(ছবি সংযুক্ত আছে লেখার শেষে)
ময়মনসিংহ থেকে শেরপুর:
ময়মনসিংহ থেকে শেরপুরের ঝিনাইগাতি হয়ে গজনী পর্যন্ত প্রায় ৮০ কিলোমিটারের পথ। নেত্রকোনা রুটের চেয়ে রাস্তা অনেক ভালো। রাস্তার দুপাশে প্রচুর গাছ। বলতে গেলে পুরো রাস্তা জুড়েই। শেরপুর শহরে পৌঁছলাম বেলা দশটার দিকে (আজও আমরা সাইকেলে নয় বাসের উপরই আস্থা রাখলাম)। ঘণ্টা চুক্তিতে রিক্সা ভাড়া করে পুরো শহর চষে বেড়ালাম। সারা শহর জুড়ে পূজোর সাজ। মোড়ে মোড়ে সাজানো হয়েছে মন্ডপ। বাজারে বাজারে রঙীন কাপড়ের সাজ-সজ্জা আর বড় বড় তোড়ন চোখে পড়লো। মিষ্টির দোকানগুলোতে নানা ধরনের মিষ্টির শোভা। এত মিষ্টি দেখে লোভ কি আর সামলানো যায়। আমরা তাই পেট ভরে নানা রকমের মিষ্টি খেলাম। ধীরে ধীরে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে শহরের গায়ে। মাইসাহেবা মসজিদ দেখতে দারুণ। বিশেষ করে এর সুউচ্চ মিনারগুলো যেন আকাশ ছুঁতে চাইছে। শেরপুরে প্রায় সব মসজিদেই অন্তত একটি করে উঁচু মিনার দেখলাম। এখানে অনেক মসজিদ যেমন আছে তেমনি অনেক মন্দিরও চোখে পড়লো। এর মধ্যে ১৭৮৩ সালে তৈরি শ্রী শ্রী গোপিনাথ ও অন্নপূর্ণা মন্দির এবং ভবতারা মন্দির বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কৃষি প্রশিক্ষণ ইন্সষ্টিটিউটের বৃটিশ আমলের পুরনো কারুকাজ করা, নকশা খচিত জমিদার বাড়ি নজর কাড়ে সহজেই।
শেরপুর থেকে ঝিনাইগাতি, গজনী:
বেলা বারোটার দিকে আমরা ঝিনাইগাতির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। এবারো বাসের ছাদে। ২৪ কিলোমিটারের পথ। ঘণ্টাখানেক লাগলো ঝিনাইগাতি পৌঁছতে। সেখান থেকে মটরসাইকেলে রাংটিয়া হয়ে সোজা চলে এলাম গজনী। ঝিনাইগাতির কাংশা ইউনিয়নের গজনী পাহাড়কে কেন্দ্র করে বানানো হয়েছে পরিকল্পিত এই গজনী অবকাশ কেন্দ্র। যদিও পরিকল্পনা মতো তার পরিবেশ সংরক্ষনের কোন লক্ষণ দেখা গেলো না। অবকাশ কেন্দ্রে ঢোকার প্রধাণ গেটের কাছেই লেখা আছে সতর্কীকরণ বানী - ‘বন্য হাতির আক্রমণ হতে সাবধান’ এবং হাতি আক্রমণ করলে কী কী করণীয় তার বিশদ বিবরণ। নানা স্থান থেকে আসা বেশ কিছু পর্যটক, ভ্রমণ পিপাসু মানুষের দেখা মিলল এখানে।
ঘুরে দেখলাম গজনী অবকাশ কেন্দ্র বনায়ন। গাছ-গাছালি বলতে শাল, সেগুন, আকাশমনি আর মহুয়ার দেখা মেলে। পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝর্ণা বাঁধ দিয়ে আটকে দুটি হ্রৃদ তৈরি করা হয়েছে। হ্রদের মধ্যে আছে প্যাডেল চালিত নৌকা, তাছাড়া ময়ূরপক্সী নৌকায় আছে নৌবিহারের সুব্যবস্থা। পুরো অবকাশ কেন্দ্র জুড়ে ছড়িয়ে আছে নানা জীব জন্তুর দারুণ আকর্ষণীয় ভাস্কর্য, যা বাচ্চাসহ বড়দের জন্যও বেশ দর্শনীয় না বলে উপায় নেই। বিশেষকরে হ্রদের ঠিক পাশে জলকন্যার সাদা ভাস্কর্যের সামনে দাঁড়িয়ে অনেক ভ্রমণকারীকেই ছবি তুলতে দেখা গেল। এর বা পাশেই আছে কৃত্রিম ড্রাগন গুহা। ভেতরে ঘুটঘুটে অন্ধকার। ঢুকলেই গা ছম ছম করে।
সবচেয়ে আকর্ষনীয় ছিলো পর্যবেক্ষন টাওয়ার। এখান থেকে দেখা যায় মেঘালয়ের পাহাড় সারি আর নয়নভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য। এখান থেকে নাকি মেঘালয়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ‘নরকের’ও দেখা যায়। কিন্তু আমরা সেটা খুঁজে পেলাম না। এছাড়া আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ছোট ছোট বাড়ি-ঘরও নজরে আসে। আমরা বাইনোকুলার দিয়ে বেশ ভালো করে চারপাশটা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখলাম।
বেলা চারটা বেজে গেলো। আকাশে মেঘ করেছে। টিপ টিপ বৃষ্টিও পড়তে শুরু করেছে। অবাক লাগলো এমন একটা জায়গায় রাত কাটানোর কোন ব্যবস্থা না থাকায়। আমাদের সাথে যদিও তাবু ছিলো কিন্তু রাতের নিরাপত্তা দেবে কে? আমরা আর দেরি না করে আবার ফেরার পথ ধরলাম। ফেরার সময় রাংটিয়ার জঙ্গলের ভেতরে ঢুকে কিছুক্ষণ সময় কাটালাম, ছবি তুললাম।
ঝিনাইগাতি থেকে বাসে আমরা শেরপুর পৌঁছলাম (যথারীতি বাসের ছাদে), তখন গোধূলীর ম্লান আলোয় শেরপুর শহরকে অপার্থিব লাগছিলো। মেঘলা আকাশ আরো কালচে বর্ণ ধারণ করলো। শেরপুরে আমাদের জন্য চমক হয়ে দেখা দিলেন মৃদুল ভাই। তিনি এদিকে তাঁর কোন এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। যদিও তাঁর সাথে বেশিক্ষন থাকতে পাড়লাম না আমরা। কারন ময়মনসিংহ যাবার শেষ বাস আর কিছুক্ষণের মধ্যে ছেড়ে দেবে।
বাসের কাছে গিয়ে দেখি ভেতরে তিল ধারণের স্থান নেই। বাধ্য হয়েই আবারো আমাদের ছাদে স্থান নিতে হলো। যদিও এবার আর আমাদের সে ইচ্ছা ছিল না। বাস ছাড়ার একটু পরেই মুশলধারে বৃষ্টি শুরু হলো। বিশাল বিশাল বৃষ্টির ফোঁটা। আগেই বলেছি শেরপুর-ময়মনসিংহ রাস্তার প্রায় পুরোটা জুড়েই দু'পাশে হাজার হাজার গাছ, পুরো রাস্তা যেন সবুজ পাতার টানেল। এ ধরনের রাস্তায় উঁচু বাসের ছাদে চলা খুবই বিপদজ্জনক। মাথা নিচু করে বসে থাকলেও নিচু হয়ে থাকা শক্ত ডালের আঘাতে যে কোন সময় মারাত্মক বিপদ হতে পারে। ভয়ে আমি চিত হয়ে একেবারে শুয়ে পড়লাম। খোলা মুখের ওপর চটাস চটাস বড় বড় বৃষ্টির ফোঁটা পড়তে থাকলো। কীর্তিনাশা ছাদের রেলিং আঁকড়ে বসে ছিল প্রানপন। সে ঠিকই মুখে, মাথায় গাছের ডালের ঠোক্কর খেল দু’তিনটা। হাড় জমিয়ে দেয়া ঠাণ্ডা বাতাসে জমে যাচ্ছিলাম দুজনেই। তার ওপর এক স্থানীয় লোক ছিল আমাদের সাথে। এই বৈরী আবহাওয়ার মাঝেই সে তার জীবন কাহিনী বলা শুরু করলো। মাঝে মাঝে আমরা অন্যমনস্ক হলে সে ডেকে বলতো - শুনছেন সার? আমাদের সে কাহিনী তাই না শুনে কোন উপায় ছিল না।
মাঝে মাঝে বৃষ্টি থেমে আসে, আবার শুরু হয়। একটানা প্রায় দুই ঘণ্টার এই ভয়াবহ বাস যাত্রা আমাদের সারা জীবন মনে থাকবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে হয়ত আর কখনোই এমন ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রায় আমরা নিজেদেরকে ছুঁড়ে দেবো না। ময়মনসিংহ যখন পৌঁছলাম তখন আমরা ভিজে পুরোপুরি ভেজা কাঁক। বাস থেকে নেমেই গেলাম সেই ব্রহ্মপুত্র পাড়ের চায়ের দোকানে। গরম গরম চা খেয়ে তবেই দু’জনে একটু সুস্থ হলাম।
পরদিন ৭ অক্টোবর, আমাদের ভ্রমণের পঞ্চম এবং শেষ দিন। ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করার আগে আমরা ময়মনসিংহ শহরটা ঘুরে দেখলাম। গেলাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে, তীরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলাম ধীরে বয়ে চলা নিস্তরঙ্গ ব্রহ্মপুত্র নদ। তারপরও আরো কিছুক্ষণ ঘুরে দেখলাম শহরের নানা স্থান।
অনেক কিছু দেখার ছিলো, আরো অনেক জায়গায় যাবার ইচ্ছা ছিল। সময়ের অভাবে হলো না সবটা। কিংবা ভ্রমণপিপাসুদের ‘সবটা’ বলে কিছু নেই। এ পিপাসা অসীম। সবটা দেখলেও নাকি আরো কিছুটা বাকি থেকে যায়। কীর্তিনাশা এভাবেই সান্তনা দিলো আমাকে, হয়ত নিজেকেও।
বেলা তিনটায় আমরা ময়মনসিংহ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। বিদায় ময়মনসিংহ, বিদায় পাহাড় আর সবুজ প্রান্তর, বিদায় সোমেশ্বরী নদী।
(ভ্রমন কাহিনী লিখেছেন : সৈয়দ আখতারুজ্জামান)
ছবি : ৪র্থ কিস্তি
(সমাপ্ত)
মন্তব্য
বিলের বুক চিরে চলে গেছে রাস্তা
মেঘের আড়ালে বিকেলের সূর্য
রাঙটিয়ার জঙ্গলের মধ্যদিয়ে যেতে হয় গজনী
অসাধারণ ছবি ।
ধন্যবাদ
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
বৃত্তান্ত তো হলো। আহা! অনুভূতিটাও যদি দেখতে পেতাম!
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
অনুভুতি কামলা খাটতে গিয়া মইরা ভূত।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
এবারের পর্ব তো বাস ভ্রমণ হয়ে গেল!
শেরপুরে কোথায় কী দেখলেন আর খেলেন বিশদ লেখেন।
মাইসাহেবার পাশেই শেরপুর কলেজ। ওইখানে ইন্টার করা আমার।
তা যা বলেছেন আলমগীর ভাই।
শেরপুরে খুব মজা করে মিষ্টি খেয়েছি আমরা। আরেকটা ব্যাপার লক্ষ্য করলাম - অন্যান্য জায়গার তুলনায় শেরপুরে খাবার-দাবার অনেক সস্তা। রিক্সা ভাড়াও তাই।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ভ্রমন সিরিজটা কি তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেলো ! অনুভূতি জমার আগেই !
নাহ্, বুঝা গেলো আপনারা মহাকাব্য লিখতে পারবেন না।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
এতো আকর্ষণীয় একটা ভ্রমন সেরে কেউ এভাবে মুখ গোমড়া করে রাখে নাকি !
হাসেন ! হা হা করে ! মুখ তো গোমড়া করবো আমরা ! ঠকিয়েছেন বলে !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আহ্... অবশেষে শেষ হলো! প্রতি পর্ব পড়তাম আর হিংসা করতাম আপনাদের দু'জনকে... সাময়িকভাবে মুক্তি পেলাম... শোনেন ভাই... সাইকেল চালানো ভালো না... আর সাইকেলে চড়বেন না বা এইরকম ভ্রমণে বের হবেন না... এইসব স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর!
সাইকেল চালানো ভালো না... আর সাইকেলে চড়বেন না বা এইরকম ভ্রমণে বের হবেন না... এইসব স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর!
আচ্ছা ঠিক আছে আপনে যখন বললেন, আর সাইকেল চালামু না, যান ।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
কাহিনী ফুরিয়ে গেল বটে, কিন্তু যা দেখা হলো, যা শেখা হলো, যা জমা রয়ে গেল স্মৃতিতে, তাতো অম্লান, উজ্জ্বল, অক্ষয়।
আমাদের দুজনেরই ইচ্ছা, আমরা সারা দেশ ঘুরে দেখবো। ৬৪টি জেলাই। তাছাড়া অন্যান্য এক্সপেডিশানতো আছেই। সেজন্য বিয়ন্ড নামে একটি এ্যাডভেঞ্চার ক্লাবও গঠন করেছি। ধীরে ধীরে আমাদের প্রস্তাবিত সদস্য সংখ্যাও বাড়ছে। দ্রুত আমাদের ওয়েব সাইটও চালু হয়ে যাবে। www.beyondadventureclub.com হবে তার এ্যাড্রেস। সদস্যদের ছবিসহ প্রোফাইল দেখা যাবে এখানে। ভ্রমণ সংক্রান্ত অনেক ছবি আপলোড করা হবে। সাথে থাকবে ভ্রমণ কাহিনী। নানা এ্যাডভেঞ্চারের গল্প গাঁথা। আগ্রহী সদস্যদের নিয়ে প্রতি বছর অন্তত একটি আলোড়ন সৃষ্টিকারী এক্সপেডিশান প্ল্যান করা হবে। আর আমাদের সদস্যদের নানা ভ্রমণ বিষয়ক লেখা নিয়ে প্রতি বছর একটি করে সংকলন প্রকাশ করা হবে। সদস্যদের ভ্রমণ বিষয়ক ছবি নিয়ে অন্তত একটি মেগা প্রদর্শনী আয়োজন করা হবে।
আমাদের পরিচালনা পর্ষদ গঠন হয়ে গেলেই ক্লাবের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেব আমরা। আয়োজন করবো সংবাদ সম্মেলনের।
নিজের সীমানাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার স্বপ্নে উদভ্রান্ত, দাবানলের মতো জীবন আগ্রাসী কিছু সবুজ তরুণ প্রাণ একসাথে মিলে জীবনের গন্তব্যের দিকে নতুন করে তাকাতে চাই।
কূপমণ্ডূক জীবন, নিপাত যাক!
কূপমণ্ডূক জীবন, নিপাত যাক!
(লেখাটা অতি যত্নে এবং নানা কষ্ট সহ্য করে সময় নিয়ে পোষ্ট করার জন্য কীর্তিনাশাকে আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমার পক্ষে যা নিয়মিত কোনভাবেই সম্ভব হতো না।)
আমিও গলা মেলালাম -
কূপমণ্ডূক জীবন, নিপাত যাক!
কূপমণ্ডূক জীবন, নিপাত যাক!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
সমস্বরে বলি...
কূপমণ্ডূক জীবন, নিপাত যাক!
কূপমণ্ডূক জীবন, নিপাত যাক!
অল দা বেস্ট...
মানুছের ভ্রুমুন ইস্টোরি আমি ভালু পাই না...কস্টু লাগে...যাতি পারি না তো এর লাই।
-----------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
আন্নেরে কস্টু দেয়ার লাই দুঃকিত।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
মনে বড় আশা ছিলো যাবো গজনীতে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
তাইলে আর কি?
গজনীতে
দেখা হবে কোন রজনিতে।
মানে হইলো চলেন এক লগে যাই একবার।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ভালো লাগলো পড়ে। ছবি গুলো সুন্দর। আগের কিস্তি সহ এটা পড়ে মনে হলো ঘুরে বেড়ানোর জন্য প্রথম যা দরকার সবকিছুর সাথে মানিয়ে নেয়া, তা আপনাদের আছে। আপনারা পারবেন।
...........................
Every Picture Tells a Story
ধন্যবাদ পড়া ও মন্তব্যের জন্য।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
সব পর্ব পড়ছি।
একবার খেয়াল হইল টেকনাফ থেইক্যা তেতুলিয়া যামু। পিকনিকের উছিলায় টেকনাফ দেখা হল।
কমলাপুর গিয়া ট্রেনে উট্টা বইলাম, টিকেট ছাড়াই। দিনাজ পুর তক গেলাম টাকা পয়সা ছাড়াই।
কিন্তু বিপদে পরছিলামরে ভাই। ভাবতাছি একদিন হেই কতা লেহুম।
আপনেগো ভ্রমন কাহীনি পইড়া মনে লয় আবার যাই।
ঐ ঝুলন্ত জালডা আমাগো গেরামে কয় ধর্ম জাল।
লেখা ছবি সব মিলিয়ে ফাটা-ফাটি হইছে।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
তাইলে আর কি পুতুল ভাই -
দেশে চইলা আসেন তাড়াতাড়ি এক লগে ঘুরতে বাইর হমুনে।
আর আমাদের বরিশালেও ধর্মজাল বলে একটা জাল আছে, তবে এইটাই সেই জাল কিনা জানিনা।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
নতুন মন্তব্য করুন