জীবনানন্দ ট্রামবাসে চেপে বরিশালের ট্রামলাইনের আলোয় যে পথ আমাদের ব্রেনে খেলা করে তার আলোয় একা এবং কয়েকজন দিঘী হয়ে যাই। বিবির পুকুরের চোখে চেপে এই ভ্রমণ অনাবিল বিশ্রামের ঢেউ বুনে দেয় গাতিজালে। পদ্মপুকুর, লালাদিঘীর পাড়, দুর্গাসাগর, অক্সফোর্ড মিশনের রুটে চলে রুপাতলী থেকে বেলতলী খেয়াঘাট, লঞ্চঘাট থেকে মাধবপাশা হয়ে আমাদের জার্নি ভ্রমণক্ষুধা বাড়ায়। ভূবনচিল পাখা মেলে। বার্ডশুটারের এয়ারগান ডিপফ্রিজে ঘুমানো। কোনদিন তার চাদমারী দেখা হয় নাই। ট্রামের কন্ডাকটর পাতার টিকিট কেটে আমাদের গন্তব্যের যে বাঁশি শোনায় তার ¯েœহে চিতল মাছ ঘাই দেয় বিবির পুকুরের জলে
এপারের মজা পেয়ে পেয়ারার বন হয়ে শুয়ে থাকি ডিসেম্বরের আনন্দ নিয়ে জোড়া আকাশের মনে। নিয়ে যাও ভালবেসে যা নিতে চায় শুটকি খাওয়া অন্তর। ভিটামিন যা পেয়েছে তাতেই টইটম্বুর মানসিক স্বাস্থ্য - নিটোল হয়ে ফুটে আছে শাপলার জলে। ফুলের সবটুকু নির্যাস উপভোগে ফোটে এ শরীরে কদম ফুলের ঘ্রাণ। বাইরের রোদ পেয়ে আরও চাঙ্গা হয় দোপেয়ে ভিতরের রোদ, কোমল কোমড়ে দোলে শটিবনের মেঘ। নিরাপদ বাতাসে লক্ষী হয়ে আছে উত্তেজিত মন দিতে পারবে সে তেপান্তর পাড়ি। লালশাড়ি পড়ে ঘুরতে পারে অমাবশ্যায় একা তার পোষ্টার শরীর হয়ে যায় - কয়েকগ্রাম বাতাসের ভিরমিঠা খেয়ে
হাঁস হয়ে ঘুরে একা এবং কয়েকজন জীবনানন্দর লালপা নিয়ে হাঁটি আগা বাকেরের গাঁয়। মোহনভোগ সব্জী বেচে ধারাপাত উঠানে। পামিতালের শেষ ফুল হয়ে ঝরে পড়ার ক্লা›িত নাই। খুইচনে ধরা মাছরাঙা ছিপ সাজায় কালিশূরির মেলায়। হাজারো পর্যটকের পদচ্ছাপে জীবনানন্দ ট্রামবাস ঘোরে বরিশালের মাচায়। তার মাসিপিসি আদরে কেউ আর একা থাকে না খোঁপা করা ডাঙায়। আনন্দময় করে ঝিক ঝিক ছুটে চলে জীবনানন্দ ট্রাম বরিশালের পথ হয়ে - রাঙা আনন্দের ডগায়
মন্তব্য
মজা পেলাম । তবে বিবির পুকুরে চিতল মাছ বহু চেষ্টা করেও কল্পনায় আনতে পারলামনা বর্তমান সময়ের বাসিন্দা বলেই হয়তোবা। কল্পনার এ সীমাবদ্ধতার দায় কবির না ...নিতান্তই এ মন্তব্যকারীর।
ধন্যবাদ আপনাকে।
দারুণ...
বহুদিন পর লিখলেন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হ্যা। পোষ্ট দেয়া হয় না আজকাল। তাছাড়া মনোোগ কমে গেছে।ভাো থাকবেন।
নতুন মন্তব্য করুন