প্রায় ছ বছর আগে জীবনের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিলো সচলায়তনের হাত ধরে। আন্তর্জালের অলিগলিতে ঘুরতে ঘুরতে ঘটনাচক্রেই এ পাড়ায় পা রাখা। অক্ষরযাপনের অভ্যেসে যে দীর্ঘ জড়তা জড়িয়ে ছিলো, পরম বিস্ময়ে তা উড়িয়ে নিয়ে গেছিলো এ পাড়ার অদেখা অক্ষরশিল্পীরা। অপার মুগ্ধতা, প্রবল ঈর্ষা আর আড়ষ্ট প্রেম নিয়ে লিখতে বসেছিলাম। কী লিখব? কী নামে লিখব? নিজের লেখনী নিয়ে আত্মবিশ্বাসের অভাব আর নারী হিসেবে অনাহূত অবজ্ঞা অথবা প্রশ্রয়ের আশঙ্কা ছিলো মনে। ব্লগ সম্পর্কে ধারণা ছিলো না। তবে লেখালেখির জগতে সেক্সিস্ট ব্যাপারগুলো চোখে পড়ত। প্রথিতযশা এক লেখককে একবার বলতে শুনেছিলাম (পড়েছিলাম), মহিলাদের মধ্যে উনিই ভালো লেখেন। এখানে "উনি" একজন স্বনামধন্য লেখক যিনি লিঙ্গপরিচয়ে নারী। নারী বলে অন্য কাতারে দাঁড় করিয়ে বিচার করা হলো তাকে। আমি "নারী ব্লগার" হিসেবে আলাদা পরিচয় চাইনি। ইয়াহু চ্যাটের যুগ তখন। বিভিন্ন চ্যাটরুমে তুমুল আড্ডা হতো। স্বনামে লগইন করলে চ্যাটরুমের জানালার পাশে পটাপট অজস্র জানালা খুলে যেত ব্যক্তিগত আলাপের আহ্বান নিয়ে। ব্যক্তিগত আহ্বানকে পাশ কাটিয়ে দলবেঁধে আড্ডা দেওয়ার চেষ্টায় একটা লিঙ্গপরিচয়হীন ইমেইল আইডি খুলেছিলাম। জীবনানন্দের বুনো হাঁস কবিতাটা ঘুরছিলো মাথায়। ইয়াহু আইডি হলো সে নামে। সচলায়তনে ঘুরেফিরে সাতপাঁচ ভেবে যাত্রা শুরু করলাম ওই আইডির পথ ধরেই। বুনোহাঁস আমাকে সমস্ত ব্যক্তিগত পরিচয়ের চিহ্ন আর আবেগের ঊর্ধ্বে নিয়ে অবারিত আকাশ দিলো। যাত্রা শুরু হলো এক অভিনব পথে। সেখানে অজস্র অচেনা পথিকের সাথে যোগাযোগ হয় ভাবনার সূত্র ধরে। তারা আমাকে আপন করে নেয় অক্ষরের দাবিতে। শব্দের প্রতি ভালোবাসা আর চেতনার একাত্মতা আমাদের বেঁধে রাখে। সচলায়তন ক্রমশ ডালপালা ছড়িয়ে শেকড় বিস্তার করে আমাকে দখল করে ফেলতে থাকে। কীবোর্ডে ঝড় ওঠে, আড্ডায় চায়ের কাপেও। দৈনন্দিন জীবনের অনুষঙ্গ হয়ে ওঠে সচলেরা। হঠাৎ পাওয়া এই মানুষগুলোকে ভীষণ চেনা মনে হয়। তা হবেই বা না কেন? ভাবনার অদেখা পথে কাছেপিঠেই তো ছিলাম এতটাকাল। এখানটায় এসে স্রেফ খুঁজে পেলাম পরস্পরকে। বন্ধুতার বয়স আমাদের ভাবনার বয়সের সমান। তাই এত চেনা চেনা ঠেকে। ব্লগের বাইরের দেখাসাক্ষাতের সূত্রে বুনোহাঁসের আড়াল খসে পড়তে থাকে। তাতে বিশেষ বিপন্ন বোধ করি না। ততদিনে জেনে গেছি একজন ব্লগারের পরিচয় শুধুই ব্লগার। তার স্বাক্ষর তার ভাবনায়। বয়স, পেশা, লিঙ্গ কিংবা অন্য যেকোনো প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয় এখানে বাহুল্য। লিখতে না পারার মনোবেদনা ছিলো, আছে, থাকবে। লিখে যাওয়ার দুঃসাহসটুকু তাও বাঁচিয়ে রাখে সচলায়তন।
সময়ের সাথে সাথে জীবনের মানচিত্র বদলে যেতে থাকে। দৈনন্দিন স্বার্থপরতার ধূলো জমতে থাকে কীবোর্ডে। এতটা পেয়েও সেই অবারিত আকাশকে দূরে ঠেলে রাখার অপরাধবোধ জাগে। কিন্তু সেই বোধ কীবোর্ডে প্রাণ জাগাতে পারে কমই। শাহবাগ আমাদের জাগিয়ে তোলে। বদলে দেয় অনেক কিছুই। সময়ের কষ্ঠিপাথরে আমরা চিনে নিই পরস্পরকে। ছুঁয়ে থাকি অভিন্ন সেই স্পৃহার শক্তিতে, ভাবনার বন্ধুতায়। বহুবিধ বিপন্নতায়, ছককাটা হিসেবের ফাঁদ গলে নিজের প্রাণের টানটুকু খুঁজে নিয়ে পথ আঁকড়ে পড়ে থাকার বেলায় বারংবার মনে হয় এটাই, ঠিক এটাই সেই ঋজু স্পৃহা যা ব্লগারদের অসুবিধাজনক করে তোলে সুবিধাবাদীদের কাছে। কীবোর্ডে জড়তা ভর করলেও তাই ব্লগার মরে না যতক্ষণ তার ভাবনা জীবিত থাকে আর মেরুদণ্ড থাকে অনমনীয়। অনলাইন জীবনে যা কিছু অর্জন তার শেকড়ে আমি সচলায়তন আর ব্লগিংয়ের স্পৃহাটুকু খুঁজে পাই। পুরোনো আড্ডা, ফেলে আসা সেই অমল উজ্জ্বল সময়ে ফিরে যেতে লোভ হয়। কিন্তু ফিরে যেতে চাই না সচলতার স্বভাবেই। নতুন আড্ডা, নতুন দিন আর নতুন শব্দের প্রত্যাশা রাখি। বুনোহাঁসের আড়ালটুকু পুরোপুরি খসে পড়েছে অনেক আগেই। দীর্ঘদিনের অব্যবহারে তার ডানায়ও ধূলো পড়েছে। বাহুল্যটুকু ছুঁড়ে ফেলে তাই নতুন সচলবর্ষে স্বনামে যাত্রা শুরু করলাম।
শুভ জন্মদিন, সচলায়তন!
[শিরোনামটুকু জয় গোস্বামীর কবিতা থেকে ধার নেওয়া]
মন্তব্য
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বদলে দাউ!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
আরো?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
শুভ জন্মদিন, সচলায়তন! শুভ জন্মদিন নাশতা'পু
বিদায় বুনোহাঁস, এই ভিজে মেঘের দুপুরে... ইত্যাদি ইত্যাদি
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নাশতারান। স্রেফ নাশতারান।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
নাশতা রান।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
উহুঁ
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
বন্ড, জেমস বন্ড স্টাইলে পড়তে হবে?
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
একটাই তো নাম। এইটা না কাটলে হয় না?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আমি কাটি নাই তো, "নাশতারান, স্রেফ নাশতারান" দেখে কেন যেন মনে হলো। খারাপ লাগলে দুঃখিত, উইথড্র করে নিচ্ছি।
নতুন নামে ব্লগিং চলুক।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
হাহাহাহাহাহা... বোঝার ভুল। ভেবেছি নাশতারানকেই দুই টুকরা করতে চাচ্ছো। আমি নাশতা নামে পরিচিত হতে চাই না একদমই।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
পুরো নামটা দিতে। বেচারা লাস্ট নেইমকে একটু অসহায় লাগছে।
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
দেখতে দেখতে অভ্যাস হয়ে যাবে।
আমার প্রথম নাম তুলনামূলকভাবে কঠিন। অহরহ লিখতে, ছাপতে ভুল করে লোকজন। নাশতারান সে তুলনায় ব্যবহারবান্ধব বলে মনে হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। ব্যবহারবান্ধব না হলে আরেকদফা বদলে ফেলে পুরো নাম দিয়ে দিতে পারি। তাতেও নাম খাটো করা, নামের টুকরোর সাথে পা পু পি দি যোগ করা বন্ধ হবে কি না সে নিয়ে ঘোর সন্দেহ আছে আমার।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
৫ অক্ষরের চেয়ে ৩ অক্ষর কঠিন? প্রথম অংশটুকুই তো বেশি সুন্দর।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ধন্যবাদ। সৌন্দর্য একটা আপেক্ষিক ব্যাপার। আর নাম হলো ব্যক্তিগত।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
অবশ্যই। অনধিকার চর্চা করে ফেললে দুঃখিত।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন করে স্বাগতম। নামটা কিন্তু আনকমন। শুভকামনা।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
ধন্যবাদ।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
মিস্তিসা দিতি।
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
হ। নাম নিয়ে যত বিভ্রান্তি তাতে মিস্তিসা দিলেই ভালো হতো আসলে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
স্বাগতম নাশতারান!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
অসংখ্য ধন্যবাদ, এক লহমা!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
নতুন করে স্বাগতম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আইচ্ছা
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ভালো লাগল, আছেন কোথায়? আড্ডার সময় বাহির করেন-
facebook
আমি তো ডাঙাতেই থাকি। আপনিই না উড়ে বেড়ান! কবে আড্ডা দেবেন বলেন। সময় বাহির করা হবে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
নাশতা খান
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
তোমার কি ভয়ডর নাই, সজল?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আমি বেশ কিছুদিন থেকেই আরো ভাবতেছিলাম আমার নিকটা কেমনে বদলায়ে একটু স্মার্ট কিছু একটা করা যায়, মডুর কাছে যাই ঘ্যান ঘ্যান করি গিয়ে! এর মধ্যে আপনি হাঁস ফেলে দিয়ে নাশতারান হয়ে গেলেন।
নাশতারান, আপনার স্বনামে যাত্রা শুভ হোক। এবার দারুণ একটা লেখা দেন দেখি ঝটপট
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
আপনার নাম তো স্মার্টই আছে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
তা থাকতে পারে। কিন্তু বোলোগার হইতে হইলে নিকের যে কিক লাগে সেইটা ঠিক ফোটে নাই, তাইত আমার লেখালিখি আগায় না
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
“ লিখতে না পারার মনোবেদনা ছিলো, আছে, থাকবে। লিখে যাওয়ার দুঃসাহসটুকু তাও বাঁচিয়ে রাখে সচলায়তন।"-----এর মাধ্যমেই বুনো হাঁসের খোলস থেকে বেরিয়ে আসে নাশতারান। নাশতারানের জন্য শুভকামনা।
Jaraahzabin
ধন্যবাদ
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
পুরো নাম দেবার কথা বিবেচনা করতে পারো। আমি মাঝে মাঝে ভাবি এই নিকের ঝামেলা মিটিয়ে ফেলবো। কিন্তু এই সাত+ বছরে নিকটার ওপর কেমন মায়া জন্মে গেছে। আশা করি একদিন এই মায়াটা কাটিয়ে উঠতে পারবো।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পুরো নাম দেওয়ার কথা ভাবছি আসলে। মডু আবার দাবড়ানি দিবে কি না সেইটাও ভাবছি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
নতুন নামে নতুন উদ্যমে লেখা শুরু হোক!
নাশতারান নামটা থেকেও কিন্তু লিঙ্গপরিচয় বোঝা যায় না।
আর বিটকেলে কেউ-কেউ আবার সংক্ষেপে 'নাশতা আপা' না ডাকে!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
চামে দিয়া, আমারে বিটকেল কইলেন?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
হ। ভালো হয়ে যান।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আহা রে! এই লোকের কি দুর্দশা! বেশীরভাগ সময় বুড়া আঙ্গুল দ্যাখায়া চইলা যায়, তখন লোকে কয় সাক্ষী শুধুই সাক্ষী থাকে। আর, যখন মুখ খোলে তখন সবাই দ্যায় উষ্টুম-ধুষ্টুম পিটাই! আমিও দিসি বকা বচ্ছরকার দিনে! এ অহন কই যায়!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
লিঙ্গ বোঝা যাক বা না যাক, আমার পরিচয় জানতে আর কারো বাকি নাই। আপা বলে ডাকে যদি দেবো গলা টিপে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
সহোদর বোন ছিলনা বলে আমি সারাজীবন দুনিয়াভরে বোন জুটিয়ে বেড়াই। আর সেই ছোটবেলে থেকেই নিজের কোন দাদা-দিদি ছিলনা বলে ছোটদের-ই দাদা-দিদি করে নেই। সবে কথা বলতে শেখাগুলোও জানে তাদের বুদ্ধি আমার থেকে বেশী। আর, মাঝে মাঝে আমায় বয়স-সচেতন করে আমায় বয়সোপযোগী বুদ্ধিসম্পন্ন হয়ে উঠতে সাহায্য করে নানারকম পরামর্শ দ্যায়। আপনারে যদি মাঝেসাঝে মিস্তিসা-দিদি বলে ডাকি, ছাড় মিলবে কি?
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
মিস্তিসা কে? জাতি তাকে চেনে না।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
হুম। বেশ, তাই হবে তৃষা-দিদি।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
আমার নাম তৃষা নয়। নাম নিয়ে এত ব্যবচ্ছেদের কী দরকার বুঝতে পারছি না। আমার যা নাম তা বলেই সম্বোধন করলে খুশি হবো।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
তাই হবে নাশতারান।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
নতুন নামে(আসল নামে) স্বাগতম
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
সুজনদার পোস্টের মন্তব্যে নাশতারান দেখে ভাবলাম মিস্তিশার ২টা এ্যাকাউন্ট আছে! যাই এই এ্যাকাউন্টের পোস্ট গুলা দেখে আসি। পরে দেখি যে না, বুনো হাঁসেরই আবার নতুন করে নামকরণ হয়েছে
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
বুনো হাঁস, এতদিনে চিনলাম তবে আপনাকে স্বনামে ব্লগিংয়ে শুভকামনা নিরন্তর।
দেবদ্যুতি
আমি কিন্তু আপ্পে প্রথম থেকেই সন্দো করতাম আপনি আপ্পে! সন্দেহটা ফলে গেলো, কিযে ভালো লাগছে।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
নতুন মন্তব্য করুন