১। সন্দেহবাতিকগ্রস্ত স্ত্রী
এক কর্মজীবি স্ত্রী তার বেকার স্বামীকে সন্দেহ করা শুরু করলো। তার ধারণা তার স্বামী কোন এক মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে গেছে। সে যখন অফিসে থাকে সেই সময়ে তার স্বামী সেই প্রেমিকাকে বাসায় নিয়ে আসে। এবং দুজন সারাদিন মৌজ-মাস্তি করে কাটায়। তো এই সন্দেহে সে একদিন অফিস থেকে বাসায় ফোন করলো। ওপাশে ফোন ধরলো এক নারীকন্ঠ :
- হ্যালো কে বলছেন ?
- জ্বি আমি এ বাড়ির হাউসকিপার।
- কিন্তু আমাদের তো কোন হাউসকিপার নেই?
- আমাকে এ বাড়ির সাহেব আজই হায়ার করেছেন
- হুম। তা শুনুন আমি এ বাড়ির কর্তৃ বলছি, অফিস থেকে। সাহেব কোথায় ?
- জ্বি (হউসকিপারের কন্ঠে সংশয়) উনি তো তার বেডরুমে এক মহিলার সাথে আছেন। যাকে এতক্ষণ আমি তার স্ত্রী ভেবেছি।
- শুনুন ঐ শয়তানের স্ত্রী আমি। আর এখন ও যার সাথে আছে সে ওর প্রেমিকা (ওপাশ থেকে উত্তেজিত কন্ঠ শোনা গেল)।
- জ্বি এখন বুঝতে পারছি।
- আচ্ছা আপনি কি একটা কাজ করতে পারবেন? বিনিময়ে আপনাকে আমি পাঁচ লাখ টাকা দেব।
- কি কাজ ?
- আপনি দেখুন রান্না ঘরে একটু খুঁজলেই একটা পিস্তল পাবেন। ওটা নিয়ে আসুন।
- ঠিক আছে। (বলে রিসিভার পাশে নামিয়ে রেখে হাউসকিপার গেল রান্না ঘরে)
কিছুক্ষণ পরে আবার এসে ফোন ধরে বলল - হ্যালো, পিস্তল পাইনি তবে একটা শটগান পেয়েছি।
- ঠিক আছে ওতেই চলবে। এখন সোজা গিয়ে বেডরুমে ঢুকে ঐ দুইটাকে গুলি করে মেরে ফেলুন। বিনিময়ে আমি এখনই আপনার এ্যাকাউন্টে পাঁচ লাখ টাকা ট্রান্সফার করবো।
- ঠিক আছে আপনি লাইনে থাকুন। আমি আসছি। (এই বলে হাউসকিপার ফোন নামিয়ে রেখে বেডরুমের দিকে গেল)
এর পরপরই ফোনের মধ্যে সেই রাগান্বিত স্ত্রী শুনতে পেল দুটো গুলির শব্দ - গুড়ুম! গুড়ুম! আর তারপর সেই হাউসকিপারের হাঁপানো কন্ঠস্বর - শেষ করে দিয়েছি দুটোকেই। এখন ডেডবডিগুলো কি করবো?
- ওগুলো বাড়ির সামনের সুইমিংপুলে ফেলে দিন।
- সুইমিংপুল ? এ বাড়িতে তো কোন সুইমিংপুল নেই!!
(বেশ কিছুণ নিরবতার পর ওপাশ থেকে সেই রাগান্বিত স্ত্রীর শীতল কন্ঠ শোনা গেল)
- এক্সকিউজ মি ! এটা কি ০২০৪৫৫৬৬৩ ?.........
২। ওটা দাদীর পকক্ষ থেকে
দাদা আর নাতি বাগানে কাজ করছিল। হঠাত্ নাতি দেখলো একটা কেঁচো এঁকে বেঁকে কোথায় যাচ্ছে। নাতি তার আশিতিপর দাদাকে বলল দাদা জানো আমি এই কেঁচোকে খাড়া করে মাটিতে পুঁতে ফেলতে পারবো। দাদা তার বালক নাতির কথায় হাসলেন - এটা কিছুতেই সম্ভব না। নাতি বলল - যদি পাড়ি কি দেবে? দাদা বলল - একশ টাকা।
নাতি সাথে সাথে ছুটে গিয়ে বাড়ির ভেতর থেকে একটা এরোসল - এর কৌটা নিয়ে এলো। তারপর কেঁচোটার সারা দেহে সেই এরোসল স্প্রে করে দিল। দুমিনিটেই কেঁচোটা মরে একদম সোজা আর শক্ত হয়ে গেল। তখন নাতি সেটাকে তুলে এক জায়গায় নরম মাটি দেখে চাপ দিয়ে খাড়া ভাবে পুঁতে ফেলল।
দাদা ব্যাপারটা দেখে একটু কি চিন্তা করলো। তারপর এরোসলের কৌটোটা নিয়ে বাড়ির ভিতর ছুটে গেলো। নাতি ভাবলো দাদা বোধহয় টাকা আনতে গেল। কিন্তু এক ঘন্টা যায় দু ঘন্টা যায় দাদা আর আসে না। নাতি তখন হতাশ দাদা বোধহয় টাকা দেবে না। এমন সময় দাদা বেড়িয়ে এলো। মুখে প্রসন্ন হাসি। এসে নাতির দিকে দুটো একশ টাকার নোট বাড়িয়ে ধরলো। নাতি বলল - আমাকে তো একশ টাকা দেবার কথা ?
দাদার মুখের হাসি আরো বিস্তৃত হলো - বাকি একশ তোর দাদী দিয়েছে।
৩। দয়ালু স্বামী
মিসেস রবার্ট তার প্রেমিকের সাথে বাড়িতে অন্তরঙ্গ সময় কাটাচ্ছিল। হঠাত্ নিচে গাড়ির আওয়াজ পেয়ে জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখলো তার স্বামী রবার্টের গাড়ি গ্যারেজের দিকে যাচ্ছে। ধড়মড় করে উঠে বসে সে কাপড় পড়লো। তারপর কিচেন থেকে আটা নিয়ে এসে তার ন্যাংটো প্রেমিকের সারা দেহে মাখিয়ে বলল - তুমি জানালার পাশে মূর্তির মত দাঁড়িয়ে থাকো। আমার হাজবেন্ড যেন মনে করে তুমি পাথরের মূর্তি, জীবন্ত নও। নইলে ও তোমাকে আমাকে দুজনকেই খুন করবে।
একটু পরে রবার্ট এসে ঘরে ঢুকলো । মূর্তির দিকে তাকিয়ে বলল - বাহ মূর্তিটা তো বেশ। আজ কিনলে নাকি ? মিসেস রবার্ট বলল - না কিনিনি এখনো। স্যালির কাছ থেকে এনেছি। ভেবেছিলাম পছন্দ হলে রেখে দিব। কিন্তু এখন ভাল লাগছে না। কাল ফেরত্ দিয়ে আসবো ঠিক করেছি। রবার্ট কাঁধ ঝাকালো। যার মানে যা ভালো বোঝ করো।
মাঝরাতে রবার্ট বিছানায় উঠে বসলো দেখলো পাশে তার স্ত্রী অঘোরে ঘুমোচ্ছে। আর মূর্তিটা আছে যায়গামতোই দাঁড়িয়ে। রবার্ট উঠে কিচেনের দিকে গেল। মূর্তিবেশী প্রেমিক তখন শঙ্কিত - রবার্ট আবার টের পেয়ে গেল না তো। সে কিচেনে টুং টাং চামচ নাড়ার শব্দ পেল। এরপর রবার্ট এলো। হাতে তার দু মগ কফি। এক মগে নিজে চুমুক দিল আর অন্য মগটা মূর্তির কাছে এসে তার দিকে বাড়িয়ে ধরে ফিস ফিস করে বলল - নাও ভাই কফিটুকু খাও। তোমার ভাগ্য ভালো তাই আমার বাসায় এসে আটকে গেছ। আমি একবার টনির বাসায় গিয়ে আটকে গিয়েছিলাম। একটানা দুদিন আমাকে মূর্তি সেজে থাকতে হয়েছিল। কিন্তু কেউ আমাকে কফি তো দূরে থাক এক গ্লাস পানিও সাধেনি।
মন্তব্য
মজা হৈছে।
---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল
কীর্তি... নিজের লেখা কই?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এট্টু খাড়ান আইতাছে।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
১ আর ৩ নং টা জোস্।
কিন্তু ২ নং টা তেমন জোস না।
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
হা হা হা ! তারা রা রা রা পাঁচ!
হাচাই কীর্তিনাশা! স্পর্শর মন্তব্য স্পর্শ করে। ধন্যবাদ।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
আমারো এক আর তিন নম্বরটাই ভালো লেগেছে।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
হাসি পাইছে, ভালই লাগল।
নিজের লেখা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
তিন নাম্বারটা এক্কারে সেইরম হইছে। তয় মুর্তির আলাপ শোনানোর চাইতে বরং অন্তরঙ্গ সময়ের আলাপনটা আরেকটু দীর্ঘায়িত করার আবেদন করতাছি।
তিন নম্বরটা জট্টিল
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
নতুন মন্তব্য করুন