একটি ফুলের তোড়া আর একটি নীল খাম

কীর্তিনাশা এর ছবি
লিখেছেন কীর্তিনাশা (তারিখ: সোম, ০৪/০৮/২০০৮ - ১২:০২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সাত সকালে কলিংবেল বেজে উঠলো। নীলা সবে আসিফকে অফিসে রওনা করিয়ে দিয়ে এক কাপ চা নিয়ে বসেছে, এমন সময় এই বেল। সে খুব বিরক্তি নিয়ে দরজা খুলতে গেল। কিন্তু দরজা খুলেই ভাল একটা চমক খেল। দরজায় এক কিশোর দাঁড়িয়ে আছে। হাতে তার বিশাল এক ফুলের তোড়া, তাতে লাল আর বেগুনী অর্কিডের সমাবেশ। তোড়াটা এত সুন্দর করে গোছানো আর সাজানো যে দেখলেই মন ভরে যায়।

নীলাকে দরজা খুলতে দেখে ছেলেটি বলল - গুড মর্নিং ম্যাডাম। আমি রংধনু ফুলের দোকান থেকে এসেছি। আপনার এখানে এই পার্সেলটি পৌঁছে দেবার অর্ডার পেয়েছি আমরা। প্লিজ রিসিভ করুন। বলে ছেলেটি নীলার দিকে তোড়াটি এগিয়ে দিল। নীলা তোড়াটি নিতে নিতে বলল - কিন্তু কে পাঠিয়েছে এটা ? তা তো ম্যাডাম বলতে পারছি না - ছেলেটি জবাব দিল - ভদ্রলোক ওনার নাম বলেন নি। তবে এই ফুলের তোড়ার সাথে একটা নীল খাম আছে। ওখানে নিশ্চই সব লেখা আছে। নীলা দেখলো সত্যিই একটা নীল খাম উঁকি দিচ্ছে ফুলের তোড়ার ভেতর।

ছেলেটি একটা কাগজে নীলার স্বাক্ষর নিয়ে চলে গেল। আর নীলা ফুলের তোড়াটি নিয়ে ঘরের ভেতরে এলো। ড্রয়িং রুমের সোফায় বসতে বসতে সে ভাবতে লাগলো - কে পাঠালো এত অদ্ভুত সুন্দর ফুলের তোড়া? তার স্বামী আসিফ নয় কিছুতেই। কারন সে কখনোই এতটা রোমান্টিক নয়। সহপাঠী বন্ধুরা পাঠায়নি তাও নিশ্চিত। বিয়ের পর তার কোন বন্ধু'র সাথে যোগাযোগ নেই। তারা কেউ নীলার এ নতুন বাসার ঠিকানা জানেনা। তবে কে হতে পারে? একজনের কথা বার বার তার মনে ভেসে উঠতে লাগলো। কিন্তু সেই বা কি করে তার ঠিকানা জানবে?

নীলা এসব ভাবতে ভাবতে নীল খামটা হাতে নিল। সেখানে কারো নাম লেখা নেই। খামটা খুলল সে। ভেতরে পরিপাটি ভাজ করা নীল কাগজ এক টুকরো। সে কাগজটা বের করে ভাঁজ খুলল। সেখানে লেখা -

আমাকে খোঁজো না তুমি বহুদিন - কতদিন আমিও তোমাকে
খুঁজি নাকো; - এক নক্ষত্রের নিচে তবু - একই আলোপৃথিবীর পারে
আমরা দুজনে আছি; পৃথিবীর পুরনো পথের রেখা হয়ে যায় ক্ষয়,
প্রেম ধীরে মুছে যায়, নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয় ...........

ব্যাস এটুকুই। আর কিছু লেখা নেই। কারো নাম ধরে সম্বোধন নেই। নিচে কারো নাম স্বাক্ষর নেই। নীলার বুকটা ধ্বক্ করে ওঠে - তবে কি সত্যিই সে ? হ্যা সেই হবে। সেই আমান। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে যে নীলার পুরো পৃথিবী জুড়ে ছিল। এতো তার সেই প্রিয় কবি জীবনানন্দ'র লেখা পঙক্তিমালা। আমানের মুখে নীলা বহুবার এ কবিতার আবৃত্তি শুনেছে। তাহলে কি আমান দেশে ফিরেছে? সে নীলার ঠিকানা পেল কোত্থেকে? পেলই যদি তবে সে নিজে না এসে এমন ফুল পাঠালো কেন? অবশ্য আমানের এমন ফুলই পাঠানোটাই ভালো হয়েছে। এত দিন পরে তারা মুখোমুখি হলে দুজনেই অপ্রস্তুত হয়ে যেত। নিজের অজান্তেই নীলার চোখ ভিজে ওঠে। সত্যিই কি আমান ফিরে এসেছে? সেই পুরনো দিনের স্মৃতি নীলার মনে ভেসে ওঠে।

সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দাম জীবন। আমানের সাথে পরিচয়ের দিন। আমান খুব মজার ছেলে ছিল। নিজেই যেচে এসে নীলার সাথে পরিচিত হয়েছিল। তারপর সেই পরিচয়ের পথ ধরে বন্ধুত্ব। দুজনের সারাদিন আড্ডাবাজী আর এখানে সেখানে ঘোরাঘুরি। কেউই তারা কখনো প্রেমের কথা উচ্চারন করেনি। কিন্তু একটা সময় পরে দুজনেই অনুভব করেছিল যে তারা এক অপরকে ভালোবাসে। এমন খুব কম দিনই গিয়েছে সে সময় যেদিন তাদের দুজনের দেখা হয়নি।

নীলার এখনো স্পষ্ট মনে আছে এক ঝুম বৃষ্টির দিনে হুডতোলা রিক্সার ভেতর তাদের প্রথম চুমু খাওয়ার কথা। নীলার শরীরে এখনো শিহরন বয়ে যায় সেই অনুভুতির কথা ভেবে। তারপর কতদিন কেটে গেছে কত নির্জনতার সুযোগে ভালোবাসার সৈকতে ঝিনুক কুড়িয়ে। কত কত দিন ভবিষ্যতের সোনালী স্বপ্ন গেঁথেছে দুজনে এক সাথে। নীল খামে চিঠি চালাচালি করেছে তারা প্রায় প্রতিটা দিন। কস্মিনকালেও তখন তারা ভাবতে পারেনি তাদের ভেতর ছাড়াছাড়ি হবে, এত বড় ফাঁটল ধরবে সম্পর্কে।

সেই দিনটির কথাও নীলার স্পষ্ট মনে আছে যেদিন আমান তাকে বলেছিল, সে বিদেশে যেতে চায়। বিদেশে গিয়ে উচ্চতর পড়াশুনা করতে চায় । সেই সাথে বিদেশেই থেকে যেতে চায়। এ পোড়া দেশে থেকে কিছু হবে না। নীলা তাতে আপত্তি করেনি। কিন্তু তার শর্ত ছিল, গেলে দুজনে এক সাথে যাবে। অর্থাত্ আগে বিয়ে করে তারপর দুজন একসাথে দেশ ছাড়বে। বিপত্তি বাধলো সেখানেই, আমান তখন কিছুতেই বিয়ে করতে রাজি নয়। সে বলে বিয়ে করতে তার অন্তত আরো দুবছর সময় লাগবে। পড়াশুনা শেষ না করে সে বিয়ে করবে না। নীলাও তখন গোঁ ধরলো, কিছুতেই সে আমানকে একা বিদেশে যেতে দেবে না। এ নিয়ে প্রায়ই তাদের ভেতর কথা কাটাকাটি চলতে লাগলো। তারপর এক সময় দেখা করাও বন্ধ হয়ে গেল। মাঝে মাঝে ফোনে কথা হতো। দুজনেই দুজনকে বোঝানোর চেষ্টা করতো। কিন্তু কেউই তাদের সিদ্ধান্ত থেকে টললো না তারা।

তারপর এক রাতে আমানের ফোন এল। নীলাকে সে বলল, আগামি কাল তার ফাইট। নীলা এয়ারপোর্টে তাকে বিদায় দিতে যাবে কিনা জানতে চাইলো। নীলা কোন কথা বলেনি। নিরবে ফোন রেখে দিয়েছিল। সেই রাত তার পুরোটাই কেটেছিল কেঁদে কেঁদে বালিশ ভিজিয়ে।

এরপর আমান বিদেশ থেকে নীলাকে বহুবার ফোন করেছে। কান্না জড়ানো কন্ঠে নীলাকে অপেক্ষা করতে বলেছে। নীলা কোন জবাব দেয়নি তখন। আমানের সাথে সে একটা কথা বলেনি। নীলার বন্ধুরা যারা আমানের হয়ে সাফাই গাইতে এসেছিল তাদের সাথেও তার ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। তারপর এক সময় আমান যোগাযোগ করা থামিয়ে দিল।

এরকম অনেক দিন কেটে যাবার পর হঠাত্ একদিন নীলা আমানকে মিস্ করতে শুরু করলো। আমানের প্রতি তার ভালোবাসা আবার দুকুল ছাপিয়ে উথলে উঠলো। সে হন্যে হয়ে বন্ধুদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে আমানের ইমেইল ঠিকানা জোগাড় করে তাকে চিঠি লিখলো। কিন্তু আমানের আর কোন উত্তর সে পায়নি। বন্ধুদের কাছে শুনেছিল সেই দেশে আমানের এক বান্ধবী জুটেছে। ভালোই সময় কাটছে সেখানে তার। তারপর নীলা হাল ছেড়ে দিল। মাঝে মাঝে কেবল নীরব কান্নায় শিয়রের বালিশ ভিজতো তার।

একসময় নীলার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকলো। বাবা-মা তার বিয়ের পাত্র খুঁজতে লাগলেন। কিছুদিন পর আসিফের সাথে তার বিয়ে হয়ে গেল। এখন সে একজন পুরোদস্তুর গৃহিনী। আসিফের সাথে তার সংসার জীবন ভালোই কেটে যাচ্ছে। কিন্তু আজ এই অর্কিডের তোড়া, নীল খাম আর এই কবিতা তার মনে ঝড় তুলল। আমান কি তবে দেশে এসেছে? সে কি নীলার সাথে দেখা করবে? আমান কি সেই আগের মতই আছে? নীলার মন জুড়ে এখন শুধু আমান আমান আর আমান।

হঠাত্ আবার কলিংবেল বেজে উঠলো। নীলা চোখ মুছে গিয়ে দরজা খুলল। দরজায় সেই কিশোর ছেলেটা দাঁড়িয়ে আছে। মুখে কেমন কাচুমাচু ভাব। নীলা ভেজা কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো - কি ব্যাপার ? তুমি আবার?

ছেলেটা অপরাধী কন্ঠে বলল - ম্যাডাম আমাকে মাফ করবেন। একটা ভুল হয়ে গেছে।
নীলা ভ্রু কুচকে বলল - কি ভুল?
ছেলেটা উত্তর দিল - ম্যাডাম, আপনার এখানে যে ফুলের তোড়াটা ডেলিভারি করে গেছি একটু আগে, ওটা আসলে আপনার পাশের ফ্ল্যাটে দেবার কথা। আমি ভুল করে এখানে দিয়ে দিয়েছি।
নীলা একটু থমকে গেল। কোন কথা বলতে পারলো না কিছুক্ষন। তারপর নিজেকে সামলে নিয়ে বলল - ঠিক আছে তুমি দাঁড়াও। আমি ওটা নিয়ে আসছি।
ছেলেটা আবারো বলল - আমি খুব দুঃখিত ম্যাডাম!

নীলা দরজা ভেজিয়ে দিয়ে ফুলের তোড়াটা আনতে গেল। তার চোখ আবারো ভিজে উঠছে। ওদিকে বাইরেও তখন বৃষ্টি শুরু হয়েছে - ঝম ঝম ঝম।


মন্তব্য

রায়হান আবীর এর ছবি

ম্যান দারুন গল্প লিখছেন। পড়ে ভালো লাগলো।

সবার জীবনেই একটা ইতিহাস থাকে বোধহয়।

---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ রায়হান।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

এনকিদু এর ছবি

গল্পের শেষে ঝাঁকি !! ভালই লাগল ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ এনকিদু ভাই। ঝাঁকিতেই ফাঁকি। হি হি!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

আনিসুর রহমান ফারুক এর ছবি

সেই শুভবাদী রোদ

বলা যেতে পারে, রবীন্দ্রনাথের সংগা অনুযায়ী এটা একটি সার্থক ছোট গল্প। শুরুতে ঝাঁকুনি শেষেও ঝাঁকুনি। ভাল লাগল। আরও আশা করছি।

আনিসুর রহমান ফারুক

সেই শুভবাদী রোদ

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ আনিস ভাই। সচলে স্বাগতম।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

শেষটা তো ভালোই দেখালেন ব্রাদার।

কীর্তিনাশা এর ছবি

তা যা বলেছেন - চেষ্টা করেছি আর কি!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

ঝরাপাতা এর ছবি

হুমমম... খারাপ না।


যে রাতে গুঁজেছো চুলে বেগুনি রিবন বাঁধা ভাট,
সে রাতে নরকও ছিলো প্রেমের তল্লাট।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . (আবু হাসান শাহরিয়ার)


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

কীর্তিনাশা এর ছবি

হুমমম ........ ধন্যবাদ আপনাকে।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

রাফি এর ছবি

এককথায় দারুন...।।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ রাফি।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

ক্যামেলিয়া আলম এর ছবি

যাপিত জীবনে এ ভুল দুঃখ গুলো না পেলে হয়তো মানুষ আরও অমানুষ হয়ে যেত---
ভালো লাগলো গল্পটা
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ ক্যামেলিয়া আপু। আপনার মন্তব্যের সাথে সহমত।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আরে !
চমৎকার লাগলো তো !

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

কীর্তিনাশা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

তানবীরা এর ছবি

অসাধারন, বুক ভেনংগে দেয়া সুন্দর।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

কীর্তিনাশা এর ছবি

আপনার মন্তব্য কিন্তু বুক ভরিয়ে দিল আনন্দে। ধন্যবাদ!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

আকতার আহমেদ এর ছবি

এনকিদু'র মন্তব্যে "গল্পের শেষে ঝাঁকি" দেখে বেশ সতর্ক ভাবে গল্পটা পড়েও শেষ রক্ষা হয়নি । ঠিকই ঝাঁকি খেতে হল । অভিনন্দন কীর্তিনাশা ।

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ আকতার ভাই।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

খেকশিয়াল এর ছবি

গুল্পটা দারুন হইসে ! অতীতের নির্যাস বের করে আনতে এক তোড়া ফুল খুবই ভাল অনুঘটক

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

কীর্তিনাশা এর ছবি

একদম ঠিক, খেকশিয়াল ভাই।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অনিন্দিতা এর ছবি

শেষে গল্পের সেই ঝাঁকি গল্পটাকে একদম বদলে দিল।
দারুণ!

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ অনিন্দিতা পড়া ও মন্তব্যের জন্য।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অবাঞ্ছিত_হতে_চাই এর ছবি

খুব ভাল লাগল। মাঝের দিকে মনে হচ্ছিল হালকা পাতলা রোমান্টিক গল্প । খুব একটা পছন্দ হচ্ছিল না । শেষটা অসাধারণ। কুডোস

কীর্তিনাশা এর ছবি

কথায় আছে না ওস্তাদের মাইর শেষ রাতে। তবে ভাই আমি কিন্তু ওস্তাদ না।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

"‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍অবাঞ্ছিত_হতে_চাই"-এর সঙ্গে সহমত। সাদামাটা প্রেমের গল্প মনে করে মাঝপথে থেমে যেতে চেয়েছিলাম। থামিনি ভাগ্যিস! হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

কীর্তিনাশা এর ছবি

আসলেই থামেননি ভাগ্যিস! তাহলে সন্ন্যাসী জি'র মন্তব্য হতে বঞ্চিত হতাম। ধন্যবাদ সন্ন্যাসী দা।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

মুশফিকা মুমু এর ছবি

অসাধারণ! অসাধারণ! অসাধারণ!
ভিতরে প্রচন্ড একটা কষ্ট অনুভব করলাম
পাঁচতারা
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ! ধন্যবাদ! ধন্যবাদ!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

Munia এর ছবি

মনটা খুব খারাপ হেয় েগল। েশষটুকু এভােব না হেল িক এমন হতো।

কীর্তিনাশা এর ছবি

আপনার মন খারাপ করে দেবার জন্য দুঃখিত। কিন্তু শেষটুকু এভাবে না হলে গল্পটা তো আর গল্প হয়ে উঠতো না।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

Shah Jalal এর ছবি

Its just fabulous.

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

তিথীডোর এর ছবি

'নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়.......
হয় নাকি?'

গল্পে চলুক

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

যুমার এর ছবি

গল্পের শেষটুকুই সবচেয়ে সুন্দর।ভালো লাগলো।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।