একটা অচেনা রাস্তা ধরে হাটছিলাম। সময়টা দিন না রাত ঠিক বুঝতে পারছিলাম না। কেমন একটা আবছায়া আঁধার চারিদিকে। আর রাস্তাটাও কেমন শুনশান, নির্জন। কোন মানুষজনের দেখা নেই। এমনকি বাতাসও বইছে না। কেমন থম থম করছে সবকিছু। আমি কেন এখানে এসেছি, কোথায়ই বা যাচ্ছি, কিছু বুঝতে পাড়ছি না। কেবল হেটে যাচ্ছি, হেটেই যাচ্ছি। ধুসর রাস্তা সোজা চলে গেছে। কোথায় গেছে কে জানে।
হঠাৎ পাশের এক কাঠের বাড়ির দিকে চোখ গেল । সে বাড়ির জানালায় কেমন ম্লান আলো দেখা যাচ্ছে। আর ভেতরে কেমন একটা হুটোপুটির আওয়াজ। তার ভেতরেই একটা কন্ঠ শুনতে পেলাম - ঐ যে যাচ্ছে ব্যাটা রাস্তা ধরে। চল গিয়ে ধরি!! তারপর দড়াম্ করে সে বাড়ির দরজা খুলে গেল। হুরমুর করে এক দঙ্গল মানুষ বেড়িয়ে এল সেখান থেকে। মাথার চুল রুক্ষ, খুস্ক। গায়ের পোষাক এলোমেলো। আর চোখে কেমন উদভ্রান্ত কিন্তু খুনে দৃষ্টি। মানুষগুলো ছুটে আসতে লাগলো আমার দিকে।
প্রচন্ড আতঙ্কে জমে গেলাম আমি । একেবারে জমাট পাথর যেন। কিন্তু সেটা মুহুর্তের জন্য। তারপরই ছুট লাগালাম। প্রান ভয়ে প্রানপন দৌড়। আমার শরীরে যেন পাখা গজিয়েছে। মোটামুটি উড়েই চললাম বলা চলে। কিন্তু একটু পরে আবারো জমে গেলাম। আতঙ্কের হিমশীতল স্রোত বয়ে গেল শিরদাঁড়া বেয়ে। নিজের অজান্তেই ডুকরে ফুঁপিয়ে উঠলাম। সামনে রাস্তা শেষ হয়ে গেছে হঠাৎ করে। সেখানে হা করে আছে ভয়াল খাদ। উঁকি দিয়েও সে খাদের তলা দেখতে পেলাম না। বুঝলাম পিতামাতাদত্ত প্রান আজ এখানেই যাবে আমার বেঘোরে।
পেছনে ছুটে আসা মানুষগুলোর চিৎকার থেমে গেছে তখন। তাকিয়ে দেখি তারা একটু দূরে পুরো রাস্তা জুড়ে দাঁড়িয়ে আছে। চোখগুলো তাদের হিংস্র শ্বাপদের মতো জ্বলছে। সে চোখগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে হঠাৎ আমার মনে হলো - আরে! আমি এত ভয় পাচ্ছি কেন? এতো একটা স্বপ্ন। আমি চাইলেই এ স্বপ্ন ভেঙে এখনি জেগে উঠতে পারি।
হাঁপ ছেড়ে বাঁচলাম আমি । যাক বাবা, তাহলে এই ভয়ঙ্কর স্বপ্ন রেখে এখুনি জেগে উঠি। মনে মনে বলতে লাগলাম - ঘুম ভেঙে যাক, ঘুম ভেঙে যাক। কিন্তু কোথায় কি! ঘুম তো ভাঙলোই না, উল্টো হিংস্র মানুষগুলো আরেকটু কাছে এগিয়ে এলো। তারপর তারা রাস্তার পাশে পড়ে থাকা বড় বড় সব পাথর দুহাতে তুলে নিতে লাগলো। খাইছে! শেষে কি মধ্যযুগিয় পন্থায় পাথর ছুড়ে মারবে নাকি আমাকে?
কিছু বুঝে ওঠার আগে সত্যিই ওরা পাথর ছোড়া শুরু করলো। বড় বড় সব পাথর উড়ে আসতে লাগলো আমার দিকে। মুহুর্তে আমার ভেতর কি পরিবর্তন হয়ে গেল। আমি যেন ম্যাট্রিক্সের নিও হয়ে গেলাম। বাঁ হাত কোমড়ের কাছে ধরে ডান হাত বাড়িয়ে দিলাম সামনে। আর মুখে বললাম - থামো। সাথে সাথে ভোজবাজি কান্ড ঘটে গেল। আমার বাড়ানো হাতের কয়েক ইঞ্চি সামনে এসে পাথর গুলো থেমে গেল শুন্যেই। তারপর হাতের ইশারা করতেই সেগুলো মাটিতে পড়ে গেল হুড়মুড় করে। মজা পেয়ে গেলাম আমি - বাহ্ ! আমি দেখি ম্যাট্রিক্সে এসে পড়েছি!!
আমার এ কান্ডে মানুষগুলোর ভেতরে তিব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেল। একজন বলে উঠলো - ঐ হালার পো দেখি নিও'র মতো ভাব লইছে। চল হালারে হাত দিয়াই ছিঁড়া ফালামু। মানুষগুলো হৈহৈ করে উঠলো এ প্রস্তাবে। তারপর এগুতে শুরু করলো আমার দিকে।
সাড়ছে কাম! - মনে মনে ভাবলাম আমি - নিও'র মতো কারিশমা দেখিয়ে নাহয় পাথর থামিয়েছি। কিন্তু এবার এদের সাথে মারামারি করবো কেমনে?! সেই মুরোদ তো আমার নাই। তারচেয়ে বরং নিও'র সেই লংজাম্প প্রাকটিস করি। এক লাফে এই খাদ পাড় হয়ে যাই।
যে ভাবা সেই কাজ। দিলাম এক লাফ। কিন্তু কোথায় সেই লংজাম্প! চার, পাঁচ ফুট দূরত্ব অতিক্রম না করতেই শুরু হলো পতন। পতন তো নয় মহাপতন। আমি তলিয়ে যেতে লাগলাম সেই খাদের ভেতরে। ভয়ে, আতঙ্কে মুখ থেকে বেড়িয়ে এলো জান্তব চিৎকার - আআআআআআআআআআ !!!!
ঘুম ভেঙে ধরমর করে উঠে বসলাম আমি। ভয়ে ঘেমে নেয়ে গেছি একেবারে। কিছুক্ষন সময় লাগলো কি ঘটেছে বুঝতে। তারপর স্বস্তির নিশ্বাস ফেললাম একটা - যাক বাবা! সত্যিই তবে এটা স্বপ্ন ছিল!!
(এ স্বপ্নটা আমি দেখেছি গতরাতে সেহেরি খেয়ে ঘুমাতে গিয়ে। আজব স্বপ্ন সন্দেহ নেই। তারপরও স্বপ্নটা বেশ জমজমাট লাগলো আমার কাছে। তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।)
মন্তব্য
বাই এনি চান্স, ত্রিনিটিরে দেখছেন নাকি?
না রে ভাই, সেই কপাল নিয়া কি আর জন্মাইছি !!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
- দেখা হইলে আমারে একটা মেইল দিতে কইয়েন। আমি তারে আলাভিউ কওয়ার লাইগা খুঁজতাছি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মর জ্বালা! আপনে আবার তার পিছে লাগলেন ক্যান? সে কি কারো শালী নাকি?!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
হি হি হি, এত বড় মজার স্বপ্নটা ঘুম থেকে উঠে মনে রাখলেন কিভাবে?
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
স্বপ্নটা দেখে এমন ভয় খাইছি যে তার ধকলে সবই মনে রয়ে গেছে। কিছুই ভুলি নাই।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
কীর্তিনাশা ভাই খুব তাড়াহুড়া করে লিখেছেন মনে হচ্ছে। লেখা ভাল লাগল। তবে শিরোনামটা বোধহয় আধিভৌতিক কাহিনী হবে; আদিভৌতিক নয়।
দয়া করে ঠিক করে দিন; চোখে লাগছে।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
শুধরে দিলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য। আর লেখাটা সত্যিই ঝড়ের বেগে লিখেছি। পাছে আবার স্বপ্নের ঘটনা ভুলে যাই এই ভয়ে। আর পোস্টাইসিও তাড়াতাড়ি। ইদানিং আমার নেট ভিষন ঝামেলা করছে। তাই নেট ভালো থাকতে থাকতেই পোস্ট করতে হয়েছে।
আপনাকে আবারো ধন্যবাদ রাফি ভাই।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
চ্রম!! *****
=============================
তু লাল পাহাড়ীর দেশে যা!
রাঙ্গা মাটির দেশে যা!
ইতাক তুরে মানাইছে না গ!
ইক্কেবারে মানাইসে না গ!
ধন্যবাদ অসংখ্য ধন্যবাদ
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
মজাদার!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
থ্যাঙ্কু
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
নজরুল ভাই দেখি স্বপ্নের মধ্যেও নিও থিওরি প্রয়োগ করে থাকেন।হেঃ হেঃ। বেশ বেশ । আমার স্বপ্নগুলো কিছুতেই মনে থাকেনা। থাকলে এমন ভৌতিক কিছু লিখে ফেলাও অসম্ভব কিছু ছিলনা।
--------------------------------------------------------
থাকবে ভূঁত ভাই, আমার মতো ভয়ের স্বপ্ন দেখলে তা মনে না থেকেই পারে না। তারপর তা লিখে ফেলে সোজা সচলে পোস্টাবেন।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আরে কীর্তিনাশা ভাই, শেষ পর্যন্ত কি রায়হান আবীরের ভয়ে এমন উল্টাপাল্টা স্বপ্ন দেখা শুরু করলেন নাকি! নাকি স্পেসশীপে ভালো ঘুম হচ্ছে না!
(দুঃ)স্বপ্নের এই স্টাইলটা আমার বেশ পছন্দের। এমনকি আমি যখন অতিথি হিসেবে সচলায়তনে লিখতাম, তখন এই ধরণের একটা লেখা লিখেছিলাম। আমার গল্পে এক বেচারা স্বপ্নে ঝড়ের রাতে পিছু-ধাওয়া খেয়ে অন্ধকারে দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে খাঁদে পড়ে যায়। তখুনি গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রের ঘুম ভেঙ্গে যায়। সবচেয়ে মজার কথা হলো, এই ধরণের একটা চিন্তা আমার মাথায় সেই স্কুলজীবন থেকে ঘুরছে। কখনো লেখা হয়ে ওঠেনি। শেষ পর্যন্ত সচলে এসে লেখা।
যাই হোক, কথা হচ্ছিল আপনার গল্প নিয়ে। ভালো লাগল বেশ। আর শিরোনামটা 'আধিভৌতিক' হবে মনে হয়। আরো স্বপ্ন দেখুন এরকম, আরো লিখুন, আমরাও মজা পাই
_______________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
- আর কইয়েন না অপ্র ভাই, রায়হান আবীর-এর ভয়ে আসলেই কাঁপতাছি। নজরুল ভাই তো বস্ মানুষ তারে তো কিছু করবো না। দেখা যাইবো আমারেই কোন বান্দর এলিয়েন দিয়া মাইর খাওয়াইছে অথবা কোন ব্ল্যাকহোলের সাথে ঠোক্কর খাওয়াইছে। আল্লাহ্ জানে কপালে কি আছে!
- আপনার গল্পটা পড়া হয় নাই। দেখি আপনার ব্লগে গিয়া এক সময় পইড়া ফালামু নে।
- শিরোনাম ঠিক করে দিয়েছি। আর আপনারা যে হারে উৎসাহ দিচ্ছেন তাতে না লিখে উপায় কি! লিখবো অবশ্যই লিখবো।
পরিশেষে আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ, পড়া ও মন্তব্যের জন্য।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ভালো হয়েছে, তবে মনে হয় একটু তাড়াহুড়ো করে লেখা ।
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
দেবু দা, ঠিক ধরেছেন। আসলেই তাড়াহুড়ো করে লেখা।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
রোযার রাইতের স্বপ্ন...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
এ রকম স্বপ্নের পতন শেষে যা হয়, নিজেকে খাটের নীচে আবিষ্কার করা। গোটা স্বপ্ন মনে রইলো, আর জলজ্যান্ত ঘটনা ভুলে গেলেন ! খুব অন্যায়, খুব অন্যায় !
কার ভয়ে ?
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ঘরের কথা পরে জানলো ক্যামনে!!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ম্যাট্রিক্স আদিভৌতিক :)। দেখতে থাকেন এমন স্বপ তাহলে অনেক গুলো পর্ব লিখতে পারবেন । অনেক ভাল লাগল
ধন্যবাদ নিরিবিলি, অসংখ্য ধন্যবাদ
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
বিছনা থাইক্যা গড়াইয়া ফ্লোরে পড়লেও না হয় বুঝতে পারতাম যে, এইটা নিছক স্বপ্ন। কিন্তু এখন এইটারে কী কমু?
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
- কী আবার 'খোয়াব'।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ খোয়াব ঠিক আছে
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আমি স্বপ্ন দেখব বলে দু চোখ বন্ধ করে রয়েছি ...............।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
তাহলে তো স্বপ্ন দেখতে আর কোন বাধা রইলো না।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
বাপরে!! কীর্তিনাশার সর্বনাশা স্বপ্ন
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
তা যা বলেছেন জ্বীন ভাই
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
নতুন মন্তব্য করুন