলে কৌশলে বিভিন্ন ধরণের ফ্রেমে আটকিয়ে রাখে। ‘বুক ফাটেতো মুখ ফোটে না’ ‘সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে’ ‘ভাই বড় ধন রক্তের বাঁধন যদিও পৃথক হয় নারীর কারণ’এইসব কথা বলে আমরা প্রকারান্তরে নারীকে ছোট করে রাখি অবলা করে রাখি কারণ নারীকে আমরা এইভা...
রবীন্দ্রনাথের সাথে মোবাইলে কথা বললে
ডিজিটাল কবিতা শোনায়
মনকষ্টের সময়
ইমেল করে গান
ডাকঘরের ইঞ্জিনে চার দেওয়া
নাটকগুলি মঞ্চস্থ করি অফসেট ব্যানারে
চিন্তায় রবীন্দ্রনাথ যা লেখে
ক্যানভাসে জড়িয়ে আছে
ইলেকট্রিক ভাবনা
শিলাইদহের বোটে ঘুরে
কবি পদ্মার ভোল্টেজ বাড়ায়
তাপে বড় হওয়া ইলিশ খেয়ে
এসব দর্শন
বাংলাদেশের রঙিণ ডেস্কটপ হয়ে যায়
বড় হলে কেউ কথা রাখে না
ছিপিতে আতর রেখে মুখবন্ধ লেখে
কথার
আঁচে বেড়ে ওঠা অপেক্ষা
নানারকম চিন্তার জন্ম দেয়
এইসব প্রতিশ্রুতির ব্যাঙ্গমা-ব্যাঙ্গমী
সুস্বপ্ন আঁকে আশার
হাতছানি চাদরে
ফারেনহাইট জ্বালায়
অকূল ভাবনা
এইবুঝি বন্ধ হল প্যান্ডোরাস বক্স
অবুঝ মনে হোনকাইছ দিয়ে মাপি সোনার রতি
আশারতিতে এক মনস্বপ্ন ভাঙে
হতাশা অন্য মন ভাঙার হৃদয় ধরতে শেখায়
ভাবনার সারেগামা উথলে উঠে
...
যদি বর্ষে মাঘের শেষ
ধন্য রাজার পুণ্য দেশ
-খনার বচন
ভবিষ্যৎদ্রষ্টা খনা লিখলেও লিখতে পারেন একখান কলাপাতা!
প্রতিদিন ভোর দেখার বদলে আমরা
একদিন উৎসব করে ভোর দেখতে পারি
আসমানী রঙ এর চা এর আমন্ত্রণ নিয়ে
সেই যে খনা উঠে বসলেন ধুমপায়ী গাড়িতে
তারপর থেকে প্রতিদিন খনা শাড়ি পাল্টায়
ঘুমিয়ে পড়া সেইসব শাড়ি নিয়ে
আমরা বর্তমান টাইম মেশিন পাড়ি দেই
এবার তাহলে খুলে ফেলি খাম
সংকেত দেয়া এই...
-ভাবী কেমন আছেন?
-তোমাকে তো চিনলাম না
-সামস ভাই থাকলে চিনতেন
আমি একজন কবিতানুরাগী
বহুদিন অচলায়তন ভেঙেছি একসাথে
মাছিপথে ছড়িয়ে দিয়েছি কবিতার শিল্পভাবনা
যে নুড়িগুলি কুড়িয়েছি একসাথে
আজ তার ফ্লাইওভার দিয়ে দোতলা এরোপ্লেন চলে
-আর তোমার লেখারা?
-হাওয়াই জাহাজে শব্দ মেঘ ফুঁড়ে
পায়রা উড়াই শীতলক্ষ্যার ক্ষেতে
বস্ত্রবালিকার সাইজ লেবেলে
যোজন পাউডার ছড়িয়ে দেই বেনিয়া মারার
কেয়াফুলের...
ভাটফুলও এখন আইইএলটিএস পড়তে শিখে গেছে
প্রতিদিন টোফেল করতে করতে
মন সহজেই প্রবাসী হয়ে যায়
এই যে সুন্দর হিজল গাছ ম্যাপললীফের কাছে
তার কোন অস্তিত্ব নেই
পরজীবী মন ডলারের স্বপ্ন খেয়ে
টাকার ঘ্রাণ ভুলে যায়। জানালায়
যে সব মানিপ্লান্ট ড্রয়িং করা ছিল
তার শরীরে ইউরোপ্লান্ট চাষ করে
প্রতিদিন আদর্শলিপি ভুলে যাই
আর এবিসিডি-র আড়ালে
কখগ বিদ্যালয় যেতে ভুলে যায়
শটিবন প্রতিদিন লেসনপ্লানে ...